আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
এক দশক আগে সম্মতি ছাড়াই অভিবাসী ইথিওপীয় নারীদের গর্ভনিরোধক ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে। অভিবাসন আটকে যাবে—এমন ভয় দেখিয়ে ইনজেকশনটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিয়েই তাঁদের সেটি গ্রহণে বাধ্য করা হয়। ব্যাপক বিতর্কের মুখে অভিযোগটি তদন্ত শুরু করে ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ২০১৩ সালে সব অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাধ্য হয়ে ইসরায়েলের তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ইয়োকোভ লিৎজম্যানের নেতৃত্বে তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। যদিও আগে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ২০১২ সালে। বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, এক দশকে ইসরায়েলে বসবাসরত ইথিওপীয় নারীদের মধ্যে জন্মহার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার ইথিওপীয় নারীকে তিন মাস অন্ত ‘ডিপো-প্রোভেরা’ নামের একটি ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলি ক্লিনিকগুলোতে। যেটি মূলত একটি গর্ভনিরোধক ইনজেকশন। দীর্ঘদিন এটি গ্রহণের ফলে নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। ঝুঁকি তৈরি হয় বন্ধ্যত্ব এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের।
২০১২ সালে এ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচারিত হয়। যাতে দেখানো হয়, ইথিওপিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পগুলোতেই নারীদের এই গর্ভনিরোধক ইনজেকশন দেওয়া শুরু হয়। তবে, এটি আসলে কী ইনজেকশন, এর ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হয়নি কাউকেই। পরবর্তীতে তাঁরা ইসরায়েলে পৌঁছানোর পরও, চলতে থাকে এই ‘‘চিকিৎসা’। তবে এই নীতির সূচনা কে বা কারা করেছিল সেটি প্রামাণ্যচিত্রে স্পষ্ট করা হয়নি। কারণ ইসরায়েল এবং ইথিওপিয়া—কেউই এর দায় স্বীকার করতে রাজি হয়নি।
প্রামাণ্যচিত্রটির জন্য ইসরায়েলে বসবাসরত ৩৫ জন নারীর সাক্ষাৎকার নেন সাবা রিউবেন নামের এক নারী। সাবা নিজেও ইথিওপীয় অভিবাসী। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে ইসরায়েলে বসবাস করছেন। তিনি জানান, তিনি যখন সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তখনো ২৫ জন নারী গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিচ্ছিলেন।
ওই ২৫ জনের একজন রিউবেনকে বলেন, তিনি এত দিন জানতেন তাঁকে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। আরেক নারী রিউবেনকে জানান, যখন ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছান তখন তিনি গর্ভবর্তী ছিলেন। কিন্তু ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর সব গর্ভবর্তী নারীকে জড়ো করে জানানো হয় যে তাঁদের ডিপো প্রোভেরা দেওয়া হবে, কারণ ইসরায়েলে গিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া তাঁদের জন্য ‘খুবই কঠিন’ হবে।
তাঁরা ইনজেকশনটি নিতে রাজি হয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, ‘না, আমরা নিতে চাইনি। আমরা বলেছিলাম, আমরা এটা চাই না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজি হতে হয়। কারণ আমাদের বলা হয়েছিল, যদি ইনজেকশন না নিই, তাহলে ইসরায়েলে অভিবাসন আটকে যাবে এবং ক্যাম্পে আর কোনো স্বাস্থ্যসেবা পাব না।’ রিউবেন জানান, শুধু ওই নারী নন, অসংখ্য নারী এমন ঘটনার শিকার।
ইথিওপীয়দের অভিযোগ—ইসরায়েলের ইথিওপীয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই এমন ঘৃণ্য পদক্ষেপ নেয় ইসরায়েল। তবে, ওই সময় এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে ইসরায়েল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডিপো প্রোভেরা ইনজেকশনের ব্যবহার সব সময় নিরুৎসাহিত করে। যদি ইসরায়েলের কোথাও এ ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা আমাদের অবস্থানের পরিপন্থী।’
তবে, রিউবেন বলছেন, তাঁর কাছে ইথিওপিয়ার এক ক্লিনিককে লেখা ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি আছে। ওই চিঠিতে বিপুলসংখ্যক নারীকে ডিপো-প্রোভেরা প্রয়োগের জন্য ওই ক্লিনিকের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিয়েছে ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিটি ২০০ সালে লেখা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
রিউবেন ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইথিওপীয় নারীরা নাকি স্বেচ্ছায় এই ইনজেকশন নিচ্ছে। তবে, এটা সত্যি নয়। কারণ, ইথিওপিয়ায় বহু সন্তান থাকাকে সম্মানের মনে করা হয়। অনেক সন্তান থাকার অর্থ তিনি খুব ধনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ইসরায়েলের একটি পরিকল্পিত নীতি। বেছে বেছে নতুন আসা ইথিওপীয় অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কারণ তারা ভালো করে হিব্রু জানে না, কর্তৃপক্ষকে অন্ধভাবে মান্য করে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমন ঘৃণ্য কাজ করছে তারা।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন শুধু ইথিওপীয় নারীদেরই ইসরায়েলে ডিপো-প্রোভেরা দেওয়া হচ্ছে?
জেরুজালেমের হাদাসা মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মুশিরা আবুদিয়া ওই সময় গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি যেসব ইথিওপীয় নারীর সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই ডিপো-প্রোভেরা ইনজেকশন নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি এমন এক নীতি, যার কথা কেউ স্বীকার করে না। ইসরায়েলে কেউ এই চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছে না, কিন্তু কেউ না কেউ তো অবশ্যই এটি শুরু করেছে। আর যেহেতু এই নারীরা দেশ ছাড়ার প্রস্তুতিতে ছিল, ইথিওপিয়ার স্বার্থে তাদের এই চিকিৎসা দেওয়া যুক্তিসংগত নয়।’
গত এক দশকে ইসরায়েলে গেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি ইথিওপীয় নারী। তবে, ইসরায়েলে নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এর আগে ১৯৯৬ ইথিওপীয়দের দান করা সব রক্ত ধ্বংস করে ফেলেছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অজুহাত দিয়েছিল—এসব রক্তে মরণব্যাধি এইডসের ভাইরাস ‘এইচআইভি’ থাকতে পারে। এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল হাজার হাজার ইথিওপীয় অভিবাসী।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিনের নির্দেশে, ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে ইসরায়েলের মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থা বেশ কয়েকটি গোপন অভিযানের মাধ্যমে সুদানের শরণার্থীশিবির থেকে প্রথম ইথিওপীয় ইহুদিদের ইসরায়েলে নিয়ে আসে।
এরপর আরও কয়েকটি অভিযান চলে এবং ১৯৯১ সালে ইথিওপিয়া থেকে আকাশপথে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে।
শুরু থেকেই ইসরায়েলে ইথিওপীয় ইহুদিদের একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। ইথিওপীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার অনেক বেশি এবং তারা বৈষম্যের শিকারও হন। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
এই বৈষম্যের পেছনে শুধু গায়ের রংই নয়, ধর্মীয় গোঁড়ামিও ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ইহুদি ধর্মীয় নেতারা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের বর্ণবাদ জারি রেখেছেন। হাসিদিক, আশকেনাজি এবং সেফারদিক—এই শব্দগুলো ইহুদি পরিচয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
হাসিদিক বলতে বোঝায় পূর্ব ইউরোপ থেকে উদ্ভূত একটি সুনির্দিষ্ট, কট্টর-অর্থোডক্স ইহুদি আন্দোলনের অনুসারী। অন্যদিকে, আশকেনাজি মূলত মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের এবং সেফারদিরা স্পেন, পর্তুগাল, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত।
ইসরায়েলের আশকেনাজি ইহুদি রাব্বিরা নিজেদের অভিজাত ও খাঁটি রক্তের ইহুদি বলে দাবি করেন। তাঁরা বাকিদের তাঁদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিচু বর্ণের ইহুদি বলে মনে করেন। এমনকি বিশেষ করে আরব ও আফ্রিকার ইহুদিদের তাঁরা প্রকৃত ইহুদি বলে মনে করেন না।

ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
এক দশক আগে সম্মতি ছাড়াই অভিবাসী ইথিওপীয় নারীদের গর্ভনিরোধক ইনজেকশন প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে। অভিবাসন আটকে যাবে—এমন ভয় দেখিয়ে ইনজেকশনটি সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিয়েই তাঁদের সেটি গ্রহণে বাধ্য করা হয়। ব্যাপক বিতর্কের মুখে অভিযোগটি তদন্ত শুরু করে ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে ২০১৩ সালে সব অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাধ্য হয়ে ইসরায়েলের তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ইয়োকোভ লিৎজম্যানের নেতৃত্বে তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়। যদিও আগে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ২০১২ সালে। বিভিন্ন জরিপে দেখা যায়, এক দশকে ইসরায়েলে বসবাসরত ইথিওপীয় নারীদের মধ্যে জন্মহার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার ইথিওপীয় নারীকে তিন মাস অন্ত ‘ডিপো-প্রোভেরা’ নামের একটি ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলি ক্লিনিকগুলোতে। যেটি মূলত একটি গর্ভনিরোধক ইনজেকশন। দীর্ঘদিন এটি গ্রহণের ফলে নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। ঝুঁকি তৈরি হয় বন্ধ্যত্ব এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের।
২০১২ সালে এ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচারিত হয়। যাতে দেখানো হয়, ইথিওপিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্পগুলোতেই নারীদের এই গর্ভনিরোধক ইনজেকশন দেওয়া শুরু হয়। তবে, এটি আসলে কী ইনজেকশন, এর ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক কিংবা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানো হয়নি কাউকেই। পরবর্তীতে তাঁরা ইসরায়েলে পৌঁছানোর পরও, চলতে থাকে এই ‘‘চিকিৎসা’। তবে এই নীতির সূচনা কে বা কারা করেছিল সেটি প্রামাণ্যচিত্রে স্পষ্ট করা হয়নি। কারণ ইসরায়েল এবং ইথিওপিয়া—কেউই এর দায় স্বীকার করতে রাজি হয়নি।
প্রামাণ্যচিত্রটির জন্য ইসরায়েলে বসবাসরত ৩৫ জন নারীর সাক্ষাৎকার নেন সাবা রিউবেন নামের এক নারী। সাবা নিজেও ইথিওপীয় অভিবাসী। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে ইসরায়েলে বসবাস করছেন। তিনি জানান, তিনি যখন সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তখনো ২৫ জন নারী গর্ভনিরোধক ইনজেকশন নিচ্ছিলেন।
ওই ২৫ জনের একজন রিউবেনকে বলেন, তিনি এত দিন জানতেন তাঁকে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। আরেক নারী রিউবেনকে জানান, যখন ট্রানজিট ক্যাম্পে পৌঁছান তখন তিনি গর্ভবর্তী ছিলেন। কিন্তু ক্যাম্পে পৌঁছানোর পর সব গর্ভবর্তী নারীকে জড়ো করে জানানো হয় যে তাঁদের ডিপো প্রোভেরা দেওয়া হবে, কারণ ইসরায়েলে গিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া তাঁদের জন্য ‘খুবই কঠিন’ হবে।
তাঁরা ইনজেকশনটি নিতে রাজি হয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, ‘না, আমরা নিতে চাইনি। আমরা বলেছিলাম, আমরা এটা চাই না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজি হতে হয়। কারণ আমাদের বলা হয়েছিল, যদি ইনজেকশন না নিই, তাহলে ইসরায়েলে অভিবাসন আটকে যাবে এবং ক্যাম্পে আর কোনো স্বাস্থ্যসেবা পাব না।’ রিউবেন জানান, শুধু ওই নারী নন, অসংখ্য নারী এমন ঘটনার শিকার।
ইথিওপীয়দের অভিযোগ—ইসরায়েলের ইথিওপীয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই এমন ঘৃণ্য পদক্ষেপ নেয় ইসরায়েল। তবে, ওই সময় এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে ইসরায়েল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডিপো প্রোভেরা ইনজেকশনের ব্যবহার সব সময় নিরুৎসাহিত করে। যদি ইসরায়েলের কোথাও এ ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা আমাদের অবস্থানের পরিপন্থী।’
তবে, রিউবেন বলছেন, তাঁর কাছে ইথিওপিয়ার এক ক্লিনিককে লেখা ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি আছে। ওই চিঠিতে বিপুলসংখ্যক নারীকে ডিপো-প্রোভেরা প্রয়োগের জন্য ওই ক্লিনিকের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দিয়েছে ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিটি ২০০ সালে লেখা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
রিউবেন ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইথিওপীয় নারীরা নাকি স্বেচ্ছায় এই ইনজেকশন নিচ্ছে। তবে, এটা সত্যি নয়। কারণ, ইথিওপিয়ায় বহু সন্তান থাকাকে সম্মানের মনে করা হয়। অনেক সন্তান থাকার অর্থ তিনি খুব ধনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি ইসরায়েলের একটি পরিকল্পিত নীতি। বেছে বেছে নতুন আসা ইথিওপীয় অভিবাসীদের লক্ষ্যবস্তু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কারণ তারা ভালো করে হিব্রু জানে না, কর্তৃপক্ষকে অন্ধভাবে মান্য করে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমন ঘৃণ্য কাজ করছে তারা।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন শুধু ইথিওপীয় নারীদেরই ইসরায়েলে ডিপো-প্রোভেরা দেওয়া হচ্ছে?
জেরুজালেমের হাদাসা মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মুশিরা আবুদিয়া ওই সময় গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি যেসব ইথিওপীয় নারীর সঙ্গে দেখা করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই ডিপো-প্রোভেরা ইনজেকশন নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি এমন এক নীতি, যার কথা কেউ স্বীকার করে না। ইসরায়েলে কেউ এই চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছে না, কিন্তু কেউ না কেউ তো অবশ্যই এটি শুরু করেছে। আর যেহেতু এই নারীরা দেশ ছাড়ার প্রস্তুতিতে ছিল, ইথিওপিয়ার স্বার্থে তাদের এই চিকিৎসা দেওয়া যুক্তিসংগত নয়।’
গত এক দশকে ইসরায়েলে গেছেন ৫০ হাজারেরও বেশি ইথিওপীয় নারী। তবে, ইসরায়েলে নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এর আগে ১৯৯৬ ইথিওপীয়দের দান করা সব রক্ত ধ্বংস করে ফেলেছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অজুহাত দিয়েছিল—এসব রক্তে মরণব্যাধি এইডসের ভাইরাস ‘এইচআইভি’ থাকতে পারে। এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল হাজার হাজার ইথিওপীয় অভিবাসী।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিনের নির্দেশে, ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে ইসরায়েলের মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থা বেশ কয়েকটি গোপন অভিযানের মাধ্যমে সুদানের শরণার্থীশিবির থেকে প্রথম ইথিওপীয় ইহুদিদের ইসরায়েলে নিয়ে আসে।
এরপর আরও কয়েকটি অভিযান চলে এবং ১৯৯১ সালে ইথিওপিয়া থেকে আকাশপথে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে।
শুরু থেকেই ইসরায়েলে ইথিওপীয় ইহুদিদের একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। ইথিওপীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার অনেক বেশি এবং তারা বৈষম্যের শিকারও হন। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
এই বৈষম্যের পেছনে শুধু গায়ের রংই নয়, ধর্মীয় গোঁড়ামিও ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ইহুদি ধর্মীয় নেতারা নিজেদের মধ্যে এক ধরনের বর্ণবাদ জারি রেখেছেন। হাসিদিক, আশকেনাজি এবং সেফারদিক—এই শব্দগুলো ইহুদি পরিচয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।
হাসিদিক বলতে বোঝায় পূর্ব ইউরোপ থেকে উদ্ভূত একটি সুনির্দিষ্ট, কট্টর-অর্থোডক্স ইহুদি আন্দোলনের অনুসারী। অন্যদিকে, আশকেনাজি মূলত মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের এবং সেফারদিরা স্পেন, পর্তুগাল, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত।
ইসরায়েলের আশকেনাজি ইহুদি রাব্বিরা নিজেদের অভিজাত ও খাঁটি রক্তের ইহুদি বলে দাবি করেন। তাঁরা বাকিদের তাঁদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিচু বর্ণের ইহুদি বলে মনে করেন। এমনকি বিশেষ করে আরব ও আফ্রিকার ইহুদিদের তাঁরা প্রকৃত ইহুদি বলে মনে করেন না।

মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নি
৩ ঘণ্টা আগে
সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবারের মিছিলে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবীণ কর্মী ছাড়াও অংশ নেন মিচোয়াকান রাজ্যের নিহত মেয়র কার্লোস মানসোর সমর্থকেরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে ডে অব দ্য ডেড উৎসবের এক জনসমাগমে তাঁকে গুলিতে হত্যা করা হয়।
মেক্সিকো সিটিতে মুখোশধারী কয়েকজন বিক্ষোভকারী জাতীয় প্রাসাদের চারপাশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেললে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ওই প্রাসাদেই থাকেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
মেক্সিকো সিটির জননিরাপত্তা সচিব পাবলো ভাসকেস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনাটিতে ১০০ পুলিশ আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আরও ২০ জন সাধারণ মানুষও আহত হয়েছে বলে ভাসকেস স্থানীয় গণমাধ্যম মিলেনিওকে জানান। তিনি বলেন, ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও ২০ জনকে প্রশাসনিক অপরাধের কারণে আটক দেখানো হয়েছে।
মেক্সিকোর দৈনিক এল ইউনিভার্সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা জাতীয় প্রাসাদের সীমানায় ঢুকে পড়লে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং পাথর নিক্ষেপ করে। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, পুলিশ কয়েক মিনিট ধরে জোকালো প্রাঙ্গণে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর এলাকা খালি করে দেয় এবং শেষ দলটিকেও ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘জেনারেশন জেড মেক্সিকো’ নামে একটি গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো তাদের ‘ঘোষণাপত্রে’ বলা হয়, তারা দলনিরপেক্ষ এবং সহিংসতা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে অতিষ্ঠ মেক্সিকোর তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্তে ফক্স এবং ধনকুবের রিকার্দো সালিনাস প্লিয়েগো বিক্ষোভের পক্ষে প্রকাশ্যে বার্তা দেন।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের অভিযোগ, ডানপন্থী দলগুলো জেন-জি আন্দোলনে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বট ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
এই বছর এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশেও জেন জেড প্রজন্ম বৈষম্য, গণতান্ত্রিক পশ্চাৎপসারণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। সেপ্টেম্বরে নেপালে জেন-জি আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। মাদাগাস্কারেও একই মাসে বড় বিক্ষোভ হয়। পানির সংকট ও বিদ্যুতের স্থায়ী ঘাটতিতে ক্ষোভ থেকে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন সরকারের বৃহত্তর ব্যর্থতা ও দুর্নীতি উন্মোচন করে দেয়। সপ্তাহজুড়ে অস্থিরতার পর সরকার ভেঙে যায়, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়ে পালান এবং নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে।

মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবারের মিছিলে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবীণ কর্মী ছাড়াও অংশ নেন মিচোয়াকান রাজ্যের নিহত মেয়র কার্লোস মানসোর সমর্থকেরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে ডে অব দ্য ডেড উৎসবের এক জনসমাগমে তাঁকে গুলিতে হত্যা করা হয়।
মেক্সিকো সিটিতে মুখোশধারী কয়েকজন বিক্ষোভকারী জাতীয় প্রাসাদের চারপাশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেললে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ওই প্রাসাদেই থাকেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
মেক্সিকো সিটির জননিরাপত্তা সচিব পাবলো ভাসকেস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনাটিতে ১০০ পুলিশ আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আরও ২০ জন সাধারণ মানুষও আহত হয়েছে বলে ভাসকেস স্থানীয় গণমাধ্যম মিলেনিওকে জানান। তিনি বলেন, ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও ২০ জনকে প্রশাসনিক অপরাধের কারণে আটক দেখানো হয়েছে।
মেক্সিকোর দৈনিক এল ইউনিভার্সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা জাতীয় প্রাসাদের সীমানায় ঢুকে পড়লে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং পাথর নিক্ষেপ করে। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, পুলিশ কয়েক মিনিট ধরে জোকালো প্রাঙ্গণে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর এলাকা খালি করে দেয় এবং শেষ দলটিকেও ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘জেনারেশন জেড মেক্সিকো’ নামে একটি গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো তাদের ‘ঘোষণাপত্রে’ বলা হয়, তারা দলনিরপেক্ষ এবং সহিংসতা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে অতিষ্ঠ মেক্সিকোর তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্তে ফক্স এবং ধনকুবের রিকার্দো সালিনাস প্লিয়েগো বিক্ষোভের পক্ষে প্রকাশ্যে বার্তা দেন।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের অভিযোগ, ডানপন্থী দলগুলো জেন-জি আন্দোলনে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বট ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
এই বছর এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশেও জেন জেড প্রজন্ম বৈষম্য, গণতান্ত্রিক পশ্চাৎপসারণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। সেপ্টেম্বরে নেপালে জেন-জি আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। মাদাগাস্কারেও একই মাসে বড় বিক্ষোভ হয়। পানির সংকট ও বিদ্যুতের স্থায়ী ঘাটতিতে ক্ষোভ থেকে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন সরকারের বৃহত্তর ব্যর্থতা ও দুর্নীতি উন্মোচন করে দেয়। সপ্তাহজুড়ে অস্থিরতার পর সরকার ভেঙে যায়, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়ে পালান এবং নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে।

ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
২৭ জুন ২০২৫
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নি
৩ ঘণ্টা আগে
সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
বিস্ফোরণের পরপরই লতিফাবাদ সহকারী কমিশনার সাউদ লুন্দ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন। চার-পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ পরে উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও চারটি মরদেহ বের করেন। এতে মৃতের সংখ্যা প্রথমে ছয়ে পৌঁছায়। সর্বশেষ আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করায় তা বেড়ে সাত হয়েছে।
হায়দরাবাদের মেয়র কাশিফ আলী শোরো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অবৈধ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এর আগে সাউদ লুন্দ জানান, ওই বাড়িতে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে আতশবাজি তৈরি করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘যে কক্ষে আতশবাজি বানানো হচ্ছিল, বিস্ফোরণে সেই ঘরটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পুরো ঘরটি এবং সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, কয়েকজন শিশুসহ বেশ কয়েকজন ভেতরে কাজ করছিল। আমাদের দল তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে।’
বিস্ফোরণের পরই আগুন ধরে যায় এবং ভবনের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পরপরই সেই ঘরসহ পাশের অন্যান্য অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দল এখনো আগুন নেভানোর কাজ করছে।
এদিকে, সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মুখপাত্র। মুখ্যমন্ত্রী কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কেও অডিট করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ বলেছেন, বিস্ফোরণের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবহেলা বরদাশত করা হবে না।
এ ধরনের আরেকটি বিস্ফোরণ এর আগে চলতি বছরের আগস্টে করাচির সাদ্দারে একটি আতশবাজির গুদামে হয়েছিল। ওই ঘটনায় ছয়জন নিহত হন, আরও কয়েকজন আহত হন। দোতলা ভবনটিতে আতশবাজির গুদামের পাশাপাশি চিকিৎসাসামগ্রীর দোকানও ছিল।
এফআইআরে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা বিপুল পরিমাণ আতশবাজি এলোমেলোভাবে ও কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই মজুত করেছিলেন। তাদের অবহেলা ও বেপরোয়া আচরণের কারণেই মূল্যবান জীবনহানি, আহত হওয়ার ঘটনা এবং বড় ধরনের সম্পদহানি ঘটে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের একজন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। আরেকজন, যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, বিস্ফোরণের পর গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
বিস্ফোরণের পরপরই লতিফাবাদ সহকারী কমিশনার সাউদ লুন্দ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন। চার-পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ পরে উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও চারটি মরদেহ বের করেন। এতে মৃতের সংখ্যা প্রথমে ছয়ে পৌঁছায়। সর্বশেষ আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করায় তা বেড়ে সাত হয়েছে।
হায়দরাবাদের মেয়র কাশিফ আলী শোরো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অবৈধ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এর আগে সাউদ লুন্দ জানান, ওই বাড়িতে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে আতশবাজি তৈরি করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘যে কক্ষে আতশবাজি বানানো হচ্ছিল, বিস্ফোরণে সেই ঘরটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পুরো ঘরটি এবং সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, কয়েকজন শিশুসহ বেশ কয়েকজন ভেতরে কাজ করছিল। আমাদের দল তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে।’
বিস্ফোরণের পরই আগুন ধরে যায় এবং ভবনের একটি অংশ ভেঙে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পরপরই সেই ঘরসহ পাশের অন্যান্য অংশেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফায়ার সার্ভিসের দল এখনো আগুন নেভানোর কাজ করছে।
এদিকে, সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মুখপাত্র। মুখ্যমন্ত্রী কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কেও অডিট করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ বলেছেন, বিস্ফোরণের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবহেলা বরদাশত করা হবে না।
এ ধরনের আরেকটি বিস্ফোরণ এর আগে চলতি বছরের আগস্টে করাচির সাদ্দারে একটি আতশবাজির গুদামে হয়েছিল। ওই ঘটনায় ছয়জন নিহত হন, আরও কয়েকজন আহত হন। দোতলা ভবনটিতে আতশবাজির গুদামের পাশাপাশি চিকিৎসাসামগ্রীর দোকানও ছিল।
এফআইআরে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা বিপুল পরিমাণ আতশবাজি এলোমেলোভাবে ও কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই মজুত করেছিলেন। তাদের অবহেলা ও বেপরোয়া আচরণের কারণেই মূল্যবান জীবনহানি, আহত হওয়ার ঘটনা এবং বড় ধরনের সম্পদহানি ঘটে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের একজন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। আরেকজন, যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, বিস্ফোরণের পর গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান।

ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
২৭ জুন ২০২৫
মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
২ ঘণ্টা আগে
ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নি
৩ ঘণ্টা আগে
সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নিতীশ কুমারের জোট জনগণের ভোট কিনতে ৪০ হাজার কোটি রুপি ব্যয় করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দলের প্রথম নির্বাচনে একটিও আসন না পেয়ে পরদিন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জন সুরাজ পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি উদয় সিং। তিনি দাবি করেন, ওই অর্থ ‘ভোট কেনার উদ্দেশ্যে নানা অনুদান ও মুফতে ঢেলে দেওয়া হয়েছে।’
উদয় সিং বলেন, ‘জুন থেকে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগ পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি রুপি উড়িয়ে দিয়েছে নিতীশ সরকার। টাকার জোরে জনগণের ভোট কেনার এই খরচ ছিল নজিরহীন।’ তাঁর অভিযোগ, ‘বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া ১৪ হাজার কোটি রুপি পর্যন্ত ভোট কেনার খাতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা’র উদাহরণ তুলে ধরেন, যার আওতায় দুই ধাপের ভোট শুরুর আগে প্রতিটি নারীর ব্যাংক হিসাবে ১০ হাজার রুপি করে পাঠানো হয়। উদয় সিং-এর ভাষায়,
‘জীবনে এই প্রথম দেখলাম ভোটের এক দিন আগ পর্যন্ত টাকা ঢুকেছে, অথচ তখন আদর্শ আচরণবিধি চলছিল। দিন এনে দিন খাওয়া অসংখ্য নারীর ওপর এর প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক।’
তাঁর দাবি, জনসাধারণের টাকা এমনভাবে না উড়ালে বিজেপি–নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবার বিহারে টিকতেই পারত না। উদয় সিং আরও বলেন, ‘জন সুরাজ পার্টি দুই হাজার রুপি বার্ধক্য ভাতা ঘোষণা করার পরই সরকার তার ভাতাটা ৭০০ থেকে বাড়িয়ে ১১০০ করল। এর আগেও তো করেনি।’
তাঁর বক্তব্য, দলের অনেক সম্ভাব্য সমর্থক শেষ পর্যন্ত এনডিএকে ভোট দিয়েছেন আরজেডি ক্ষমতায় এলে ‘জঙ্গলরাজ’ ফিরে আসতে পারে—এই ভয়ে। তিনি বলেন,‘আমি বলছি না যে জঙ্গলরাজ ছিল। কিন্তু ভয়টা ছিল। অনেকেই আমাদের সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভয়ের কারণেই এনডিএকে ভোট দিলেন।’
দলের আরেক নেতা পবন ভার্মাও একই অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, টাকা এসেছে বিশ্বব্যাংকের ২১ হাজার কোটি রুপির একটি প্রকল্প থেকে। ভার্মা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘বিহারের সরকারি এখন ৪ লাখ ৬ হাজার কোটি রুপি। দৈনিক সুদের পরিমাণ ৬৩ কোটি। কোষাগার খালি। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, ভুলও হতে পারে, নারীদের যে ১০ হাজার রুপি দেওয়া হয়েছে, তা ওই ২১ হাজার কোটি থেকে এসেছে, যা অন্য প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ১৪ হাজার কোটি রুপি তুলে ১ কোটি ২৫ লাখ নারীর মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,‘তথ্য ভুল হলে আমি ক্ষমা চাই। কিন্তু যদি সত্যি হয়, প্রশ্ন দাঁড়ায়—এটা কতটা নৈতিক? আইনের দিক দিয়ে হয়তো কিছু করা যাবে না। সরকার চাইলে টাকা ঘুরিয়ে নিয়ে পরে ব্যাখ্যা দিতে পারে। ব্যাখ্যা আসবেই, তবে সেটা নির্বাচনের পরে।’
এনডিএ কিংবা বিহার সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নিতীশ কুমারের জোট জনগণের ভোট কিনতে ৪০ হাজার কোটি রুপি ব্যয় করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দলের প্রথম নির্বাচনে একটিও আসন না পেয়ে পরদিন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জন সুরাজ পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি উদয় সিং। তিনি দাবি করেন, ওই অর্থ ‘ভোট কেনার উদ্দেশ্যে নানা অনুদান ও মুফতে ঢেলে দেওয়া হয়েছে।’
উদয় সিং বলেন, ‘জুন থেকে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগ পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি রুপি উড়িয়ে দিয়েছে নিতীশ সরকার। টাকার জোরে জনগণের ভোট কেনার এই খরচ ছিল নজিরহীন।’ তাঁর অভিযোগ, ‘বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া ১৪ হাজার কোটি রুপি পর্যন্ত ভোট কেনার খাতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা’র উদাহরণ তুলে ধরেন, যার আওতায় দুই ধাপের ভোট শুরুর আগে প্রতিটি নারীর ব্যাংক হিসাবে ১০ হাজার রুপি করে পাঠানো হয়। উদয় সিং-এর ভাষায়,
‘জীবনে এই প্রথম দেখলাম ভোটের এক দিন আগ পর্যন্ত টাকা ঢুকেছে, অথচ তখন আদর্শ আচরণবিধি চলছিল। দিন এনে দিন খাওয়া অসংখ্য নারীর ওপর এর প্রভাব পড়াটাই স্বাভাবিক।’
তাঁর দাবি, জনসাধারণের টাকা এমনভাবে না উড়ালে বিজেপি–নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবার বিহারে টিকতেই পারত না। উদয় সিং আরও বলেন, ‘জন সুরাজ পার্টি দুই হাজার রুপি বার্ধক্য ভাতা ঘোষণা করার পরই সরকার তার ভাতাটা ৭০০ থেকে বাড়িয়ে ১১০০ করল। এর আগেও তো করেনি।’
তাঁর বক্তব্য, দলের অনেক সম্ভাব্য সমর্থক শেষ পর্যন্ত এনডিএকে ভোট দিয়েছেন আরজেডি ক্ষমতায় এলে ‘জঙ্গলরাজ’ ফিরে আসতে পারে—এই ভয়ে। তিনি বলেন,‘আমি বলছি না যে জঙ্গলরাজ ছিল। কিন্তু ভয়টা ছিল। অনেকেই আমাদের সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভয়ের কারণেই এনডিএকে ভোট দিলেন।’
দলের আরেক নেতা পবন ভার্মাও একই অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, টাকা এসেছে বিশ্বব্যাংকের ২১ হাজার কোটি রুপির একটি প্রকল্প থেকে। ভার্মা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘বিহারের সরকারি এখন ৪ লাখ ৬ হাজার কোটি রুপি। দৈনিক সুদের পরিমাণ ৬৩ কোটি। কোষাগার খালি। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, ভুলও হতে পারে, নারীদের যে ১০ হাজার রুপি দেওয়া হয়েছে, তা ওই ২১ হাজার কোটি থেকে এসেছে, যা অন্য প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি জারি হওয়ার এক ঘণ্টা আগে ১৪ হাজার কোটি রুপি তুলে ১ কোটি ২৫ লাখ নারীর মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,‘তথ্য ভুল হলে আমি ক্ষমা চাই। কিন্তু যদি সত্যি হয়, প্রশ্ন দাঁড়ায়—এটা কতটা নৈতিক? আইনের দিক দিয়ে হয়তো কিছু করা যাবে না। সরকার চাইলে টাকা ঘুরিয়ে নিয়ে পরে ব্যাখ্যা দিতে পারে। ব্যাখ্যা আসবেই, তবে সেটা নির্বাচনের পরে।’
এনডিএ কিংবা বিহার সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
২৭ জুন ২০২৫
মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
২ ঘণ্টা আগে
সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনাসদস্যরা অ্যাসল্ট রাইফেল ও রকেটচালিত গ্রেনেড হাতে কাজকিল ও উম দাম হাজ আহমেদ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখলের পর উদযাপন করছে। উত্তর করদোফান রাজ্যের এসব এলাকাতেই সামনের সপ্তাহগুলোতে তীব্র লড়াই চলার আশঙ্কা রয়েছে।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে আরএসএফ–এর দখলে যাওয়া কাজকিল এলাকা এল–ওবেইদের দক্ষিণে অবস্থিত। রাজ্যের এই কৌশলগত রাজধানী দখলের চেষ্টা করছে আরএসএফ।
এই লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের উত্তরাঞ্চলজুড়ে। তৃতীয় বছরে গড়ানো এই নির্মম গৃহযুদ্ধে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর অস্ত্রসহায়তাও আগুনে ঘি ঢালছে।
জাতিসংঘ বলছে, এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকট। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। নিহত–আহতের সংখ্যা কয়েক দশ হাজার ছুঁয়েছে। দেশটির বেশ কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আরএসএফ গত সপ্তাহে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব তারা গ্রহণ করেছে। এর আগে এল–ফাশারে আরএসএফ–এর নৃশংসতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে তীব্র নিন্দা আসে। এল–ফাশার পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী।
তবে বর্তমান যুদ্ধরেখার মধ্যে সেনাবাহিনী এই যুদ্ধবিরতি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দুই পক্ষই দেশের মধ্যাঞ্চলে নতুন করে সেনা ও অস্ত্র জড়ো করছে, যাতে আরও বড় সংঘর্ষে নামা যায়।
আরএসএফ গত মাসের শেষ দিকে এল–ফাশার দখলের পাশাপাশি কর্ডোফান অঞ্চলেও হামলা চালায়। তখনই তারা নর্থ কর্ডোফানের বারাহ শহর দখল করে, যা দারফুর ও মধ্য সুদানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। মাত্র দুই মাস আগেই সেনাবাহিনী ওই শহর পুনর্দখল করেছিল।

সরকার সমর্থিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) উত্তর করদোফান রাজ্যের দুটি এলাকা বিদ্রোহী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে পুনর্দখল করেছে। এর মধ্যেই দারফুরের এল–ফাশারে গণহত্যার প্রমাণ গোপন করতে আরএসএফ সদস্যদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে রাখার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনাসদস্যরা অ্যাসল্ট রাইফেল ও রকেটচালিত গ্রেনেড হাতে কাজকিল ও উম দাম হাজ আহমেদ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখলের পর উদযাপন করছে। উত্তর করদোফান রাজ্যের এসব এলাকাতেই সামনের সপ্তাহগুলোতে তীব্র লড়াই চলার আশঙ্কা রয়েছে।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে আরএসএফ–এর দখলে যাওয়া কাজকিল এলাকা এল–ওবেইদের দক্ষিণে অবস্থিত। রাজ্যের এই কৌশলগত রাজধানী দখলের চেষ্টা করছে আরএসএফ।
এই লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের উত্তরাঞ্চলজুড়ে। তৃতীয় বছরে গড়ানো এই নির্মম গৃহযুদ্ধে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর অস্ত্রসহায়তাও আগুনে ঘি ঢালছে।
জাতিসংঘ বলছে, এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকট। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। নিহত–আহতের সংখ্যা কয়েক দশ হাজার ছুঁয়েছে। দেশটির বেশ কিছু এলাকায় দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আরএসএফ গত সপ্তাহে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব তারা গ্রহণ করেছে। এর আগে এল–ফাশারে আরএসএফ–এর নৃশংসতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে তীব্র নিন্দা আসে। এল–ফাশার পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী।
তবে বর্তমান যুদ্ধরেখার মধ্যে সেনাবাহিনী এই যুদ্ধবিরতি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দুই পক্ষই দেশের মধ্যাঞ্চলে নতুন করে সেনা ও অস্ত্র জড়ো করছে, যাতে আরও বড় সংঘর্ষে নামা যায়।
আরএসএফ গত মাসের শেষ দিকে এল–ফাশার দখলের পাশাপাশি কর্ডোফান অঞ্চলেও হামলা চালায়। তখনই তারা নর্থ কর্ডোফানের বারাহ শহর দখল করে, যা দারফুর ও মধ্য সুদানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। মাত্র দুই মাস আগেই সেনাবাহিনী ওই শহর পুনর্দখল করেছিল।

ইথিওপিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ ইহুদিদের ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকার বরাবরই বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। এমনকি কিছু ইহুদি রাব্বি মনে করেন, ইথিওপিয়ার লোকেরা প্রকৃত ইহুদি নয়। এমনকি ইথিওপিয়ার ইহুদিদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের গোপন ব্যবস্থাও নিয়েছিল ইসরায়েলি সরকার।
২৭ জুন ২০২৫
মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার
২ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের হায়দরাবাদের লতিফাবাদ এলাকার এক আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ছয়জন এখনো চিকিৎসাধীন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার খ্যাত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি অভিযোগ করেছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপির ঋণ ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন ‘ভিন্ন খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার’ জন্য ব্যবহার করেছে। কেবল তাই নয়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগ পর্যন্ত বিজেপি ও নি
৩ ঘণ্টা আগে