ফিলিস্তিনিদের দেশছাড়া করার প্রস্তাব
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের দেশছাড়া করার পরিকল্পনা ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরব দেশগুলোর দূরত্ব ক্রমেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদের মিসর ও জর্ডানে পাঠানোর মার্কিন প্রশাসনের ঘোষিত নীতির বিরোধিতা করছে এ অঞ্চলের প্রায় সব কটি দেশ। তবে এর মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরবের পর্যাপ্ত জমি আছে। তারা চাইলে তাদের ফাঁকা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলের এমন অবস্থানে মর্মাহত আরব দেশগুলো। এ ব্যাপারে এখনো সবচেয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া এসেছে সৌদি শুরা কাউন্সিলের সদস্য ইউসুফ বিন ত্রাদ আল-সাদৌনের কাছ থেকে। তাঁর মতে, ট্রাম্পের উচিত ইসরায়েলের বাসিন্দাদের যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা এবং পরে গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের পর সেখানে সরিয়ে নেওয়া।
সৌদি সংবাদপত্র ওকাজে প্রকাশিত লেখায় আল-সাদৌন বলেন, ‘ইহুদিবাদীরা ও তাদের মিত্ররা’ মিডিয়ার চাপ এবং রাজনৈতিক কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে সৌদি নেতৃত্বকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। তাদের এটা অনুধাবন করা দরকার যে এ ধরনের ফাঁদে পা দেবে না রিয়াদ।
ইরাক ও কুয়েতের তরফেও সৌদি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নেতানিয়াহুর প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। এ ধরনের প্রস্তাবকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এটিকে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মিসর।
এএফপি জানিয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি। সফরে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে আলোচনার জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি মিসরে আরব দেশগুলোর জরুরি সম্মেলনকে সামনে রেখে এ সফরে গেলেন তিনি।
দৃশ্যত ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সমর্থন গড়ে তুলতে এই ‘জরুরি আরব সম্মেলনের’ আয়োজন করছে কায়রো। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে আসন্ন জরুরি আরব সম্মেলনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সমন্বয় করছে আরব লিগের বর্তমান সভাপতি বাহরাইন। এই অঞ্চলের প্রায় সব কটি দেশের তরফেই ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিন-সংকট নিরসনে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে নিজেদের পূর্বপুরুষের বাড়িঘর ছেড়ে ভিনদেশে শরণার্থীর জীবন বেছে নিতে হবে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের গ্রহণে মিসর ও জর্ডানের প্রতি প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর এমন অবস্থান বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এমন বাগাড়ম্বর আরবদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এমন বাস্তবতায় সৌদি আরবের জন্য ট্রাম্পের পরামর্শ অনুযায়ী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বিবেচনা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের গবেষক জেমস ডরসির মতে, ট্রাম্পের এমন নীতি প্রকৃতপক্ষে সৌদি আরবের জন্য ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের দেশছাড়া করার পরিকল্পনা ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরব দেশগুলোর দূরত্ব ক্রমেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদের মিসর ও জর্ডানে পাঠানোর মার্কিন প্রশাসনের ঘোষিত নীতির বিরোধিতা করছে এ অঞ্চলের প্রায় সব কটি দেশ। তবে এর মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরবের পর্যাপ্ত জমি আছে। তারা চাইলে তাদের ফাঁকা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলের এমন অবস্থানে মর্মাহত আরব দেশগুলো। এ ব্যাপারে এখনো সবচেয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া এসেছে সৌদি শুরা কাউন্সিলের সদস্য ইউসুফ বিন ত্রাদ আল-সাদৌনের কাছ থেকে। তাঁর মতে, ট্রাম্পের উচিত ইসরায়েলের বাসিন্দাদের যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা এবং পরে গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের পর সেখানে সরিয়ে নেওয়া।
সৌদি সংবাদপত্র ওকাজে প্রকাশিত লেখায় আল-সাদৌন বলেন, ‘ইহুদিবাদীরা ও তাদের মিত্ররা’ মিডিয়ার চাপ এবং রাজনৈতিক কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে সৌদি নেতৃত্বকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। তাদের এটা অনুধাবন করা দরকার যে এ ধরনের ফাঁদে পা দেবে না রিয়াদ।
ইরাক ও কুয়েতের তরফেও সৌদি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নেতানিয়াহুর প্রস্তাবের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। এ ধরনের প্রস্তাবকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এটিকে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মিসর।
এএফপি জানিয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি। সফরে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে আলোচনার জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি মিসরে আরব দেশগুলোর জরুরি সম্মেলনকে সামনে রেখে এ সফরে গেলেন তিনি।
দৃশ্যত ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক সমর্থন গড়ে তুলতে এই ‘জরুরি আরব সম্মেলনের’ আয়োজন করছে কায়রো। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে আসন্ন জরুরি আরব সম্মেলনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সমন্বয় করছে আরব লিগের বর্তমান সভাপতি বাহরাইন। এই অঞ্চলের প্রায় সব কটি দেশের তরফেই ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিন-সংকট নিরসনে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে নিজেদের পূর্বপুরুষের বাড়িঘর ছেড়ে ভিনদেশে শরণার্থীর জীবন বেছে নিতে হবে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের গ্রহণে মিসর ও জর্ডানের প্রতি প্রকাশ্যে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর এমন অবস্থান বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এমন বাগাড়ম্বর আরবদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এমন বাস্তবতায় সৌদি আরবের জন্য ট্রাম্পের পরামর্শ অনুযায়ী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বিবেচনা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের গবেষক জেমস ডরসির মতে, ট্রাম্পের এমন নীতি প্রকৃতপক্ষে সৌদি আরবের জন্য ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক হুমকি চীন। বিশেষ করে তাইওয়ানের ওপর বেইজিংয়ের ‘জবরদস্তিমূলক চাপ’ এবং ‘মার্কিন লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে বিস্তৃত সাইবার অভিযানের’ মতো বিষয়গুলো উদ্বেগজনক। এ ধরনের কর্মকাণ্ড আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীনের ক্রমবর্ধমান হু
২ ঘণ্টা আগেইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের সময়সূচি ও বিস্তারিত তথ্য ব্যক্তিগত বার্তায় পাঠিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। আজ বুধবার মার্কিন ম্যাগাজিন দ্য আটলান্টিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ মার্চ হুতিদের বিরুদ্ধে চালানো মার্কিন বিমান হামলা শুরুর সময়...
৩ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থীশিবিরের অন্তরালে রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধ আন্দোলনের গুঞ্জন ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। হাজার হাজার তরুণ এখন অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে, ফিরে যাচ্ছে মিয়ানমারে। শ্বেতা শর্মা দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন তাঁদের সংগ্রামের কাহিনি।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১১ বছরের এক শিশুর প্রতি যৌন নিপীড়নকে ধর্ষণের চেষ্টা হিসেবে অস্বীকার করা এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন। বিচারকদের মতে, রায়ে সংবেদনশীলতার অভাব ছিল এবং এটি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
৪ ঘণ্টা আগে