অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়াকে ৩০ দিনের একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী সোমবার থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ নামে পরিচিত জোটের এ বৈঠকে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আতিথ্য গ্রহণ করেন। অন্য কয়েকজন বিশ্বনেতা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে আলোচনা শেষে তাঁরা এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। ট্রাম্পই প্রথম এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন নেতারা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার বলেন, এই জোটের লক্ষ্য, ইউরোপে আগ্রাসন কখনোই সফল হবে না এটা বিশ্বকে দেখানো। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে এটি হবে ইউক্রেনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের এক বড় সুযোগ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবারগুলোকে আবার একত্র করার প্রক্রিয়ার সূচনা।
কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে একযোগে বক্তব্য দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক এবং জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এ জন্য ধন্যবাদ। আজ আমরা টেকসই ও প্রকৃত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করছি।’
অন্যদিকে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির আগে ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবি জানাচ্ছে। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হতে হবে সম্পূর্ণ নিঃশর্ত। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি কোনো শর্ত দেয়, তা হবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার ও কূটনীতি ব্যাহত করার ইঙ্গিত।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানান, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির তদারকি করবে যুক্তরাষ্ট্র, তবে ইউরোপীয় দেশগুলোরও এতে অংশগ্রহণ থাকবে। যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হয়, তবে ইউরোপীয় ও মার্কিন নেতৃত্বে সমন্বিতভাবে ‘ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ প্রস্তুত থাকবে।
জার্মানির চ্যান্সেলর মের্ৎস বলেন, ‘২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু হয়। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
এই বৈঠক ছিল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগের দিন মস্কোয় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের জবাব হিসেবে প্রতীকী পদক্ষেপ। সেই বৈঠকে ২০টিরও বেশি দেশের নেতা অংশ নেন।
কিয়েভ বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এবং ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে।
এদিকে রাশিয়ার ভিক্টরি ডে উপলক্ষে শুক্রবার ঘোষিত ৩০ ঘণ্টার সাময়িক যুদ্ধবিরতি শনিবার শেষ হওয়ার কথা। তবে এ সময়ে হামলার মাত্রা কমলেও দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ জোটটি গঠিত হয়েছে একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তার লক্ষ্যে, যার মধ্যে ইউক্রেনে বিদেশি সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এর আগে ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে আবারও ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘যদি যুদ্ধবিরতি মানা না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবে।’
এই প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘ইউরোপীয় নেতাদের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী এবং তা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের বদলে সংঘাত বাড়ানোর জন্যই দেওয়া হয়েছে।’
ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে। সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এসব হামলার খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরের সুমি অঞ্চলে ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ১৯টি বাড়িঘর ও ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় পুলিশ।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের কস্ত্যান্তিনিভকায় রুশ হামলায় একজন আহত হয়েছেন এবং দুটি অ্যাপার্টমেন্টে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের জরুরি সেবা সংস্থা।
অন্যদিকে দক্ষিণের খেরসন শহরে রুশ ড্রোন বিস্ফোরণে ৫৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়াকে ৩০ দিনের একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী সোমবার থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ নামে পরিচিত জোটের এ বৈঠকে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও পোল্যান্ডের নেতারা প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আতিথ্য গ্রহণ করেন। অন্য কয়েকজন বিশ্বনেতা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে আলোচনা শেষে তাঁরা এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। ট্রাম্পই প্রথম এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন নেতারা।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার বলেন, এই জোটের লক্ষ্য, ইউরোপে আগ্রাসন কখনোই সফল হবে না এটা বিশ্বকে দেখানো। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে এটি হবে ইউক্রেনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের এক বড় সুযোগ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবারগুলোকে আবার একত্র করার প্রক্রিয়ার সূচনা।
কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে একযোগে বক্তব্য দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক এবং জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এ জন্য ধন্যবাদ। আজ আমরা টেকসই ও প্রকৃত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করছি।’
অন্যদিকে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির আগে ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবি জানাচ্ছে। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হতে হবে সম্পূর্ণ নিঃশর্ত। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি কোনো শর্ত দেয়, তা হবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার ও কূটনীতি ব্যাহত করার ইঙ্গিত।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানান, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির তদারকি করবে যুক্তরাষ্ট্র, তবে ইউরোপীয় দেশগুলোরও এতে অংশগ্রহণ থাকবে। যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হয়, তবে ইউরোপীয় ও মার্কিন নেতৃত্বে সমন্বিতভাবে ‘ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ প্রস্তুত থাকবে।
জার্মানির চ্যান্সেলর মের্ৎস বলেন, ‘২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু হয়। এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
এই বৈঠক ছিল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগের দিন মস্কোয় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের জবাব হিসেবে প্রতীকী পদক্ষেপ। সেই বৈঠকে ২০টিরও বেশি দেশের নেতা অংশ নেন।
কিয়েভ বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এবং ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটে।
এদিকে রাশিয়ার ভিক্টরি ডে উপলক্ষে শুক্রবার ঘোষিত ৩০ ঘণ্টার সাময়িক যুদ্ধবিরতি শনিবার শেষ হওয়ার কথা। তবে এ সময়ে হামলার মাত্রা কমলেও দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ জোটটি গঠিত হয়েছে একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তার লক্ষ্যে, যার মধ্যে ইউক্রেনে বিদেশি সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এর আগে ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে আবারও ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘যদি যুদ্ধবিরতি মানা না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবে।’
এই প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘ইউরোপীয় নেতাদের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী এবং তা আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের বদলে সংঘাত বাড়ানোর জন্যই দেওয়া হয়েছে।’
ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে। সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেও এসব হামলার খবর পাওয়া গেছে।
উত্তরের সুমি অঞ্চলে ৮৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ১৯টি বাড়িঘর ও ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় পুলিশ।
দোনেৎস্ক অঞ্চলের কস্ত্যান্তিনিভকায় রুশ হামলায় একজন আহত হয়েছেন এবং দুটি অ্যাপার্টমেন্টে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের জরুরি সেবা সংস্থা।
অন্যদিকে দক্ষিণের খেরসন শহরে রুশ ড্রোন বিস্ফোরণে ৫৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের রাজপরিবারের কাছ থেকে বিলাসবহুল বিমান উপহার হিসেবে গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে ওঠা নৈতিক উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি বলেছেন, এত উদার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া ‘বোকার মতো’ কাজ হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪৪ মিনিট আগেনিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে পেহেলগাম হামলার জন্য ভারত ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করার পরই দুই দেশের মধ্যে এই সামরিক সংঘাতের সূত্রপাত হয়।
২ ঘণ্টা আগেঅভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব অনেক আগেই আফগান দাবা ফেডারেশনকে কার্যত অচল করে দিয়েছে। ২০২১ সালে তালেবান কাবুল দখলের পর ফেডারেশনের অনেক কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে পালান, কারণ তাঁরা প্রাণহানির আশঙ্কায় ছিলেন। তাঁদের অনুপস্থিতিতে তালেবান নিজেদের লোকদের ফেডারেশনের দায়িত্বে বসায়।
২ ঘণ্টা আগেগতকাল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। সেখানে দীর্ঘ আলোচনার পর একটি চুক্তিতে পৌঁছায় দুপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী, ৯০ দিনের আলোচনা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করবে। অন্যদিকে, চীনও তাদের পাল্টা শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কম
২ ঘণ্টা আগে