
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। সময় যত যাচ্ছে, এই যুদ্ধের ভয়াবহতা তত বাড়ছে। এই যুদ্ধের ভয়াবহ ঘটনাপ্রবাহ উঠে এসেছে ইউক্রেনীয় এক বাবার ডায়েরিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছে। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হলো—
২৪ ফেব্রুয়ারি-যুদ্ধের প্রথম দিন
হামলার প্রথম দিনটি ছিল আমার ১৫ তম বিয়ে বার্ষিকী। আমরা বন্ধুদের সঙ্গে একটি পার্টির পরিকল্পনা করেছিলাম। আমরা একটি রেস্তোরাঁয় একটি টেবিলও বুক করেছিলাম। কিন্তু খুব সকালে ৫টার মতো হবে তখন—আমার পরিবার এবং ১০ বছরের শিশু রুশ রকেটের শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। প্রথম চিন্তা ছিল, আমরা যা নিতে পারি, তা নিয়ে চলে যাব। কিন্তু সমস্ত রাস্তা যানবাহনে অবরুদ্ধ ছিল, এবং তারা সারাক্ষণ আমাদের ওপর গোলাবর্ষণ করছিল। এটা ভয়ংকর ছিল। পরে আমরা কাছাকাছি একটি আন্ডারগ্রাউন্ড কার পার্কে গিয়েছিলাম এবং সেখানে সারা দিন কাটিয়েছিলাম।
প্রথম দিনে সেখানে প্রায় ৬০ জন লোক ছিল। সেখানে ঠান্ডা ছিল। সেখানে কোনো গরম হওয়ার উপায় ছিল না এবং মানুষ মেঝের ওপর শুয়ে ছিল। মাঝেমধ্যে আমরা বিভিন্ন জিনিস নিতে অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে যাই। আমরা ১৪ তলায় থাকতাম এবং লিফটটি তখনো কাজ করছিল। সেই প্রথম দিন আমরা কুকিজ এবং ক্রিস্পের মতো জিনিস খাচ্ছিলাম। আমরা ওই দিন আমাদের গাড়িতে পার্কিংয়ে ঘুমিয়েছিলাম। আমার ছেলে পেছনের সিটে, আমার স্ত্রী এবং আমি সামনে, অর্ধেক বসে এবং অর্ধেক শুয়ে ঘুমিয়েছিলাম। আমি ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা। এটি আমার জন্য আরামদায়ক ছিল না।
ওই সময় আমরা আমাদের বিয়ে বার্ষিকী সম্পর্কে চিন্তা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের একসঙ্গে থাকা দুর্দান্ত ১৫ বছর সম্পর্কে ভাবছিলাম। আমাদের ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট ১০ বছরের ছেলে রয়েছে, যাকে আমরা খুব ভালোবাসি। কিন্তু যুদ্ধের প্রথম দিনটি ছিল শুধু ভয়ের।
২৫ ফেব্রুয়ারি
গাড়িতে ঘুম থেকে উঠে ভয়ংকর অনুভূতি হয়েছিল। আমার পিঠে এমন ব্যথা হচ্ছিল, যা আগে কখনো হয়নি। সকালে বোমা বিস্ফোরণ ছিল না। প্রায় শান্তই ছিল। ‘শান্ত’ শব্দের অর্থ হলো—তখন ১০ টির বদলে মাত্র দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল। এই সুযোগে আমরা বাড়িতে গিয়ে তাড়াতাড়ি সকালের নাশতা করে নিলাম। ইউক্রেনীয়রা বন্ধুভাবাপন্ন মানুষ এবং আমরা আমাদের প্রায় সব প্রতিবেশীকে খুব ভালোভাবে চিনি। তাই যারা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেনি, তাদের জন্য খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা শুরু করি। এই কাজের মধ্যে ছিল অ্যাপার্টমেন্টে পানির বোতল ভর্তি করা, খাবার আনা, মায়েরা যাতে শিশুদের খাওয়াতে পারে, তার জন্য গাড়ির পার্কিংয়ে জায়গা তৈরি করা এবং নারীদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য জায়গা তৈরি করা।
ওই দিনই আমরা বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু ট্রাফিকের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। আর আমরা ভাবছিলাম, হয়তো এই পাগলামি বন্ধ হবে। কিন্তু সেই রাতে আমরা আবার আন্ডারগ্রাউন্ডে ঘুমালাম।
২৬ ফেব্রুয়ারি
তৃতীয় দিন কিছু বন্ধু গাড়ি পার্কে ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা আমাদের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে যাওয়ার এবং স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনের চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা গোসল করতে, খাবার রান্না করতে, ছেলেকে পড়াতে এবং তাকে অনলাইনে দাবা খেলতে দিতে চেয়েছি। আমরা আমাদের জানালা টেপ দিয়ে আবৃত করে দিই। এদিন থেকে লিফট আর কাজ করছিল না। আমার ছেলে খুব সাহসী। সে কান্না না করার চেষ্টা করছে। সে সাহায্য করার চেষ্টা করছে। কিন্তু যতবারই জানালার বাইরে থেকে সাইরেন বাজছে, আমরা ততবারই আবার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ছুটছিলাম। আমি দেখতে পাচ্ছি আমার ছেলে ভয় পেয়েছে। কিন্তু সে আতঙ্কিত হচ্ছে না।
সেদিন আমি আমাদের উঠোনের বাইরে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমরা কাছাকাছি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলির শব্দ শুনতে পেলাম। পরে আমি টেলিগ্রামের মাধ্যমে খবরটি পড়লাম যে, রুশ সেনারা শহরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তাতে বলা হয়েছিল যে, রুশ সেনারা শহরের চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।
যে মুহূর্তে আপনি গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন, আপনি ভয় পাচ্ছেন না। কারণ, আপনার ভয় পাওয়ার সময় নেই। আপনাকে কেবল আপনার ছেলেকে গাড়ির পার্কে নিরাপদে নিয়ে যেতে হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি
রোববার নাগাদ আশপাশের কিছু ছোট দোকান আবার খুলেছে। এই যুদ্ধ আমাদের বাস্তবতাকে রূপান্তরিত করেছিল। ওই সময় একটি খোলা দোকান বা গ্যাস স্টেশনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার মতো মনে হয়েছিল। কিন্তু আপনি এসব স্থানে যখন সারিবদ্ধ হন, তখন আপনাকে হত্যা করা হতে পারে।
দোকানগুলোতে সরবরাহ কম ছিল। কিন্তু শেলফগুলো খালি ছিল না। পূর্ববর্তী গ্রাহকদের ধন্যবাদ। তবে যারা এখনো সারিবদ্ধ রয়েছে, তাদের জন্য চিন্তা হচ্ছে। আমি গাড়ির পার্কিংয়ে এসে আমাদের পরিবার এবং অন্যান্য লোকেদের মধ্যে খাবার ভাগ করে নিলাম। এখন মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। আমি প্রত্যেকের জন্য আরও খাবার, পানি, টয়লেট পেপার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে শুরু করেছি।
ওই রাতে আমরা আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সবাইকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছি যে, তারা নিরাপদে রয়েছে কি না। আমার স্ত্রী এবং ছেলে আমাদের বেডরুমে শুয়েছিল, এবং আমি আমার ছেলের ঘরে শুয়েছিলাম। আমরা ছেলের ঘরের কাছেই সাইরেন ছিল। আমি যে এটি শুনছিলাম সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি ঘুমানোর সময় জানালা খোলা রেখেছিলাম। ঠিক আছে, কিন্তু আপনি এটিকে সত্যিই ঘুম বলতে পারবেন না। কারণ, তখন আপনি শুধু চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছেন। আপনি নথি এবং খাবারসহ একটি ব্যাগের পাশে ঘুমের পোশাক পরে ঘুমাচ্ছেন। এখানে সবাই ক্লান্ত।
২৮ ফেব্রুয়ারি
সোমবার শহরের কয়েকটি বড় দোকান কয়েক ঘণ্টা খোলা ছিল। আমি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলাম। একা গিয়েছিলাম। তবে আমার স্ত্রীর ফোনে সংযুক্ত ছিলাম, যাতে ক্রমাগত আমার ফোন থেকে আমার অবস্থান ট্র্যাক করতে পারে।
প্রতিবারই পরিচয়পত্র পরীক্ষার জন্য একটি রাস্তার মোড়ে আমাকে থামানো হয়েছিল। আমি আমাদের সেনাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘আপনাদের কী দরকার?’ আমি তাদের জন্য সিগারেট এবং পানি এনেছিলাম। এই লোকেদের আমি ধন্যবাদ জানাই, যারা আমাদের রক্ষা করছেন, ইউক্রেনকে রক্ষা করছেন। ঠান্ডায় বাইরে ঘুম ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছেন।
রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেন ছোট এবং আমাদের সেনাবাহিনী অনেক ছোট। তবে এখানকার মানুষের সাহস বেশি। তারা দেখিয়েছে যে, তারা শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত। এটি আমার আশা জোগাচ্ছে।
১ মার্চ
মঙ্গলবার আমি যখন গ্যাস নিয়ে ফিরছিলাম, তখন আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করে। সে আমাকে বলে, আমরা হলোকাস্ট মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স থেকে ধোঁয়া আসতে দেখেছি। আমি এ খবর শুনে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি। কারণ, আমি ইহুদি। আমার বাবার বয়স ৮৩। তিনি হলোকাস্ট থেকে বেঁচে গেছেন। ওই ঘটনায় আমার পরিবারের অর্ধেক সদস্যই মারা যান। আমরা প্রায়ই স্মৃতিসৌধে যেতাম কারণ, আমি চেয়েছিলাম আমার ছেলে ইতিহাস জানুক।
আমার বাবার বোমা থেকে বাঁচার জন্য মাঠ পেরিয়ে দৌড়ানোর স্মৃতি রয়েছে। এখন আমার ছেলেরও এমন স্মৃতি হবে। তবে এবার হিটলার নয়, এবার মারছে পুতিন। আমি সম্পূর্ণ হতবাক এবং বিষণ্ন। এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, ইউক্রেনে আমাদের প্রেসিডেন্ট একজন ইহুদি। আমরা সবাই আমাদের প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করি। আমরা তাঁকে নিয়ে খুব গর্বিত।
আমি রাশিয়ার লোকদের চিনি। তাদের অর্ধেকই আর আমার বন্ধু নয়। তাদের মধ্যে অনেকেই আমাকে বোঝাতে চেয়েছেন যে, আমাদের জন্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমি তাদের ব্লক করে দিয়েছি। তারা যে ফালতু লেখা লিখছে, তা আমি পড়তে চাই না। রাশিয়ার টিভি চ্যানেল তাদের মস্তিষ্ক ধুয়ে দিয়েছে। যেমন, এক বন্ধু আমাকে বলেছিল, ‘এটি টিভি নয়, এটি বিকিরণ।’
২ মার্চ
বুধবার রুশ সেনারা আমাদের বলে যে, কিয়েভ ছেড়ে গেলে ভালো হয়। আমি আর আমার স্ত্রী তখনো যাব কি না, ভাবছিলাম। আমাদের দুটি বিষয় আটকাচ্ছিল। প্রথমটি হলো—আমার স্ত্রীর বাবা-মা চেরনিহাইভে আছেন। আমরা তাদের সেই নরক থেকে বের করে আনার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছিলাম, যাতে তারা আমাদের সঙ্গে আসতে পারে। দ্বিতীয়ত, আমি এখনো এখানে লোকেদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।
আমি খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ। তারা যদি আমার বাড়িতে আসে তবে আমার লড়াই করার একমাত্র উপায়—আমি আমার পরিবারকে রক্ষা করব। যারা আমাদের রক্ষা করে এবং যাদের সাহায্যের প্রয়োজন, তাদের সাহায্য করার জন্য আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করছিলাম।
আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, যদি আমাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে যেতে আমরা যদি পশ্চিম ইউরোপে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে আমাদের আলাদা পোশাক দরকার। সেখানে স্কিইং জ্যাকেট এবং শীতের জামাকাপড় লাগবে না। এগুলো আমরা প্রথম দিনে প্যাক করেছিলাম। লিফটটি অকেজো থাকায় আমাকে এক এক করে ১৪ তলায় সিঁড়ি বেয়ে চারটি স্যুটকেস নিয়ে যেতে হয়েছিল।
৩ মার্চ
আমরা অবশেষে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি স্নায়ুচাপে পীড়িত ছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার (ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট) ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের কথোপকথনের পর এবং সমস্ত ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার লক্ষ্য সম্পর্কে শুনে আমরা এখন বুঝতে পেরেছি যে, তিনি এই সমস্ত দেশকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত থামবেন না। আমরা পুতিনের রাশিয়ায় থাকতে প্রস্তুত নই।
তবে সিদ্ধান্তটি বিশেষত আমার ছেলে এবং স্ত্রীর সুরক্ষার জন্য নেওয়া। আমরা তাকে আর যুদ্ধ দেখতে দিতে চাই না। আর চাই না যে, সে বোমা ও গোলার শব্দে ঘুম থেকে জেগে উঠুক। তার নানা-নানিকে ছাড়া চলে যাওয়ায় তিনি খুব দুঃখিত ছিলেন। আমরা তাদের ছেড়ে যেতে চাইনি, তবে আমার ছেলের যত্ন নেওয়া দরকার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন ইয়াসিন আরাফাত

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। সময় যত যাচ্ছে, এই যুদ্ধের ভয়াবহতা তত বাড়ছে। এই যুদ্ধের ভয়াবহ ঘটনাপ্রবাহ উঠে এসেছে ইউক্রেনীয় এক বাবার ডায়েরিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছে। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হলো—
২৪ ফেব্রুয়ারি-যুদ্ধের প্রথম দিন
হামলার প্রথম দিনটি ছিল আমার ১৫ তম বিয়ে বার্ষিকী। আমরা বন্ধুদের সঙ্গে একটি পার্টির পরিকল্পনা করেছিলাম। আমরা একটি রেস্তোরাঁয় একটি টেবিলও বুক করেছিলাম। কিন্তু খুব সকালে ৫টার মতো হবে তখন—আমার পরিবার এবং ১০ বছরের শিশু রুশ রকেটের শব্দে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। প্রথম চিন্তা ছিল, আমরা যা নিতে পারি, তা নিয়ে চলে যাব। কিন্তু সমস্ত রাস্তা যানবাহনে অবরুদ্ধ ছিল, এবং তারা সারাক্ষণ আমাদের ওপর গোলাবর্ষণ করছিল। এটা ভয়ংকর ছিল। পরে আমরা কাছাকাছি একটি আন্ডারগ্রাউন্ড কার পার্কে গিয়েছিলাম এবং সেখানে সারা দিন কাটিয়েছিলাম।
প্রথম দিনে সেখানে প্রায় ৬০ জন লোক ছিল। সেখানে ঠান্ডা ছিল। সেখানে কোনো গরম হওয়ার উপায় ছিল না এবং মানুষ মেঝের ওপর শুয়ে ছিল। মাঝেমধ্যে আমরা বিভিন্ন জিনিস নিতে অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে যাই। আমরা ১৪ তলায় থাকতাম এবং লিফটটি তখনো কাজ করছিল। সেই প্রথম দিন আমরা কুকিজ এবং ক্রিস্পের মতো জিনিস খাচ্ছিলাম। আমরা ওই দিন আমাদের গাড়িতে পার্কিংয়ে ঘুমিয়েছিলাম। আমার ছেলে পেছনের সিটে, আমার স্ত্রী এবং আমি সামনে, অর্ধেক বসে এবং অর্ধেক শুয়ে ঘুমিয়েছিলাম। আমি ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা। এটি আমার জন্য আরামদায়ক ছিল না।
ওই সময় আমরা আমাদের বিয়ে বার্ষিকী সম্পর্কে চিন্তা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের একসঙ্গে থাকা দুর্দান্ত ১৫ বছর সম্পর্কে ভাবছিলাম। আমাদের ঈশ্বরের আশীর্বাদপুষ্ট ১০ বছরের ছেলে রয়েছে, যাকে আমরা খুব ভালোবাসি। কিন্তু যুদ্ধের প্রথম দিনটি ছিল শুধু ভয়ের।
২৫ ফেব্রুয়ারি
গাড়িতে ঘুম থেকে উঠে ভয়ংকর অনুভূতি হয়েছিল। আমার পিঠে এমন ব্যথা হচ্ছিল, যা আগে কখনো হয়নি। সকালে বোমা বিস্ফোরণ ছিল না। প্রায় শান্তই ছিল। ‘শান্ত’ শব্দের অর্থ হলো—তখন ১০ টির বদলে মাত্র দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল। এই সুযোগে আমরা বাড়িতে গিয়ে তাড়াতাড়ি সকালের নাশতা করে নিলাম। ইউক্রেনীয়রা বন্ধুভাবাপন্ন মানুষ এবং আমরা আমাদের প্রায় সব প্রতিবেশীকে খুব ভালোভাবে চিনি। তাই যারা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেনি, তাদের জন্য খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা শুরু করি। এই কাজের মধ্যে ছিল অ্যাপার্টমেন্টে পানির বোতল ভর্তি করা, খাবার আনা, মায়েরা যাতে শিশুদের খাওয়াতে পারে, তার জন্য গাড়ির পার্কিংয়ে জায়গা তৈরি করা এবং নারীদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য জায়গা তৈরি করা।
ওই দিনই আমরা বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু ট্রাফিকের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। আর আমরা ভাবছিলাম, হয়তো এই পাগলামি বন্ধ হবে। কিন্তু সেই রাতে আমরা আবার আন্ডারগ্রাউন্ডে ঘুমালাম।
২৬ ফেব্রুয়ারি
তৃতীয় দিন কিছু বন্ধু গাড়ি পার্কে ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা আমাদের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে যাওয়ার এবং স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনের চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা গোসল করতে, খাবার রান্না করতে, ছেলেকে পড়াতে এবং তাকে অনলাইনে দাবা খেলতে দিতে চেয়েছি। আমরা আমাদের জানালা টেপ দিয়ে আবৃত করে দিই। এদিন থেকে লিফট আর কাজ করছিল না। আমার ছেলে খুব সাহসী। সে কান্না না করার চেষ্টা করছে। সে সাহায্য করার চেষ্টা করছে। কিন্তু যতবারই জানালার বাইরে থেকে সাইরেন বাজছে, আমরা ততবারই আবার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ছুটছিলাম। আমি দেখতে পাচ্ছি আমার ছেলে ভয় পেয়েছে। কিন্তু সে আতঙ্কিত হচ্ছে না।
সেদিন আমি আমাদের উঠোনের বাইরে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমরা কাছাকাছি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলির শব্দ শুনতে পেলাম। পরে আমি টেলিগ্রামের মাধ্যমে খবরটি পড়লাম যে, রুশ সেনারা শহরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। তাতে বলা হয়েছিল যে, রুশ সেনারা শহরের চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে।
যে মুহূর্তে আপনি গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন, আপনি ভয় পাচ্ছেন না। কারণ, আপনার ভয় পাওয়ার সময় নেই। আপনাকে কেবল আপনার ছেলেকে গাড়ির পার্কে নিরাপদে নিয়ে যেতে হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি
রোববার নাগাদ আশপাশের কিছু ছোট দোকান আবার খুলেছে। এই যুদ্ধ আমাদের বাস্তবতাকে রূপান্তরিত করেছিল। ওই সময় একটি খোলা দোকান বা গ্যাস স্টেশনও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার মতো মনে হয়েছিল। কিন্তু আপনি এসব স্থানে যখন সারিবদ্ধ হন, তখন আপনাকে হত্যা করা হতে পারে।
দোকানগুলোতে সরবরাহ কম ছিল। কিন্তু শেলফগুলো খালি ছিল না। পূর্ববর্তী গ্রাহকদের ধন্যবাদ। তবে যারা এখনো সারিবদ্ধ রয়েছে, তাদের জন্য চিন্তা হচ্ছে। আমি গাড়ির পার্কিংয়ে এসে আমাদের পরিবার এবং অন্যান্য লোকেদের মধ্যে খাবার ভাগ করে নিলাম। এখন মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। আমি প্রত্যেকের জন্য আরও খাবার, পানি, টয়লেট পেপার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে শুরু করেছি।
ওই রাতে আমরা আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সবাইকে ফোন করে খোঁজ নিয়েছি যে, তারা নিরাপদে রয়েছে কি না। আমার স্ত্রী এবং ছেলে আমাদের বেডরুমে শুয়েছিল, এবং আমি আমার ছেলের ঘরে শুয়েছিলাম। আমরা ছেলের ঘরের কাছেই সাইরেন ছিল। আমি যে এটি শুনছিলাম সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি ঘুমানোর সময় জানালা খোলা রেখেছিলাম। ঠিক আছে, কিন্তু আপনি এটিকে সত্যিই ঘুম বলতে পারবেন না। কারণ, তখন আপনি শুধু চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছেন। আপনি নথি এবং খাবারসহ একটি ব্যাগের পাশে ঘুমের পোশাক পরে ঘুমাচ্ছেন। এখানে সবাই ক্লান্ত।
২৮ ফেব্রুয়ারি
সোমবার শহরের কয়েকটি বড় দোকান কয়েক ঘণ্টা খোলা ছিল। আমি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলাম। একা গিয়েছিলাম। তবে আমার স্ত্রীর ফোনে সংযুক্ত ছিলাম, যাতে ক্রমাগত আমার ফোন থেকে আমার অবস্থান ট্র্যাক করতে পারে।
প্রতিবারই পরিচয়পত্র পরীক্ষার জন্য একটি রাস্তার মোড়ে আমাকে থামানো হয়েছিল। আমি আমাদের সেনাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘আপনাদের কী দরকার?’ আমি তাদের জন্য সিগারেট এবং পানি এনেছিলাম। এই লোকেদের আমি ধন্যবাদ জানাই, যারা আমাদের রক্ষা করছেন, ইউক্রেনকে রক্ষা করছেন। ঠান্ডায় বাইরে ঘুম ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছেন।
রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেন ছোট এবং আমাদের সেনাবাহিনী অনেক ছোট। তবে এখানকার মানুষের সাহস বেশি। তারা দেখিয়েছে যে, তারা শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত। এটি আমার আশা জোগাচ্ছে।
১ মার্চ
মঙ্গলবার আমি যখন গ্যাস নিয়ে ফিরছিলাম, তখন আমার স্ত্রী আমাকে ফোন করে। সে আমাকে বলে, আমরা হলোকাস্ট মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স থেকে ধোঁয়া আসতে দেখেছি। আমি এ খবর শুনে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ি। কারণ, আমি ইহুদি। আমার বাবার বয়স ৮৩। তিনি হলোকাস্ট থেকে বেঁচে গেছেন। ওই ঘটনায় আমার পরিবারের অর্ধেক সদস্যই মারা যান। আমরা প্রায়ই স্মৃতিসৌধে যেতাম কারণ, আমি চেয়েছিলাম আমার ছেলে ইতিহাস জানুক।
আমার বাবার বোমা থেকে বাঁচার জন্য মাঠ পেরিয়ে দৌড়ানোর স্মৃতি রয়েছে। এখন আমার ছেলেরও এমন স্মৃতি হবে। তবে এবার হিটলার নয়, এবার মারছে পুতিন। আমি সম্পূর্ণ হতবাক এবং বিষণ্ন। এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, ইউক্রেনে আমাদের প্রেসিডেন্ট একজন ইহুদি। আমরা সবাই আমাদের প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করি। আমরা তাঁকে নিয়ে খুব গর্বিত।
আমি রাশিয়ার লোকদের চিনি। তাদের অর্ধেকই আর আমার বন্ধু নয়। তাদের মধ্যে অনেকেই আমাকে বোঝাতে চেয়েছেন যে, আমাদের জন্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমি তাদের ব্লক করে দিয়েছি। তারা যে ফালতু লেখা লিখছে, তা আমি পড়তে চাই না। রাশিয়ার টিভি চ্যানেল তাদের মস্তিষ্ক ধুয়ে দিয়েছে। যেমন, এক বন্ধু আমাকে বলেছিল, ‘এটি টিভি নয়, এটি বিকিরণ।’
২ মার্চ
বুধবার রুশ সেনারা আমাদের বলে যে, কিয়েভ ছেড়ে গেলে ভালো হয়। আমি আর আমার স্ত্রী তখনো যাব কি না, ভাবছিলাম। আমাদের দুটি বিষয় আটকাচ্ছিল। প্রথমটি হলো—আমার স্ত্রীর বাবা-মা চেরনিহাইভে আছেন। আমরা তাদের সেই নরক থেকে বের করে আনার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছিলাম, যাতে তারা আমাদের সঙ্গে আসতে পারে। দ্বিতীয়ত, আমি এখনো এখানে লোকেদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।
আমি খুব শান্তিপ্রিয় মানুষ। তারা যদি আমার বাড়িতে আসে তবে আমার লড়াই করার একমাত্র উপায়—আমি আমার পরিবারকে রক্ষা করব। যারা আমাদের রক্ষা করে এবং যাদের সাহায্যের প্রয়োজন, তাদের সাহায্য করার জন্য আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করছিলাম।
আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, যদি আমাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে যেতে আমরা যদি পশ্চিম ইউরোপে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে আমাদের আলাদা পোশাক দরকার। সেখানে স্কিইং জ্যাকেট এবং শীতের জামাকাপড় লাগবে না। এগুলো আমরা প্রথম দিনে প্যাক করেছিলাম। লিফটটি অকেজো থাকায় আমাকে এক এক করে ১৪ তলায় সিঁড়ি বেয়ে চারটি স্যুটকেস নিয়ে যেতে হয়েছিল।
৩ মার্চ
আমরা অবশেষে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি স্নায়ুচাপে পীড়িত ছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার (ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট) ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের কথোপকথনের পর এবং সমস্ত ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার লক্ষ্য সম্পর্কে শুনে আমরা এখন বুঝতে পেরেছি যে, তিনি এই সমস্ত দেশকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত থামবেন না। আমরা পুতিনের রাশিয়ায় থাকতে প্রস্তুত নই।
তবে সিদ্ধান্তটি বিশেষত আমার ছেলে এবং স্ত্রীর সুরক্ষার জন্য নেওয়া। আমরা তাকে আর যুদ্ধ দেখতে দিতে চাই না। আর চাই না যে, সে বোমা ও গোলার শব্দে ঘুম থেকে জেগে উঠুক। তার নানা-নানিকে ছাড়া চলে যাওয়ায় তিনি খুব দুঃখিত ছিলেন। আমরা তাদের ছেড়ে যেতে চাইনি, তবে আমার ছেলের যত্ন নেওয়া দরকার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন ইয়াসিন আরাফাত

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪৪ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। সময় যত যাচ্ছে, এই যুদ্ধের ভয়াবহতা তত বাড়ছে। এই যুদ্ধের ভয়াবহ ঘটনাপ্রবাহ উঠে এসেছে ইউক্রেনীয় এক বাবার ডায়েরিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছে। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হলো—
০৫ মার্চ ২০২২
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। সময় যত যাচ্ছে, এই যুদ্ধের ভয়াবহতা তত বাড়ছে। এই যুদ্ধের ভয়াবহ ঘটনাপ্রবাহ উঠে এসেছে ইউক্রেনীয় এক বাবার ডায়েরিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছে। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হলো—
০৫ মার্চ ২০২২
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪৪ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। সময় যত যাচ্ছে, এই যুদ্ধের ভয়াবহতা তত বাড়ছে। এই যুদ্ধের ভয়াবহ ঘটনাপ্রবাহ উঠে এসেছে ইউক্রেনীয় এক বাবার ডায়েরিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছে। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হলো—
০৫ মার্চ ২০২২
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪৪ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। সময় যত যাচ্ছে, এই যুদ্ধের ভয়াবহতা তত বাড়ছে। এই যুদ্ধের ভয়াবহ ঘটনাপ্রবাহ উঠে এসেছে ইউক্রেনীয় এক বাবার ডায়েরিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছে। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য সেই ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হলো—
০৫ মার্চ ২০২২
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৪৪ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে