আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত মাসে অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের দুটি প্রধান সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারত। এবার এই প্রথম হাই রেজল্যুশনের নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে এসব হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে। এনডিটিভির হাতে আসা এই ছবিগুলোতে হামলার তীব্রতা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। যদিও ভারতীয় সামরিক বাহিনী হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের নাম প্রকাশ করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উভয় লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই ছবিগুলো কাশ্মীরের তাংধারের ৩৬ কিলোমিটার পশ্চিমে মুজাফফরাবাদের সায়েদনা বিলাল ক্যাম্প এবং জম্মুর রাজৌরি থেকে ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে কোটলি গুলপুর ক্যাম্পের। ৭ মে ভোরের দিকে এই দুটি সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে ভারত হামলা চালায়। গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এই হামলার জেরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাধিক সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালায় ভারত। পেহেলগামের হামলা ছিল ২০০০ সালের মার্চে ছত্রিসিঙ্গপোরা হত্যাকাণ্ডের পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ৩৬ জন শিখকে হত্যা করা হয়েছিল।
পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে অবস্থিত সায়েদনা বিলাল ক্যাম্প ছিল জইশ-ই-মুহাম্মদের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এই ক্যাম্পে অস্ত্র পরিচালনা, জঙ্গলে টিকে থাকা এবং বিস্ফোরক ও গোলাবারুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
হামলার আগের ও পরের ছবিগুলোতে দেখা যায়, ৮১ বাই ৯২ ফুট পরিমাপের একাধিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি ড্রোন হামলার ফল। এলাকার আশপাশে অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি দেখা যায়নি।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য এই সায়েদনা বিলালে নতুন জঙ্গিদের পাঠানো হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল উরি ও কেরান সেক্টরে লাইন অব কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কাঠুয়া ও রামবানের রেলসেতুতে হামলা চালানো। প্রশিক্ষণের পর এই সন্ত্রাসীদের পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ঘাঁটি ও লঞ্চপ্যাডগুলোতে পাঠানো হতো, যেখানে তারা যোগাযোগেরও বিশেষ প্রশিক্ষণ পেত। প্রশিক্ষণ শেষে তারা চার থেকে আটজনের দলে বিভক্ত হয়ে ২০২৪ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। গত বছর জম্মুতে সংঘটিত অধিকাংশ সন্ত্রাসী হামলা এই সন্ত্রাসীরাই চালিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
জইশ-ই-মুহাম্মদের শীর্ষ সন্ত্রাসী নেতা মুফতি আসগর খান কাশ্মীরি, আমির জে এম আবদুল্লাহ জেহাদি এবং আশিক নিগরু নিয়মিত এই ক্যাম্পে আসতেন। জইশ-ই-মুহাম্মদের সিনিয়র কমান্ডারদের জন্য ক্যাম্পের কাছে গেস্টহাউসও তৈরি করা হয়েছিল। সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, এই ক্যাম্পগুলোকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা, বিশেষ করে ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) অর্থসহায়তা ও সুরক্ষা দিত। এ ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ এবং নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হতো।
শ্রীনগরে অবস্থিত ১৫ কোরের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সতীশ দুয়া (অব.) বলেন, কোটলি ও মুজাফফরাবাদের সন্ত্রাসী আস্তানাগুলো লক্ষ্য করে চালানো সুনির্দিষ্ট হামলার এই ছবিগুলো ভারতের সক্ষমতার সুস্পষ্ট প্রমাণ। তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে আমরা অসহায় বোধ করতাম যে সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা সত্ত্বেও বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনায় সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে আঘাত করতে পারছি না। কিন্তু পেহেলগাম সবকিছু বদলে দিয়েছে।’ জার্মান সংবাদমাধ্যম টিআরটি জার্মানও এই ছবিগুলো মুজাফফরাবাদের সায়েদনা বিলাল ক্যাম্পের বলে প্রচার করেছে।

ছবির দ্বিতীয় সেটটি কোটলির গুলপুর ক্যাম্পের। এতে কিছু ভবনের ছবি দেখা যায়, যা জম্মুর রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকার হামলায় জড়িত লস্কর-ই তাইয়েবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একটি বেসক্যাম্প বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্যাটেলাইট চিত্র দেখাচ্ছে, ১১০ বাই ৩০ ফুটের একটি কাঠামো ঠিক মাঝখান থেকে দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এই ভবনের ঠিক পাশে থাকা একটি ছোট কাঠামোর ছাদও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের দাবি, এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীরা ২০২৩ সালে পুঞ্চে এবং গত বছর তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলা চালিয়েছিল। এই ক্যাম্প ২০২২ সালের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এই প্রশিক্ষণকেন্দ্র ছিল লস্কর-ই-তাইয়েবার একটি সুপ্রতিষ্ঠিত প্রশিক্ষণকেন্দ্র, যেখানে আত্মঘাতী বোমারুসহ বিপুলসংখ্যক সন্ত্রাসী উন্নত যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। আবাসিক সুবিধাসম্পন্ন এই স্থানে ৩০-৫০ জন সন্ত্রাসী ও তাদের প্রশিক্ষকেরা থাকতেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুঞ্চ এবং রাজৌরি অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টাকারী সন্ত্রাসীরা এটি ব্যবহার করত। সেনাবাহিনী সূত্রে আরও জানা গেছে, এই প্রশিক্ষণকেন্দ্র একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছিল। এটি পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য গেরিলা যুদ্ধ, বেঁচে থাকার কৌশল এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণের একটি সুপরিচিত কেন্দ্র ছিল।
২০১৯ সালে ভারতের বালাকোট হামলার পর ক্যাম্পটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তবে ২০২০ সালে এটি সন্ত্রাসীদের জন্য আবার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুদা (অব.) ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক পাকিস্তানে পরিচালিত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর সময় ভারতের নর্দান আর্মি কমান্ডার ছিলেন। জেনারেল ডি এস হুদা বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় আমাদের মনোযোগ ছিল মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর এবং পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিগুলোর দিকে। তবে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী স্থাপনাগুলোতে চালানো হামলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ক্যাম্পগুলো থেকেই সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশের রুটগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের আগে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা করে। এই অবকাঠামো ধ্বংসের ফলে সন্ত্রাসীদের মনোবল এবং জম্মু ও কাশ্মীর উভয় অঞ্চলে হামলা চালানোর ক্ষমতায় তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে।’
প্রসঙ্গত, ভারত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ভারত লস্কর-ই-তাইয়েবা, জইশ-ই-মুহাম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে নয়টি অবকাঠামোতে আঘাত হানে। হামলাগুলো ওই দিন রাত ১টা ৫ থেকে ১টা ৩০-এর মধ্যে হয়েছিল।
লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে চারটি ছিল পাকিস্তানে—বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, শিয়ালকোট এবং শাকার গড়ের কাছাকাছি একটি গ্রাম। বাকি পাঁচটি লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ, কোটলি, ভিম্বর, রাওয়ালকোট ও চাকসওয়ারি। ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলায় শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

গত মাসে অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের দুটি প্রধান সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারত। এবার এই প্রথম হাই রেজল্যুশনের নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে এসব হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে। এনডিটিভির হাতে আসা এই ছবিগুলোতে হামলার তীব্রতা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। যদিও ভারতীয় সামরিক বাহিনী হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের নাম প্রকাশ করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উভয় লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই ছবিগুলো কাশ্মীরের তাংধারের ৩৬ কিলোমিটার পশ্চিমে মুজাফফরাবাদের সায়েদনা বিলাল ক্যাম্প এবং জম্মুর রাজৌরি থেকে ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে কোটলি গুলপুর ক্যাম্পের। ৭ মে ভোরের দিকে এই দুটি সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে ভারত হামলা চালায়। গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এই হামলার জেরে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাধিক সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালায় ভারত। পেহেলগামের হামলা ছিল ২০০০ সালের মার্চে ছত্রিসিঙ্গপোরা হত্যাকাণ্ডের পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, যেখানে ৩৬ জন শিখকে হত্যা করা হয়েছিল।
পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে অবস্থিত সায়েদনা বিলাল ক্যাম্প ছিল জইশ-ই-মুহাম্মদের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এই ক্যাম্পে অস্ত্র পরিচালনা, জঙ্গলে টিকে থাকা এবং বিস্ফোরক ও গোলাবারুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
হামলার আগের ও পরের ছবিগুলোতে দেখা যায়, ৮১ বাই ৯২ ফুট পরিমাপের একাধিক ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি ড্রোন হামলার ফল। এলাকার আশপাশে অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি দেখা যায়নি।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য এই সায়েদনা বিলালে নতুন জঙ্গিদের পাঠানো হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল উরি ও কেরান সেক্টরে লাইন অব কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কাঠুয়া ও রামবানের রেলসেতুতে হামলা চালানো। প্রশিক্ষণের পর এই সন্ত্রাসীদের পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ঘাঁটি ও লঞ্চপ্যাডগুলোতে পাঠানো হতো, যেখানে তারা যোগাযোগেরও বিশেষ প্রশিক্ষণ পেত। প্রশিক্ষণ শেষে তারা চার থেকে আটজনের দলে বিভক্ত হয়ে ২০২৪ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। গত বছর জম্মুতে সংঘটিত অধিকাংশ সন্ত্রাসী হামলা এই সন্ত্রাসীরাই চালিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
জইশ-ই-মুহাম্মদের শীর্ষ সন্ত্রাসী নেতা মুফতি আসগর খান কাশ্মীরি, আমির জে এম আবদুল্লাহ জেহাদি এবং আশিক নিগরু নিয়মিত এই ক্যাম্পে আসতেন। জইশ-ই-মুহাম্মদের সিনিয়র কমান্ডারদের জন্য ক্যাম্পের কাছে গেস্টহাউসও তৈরি করা হয়েছিল। সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, এই ক্যাম্পগুলোকে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা, বিশেষ করে ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) অর্থসহায়তা ও সুরক্ষা দিত। এ ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সরবরাহ এবং নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হতো।
শ্রীনগরে অবস্থিত ১৫ কোরের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সতীশ দুয়া (অব.) বলেন, কোটলি ও মুজাফফরাবাদের সন্ত্রাসী আস্তানাগুলো লক্ষ্য করে চালানো সুনির্দিষ্ট হামলার এই ছবিগুলো ভারতের সক্ষমতার সুস্পষ্ট প্রমাণ। তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে আমরা অসহায় বোধ করতাম যে সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা সত্ত্বেও বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনায় সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে আঘাত করতে পারছি না। কিন্তু পেহেলগাম সবকিছু বদলে দিয়েছে।’ জার্মান সংবাদমাধ্যম টিআরটি জার্মানও এই ছবিগুলো মুজাফফরাবাদের সায়েদনা বিলাল ক্যাম্পের বলে প্রচার করেছে।

ছবির দ্বিতীয় সেটটি কোটলির গুলপুর ক্যাম্পের। এতে কিছু ভবনের ছবি দেখা যায়, যা জম্মুর রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকার হামলায় জড়িত লস্কর-ই তাইয়েবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একটি বেসক্যাম্প বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্যাটেলাইট চিত্র দেখাচ্ছে, ১১০ বাই ৩০ ফুটের একটি কাঠামো ঠিক মাঝখান থেকে দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এই ভবনের ঠিক পাশে থাকা একটি ছোট কাঠামোর ছাদও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের দাবি, এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীরা ২০২৩ সালে পুঞ্চে এবং গত বছর তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলা চালিয়েছিল। এই ক্যাম্প ২০২২ সালের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এই প্রশিক্ষণকেন্দ্র ছিল লস্কর-ই-তাইয়েবার একটি সুপ্রতিষ্ঠিত প্রশিক্ষণকেন্দ্র, যেখানে আত্মঘাতী বোমারুসহ বিপুলসংখ্যক সন্ত্রাসী উন্নত যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। আবাসিক সুবিধাসম্পন্ন এই স্থানে ৩০-৫০ জন সন্ত্রাসী ও তাদের প্রশিক্ষকেরা থাকতেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুঞ্চ এবং রাজৌরি অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টাকারী সন্ত্রাসীরা এটি ব্যবহার করত। সেনাবাহিনী সূত্রে আরও জানা গেছে, এই প্রশিক্ষণকেন্দ্র একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছিল। এটি পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জন্য গেরিলা যুদ্ধ, বেঁচে থাকার কৌশল এবং অস্ত্র প্রশিক্ষণের একটি সুপরিচিত কেন্দ্র ছিল।
২০১৯ সালে ভারতের বালাকোট হামলার পর ক্যাম্পটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তবে ২০২০ সালে এটি সন্ত্রাসীদের জন্য আবার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুদা (অব.) ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক পাকিস্তানে পরিচালিত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর সময় ভারতের নর্দান আর্মি কমান্ডার ছিলেন। জেনারেল ডি এস হুদা বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় আমাদের মনোযোগ ছিল মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর এবং পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিগুলোর দিকে। তবে পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সন্ত্রাসী স্থাপনাগুলোতে চালানো হামলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ক্যাম্পগুলো থেকেই সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশের রুটগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের আগে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা করে। এই অবকাঠামো ধ্বংসের ফলে সন্ত্রাসীদের মনোবল এবং জম্মু ও কাশ্মীর উভয় অঞ্চলে হামলা চালানোর ক্ষমতায় তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে।’
প্রসঙ্গত, ভারত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ভারত লস্কর-ই-তাইয়েবা, জইশ-ই-মুহাম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে নয়টি অবকাঠামোতে আঘাত হানে। হামলাগুলো ওই দিন রাত ১টা ৫ থেকে ১টা ৩০-এর মধ্যে হয়েছিল।
লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে চারটি ছিল পাকিস্তানে—বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, শিয়ালকোট এবং শাকার গড়ের কাছাকাছি একটি গ্রাম। বাকি পাঁচটি লক্ষ্যবস্তু ছিল পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ, কোটলি, ভিম্বর, রাওয়ালকোট ও চাকসওয়ারি। ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলায় শতাধিক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩৫ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

গত মাসে অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের দুটি প্রধান সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারত। এবার এই প্রথম হাই রেজল্যুশনের নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে এসব হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে।
৩০ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

গত মাসে অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের দুটি প্রধান সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারত। এবার এই প্রথম হাই রেজল্যুশনের নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে এসব হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে।
৩০ জুন ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩৫ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

গত মাসে অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের দুটি প্রধান সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারত। এবার এই প্রথম হাই রেজল্যুশনের নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে এসব হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে।
৩০ জুন ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩৫ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

গত মাসে অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের দুটি প্রধান সন্ত্রাসী স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারত। এবার এই প্রথম হাই রেজল্যুশনের নতুন স্যাটেলাইট ছবিতে এসব হামলার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে।
৩০ জুন ২০২৫
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩৫ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে