
চলতি মাসেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। এ সাক্ষাতে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী গণমাধ্যম সিবিএসকে এ তথ্য দিয়েছেন। তবে, এ আলোচনা কোথায় হবে তা বলা হয়নি।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে সফর বিষয়ক প্রতিবেদনগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। উত্তর কোরিয়াও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এক সূত্রের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম জং উন সম্ভবত অস্ত্রসজ্জিত ট্রেনে ভ্রমণ করেন। তিনি অবশ্য বরাবর তা–ই করেন। এর আগে চীন সফরের সময়ও তিনি ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন।
রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তির আলোচনা চলছে—এমন তথ্য আছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ কথা বলার পরই এ সম্ভাব্য সাক্ষাতের খবর এল।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু গত জুলাইয়ে এক সফরে উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রিতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন।
শোইগুর সে সফরে প্রদর্শিত অস্ত্রের মধ্যে ছিল হুয়াসং আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)। ধারণা করা হয়, এটি উত্তর কোরিয়ার প্রথম আইসিবিএম, যেটিতে কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। করোনা মহামারির পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়া কোনো বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানায়।
জন কিরবি বলেন, ‘পুতিন ও কিম তখন থেকেই “দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে” চিঠি বিনিময় করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়াকে “রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ না করার” প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার এ পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ কোরিয়া উদ্বেগ জানিয়েছে। এই দুই দেশের আশঙ্কা, এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে এশিয়ার এ দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বেড়ে যাবে।
গতকাল সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়াকেও সম্মিলিত নৌ মহড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরেকটি শঙ্কার বিষয় হলো, চুক্তি হলে পিয়ংইয়ংয়ের প্রয়োজনের সময় রাশিয়াও অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। কিম জং উন পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পে সফল হওয়ার জন্য উন্নত অস্ত্র প্রযুক্তি বা জ্ঞান সরবরাহের জন্য পুতিনকে অনুরোধ জানাতে পারেন।
এ চুক্তি কৌশলের চেয়ে লেনদেন–ভিত্তিক হবে বেশি। এ মুহূর্তে রাশিয়ার প্রয়োজন অস্ত্র, আর নিষেধাজ্ঞা জর্জরিত উত্তর কোরিয়ার প্রয়োজন অর্থ ও খাদ্য।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, কিম ও পুতিনের বৈঠকটি হতে পারে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলের বন্দর শহর ভ্লাদিভস্তকে। গত মাসে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা ভ্লাদিভস্তক ও মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে সরকার প্রধানের সফরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা তদারক করেন রাশিয়ার এমন নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও ছিলেন। এ থেকে কিমের সফরের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

চলতি মাসেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। এ সাক্ষাতে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী গণমাধ্যম সিবিএসকে এ তথ্য দিয়েছেন। তবে, এ আলোচনা কোথায় হবে তা বলা হয়নি।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে সফর বিষয়ক প্রতিবেদনগুলো নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। উত্তর কোরিয়াও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এক সূত্রের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিম জং উন সম্ভবত অস্ত্রসজ্জিত ট্রেনে ভ্রমণ করেন। তিনি অবশ্য বরাবর তা–ই করেন। এর আগে চীন সফরের সময়ও তিনি ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন।
রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তির আলোচনা চলছে—এমন তথ্য আছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ কথা বলার পরই এ সম্ভাব্য সাক্ষাতের খবর এল।
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু গত জুলাইয়ে এক সফরে উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রিতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছেন।
শোইগুর সে সফরে প্রদর্শিত অস্ত্রের মধ্যে ছিল হুয়াসং আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)। ধারণা করা হয়, এটি উত্তর কোরিয়ার প্রথম আইসিবিএম, যেটিতে কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। করোনা মহামারির পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়া কোনো বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানায়।
জন কিরবি বলেন, ‘পুতিন ও কিম তখন থেকেই “দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে” চিঠি বিনিময় করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়াকে “রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ না করার” প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করলে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞাসহ কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার এ পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ কোরিয়া উদ্বেগ জানিয়েছে। এই দুই দেশের আশঙ্কা, এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে এশিয়ার এ দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বেড়ে যাবে।
গতকাল সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়াকেও সম্মিলিত নৌ মহড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরেকটি শঙ্কার বিষয় হলো, চুক্তি হলে পিয়ংইয়ংয়ের প্রয়োজনের সময় রাশিয়াও অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে। কিম জং উন পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পে সফল হওয়ার জন্য উন্নত অস্ত্র প্রযুক্তি বা জ্ঞান সরবরাহের জন্য পুতিনকে অনুরোধ জানাতে পারেন।
এ চুক্তি কৌশলের চেয়ে লেনদেন–ভিত্তিক হবে বেশি। এ মুহূর্তে রাশিয়ার প্রয়োজন অস্ত্র, আর নিষেধাজ্ঞা জর্জরিত উত্তর কোরিয়ার প্রয়োজন অর্থ ও খাদ্য।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, কিম ও পুতিনের বৈঠকটি হতে পারে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলের বন্দর শহর ভ্লাদিভস্তকে। গত মাসে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা ভ্লাদিভস্তক ও মস্কো সফরে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে সরকার প্রধানের সফরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা তদারক করেন রাশিয়ার এমন নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও ছিলেন। এ থেকে কিমের সফরের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
১৩ মিনিট আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৩ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

চলতি মাসেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। এ সাক্ষাতে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
১৩ মিনিট আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৩ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সোমালিল্যান্ডকে একটি ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আবদিরহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি (সিরো) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন।
তবে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ঐতিহাসিক মাইলফলককে ‘আব্রাহাম চুক্তি’র অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশ পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসরায়েল সোমালিল্যান্ডকে সরাসরি সহায়তা দেবে।
সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরায়েলের এই ধৃষ্টতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
সোমালিয়ার অভিযোগ, ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসিত করার জন্য এই স্বীকৃতির চাল চেলেছে। ফিলিস্তিন সরকারও এই আশঙ্কায় সংহতি প্রকাশ করে একে একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
সোমালিয়া সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সোমালিল্যান্ড তাদের ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর অখণ্ডতা রক্ষায় তারা যেকোনো কূটনৈতিক ও আইনি পদক্ষেপ নেবে।
ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ব রাজনীতিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেছেন, ‘আমি এখনই এই পথে হাঁটব না।’
এদিকে আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ আলি ইউসুফ সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এতে বিপজ্জনক নজির তৈরি হবে, যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। আফ্রিকান ইউনিয়ন ১৯৬৪ সালের একটি নীতির কথা উল্লেখ করে, যেখানে স্বাধীনতার সময় উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া সীমান্ত অক্ষুণ্ন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইতও ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি একে একটি আরব ও আফ্রিকান রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের ওপর উসকানিমূলক আক্রমণ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এটি আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মধ্যেও শুক্রবার হারগেইসার রাস্তায় হাজারো মানুষ নেমে আসে উদ্যাপনে। অনেকের কাছে এটি ছিল ৩০ বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান। দেশটির জাতীয় জাদুঘরে ইসরায়েলের পতাকা টানানো হয় এবং বাসিন্দারা এই স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।
ঐতিহাসিকভাবে সোমালিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। এর পেছনে রয়েছে সোমালিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইথিওপিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইসরায়েল ইথিওপিয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সহায়তা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ সোমালিয়া ১৯৭৭ সালের ওগাডেন যুদ্ধে পরাজিত হয়, যা পরবর্তী কয়েক দশকের গৃহবিবাদকে উসকে দেয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন নেতা মোহাম্মদ সিয়াদ বারের শাসনামলে নিপীড়নের পর সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিয়া কখনোই অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্রও অঞ্চলটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সোমালিল্যান্ড নিজেদের আলাদা মুদ্রা, পতাকা ও সংসদ গঠন করেছে।
হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে বাবেল মান্দেব প্রণালির কাছে কৌশলগত অবস্থানের কারণে এই অঞ্চল ভূরাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারেন হাসকেল জানান, হুথির প্রভাব নিয়ে যৌথ উদ্বেগের বিষয়ে সোমালিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। তবে সোমালিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলি ওমর এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলি নীতির বিষয়ে সোমালিয়ার অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

চলতি মাসেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। এ সাক্ষাতে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৩ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন বাগ্যুদ্ধ। বিরোধীদের দাবি, উত্তর ভারতের বিতর্কিত ‘বুলডোজার রাজ’ এখন কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও অনুসরণ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) ভোর ৪টার সময় বেঙ্গালুরুর কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি ও ওয়াসিম লেআউটে এই অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ৪টি জেসিবি (এক্সকাভেটর) এবং ১৫০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ চালানো হয়।

বেঙ্গালুরুতে যখন বছরের সবচেয়ে বেশি শীত বিরাজ করছে, ঠিক তখনই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের দাবি, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ তাদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আসবাব সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছে। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি রয়েছে।
উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই শ্রমজীবী ও অভিবাসী। বর্তমানে কয়েক শ মানুষ তীব্র শীতের মধ্যে রাস্তার ওপর অস্থায়ী তাঁবু বা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সবচেয়ে সোচ্চার হয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘দুঃখজনক, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের অধীনে এখন সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যখন কোনো সরকার ভয় এবং পাশবিক শক্তির মাধ্যমে শাসন করে, তখন সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
কেরালার আরেক মন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি এই ঘটনাকে ১৯৭৫ সালের ‘জরুরি অবস্থা’র ক্রূরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সিপিআইয়ের (এম) একটি প্রতিনিধিদল উচ্ছেদস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একটি ‘উচ্ছেদবিরোধী কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁর সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, এলাকাটি মূলত একটি আবর্জনা ফেলার ভাগাড় ছিল এবং ভূমি মাফিয়ারা এটিকে বস্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছিল।
শিবকুমার দাবি করেন, তাঁরা কাউকে কষ্ট দিতে চান না, বরং সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুলডোজার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। পিনরাই বিজয়নের মতো প্রবীণ নেতাদের মাঠের বাস্তবতা না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
তবে অনেকেই বলছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস সরকারের এমন ‘বুলডোজার’ নীতি তাদের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন বন্ধুপ্রতিম দলগুলোই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন বাগ্যুদ্ধ। বিরোধীদের দাবি, উত্তর ভারতের বিতর্কিত ‘বুলডোজার রাজ’ এখন কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারও অনুসরণ করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর (সোমবার) ভোর ৪টার সময় বেঙ্গালুরুর কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি ও ওয়াসিম লেআউটে এই অভিযান চালায় বেঙ্গালুরু সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। ৪টি জেসিবি (এক্সকাভেটর) এবং ১৫০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই উচ্ছেদ চালানো হয়।

বেঙ্গালুরুতে যখন বছরের সবচেয়ে বেশি শীত বিরাজ করছে, ঠিক তখনই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের দাবি, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই পুলিশ তাদের জোরপূর্বক বের করে দিয়েছে। অনেক পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র এবং আসবাব সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা প্রায় ২৫ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছে। তাদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ আধার কার্ড এবং ভোটার আইডি রয়েছে।
উচ্ছেদ হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই শ্রমজীবী ও অভিবাসী। বর্তমানে কয়েক শ মানুষ তীব্র শীতের মধ্যে রাস্তার ওপর অস্থায়ী তাঁবু বা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সবচেয়ে সোচ্চার হয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘দুঃখজনক, কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের অধীনে এখন সংখ্যালঘুবিরোধী রাজনীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যখন কোনো সরকার ভয় এবং পাশবিক শক্তির মাধ্যমে শাসন করে, তখন সাংবিধানিক মূল্যবোধ ও মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়।’
কেরালার আরেক মন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি এই ঘটনাকে ১৯৭৫ সালের ‘জরুরি অবস্থা’র ক্রূরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সিপিআইয়ের (এম) একটি প্রতিনিধিদল উচ্ছেদস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একটি ‘উচ্ছেদবিরোধী কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁর সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছেন, এলাকাটি মূলত একটি আবর্জনা ফেলার ভাগাড় ছিল এবং ভূমি মাফিয়ারা এটিকে বস্তিতে রূপান্তরের চেষ্টা করছিল।
শিবকুমার দাবি করেন, তাঁরা কাউকে কষ্ট দিতে চান না, বরং সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুলডোজার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। পিনরাই বিজয়নের মতো প্রবীণ নেতাদের মাঠের বাস্তবতা না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়।’
তবে অনেকেই বলছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেস সরকারের এমন ‘বুলডোজার’ নীতি তাদের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলতে পারে, বিশেষ করে যখন বন্ধুপ্রতিম দলগুলোই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

চলতি মাসেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। এ সাক্ষাতে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
১৩ মিনিট আগে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে সন্ত্রাসীদের জন্য ‘বড়দিনের উপহার’ হিসেবে অভিহিত করলেও স্থানীয়রা বলছেন, তাঁর এলাকায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম-গন্ধও নেই। তাঁরা কখনো আইএস দেখেননি।
সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল জেলার মুসলিমপ্রধান কৃষিভিত্তিক জনপদ জাবোর বাসিন্দা সুলেমান কাগারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি একটি বিকট শব্দ শোনেন এবং মাথার ওপর দিয়ে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা উড়ে যেতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি সশব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ে গ্রামবাসীরা দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পালাতে শুরু করেন।
কাগারা বলেন, ‘আমরা কাল সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আমাদের জীবনে আমরা এমন ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি।’
এদিকে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অভিযান চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই জঙ্গিরা বছরের পর বছর ধরে নিরীহ খ্রিষ্টানদের হত্যা করছে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যে জাবোর মানুষ আকাশ থেকে পড়েছে।
সুলেমান কাগারা জানান, জাবো গ্রামে মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিষ্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। তাদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় সংঘাত নেই। সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাশার ইসাহ জাবো বলেন, ‘এটি একটি শান্ত এলাকা। এখানে আইএস, লাকুরাওয়া বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের কোনো ইতিহাস নেই।’
বাশার ইসাহ আরও বলেন, মিসাইলটি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি খোলা মাঠে আঘাত হানে। এতে কেউ হতাহত না হলেও পুরো জনপদে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়া যৌথভাবে সোকোটোর তানগাজা জেলার জঙ্গলে আইএসের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, অভিযানের সময় ব্যবহৃত গোলার ধ্বংসাবশেষ বা ‘ডেব্রিস’ জাবো গ্রাম এবং উত্তর-কেন্দ্রীয় কওয়ারা রাজ্যের কিছু এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তারা এটাও দাবি করেছে, এতে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নামদি ওবাসি মনে করেন, এই বিমান হামলা হয়তো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে কিছুটা দুর্বল করবে, কিন্তু নাইজেরিয়ার বহুমাত্রিক সহিংসতা শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সুশাসনের অভাব, চারণভূমি ও পানির দখল নিয়ে কৃষক-পশুপালকদের জাতিগত দাঙ্গা এবং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বই এই অস্থিরতার মূল কারণ।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ তুগার সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছে, সন্ত্রাস দমনের নামে সাধারণ জনপদে এ ধরনের হামলা তাদের জীবনকে আরও অনিরাপদ করে তুলছে।

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যের জাবো গ্রামের মানুষের কাছে এবারের বড়দিনের রাতটি ছিল এক বিভীষিকার নাম। যুক্তরাষ্ট্রের ছোড়া একটি মিসাইল গ্রামের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাত্র কয়েক মিটার দূরে আছড়ে পড়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে সন্ত্রাসীদের জন্য ‘বড়দিনের উপহার’ হিসেবে অভিহিত করলেও স্থানীয়রা বলছেন, তাঁর এলাকায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) বা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম-গন্ধও নেই। তাঁরা কখনো আইএস দেখেননি।
সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল জেলার মুসলিমপ্রধান কৃষিভিত্তিক জনপদ জাবোর বাসিন্দা সুলেমান কাগারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি একটি বিকট শব্দ শোনেন এবং মাথার ওপর দিয়ে আগুনের গোলার মতো কিছু একটা উড়ে যেতে দেখেন। মুহূর্তের মধ্যেই সেটি সশব্দে মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়ে গ্রামবাসীরা দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পালাতে শুরু করেন।
কাগারা বলেন, ‘আমরা কাল সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আমাদের জীবনে আমরা এমন ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি।’
এদিকে হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অভিযান চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই জঙ্গিরা বছরের পর বছর ধরে নিরীহ খ্রিষ্টানদের হত্যা করছে। তবে ট্রাম্পের এই বক্তব্যে জাবোর মানুষ আকাশ থেকে পড়েছে।
সুলেমান কাগারা জানান, জাবো গ্রামে মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিষ্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে। তাদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় সংঘাত নেই। সোকোটো রাজ্যের তাম্বুওয়াল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাশার ইসাহ জাবো বলেন, ‘এটি একটি শান্ত এলাকা। এখানে আইএস, লাকুরাওয়া বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যক্রমের কোনো ইতিহাস নেই।’
বাশার ইসাহ আরও বলেন, মিসাইলটি গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি খোলা মাঠে আঘাত হানে। এতে কেউ হতাহত না হলেও পুরো জনপদে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় পরে এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়া যৌথভাবে সোকোটোর তানগাজা জেলার জঙ্গলে আইএসের আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, অভিযানের সময় ব্যবহৃত গোলার ধ্বংসাবশেষ বা ‘ডেব্রিস’ জাবো গ্রাম এবং উত্তর-কেন্দ্রীয় কওয়ারা রাজ্যের কিছু এলাকায় গিয়ে পড়েছে। তারা এটাও দাবি করেছে, এতে কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়নি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নামদি ওবাসি মনে করেন, এই বিমান হামলা হয়তো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে কিছুটা দুর্বল করবে, কিন্তু নাইজেরিয়ার বহুমাত্রিক সহিংসতা শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, সুশাসনের অভাব, চারণভূমি ও পানির দখল নিয়ে কৃষক-পশুপালকদের জাতিগত দাঙ্গা এবং গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বই এই অস্থিরতার মূল কারণ।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ তুগার সিএনএনকে জানিয়েছেন, হামলার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু এই অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। তবে নাইজেরিয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছে, সন্ত্রাস দমনের নামে সাধারণ জনপদে এ ধরনের হামলা তাদের জীবনকে আরও অনিরাপদ করে তুলছে।

চলতি মাসেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো সফরে যাচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। এ সাক্ষাতে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সোমালিয়া সরকার। মোগাদিশুর দাবি, এটি সোমালিয়ার সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হামলা এবং এর পেছনে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করে সোমালিল্যান্ডে পাঠানোর গোপন পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা সোমালিল্যান্ডকে দেওয়া
১৩ মিনিট আগে
কর্ণাটক সরকারের এক বিশাল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে প্রায় ২০০টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে অন্তত ৪০০ মুসলিম পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এবং কেরালার বাম ফ্রন্টের মধ্যে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন...
৩ ঘণ্টা আগে