আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি আগামী সপ্তাহে হতে পারে বলে ‘আশাবাদী’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের প্রতি ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে’ বলে ঘোষণা করার পর গত শুক্রবার ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের এটি শেষ করতে হবে। গাজা নিয়ে আমাদের কিছু করতে হবে।’
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান সংঘাতের কারণে এর আগে মধ্যস্থতাকারীরা কোনো সমাধান আনতে পারেননি। তবে এবার উভয় পক্ষই সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হওয়ায়, কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি হাতের নাগালে বলে মনে হচ্ছে।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর নতুন করে এই প্রচেষ্টা গতি পেয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন চাপ এবং ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য পরিবর্তনও এর পেছনে কাজ করেছে।
গত ২৪ জুন ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতির পর থেকে মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে গাজা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরদার করেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরান চুক্তি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সর্বশেষ আলোচনায় ‘গতি’ এনেছে।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতার কারণে চলমান দুর্ভোগের জন্য নেতানিয়াহুর সরকার ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে।
গত মার্চে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। মে মাসে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা যখন শত শত মানুষের অনাহারে মৃত্যুর আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করেন, তখন ইসরায়েল আংশিকভাবে অবরোধ শিথিল করে।
সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় গাজায় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, ত্রাণ বিতরণের সময়ও অভুক্ত মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মে মাসের শেষ থেকে বিতর্কিত মার্কিন-সমর্থিত ত্রাণ উদ্যোগ ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ থেকে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় গুলিতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।
নেতানিয়াহুর ওপর ইসরায়েলের ভেতর থেকেও চাপ বাড়ছে। তাঁর সরকারে রয়েছেন গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী ও সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী কট্টর-ডানপন্থী রাজনীতিকেরা। তবে বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ গত বুধবার বলেছেন, জিম্মি চুক্তি সম্ভব করার জন্য তিনি জোট সরকারে যোগ দেবেন। জনমত জরিপে বারবার দেখা গেছে, ইসরায়েলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তি চায়, এমনকি যদি এর অর্থ হয় যুদ্ধের সমাপ্তি, তবুও।
ইসরায়েল কী চায়?
জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য ছাড়াও, নেতানিয়াহু তাঁর চরমপন্থী লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি: গাজা নিরস্ত্রীকরণ এবং হামাসের সামরিক সক্ষমতা ও শাসনক্ষমতা ধ্বংস করা।
তবে গত সপ্তাহান্তে প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের লক্ষ্যগুলো নির্ধারণে বক্তব্যে পরিবর্তন এনেছেন—প্রথমবারের মতো হামাসকে পরাজিত করার ‘সর্বোচ্চ লক্ষ্য’-এর আগে জিম্মিদের ফেরানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পর ‘অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে’, যার মধ্যে হামাসের হাতে এখনো বন্দী থাকা সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনাও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথমত, জিম্মিদের উদ্ধার করা। অবশ্যই, আমাদের গাজা সমস্যার সমাধান করতে হবে, হামাসকে পরাজিত করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমরা উভয় মিশনই সম্পন্ন করব।’
এই মন্তব্যকে গাজায় বন্দী জিম্মিদের পরিবার স্বাগত জানিয়েছে। প্রিয়জনদের মুক্তিকে ইসরায়েলের প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে স্পষ্টভাবে নির্ধারণ না করার জন্য তাঁরা এত দিন সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। যেখানে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে খুব কমসংখ্যক জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে, বেশির ভাগই যুদ্ধবিরতির অধীনে মুক্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় একাধিক জিম্মির মৃত্যুও হয়েছে।
প্রায় দুই বছর ধরে নিয়মিত নির্বিচার হামলা এবং হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের বেশির ভাগকে হত্যার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত সপ্তাহে গাজায় একটি কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করার সুপারিশ করেছে।
গত মঙ্গলবার, একজন সামরিক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি, তবে হামাস বাহিনী ছোট হয়ে আসায় এবং আত্মগোপন করায়, জঙ্গি গোষ্ঠীর অবশিষ্ট অংশকে কার্যকরভাবে লক্ষ্যবস্তু করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন।’
হামাসের অবস্থান
হামাস গত শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা ‘মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে এবং আন্দোলন এই কাঠামো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পর্কিত আলোচনার একটি পর্বে অবিলম্বে প্রবেশ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
হামাসের তিনটি প্রধান দাবি রয়েছে: যুদ্ধের স্থায়ী অবসান, জাতিসংঘের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা বিতরণ এবং গত ২ মার্চের আগে ইসরায়েলি বাহিনী যে অবস্থানে ছিল, সেখানে ফিরে যাওয়া। ২ মার্চের পর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পুনরায় আক্রমণ শুরু করে এবং গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল দখল করে নেয়।
গত মে মাসের শেষের দিকে একজন সিনিয়র হামাস কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছিলেন, তারা একদিনের মধ্যে জিম্মিদের ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত। শুধু তারা এই নিশ্চয়তা চায় যে, এরপর আর যুদ্ধ হবে না।
হামাসের হাতে আলোচনায় দর-কষাকষির মূল হাতিয়ার জিম্মিরা। যুদ্ধের সমাপ্তি ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি দিতে তারা রাজি নয়।
গত মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসন সমর্থিত পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের জবাবে, হামাস মার্কিন আশ্বাস চেয়েছিল যে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং ৬০ দিনের বিরতির পর যুদ্ধ আবার শুরু হবে না।
যুদ্ধবিরতি অস্থায়ী হবে নাকি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ খুলবে, সেটিই এখন পক্ষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিতর্কের বিষয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে গাজায় অভিযান শুরু করে। কিন্তু গাজায় রাজনৈতিক ও সামরিক অবস্থান ছেড়ে দিতে রাজি নয় হামাস।
হামাসের কর্মকর্তারা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় তাদের ভূমিকা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, তাঁরা ‘ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে নেই’ এবং ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ গাজায় কোনো শাসন ব্যবস্থার অংশ তাঁরা হতে চান না।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে কী আছে?
প্রস্তাবের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে এটি স্পষ্ট যে, সংশোধিত পরিকল্পনাটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য দূর করার একটি প্রচেষ্টা।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, সর্বশেষ প্রস্তাবের টাইমলাইন অনুযায়ী, মোট ৬০ দিনের মধ্যে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি এবং ১৮ জন মৃত জিম্মির মরদেহ হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েল সরকারের মতে, গাজায় এখনো বন্দী ৫০ জন জিম্মির মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত রয়েছে।
পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির মতোই, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে হামাস আটজন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে, ইসরায়েল অনির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দী ও আটককৃতদের মুক্তি দেবে এবং উত্তর গাজার দখলকৃত স্থানগুলো থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসরায়েল ও হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা শুরু করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের অনুরোধে জিম্মিদের কোনো আনুষ্ঠানিকতা বা আড়ম্বর ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হবে। যেখানে শেষ যুদ্ধবিরতির সময় হামাস জিম্মি হস্তান্তরের সময় প্রচারমূলক ইভেন্ট করেছিল বলে অভিযোগ করে ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতির শুরুতে গাজায় অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশ শুরু হবে, যার মধ্যে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ত্রাণ সংস্থাগুলোর সহায়তাও থাকবে। গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির মতোই ত্রাণ পাবেন গাজাবাসী। এতে মার্কিন-সমর্থিত ত্রাণ সংস্থা জিএইচএফ এবং গাজায় তাদের ভূমিকা কী হবে সেটি অস্পষ্ট।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারীরা হালনাগাদ করা প্রস্তাবের অংশ হিসেবে গাজায় যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে আরও দৃঢ় আশ্বাস দিয়েছেন। এটি নীতিগতভাবে হামাসের মূল উদ্বেগগুলোর একটির সমাধান দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা নথিতে নির্দিষ্ট ভাষার বিস্তারিত দেননি, তবে বলেছেন যে, শব্দগুলো পূর্ববর্তী আশ্বাসের চেয়ে শক্তিশালী।
উভয় পক্ষ প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে আরও আলোচনা হতে হবে। এই আলোচনায়, মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ করবেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গতকাল শনিবার ঘোষণা করেছে, দোহায় আলোচনায় অংশ নিতে ইসরায়েল একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। তবে বলা হয়েছে, হামাস সর্বশেষ কাতারের প্রস্তাবে যে পরিবর্তনগুলো চাচ্ছে তা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’। ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল আজ রোববার কাতারে রওনা হওয়ার কথা। তার মানে শিগগিরই আলোচনা শুরু হবে।
হামাস গত শুক্রবার রাতে বলেছে, তারা প্রস্তাবের ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ জমা দিয়েছে। তবে আলোচনায় জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস কিছু ‘সংশোধনী’ দিয়েছে।
তবে হামাস প্রকাশ্যে বলেনি যে এই সপ্তাহের শুরুতে কাতারের প্রস্তাবে তারা কী পরিবর্তন চেয়েছিল। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধের একটি সমাপ্তি, পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের দৃঢ় আশ্বাস চেয়ে আসছে। হামাস বিতর্কিত মার্কিন এবং ইসরায়েলি-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) মাধ্যমে নয়, বরং জাতিসংঘের প্রচলিত পদ্ধতির মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের পক্ষে।
আগের যুদ্ধবিরতি
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ২১ মাসের যুদ্ধে, আগের যুদ্ধবিরতি মোট নয় সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এই যুদ্ধে গাজায় ৫৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৭ হাজারেরও বেশি শিশু।
প্রথম যুদ্ধবিরতি ২০২৩ সালের নভেম্বরে কার্যকর হয়, তবে তা মাত্র এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। সে সময়, ১০৫ জন জিম্মিকে গাজা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, বিনিময়ে ইসরায়েল বেশ কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়।
দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি ২০২৫ সালের জানুয়ারির আগে হয়নি। এই যুদ্ধবিরতি আট সপ্তাহেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, ইসরায়েল প্রতিটি ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়।
দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে, ইসরায়েলের একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল ১৮ মার্চ চুক্তি ভেঙে আক্রমণ শুরু করে। নেতানিয়াহু প্রশাসন আলোচনা ভেস্তে দেয়। ইসরায়েল তখন বলেছিল, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই তারা আবার আক্রমণ করেছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি আগামী সপ্তাহে হতে পারে বলে ‘আশাবাদী’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের প্রতি ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে’ বলে ঘোষণা করার পর গত শুক্রবার ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের এটি শেষ করতে হবে। গাজা নিয়ে আমাদের কিছু করতে হবে।’
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান সংঘাতের কারণে এর আগে মধ্যস্থতাকারীরা কোনো সমাধান আনতে পারেননি। তবে এবার উভয় পক্ষই সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হওয়ায়, কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি হাতের নাগালে বলে মনে হচ্ছে।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর নতুন করে এই প্রচেষ্টা গতি পেয়েছে। একই সঙ্গে মার্কিন চাপ এবং ইসরায়েলের যুদ্ধের লক্ষ্য পরিবর্তনও এর পেছনে কাজ করেছে।
গত ২৪ জুন ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধবিরতির পর থেকে মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে গাজা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরদার করেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সিএনএনকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরান চুক্তি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সর্বশেষ আলোচনায় ‘গতি’ এনেছে।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরতার কারণে চলমান দুর্ভোগের জন্য নেতানিয়াহুর সরকার ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে।
গত মার্চে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। মে মাসে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা যখন শত শত মানুষের অনাহারে মৃত্যুর আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করেন, তখন ইসরায়েল আংশিকভাবে অবরোধ শিথিল করে।
সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় গাজায় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, ত্রাণ বিতরণের সময়ও অভুক্ত মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মে মাসের শেষ থেকে বিতর্কিত মার্কিন-সমর্থিত ত্রাণ উদ্যোগ ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ থেকে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় গুলিতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।
নেতানিয়াহুর ওপর ইসরায়েলের ভেতর থেকেও চাপ বাড়ছে। তাঁর সরকারে রয়েছেন গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী ও সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী কট্টর-ডানপন্থী রাজনীতিকেরা। তবে বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ গত বুধবার বলেছেন, জিম্মি চুক্তি সম্ভব করার জন্য তিনি জোট সরকারে যোগ দেবেন। জনমত জরিপে বারবার দেখা গেছে, ইসরায়েলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য একটি চুক্তি চায়, এমনকি যদি এর অর্থ হয় যুদ্ধের সমাপ্তি, তবুও।
ইসরায়েল কী চায়?
জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য ছাড়াও, নেতানিয়াহু তাঁর চরমপন্থী লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি: গাজা নিরস্ত্রীকরণ এবং হামাসের সামরিক সক্ষমতা ও শাসনক্ষমতা ধ্বংস করা।
তবে গত সপ্তাহান্তে প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের লক্ষ্যগুলো নির্ধারণে বক্তব্যে পরিবর্তন এনেছেন—প্রথমবারের মতো হামাসকে পরাজিত করার ‘সর্বোচ্চ লক্ষ্য’-এর আগে জিম্মিদের ফেরানোকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পর ‘অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে’, যার মধ্যে হামাসের হাতে এখনো বন্দী থাকা সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনাও রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথমত, জিম্মিদের উদ্ধার করা। অবশ্যই, আমাদের গাজা সমস্যার সমাধান করতে হবে, হামাসকে পরাজিত করতে হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, আমরা উভয় মিশনই সম্পন্ন করব।’
এই মন্তব্যকে গাজায় বন্দী জিম্মিদের পরিবার স্বাগত জানিয়েছে। প্রিয়জনদের মুক্তিকে ইসরায়েলের প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে স্পষ্টভাবে নির্ধারণ না করার জন্য তাঁরা এত দিন সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। যেখানে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে খুব কমসংখ্যক জিম্মিকে উদ্ধার করা হয়েছে, বেশির ভাগই যুদ্ধবিরতির অধীনে মুক্তি পেয়েছেন। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় একাধিক জিম্মির মৃত্যুও হয়েছে।
প্রায় দুই বছর ধরে নিয়মিত নির্বিচার হামলা এবং হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের বেশির ভাগকে হত্যার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত সপ্তাহে গাজায় একটি কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করার সুপারিশ করেছে।
গত মঙ্গলবার, একজন সামরিক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য পুরোপুরি অর্জন করতে পারেনি, তবে হামাস বাহিনী ছোট হয়ে আসায় এবং আত্মগোপন করায়, জঙ্গি গোষ্ঠীর অবশিষ্ট অংশকে কার্যকরভাবে লক্ষ্যবস্তু করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন।’
হামাসের অবস্থান
হামাস গত শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা ‘মধ্যস্থতাকারীদের কাছে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে এবং আন্দোলন এই কাঠামো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পর্কিত আলোচনার একটি পর্বে অবিলম্বে প্রবেশ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
হামাসের তিনটি প্রধান দাবি রয়েছে: যুদ্ধের স্থায়ী অবসান, জাতিসংঘের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা বিতরণ এবং গত ২ মার্চের আগে ইসরায়েলি বাহিনী যে অবস্থানে ছিল, সেখানে ফিরে যাওয়া। ২ মার্চের পর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পুনরায় আক্রমণ শুরু করে এবং গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল দখল করে নেয়।
গত মে মাসের শেষের দিকে একজন সিনিয়র হামাস কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছিলেন, তারা একদিনের মধ্যে জিম্মিদের ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত। শুধু তারা এই নিশ্চয়তা চায় যে, এরপর আর যুদ্ধ হবে না।
হামাসের হাতে আলোচনায় দর-কষাকষির মূল হাতিয়ার জিম্মিরা। যুদ্ধের সমাপ্তি ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি দিতে তারা রাজি নয়।
গত মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসন সমর্থিত পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের জবাবে, হামাস মার্কিন আশ্বাস চেয়েছিল যে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং ৬০ দিনের বিরতির পর যুদ্ধ আবার শুরু হবে না।
যুদ্ধবিরতি অস্থায়ী হবে নাকি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ খুলবে, সেটিই এখন পক্ষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিতর্কের বিষয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে গাজায় অভিযান শুরু করে। কিন্তু গাজায় রাজনৈতিক ও সামরিক অবস্থান ছেড়ে দিতে রাজি নয় হামাস।
হামাসের কর্মকর্তারা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় তাদের ভূমিকা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, তাঁরা ‘ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে নেই’ এবং ‘পরবর্তী পর্যায়ে’ গাজায় কোনো শাসন ব্যবস্থার অংশ তাঁরা হতে চান না।
প্রস্তাবিত চুক্তিতে কী আছে?
প্রস্তাবের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি, তবে এটি স্পষ্ট যে, সংশোধিত পরিকল্পনাটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য দূর করার একটি প্রচেষ্টা।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, সর্বশেষ প্রস্তাবের টাইমলাইন অনুযায়ী, মোট ৬০ দিনের মধ্যে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি এবং ১৮ জন মৃত জিম্মির মরদেহ হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। ইসরায়েল সরকারের মতে, গাজায় এখনো বন্দী ৫০ জন জিম্মির মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত রয়েছে।
পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির মতোই, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে হামাস আটজন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে, ইসরায়েল অনির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দী ও আটককৃতদের মুক্তি দেবে এবং উত্তর গাজার দখলকৃত স্থানগুলো থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসরায়েল ও হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা শুরু করবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের অনুরোধে জিম্মিদের কোনো আনুষ্ঠানিকতা বা আড়ম্বর ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হবে। যেখানে শেষ যুদ্ধবিরতির সময় হামাস জিম্মি হস্তান্তরের সময় প্রচারমূলক ইভেন্ট করেছিল বলে অভিযোগ করে ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতির শুরুতে গাজায় অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশ শুরু হবে, যার মধ্যে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ত্রাণ সংস্থাগুলোর সহায়তাও থাকবে। গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির মতোই ত্রাণ পাবেন গাজাবাসী। এতে মার্কিন-সমর্থিত ত্রাণ সংস্থা জিএইচএফ এবং গাজায় তাদের ভূমিকা কী হবে সেটি অস্পষ্ট।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারীরা হালনাগাদ করা প্রস্তাবের অংশ হিসেবে গাজায় যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি নিষ্পত্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে আরও দৃঢ় আশ্বাস দিয়েছেন। এটি নীতিগতভাবে হামাসের মূল উদ্বেগগুলোর একটির সমাধান দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই কর্মকর্তা নথিতে নির্দিষ্ট ভাষার বিস্তারিত দেননি, তবে বলেছেন যে, শব্দগুলো পূর্ববর্তী আশ্বাসের চেয়ে শক্তিশালী।
উভয় পক্ষ প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে আরও আলোচনা হতে হবে। এই আলোচনায়, মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তির চূড়ান্ত বিবরণগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ করবেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গতকাল শনিবার ঘোষণা করেছে, দোহায় আলোচনায় অংশ নিতে ইসরায়েল একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। তবে বলা হয়েছে, হামাস সর্বশেষ কাতারের প্রস্তাবে যে পরিবর্তনগুলো চাচ্ছে তা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’। ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল আজ রোববার কাতারে রওনা হওয়ার কথা। তার মানে শিগগিরই আলোচনা শুরু হবে।
হামাস গত শুক্রবার রাতে বলেছে, তারা প্রস্তাবের ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ জমা দিয়েছে। তবে আলোচনায় জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস কিছু ‘সংশোধনী’ দিয়েছে।
তবে হামাস প্রকাশ্যে বলেনি যে এই সপ্তাহের শুরুতে কাতারের প্রস্তাবে তারা কী পরিবর্তন চেয়েছিল। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধের একটি সমাপ্তি, পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের দৃঢ় আশ্বাস চেয়ে আসছে। হামাস বিতর্কিত মার্কিন এবং ইসরায়েলি-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) মাধ্যমে নয়, বরং জাতিসংঘের প্রচলিত পদ্ধতির মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের পক্ষে।
আগের যুদ্ধবিরতি
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ২১ মাসের যুদ্ধে, আগের যুদ্ধবিরতি মোট নয় সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এই যুদ্ধে গাজায় ৫৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৭ হাজারেরও বেশি শিশু।
প্রথম যুদ্ধবিরতি ২০২৩ সালের নভেম্বরে কার্যকর হয়, তবে তা মাত্র এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়। সে সময়, ১০৫ জন জিম্মিকে গাজা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, বিনিময়ে ইসরায়েল বেশ কিছু সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়।
দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি ২০২৫ সালের জানুয়ারির আগে হয়নি। এই যুদ্ধবিরতি আট সপ্তাহেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, ইসরায়েল প্রতিটি ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে প্রায় ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয়।
দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে, ইসরায়েলের একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল ১৮ মার্চ চুক্তি ভেঙে আক্রমণ শুরু করে। নেতানিয়াহু প্রশাসন আলোচনা ভেস্তে দেয়। ইসরায়েল তখন বলেছিল, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই তারা আবার আক্রমণ করেছে।

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
৪ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।
সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান সংঘাতের কারণে এর আগে মধ্যস্থতাকারীরা কোনো সমাধান আনতে পারেননি। তবে এবার উভয় পক্ষই সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হওয়ায়, কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি হাতের নাগালে বলে মনে হচ্ছে।
০৬ জুলাই ২০২৫
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।
৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।
পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।
আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।
এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।
তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।
জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।
নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।
রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান সংঘাতের কারণে এর আগে মধ্যস্থতাকারীরা কোনো সমাধান আনতে পারেননি। তবে এবার উভয় পক্ষই সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হওয়ায়, কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি হাতের নাগালে বলে মনে হচ্ছে।
০৬ জুলাই ২০২৫
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’
ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান সংঘাতের কারণে এর আগে মধ্যস্থতাকারীরা কোনো সমাধান আনতে পারেননি। তবে এবার উভয় পক্ষই সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হওয়ায়, কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি হাতের নাগালে বলে মনে হচ্ছে।
০৬ জুলাই ২০২৫
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
৪ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) এক সেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এই রোমহর্ষক ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
আইডিএফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত সেনাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার ওই ফিলিস্তিনিকে ঘটনার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি বাড়িতে থাকলেও তাঁর দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা মাজিদি আবু মোখো। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভিডিওতে দেখা না গেলেও ওই সেনা তাঁর ছেলের চোখে ‘পিপার স্প্রে’ বা মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়েছিলেন।
মাজিদি আবু মোখো ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, আক্রমণকারী ব্যক্তি ওই এলাকার একজন কট্টরপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। তিনি গ্রামের কাছে একটি অবৈধ চৌকি স্থাপন করেছেন। অন্য বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ে তিনি এখানে গবাদিপশু চরাতে আসেন, রাস্তা অবরোধ করেন এবং গ্রামবাসীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন রিজার্ভ সেনা ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাঁকে সামরিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁর কাছে থাকা সরকারি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সেনাকে গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পাঁচ দিনের জন্য গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে ওই ব্যক্তি গ্রামে গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালটি গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের (বসতি স্থাপনকারী) হামলার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ‘সহিংস বছর’।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।

ইসরায়েল অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) এক সেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এই রোমহর্ষক ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
আইডিএফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত সেনাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার ওই ফিলিস্তিনিকে ঘটনার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি বাড়িতে থাকলেও তাঁর দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা মাজিদি আবু মোখো। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভিডিওতে দেখা না গেলেও ওই সেনা তাঁর ছেলের চোখে ‘পিপার স্প্রে’ বা মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়েছিলেন।
মাজিদি আবু মোখো ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, আক্রমণকারী ব্যক্তি ওই এলাকার একজন কট্টরপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। তিনি গ্রামের কাছে একটি অবৈধ চৌকি স্থাপন করেছেন। অন্য বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ে তিনি এখানে গবাদিপশু চরাতে আসেন, রাস্তা অবরোধ করেন এবং গ্রামবাসীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন।
Shocking footage shows an armed Israeli settler driving a four-wheel-drive vehicle and deliberately running over a Palestinian worshipper for no apparent reason, then continuing to try to push him off the road. The incident occurred near Ramallah. pic.twitter.com/4RQuY3jdLv
— ✌️🇵🇸✌️ Mohammed Najjar (@hamada_pal2020) December 25, 2025
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন রিজার্ভ সেনা ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাঁকে সামরিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁর কাছে থাকা সরকারি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সেনাকে গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পাঁচ দিনের জন্য গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে ওই ব্যক্তি গ্রামে গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালটি গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের (বসতি স্থাপনকারী) হামলার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ‘সহিংস বছর’।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান সংঘাতের কারণে এর আগে মধ্যস্থতাকারীরা কোনো সমাধান আনতে পারেননি। তবে এবার উভয় পক্ষই সংশোধিত প্রস্তাবে সম্মত হওয়ায়, কয়েক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি হাতের নাগালে বলে মনে হচ্ছে।
০৬ জুলাই ২০২৫
সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।
৪ ঘণ্টা আগে
এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
৭ ঘণ্টা আগে