Ajker Patrika

আমাদের নয়, নিষিদ্ধ করুন ক্ষতিকর কনটেন্ট—অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে কিশোর-কিশোরীর চ্যালেঞ্জ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নোয়া জোন্স ও ম্যাসি নেইল্যান্ড। ছবি: বিবিসি
নোয়া জোন্স ও ম্যাসি নেইল্যান্ড। ছবি: বিবিসি

অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। নতুন আইনে ১০ ডিসেম্বর থেকে মেটা, টিকটক, ইউটিউবসহ সব বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে নিশ্চিত করতে হবে, অস্ট্রেলিয়ার ১৬ বছরের কম বয়সী কেউ তাদের প্ল্যাটফর্মে নেই।

বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলছে—শিশুরা যেন ক্ষতিকর কনটেন্ট, অ্যালগরিদমিক ঝুঁকি ও অনলাইন শিকারিদের হাত থেকে নিরাপদ থাকে, সেই লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে নোয়া জোন্স ও ম্যাসি নেইল্যান্ড নামে ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোর-কিশোরী। নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজনীতিবিদ জন রাডিকের নেতৃত্বে অধিকারভিত্তিক সংগঠন ডিজিটাল ফ্রিডম প্রজেক্ট (ডিএফপি) তাদের এই আইনি লড়াইয়ে সহায়তা করছে। কিশোরদের যুক্তি, এই নিষেধাজ্ঞা তাদের বাক্‌স্বাধীনতা ও স্বাধীন যোগাযোগের অধিকারকে খর্ব করবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নোয়া জোন্স মত দিয়েছে—অনলাইনে সমস্যার রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার সমাধান শিশু-কিশোরদের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা নয়। নোয়ার ভাষায়, ‘সরকারের জরিমানা এড়াতে প্ল্যাটফর্মগুলোকে টাকা খরচ করতে বাধ্য করার বদলে একই খরচে শিকারি ও ক্ষতিকর কনটেন্ট সরানোই উচিত।’

নোয়ার সহ চ্যালেঞ্জকারী ম্যাসি নেইল্যান্ডও স্বীকার করেছে—সোশ্যাল মিডিয়া, গেমিং ও অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইমে নানা সমস্যা আছে। তবে সে মনে করে, এসব প্ল্যাটফর্ম শিক্ষা, যোগাযোগ, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও তথ্যপ্রাপ্তিতে বিশাল ভূমিকা রাখে। তাই পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বদলে প্রয়োজন অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা, কার্যকর বয়স যাচাই ব্যবস্থা এবং নিরাপদ ব্যবহারের নিয়মকানুন।

নেইল্যান্ড আরও মত দেয়, নিষেধাজ্ঞা তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও রাজনৈতিক জ্ঞান অর্জনের পথ সংকুচিত করবে। সে বলে, ‘গণতন্ত্র ১৬ বছর বয়স থেকে শুরু হয় না।’

আইনি চ্যালেঞ্জের খবর প্রকাশের পর অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী আনিকা ওয়েলস সংসদে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার অবস্থান পরিবর্তন করবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা হুমকি, মামলা কিংবা বিগ টেকের চাপ—কোনো কিছুকেই ভয় পাই না। অস্ট্রেলিয়ার অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব।’

এদিকে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো অস্ট্রেলিয়ার এই আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তবে জরিপগুলোতে দেখা গেছে, জনসাধারণের বড় একটি অংশ এই নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করছে। তবে কিছু মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছেন—সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা কিশোরদের সমবয়সীদের সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে এবং তাদের আরও অনিয়ন্ত্রিত, ঝুঁকিপূর্ণ ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঠেলে দিতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ১৪ জন, তালিকায় ছয় চিকিৎসক ও দুই এসএসএফ

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

ঢাকার তিনটিসহ আরও ২৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি থাকল

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ