
আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত ‘দ্য অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন্স মনিটরিং টিম অব দ্য ১২৬৭ আইএসআইএল (দায়েশ)’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা স্যাংশন্স কমিটির ৩২তম প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
আল কায়েদা ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বর্তমান তৎপরতা নিয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রদের পর্যবেক্ষণ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের স্থান হিসেবে আফগানিস্তান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২০টি জঙ্গি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এই জঙ্গি গ্রুপগুলোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে তাদের নিজ নিজ প্রভাব বিস্তার এবং আধা–রাষ্ট্রের মতো একটি নিজস্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-কায়েদার মূল ঘাঁটি আফগানিস্তানে এখনো তাদের ৩০ থেকে ৬০ জন সদস্য এবং প্রায় ৪০০ যোদ্ধা রয়েছে। পরিবারের সদস্য ও সমর্থক মিলিয়ে এ সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে আল কায়েদার সম্পর্ক এখনো বেশ ঘনিষ্ঠ এবং মিথোজীবিতামূলক। আফগানিস্তানে তারা অত্যন্ত গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জঙ্গি তৎপরতায় আল কায়েদা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করবে না— তালেবান সরকারের এই প্রচার যেন সত্য মনে হয় সে জন্য আল কায়েদা গোপনে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তালেবান সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মদদে আল কায়েদার সদস্যরা আফগানিস্তানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে করে আফগানিস্তানে আল কায়েদার নিরাপদ সম্প্রসারণ সম্ভব হচ্ছে।
বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদার সক্ষমতা কমে গেছে। এখন তাদের উদ্দেশ্য স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা। আফগানিস্তানকে তারা এখন আদর্শিক এবং গোপনে পুনর্গঠিত হওয়ার জন্য নতুন যোদ্ধা সংগ্রহ ও সমাবেশ ঘটানোর লজিস্টিক হাব হিসেবে ব্যবহার করছে।
এই পুনর্গঠনের পর্যায়ে কুনার ও নুরিস্তান প্রদেশে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেছে আল কায়েদা। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পর্যবেক্ষণ হলো, আল-কায়েদা পুনর্গঠিত ও বিকাশের এই সময়টাতে স্বল্পমেয়াদে নীরবে সক্ষমতা অর্জন এবং কার্যক্রম সম্প্রসারণের কাজ করবে।
আল-কায়েদা নেতারা আফগানিস্তানে অবস্থিত অ-আফগান আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে (ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান এবং জামাত আনসারুল্লাহ) মধ্য এশিয়ায় অনুপ্রবেশ ও শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।
জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদার প্রায় ২০০ যোদ্ধা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এই এলাকায় আল কায়েদার নেতা ওসামা মেহমুদ।
সতর্ক করে বলা হয়েছে, আল কায়েদা এখন আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্টকে (একিউআইএস) সংগঠিত করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মিয়ানমারে কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
ওই সদস্য রাষ্ট্রের ধারণা, একিউআইএসের অল্প কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-খোরাসানের (আইএসআইএল-কে) সঙ্গে যোগ দিতে বা তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ বলছে, আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হওয়ার পর খুব সম্ভবত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাইফ আল-আদল। তিনি বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো আইএসআইএল-কে আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে। তারা আফগানিস্তানে থেকেই শক্তিবৃদ্ধি করছে। আফগানিস্তানে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার সদস্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
সানাউল্লাহ গাফারি ওরফে শাহাব আল-মুহাজিরকে আইএসআইএল-কের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী নেতা হিসেবে মনে করা হয়। একটি সদস্য রাষ্ট্র জানিয়েছে, গত জুনে আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন গাফারি। অবশ্য এই তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি রাষ্ট্রটি।
আর আইএসআইএল-কের এক্সটার্নাল অপারেশনের নেতা মৌলভি রজব।
২০০১ সালে নিউইয়র্কের বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র (টুইন টাওয়ার), পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আত্মঘাতী বিমান হামলা হয়। সেই হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর জন্য দায়ী করা হয় আল-কায়েদাকে। ওই সময় আফগানিস্তানে ক্ষমতায় তালেবান সরকার। আর আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ছিলেন সেই সরকারের প্রশ্রয়ে। তালেবান সরকার বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে অস্বীকার করলে শুরু হয় সামরিক হামলা। দীর্ঘ ২০ বছর চলে সেই যুদ্ধ।
ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালে পাকিস্তানে নিহত হন। এরপর আল-কায়েদার প্রভাব কিছুটা কমে আসে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্থান ঘটে আরেক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস–এর। আল-কায়েদার সঙ্গে এই দলের আদর্শিক পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার নেতৃত্বে আসেন আয়মান আল-জাওয়াহিরি। ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে সিআইএর ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
এক দশক আগে বাংলাদেশে একের পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদা বিবৃতি দিয়েছিল। যদিও সেসব হামলায় জড়িতরা সবাই স্থানীয় উগ্রবাদী বলে দাবি করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সালে এক অডিও বার্তায় আল-কায়েদার ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দেন আয়মান আল জাওয়াহিরি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী দল আইএস। বাংলাদেশে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা। অবশ্য গুলশানে হামলাকারীরা সরাসরি আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমন কোনো তথ্য নেই বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
৩১ জুলাই ২০২৩রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
৩১ জুলাই ২০২৩
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
৩১ জুলাই ২০২৩
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে দেশটিতে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা। এখন তারা আঞ্চলিক মিত্রদের সংগঠিত করে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে।
৩১ জুলাই ২০২৩
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৩ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে