রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন

সহিংসতা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরার স্বপ্ন এখনো অনিশ্চিত। স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি রাখাইনের (পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত ছিল) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের উদ্বেগ কাটেনি। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চালানো রক্তক্ষয়ী অভিযানের ফলে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। তারা কক্সবাজারের আশপাশে আগে থেকেই বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলিত হয়। ফলে ওই সময়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি হয়ে যায়।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখাইনে ফেরত পাঠানোর জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। রোহিঙ্গারা মনে করে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ দখল করে এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তেরও নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ঘটনা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছিল। তারা ভেবেছিল, তারা হয়তো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিরাপদে নিজেদের পুরোনো এলাকায় ফিরে যেতে পারবে এবং এএয়ের শাসনামলে পুনর্বাসিত হতে পারবে।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে (আরএফএ) জানিয়েছেন, তাঁদের ফেরার সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত। কারণ, এএ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য কী ব্যবস্থা নেবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তা ছাড়া, রাখাইনের চলমান সংঘর্ষ এবং সামরিক জান্তার বিমান হামলার ঝুঁকির কারণে তাঁরা আরও আতঙ্কিত।
কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী মোহাম্মদ বলেন, ‘এখন যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফেরা সম্ভব নয়। এমনকি যদি এএ পুরো রাখাইন দখল করে নেয়, তবুও আমাদের ফেরার পথ বহু দূর। কারণ, তারা কোনো বৈধ সরকার নয়।’ বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরে রাখাইনের সংঘাত ও সহিংসতার কারণে প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে জান্তার সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কা। ইউরোপভিত্তিক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী নায় সান লুইন বলেন, ‘পুনর্বাসন পুরোপুরি এএয়ের ওপর নির্ভরশীল। কারণ, তারা বর্তমানে সেই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে যেখানে রোহিঙ্গা সম্প্রদায় আছে। তবে জান্তা যদি বিমান হামলা চালায়, তাহলে রোহিঙ্গারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে পুনর্বাসন কার্যক্রম অসম্ভব।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব, জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি এবং মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফেরার দাবি জানিয়ে আসছে। গত ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের কাছে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন চায়।
মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা চাই নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে। এ ছাড়া, আমরা মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের কাছে আমাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, শিক্ষার অধিকার এবং মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি। এসব দাবির ক্ষেত্রে কোনো আপস হবে না।’
সীমান্তে এএয়ের নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে, যা রোহিঙ্গাদের অনিশ্চয়তার মধ্যেই রেখেছে। গত ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফি আলম সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে ‘সমাধানের পথ খুঁজতে’ অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং জানিয়েছে, তারা আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে কোনো ধরনের ‘সম্পৃক্ততায়’ যাবে না।
তবে এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, সাবেক কূটনীতিক এবং গবেষকেরা বাংলাদেশ সরকারকে সরাসরি এবং কূটনৈতিকভাবে এএয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। সম্পর্কের বর্তমান অবস্থান এখনো অনিশ্চিত।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের সাবেক এক জেলা আইন কর্মকর্তা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনেকাংশে রাখাইন রাজ্যের শাসনব্যবস্থার ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে কোনো আইনগত কাঠামো নেই। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অপরিহার্য।’
প্রায় ৩০টি আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংগঠন গত ২৩ ডিসেম্বর আরাকান আর্মিকে (এএ) রাখাইন রাজ্যের সব সম্প্রদায়ের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, একটি অন্তর্বর্তী পরামর্শক কমিটি গঠন করতে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের একটি জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং এএয়ের যোদ্ধাদের জন্য একটি প্রকাশ্য আচরণবিধি গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে আহ্বান জানায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুখার কাছে মন্তব্য চেয়ে আরএফএ যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।
এদিকে, রাখাইনের পায়াকতাউ টাউনশিপের একটি শিবিরে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা খাদ্যসহায়তা না পাওয়ার কারণে চরম সংকটে রয়েছে। শুক্রবার তারা আরএফএকে জানিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা কোনো সহায়তা পায়নি।
পায়াকতাউয়ের আহ নউক ইয়ে গ্রামের এক শিবিরের বাসিন্দা জানিয়েছেন, খাদ্যসংকটের কারণে বাস্তুচ্যুতরা চালের পাতলা ভাত খেয়ে বেঁচে আছে। ওই বাসিন্দা বলেন, ‘শিবিরে শুকনো চাল অত্যন্ত জরুরি। কারণ, কিছু বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি অনাহারে ভুগছে। আমাদের কোনো কাজ নেই এবং অন্যদের কাছ থেকে ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দাম আমাদের পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলছে।’
শিবিরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে এক গর্ভবতী নারী, এক বৃদ্ধ ও এক শিশু চিকিৎসা, ওষুধের অভাবে এবং অপুষ্টির কারণে মারা গেছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রাখাইন রাজ্যে তাদের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ সীমিত করেছে।
এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও বাধা দেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাসে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, মার্চ ও এপ্রিল মাসে রাখাইন রাজ্যে প্রায় ২০ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটে পড়তে পারে, কারণ পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নেই।
রাখাইন রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ও জান্তার মুখপাত্র হ্লা থেইনের কাছে খাদ্যসংকট নিয়ে আরএফএ মন্তব্য চাইলেও শুক্রবার পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।

সহিংসতা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরার স্বপ্ন এখনো অনিশ্চিত। স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি রাখাইনের (পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত ছিল) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের উদ্বেগ কাটেনি। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চালানো রক্তক্ষয়ী অভিযানের ফলে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। তারা কক্সবাজারের আশপাশে আগে থেকেই বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলিত হয়। ফলে ওই সময়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি হয়ে যায়।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখাইনে ফেরত পাঠানোর জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। রোহিঙ্গারা মনে করে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ দখল করে এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তেরও নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ঘটনা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছিল। তারা ভেবেছিল, তারা হয়তো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিরাপদে নিজেদের পুরোনো এলাকায় ফিরে যেতে পারবে এবং এএয়ের শাসনামলে পুনর্বাসিত হতে পারবে।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে (আরএফএ) জানিয়েছেন, তাঁদের ফেরার সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত। কারণ, এএ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য কী ব্যবস্থা নেবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তা ছাড়া, রাখাইনের চলমান সংঘর্ষ এবং সামরিক জান্তার বিমান হামলার ঝুঁকির কারণে তাঁরা আরও আতঙ্কিত।
কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী মোহাম্মদ বলেন, ‘এখন যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফেরা সম্ভব নয়। এমনকি যদি এএ পুরো রাখাইন দখল করে নেয়, তবুও আমাদের ফেরার পথ বহু দূর। কারণ, তারা কোনো বৈধ সরকার নয়।’ বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরে রাখাইনের সংঘাত ও সহিংসতার কারণে প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে জান্তার সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কা। ইউরোপভিত্তিক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী নায় সান লুইন বলেন, ‘পুনর্বাসন পুরোপুরি এএয়ের ওপর নির্ভরশীল। কারণ, তারা বর্তমানে সেই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে যেখানে রোহিঙ্গা সম্প্রদায় আছে। তবে জান্তা যদি বিমান হামলা চালায়, তাহলে রোহিঙ্গারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে পুনর্বাসন কার্যক্রম অসম্ভব।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব, জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি এবং মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফেরার দাবি জানিয়ে আসছে। গত ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের কাছে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন চায়।
মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা চাই নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে। এ ছাড়া, আমরা মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের কাছে আমাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, শিক্ষার অধিকার এবং মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি। এসব দাবির ক্ষেত্রে কোনো আপস হবে না।’
সীমান্তে এএয়ের নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে, যা রোহিঙ্গাদের অনিশ্চয়তার মধ্যেই রেখেছে। গত ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফি আলম সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে ‘সমাধানের পথ খুঁজতে’ অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং জানিয়েছে, তারা আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে কোনো ধরনের ‘সম্পৃক্ততায়’ যাবে না।
তবে এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, সাবেক কূটনীতিক এবং গবেষকেরা বাংলাদেশ সরকারকে সরাসরি এবং কূটনৈতিকভাবে এএয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। সম্পর্কের বর্তমান অবস্থান এখনো অনিশ্চিত।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের সাবেক এক জেলা আইন কর্মকর্তা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনেকাংশে রাখাইন রাজ্যের শাসনব্যবস্থার ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে কোনো আইনগত কাঠামো নেই। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অপরিহার্য।’
প্রায় ৩০টি আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংগঠন গত ২৩ ডিসেম্বর আরাকান আর্মিকে (এএ) রাখাইন রাজ্যের সব সম্প্রদায়ের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, একটি অন্তর্বর্তী পরামর্শক কমিটি গঠন করতে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের একটি জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং এএয়ের যোদ্ধাদের জন্য একটি প্রকাশ্য আচরণবিধি গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে আহ্বান জানায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুখার কাছে মন্তব্য চেয়ে আরএফএ যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।
এদিকে, রাখাইনের পায়াকতাউ টাউনশিপের একটি শিবিরে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা খাদ্যসহায়তা না পাওয়ার কারণে চরম সংকটে রয়েছে। শুক্রবার তারা আরএফএকে জানিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা কোনো সহায়তা পায়নি।
পায়াকতাউয়ের আহ নউক ইয়ে গ্রামের এক শিবিরের বাসিন্দা জানিয়েছেন, খাদ্যসংকটের কারণে বাস্তুচ্যুতরা চালের পাতলা ভাত খেয়ে বেঁচে আছে। ওই বাসিন্দা বলেন, ‘শিবিরে শুকনো চাল অত্যন্ত জরুরি। কারণ, কিছু বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি অনাহারে ভুগছে। আমাদের কোনো কাজ নেই এবং অন্যদের কাছ থেকে ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দাম আমাদের পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলছে।’
শিবিরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে এক গর্ভবতী নারী, এক বৃদ্ধ ও এক শিশু চিকিৎসা, ওষুধের অভাবে এবং অপুষ্টির কারণে মারা গেছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রাখাইন রাজ্যে তাদের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ সীমিত করেছে।
এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও বাধা দেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাসে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, মার্চ ও এপ্রিল মাসে রাখাইন রাজ্যে প্রায় ২০ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটে পড়তে পারে, কারণ পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নেই।
রাখাইন রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ও জান্তার মুখপাত্র হ্লা থেইনের কাছে খাদ্যসংকট নিয়ে আরএফএ মন্তব্য চাইলেও শুক্রবার পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।
রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন

সহিংসতা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরার স্বপ্ন এখনো অনিশ্চিত। স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি রাখাইনের (পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত ছিল) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের উদ্বেগ কাটেনি। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চালানো রক্তক্ষয়ী অভিযানের ফলে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। তারা কক্সবাজারের আশপাশে আগে থেকেই বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলিত হয়। ফলে ওই সময়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি হয়ে যায়।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখাইনে ফেরত পাঠানোর জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। রোহিঙ্গারা মনে করে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ দখল করে এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তেরও নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ঘটনা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছিল। তারা ভেবেছিল, তারা হয়তো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিরাপদে নিজেদের পুরোনো এলাকায় ফিরে যেতে পারবে এবং এএয়ের শাসনামলে পুনর্বাসিত হতে পারবে।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে (আরএফএ) জানিয়েছেন, তাঁদের ফেরার সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত। কারণ, এএ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য কী ব্যবস্থা নেবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তা ছাড়া, রাখাইনের চলমান সংঘর্ষ এবং সামরিক জান্তার বিমান হামলার ঝুঁকির কারণে তাঁরা আরও আতঙ্কিত।
কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী মোহাম্মদ বলেন, ‘এখন যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফেরা সম্ভব নয়। এমনকি যদি এএ পুরো রাখাইন দখল করে নেয়, তবুও আমাদের ফেরার পথ বহু দূর। কারণ, তারা কোনো বৈধ সরকার নয়।’ বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরে রাখাইনের সংঘাত ও সহিংসতার কারণে প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে জান্তার সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কা। ইউরোপভিত্তিক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী নায় সান লুইন বলেন, ‘পুনর্বাসন পুরোপুরি এএয়ের ওপর নির্ভরশীল। কারণ, তারা বর্তমানে সেই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে যেখানে রোহিঙ্গা সম্প্রদায় আছে। তবে জান্তা যদি বিমান হামলা চালায়, তাহলে রোহিঙ্গারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে পুনর্বাসন কার্যক্রম অসম্ভব।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব, জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি এবং মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফেরার দাবি জানিয়ে আসছে। গত ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের কাছে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন চায়।
মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা চাই নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে। এ ছাড়া, আমরা মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের কাছে আমাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, শিক্ষার অধিকার এবং মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি। এসব দাবির ক্ষেত্রে কোনো আপস হবে না।’
সীমান্তে এএয়ের নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে, যা রোহিঙ্গাদের অনিশ্চয়তার মধ্যেই রেখেছে। গত ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফি আলম সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে ‘সমাধানের পথ খুঁজতে’ অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং জানিয়েছে, তারা আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে কোনো ধরনের ‘সম্পৃক্ততায়’ যাবে না।
তবে এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, সাবেক কূটনীতিক এবং গবেষকেরা বাংলাদেশ সরকারকে সরাসরি এবং কূটনৈতিকভাবে এএয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। সম্পর্কের বর্তমান অবস্থান এখনো অনিশ্চিত।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের সাবেক এক জেলা আইন কর্মকর্তা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনেকাংশে রাখাইন রাজ্যের শাসনব্যবস্থার ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে কোনো আইনগত কাঠামো নেই। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অপরিহার্য।’
প্রায় ৩০টি আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংগঠন গত ২৩ ডিসেম্বর আরাকান আর্মিকে (এএ) রাখাইন রাজ্যের সব সম্প্রদায়ের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, একটি অন্তর্বর্তী পরামর্শক কমিটি গঠন করতে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের একটি জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং এএয়ের যোদ্ধাদের জন্য একটি প্রকাশ্য আচরণবিধি গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে আহ্বান জানায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুখার কাছে মন্তব্য চেয়ে আরএফএ যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।
এদিকে, রাখাইনের পায়াকতাউ টাউনশিপের একটি শিবিরে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা খাদ্যসহায়তা না পাওয়ার কারণে চরম সংকটে রয়েছে। শুক্রবার তারা আরএফএকে জানিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা কোনো সহায়তা পায়নি।
পায়াকতাউয়ের আহ নউক ইয়ে গ্রামের এক শিবিরের বাসিন্দা জানিয়েছেন, খাদ্যসংকটের কারণে বাস্তুচ্যুতরা চালের পাতলা ভাত খেয়ে বেঁচে আছে। ওই বাসিন্দা বলেন, ‘শিবিরে শুকনো চাল অত্যন্ত জরুরি। কারণ, কিছু বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি অনাহারে ভুগছে। আমাদের কোনো কাজ নেই এবং অন্যদের কাছ থেকে ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দাম আমাদের পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলছে।’
শিবিরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে এক গর্ভবতী নারী, এক বৃদ্ধ ও এক শিশু চিকিৎসা, ওষুধের অভাবে এবং অপুষ্টির কারণে মারা গেছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রাখাইন রাজ্যে তাদের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ সীমিত করেছে।
এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও বাধা দেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাসে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, মার্চ ও এপ্রিল মাসে রাখাইন রাজ্যে প্রায় ২০ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটে পড়তে পারে, কারণ পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নেই।
রাখাইন রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ও জান্তার মুখপাত্র হ্লা থেইনের কাছে খাদ্যসংকট নিয়ে আরএফএ মন্তব্য চাইলেও শুক্রবার পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।

সহিংসতা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরার স্বপ্ন এখনো অনিশ্চিত। স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি রাখাইনের (পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত ছিল) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের উদ্বেগ কাটেনি। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চালানো রক্তক্ষয়ী অভিযানের ফলে প্রায় ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। তারা কক্সবাজারের আশপাশে আগে থেকেই বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিলিত হয়। ফলে ওই সময়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি হয়ে যায়।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখাইনে ফেরত পাঠানোর জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। রোহিঙ্গারা মনে করে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
গত ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ দখল করে এবং বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তেরও নিয়ন্ত্রণ নেয়। এ ঘটনা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছিল। তারা ভেবেছিল, তারা হয়তো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে নিরাপদে নিজেদের পুরোনো এলাকায় ফিরে যেতে পারবে এবং এএয়ের শাসনামলে পুনর্বাসিত হতে পারবে।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে (আরএফএ) জানিয়েছেন, তাঁদের ফেরার সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত। কারণ, এএ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য কী ব্যবস্থা নেবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তা ছাড়া, রাখাইনের চলমান সংঘর্ষ এবং সামরিক জান্তার বিমান হামলার ঝুঁকির কারণে তাঁরা আরও আতঙ্কিত।
কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী মোহাম্মদ বলেন, ‘এখন যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি ফেরা সম্ভব নয়। এমনকি যদি এএ পুরো রাখাইন দখল করে নেয়, তবুও আমাদের ফেরার পথ বহু দূর। কারণ, তারা কোনো বৈধ সরকার নয়।’ বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরে রাখাইনের সংঘাত ও সহিংসতার কারণে প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে জান্তার সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কা। ইউরোপভিত্তিক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী নায় সান লুইন বলেন, ‘পুনর্বাসন পুরোপুরি এএয়ের ওপর নির্ভরশীল। কারণ, তারা বর্তমানে সেই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে যেখানে রোহিঙ্গা সম্প্রদায় আছে। তবে জান্তা যদি বিমান হামলা চালায়, তাহলে রোহিঙ্গারা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে পুনর্বাসন কার্যক্রম অসম্ভব।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব, জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি এবং মর্যাদার সঙ্গে দেশে ফেরার দাবি জানিয়ে আসছে। গত ২৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারে এক লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের কাছে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন চায়।
মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা চাই নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে। এ ছাড়া, আমরা মিয়ানমার এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের কাছে আমাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, শিক্ষার অধিকার এবং মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছি। এসব দাবির ক্ষেত্রে কোনো আপস হবে না।’
সীমান্তে এএয়ের নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে, যা রোহিঙ্গাদের অনিশ্চয়তার মধ্যেই রেখেছে। গত ২২ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফি আলম সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে ‘সমাধানের পথ খুঁজতে’ অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার এবং জানিয়েছে, তারা আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে কোনো ধরনের ‘সম্পৃক্ততায়’ যাবে না।
তবে এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, সাবেক কূটনীতিক এবং গবেষকেরা বাংলাদেশ সরকারকে সরাসরি এবং কূটনৈতিকভাবে এএয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। সম্পর্কের বর্তমান অবস্থান এখনো অনিশ্চিত।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশের সাবেক এক জেলা আইন কর্মকর্তা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনেকাংশে রাখাইন রাজ্যের শাসনব্যবস্থার ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে কোনো আইনগত কাঠামো নেই। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অপরিহার্য।’
প্রায় ৩০টি আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংগঠন গত ২৩ ডিসেম্বর আরাকান আর্মিকে (এএ) রাখাইন রাজ্যের সব সম্প্রদায়ের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, একটি অন্তর্বর্তী পরামর্শক কমিটি গঠন করতে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের একটি জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং এএয়ের যোদ্ধাদের জন্য একটি প্রকাশ্য আচরণবিধি গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে আহ্বান জানায়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান আর্মির মুখপাত্র খাইং থুখার কাছে মন্তব্য চেয়ে আরএফএ যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।
এদিকে, রাখাইনের পায়াকতাউ টাউনশিপের একটি শিবিরে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ হাজারের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা খাদ্যসহায়তা না পাওয়ার কারণে চরম সংকটে রয়েছে। শুক্রবার তারা আরএফএকে জানিয়েছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা কোনো সহায়তা পায়নি।
পায়াকতাউয়ের আহ নউক ইয়ে গ্রামের এক শিবিরের বাসিন্দা জানিয়েছেন, খাদ্যসংকটের কারণে বাস্তুচ্যুতরা চালের পাতলা ভাত খেয়ে বেঁচে আছে। ওই বাসিন্দা বলেন, ‘শিবিরে শুকনো চাল অত্যন্ত জরুরি। কারণ, কিছু বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি অনাহারে ভুগছে। আমাদের কোনো কাজ নেই এবং অন্যদের কাছ থেকে ঋণ করতে বাধ্য হচ্ছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি দাম আমাদের পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলছে।’
শিবিরের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে এক গর্ভবতী নারী, এক বৃদ্ধ ও এক শিশু চিকিৎসা, ওষুধের অভাবে এবং অপুষ্টির কারণে মারা গেছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় কার্যালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রাখাইন রাজ্যে তাদের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ সীমিত করেছে।
এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকেও বাধা দেওয়া হয়েছে। নভেম্বর মাসে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি সতর্ক করে বলেছে, মার্চ ও এপ্রিল মাসে রাখাইন রাজ্যে প্রায় ২০ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটে পড়তে পারে, কারণ পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নেই।
রাখাইন রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ও জান্তার মুখপাত্র হ্লা থেইনের কাছে খাদ্যসংকট নিয়ে আরএফএ মন্তব্য চাইলেও শুক্রবার পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি।

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
৮ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

সহিংসতা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরার স্বপ্ন এখনো অনিশ্চিত। স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি রাখাইনের (পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত ছিল) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের উদ্বেগ কাটেনি। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে রোহিঙ্গা সম্প্রদ
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
৮ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

সহিংসতা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরার স্বপ্ন এখনো অনিশ্চিত। স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি রাখাইনের (পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত ছিল) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের উদ্বেগ কাটেনি। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে রোহিঙ্গা সম্প্রদ
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
৪ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
৮ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

সহিংসতা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরার স্বপ্ন এখনো অনিশ্চিত। স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি রাখাইনের (পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত ছিল) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের উদ্বেগ কাটেনি। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে রোহিঙ্গা সম্প্রদ
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৬ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
৮ ঘণ্টা আগেসিএনএন প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

সহিংসতা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরার স্বপ্ন এখনো অনিশ্চিত। স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি রাখাইনের (পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত ছিল) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের উদ্বেগ কাটেনি। রেডিও ফ্রি এশিয়াকে রোহিঙ্গা সম্প্রদ
০৪ জানুয়ারি ২০২৫
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
৮ ঘণ্টা আগে