আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এই সপ্তাহেই আরও একা হয়ে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিদেশে তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র শক্তির একটি হন্ডুরাসে এবং আরেকটি সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সের জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেছে। এই হারের খবর এমন এক সময়ে এল, যখন ক্যারিবিয়ান সাগরের ভেনেজুয়েলা উপকূলে বড় ধরনের নৌ-সমাবেশ ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দুই মিত্র হারানোর ঘটনা মাদুরোর ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, হন্ডুরাসে বিগত বছরগুলোতে ক্ষমতায় ছিল মাদুরোকে সমর্থন দিয়ে আসা ‘লিবার্টি অ্যান্ড রিফাউন্ডেশন পার্টি’। কিন্তু গত রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী ওই দলটির প্রার্থী রিক্সি মোনকাদা তৃতীয় হয়েছেন। ফলাফল এখনো স্পষ্ট না হলেও এখন দেশটির দুই ডানপন্থী প্রার্থী সালভাদর নাসরালা ও নাস্রি আসফুরা প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের আগে এই দুজনই ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অঙ্গীকার করেছিলেন। এ ছাড়া আসফুরাকে গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থন দিয়েছিলেন।
এদিকে সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সে প্রায় ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকা মাদুরোর অকৃত্রিম মিত্র প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস পরাজিত হয়েছেন। নতুন সরকার পরিচালনা করবে এবার মধ্য-ডানপন্থী গডউইন ফ্রাইডে। পার্লামেন্টে তিনি ১৫টি আসনের মধ্যে ১৪টিই নিশ্চিত করেছেন।
এই দুটি পরিবর্তন ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাতিন আমেরিকার রাজনৈতিক ঝোঁক স্পষ্টভাবে বদলে গেছে। একসময় ভেনেজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের রাজনৈতিক আদর্শ, নীতি ও আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা জনপ্রিয় মতবাদ ‘চাভিজমো’ এখন বহু দেশে অপ্রিয়। ব্রাজিল, চিলি, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার মতো বাম ঘরানার সরকারগুলোও হুগো চাভেজের উত্তরসূরি মাদুরোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। বিশেষ করে, ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর।
কঠিন আঞ্চলিক বাস্তবতা
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই বাম ও ডান মতাদর্শের মধ্যে পালাবদল চলছে। কিন্তু ভেনেজুয়েলা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। দেশটিতে বহু বছর ধরেই নির্দিষ্ট একটি দল শাসন করছে। হুগো চাভেজের মৃত্যুর পর এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখন তাঁরই শিষ্য নিকোলাস মাদুরো।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সীমান্ত ও মাদক পাচারের জটিল সম্পর্কের কারণে কলম্বিয়া সব সময়ই ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে সতর্ক দূরত্বে থেকেছে। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো কলম্বিয়ার ক্ষমতায় এসে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করলেও সম্প্রতি তিনি মাদুরোকে ‘গণতন্ত্র সংকট’–এর জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন।
আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। নেস্তর ও ক্রিস্টিনা কির্শনারের যুগে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু ২০১৫ সালে মাউরিসিও মাক্রি ক্ষমতায় আসার পরই সেই যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন হয়ে যায়। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে নির্বাচিত আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই ইতিমধ্যেই মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
এ ছাড়া ইকুয়েডর, এল সালভাদর ও বলিভিয়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বামপন্থা থেকে ডানপন্থার দিকে সরে গেছে।
মাদুরোর পাশে এখন কারা
বর্তমানে মাদুরোর দৃশ্যমান প্রধান দুই মিত্র হলো—কিউবা ও নিকারাগুয়া।
কিউবা আনুষ্ঠানিকভাবে ভেনেজুয়েলাকে সমর্থন করলেও ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির সামরিক সহায়তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা মাঝে মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করলেও বাস্তবিক অর্থে ভেনেজুয়েলাকে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও মাদুরোর অবস্থান
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার’ এর অংশ হিসেবে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ১৫ হাজার সেনা ও একাধিক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।
তবে মাদুরো তাঁর চিরাচরিত ভঙ্গিতে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হুমকি, অবরোধ, যুদ্ধ—কিছুই আমাদের ভেঙে দিতে পারেনি।’ গোপনে তিনি কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন খবর জানা গেলেও তিনি আগেভাগে কোনো কার্ড প্রকাশ করতে নারাজ। তাঁর আশা—ওয়াশিংটন শেষ পর্যন্ত এই সংঘাত পরিস্থিতি থেকে পিছু হটবে, কারণ মার্কিন জনগণ বিদেশে কোনো সংঘাতে এখন আগ্রহী নয়।

এই সপ্তাহেই আরও একা হয়ে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিদেশে তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র শক্তির একটি হন্ডুরাসে এবং আরেকটি সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সের জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেছে। এই হারের খবর এমন এক সময়ে এল, যখন ক্যারিবিয়ান সাগরের ভেনেজুয়েলা উপকূলে বড় ধরনের নৌ-সমাবেশ ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দুই মিত্র হারানোর ঘটনা মাদুরোর ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, হন্ডুরাসে বিগত বছরগুলোতে ক্ষমতায় ছিল মাদুরোকে সমর্থন দিয়ে আসা ‘লিবার্টি অ্যান্ড রিফাউন্ডেশন পার্টি’। কিন্তু গত রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী ওই দলটির প্রার্থী রিক্সি মোনকাদা তৃতীয় হয়েছেন। ফলাফল এখনো স্পষ্ট না হলেও এখন দেশটির দুই ডানপন্থী প্রার্থী সালভাদর নাসরালা ও নাস্রি আসফুরা প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের আগে এই দুজনই ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অঙ্গীকার করেছিলেন। এ ছাড়া আসফুরাকে গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থন দিয়েছিলেন।
এদিকে সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সে প্রায় ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকা মাদুরোর অকৃত্রিম মিত্র প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস পরাজিত হয়েছেন। নতুন সরকার পরিচালনা করবে এবার মধ্য-ডানপন্থী গডউইন ফ্রাইডে। পার্লামেন্টে তিনি ১৫টি আসনের মধ্যে ১৪টিই নিশ্চিত করেছেন।
এই দুটি পরিবর্তন ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাতিন আমেরিকার রাজনৈতিক ঝোঁক স্পষ্টভাবে বদলে গেছে। একসময় ভেনেজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের রাজনৈতিক আদর্শ, নীতি ও আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা জনপ্রিয় মতবাদ ‘চাভিজমো’ এখন বহু দেশে অপ্রিয়। ব্রাজিল, চিলি, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার মতো বাম ঘরানার সরকারগুলোও হুগো চাভেজের উত্তরসূরি মাদুরোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। বিশেষ করে, ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর।
কঠিন আঞ্চলিক বাস্তবতা
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই বাম ও ডান মতাদর্শের মধ্যে পালাবদল চলছে। কিন্তু ভেনেজুয়েলা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। দেশটিতে বহু বছর ধরেই নির্দিষ্ট একটি দল শাসন করছে। হুগো চাভেজের মৃত্যুর পর এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখন তাঁরই শিষ্য নিকোলাস মাদুরো।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সীমান্ত ও মাদক পাচারের জটিল সম্পর্কের কারণে কলম্বিয়া সব সময়ই ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে সতর্ক দূরত্বে থেকেছে। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো কলম্বিয়ার ক্ষমতায় এসে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করলেও সম্প্রতি তিনি মাদুরোকে ‘গণতন্ত্র সংকট’–এর জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন।
আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। নেস্তর ও ক্রিস্টিনা কির্শনারের যুগে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু ২০১৫ সালে মাউরিসিও মাক্রি ক্ষমতায় আসার পরই সেই যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন হয়ে যায়। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে নির্বাচিত আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই ইতিমধ্যেই মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
এ ছাড়া ইকুয়েডর, এল সালভাদর ও বলিভিয়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বামপন্থা থেকে ডানপন্থার দিকে সরে গেছে।
মাদুরোর পাশে এখন কারা
বর্তমানে মাদুরোর দৃশ্যমান প্রধান দুই মিত্র হলো—কিউবা ও নিকারাগুয়া।
কিউবা আনুষ্ঠানিকভাবে ভেনেজুয়েলাকে সমর্থন করলেও ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির সামরিক সহায়তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা মাঝে মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করলেও বাস্তবিক অর্থে ভেনেজুয়েলাকে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও মাদুরোর অবস্থান
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার’ এর অংশ হিসেবে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ১৫ হাজার সেনা ও একাধিক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।
তবে মাদুরো তাঁর চিরাচরিত ভঙ্গিতে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হুমকি, অবরোধ, যুদ্ধ—কিছুই আমাদের ভেঙে দিতে পারেনি।’ গোপনে তিনি কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন খবর জানা গেলেও তিনি আগেভাগে কোনো কার্ড প্রকাশ করতে নারাজ। তাঁর আশা—ওয়াশিংটন শেষ পর্যন্ত এই সংঘাত পরিস্থিতি থেকে পিছু হটবে, কারণ মার্কিন জনগণ বিদেশে কোনো সংঘাতে এখন আগ্রহী নয়।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এই সপ্তাহেই আরও একা হয়ে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিদেশে তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র শক্তির একটি হন্ডুরাসে এবং আরেকটি সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সের জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেছে। এই হারের খবর এমন এক সময়ে এল, যখন ক্যারিবিয়ান সাগরের ভেনেজুয়েলা উপকূলে বড় ধরনের নৌ-সমাবেশ ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দুই মিত্র হারানোর ঘটনা মাদুরোর ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, হন্ডুরাসে বিগত বছরগুলোতে ক্ষমতায় ছিল মাদুরোকে সমর্থন দিয়ে আসা ‘লিবার্টি অ্যান্ড রিফাউন্ডেশন পার্টি’। কিন্তু গত রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী ওই দলটির প্রার্থী রিক্সি মোনকাদা তৃতীয় হয়েছেন। ফলাফল এখনো স্পষ্ট না হলেও এখন দেশটির দুই ডানপন্থী প্রার্থী সালভাদর নাসরালা ও নাস্রি আসফুরা প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের আগে এই দুজনই ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অঙ্গীকার করেছিলেন। এ ছাড়া আসফুরাকে গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থন দিয়েছিলেন।
এদিকে সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সে প্রায় ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকা মাদুরোর অকৃত্রিম মিত্র প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস পরাজিত হয়েছেন। নতুন সরকার পরিচালনা করবে এবার মধ্য-ডানপন্থী গডউইন ফ্রাইডে। পার্লামেন্টে তিনি ১৫টি আসনের মধ্যে ১৪টিই নিশ্চিত করেছেন।
এই দুটি পরিবর্তন ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাতিন আমেরিকার রাজনৈতিক ঝোঁক স্পষ্টভাবে বদলে গেছে। একসময় ভেনেজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের রাজনৈতিক আদর্শ, নীতি ও আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা জনপ্রিয় মতবাদ ‘চাভিজমো’ এখন বহু দেশে অপ্রিয়। ব্রাজিল, চিলি, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার মতো বাম ঘরানার সরকারগুলোও হুগো চাভেজের উত্তরসূরি মাদুরোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। বিশেষ করে, ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর।
কঠিন আঞ্চলিক বাস্তবতা
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই বাম ও ডান মতাদর্শের মধ্যে পালাবদল চলছে। কিন্তু ভেনেজুয়েলা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। দেশটিতে বহু বছর ধরেই নির্দিষ্ট একটি দল শাসন করছে। হুগো চাভেজের মৃত্যুর পর এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখন তাঁরই শিষ্য নিকোলাস মাদুরো।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সীমান্ত ও মাদক পাচারের জটিল সম্পর্কের কারণে কলম্বিয়া সব সময়ই ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে সতর্ক দূরত্বে থেকেছে। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো কলম্বিয়ার ক্ষমতায় এসে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করলেও সম্প্রতি তিনি মাদুরোকে ‘গণতন্ত্র সংকট’–এর জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন।
আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। নেস্তর ও ক্রিস্টিনা কির্শনারের যুগে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু ২০১৫ সালে মাউরিসিও মাক্রি ক্ষমতায় আসার পরই সেই যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন হয়ে যায়। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে নির্বাচিত আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই ইতিমধ্যেই মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
এ ছাড়া ইকুয়েডর, এল সালভাদর ও বলিভিয়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বামপন্থা থেকে ডানপন্থার দিকে সরে গেছে।
মাদুরোর পাশে এখন কারা
বর্তমানে মাদুরোর দৃশ্যমান প্রধান দুই মিত্র হলো—কিউবা ও নিকারাগুয়া।
কিউবা আনুষ্ঠানিকভাবে ভেনেজুয়েলাকে সমর্থন করলেও ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির সামরিক সহায়তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা মাঝে মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করলেও বাস্তবিক অর্থে ভেনেজুয়েলাকে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও মাদুরোর অবস্থান
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার’ এর অংশ হিসেবে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ১৫ হাজার সেনা ও একাধিক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।
তবে মাদুরো তাঁর চিরাচরিত ভঙ্গিতে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হুমকি, অবরোধ, যুদ্ধ—কিছুই আমাদের ভেঙে দিতে পারেনি।’ গোপনে তিনি কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন খবর জানা গেলেও তিনি আগেভাগে কোনো কার্ড প্রকাশ করতে নারাজ। তাঁর আশা—ওয়াশিংটন শেষ পর্যন্ত এই সংঘাত পরিস্থিতি থেকে পিছু হটবে, কারণ মার্কিন জনগণ বিদেশে কোনো সংঘাতে এখন আগ্রহী নয়।

এই সপ্তাহেই আরও একা হয়ে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিদেশে তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র শক্তির একটি হন্ডুরাসে এবং আরেকটি সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সের জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেছে। এই হারের খবর এমন এক সময়ে এল, যখন ক্যারিবিয়ান সাগরের ভেনেজুয়েলা উপকূলে বড় ধরনের নৌ-সমাবেশ ঘটিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দুই মিত্র হারানোর ঘটনা মাদুরোর ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, হন্ডুরাসে বিগত বছরগুলোতে ক্ষমতায় ছিল মাদুরোকে সমর্থন দিয়ে আসা ‘লিবার্টি অ্যান্ড রিফাউন্ডেশন পার্টি’। কিন্তু গত রোববার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী ওই দলটির প্রার্থী রিক্সি মোনকাদা তৃতীয় হয়েছেন। ফলাফল এখনো স্পষ্ট না হলেও এখন দেশটির দুই ডানপন্থী প্রার্থী সালভাদর নাসরালা ও নাস্রি আসফুরা প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের আগে এই দুজনই ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অঙ্গীকার করেছিলেন। এ ছাড়া আসফুরাকে গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থন দিয়েছিলেন।
এদিকে সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সে প্রায় ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকা মাদুরোর অকৃত্রিম মিত্র প্রধানমন্ত্রী রালফ গনসালভেস পরাজিত হয়েছেন। নতুন সরকার পরিচালনা করবে এবার মধ্য-ডানপন্থী গডউইন ফ্রাইডে। পার্লামেন্টে তিনি ১৫টি আসনের মধ্যে ১৪টিই নিশ্চিত করেছেন।
এই দুটি পরিবর্তন ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাতিন আমেরিকার রাজনৈতিক ঝোঁক স্পষ্টভাবে বদলে গেছে। একসময় ভেনেজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের রাজনৈতিক আদর্শ, নীতি ও আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠা জনপ্রিয় মতবাদ ‘চাভিজমো’ এখন বহু দেশে অপ্রিয়। ব্রাজিল, চিলি, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার মতো বাম ঘরানার সরকারগুলোও হুগো চাভেজের উত্তরসূরি মাদুরোর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। বিশেষ করে, ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর।
কঠিন আঞ্চলিক বাস্তবতা
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই বাম ও ডান মতাদর্শের মধ্যে পালাবদল চলছে। কিন্তু ভেনেজুয়েলা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। দেশটিতে বহু বছর ধরেই নির্দিষ্ট একটি দল শাসন করছে। হুগো চাভেজের মৃত্যুর পর এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখন তাঁরই শিষ্য নিকোলাস মাদুরো।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সীমান্ত ও মাদক পাচারের জটিল সম্পর্কের কারণে কলম্বিয়া সব সময়ই ভেনেজুয়েলার কাছ থেকে সতর্ক দূরত্বে থেকেছে। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো কলম্বিয়ার ক্ষমতায় এসে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করলেও সম্প্রতি তিনি মাদুরোকে ‘গণতন্ত্র সংকট’–এর জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন।
আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও একই চিত্র। নেস্তর ও ক্রিস্টিনা কির্শনারের যুগে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আর্জেন্টিনার। কিন্তু ২০১৫ সালে মাউরিসিও মাক্রি ক্ষমতায় আসার পরই সেই যোগাযোগ প্রায় ছিন্ন হয়ে যায়। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালে নির্বাচিত আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই ইতিমধ্যেই মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
এ ছাড়া ইকুয়েডর, এল সালভাদর ও বলিভিয়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বামপন্থা থেকে ডানপন্থার দিকে সরে গেছে।
মাদুরোর পাশে এখন কারা
বর্তমানে মাদুরোর দৃশ্যমান প্রধান দুই মিত্র হলো—কিউবা ও নিকারাগুয়া।
কিউবা আনুষ্ঠানিকভাবে ভেনেজুয়েলাকে সমর্থন করলেও ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির সামরিক সহায়তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই।
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা মাঝে মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করলেও বাস্তবিক অর্থে ভেনেজুয়েলাকে তিনি কোনো সহযোগিতা করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও মাদুরোর অবস্থান
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার’ এর অংশ হিসেবে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ১৫ হাজার সেনা ও একাধিক যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।
তবে মাদুরো তাঁর চিরাচরিত ভঙ্গিতে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হুমকি, অবরোধ, যুদ্ধ—কিছুই আমাদের ভেঙে দিতে পারেনি।’ গোপনে তিনি কূটনৈতিক আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন খবর জানা গেলেও তিনি আগেভাগে কোনো কার্ড প্রকাশ করতে নারাজ। তাঁর আশা—ওয়াশিংটন শেষ পর্যন্ত এই সংঘাত পরিস্থিতি থেকে পিছু হটবে, কারণ মার্কিন জনগণ বিদেশে কোনো সংঘাতে এখন আগ্রহী নয়।

ভারতের ২০ বছর পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো একদিনে ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
৪ মিনিট আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
২৭ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছর পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো একদিনে ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচী সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্ব-পরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান প্রধান বিমানবন্দরগুলিতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দ্রাবাদে ৭৫টি, কলকাতায় ৩৫টি, চেন্নাইয়ে ২৬টি এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে, দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএল-এর নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলি পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ভারতের ২০ বছর পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো একদিনে ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচী সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্ব-পরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান প্রধান বিমানবন্দরগুলিতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দ্রাবাদে ৭৫টি, কলকাতায় ৩৫টি, চেন্নাইয়ে ২৬টি এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে, দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএল-এর নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলি পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

এই সপ্তাহেই আরও একা হয়ে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিদেশে তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র শক্তির একটি হন্ডুরাসে এবং আরেকটি সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সের জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেছে।
৩ দিন আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
২৭ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

এই সপ্তাহেই আরও একা হয়ে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিদেশে তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র শক্তির একটি হন্ডুরাসে এবং আরেকটি সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সের জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেছে।
৩ দিন আগে
ভারতের ২০ বছর পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো একদিনে ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
৪ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

এই সপ্তাহেই আরও একা হয়ে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিদেশে তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র শক্তির একটি হন্ডুরাসে এবং আরেকটি সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সের জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেছে।
৩ দিন আগে
ভারতের ২০ বছর পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো একদিনে ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
৪ মিনিট আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
২৭ মিনিট আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। গত সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভিসা কমপ্লায়েন্স নীতি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসা স্পনসর করতে হলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবছর ‘বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’ (বিসিএ) নামের একটি মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই মূল্যায়নে তিনটি সূচক দেখা হয়। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার, যুক্তরাজ্যে এসে কোর্সে উপস্থিত না হওয়া এবং মাঝপথে কোর্স ত্যাগের হার।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেন মোট ভিসা আবেদনকারীর ৫ শতাংশের বেশি প্রত্যাখ্যাত না হয়। ইতিপূর্বে এই হার ছিল ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ২২ শতাংশ, যা নতুন সীমা থেকে অনেক বেশি।
এই কারণে অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়োগ স্থগিত বা কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার পাকিস্তান থেকে ভর্তি ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। ওভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দেশ থেকেই স্নাতক পর্যায়ের আবেদন বন্ধ করেছে। সান্ডারল্যান্ড এবং কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এটি শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’।
গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান, অক্সফোর্ড ব্রুকস, ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিয়োগ নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছে। বেশির ভাগের দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সময়, ভুয়া আবেদন ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সংস্কারের লক্ষ্য হলো ভুয়া আবেদন প্রতিরোধ এবং মোট অভিবাসন কমানো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন বেড়েছে, যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির শিক্ষা উপদেষ্টা মরিয়ম আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে আবেদন বাতিলের কারণে বিপাকে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিদেশি শিক্ষা এজেন্ট শুধু কমিশনের ভিত্তিতে ভর্তি করাতে আগ্রহী, যা ভুয়া আবেদন বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন টিউশন ফি নির্ভর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হতে পারে গুরুতর।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব বোঝে। তবে একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায়, যারা যুক্তরাজ্যে যাবে—তারা যেন প্রকৃত ও যোগ্য শিক্ষার্থী হন।

যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। গত সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভিসা কমপ্লায়েন্স নীতি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসা স্পনসর করতে হলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবছর ‘বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’ (বিসিএ) নামের একটি মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই মূল্যায়নে তিনটি সূচক দেখা হয়। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার, যুক্তরাজ্যে এসে কোর্সে উপস্থিত না হওয়া এবং মাঝপথে কোর্স ত্যাগের হার।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেন মোট ভিসা আবেদনকারীর ৫ শতাংশের বেশি প্রত্যাখ্যাত না হয়। ইতিপূর্বে এই হার ছিল ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ২২ শতাংশ, যা নতুন সীমা থেকে অনেক বেশি।
এই কারণে অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়োগ স্থগিত বা কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার পাকিস্তান থেকে ভর্তি ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। ওভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দেশ থেকেই স্নাতক পর্যায়ের আবেদন বন্ধ করেছে। সান্ডারল্যান্ড এবং কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এটি শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’।
গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান, অক্সফোর্ড ব্রুকস, ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিয়োগ নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছে। বেশির ভাগের দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সময়, ভুয়া আবেদন ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সংস্কারের লক্ষ্য হলো ভুয়া আবেদন প্রতিরোধ এবং মোট অভিবাসন কমানো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন বেড়েছে, যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির শিক্ষা উপদেষ্টা মরিয়ম আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে আবেদন বাতিলের কারণে বিপাকে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিদেশি শিক্ষা এজেন্ট শুধু কমিশনের ভিত্তিতে ভর্তি করাতে আগ্রহী, যা ভুয়া আবেদন বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন টিউশন ফি নির্ভর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হতে পারে গুরুতর।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব বোঝে। তবে একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায়, যারা যুক্তরাজ্যে যাবে—তারা যেন প্রকৃত ও যোগ্য শিক্ষার্থী হন।

এই সপ্তাহেই আরও একা হয়ে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিদেশে তাঁর অন্যতম ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র শক্তির একটি হন্ডুরাসে এবং আরেকটি সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্সের জাতীয় নির্বাচনে হেরে গেছে।
৩ দিন আগে
ভারতের ২০ বছর পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো একদিনে ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
৪ মিনিট আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
২৭ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে