আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা প্রকাশের কথা রয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের। নতুন অভিবাসন নীতি অনুযায়ী—বিদেশি নাগরিকেরা আর ৫ বছর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
নতুন নীতিতে, এখন থেকে অধিকাংশ অভিবাসীকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি দেশের অর্থনীতি ও সমাজে ‘বাস্তব ও স্থায়ী অবদান’ রেখেছেন, তাহলে তিনি ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আবেদন করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, যারা নিয়মিত আয়কর দেন, ন্যাশনাল হেলথ সেন্টারে (এনএইচএস) চিকিৎসক, নার্স বা হাসপাতালের কর্মী হিসেবে কাজ করেন, বা ব্যতিক্রমী স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে যুক্ত আছেন—তাঁদের জন্য এই সুযোগ থাকবে।
স্থায়ী বসবাস বা নাগরিকত্ব পাওয়ার মানে হলো—কল্যাণ ভাতা, বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, ভোটাধিকার এবং ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাওয়া। এই নতুন নিয়ম অনেকটা ডেনমার্কের মতো, যেখানে অভিবাসীদের সমাজের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যেতে এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য নানা শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। ডেনমার্কের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়াটিও বেশ সময়সাপেক্ষ।
ব্রিটেন সরকারের ভাষ্যমতে, নিট অভিবাসনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতেই এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে নিট অভিবাসনের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ২৮ হাজার। একই সঙ্গে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে লেবার পার্টিকে চাপে ফেলতে থাকা রিফর্ম ইউকে পার্টির (নাইজেল ফারাজের দল) হুমকিও মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সমালোচনা করে বলেছে—তারা মোট অভিবাসন সংখ্যা কমাতে কোনো নির্দিষ্ট সীমা (ক্যাপ) নির্ধারণ করেনি। নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ নিশ্চিত করতে আজ পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করবে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা।
ভিসা পেতে ইংরেজি দক্ষতায় কড়াকড়ি, বাড়ছে শর্ত
যুক্তরাজ্যে ভিসা পেতে হলে এখন থেকে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের আরও কঠিন ইংরেজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নতুন অভিবাসন নীতিতে বলা হয়েছে, তাঁদের এখন এমন পর্যায়ের ইংরেজি জানতে হবে যা ‘এ’ লেভেল সমমানের—যেখানে তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীলভাবে সামাজিক, একাডেমিক ও পেশাগত পরিবেশে কথা বলতে পারবেন। এর আগে শুধু জিসিএসই সমমানের ইংরেজি জানলেই চলত, যেখানে শুধু দৈনন্দিন বিষয় বুঝতে পারা এবং ভ্রমণের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট বলে বিবেচিত হতো।
এখন থেকে শুধু ভিসার জন্য নয়—যারা স্থায়ীভাবে বসবাস বা নাগরিকত্ব চাচ্ছেন, এমনকি যারা বিদেশি শিক্ষার্থী, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই এ-লেভেল মানের ইংরেজি বা বি-২ লেভেলের ইংরেজি জানার শর্ত প্রযোজ্য হবে।
আর প্রথমবারের মতো, যারা সফল ভিসা আবেদনকারীর সঙ্গী, সন্তান বা অভিভাবক হিসেবে যুক্তরাজ্যে যেতে চান, তাঁদেরও এ-১ স্তরের ইংরেজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে—যেখানে ইংরেজির প্রাথমিক জ্ঞান যাচাই করা হয়। যদি তাঁরা যুক্তরাজ্যে আরও দুই বছর থাকতে চান, তাহলে তাঁদের আরও ভালো ইংরেজি জেনে এ-২ স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
বিদেশ থেকে কেয়ার কর্মী নেওয়া বন্ধ, নিয়োগ দিতে হবে দেশের ভেতর থেকেই
এ বছরের শেষ থেকে কেয়ার হোমগুলো আর সরাসরি বিদেশ থেকে কর্মী আনতে পারবে না। এখন থেকে তাদের যুক্তরাজ্যে থাকা বিদেশি নাগরিক বা ব্রিটিশ নাগরিকদের কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজারের মতো বিদেশি কর্মী রয়েছেন, যারা কেয়ার ভিসায় এসেছেন, কিন্তু পরে তাঁদের স্পনসরশিপ বাতিল হয়েছে। ওই ৪০ হাজার অভিবাসী থেকেই কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে কেয়ার হোমগুলো। তাই আমরা বিদেশ থেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি কেয়ার সেক্টরে কর্মীদের “ন্যায্য মজুরি” নিশ্চিতকরণের বিষয়টি নিয়েও এগোচ্ছি। কেয়ার সেক্টরের মূল সমস্যাগুলো কোনো দিনই ঠিকভাবে সমাধান হয়নি। এবার আমরা সেটাই করব।’
কেয়ার ভিসার পাশাপাশি অন্য ভিসায় আসা অভিবাসীদেরও এই সেক্টরে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে।
নতুন এই সিদ্ধান্তের পর প্রায় ৫০ হাজার ভিসা কম ইস্যু হবে বলে ধারণা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যেখানে স্বাস্থ্য ও কেয়ার ভিসার সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লাখ, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৮ হাজার ৭০০ এ—এর মধ্যে প্রায় ৭ হাজার জন ছিলেন সামাজিক কেয়ার ওয়ার্কার। কনজারভেটিভ সরকার বিদেশি কেয়ার ওয়ার্কারদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর কমে আসে এই সংখ্যা।
লেবার পার্টির নতুন এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছেন কেয়ার ইংল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী মার্টিন গ্রিন। তিনি বলেন, ‘এটা একটা বড় ধাক্কা। এই সেক্টর বহুদিন ধরে বাজেট স্বল্পতা, অতিরিক্ত ব্যয় আর কর্মী সংকটের সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছে। বিদেশি কর্মী নিয়োগ যথাযথ সমাধান না হলেও, অনেকটা শেষ সম্বলের মতো ছিল সেটি। কোনো বিকল্প না খুঁজে আগেই সেটি বন্ধ করে দেওয়া হলো—এটা কেবল অদূরদর্শিতা নয়, নিষ্ঠুরতাও।’
অপরাধীদের দেশে ফেরত পাঠানো
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অভিবাসীদের জন্য এবার আসতে চলেছে কঠিন সময়। শ্বেতপত্রে নতুন প্রস্তাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ছোটখাটো কোনো অপরাধ করেও পার পাবে না কেউ। ছোটখাটো নিয়মভঙ্গের অপরাধ করলেও তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
নতুন এই নিয়মের আগ পর্যন্ত শুধু এক বছরের বেশি কারাদণ্ড হলে তবেই স্বরাষ্ট্র দপ্তরে রিপোর্ট করা হতো এবং তাঁকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু করা যেত। কিন্তু নতুন নিয়মে ছোট অপরাধ করলেও ভিসা বাতিল হয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি বাড়বে।
এ ছাড়া নতুন এই ব্যবস্থায় যদি কোনো বিদেশি যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অপরাধীর তালিকায় ওঠেন, তাহলে তাঁর অপরাধ যত ছোটই হোক, তাঁকে ‘গুরুতর অপরাধী’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ফলে তিনি আর যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়ে সুরক্ষা পাবেন না। এমনকি নিজ দেশে অপরাধ করে তা গোপন রেখে যুক্তরাজ্যে এলে তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম। তাঁর অপরাধ সম্পর্কে জানা মাত্রই দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিদেশি কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মানদণ্ড বৃদ্ধি
শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড আবারও স্নাতক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা হবে। বরিস জনসনের সময় এই শর্ত বাতিল করে এর পরিবর্তে একটি পয়েন্টভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, যেখানে কেবল এ-লেভেল সমমানের যোগ্যতা এবং বেতনের ভিত্তিতে বিদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়া হতো।
তবে এখনো নিয়োগকর্তারা পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থার আওতায় অপেক্ষাকৃত কম দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দিতে পারবেন—কিন্তু কেবল সেসব খাতে যেগুলোকে সরকার ‘জরুরি খাত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং যেখানে জনবল সংকট দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে, যেমন—আইটি, নির্মাণ ও প্রকৌশল।
এই খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ কেবল ‘অস্থায়ী ও নির্দিষ্ট মেয়াদে’ অনুমোদিত হবে এবং নিয়োগকর্তাদের একটি নতুন সরকারি সংস্থার কাছে প্রমাণ দিতে হবে যে তাঁরা ব্রিটিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য অ্যাপ্রেনটিসশিপ ও অন্যান্য প্রকল্প চালাচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতে এই ঘাটতি পূরণ করা যায়।
বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নতুন বাধা আসছে
শ্বেতপত্রে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাজ্যে থাকতে চাইলে বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদের শুধু ভালো বেতনের চাকরি হলেই হবে না—চাকরিটা হতে হবে অবশ্যই দক্ষতা-ভিত্তিক, গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের। এখন পর্যন্ত নিয়ম ছিল, ডিগ্রি শেষ করার পর বিদেশি শিক্ষার্থীরা দুই বছর (আর পিএইচডি করলে তিন বছর) যুক্তরাজ্যে ‘গ্র্যাজুয়েট ভিসা’ নিয়ে চাকরি খুঁজতে পারবেন। এই সুযোগকে স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়ার পথ বা ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাই নতুন নিয়ম করল যুক্তরাজ্য সরকার।
তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার অভিবাসন কমাতে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা সংখ্যাগত সীমা নির্ধারণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নিট অভিবাসন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর পরিকল্পনা নিচ্ছি। আপনি জানেন, অতীতে কনজারভেটিভ সরকারগুলো অনেক লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর কিছুই পূরণ হয়নি। ফলে, এসব লক্ষ্য সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই ক্ষুণ্ন করেছে। এ কারণেই আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণের পথ অনুসরণ করছি না।’
এদিকে কনজারভেটিভ পার্টি বলছে, তারা অভিবাসনের ওপর বাধ্যতামূলক সীমা (ক্যাপ) চালু করার পক্ষে। পাশাপাশি অভিবাসন ইস্যুতে মানবাধিকার আইনের কিছু দিকও বাতিল চায় তারা। আর এ ইস্যুতে আজ সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে বলেও জানিয়েছে দলটি। ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপ বলেন, ‘স্টারমার একসময় বিপজ্জনক বিদেশি অপরাধীদের ফেরত পাঠানোর বিরোধিতা করেছিলেন। এখন তিনিই অভিবাসন নিয়ে কঠোর হচ্ছেন—এটা হাস্যকর!’
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘স্টারমার নিজের দলের এমপিদের দিয়েই ১০ বছর আবাসকাল ও অবদানের শর্তের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। অথচ এখন সেটিই কার্যকর করতে চলেছেন। কনজারভেটিভদের নেওয়া পদক্ষেপেরই কৃতিত্ব নিতে চাইছেন তিনি।’

যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা প্রকাশের কথা রয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের। নতুন অভিবাসন নীতি অনুযায়ী—বিদেশি নাগরিকেরা আর ৫ বছর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
নতুন নীতিতে, এখন থেকে অধিকাংশ অভিবাসীকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে ১০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি দেশের অর্থনীতি ও সমাজে ‘বাস্তব ও স্থায়ী অবদান’ রেখেছেন, তাহলে তিনি ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আবেদন করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ, যারা নিয়মিত আয়কর দেন, ন্যাশনাল হেলথ সেন্টারে (এনএইচএস) চিকিৎসক, নার্স বা হাসপাতালের কর্মী হিসেবে কাজ করেন, বা ব্যতিক্রমী স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে যুক্ত আছেন—তাঁদের জন্য এই সুযোগ থাকবে।
স্থায়ী বসবাস বা নাগরিকত্ব পাওয়ার মানে হলো—কল্যাণ ভাতা, বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, ভোটাধিকার এবং ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাওয়া। এই নতুন নিয়ম অনেকটা ডেনমার্কের মতো, যেখানে অভিবাসীদের সমাজের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে যেতে এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য নানা শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। ডেনমার্কের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়াটিও বেশ সময়সাপেক্ষ।
ব্রিটেন সরকারের ভাষ্যমতে, নিট অভিবাসনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতেই এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ১২ মাসে নিট অভিবাসনের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ২৮ হাজার। একই সঙ্গে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে লেবার পার্টিকে চাপে ফেলতে থাকা রিফর্ম ইউকে পার্টির (নাইজেল ফারাজের দল) হুমকিও মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সমালোচনা করে বলেছে—তারা মোট অভিবাসন সংখ্যা কমাতে কোনো নির্দিষ্ট সীমা (ক্যাপ) নির্ধারণ করেনি। নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ নিশ্চিত করতে আজ পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করবে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা।
ভিসা পেতে ইংরেজি দক্ষতায় কড়াকড়ি, বাড়ছে শর্ত
যুক্তরাজ্যে ভিসা পেতে হলে এখন থেকে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের আরও কঠিন ইংরেজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নতুন অভিবাসন নীতিতে বলা হয়েছে, তাঁদের এখন এমন পর্যায়ের ইংরেজি জানতে হবে যা ‘এ’ লেভেল সমমানের—যেখানে তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীলভাবে সামাজিক, একাডেমিক ও পেশাগত পরিবেশে কথা বলতে পারবেন। এর আগে শুধু জিসিএসই সমমানের ইংরেজি জানলেই চলত, যেখানে শুধু দৈনন্দিন বিষয় বুঝতে পারা এবং ভ্রমণের সময় সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার দক্ষতা থাকাই যথেষ্ট বলে বিবেচিত হতো।
এখন থেকে শুধু ভিসার জন্য নয়—যারা স্থায়ীভাবে বসবাস বা নাগরিকত্ব চাচ্ছেন, এমনকি যারা বিদেশি শিক্ষার্থী, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই এ-লেভেল মানের ইংরেজি বা বি-২ লেভেলের ইংরেজি জানার শর্ত প্রযোজ্য হবে।
আর প্রথমবারের মতো, যারা সফল ভিসা আবেদনকারীর সঙ্গী, সন্তান বা অভিভাবক হিসেবে যুক্তরাজ্যে যেতে চান, তাঁদেরও এ-১ স্তরের ইংরেজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে—যেখানে ইংরেজির প্রাথমিক জ্ঞান যাচাই করা হয়। যদি তাঁরা যুক্তরাজ্যে আরও দুই বছর থাকতে চান, তাহলে তাঁদের আরও ভালো ইংরেজি জেনে এ-২ স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
বিদেশ থেকে কেয়ার কর্মী নেওয়া বন্ধ, নিয়োগ দিতে হবে দেশের ভেতর থেকেই
এ বছরের শেষ থেকে কেয়ার হোমগুলো আর সরাসরি বিদেশ থেকে কর্মী আনতে পারবে না। এখন থেকে তাদের যুক্তরাজ্যে থাকা বিদেশি নাগরিক বা ব্রিটিশ নাগরিকদের কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজারের মতো বিদেশি কর্মী রয়েছেন, যারা কেয়ার ভিসায় এসেছেন, কিন্তু পরে তাঁদের স্পনসরশিপ বাতিল হয়েছে। ওই ৪০ হাজার অভিবাসী থেকেই কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে কেয়ার হোমগুলো। তাই আমরা বিদেশ থেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি কেয়ার সেক্টরে কর্মীদের “ন্যায্য মজুরি” নিশ্চিতকরণের বিষয়টি নিয়েও এগোচ্ছি। কেয়ার সেক্টরের মূল সমস্যাগুলো কোনো দিনই ঠিকভাবে সমাধান হয়নি। এবার আমরা সেটাই করব।’
কেয়ার ভিসার পাশাপাশি অন্য ভিসায় আসা অভিবাসীদেরও এই সেক্টরে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে।
নতুন এই সিদ্ধান্তের পর প্রায় ৫০ হাজার ভিসা কম ইস্যু হবে বলে ধারণা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যেখানে স্বাস্থ্য ও কেয়ার ভিসার সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লাখ, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৮ হাজার ৭০০ এ—এর মধ্যে প্রায় ৭ হাজার জন ছিলেন সামাজিক কেয়ার ওয়ার্কার। কনজারভেটিভ সরকার বিদেশি কেয়ার ওয়ার্কারদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে আনার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর কমে আসে এই সংখ্যা।
লেবার পার্টির নতুন এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছেন কেয়ার ইংল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী মার্টিন গ্রিন। তিনি বলেন, ‘এটা একটা বড় ধাক্কা। এই সেক্টর বহুদিন ধরে বাজেট স্বল্পতা, অতিরিক্ত ব্যয় আর কর্মী সংকটের সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছে। বিদেশি কর্মী নিয়োগ যথাযথ সমাধান না হলেও, অনেকটা শেষ সম্বলের মতো ছিল সেটি। কোনো বিকল্প না খুঁজে আগেই সেটি বন্ধ করে দেওয়া হলো—এটা কেবল অদূরদর্শিতা নয়, নিষ্ঠুরতাও।’
অপরাধীদের দেশে ফেরত পাঠানো
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অভিবাসীদের জন্য এবার আসতে চলেছে কঠিন সময়। শ্বেতপত্রে নতুন প্রস্তাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে ছোটখাটো কোনো অপরাধ করেও পার পাবে না কেউ। ছোটখাটো নিয়মভঙ্গের অপরাধ করলেও তা সঙ্গে সঙ্গে জানানো হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
নতুন এই নিয়মের আগ পর্যন্ত শুধু এক বছরের বেশি কারাদণ্ড হলে তবেই স্বরাষ্ট্র দপ্তরে রিপোর্ট করা হতো এবং তাঁকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু করা যেত। কিন্তু নতুন নিয়মে ছোট অপরাধ করলেও ভিসা বাতিল হয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি বাড়বে।
এ ছাড়া নতুন এই ব্যবস্থায় যদি কোনো বিদেশি যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অপরাধীর তালিকায় ওঠেন, তাহলে তাঁর অপরাধ যত ছোটই হোক, তাঁকে ‘গুরুতর অপরাধী’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ফলে তিনি আর যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়ে সুরক্ষা পাবেন না। এমনকি নিজ দেশে অপরাধ করে তা গোপন রেখে যুক্তরাজ্যে এলে তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম। তাঁর অপরাধ সম্পর্কে জানা মাত্রই দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিদেশি কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মানদণ্ড বৃদ্ধি
শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড আবারও স্নাতক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা হবে। বরিস জনসনের সময় এই শর্ত বাতিল করে এর পরিবর্তে একটি পয়েন্টভিত্তিক অভিবাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল, যেখানে কেবল এ-লেভেল সমমানের যোগ্যতা এবং বেতনের ভিত্তিতে বিদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়া হতো।
তবে এখনো নিয়োগকর্তারা পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থার আওতায় অপেক্ষাকৃত কম দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দিতে পারবেন—কিন্তু কেবল সেসব খাতে যেগুলোকে সরকার ‘জরুরি খাত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং যেখানে জনবল সংকট দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছে, যেমন—আইটি, নির্মাণ ও প্রকৌশল।
এই খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ কেবল ‘অস্থায়ী ও নির্দিষ্ট মেয়াদে’ অনুমোদিত হবে এবং নিয়োগকর্তাদের একটি নতুন সরকারি সংস্থার কাছে প্রমাণ দিতে হবে যে তাঁরা ব্রিটিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য অ্যাপ্রেনটিসশিপ ও অন্যান্য প্রকল্প চালাচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতে এই ঘাটতি পূরণ করা যায়।
বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নতুন বাধা আসছে
শ্বেতপত্রে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাজ্যে থাকতে চাইলে বিদেশি গ্র্যাজুয়েটদের শুধু ভালো বেতনের চাকরি হলেই হবে না—চাকরিটা হতে হবে অবশ্যই দক্ষতা-ভিত্তিক, গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের। এখন পর্যন্ত নিয়ম ছিল, ডিগ্রি শেষ করার পর বিদেশি শিক্ষার্থীরা দুই বছর (আর পিএইচডি করলে তিন বছর) যুক্তরাজ্যে ‘গ্র্যাজুয়েট ভিসা’ নিয়ে চাকরি খুঁজতে পারবেন। এই সুযোগকে স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়ার পথ বা ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাই নতুন নিয়ম করল যুক্তরাজ্য সরকার।
তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার অভিবাসন কমাতে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা সংখ্যাগত সীমা নির্ধারণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নিট অভিবাসন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর পরিকল্পনা নিচ্ছি। আপনি জানেন, অতীতে কনজারভেটিভ সরকারগুলো অনেক লক্ষ্য ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর কিছুই পূরণ হয়নি। ফলে, এসব লক্ষ্য সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই ক্ষুণ্ন করেছে। এ কারণেই আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারণের পথ অনুসরণ করছি না।’
এদিকে কনজারভেটিভ পার্টি বলছে, তারা অভিবাসনের ওপর বাধ্যতামূলক সীমা (ক্যাপ) চালু করার পক্ষে। পাশাপাশি অভিবাসন ইস্যুতে মানবাধিকার আইনের কিছু দিকও বাতিল চায় তারা। আর এ ইস্যুতে আজ সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে বলেও জানিয়েছে দলটি। ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপ বলেন, ‘স্টারমার একসময় বিপজ্জনক বিদেশি অপরাধীদের ফেরত পাঠানোর বিরোধিতা করেছিলেন। এখন তিনিই অভিবাসন নিয়ে কঠোর হচ্ছেন—এটা হাস্যকর!’
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘স্টারমার নিজের দলের এমপিদের দিয়েই ১০ বছর আবাসকাল ও অবদানের শর্তের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। অথচ এখন সেটিই কার্যকর করতে চলেছেন। কনজারভেটিভদের নেওয়া পদক্ষেপেরই কৃতিত্ব নিতে চাইছেন তিনি।’

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

যুক্তরাজ্যে ভিসা পেতে হলে এখন থেকে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের আরও কঠিন ইংরেজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নতুন অভিবাসন নীতিতে বলা হয়েছে, তাঁদের এখন এমন পর্যায়ের ইংরেজি জানতে হবে যা ‘এ’ লেভেল সমমানের—যেখানে তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীলভাবে সামাজিক, একাডেমিক ও পেশাগত পরিবেশে কথা বলতে পারবেন।
১২ মে ২০২৫
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

যুক্তরাজ্যে ভিসা পেতে হলে এখন থেকে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের আরও কঠিন ইংরেজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নতুন অভিবাসন নীতিতে বলা হয়েছে, তাঁদের এখন এমন পর্যায়ের ইংরেজি জানতে হবে যা ‘এ’ লেভেল সমমানের—যেখানে তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীলভাবে সামাজিক, একাডেমিক ও পেশাগত পরিবেশে কথা বলতে পারবেন।
১২ মে ২০২৫
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

যুক্তরাজ্যে ভিসা পেতে হলে এখন থেকে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের আরও কঠিন ইংরেজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নতুন অভিবাসন নীতিতে বলা হয়েছে, তাঁদের এখন এমন পর্যায়ের ইংরেজি জানতে হবে যা ‘এ’ লেভেল সমমানের—যেখানে তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীলভাবে সামাজিক, একাডেমিক ও পেশাগত পরিবেশে কথা বলতে পারবেন।
১২ মে ২০২৫
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

যুক্তরাজ্যে ভিসা পেতে হলে এখন থেকে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের আরও কঠিন ইংরেজি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নতুন অভিবাসন নীতিতে বলা হয়েছে, তাঁদের এখন এমন পর্যায়ের ইংরেজি জানতে হবে যা ‘এ’ লেভেল সমমানের—যেখানে তাঁরা স্বতঃস্ফূর্ত ও সাবলীলভাবে সামাজিক, একাডেমিক ও পেশাগত পরিবেশে কথা বলতে পারবেন।
১২ মে ২০২৫
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগে