আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুপ্রিম কোর্টের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ভারতের কেন্দ্র সরকার বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাঁর আট বছরের সন্তানসহ ফিরিয়ে আনতে সম্মতি জানিয়েছে। ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিল, এ মামলায় আইনি মারপ্যাঁচের চেয়ে মানবিকতা অনেক বেশি জরুরি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আজ বুধবার ভারতের কেন্দ্র সরকার সর্বোচ্চ আদালতে এই বিষয়ে নথি দাখিল করেছে। কেন্দ্রের এই অঙ্গীকার নথিভুক্ত করে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন যে, সেই নারীকে অবিলম্বে চিকিৎসা সাহায্য দিতে হবে এবং পশ্চিমবঙ্গে তাঁর পরিবারের কাছাকাছি থাকার অনুমতি দিতে হবে।
প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এমন কিছু মামলা থাকে যেখানে আইনের কঠোরতাকে মানবিকতার কাছে নতি স্বীকার করতেই হয়। কিছু ক্ষেত্রে এক অন্য দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।’ সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান যে, সোনালী খাতুন ও তাঁর ছেলে সাবিরকে ‘মানবিক কারণে’ ভারতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব এবং তাদের ওপর যথোপযুক্ত নজরদারি রাখা হবে।
তুষার মেহতা আরও জানান, যেহেতু সরকারি বাহিনীই এই বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করতে সরকারের অবস্থান নথিভুক্ত করে একটি বিচার বিভাগীয় নির্দেশ আবশ্যক। সেই অনুযায়ী, আদালত সরকারকে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্রুত সমন্বয়ের লিখিত নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থার একদম শেষ পর্যায়ে থাকা সোনালীকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল এবং সোনালীর পক্ষে সঞ্জয় হেগড়ের অনুরোধ বিবেচনা করে আদালত নির্দেশ দেন যে, তিনি যাতে বীরভূম জেলায় যেতে এবং সাময়িকভাবে সেখানে থাকতে পারেন, যেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনরা থাকেন।
আদেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘বীরভূমের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, প্রসব সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাসহ সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বিনা মূল্যে প্রদান করতে হবে। তাঁর আট বছরের সন্তানও যেহেতু সঙ্গে থাকবে, তাই সেই শিশুটিকেও সব রকম সাহায্য দেওয়া হবে।’ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, এই কাজগুলো একদিনের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে।
আদালত আরও জানতে চান, সোনালীর বাবা ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা। আদালত সলিসিটার জেনারেলের কাছে জানতে চান, ‘যদি তাঁর বাবা ভারতীয় নাগরিক হন, তবে সেও ভারতীয় নাগরিক, আর তার ছেলেও তাই। প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতি মেনে এ বিষয়ে একটি তদন্ত হওয়া উচিত।’ এরপর আদালত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলাটির শুনানি পিছিয়ে দেয় এবং কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, আরও চারজন বহিষ্কৃত ব্যক্তি যারা দেশে ফিরতে চাইছেন, তাদের বিষয়ে যেন প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা নেওয়া হয়।
বুধবারের এই ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টের গত ২৬ সেপ্টেম্বরের দুটি নির্দেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আপিলের মাধ্যমে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, জুনে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো ৬ ব্যক্তিকে (যার মধ্যে সোনালী, তাঁর নাবালক ছেলে ও স্বামী অন্তর্ভুক্ত) ফিরিয়ে এনে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে। হাইকোর্ট অন্য একটি পিটিশনেও একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল, যেখানে আরেকজন নারী ও তার দুই নাবালক ছেলের বিষয় ছিল।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছিল, সোনালী বহিষ্কারের সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন জানার পর যেন তাকে সাময়িকভাবে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। বেঞ্চ তখন মন্তব্য করেছিল, ‘আমরা বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি। আপনারা নির্দেশিকা নিয়ে বুধবার জানান।’ সেই সময় তুষার মেহতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিলে যে দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। উত্তরে বেঞ্চ বলেছিল, ‘আপনার পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় নজরদারি সাপেক্ষে যা যা দরকার, তা করা যেতে পারে।’
অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই নির্দেশ শুধুমাত্র সোনালী ও তাঁর সন্তানের মানবিক সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং কেন্দ্রের আইনি যুক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বাকি চারজন ব্যক্তির অবস্থা আগামী সপ্তাহে বিবেচনা করা হবে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ভারতের কেন্দ্র সরকার বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাঁর আট বছরের সন্তানসহ ফিরিয়ে আনতে সম্মতি জানিয়েছে। ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিল, এ মামলায় আইনি মারপ্যাঁচের চেয়ে মানবিকতা অনেক বেশি জরুরি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আজ বুধবার ভারতের কেন্দ্র সরকার সর্বোচ্চ আদালতে এই বিষয়ে নথি দাখিল করেছে। কেন্দ্রের এই অঙ্গীকার নথিভুক্ত করে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন যে, সেই নারীকে অবিলম্বে চিকিৎসা সাহায্য দিতে হবে এবং পশ্চিমবঙ্গে তাঁর পরিবারের কাছাকাছি থাকার অনুমতি দিতে হবে।
প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এমন কিছু মামলা থাকে যেখানে আইনের কঠোরতাকে মানবিকতার কাছে নতি স্বীকার করতেই হয়। কিছু ক্ষেত্রে এক অন্য দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।’ সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান যে, সোনালী খাতুন ও তাঁর ছেলে সাবিরকে ‘মানবিক কারণে’ ভারতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব এবং তাদের ওপর যথোপযুক্ত নজরদারি রাখা হবে।
তুষার মেহতা আরও জানান, যেহেতু সরকারি বাহিনীই এই বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করতে সরকারের অবস্থান নথিভুক্ত করে একটি বিচার বিভাগীয় নির্দেশ আবশ্যক। সেই অনুযায়ী, আদালত সরকারকে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্রুত সমন্বয়ের লিখিত নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থার একদম শেষ পর্যায়ে থাকা সোনালীকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল এবং সোনালীর পক্ষে সঞ্জয় হেগড়ের অনুরোধ বিবেচনা করে আদালত নির্দেশ দেন যে, তিনি যাতে বীরভূম জেলায় যেতে এবং সাময়িকভাবে সেখানে থাকতে পারেন, যেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনরা থাকেন।
আদেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘বীরভূমের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, প্রসব সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাসহ সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বিনা মূল্যে প্রদান করতে হবে। তাঁর আট বছরের সন্তানও যেহেতু সঙ্গে থাকবে, তাই সেই শিশুটিকেও সব রকম সাহায্য দেওয়া হবে।’ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, এই কাজগুলো একদিনের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে।
আদালত আরও জানতে চান, সোনালীর বাবা ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা। আদালত সলিসিটার জেনারেলের কাছে জানতে চান, ‘যদি তাঁর বাবা ভারতীয় নাগরিক হন, তবে সেও ভারতীয় নাগরিক, আর তার ছেলেও তাই। প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতি মেনে এ বিষয়ে একটি তদন্ত হওয়া উচিত।’ এরপর আদালত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলাটির শুনানি পিছিয়ে দেয় এবং কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, আরও চারজন বহিষ্কৃত ব্যক্তি যারা দেশে ফিরতে চাইছেন, তাদের বিষয়ে যেন প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা নেওয়া হয়।
বুধবারের এই ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টের গত ২৬ সেপ্টেম্বরের দুটি নির্দেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আপিলের মাধ্যমে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, জুনে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো ৬ ব্যক্তিকে (যার মধ্যে সোনালী, তাঁর নাবালক ছেলে ও স্বামী অন্তর্ভুক্ত) ফিরিয়ে এনে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে। হাইকোর্ট অন্য একটি পিটিশনেও একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল, যেখানে আরেকজন নারী ও তার দুই নাবালক ছেলের বিষয় ছিল।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছিল, সোনালী বহিষ্কারের সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন জানার পর যেন তাকে সাময়িকভাবে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। বেঞ্চ তখন মন্তব্য করেছিল, ‘আমরা বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি। আপনারা নির্দেশিকা নিয়ে বুধবার জানান।’ সেই সময় তুষার মেহতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিলে যে দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। উত্তরে বেঞ্চ বলেছিল, ‘আপনার পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় নজরদারি সাপেক্ষে যা যা দরকার, তা করা যেতে পারে।’
অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই নির্দেশ শুধুমাত্র সোনালী ও তাঁর সন্তানের মানবিক সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং কেন্দ্রের আইনি যুক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বাকি চারজন ব্যক্তির অবস্থা আগামী সপ্তাহে বিবেচনা করা হবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সুপ্রিম কোর্টের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ভারতের কেন্দ্র সরকার বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাঁর আট বছরের সন্তানসহ ফিরিয়ে আনতে সম্মতি জানিয়েছে। ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিল, এ মামলায় আইনি মারপ্যাঁচের চেয়ে মানবিকতা অনেক বেশি জরুরি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আজ বুধবার ভারতের কেন্দ্র সরকার সর্বোচ্চ আদালতে এই বিষয়ে নথি দাখিল করেছে। কেন্দ্রের এই অঙ্গীকার নথিভুক্ত করে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন যে, সেই নারীকে অবিলম্বে চিকিৎসা সাহায্য দিতে হবে এবং পশ্চিমবঙ্গে তাঁর পরিবারের কাছাকাছি থাকার অনুমতি দিতে হবে।
প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এমন কিছু মামলা থাকে যেখানে আইনের কঠোরতাকে মানবিকতার কাছে নতি স্বীকার করতেই হয়। কিছু ক্ষেত্রে এক অন্য দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।’ সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান যে, সোনালী খাতুন ও তাঁর ছেলে সাবিরকে ‘মানবিক কারণে’ ভারতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব এবং তাদের ওপর যথোপযুক্ত নজরদারি রাখা হবে।
তুষার মেহতা আরও জানান, যেহেতু সরকারি বাহিনীই এই বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করতে সরকারের অবস্থান নথিভুক্ত করে একটি বিচার বিভাগীয় নির্দেশ আবশ্যক। সেই অনুযায়ী, আদালত সরকারকে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্রুত সমন্বয়ের লিখিত নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থার একদম শেষ পর্যায়ে থাকা সোনালীকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল এবং সোনালীর পক্ষে সঞ্জয় হেগড়ের অনুরোধ বিবেচনা করে আদালত নির্দেশ দেন যে, তিনি যাতে বীরভূম জেলায় যেতে এবং সাময়িকভাবে সেখানে থাকতে পারেন, যেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনরা থাকেন।
আদেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘বীরভূমের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, প্রসব সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাসহ সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বিনা মূল্যে প্রদান করতে হবে। তাঁর আট বছরের সন্তানও যেহেতু সঙ্গে থাকবে, তাই সেই শিশুটিকেও সব রকম সাহায্য দেওয়া হবে।’ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, এই কাজগুলো একদিনের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে।
আদালত আরও জানতে চান, সোনালীর বাবা ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা। আদালত সলিসিটার জেনারেলের কাছে জানতে চান, ‘যদি তাঁর বাবা ভারতীয় নাগরিক হন, তবে সেও ভারতীয় নাগরিক, আর তার ছেলেও তাই। প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতি মেনে এ বিষয়ে একটি তদন্ত হওয়া উচিত।’ এরপর আদালত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলাটির শুনানি পিছিয়ে দেয় এবং কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, আরও চারজন বহিষ্কৃত ব্যক্তি যারা দেশে ফিরতে চাইছেন, তাদের বিষয়ে যেন প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা নেওয়া হয়।
বুধবারের এই ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টের গত ২৬ সেপ্টেম্বরের দুটি নির্দেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আপিলের মাধ্যমে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, জুনে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো ৬ ব্যক্তিকে (যার মধ্যে সোনালী, তাঁর নাবালক ছেলে ও স্বামী অন্তর্ভুক্ত) ফিরিয়ে এনে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে। হাইকোর্ট অন্য একটি পিটিশনেও একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল, যেখানে আরেকজন নারী ও তার দুই নাবালক ছেলের বিষয় ছিল।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছিল, সোনালী বহিষ্কারের সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন জানার পর যেন তাকে সাময়িকভাবে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। বেঞ্চ তখন মন্তব্য করেছিল, ‘আমরা বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি। আপনারা নির্দেশিকা নিয়ে বুধবার জানান।’ সেই সময় তুষার মেহতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিলে যে দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। উত্তরে বেঞ্চ বলেছিল, ‘আপনার পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় নজরদারি সাপেক্ষে যা যা দরকার, তা করা যেতে পারে।’
অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই নির্দেশ শুধুমাত্র সোনালী ও তাঁর সন্তানের মানবিক সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং কেন্দ্রের আইনি যুক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বাকি চারজন ব্যক্তির অবস্থা আগামী সপ্তাহে বিবেচনা করা হবে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ভারতের কেন্দ্র সরকার বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাঁর আট বছরের সন্তানসহ ফিরিয়ে আনতে সম্মতি জানিয়েছে। ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিল, এ মামলায় আইনি মারপ্যাঁচের চেয়ে মানবিকতা অনেক বেশি জরুরি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আজ বুধবার ভারতের কেন্দ্র সরকার সর্বোচ্চ আদালতে এই বিষয়ে নথি দাখিল করেছে। কেন্দ্রের এই অঙ্গীকার নথিভুক্ত করে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন যে, সেই নারীকে অবিলম্বে চিকিৎসা সাহায্য দিতে হবে এবং পশ্চিমবঙ্গে তাঁর পরিবারের কাছাকাছি থাকার অনুমতি দিতে হবে।
প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এমন কিছু মামলা থাকে যেখানে আইনের কঠোরতাকে মানবিকতার কাছে নতি স্বীকার করতেই হয়। কিছু ক্ষেত্রে এক অন্য দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।’ সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান যে, সোনালী খাতুন ও তাঁর ছেলে সাবিরকে ‘মানবিক কারণে’ ভারতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব এবং তাদের ওপর যথোপযুক্ত নজরদারি রাখা হবে।
তুষার মেহতা আরও জানান, যেহেতু সরকারি বাহিনীই এই বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করতে সরকারের অবস্থান নথিভুক্ত করে একটি বিচার বিভাগীয় নির্দেশ আবশ্যক। সেই অনুযায়ী, আদালত সরকারকে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্রুত সমন্বয়ের লিখিত নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, গর্ভাবস্থার একদম শেষ পর্যায়ে থাকা সোনালীকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল এবং সোনালীর পক্ষে সঞ্জয় হেগড়ের অনুরোধ বিবেচনা করে আদালত নির্দেশ দেন যে, তিনি যাতে বীরভূম জেলায় যেতে এবং সাময়িকভাবে সেখানে থাকতে পারেন, যেখানে তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনরা থাকেন।
আদেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘বীরভূমের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, প্রসব সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধাসহ সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা বিনা মূল্যে প্রদান করতে হবে। তাঁর আট বছরের সন্তানও যেহেতু সঙ্গে থাকবে, তাই সেই শিশুটিকেও সব রকম সাহায্য দেওয়া হবে।’ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, এই কাজগুলো একদিনের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে।
আদালত আরও জানতে চান, সোনালীর বাবা ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা। আদালত সলিসিটার জেনারেলের কাছে জানতে চান, ‘যদি তাঁর বাবা ভারতীয় নাগরিক হন, তবে সেও ভারতীয় নাগরিক, আর তার ছেলেও তাই। প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতি মেনে এ বিষয়ে একটি তদন্ত হওয়া উচিত।’ এরপর আদালত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলাটির শুনানি পিছিয়ে দেয় এবং কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, আরও চারজন বহিষ্কৃত ব্যক্তি যারা দেশে ফিরতে চাইছেন, তাদের বিষয়ে যেন প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা নেওয়া হয়।
বুধবারের এই ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টের গত ২৬ সেপ্টেম্বরের দুটি নির্দেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের আপিলের মাধ্যমে। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, জুনে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো ৬ ব্যক্তিকে (যার মধ্যে সোনালী, তাঁর নাবালক ছেলে ও স্বামী অন্তর্ভুক্ত) ফিরিয়ে এনে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার পূর্ণ সুযোগ দিতে হবে। হাইকোর্ট অন্য একটি পিটিশনেও একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিল, যেখানে আরেকজন নারী ও তার দুই নাবালক ছেলের বিষয় ছিল।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে বলেছিল, সোনালী বহিষ্কারের সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন জানার পর যেন তাকে সাময়িকভাবে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়। বেঞ্চ তখন মন্তব্য করেছিল, ‘আমরা বিষয়টিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি। আপনারা নির্দেশিকা নিয়ে বুধবার জানান।’ সেই সময় তুষার মেহতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিলে যে দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। উত্তরে বেঞ্চ বলেছিল, ‘আপনার পরামর্শ অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় নজরদারি সাপেক্ষে যা যা দরকার, তা করা যেতে পারে।’
অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এই নির্দেশ শুধুমাত্র সোনালী ও তাঁর সন্তানের মানবিক সহায়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং কেন্দ্রের আইনি যুক্তির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বাকি চারজন ব্যক্তির অবস্থা আগামী সপ্তাহে বিবেচনা করা হবে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগে
রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন—এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের এক তদন্তে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়ার ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ভারতের কেন্দ্র সরকার বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাঁর আট বছরের সন্তানসহ ফিরিয়ে আনতে সম্মতি জানিয়েছে। ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাষায়
২ দিন আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগে
রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন—এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের এক তদন্তে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়ার ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। গত সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভিসা কমপ্লায়েন্স নীতি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসা স্পনসর করতে হলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবছর ‘বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’ (বিসিএ) নামের একটি মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই মূল্যায়নে তিনটি সূচক দেখা হয়। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার, যুক্তরাজ্যে এসে কোর্সে উপস্থিত না হওয়া এবং মাঝপথে কোর্স ত্যাগের হার।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেন মোট ভিসা আবেদনকারীর ৫ শতাংশের বেশি প্রত্যাখ্যাত না হয়। ইতিপূর্বে এই হার ছিল ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ২২ শতাংশ, যা নতুন সীমা থেকে অনেক বেশি।
এই কারণে অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়োগ স্থগিত বা কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার পাকিস্তান থেকে ভর্তি ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। ওভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দেশ থেকেই স্নাতক পর্যায়ের আবেদন বন্ধ করেছে। সান্ডারল্যান্ড এবং কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এটি শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’।
গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান, অক্সফোর্ড ব্রুকস, ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিয়োগ নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছে। বেশির ভাগের দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সময়, ভুয়া আবেদন ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সংস্কারের লক্ষ্য হলো ভুয়া আবেদন প্রতিরোধ এবং মোট অভিবাসন কমানো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন বেড়েছে, যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির শিক্ষা উপদেষ্টা মরিয়ম আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে আবেদন বাতিলের কারণে বিপাকে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিদেশি শিক্ষা এজেন্ট শুধু কমিশনের ভিত্তিতে ভর্তি করাতে আগ্রহী, যা ভুয়া আবেদন বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন টিউশন ফি নির্ভর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হতে পারে গুরুতর।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব বোঝে। তবে একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায়, যারা যুক্তরাজ্যে যাবে—তারা যেন প্রকৃত ও যোগ্য শিক্ষার্থী হন।

যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। গত সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভিসা কমপ্লায়েন্স নীতি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসা স্পনসর করতে হলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবছর ‘বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’ (বিসিএ) নামের একটি মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই মূল্যায়নে তিনটি সূচক দেখা হয়। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার, যুক্তরাজ্যে এসে কোর্সে উপস্থিত না হওয়া এবং মাঝপথে কোর্স ত্যাগের হার।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেন মোট ভিসা আবেদনকারীর ৫ শতাংশের বেশি প্রত্যাখ্যাত না হয়। ইতিপূর্বে এই হার ছিল ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ২২ শতাংশ, যা নতুন সীমা থেকে অনেক বেশি।
এই কারণে অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়োগ স্থগিত বা কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার পাকিস্তান থেকে ভর্তি ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। ওভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দেশ থেকেই স্নাতক পর্যায়ের আবেদন বন্ধ করেছে। সান্ডারল্যান্ড এবং কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এটি শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’।
গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান, অক্সফোর্ড ব্রুকস, ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিয়োগ নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছে। বেশির ভাগের দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সময়, ভুয়া আবেদন ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সংস্কারের লক্ষ্য হলো ভুয়া আবেদন প্রতিরোধ এবং মোট অভিবাসন কমানো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন বেড়েছে, যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির শিক্ষা উপদেষ্টা মরিয়ম আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে আবেদন বাতিলের কারণে বিপাকে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিদেশি শিক্ষা এজেন্ট শুধু কমিশনের ভিত্তিতে ভর্তি করাতে আগ্রহী, যা ভুয়া আবেদন বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন টিউশন ফি নির্ভর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হতে পারে গুরুতর।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব বোঝে। তবে একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায়, যারা যুক্তরাজ্যে যাবে—তারা যেন প্রকৃত ও যোগ্য শিক্ষার্থী হন।

সুপ্রিম কোর্টের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ভারতের কেন্দ্র সরকার বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাঁর আট বছরের সন্তানসহ ফিরিয়ে আনতে সম্মতি জানিয়েছে। ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাষায়
২ দিন আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগে
রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন—এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের এক তদন্তে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়ার ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানিয়ে মোদি প্রটোকল ভেঙেছেন এবং এই আচরণ রুশ পক্ষকে বিস্মিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, মোদির এই পদক্ষেপ সম্পর্কে রাশিয়াকে আগে জানানো হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপিও এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে মোদি নিজেই বিমানবন্দরে পুতিনকে বরণ করেছেন।
দুই দিনব্যাপী ভারত সফরে পুতিন দশম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। আজ রাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত ডিনার অনুষ্ঠিত হবে। ডিনার সম্পর্কে অফিশিয়াল তথ্য প্রকাশ না হলেও এটি ঘনিষ্ঠ আলোচনার পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিমানবন্দর থেকে মোদি ও পুতিন একটি টয়োটা ফর্চুনার গাড়িতে চড়ে রওনা দেন। গাড়িটি মোদি ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে পুতিন তাঁর সরকারি গাড়িতে মোদিকে যাত্রাসঙ্গী করেছিলেন। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির দায়ে দেশটির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পুতিন ও মোদির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তার।
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বাড়াতে চাইছে—বিশেষত সামুদ্রিক পণ্য, আলু, ডালিম, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভোক্তাসামগ্রী ও ওষুধ খাতে।
অন্যদিকে ভারত এখনো রুশ সার আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। প্রতিবছর দেশটি রাশিয়া থেকে তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন টন সার আমদানি করে এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও গভীর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই সফরকে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানিয়ে মোদি প্রটোকল ভেঙেছেন এবং এই আচরণ রুশ পক্ষকে বিস্মিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, মোদির এই পদক্ষেপ সম্পর্কে রাশিয়াকে আগে জানানো হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপিও এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে মোদি নিজেই বিমানবন্দরে পুতিনকে বরণ করেছেন।
দুই দিনব্যাপী ভারত সফরে পুতিন দশম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। আজ রাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত ডিনার অনুষ্ঠিত হবে। ডিনার সম্পর্কে অফিশিয়াল তথ্য প্রকাশ না হলেও এটি ঘনিষ্ঠ আলোচনার পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিমানবন্দর থেকে মোদি ও পুতিন একটি টয়োটা ফর্চুনার গাড়িতে চড়ে রওনা দেন। গাড়িটি মোদি ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে পুতিন তাঁর সরকারি গাড়িতে মোদিকে যাত্রাসঙ্গী করেছিলেন। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির দায়ে দেশটির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পুতিন ও মোদির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তার।
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বাড়াতে চাইছে—বিশেষত সামুদ্রিক পণ্য, আলু, ডালিম, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভোক্তাসামগ্রী ও ওষুধ খাতে।
অন্যদিকে ভারত এখনো রুশ সার আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। প্রতিবছর দেশটি রাশিয়া থেকে তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন টন সার আমদানি করে এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও গভীর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই সফরকে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

সুপ্রিম কোর্টের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ভারতের কেন্দ্র সরকার বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাঁর আট বছরের সন্তানসহ ফিরিয়ে আনতে সম্মতি জানিয়েছে। ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাষায়
২ দিন আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে
রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন—এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের এক তদন্তে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়ার ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন—এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের এক তদন্তে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়ার ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
স্ক্রিপাল রুশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ-এর কর্মকর্তা ছিলেন। পরে তিনি গোপনে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাকে (এমআই-৬) তথ্য সরবরাহ করেন। রাশিয়া বিষয়টি জানতে পারলে ২০০৬ সালে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ধরা পড়া কয়েকজন রুশ গুপ্তচরের বিনিময়ে রাশিয়া পশ্চিমা গোয়েন্দাদের ছেড়ে দেয়। ওই সময়ই একটি উচ্চপর্যায়ের বন্দী বিনিময় চুক্তিতে স্ক্রিপালকে চারজনের সঙ্গে বিনিময় করা হয়।
সেই চুক্তির আওতায় স্ক্রিপালকে সাধারণ ক্ষমা করেন ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর তাঁকে যুক্তরাজ্যে স্থানান্তর করা হয় এবং যুক্তরাজ্য তাঁকে নিরাপত্তা, বাসস্থান ও নাগরিক সুরক্ষা প্রদান করে। যুক্তরাজ্যের স্যালিসবেরিতেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ জানিয়েছে, ২০১৮ সালের মার্চে যুক্তরাজ্যের স্যালিসবেরিতে সাবেক রুশ গুপ্তচর স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়াকে সামরিক মানের নার্ভ এজেন্ট ‘নোভিচক’ দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এই হামলার চার মাস পর স্থানীয় বাসিন্দা ও ডন স্টারজেস নামে এক নারী ওই জৈব রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসে মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর তদন্তেই উঠে এসেছে পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টার তথ্য।
তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান লর্ড হিউজ অব ওমবার্সলে জানান, এমন ঝুঁকিপূর্ণ আন্তর্জাতিক হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই রাশিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমতি ছাড়া ঘটতে পারে না। তাঁর ভাষায়, এটি ছিল ‘অস্বাভাবিকভাবে বেপরোয়া’ একটি অপারেশন এবং ‘এটির অনুমোদন প্রেসিডেন্ট পুতিনই দিয়েছেন।’
পুতিন স্ক্রিপালকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করায় স্ক্রিপাল নিজে এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দারা ভেবেছিলেন তিনি আর লক্ষ্যবস্তু হবেন না। কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে, পুতিন তাঁর পূর্ব প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়—এই আক্রমণ ছিল শুধু প্রতিশোধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ও দেশীয়ভাবে এই বার্তা দেওয়ার জন্য যে, রুশ রাষ্ট্র তাদের স্বার্থে কঠোর ও চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
স্ক্রিপালও তদন্তে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘পুতিনই সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন এবং আমি বিশ্বাস করি তিনিই এই হামলার অনুমতি দিয়েছেন।’
এই হামলার ঘটনায় ব্রিটিশ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ থাকলেও চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, স্ক্রিপালকে সম্পূর্ণ লুকিয়ে নতুন পরিচয় দেওয়া ছাড়া এই হামলা ঠেকানো সম্ভব ছিল না এবং সেই সময়টিতে ঝুঁকি এতটা গুরুতর বলে বিবেচিত হয়নি।
তদন্ত শেষে প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, প্রমাণগুলো অত্যন্ত স্পষ্ট। এই হামলা রুশ রাষ্ট্রের নির্দেশে পরিচালিত হয়েছিল।

রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে বিষপ্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন—এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের এক তদন্তে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়ার ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।
স্ক্রিপাল রুশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউ-এর কর্মকর্তা ছিলেন। পরে তিনি গোপনে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থাকে (এমআই-৬) তথ্য সরবরাহ করেন। রাশিয়া বিষয়টি জানতে পারলে ২০০৬ সালে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ধরা পড়া কয়েকজন রুশ গুপ্তচরের বিনিময়ে রাশিয়া পশ্চিমা গোয়েন্দাদের ছেড়ে দেয়। ওই সময়ই একটি উচ্চপর্যায়ের বন্দী বিনিময় চুক্তিতে স্ক্রিপালকে চারজনের সঙ্গে বিনিময় করা হয়।
সেই চুক্তির আওতায় স্ক্রিপালকে সাধারণ ক্ষমা করেন ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর তাঁকে যুক্তরাজ্যে স্থানান্তর করা হয় এবং যুক্তরাজ্য তাঁকে নিরাপত্তা, বাসস্থান ও নাগরিক সুরক্ষা প্রদান করে। যুক্তরাজ্যের স্যালিসবেরিতেই তিনি স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ জানিয়েছে, ২০১৮ সালের মার্চে যুক্তরাজ্যের স্যালিসবেরিতে সাবেক রুশ গুপ্তচর স্ক্রিপাল ও তাঁর মেয়ে ইউলিয়াকে সামরিক মানের নার্ভ এজেন্ট ‘নোভিচক’ দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। এই হামলার চার মাস পর স্থানীয় বাসিন্দা ও ডন স্টারজেস নামে এক নারী ওই জৈব রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসে মৃত্যু বরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর তদন্তেই উঠে এসেছে পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টার তথ্য।
তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান লর্ড হিউজ অব ওমবার্সলে জানান, এমন ঝুঁকিপূর্ণ আন্তর্জাতিক হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই রাশিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমতি ছাড়া ঘটতে পারে না। তাঁর ভাষায়, এটি ছিল ‘অস্বাভাবিকভাবে বেপরোয়া’ একটি অপারেশন এবং ‘এটির অনুমোদন প্রেসিডেন্ট পুতিনই দিয়েছেন।’
পুতিন স্ক্রিপালকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করায় স্ক্রিপাল নিজে এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দারা ভেবেছিলেন তিনি আর লক্ষ্যবস্তু হবেন না। কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে, পুতিন তাঁর পূর্ব প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছিলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়—এই আক্রমণ ছিল শুধু প্রতিশোধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ও দেশীয়ভাবে এই বার্তা দেওয়ার জন্য যে, রুশ রাষ্ট্র তাদের স্বার্থে কঠোর ও চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
স্ক্রিপালও তদন্তে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, ‘পুতিনই সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন এবং আমি বিশ্বাস করি তিনিই এই হামলার অনুমতি দিয়েছেন।’
এই হামলার ঘটনায় ব্রিটিশ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ থাকলেও চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, স্ক্রিপালকে সম্পূর্ণ লুকিয়ে নতুন পরিচয় দেওয়া ছাড়া এই হামলা ঠেকানো সম্ভব ছিল না এবং সেই সময়টিতে ঝুঁকি এতটা গুরুতর বলে বিবেচিত হয়নি।
তদন্ত শেষে প্রতিবেদনে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, প্রমাণগুলো অত্যন্ত স্পষ্ট। এই হামলা রুশ রাষ্ট্রের নির্দেশে পরিচালিত হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্টের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে ভারতের কেন্দ্র সরকার বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীকে তাঁর আট বছরের সন্তানসহ ফিরিয়ে আনতে সম্মতি জানিয়েছে। ভারতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি বছরের শুরুর দিকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাষায়
২ দিন আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগে