আবরার নাঈম

পাপ হলো এমন এক কাজ, যা নৈতিক, ধর্মীয় বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভুল বা নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত। এটি মানুষের বিবেক ভারাক্রান্ত করে এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। পাপের ফলে মানুষ আত্মগ্লানি, দুঃখ ও অনুশোচনায় ভোগে। তবে এমন কিছু পাপ রয়েছে, যেগুলো মানুষ সহজেই করে ফেলে। কখনো এ পাপকে খুবই হালকা মনে করে। যেমন ১. মিথ্যা কথা বলা। ২. গিবত করা। নিম্নে সংক্ষিপ্তাকারে তার স্বরূপ ও ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।
মিথ্যা কথা বলা: মানুষ এত সহজে মিথ্যা কথা বলে যে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এটা কোনো পাপই নয়। চাকরি, ব্যবসা, এমনকি মানুষ মজার ছলেও মিথ্যা বলে। অথচ সদা সত্য কথা বলার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্য কথা বল। (সুরা আহজাব: ৭০)। মিথ্যা কথা বলা কবিরা গুনাহ এবং মুনাফেকির লক্ষ্মণ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, মুনাফেকের চিহ্ন হলো তিনটি—১. কথা বললে মিথ্যা বলে। ২. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। ৩. আমানত রাখা হলে তা খিয়ানত করে। (রিয়াজুস সালেহিন: ৬৯৪)
গিবত করা: গিবত অর্থ হলো কারও আড়ালে তার দোষ চর্চা করা। গিবত অতি ঘৃণ্য ও জঘন্য অপরাধ। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে, গিবতকারী আপন মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণকারীর সমতুল্য। বাস্তবে কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খায় বা খাবে! এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, এবং তোমরা একে অপরের গিবত কর না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করে? বস্তুত তোমরা একে ঘৃণাই কর। (সুরা হুজুরাত: ১২। হাদিসে গিবত জিনার চেয়ে ভয়ংকর বলে উল্লেখ আছে। কারণ এ গিবতের অনিবার্য ফলাফল হলো মানুষের মধ্যে কলহ-বিবাদ ও হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করা, যা একসময় হত্যা পর্যন্ত গড়ায়।

পাপ হলো এমন এক কাজ, যা নৈতিক, ধর্মীয় বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভুল বা নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত। এটি মানুষের বিবেক ভারাক্রান্ত করে এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। পাপের ফলে মানুষ আত্মগ্লানি, দুঃখ ও অনুশোচনায় ভোগে। তবে এমন কিছু পাপ রয়েছে, যেগুলো মানুষ সহজেই করে ফেলে। কখনো এ পাপকে খুবই হালকা মনে করে। যেমন ১. মিথ্যা কথা বলা। ২. গিবত করা। নিম্নে সংক্ষিপ্তাকারে তার স্বরূপ ও ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।
মিথ্যা কথা বলা: মানুষ এত সহজে মিথ্যা কথা বলে যে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এটা কোনো পাপই নয়। চাকরি, ব্যবসা, এমনকি মানুষ মজার ছলেও মিথ্যা বলে। অথচ সদা সত্য কথা বলার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্য কথা বল। (সুরা আহজাব: ৭০)। মিথ্যা কথা বলা কবিরা গুনাহ এবং মুনাফেকির লক্ষ্মণ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, মুনাফেকের চিহ্ন হলো তিনটি—১. কথা বললে মিথ্যা বলে। ২. ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। ৩. আমানত রাখা হলে তা খিয়ানত করে। (রিয়াজুস সালেহিন: ৬৯৪)
গিবত করা: গিবত অর্থ হলো কারও আড়ালে তার দোষ চর্চা করা। গিবত অতি ঘৃণ্য ও জঘন্য অপরাধ। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যমতে, গিবতকারী আপন মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণকারীর সমতুল্য। বাস্তবে কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খায় বা খাবে! এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, এবং তোমরা একে অপরের গিবত কর না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করে? বস্তুত তোমরা একে ঘৃণাই কর। (সুরা হুজুরাত: ১২। হাদিসে গিবত জিনার চেয়ে ভয়ংকর বলে উল্লেখ আছে। কারণ এ গিবতের অনিবার্য ফলাফল হলো মানুষের মধ্যে কলহ-বিবাদ ও হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করা, যা একসময় হত্যা পর্যন্ত গড়ায়।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৯ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৬ ঘণ্টা আগে