
৬৩ বছর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গলায় ফুলের মালা দিয়েছিলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কন্যা বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। কিন্তু সাঁওতাল রীতি অনুযায়ী, একজন পুরুষের গলায় কোনো নারী মালা পরিয়ে দিলে তা বিয়ে বলে গণ্য হয়। নিজ সম্প্রদায় থেকে এমন অপবাদ নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছিলেন বুধনি।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেহরুকে মালা পরানোর জন্য বুধনিকে যে গঞ্জনা সইতে হয়েছিল—তা অনেকের কাছেই অজানা। বহু বছর পর সেই বুধনি আবারও আলোচনায় এলেন। তবে এই আলোচনা শুরু হয়েছে গত মাসের তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
আলোচনার সূত্র ধরেই সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামে আগে থেকেই দণ্ডায়মান নেহরুর একটি মূর্তির পাশে এখন বুধনির মূর্তি স্থাপনের দাবি করছেন স্থানীয় মানুষেরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বুধনির প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। এমনকি উইকিপিডিয়াতেও তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। বুধনির মৃত্যুর পরই উইকিপিডিয়া তাঁর নামে একটি পৃষ্ঠা যুক্ত করেছে। তবে এতে বুধনির সম্পর্কে দেওয়া তথ্যের পরিমাণে খুবই কম এবং অসম্পূর্ণ।
বিবিসি জানিয়েছে, খুব বেশি তথ্য না থাকার কারণেই বুধনি সম্পর্কে জানার বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল ভারতের কেরালার লেখক সারা জোসেফের মধ্যে। তিনি বুধনির জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি বইও লিখেছেন।
সারা জোসেফ জানান, ২০১৯ সালে তিনি যখন বুধনির সঙ্গে প্রথম দেখা করেন, তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কারণ দুজনের ভাষা ছিল আলাদা। সারা বলেন, ‘তবুও আমি তাকে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি।’
ঝাড়খণ্ডে ভারতের কয়লা ক্ষেত্রগুলোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ছোট্ট শহর ধানবাদে বেড়ে উঠেছিলেন বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। পাহাড়ি ওই এলাকাটির মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ ছিল উপজাতীয়।
ওই অঞ্চলেই ভারতের উচ্চাভিলাষী দামোদর ভ্যালি করপোরেশন (ডিভিসি) প্রকল্পে নিযুক্ত হাজারো শ্রমিকের একজন ছিলেন বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। আধুনিক ভারতের ভিত্তি স্থাপনের জন্য বাঁধ, তাপ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে এটি ছিল দেশের প্রথম ‘বহুমুখী প্রকল্প’। নেহরু এটিকে ‘মুক্ত ভারতের মহান প্রাসাদ’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
তবে প্রকল্পটি নিয়ে বিতর্কও ছিল। এটি স্থাপন করতে গিয়ে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়াদের বেশির ভাগই ছিল উপজাতি। প্রকল্পটি স্থাপনের পর বুধনির গ্রাম কাবোনা সহ আরও শতাধিক গ্রাম ডুবে গিয়েছিল।
১৯৫৯ সালে ওই প্রকল্পেরই একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরু। আর তাঁকে স্বাগত জানাতে বুধনিসহ আরেকজনকে বেছে নিয়েছিল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বুধনিকেও অবাক করেছিল।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর গলায় মালা পরিয়ে দিতে বলা হয় বুধনিকে। মালা পরানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেহরুও বুধনির গলায় মালাটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
সেদিন সন্ধ্যায় বুধনি যখন গ্রামে ফিরছিল—তখন তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না যে, এটাই তাঁর শেষ বারের মতো গ্রামে ফেরা। গ্রামের প্রধান তাঁকে ডেকে জানিয়ে দেন, গলায় মালা পরানোর ফলে তিনি নেহরুর বধূ হয়ে গেছেন। আর একজন বহিরাগতকে বিয়ে করে তিনি সাঁওতাল রীতিও ভঙ্গ করেছেন। ফলে প্রায়শ্চিত্ত করতে চিরজীবনের নিজের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে বুধনিকে।
শুরুতে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন বুধনি। গ্রামের প্রধানকে কিছু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। বুধনিকে দ্রুত গ্রাম ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
সেই মুহূর্তটির প্রসঙ্গে সারা জোসেফ বলেন, ‘কেউ তাকে সাহায্য করেনি। তিনি তার নিজের লোকদের কাছ থেকেই মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন।’
অসহায়ের মতো নিজের কিছু টুকিটাকি জিনিস নিয়ে গ্রাম ছেড়েছিলেন বুধনি। সে সময় বাঁধ উদ্বোধনের খবর প্রকাশ করতে গিয়ে একটি দৈনিক তাঁকে ওই বাঁধের প্রথম কর্মী হিসেবে বর্ণনা করেছিল। আর লোকমুখে ‘নেহরুর উপজাতীয় স্ত্রী’ উপাধিটি তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল।
তবে এসবের কিছুই জানতে পারেননি বুধনি। তিনি তখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক কয়েক মাস বঞ্চনা এবং চরম দারিদ্র্য সহ্য করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছিলেন।
১৯৬২ সালে অজানা কারণে বুধনিকে বরখাস্ত করেছিল দামোদর ভ্যালি করপোরেশন। জীবনের তাগিদে শেষ পর্যন্ত তিনি দিনমজুরি শুরু করেন।
তবে বুধনির দুঃখের জীবনে সুখের কিছুটা বার্তা নিয়ে এসেছিলেন সুধীর দত্ত নামে এক ব্যক্তি। পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি কোলিয়ারিতে কাজ করতেন সুধীর। দুজনে প্রেমে পড়ে বিয়ে করেন।
সারা জোসেফ জানান, বুধনি ও সুধীর দম্পতি দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করতেন। বুধনি অবশ্য চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাকরি হারানোর দুই দশকেরও বেশি সময় পর ১৯৮৫ সালে বুধনির গল্পটি নিয়ে নেহরুর নাতি এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কাছে গিয়েছিলেন দুই সাংবাদিক। সেই সুবাদে বুধনিকে আবার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই কাজ করেন।
বুধনির মৃত্যুর পর তাঁর নাতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার দাদির সঙ্গে যা ঘটেছিল তা ভুল ছিল। কিন্তু জীবনের শেষদিকেও তিনি এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি এবং তিনি শান্তিতে ছিলেন।’

৬৩ বছর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গলায় ফুলের মালা দিয়েছিলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কন্যা বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। কিন্তু সাঁওতাল রীতি অনুযায়ী, একজন পুরুষের গলায় কোনো নারী মালা পরিয়ে দিলে তা বিয়ে বলে গণ্য হয়। নিজ সম্প্রদায় থেকে এমন অপবাদ নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছিলেন বুধনি।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেহরুকে মালা পরানোর জন্য বুধনিকে যে গঞ্জনা সইতে হয়েছিল—তা অনেকের কাছেই অজানা। বহু বছর পর সেই বুধনি আবারও আলোচনায় এলেন। তবে এই আলোচনা শুরু হয়েছে গত মাসের তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে।
আলোচনার সূত্র ধরেই সম্প্রতি ভারতের ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামে আগে থেকেই দণ্ডায়মান নেহরুর একটি মূর্তির পাশে এখন বুধনির মূর্তি স্থাপনের দাবি করছেন স্থানীয় মানুষেরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বুধনির প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। এমনকি উইকিপিডিয়াতেও তাঁর সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। বুধনির মৃত্যুর পরই উইকিপিডিয়া তাঁর নামে একটি পৃষ্ঠা যুক্ত করেছে। তবে এতে বুধনির সম্পর্কে দেওয়া তথ্যের পরিমাণে খুবই কম এবং অসম্পূর্ণ।
বিবিসি জানিয়েছে, খুব বেশি তথ্য না থাকার কারণেই বুধনি সম্পর্কে জানার বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল ভারতের কেরালার লেখক সারা জোসেফের মধ্যে। তিনি বুধনির জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি বইও লিখেছেন।
সারা জোসেফ জানান, ২০১৯ সালে তিনি যখন বুধনির সঙ্গে প্রথম দেখা করেন, তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কারণ দুজনের ভাষা ছিল আলাদা। সারা বলেন, ‘তবুও আমি তাকে পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি।’
ঝাড়খণ্ডে ভারতের কয়লা ক্ষেত্রগুলোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ছোট্ট শহর ধানবাদে বেড়ে উঠেছিলেন বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। পাহাড়ি ওই এলাকাটির মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ ছিল উপজাতীয়।
ওই অঞ্চলেই ভারতের উচ্চাভিলাষী দামোদর ভ্যালি করপোরেশন (ডিভিসি) প্রকল্পে নিযুক্ত হাজারো শ্রমিকের একজন ছিলেন বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। আধুনিক ভারতের ভিত্তি স্থাপনের জন্য বাঁধ, তাপ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর একটি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে এটি ছিল দেশের প্রথম ‘বহুমুখী প্রকল্প’। নেহরু এটিকে ‘মুক্ত ভারতের মহান প্রাসাদ’ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন।
তবে প্রকল্পটি নিয়ে বিতর্কও ছিল। এটি স্থাপন করতে গিয়ে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়াদের বেশির ভাগই ছিল উপজাতি। প্রকল্পটি স্থাপনের পর বুধনির গ্রাম কাবোনা সহ আরও শতাধিক গ্রাম ডুবে গিয়েছিল।
১৯৫৯ সালে ওই প্রকল্পেরই একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেহরু। আর তাঁকে স্বাগত জানাতে বুধনিসহ আরেকজনকে বেছে নিয়েছিল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বুধনিকেও অবাক করেছিল।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর গলায় মালা পরিয়ে দিতে বলা হয় বুধনিকে। মালা পরানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নেহরুও বুধনির গলায় মালাটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
সেদিন সন্ধ্যায় বুধনি যখন গ্রামে ফিরছিল—তখন তিনি ঘুণাক্ষরেও জানতেন না যে, এটাই তাঁর শেষ বারের মতো গ্রামে ফেরা। গ্রামের প্রধান তাঁকে ডেকে জানিয়ে দেন, গলায় মালা পরানোর ফলে তিনি নেহরুর বধূ হয়ে গেছেন। আর একজন বহিরাগতকে বিয়ে করে তিনি সাঁওতাল রীতিও ভঙ্গ করেছেন। ফলে প্রায়শ্চিত্ত করতে চিরজীবনের নিজের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে বুধনিকে।
শুরুতে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন বুধনি। গ্রামের প্রধানকে কিছু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। বুধনিকে দ্রুত গ্রাম ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
সেই মুহূর্তটির প্রসঙ্গে সারা জোসেফ বলেন, ‘কেউ তাকে সাহায্য করেনি। তিনি তার নিজের লোকদের কাছ থেকেই মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন।’
অসহায়ের মতো নিজের কিছু টুকিটাকি জিনিস নিয়ে গ্রাম ছেড়েছিলেন বুধনি। সে সময় বাঁধ উদ্বোধনের খবর প্রকাশ করতে গিয়ে একটি দৈনিক তাঁকে ওই বাঁধের প্রথম কর্মী হিসেবে বর্ণনা করেছিল। আর লোকমুখে ‘নেহরুর উপজাতীয় স্ত্রী’ উপাধিটি তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল।
তবে এসবের কিছুই জানতে পারেননি বুধনি। তিনি তখন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক কয়েক মাস বঞ্চনা এবং চরম দারিদ্র্য সহ্য করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছিলেন।
১৯৬২ সালে অজানা কারণে বুধনিকে বরখাস্ত করেছিল দামোদর ভ্যালি করপোরেশন। জীবনের তাগিদে শেষ পর্যন্ত তিনি দিনমজুরি শুরু করেন।
তবে বুধনির দুঃখের জীবনে সুখের কিছুটা বার্তা নিয়ে এসেছিলেন সুধীর দত্ত নামে এক ব্যক্তি। পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি কোলিয়ারিতে কাজ করতেন সুধীর। দুজনে প্রেমে পড়ে বিয়ে করেন।
সারা জোসেফ জানান, বুধনি ও সুধীর দম্পতি দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করতেন। বুধনি অবশ্য চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাকরি হারানোর দুই দশকেরও বেশি সময় পর ১৯৮৫ সালে বুধনির গল্পটি নিয়ে নেহরুর নাতি এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর কাছে গিয়েছিলেন দুই সাংবাদিক। সেই সুবাদে বুধনিকে আবার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই কাজ করেন।
বুধনির মৃত্যুর পর তাঁর নাতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার দাদির সঙ্গে যা ঘটেছিল তা ভুল ছিল। কিন্তু জীবনের শেষদিকেও তিনি এ নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি এবং তিনি শান্তিতে ছিলেন।’

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

৬৩ বছর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গলায় ফুলের মালা দিয়েছিলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কন্যা বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। কিন্তু সাঁওতাল রীতি অনুযায়ী, একজন পুরুষের গলায় কোনো নারী মালা পরিয়ে দিলে তা বিয়ে বলে গণ্য হয়। নিজ সম্প্রদায় থেকে এমন অপবাদ নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছিলেন ব
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

৬৩ বছর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গলায় ফুলের মালা দিয়েছিলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কন্যা বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। কিন্তু সাঁওতাল রীতি অনুযায়ী, একজন পুরুষের গলায় কোনো নারী মালা পরিয়ে দিলে তা বিয়ে বলে গণ্য হয়। নিজ সম্প্রদায় থেকে এমন অপবাদ নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছিলেন ব
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

৬৩ বছর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গলায় ফুলের মালা দিয়েছিলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কন্যা বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। কিন্তু সাঁওতাল রীতি অনুযায়ী, একজন পুরুষের গলায় কোনো নারী মালা পরিয়ে দিলে তা বিয়ে বলে গণ্য হয়। নিজ সম্প্রদায় থেকে এমন অপবাদ নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছিলেন ব
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

৬৩ বছর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর গলায় ফুলের মালা দিয়েছিলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কন্যা বুধনি মাঞ্জিয়াঁ। কিন্তু সাঁওতাল রীতি অনুযায়ী, একজন পুরুষের গলায় কোনো নারী মালা পরিয়ে দিলে তা বিয়ে বলে গণ্য হয়। নিজ সম্প্রদায় থেকে এমন অপবাদ নিয়ে শেষ পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছিলেন ব
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
৬ ঘণ্টা আগে