Ajker Patrika

অর্পিতার আরেক বাসা থেকে ২৯ কোটি রুপি ও ৫ কেজি স্বর্ণালংকার জব্দ

আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২২, ১৫: ৪৬
অর্পিতার আরেক বাসা থেকে ২৯ কোটি রুপি ও ৫ কেজি স্বর্ণালংকার জব্দ

পশ্চিমবঙ্গের গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আরেকটি বাসা থেকে ২৯ কোটি নগদ ভারতীয় রুপি ও পাঁচ কেজি সোনার গয়না জব্দ করা হয়েছে। ভারতের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

ইডির কর্মকর্তারা বলেছেন, ১৮ ঘণ্টার দীর্ঘ অভিযান শেষে আজ সকালে অর্পিতার কলকাতার বেলঘরিয়ার বাসা থেকে ১০ ট্রাংক ভর্তি নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইডি সূত্র জানিয়েছে, নগদ অর্থ গোনার জন্য নোট গণনার তিনটি মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। 

গত ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগের দিন অর্পিতার প্রথম বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ জব্দ করা হয়। গত সপ্তাহে ইডি কর্মকর্তারা অর্পিতার একটি বাসা থেকে ২১ কোটি ভারতীয় রুপি, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও ২ কোটি টাকার সোনার বার উদ্ধার করেছেন। 

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্পিতার বাসা থেকে ৪০ পৃষ্ঠার নোটসহ একটি ডায়েরিও পাওয়া গেছে। ডায়েরিটি তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫০ কোটি নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি বাসা থেকে। তদন্ত কর্মকর্তারা কিছু নথিপত্রও জব্দ করেছেন। 

রাজ্যের একটি স্কুলে চাকরি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত একটি দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্তের অংশ হিসেব এই অভিযান চালানো হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী থাকার সময় সরকারি স্কুলে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কথিত অবৈধ নিয়োগে ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে। 

এদিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় তদন্তকারীদের বলেছেন, ‘পার্থ আমার ও অন্য এক নারীর বাসাকে একটি মিনি ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। সেই নারীও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।’ 

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারের পর বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে মমতা বলেছেন, ‘তিনি দুর্নীতিকে সমর্থন করেন না এবং দোষী প্রমাণিত হলে গ্রেপ্তার হওয়া মন্ত্রীকে শাস্তি দেওয়া উচিত।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুতিনের নৈশভোজে যোগ দেবেন শশী থারুর, আমন্ত্রণ পাননি রাহুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের ভেতরে মতবিরোধের অন্যতম কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন শশী থারুর। ছবি: সংগৃহীত
কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের ভেতরে মতবিরোধের অন্যতম কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন শশী থারুর। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সম্মানে আজ শুক্রবার রাতে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। কিন্তু দলের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা—লোকসভার বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আমন্ত্রণ পাননি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ছয় মাস ধরে দলের সঙ্গে যাঁর সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা বাড়ছে, সেই শশী থারুর আজ সন্ধ্যায় তাঁর অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান হিসেবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা প্রটোকলের অংশ।

তবে রাহুল গান্ধী বা মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো জ্যেষ্ঠ নেতাকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে থারুর নিজেকে ‘আমন্ত্রণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞাত’ বলে দাবি করেছেন।

এ ঘটনার পর কংগ্রেসের আরও এক নেতা পবন খেরা থারুরের নাম উল্লেখ না করে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমন্ত্রণ পাঠানো এবং তা গ্রহণ করা বেশ আশ্চর্যজনক। যখন আমার নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি...অথচ আমাকে করা হয়েছে...তখন আমাদের বোঝা উচিত, কেন এই খেলা খেলা হচ্ছে, কে খেলছে এবং কেন আমাদের এর অংশ হওয়া উচিত নয়...।’

এদিকে, রাহুল গান্ধী ও খাড়গেকে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, সরকার বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠককে উৎসাহিত করছে না। তাঁর মতে, আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করত, কিন্তু এখন বিদেশিরাই ঠিক করেন তাঁরা কার সঙ্গে দেখা করবেন।

এ বিষয়ে থারুর রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করে বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা তাঁর বক্তব্য দিয়েছেন। আমার মনে হয়, সরকারের এর জবাব দেওয়া উচিত।’ অবশ্য সরকারি সূত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

থিরুবনন্তপুরমের চারবারের লোকসভা সাংসদ থারুর কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের ভেতরে মতবিরোধের অন্যতম কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তিনি অতীতে বিজেপি নেতা এল কে আদবানি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশংসা করায় দলের ভেতর থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

থারুর গত মাসে রামনাথ গোয়েঙ্কা লেকচারে মোদির দেওয়া ভাষণের প্রশংসা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেসের এক নেতা প্রশ্ন তোলেন—‘শশী থারুরের কাছে যদি মোদি এতই ভালো, তবে তিনি কংগ্রেসে আছেন কেন?’

তবে জুন মাসে থারুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য মানেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া নয়। থারুর দাবি করেন, তিনি ১৬ বছর ধরে দলের প্রতি অনুগত আছেন।

সম্প্রতি থারুর ভারতে বংশপরম্পরার রাজনীতি নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি মেধাতন্ত্র বা যোগ্য নেতা হওয়ার পথে বাধা হিসেবে গান্ধী-নেহরু পরিবারের উল্লেখ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় নতুন বিদ্রোহের প্রস্তুতি—নেপথ্যে আসাদের নির্বাসিত গোয়েন্দাপ্রধান ও চাচাতো ভাই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৪
ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের পতনের পর দেশজুড়ে ক্ষমতার নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। দেশটির নির্বাসিত সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান কামাল হাসান ও আসাদের বিলিয়নিয়ার চাচাতো ভাই রামি মাখলুফ এখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন বিদ্রোহ ও শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছেন।

রয়টার্সের তদন্তে জানা গেছে, তাঁরা ইতিমধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে নতুন সশস্ত্র দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। দাবি করা হচ্ছে, সশস্ত্র এই দলের সদস্যসংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাশার আল–আসাদের নির্বাসন মেনে নেওয়া হলেও তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের একটি বড় অংশ এখনো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করেনি। সাবেক সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান কামাল হাসান ও ব্যবসায়ী রামি মাখলুফ আলাদা আলাদাভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪টি গোপন সামরিক কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রভান্ডারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এসব কেন্দ্র আসাদ শাসনের শেষ সময়ে তৈরি করা হয়েছিল।

চাচাতো ভাই মাখলুফ একসময় আসাদ সরকারের অর্থনৈতিক স্তম্ভ ছিলেন। তবে পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে একসময় তিনি গৃহবন্দী হন এবং পরে রাশিয়ার মস্কোয় পালিয়ে যান। এখন তিনি নিজেকে ধর্মীয়ভাবে ‘মসিহসদৃশ’ চরিত্র বা ত্রাণকর্তারূপে তুলে ধরে দাবি করছেন, এক চূড়ান্ত যুদ্ধের মাধ্যমে আলাওয়াইতদের ক্ষমতায় ফিরতে হবে।

অন্যদিকে কামাল হাসান সাবেক সেনা ও গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের একত্র করে উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপ ও গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সমর্থকদের উদ্দেশে বারবার বলেছেন—‘অস্ত্র ছাড়বেন না, সময় এলে আমি আপনাদের সম্মান ফিরিয়ে দেব।’

এই পরিকল্পনাকে ঠেকাতে সিরিয়ার নতুন সরকারও তৎপর। এ ক্ষেত্রে তারা আরেক সাবেক আসাদ-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি খালেদ আল–আহমাদকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। খালেদ আল–আহমাদ যুদ্ধের সময় আসাদের পক্ষ ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় খালেদ আল–আহমাদের কাজ হলো, আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের মানুষদের এটা বোঝানো যে—নতুন সরকারই তাঁদের নিরাপত্তার উপায়, পুরোনো শক্তি নয়।

খালেদ আল–আহমাদ ইতিমধ্যে এক ঘোষণায় বলেছেন, এই জাতির সামনে পথ শুধু একটি। আর এটা ঘৃণা নয়, পুনর্মিলন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উপকূলে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও অতীতের ব্যর্থ বিদ্রোহে একধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত মার্চে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর প্রায় দেড় হাজার আলাওয়াইত নিহত হন। এ ঘটনার পর ওই সম্প্রদায়ের মধ্যে আবারও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে। তবে এই পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন কামাল হাসান ও মাখলুফ।

এদিকে বিশ্লেষকদের ধারণা, হাসান কিংবা মাখলুফের পরিকল্পনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ, দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন এবং রাশিয়া এখনো কাউকেই সমর্থন দেয়নি। এ ছাড়া আলাওয়াইত জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই এখন এই নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারিয়েছে। আর নতুন সরকারও কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।

তারপরও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। যদি এই নেটওয়ার্ক সক্রিয় হয়, তবে আবারও রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাতে নিমজ্জিত হতে পারে সিরিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুতিনের হাতে ভগবদ্গীতা তুলে দিলেন মোদি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ১৫
ছবি: এক্স
ছবি: এক্স

ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লিতে এসেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্মেলন শুরুর আগে পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’ উপহার দিয়েছেন মোদি।

এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ছবি শেয়ার করে মোদি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রুশ ভাষায় অনূদিত এক কপি গীতা উপহার দিলাম। এই গীতার শিক্ষা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায়।’

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আরোপিত বিভিন্ন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এটিই পুতিনের প্রথম ভারত সফর।

এদিকে এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন রুশ তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যান। এ সময় দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাতে গিয়ে মোদি কূটনৈতিক প্রটোকল ভেঙে ফেলেন; যা রুশ পক্ষকে বিস্মিত করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ট্রেলিয়ায় ‘এশিয়ান এল চ্যাপোকে’ ১৬ বছরের কারাদণ্ড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের হেফাজতে তে চি লপ। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের হেফাজতে তে চি লপ। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে কুখ্যাত অপরাধী তে চি লপকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মেলবোর্নের আদালত তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে রায় ঘোষণা করে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ৬২ বছর বয়সী তে চি লপ একজন কানাডীয় নাগরিক হলেও তিনি জন্মগ্রহণ করেন চীনে। ইন্টারপোল তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যতম বড় মাদক সিন্ডিকেট ‘স্যাম গোর’ বা দ্য কোম্পানি-র মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিল। এই সিন্ডিকেট বছরে প্রায় ১৩ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করত বলে ধারণা করা হয় এবং জাপান থেকে শুরু করে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত অন্তত ১২টি দেশে মাদক সরবরাহ করত।

২০১৯ সালে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে থমসন রয়টার্স তাঁকে বিশ্বের প্রভাবশালী ও আলোচিত মাদক সম্রাট জোয়াকিন ‘এল চ্যাপো’ গুজম্যান এবং পাবলো এসকোবারের সমতুল্য হিসেবে উল্লেখ করেছিল। এমনকি তাঁর নিরাপত্তায় থাই কিকবক্সার ভাড়া করা হতো বলেও প্রতিবেদনে উঠে আসে।

২০২১ সালে ইন্টারপোলের নোটিশের ভিত্তিতে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অস্ট্রেলিয়ার অনুরোধে তাঁকে সেখান থেকে প্রত্যর্পণ করা হয়। আদালতে উপস্থাপিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তে চি লপ অস্ট্রেলিয়ায় বিপুল পরিমাণে মেথঅ্যামফেটামিন পাচারের ষড়যন্ত্র করেন।

রায়ে বিচারক পিটার রোজেন বলেন, মামলাটির সাজা আজীবন কারাদণ্ড হওয়াই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রত্যর্পণ চুক্তির কারণে তুলনামূলক কম সাজা দিতে হয়েছে।

আদালতে দণ্ড ঘোষণার সময় তে চি লপ নীল শার্ট ও কালো চশমা পরে মাথা নিচু করে বসে ছিলেন। তিনি দশ বছর কারাভোগের পর জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট বলেন, ‘এই রায় প্রমাণ করে, অস্ট্রেলিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাত বিশ্বের যে কোনো অপরাধীর কাছে পৌঁছাতে পারে।’

তিন বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর অবশেষে এই আলোচিত মামলার পরিসমাপ্তি ঘটল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত