অনলাইন ডেস্ক
লেবার পার্টির সামনে সতর্ক সংকেত সবসময়ই ছিল। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে ২০১৫ সালে টিউলিপ সিদ্দিকের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছিল, তা থেকেই সতর্ক হওয়া যেত। কিন্তু ওই ছবি লেবার পার্টির ভেতর উদ্বেগ সৃষ্টি করলেও সেটাকে গুরুত্ব দেয়নি দলে নীতিনির্ধারকরা। তাঁরা এখন আত্মগ্লানিতে ভুগছেন।
ওই সময় লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন টিউলিপ। ২০১৩ সালে এক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল রাশিয়ার ক্রেমলিনে গিয়েছিল। ওই প্রতিনিধি দলে হাসিনার সঙ্গে ছিলেন টিউলিপ, খালার পাশে দাঁড়ানো টিউলিপসহ ছবিটি তখনই তোলা হয়।
এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডকে টিউলিপ বলেন, ‘আমি খালার প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলাম না। তাঁর সঙ্গে তেমন একটা দেখা হয় না বলে, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। ওই সাক্ষাতের সময় পুতিন বললেন, ‘তোমার পরিবার এখানে আছে? আমি একটি ছবি তুলতে চাই।’ এখন বুঝতে পারি, এর প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা আমার ভাবা উচিত ছিল। আমার মনে হয়, পুতিন হয়তো ভাবছিলেন, ‘কার সঙ্গে আমি অস্ত্র চুক্তি করছি, কে এই মেয়ে?’
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে টিউলিপের সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কেউ কেউ এখন আফসোস করছেন। তাঁরা বলছেন, টিউলিপ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার আগে এর প্রভাব ও পরিণতি নিয়ে আরও চিন্তা করা উচিত ছিল। তাঁরা ভুল করে ফেলেছেন।
লেবার পার্টির এক এমপিকে উদ্ধৃত করে দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, ‘এটি ছিল একেবারেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সবাই জানত, তিনি বাংলাদেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, যাদের ক্ষমতা এবং অর্থ-প্রতিপত্তির সঙ্গে গভীর সংযোগ আছে। কে আর ভেবেছিল যে, তাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার পর এত ঝক্কি সামলাতে হবে!’
মন্ত্রী হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিক কোনো বিধিলঙ্ঘন করেননি বলে তদন্তে বের হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বতন্ত্র উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস বলেছেন, ‘তাঁর (টিউলিপ) আর্থিক লেনদেন বা সম্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি।’
তবে ম্যাগনাস তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, নিজের কর্মকাণ্ডে কোনো অনিয়ম নেই দাবির পক্ষে টিউলিপ উল্লেখযোগ্য তথ্য দিলেও অতিক্রান্ত সময় বিবেচনায় বিষয়টি দুঃখজনক। কারণ, আবাসন নিয়ে চূড়ান্ত তথ্য দেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ যে ফ্ল্যাটে বসবাস করেন, তা তার পরিবারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে এসেছে বলে জানালেও তিনি এর মালিকানা হস্তান্তরের ফর্মে স্বাক্ষর করেন।
একজন সরকারী কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘কেউ একটি ফ্ল্যাট উপহার পেলে এর উৎস সম্পর্কে জানবে না— এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘সরকারে ফিরে আসার জন্য আপনার দরজা সবসময় খোলা থাকবে।’
টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এমা রেনল্ডস, যিনি আগে লবিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তাকে নিয়ে বিতর্ক লেবার পার্টির মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা ব্রিটেনে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারের চলমান প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের এই ঘটনা প্রমাণ করে, সঠিক নিয়োগের জন্য কেবল ব্যক্তিগত যোগ্যতা নয়। বরং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর অতীত ও সম্পর্কগুলোও বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেবার পার্টির সামনে সতর্ক সংকেত সবসময়ই ছিল। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে ২০১৫ সালে টিউলিপ সিদ্দিকের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছিল, তা থেকেই সতর্ক হওয়া যেত। কিন্তু ওই ছবি লেবার পার্টির ভেতর উদ্বেগ সৃষ্টি করলেও সেটাকে গুরুত্ব দেয়নি দলে নীতিনির্ধারকরা। তাঁরা এখন আত্মগ্লানিতে ভুগছেন।
ওই সময় লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন টিউলিপ। ২০১৩ সালে এক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল রাশিয়ার ক্রেমলিনে গিয়েছিল। ওই প্রতিনিধি দলে হাসিনার সঙ্গে ছিলেন টিউলিপ, খালার পাশে দাঁড়ানো টিউলিপসহ ছবিটি তখনই তোলা হয়।
এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের ইভনিং স্ট্যান্ডার্ডকে টিউলিপ বলেন, ‘আমি খালার প্রতিনিধি দলের অংশ ছিলাম না। তাঁর সঙ্গে তেমন একটা দেখা হয় না বলে, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। ওই সাক্ষাতের সময় পুতিন বললেন, ‘তোমার পরিবার এখানে আছে? আমি একটি ছবি তুলতে চাই।’ এখন বুঝতে পারি, এর প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটা আমার ভাবা উচিত ছিল। আমার মনে হয়, পুতিন হয়তো ভাবছিলেন, ‘কার সঙ্গে আমি অস্ত্র চুক্তি করছি, কে এই মেয়ে?’
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে টিউলিপের সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হওয়ার পর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) কেউ কেউ এখন আফসোস করছেন। তাঁরা বলছেন, টিউলিপ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার আগে এর প্রভাব ও পরিণতি নিয়ে আরও চিন্তা করা উচিত ছিল। তাঁরা ভুল করে ফেলেছেন।
লেবার পার্টির এক এমপিকে উদ্ধৃত করে দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, ‘এটি ছিল একেবারেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। সবাই জানত, তিনি বাংলাদেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, যাদের ক্ষমতা এবং অর্থ-প্রতিপত্তির সঙ্গে গভীর সংযোগ আছে। কে আর ভেবেছিল যে, তাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার পর এত ঝক্কি সামলাতে হবে!’
মন্ত্রী হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিক কোনো বিধিলঙ্ঘন করেননি বলে তদন্তে বের হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বতন্ত্র উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস বলেছেন, ‘তাঁর (টিউলিপ) আর্থিক লেনদেন বা সম্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি।’
তবে ম্যাগনাস তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, নিজের কর্মকাণ্ডে কোনো অনিয়ম নেই দাবির পক্ষে টিউলিপ উল্লেখযোগ্য তথ্য দিলেও অতিক্রান্ত সময় বিবেচনায় বিষয়টি দুঃখজনক। কারণ, আবাসন নিয়ে চূড়ান্ত তথ্য দেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ যে ফ্ল্যাটে বসবাস করেন, তা তার পরিবারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে এসেছে বলে জানালেও তিনি এর মালিকানা হস্তান্তরের ফর্মে স্বাক্ষর করেন।
একজন সরকারী কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘কেউ একটি ফ্ল্যাট উপহার পেলে এর উৎস সম্পর্কে জানবে না— এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।’
টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘সরকারে ফিরে আসার জন্য আপনার দরজা সবসময় খোলা থাকবে।’
টিউলিপের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এমা রেনল্ডস, যিনি আগে লবিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু তাকে নিয়ে বিতর্ক লেবার পার্টির মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা ব্রিটেনে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারের চলমান প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের এই ঘটনা প্রমাণ করে, সঠিক নিয়োগের জন্য কেবল ব্যক্তিগত যোগ্যতা নয়। বরং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর অতীত ও সম্পর্কগুলোও বিবেচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থবারের মতো দিল্লির শাসনক্ষমতায় বসতে চাইছে, অন্যদিকে বিজেপি দিল্লিতে নতুন এক শুরুর প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেস তাঁর ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছে। এর মধ্যে এই নির্বাচনের ফল নিয়ে চাণক্য স্ট্রাটেজিস পূর্বাভাসে বলা হয়, আপ ২৫-২৮টি আসন পাবে, বিজেপি পাবে ৩৯-৪৪টি আসন এবং কংগ্রেস ৩টি
৬ মিনিট আগেসর্বশেষ ৩২ বছর আগে ১৯৯৩ সালে দিল্লির বিধানসভা ভোটে জয়ের মুখ দেখেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আজ শনিবার দুপুর ১টায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির ভোট গণনা সরাসরি সম্প্রচার থেকে দেখা যায়, দিল্লির মসনদে বসার লড়াইয়ে পাল্লা ভারী বিজেপির। ৭০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৮টি আসনে এগিয়ে আছে এবং আম আদমি পার্টি (আপ)
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে ইলন মাস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই টাইম ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক প্রচ্ছদ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ইলন মাস্ককে হোয়াইট হাউসের রেজলুট ডেস্কের পেছনে বসানো হয়েছে। এই প্রচ্ছদ ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির ২ হাজার ২০০ কর্মীকে সবেতনে ছুটিতে পাঠানোর যে পরিকল্পনা করেছিলেন, তা কার্যকর হওয়ার কিছু ঘণ্টা আগে স্থগিত করে দিয়েছেন এক বিচারক। গতকাল শুক্রবার বিচারক কার্ল নিকোলস এই পরিকল্পনার ওপর সাময়িক বিরতির আদেশ দেন। আজ শনিবার বিবিসি
৩ ঘণ্টা আগে