
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে, ১৯৪৪ সালের শেষ দিকে ফরাসি ভূখণ্ডে মার্কিন সেনারা—যারা জিআই নামেও সমধিক পরিচিত—বিপুলসংখ্যক ফরাসি নারীকে ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি ডি-ডে তথা ইউরোপের মাটিতে মিত্র বাহিনীর সেনাদের অবতরণের দিন ৬ জুনকে কেন্দ্র করে বার্তা সংস্থা এএফপি মার্কিন সেনা কর্তৃক ফরাসি নারীদের ধর্ষণ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মার্কিন সেনারা অ্যামি দুপ্রে (৯৯) নামে এক ফরাসি নারীর মাকে ধর্ষণ করেছিল। অ্যামি নিজেই সে বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সময়টা ১৯৪৪-এর জুনের মাঝামাঝি বা তার পর। প্রায় ১০ লাখ মার্কিন, কানাডীয়, ব্রিটিশ ও ফরাসি সেনা ফ্রান্সের নরম্যান্ডি উপকূলে অবতরণ করে।
মিত্র বাহিনীর সেনাদের অবতরণ উপলক্ষে ফরাসিরা বেশ উদ্বেলিত ছিল। কিন্তু তাদের সেই আনন্দ উবে যেতে খুব একটা সময় লাগেনি। দুপ্রে বলছেন, ১৯৪৪ সালের ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় দুই মার্কিন সেনা ফরাসি শহর ব্রিটানির নিকটবর্তী গ্রাম মুন্তুঁওতে পৌঁছায়। দুপ্রে বলছেন, ‘এ সময় তারা মাতাল ছিল এবং তারা একজন নারী চাইছিল।’ এ সময় তিনি তাঁর মায়ের লেখা একটি চিঠি এএফপিকে দেখিয়ে বলেন, ‘কোনো কিছুই ভুলে যাওয়ার মতো নয়।’
ঘটনার সময় অ্যামি দুপ্রের বয়স ছিল ১৯ বছর। তাঁর পরিবারের ভয় ছিল, মার্কিন সেনারা হয়তো তাঁকে নিয়ে যেতে চাইবে। কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন অ্যামি দুপ্রের মা। এ বিষয়ে মেয়ের কাছে লেখা চিঠিতে দুপ্রের মা বলেছেন, ‘তাঁরা আমাকে একটি মাঠে নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে উভয়ে অন্তত চারবার করে আমাকে ধর্ষণ করে।’
মায়ের দুঃসহ স্মৃতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অ্যামি দুপ্রে বলেন, ‘ওহ্, আমার মা! তোমাকে কতই না কষ্ট করতে হয়েছে, আমাকেও। আমি এখনো প্রতিদিন বিষয়টি ভাবি।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে মা নিজেকে বলি দিয়েছিলেন। তারা রাতের বেলায় তাঁকে ধর্ষণ করে আর আমরা গভীর উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম যে, কখন তিনি ফিরে আসবেন। আদৌ তিনি ফিরবেন কি না, কিংবা তাঁকে তারা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে কি না।’
ফ্রান্সে মার্কিন সেনাদের অবতরণের পর এই একটি ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। এমন হাজারো ঘটনা ঘটেছে, যার বেশির ভাগই সামনে আসেনি। এমনকি নরম্যান্ডির যুদ্ধজয়ের পর মার্কিন সেনা কর্তৃপক্ষ অন্তত ১৫২ জন সেনার বিচার করেছিল—ফরাসি নারীদের ধর্ষণের অপরাধে।
হাজারো ফরাসি নারী ধর্ষণের শিকার হলেও তাঁরা মুখ খোলেননি। এ বিষয়ে মার্কিন গবেষক ম্যারি লুইস রবার্ট বলেন, এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি ট্যাবু, যা নিয়ে কখনোই খুব একটা কথা বলা হয়নি। তিনি বলেন, ‘অনেক নারী ধর্ষিতা হয়েও মুখ খোলেননি।’
ফ্রান্সের নারীদের ধর্ষিত হওয়ার পেছনে মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন ম্যারি লুইস রবার্ট। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা সেনাদের লোভ দেখিয়েছিলেন, ফ্রান্স জয় করতে পারলে সেখানকার নারীদের সহজেই পাওয়া যাবে। মূলত তাঁরা সেনাদের মনোবল বাড়াতে মার্কিন কর্মকর্তারা এ ধরনের নোংরা লোভ দেখিয়েছিলেন।
এমনকি বিষয়টি সমর্থন দিতেই যেন মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সংবাদপত্র স্টার অ্যান্ড স্ট্রাইপস বড় আকারে ‘মার্কিন সেনাদের চুমু দিচ্ছে ফরাসি তরুণীরা’—এমন ছবি প্রকাশ করে। সেই ছবির সঙ্গে সংবাদের হেডলাইন ছিল, ‘এ বিষয়টির জন্যই আমরা যুদ্ধ করেছি।’ এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘ফরাসিরা মার্কিন তরুণদের জন্য পাগল।’
গবেষক লুইস রবার্ট বলছেন, ‘যৌনতাকে মার্কিন সেনাদের কাছে একধরনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে যেন উপস্থাপন করা হয়েছিল।’
মার্কিন সেনাদের যুদ্ধাপরাধের আরেক ভুক্তভোগী ফরাসি গ্রাম প্ল্যাবেনেকের জেন পেঁনাম (৮৯)। তিনি বলেন, ‘এই যেন সেদিন মার্কিন সেনারা আমার বোন ক্যাথারিনকে ধর্ষণ করেছে এবং আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এক কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সেনা আমার বড় বোনকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। বাবা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে সে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। পরে সেই লোক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বোনকে ধর্ষণ করে।’
জেন বলেন, ‘সেই লোক ৯ বার আমার বোনকে ধর্ষণ করে। আমি ভেবেছিলাম সেই লোক জার্মান সেনা ছিল। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। আমি মার্কিন ঘাঁটিতে যাই সেই লোকের বিষয়ে খবর দিতে। পরে যখন মার্কিন সেনারা আমার বাবার শরীরে থাকা বুলেট পরীক্ষা করে, তখন দেখতে পায় যে, সে আসলে একজন মার্কিন নাগরিক ছিল।’
জেনের বোন ক্যাথারিন কখনোই আর এই ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খোলেননি। কিন্তু এই ঘটনা তাঁর জীবনকে বিষয়ে তুলেছিল। ক্যাথারিনের মেয়ে জেনাইন প্ল্যাসার্দ জানান, তাঁর মা মৃত্যুশয্যায় নিজের ধর্ষিতা হওয়ার কথা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি আমাকে বলেছিলেন, “স্বাধীনতার সময় আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল”।’
মেয়ের প্রশ্নের জবাবে ক্যাথারিন বলেছিলেন, ‘এটি ছিল স্বাধীনতার সময়, সবাই খুব খুশি ছিল। আমি তাই সেই সময়ে এমন কিছু বলতে চাইনি, যা খুব খারাপ শোনাবে।’ মার্কিন সেনাদের দোভাষী হিসেবে কাজ করা ফরাসি লেখক লুইস গিইউ এমনই কিছু ঘটনা তুলে ধরেছিলেন ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত তাঁর উপন্যাস ‘ওকে জো’তে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ধর্ষণের দায়ে যেসব মার্কিন সেনার বিচার হয়েছিল, তাদের অধিকাংশই ছিল কৃষ্ণাঙ্গ।
অবশ্য অ্যামির মা ও জেনের বোনের ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। ধর্ষণের দায়ে ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে ২৯ জন মার্কিন জিআইকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২৫ জনই কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তু এখানে একটি লুক্কায়িত বিষয় আছে।
গবেষক ম্যারি লুইস রবার্ট বলছেন, সাধারণত শ্বেতাঙ্গ মার্কিন সেনারা বিভিন্ন মোবাইল ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর কালো সেনারা ছিল স্থায়ী ক্যাম্পের। ফলে শ্বেতাঙ্গ মার্কিন সেনারা ধর্ষণ করে থাকলেও তারা দ্রুতই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অনেক দূরে চলে যেত। আর জাতিগত ‘বদ্ধমূল ধারণার’ জন্য কালোদের ওপর ধর্ষণের আরোপ লাগানো খুব সহজ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে, ১৯৪৪ সালের শেষ দিকে ফরাসি ভূখণ্ডে মার্কিন সেনারা—যারা জিআই নামেও সমধিক পরিচিত—বিপুলসংখ্যক ফরাসি নারীকে ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি ডি-ডে তথা ইউরোপের মাটিতে মিত্র বাহিনীর সেনাদের অবতরণের দিন ৬ জুনকে কেন্দ্র করে বার্তা সংস্থা এএফপি মার্কিন সেনা কর্তৃক ফরাসি নারীদের ধর্ষণ নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মার্কিন সেনারা অ্যামি দুপ্রে (৯৯) নামে এক ফরাসি নারীর মাকে ধর্ষণ করেছিল। অ্যামি নিজেই সে বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সময়টা ১৯৪৪-এর জুনের মাঝামাঝি বা তার পর। প্রায় ১০ লাখ মার্কিন, কানাডীয়, ব্রিটিশ ও ফরাসি সেনা ফ্রান্সের নরম্যান্ডি উপকূলে অবতরণ করে।
মিত্র বাহিনীর সেনাদের অবতরণ উপলক্ষে ফরাসিরা বেশ উদ্বেলিত ছিল। কিন্তু তাদের সেই আনন্দ উবে যেতে খুব একটা সময় লাগেনি। দুপ্রে বলছেন, ১৯৪৪ সালের ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় দুই মার্কিন সেনা ফরাসি শহর ব্রিটানির নিকটবর্তী গ্রাম মুন্তুঁওতে পৌঁছায়। দুপ্রে বলছেন, ‘এ সময় তারা মাতাল ছিল এবং তারা একজন নারী চাইছিল।’ এ সময় তিনি তাঁর মায়ের লেখা একটি চিঠি এএফপিকে দেখিয়ে বলেন, ‘কোনো কিছুই ভুলে যাওয়ার মতো নয়।’
ঘটনার সময় অ্যামি দুপ্রের বয়স ছিল ১৯ বছর। তাঁর পরিবারের ভয় ছিল, মার্কিন সেনারা হয়তো তাঁকে নিয়ে যেতে চাইবে। কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন অ্যামি দুপ্রের মা। এ বিষয়ে মেয়ের কাছে লেখা চিঠিতে দুপ্রের মা বলেছেন, ‘তাঁরা আমাকে একটি মাঠে নিয়ে যায় এবং পালাক্রমে উভয়ে অন্তত চারবার করে আমাকে ধর্ষণ করে।’
মায়ের দুঃসহ স্মৃতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অ্যামি দুপ্রে বলেন, ‘ওহ্, আমার মা! তোমাকে কতই না কষ্ট করতে হয়েছে, আমাকেও। আমি এখনো প্রতিদিন বিষয়টি ভাবি।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে মা নিজেকে বলি দিয়েছিলেন। তারা রাতের বেলায় তাঁকে ধর্ষণ করে আর আমরা গভীর উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম যে, কখন তিনি ফিরে আসবেন। আদৌ তিনি ফিরবেন কি না, কিংবা তাঁকে তারা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে কি না।’
ফ্রান্সে মার্কিন সেনাদের অবতরণের পর এই একটি ধর্ষণের ঘটনাই ঘটেনি। এমন হাজারো ঘটনা ঘটেছে, যার বেশির ভাগই সামনে আসেনি। এমনকি নরম্যান্ডির যুদ্ধজয়ের পর মার্কিন সেনা কর্তৃপক্ষ অন্তত ১৫২ জন সেনার বিচার করেছিল—ফরাসি নারীদের ধর্ষণের অপরাধে।
হাজারো ফরাসি নারী ধর্ষণের শিকার হলেও তাঁরা মুখ খোলেননি। এ বিষয়ে মার্কিন গবেষক ম্যারি লুইস রবার্ট বলেন, এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি ট্যাবু, যা নিয়ে কখনোই খুব একটা কথা বলা হয়নি। তিনি বলেন, ‘অনেক নারী ধর্ষিতা হয়েও মুখ খোলেননি।’
ফ্রান্সের নারীদের ধর্ষিত হওয়ার পেছনে মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন ম্যারি লুইস রবার্ট। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা সেনাদের লোভ দেখিয়েছিলেন, ফ্রান্স জয় করতে পারলে সেখানকার নারীদের সহজেই পাওয়া যাবে। মূলত তাঁরা সেনাদের মনোবল বাড়াতে মার্কিন কর্মকর্তারা এ ধরনের নোংরা লোভ দেখিয়েছিলেন।
এমনকি বিষয়টি সমর্থন দিতেই যেন মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সংবাদপত্র স্টার অ্যান্ড স্ট্রাইপস বড় আকারে ‘মার্কিন সেনাদের চুমু দিচ্ছে ফরাসি তরুণীরা’—এমন ছবি প্রকাশ করে। সেই ছবির সঙ্গে সংবাদের হেডলাইন ছিল, ‘এ বিষয়টির জন্যই আমরা যুদ্ধ করেছি।’ এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘ফরাসিরা মার্কিন তরুণদের জন্য পাগল।’
গবেষক লুইস রবার্ট বলছেন, ‘যৌনতাকে মার্কিন সেনাদের কাছে একধরনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে যেন উপস্থাপন করা হয়েছিল।’
মার্কিন সেনাদের যুদ্ধাপরাধের আরেক ভুক্তভোগী ফরাসি গ্রাম প্ল্যাবেনেকের জেন পেঁনাম (৮৯)। তিনি বলেন, ‘এই যেন সেদিন মার্কিন সেনারা আমার বোন ক্যাথারিনকে ধর্ষণ করেছে এবং আমার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এক কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সেনা আমার বড় বোনকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল। বাবা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ালে সে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। পরে সেই লোক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বোনকে ধর্ষণ করে।’
জেন বলেন, ‘সেই লোক ৯ বার আমার বোনকে ধর্ষণ করে। আমি ভেবেছিলাম সেই লোক জার্মান সেনা ছিল। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। আমি মার্কিন ঘাঁটিতে যাই সেই লোকের বিষয়ে খবর দিতে। পরে যখন মার্কিন সেনারা আমার বাবার শরীরে থাকা বুলেট পরীক্ষা করে, তখন দেখতে পায় যে, সে আসলে একজন মার্কিন নাগরিক ছিল।’
জেনের বোন ক্যাথারিন কখনোই আর এই ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খোলেননি। কিন্তু এই ঘটনা তাঁর জীবনকে বিষয়ে তুলেছিল। ক্যাথারিনের মেয়ে জেনাইন প্ল্যাসার্দ জানান, তাঁর মা মৃত্যুশয্যায় নিজের ধর্ষিতা হওয়ার কথা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি আমাকে বলেছিলেন, “স্বাধীনতার সময় আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল”।’
মেয়ের প্রশ্নের জবাবে ক্যাথারিন বলেছিলেন, ‘এটি ছিল স্বাধীনতার সময়, সবাই খুব খুশি ছিল। আমি তাই সেই সময়ে এমন কিছু বলতে চাইনি, যা খুব খারাপ শোনাবে।’ মার্কিন সেনাদের দোভাষী হিসেবে কাজ করা ফরাসি লেখক লুইস গিইউ এমনই কিছু ঘটনা তুলে ধরেছিলেন ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত তাঁর উপন্যাস ‘ওকে জো’তে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ধর্ষণের দায়ে যেসব মার্কিন সেনার বিচার হয়েছিল, তাদের অধিকাংশই ছিল কৃষ্ণাঙ্গ।
অবশ্য অ্যামির মা ও জেনের বোনের ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দিয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। ধর্ষণের দায়ে ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে ২৯ জন মার্কিন জিআইকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২৫ জনই কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তু এখানে একটি লুক্কায়িত বিষয় আছে।
গবেষক ম্যারি লুইস রবার্ট বলছেন, সাধারণত শ্বেতাঙ্গ মার্কিন সেনারা বিভিন্ন মোবাইল ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর কালো সেনারা ছিল স্থায়ী ক্যাম্পের। ফলে শ্বেতাঙ্গ মার্কিন সেনারা ধর্ষণ করে থাকলেও তারা দ্রুতই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অনেক দূরে চলে যেত। আর জাতিগত ‘বদ্ধমূল ধারণার’ জন্য কালোদের ওপর ধর্ষণের আরোপ লাগানো খুব সহজ।

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৮ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে, ১৯৪৪ সালের শেষ দিকে মার্কিন সেনারা ফরাসি ভূখণ্ডে ব্যাপক যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে। সে সময় মার্কিন সেনারা—যারা জিআই নামেও সমধিক পরিচিত—বিপুল পরিমাণ ফরাসি নারীকে ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি ডি-ডে তথা ইউরোপের মাটিতে মিত্রবাহিনীর সেনাদের অবতরণের দিন ৬ জুনকে কেন্দ্র করে বার্তা সংস্
০৯ মে ২০২৪
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৮ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে, ১৯৪৪ সালের শেষ দিকে মার্কিন সেনারা ফরাসি ভূখণ্ডে ব্যাপক যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে। সে সময় মার্কিন সেনারা—যারা জিআই নামেও সমধিক পরিচিত—বিপুল পরিমাণ ফরাসি নারীকে ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি ডি-ডে তথা ইউরোপের মাটিতে মিত্রবাহিনীর সেনাদের অবতরণের দিন ৬ জুনকে কেন্দ্র করে বার্তা সংস্
০৯ মে ২০২৪
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৮ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে, ১৯৪৪ সালের শেষ দিকে মার্কিন সেনারা ফরাসি ভূখণ্ডে ব্যাপক যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে। সে সময় মার্কিন সেনারা—যারা জিআই নামেও সমধিক পরিচিত—বিপুল পরিমাণ ফরাসি নারীকে ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি ডি-ডে তথা ইউরোপের মাটিতে মিত্রবাহিনীর সেনাদের অবতরণের দিন ৬ জুনকে কেন্দ্র করে বার্তা সংস্
০৯ মে ২০২৪
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে, ১৯৪৪ সালের শেষ দিকে মার্কিন সেনারা ফরাসি ভূখণ্ডে ব্যাপক যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে। সে সময় মার্কিন সেনারা—যারা জিআই নামেও সমধিক পরিচিত—বিপুল পরিমাণ ফরাসি নারীকে ধর্ষণ করেছে। সম্প্রতি ডি-ডে তথা ইউরোপের মাটিতে মিত্রবাহিনীর সেনাদের অবতরণের দিন ৬ জুনকে কেন্দ্র করে বার্তা সংস্
০৯ মে ২০২৪
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৮ ঘণ্টা আগে