Ajker Patrika

ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডে ধসে পড়ল ৩০ তলা ভবন, ৪৩ নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৫: ৩১
ভূমিকম্পে ব্যাংককে বিধ্বস্ত হওয়া ভবন। ছবি: এএফপি
ভূমিকম্পে ব্যাংককে বিধ্বস্ত হওয়া ভবন। ছবি: এএফপি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল থাইল্যান্ডও। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী ব্যাংকক। পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি ভবন। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, একটি বহুতল ভবন ধসে ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত ৪৩ জন নির্মাণশ্রমিক আটকে আছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রা। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিয়ানমারের ভূমিকম্পের কারণে ব্যাংককের একটি অসমাপ্ত ৩০ তলা ভবন ধসে পড়েছে। ৪৩ জন নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। জাতীয় জরুরি চিকিৎসা ইনস্টিটিউট তাদের ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, চাতুচাক পার্কের কাছে ওই ভবনটিতে ৫০ জন লোক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও ৪৩ জন এখনো ভেতরে আটকে রয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্যমতে, ভূমিকম্পে ভবনগুলো এত বেশি দুলছিল যে যেসব ভবনের ছাদে সুইমিং পুল ছিল সেগুলো থেকে পানি উপচে পড়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজ এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বিবিসির থাইল্যান্ড প্রতিনিধি বুই থু বলেন, ‘আমি রান্না করছিলাম। হঠাৎ ভূকম্পন টের পাই। খুবই ভয় পেয়ে যাই। প্রথমে বুঝতে পারিনি যে আসলেই ভূমিকম্পই হচ্ছে। কারণ প্রায় এক যুগের মধ্যে থাইল্যান্ডে কোনো ভূমিকম্প হয়েছে বলে আমি মনে করতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই আরেকটা আফটার শক অনুভূত হয়। আমি দেখলাম ভবনগুলোর ছাদ থেকে পানি উপচে পড়ছে নিচে। মানুষজনের চিৎকার কানে ভেসে এল। দৌড়ে নিচে নামলাম। ততক্ষণে সবাই নিচে নেমে এসেছে। থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প খুব একটা হয় না বলে এখানকার ভবনগুলো সেভাবে তৈরি করা হয় না। আমার ধারণা অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৭। মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ছিল এর উৎপত্তিস্থল। গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। মূল কম্পনের পরপরই অনুভূত হওয়া আফটার শকের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪।

স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং চীনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউক্রেনের ওপর থেকে মার্কিন সমর্থন তুলে নেওয়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পপুত্রের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে সরে আসতে পারেন—মধ্যপ্রাচ্যের এক সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ইউক্রেন ইস্যুতে দীর্ঘ সমালোচনায় ট্রাম্প জুনিয়র বলেন—তাঁদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনো অর্থ নেই। ইউক্রেনের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ ধনীরা ইতিমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ফলে যুদ্ধের দায়িত্ব চাপছে তাঁদের তথাকথিত ‘কৃষক শ্রেণির’ ওপর।

ট্রাম্প প্রশাসনে তাঁর ছেলের কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নেই। তিনি মাগা (MAGA) আন্দোলনের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। তবে তাঁর মন্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের ইউক্রেনবিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন ট্রাম্পের আলোচক দল কিয়েভকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছে।

ট্রাম্প জুনিয়র দাবি করেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন। কারণ, যুদ্ধ শেষ হলে তিনি কখনোই নির্বাচনে জিততে পারবেন না। তিনি বলেন, পশ্চিমা উদারনৈতিক মহলে জেলেনস্কি প্রায় দেবতার মতো সম্মান পেলেও ইউক্রেন বাস্তবে রাশিয়ার চেয়েও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত।

তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কাইজা কালাসেরও সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়নি, কারণ, এতে তেলের মূল্য বেড়েছে আর সেই আয়ে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারছে। তাঁর ভাষায়, রাশিয়া দেউলিয়া হয়ে যাবে—এটাই যদি পরিকল্পনা হয়, তবে এটা কোনো পরিকল্পনা নয়।

ট্রাম্প জুনিয়র দাবি করেন, ২০২২ সালের নির্বাচনী প্রচারে তিনি মাত্র তিনজন ভোটার পেয়েছিলেন, যাঁরা ইউক্রেন যুদ্ধকে শীর্ষ ১০ ইস্যুর মধ্যে রেখেছেন। তাঁর মতে, ভেনেজুয়েলা থেকে নৌকায় করে ফেন্টানিল মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ঝুঁকি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের চেয়ে অনেক বড় হুমকি।

ট্রাম্প জুনিয়র আরও দাবি করেন, চলতি বছরের গ্রীষ্মে মোনাকোতে বুগাটি ও ফেরারির মতো অনেকগুলো সুপারকার দেখেছেন। এর মধ্যে ‘৫০ শতাংশেই ইউক্রেনের নম্বরপ্লেট’ ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘তাদের যদি অর্থই নেই, তাহলে এগুলো কোথা থেকে আসে?’ তবে তিনি তাঁর এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।

ট্রাম্প জুনিয়র বলেন, ‘আমরা যখন দেখি মোনাকোর প্রতিটি গাড়ির নম্বরপ্লেট ইউক্রেনের, তখন বুঝতে পারি, ধনীরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁরা জনগণকে রেখে গেছেন যুদ্ধ করার জন্য। যতক্ষণ অর্থ আসছিল, তাঁরা চুরি করেছেন—কেউ কিছু যাচাই করেনি, ফলে শান্তি চাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনি।’

তাহলে ট্রাম্প কি ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেবেন

মঞ্চ থেকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনার বাবা দাবি করেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু এখন তিনি ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে পারেন কি না!’ এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জুনিয়র বলেন—হতে পারে। তিনি আরও বলেন, তাঁর বাবা মার্কিন রাজনীতির ‘আনপ্রেডিকটেবল’ ব্যক্তি অর্থাৎ তাঁর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আগে থেকে কোনো কিছুই অনুমান করা যায় না।

ট্রাম্প জুনিয়র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর কারও জন্য বোকার মতো চেকবই খুলে বসে থাকবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেনিনে সামরিক অভ্যুত্থান ঠেকিয়ে দিল সরকার অনুগত সেনারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন নামের সেনাবাহিনীর একটি অংশ প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন নামের সেনাবাহিনীর একটি অংশ প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনে একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাসান সাইদু। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোরে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি অংশ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালানোর পর এ ঘোষণা আসে। এর আগে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পাসকাল টিগরির নেতৃত্বে একদল সৈন্য রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে হাজির হয়ে জানিয়েছিল, তারা প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালনকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে এবং সংবিধান স্থগিত করেছে।

ওই ঘটনার পর কোটোনুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে গুলিবর্ষণের খবর দেয় দেশটিতে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাস। প্রত্যক্ষদর্শীরাও গুলির শব্দ শোনার কথা জানান। এমনকি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিককে জিম্মি করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। পরে প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টা বিবিসিকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্যালন নিরাপদ আছেন এবং বর্তমানে ফরাসি দূতাবাসে অবস্থান করছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাসান সাইদু বলেন, আজ ভোরের দিকে সৈন্যদের একটি ছোট দল রাষ্ট্র ও এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি বিদ্রোহ শুরু করে। তবে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ও অনুগত সদস্যরা শপথের প্রতি অটল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। তাঁদের দ্রুত পদক্ষেপের কারণেই এই অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

সরকার জনগণকে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে কোটোনু শহরের আকাশে হেলিকপ্টার টহল দেখা গেছে। নগরের বিভিন্ন সড়ক সামরিক বাহিনী অবরুদ্ধ করে রাখে এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ভারী অস্ত্রসজ্জিত সেনা মোতায়েন করা হয়।

ফরাসি উপনিবেশ বেনিনকে পশ্চিম আফ্রিকার তুলনামূলক স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখা হয়। দেশটি আফ্রিকার অন্যতম বড় তুলা উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। তবে এটি এখনো বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর একটি।

অভ্যুত্থানের চেষ্টার পর ফরাসি ও রুশ দূতাবাস তাদের নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জনগণকে কোটোনুর প্রেসিডেন্ট কম্পাউন্ড এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

কেন অভ্যুত্থানের চেষ্টা

মিলিটারি কমিটি ফর রিফাউন্ডেশন নামের বিদ্রোহী সেনারা প্রেসিডেন্ট ট্যালনের শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করে অভ্যুত্থানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে। এক বিবৃতিতে তারা বলে, ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার ও কাজের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বেনিনের জনগণকে একটি নতুন যুগের আশা দিতে সেনাবাহিনী দৃঢ় অঙ্গীকার করছে।

প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিস ট্যালন পশ্চিমা দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি আগামী বছর দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। এপ্রিল মাসে নির্বাচনের নির্ধারিত সময় রয়েছে। তুলা ব্যবসায় ‘কিং অব কটন’ নামে পরিচিত ট্যালন ২০১৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসেন। তিনি তৃতীয় মেয়াদে না যাওয়ার কথা বলেছেন এবং উত্তরসূরি হিসেবে অর্থমন্ত্রী রোমুয়াল্ড ওয়াদাগনিকে সমর্থন দিচ্ছেন।

তবে তাঁর সরকার বিভিন্ন অভিযোগে সমালোচিত। গত অক্টোবর মাসে নির্বাচন কমিশন দেশটির প্রধান বিরোধী প্রার্থীকে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার অজুহাতে নির্বাচন থেকে বাদ দেয়। গত মাসে সংসদ কয়েকটি সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করেছে, যার মধ্যে দ্বিতীয় সংসদীয় কক্ষ সিনেট গঠনের বিষয়টি রয়েছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে সাত বছর করা হলেও প্রেসিডেন্টের দুই মেয়াদসীমা বহাল রাখা হয়েছে।

এ ঘটনার ঠিক আগে গত ২৮ নভেম্বর পার্শ্ববর্তী গিনি বিসাউতে প্রেসিডেন্ট উমারু সিসোকো এমবালো ক্ষমতাচ্যুত হন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, গিনি, মালি ও নাইজারে একের পর এক অভ্যুত্থান ঘটেছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তাসংকট বাড়িয়েছে।

এদিকে, রাশিয়া এই সাহেল অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো ইকোওয়াস ছেড়ে অ্যালায়েন্স অব সাহেল স্টেটস নামে নতুন জোট গঠন করেছে।

বিবিসি মনিটরিং জানিয়েছে, বেনিনের অভ্যুত্থানচেষ্টার খবর রুশপন্থী কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে শেয়ার করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেনিনে জঙ্গি তৎপরতাও বেড়েছে। ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদা সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলোর প্রভাব দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের দিকে বিস্তৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনের বিরুদ্ধে এককাট্টা জাপান ও অস্ট্রেলিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি (ডানে) ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস। ছবি: নিক্কেই এশিয়া
টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি (ডানে) ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস। ছবি: নিক্কেই এশিয়া

জাপান ও অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে। শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিম ওকিনাওয়ার আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনীর (এসডিএফ) ফাইটার জেটের ওপর রাডার লক করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরদিনই রোববার (৭ ডিসেম্বর) টোকিওতে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত এসেছে।

জাপান জানিয়েছে, চীনা বিমানবাহী রণতরী ‘লিয়াওনিং’ থেকে উড্ডয়ন করা জে–১৫ যুদ্ধবিমান দুপুর ও সন্ধ্যায় দুই দফায় জাপানি এফ–১৫ জেটের ওপর রাডার লক করে। এই ঘটনা নিরাপত্তা ইস্যুতে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, ‘গত রাতের ঘটনা উদ্বেগজনক। অস্ট্রেলিয়াও সম্প্রতি চীনের সঙ্গে এমন আচরণের অভিজ্ঞতা পেয়েছে। এই অঞ্চলে নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা রক্ষায় আমরা জাপানের পাশে থাকব এবং দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেব।’

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি রাডার লকের ঘটনাটিকে ‘বিপজ্জনক ও অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শান্তভাবে কিন্তু দৃঢ়তার সঙ্গে এমন কর্মকাণ্ডের জবাব দেব, যাতে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’

বৈঠকের আগে অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী জাপানের প্রতিরক্ষা দপ্তরে প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্সড ক্যাপাবিলিটি–৩ (পিএসি-৩) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।

চলতি বছরের আগস্টে অস্ট্রেলিয়া তার নতুন নৌবহরের জন্য জাপানের উন্নত মোগামি-শ্রেণির যুদ্ধজাহাজকে প্রাধান্য দেয়। এই জাহাজ মোট ১১টি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার—যার প্রথম তিনটি জাপানে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বিশ্লেষকদের মতে, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই সমঝোতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তার ভারসাম্য ও চীনের প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগুন দেখে ‘মেহবুবা মেহবুবা’ গান আরও জমে যায়—সেই আগুনই কেড়ে নিল ২৫ প্রাণ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৬
মঞ্চের পেছনের দিকে ছাদে এভাবেই উঁকি দেয় আগুন। ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া
মঞ্চের পেছনের দিকে ছাদে এভাবেই উঁকি দেয় আগুন। ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’। শনিবার রাতে সেখানেই ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, আগুন লাগার সেই মুহূর্তটিতে প্রায় ১০০ পর্যটক ক্লাবের ঘোষিত ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়—নির্ধারিত মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’–র তালে নাচছেন। গানের সুর, নাচ, ভিড়ের উল্লাস, আর সংগীতশিল্পীদের বাদ্যযন্ত্রে একাকার হয়ে যায় অনুষ্ঠানের স্থানটি।

হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়। এই আগুন দেখে দর্শকেরা প্রথমে কোনো গুরুত্বই দেননি, বরং তাঁদের উচ্ছ্বাস আরও নতুন মাত্রা পায়। নৃত্যশিল্পীকে উদ্দেশ্য করে কেউ কেউ তো মজা করে বলেও ফেলেন—‘আগুন লাগিয়ে দিলেন আপনি!’

আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বড় হতে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।

মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন এবং আহত হন আরও ৬ জন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ক্লাবের সংকীর্ণ প্রবেশপথ ও নির্গমন পথ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। অনেকে বাইরে বের হতে পারলেও কিছু পর্যটক ক্লাবটির রান্নাঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং সেখানে আটকে যান।

দমকল কর্মকর্তারা জানান, ক্লাব পর্যন্ত সরাসরি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, কারণ রাস্তা খুবই সরু ছিল। ফলে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে গাড়ি থামিয়ে পাইপ ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়—যা উদ্ধারকাজকে আরও বিলম্বিত করে।

গোয়ায় এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে আগুন ওপরের তলায় শুরু হয়। সংকীর্ণ দরজা এবং বায়ু চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে বের হতে পারেননি এবং দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন।’

ঘটনার পর ইতিমধ্যে ক্লাবের মালিক ও ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্নি নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের বিষয়েও তদন্ত চলছে।

মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে বলেছেন, সরকার আর্থিক সহায়তা দেবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

শিক্ষকদের ঢুকতে না দিয়ে পরীক্ষা নিলেন অভিভাবকেরা

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’, মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত