
গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে বিদ্রোহীরা। আসাদ পরিবার পালিয়ে গেছে রাশিয়ায়। আসাদ সরকারের এই পতন মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারকারী সব পক্ষকে ফেলে দিয়েছে গভীর শঙ্কায়। এর মধ্যে এক পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতা এখন বিদ্রোহী হায়াত তাহরির আল–শামের (এইচটিএস) দখলে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে বেশ সক্রিয় মার্কিন প্রশাসন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, এইচটিএসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
হায়াত তাহরির আল–শাম এখনো জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত। তবু সেই গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী মার্কিন প্রশাসন। এটি প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি।
ব্লিঙ্কেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএস এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বিশেষ করে, দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ আমেরিকান সাংবাদিক অস্টিন টাইসের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আরব দেশগুলো, তুরস্ক এবং ইউরোপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জর্ডানে এক সাক্ষাতে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শেষে এ কথা জানান ব্লিঙ্কেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সিরিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিরিয়ার অভ্যন্তর এবং দেশটির ওপর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনাগুলোতে বারবারই নতুন একটি শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ উঠে এসেছে।
আলোচনা শেষে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচনায় সিরিয়ায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করবে এবং ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে’ কোনো নিরাপদ আশ্রয় দেবে না—এমন সরকার গড়তে হবে। আলোচনায় জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক শক্তিগুলো সিরিয়াকে বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়তে দেখতে চায় না।
বৈঠকে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন বলেন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরের দেশগুলো উদ্বিগ্ন। আঞ্চলিক শক্তিগুলো আরেকটি লিবিয়ার মতো পরিস্থিতি দেখতে চায় না।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। তিনি বলেন, সিরিয়ার সংস্কারকালে সন্ত্রাসবাদকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তবে জর্ডানে আয়োজিত এ বৈঠকে সিরিয়ার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। আসাদ সরকারের দীর্ঘদিনের মিত্র ইরান ও রাশিয়া এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি। তবে উপস্থিত আট আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানান, তাঁদের চাওয়া, সিরিয়া ঐক্যবদ্ধ এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন থেকে মুক্ত থাকুক।
তবে, সিরিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাইরের যে শক্তিগুলোর লড়াই চলছে, নতুন সরকার গঠিত হলেও তাদের প্রভাব যে কমবে না, তা এই বৈঠক থেকে ধারণা করা যায়।
এদিকে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এইচটিএস। সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আল–বাশিরকে নিয়োগ দিয়েছেন এইচটিএস নেতা আহমেদ আল–শারআ (যিনি আবু মোহাম্মদ আল–জোলানি নামেও পরিচিত)। তবে এইচটিএসের অতীতের কার্যক্রমের কারণে অনেকেই সন্দেহ করছেন এ গোষ্ঠী এসব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে কি না।
এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, তুরস্কের মাধ্যমে হায়াত তাহরির আল–শামের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই বিষয়ে নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। গত কয়েক দিন ধরে চলা এই আলোচনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করছে।
মার্কিন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা ও দেশটির কংগ্রেসের এক সহকারী জানান, যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসকে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করতে অনুরোধ জানিয়েছে। সিরিয়ায় সরকার কাঠামো গড়তে সহায়তার বার্তাও দিয়েছে দেশটি। বাইডেন প্রশাসন এইচটিএসকে একাই দেশের সর্বময় ক্ষমতা দখল না করার অনুরোধ করেছে। পরিবর্তে, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে।

গত ৮ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে বিদ্রোহীরা। আসাদ পরিবার পালিয়ে গেছে রাশিয়ায়। আসাদ সরকারের এই পতন মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারকারী সব পক্ষকে ফেলে দিয়েছে গভীর শঙ্কায়। এর মধ্যে এক পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতা এখন বিদ্রোহী হায়াত তাহরির আল–শামের (এইচটিএস) দখলে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে বেশ সক্রিয় মার্কিন প্রশাসন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানান, এইচটিএসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
হায়াত তাহরির আল–শাম এখনো জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত। তবু সেই গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী মার্কিন প্রশাসন। এটি প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক স্বীকারোক্তি।
ব্লিঙ্কেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএস এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বিশেষ করে, দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ আমেরিকান সাংবাদিক অস্টিন টাইসের বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আরব দেশগুলো, তুরস্ক এবং ইউরোপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জর্ডানে এক সাক্ষাতে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শেষে এ কথা জানান ব্লিঙ্কেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সিরিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিরিয়ার অভ্যন্তর এবং দেশটির ওপর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনাগুলোতে বারবারই নতুন একটি শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ উঠে এসেছে।
আলোচনা শেষে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচনায় সিরিয়ায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করবে এবং ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে’ কোনো নিরাপদ আশ্রয় দেবে না—এমন সরকার গড়তে হবে। আলোচনায় জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক শক্তিগুলো সিরিয়াকে বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়তে দেখতে চায় না।
বৈঠকে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন বলেন, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরের দেশগুলো উদ্বিগ্ন। আঞ্চলিক শক্তিগুলো আরেকটি লিবিয়ার মতো পরিস্থিতি দেখতে চায় না।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। তিনি বলেন, সিরিয়ার সংস্কারকালে সন্ত্রাসবাদকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তবে জর্ডানে আয়োজিত এ বৈঠকে সিরিয়ার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। আসাদ সরকারের দীর্ঘদিনের মিত্র ইরান ও রাশিয়া এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি। তবে উপস্থিত আট আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানান, তাঁদের চাওয়া, সিরিয়া ঐক্যবদ্ধ এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন থেকে মুক্ত থাকুক।
তবে, সিরিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাইরের যে শক্তিগুলোর লড়াই চলছে, নতুন সরকার গঠিত হলেও তাদের প্রভাব যে কমবে না, তা এই বৈঠক থেকে ধারণা করা যায়।
এদিকে নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এইচটিএস। সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আল–বাশিরকে নিয়োগ দিয়েছেন এইচটিএস নেতা আহমেদ আল–শারআ (যিনি আবু মোহাম্মদ আল–জোলানি নামেও পরিচিত)। তবে এইচটিএসের অতীতের কার্যক্রমের কারণে অনেকেই সন্দেহ করছেন এ গোষ্ঠী এসব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে কি না।
এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, তুরস্কের মাধ্যমে হায়াত তাহরির আল–শামের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই বিষয়ে নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। গত কয়েক দিন ধরে চলা এই আলোচনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করছে।
মার্কিন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা ও দেশটির কংগ্রেসের এক সহকারী জানান, যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসকে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করতে অনুরোধ জানিয়েছে। সিরিয়ায় সরকার কাঠামো গড়তে সহায়তার বার্তাও দিয়েছে দেশটি। বাইডেন প্রশাসন এইচটিএসকে একাই দেশের সর্বময় ক্ষমতা দখল না করার অনুরোধ করেছে। পরিবর্তে, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে।

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
১৮ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩৭ মিনিট আগে
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত কভার করা বিবিসির সাংবাদিক জন সিম্পসন বলেছেন, তাঁর দীর্ঘ পেশাগত জীবনে ২০২৫ সালের মতো উদ্বেগজনক বছর তিনি আর দেখেননি। ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে স্নায়ুযুদ্ধের চূড়ান্ত সময় ও এর পতন—সবই তিনি দেখেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সিরিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিরিয়ার অভ্যন্তর এবং দেশটির ওপর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনাগুলোতে বারবারই নতুন একটি শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ উঠে এসেছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩৭ মিনিট আগে
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত কভার করা বিবিসির সাংবাদিক জন সিম্পসন বলেছেন, তাঁর দীর্ঘ পেশাগত জীবনে ২০২৫ সালের মতো উদ্বেগজনক বছর তিনি আর দেখেননি। ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে স্নায়ুযুদ্ধের চূড়ান্ত সময় ও এর পতন—সবই তিনি দেখেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ইউরোপে ফেরার পথে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মধ্যেও পূর্ব ইউক্রেনের বিতর্কিত দনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দুই নেতা। ক্রেমলিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের ‘ফোর্ট্রেস বেল্ট’ বা দুর্গ শহরগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেো সরিয়ে না নিলে তারা কোনো চুক্তিতে আসবে না।
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার অন্যতম মূল অংশ হলো মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি। ইউক্রেনীয় পার্লামেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেস যৌথভাবে এ প্রতিশ্রুতির পক্ষে ভোট দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরের গ্যারান্টি দিলেও জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন এই মেয়াদ ৩০, ৪০ বা ৫০ বছর করার জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলেনস্কি মনে করেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি হবে নিরাপত্তার সেরা রূপ। তবে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন কোনো শান্তিবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হবে না।
বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছেন, শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে তাঁরা প্রায় ৯৫ শতাংশ সফল। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কিয়েভ দ্রুত চুক্তিতে না এলে আরও ভূখণ্ড হারাবে। রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়ার বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
এদিকে, জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূমি ছাড়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, বর্তমান ফ্রন্টলাইন বরাবর একটি ‘অসামরিক ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার, যেখান থেকে উভয় পক্ষ তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। জেলেনস্কির প্রস্তাবে আরও আছে, চূড়ান্ত শান্তি পরিকল্পনাটি ইউক্রেনের জনগণের সম্মতির জন্য একটি গণভোটে পেশ করা হবে। এই গণভোট আয়োজনের জন্য অন্তত ৬০ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুতিন এই ৬০ দিনের বিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আগ্রহী নন।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির পরবর্তী বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, চুক্তির ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হলেও বাকি ৫ শতাংশ ‘জটিল ইস্যু’ (দনবাস ও ভূখণ্ড) সমাধান করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ইউরোপে ফেরার পথে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মধ্যেও পূর্ব ইউক্রেনের বিতর্কিত দনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি দুই নেতা। ক্রেমলিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের ‘ফোর্ট্রেস বেল্ট’ বা দুর্গ শহরগুলো থেকে ইউক্রেনীয় সেো সরিয়ে না নিলে তারা কোনো চুক্তিতে আসবে না।
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার অন্যতম মূল অংশ হলো মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি। ইউক্রেনীয় পার্লামেন্ট এবং মার্কিন কংগ্রেস যৌথভাবে এ প্রতিশ্রুতির পক্ষে ভোট দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরের গ্যারান্টি দিলেও জেলেনস্কি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন এই মেয়াদ ৩০, ৪০ বা ৫০ বছর করার জন্য। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলেনস্কি মনে করেন, কোনো শান্তিচুক্তি হলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি হবে নিরাপত্তার সেরা রূপ। তবে ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন কোনো শান্তিবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা হবে না।
বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছেন, শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে তাঁরা প্রায় ৯৫ শতাংশ সফল। তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কিয়েভ দ্রুত চুক্তিতে না এলে আরও ভূখণ্ড হারাবে। রাশিয়া অধিকৃত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়ার বিষয়েও কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
এদিকে, জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূমি ছাড়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, বর্তমান ফ্রন্টলাইন বরাবর একটি ‘অসামরিক ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তোলার, যেখান থেকে উভয় পক্ষ তাদের সেনা সরিয়ে নেবে। জেলেনস্কির প্রস্তাবে আরও আছে, চূড়ান্ত শান্তি পরিকল্পনাটি ইউক্রেনের জনগণের সম্মতির জন্য একটি গণভোটে পেশ করা হবে। এই গণভোট আয়োজনের জন্য অন্তত ৬০ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। ট্রাম্পও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পুতিন এই ৬০ দিনের বিরতির প্রস্তাব মেনে নিতে আগ্রহী নন।
এদিকে, জানুয়ারি মাসে ওয়াশিংটনে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির পরবর্তী বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, চুক্তির ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হলেও বাকি ৫ শতাংশ ‘জটিল ইস্যু’ (দনবাস ও ভূখণ্ড) সমাধান করাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সিরিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিরিয়ার অভ্যন্তর এবং দেশটির ওপর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনাগুলোতে বারবারই নতুন একটি শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ উঠে এসেছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
১৮ মিনিট আগে
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত কভার করা বিবিসির সাংবাদিক জন সিম্পসন বলেছেন, তাঁর দীর্ঘ পেশাগত জীবনে ২০২৫ সালের মতো উদ্বেগজনক বছর তিনি আর দেখেননি। ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে স্নায়ুযুদ্ধের চূড়ান্ত সময় ও এর পতন—সবই তিনি দেখেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল থেকে এই তিন দেশ আরও নিবিড় প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় লিপ্ত হবে। এ বিষয়টিকে লোহিতসাগর ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক বলয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে সাইপ্রাসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিন দেশের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা ২০২৬ সালের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক সহযোগিতা কর্মসূচি স্বাক্ষর করেন। এরপর জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস এবং সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডোলিডেসের শীর্ষ বৈঠকে এই জোটের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
জোটে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দিনে ইসরায়েল পরিচালিত ‘নোবেল দিনা’ (Noble Dina) নামক নৌ মহড়ায় বড় আকারে যোগ দেবে গ্রিস ও সাইপ্রাস। এসব মহড়ায় ইসরায়েল তাদের আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ও যুদ্ধকৌশল গ্রিস ও সাইপ্রাসের কাছে তুলে ধরবে। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা ও ড্রোন মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময় করা হবে।
এমনও গুঞ্জন রয়েছে, এই তিন দেশ মিলে প্রায় ২ হাজার ৫০০ সদস্যের একটি যৌথ ‘র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স’ গঠনের পরিকল্পনা করছে, যা ভূমধ্যসাগরের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও অবকাঠামো রক্ষা করবে।
এদিকে গ্রিস তুরস্কের সঙ্গে আকাশপথ ও সমুদ্রসীমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের প্রেক্ষাপটে বিশাল এক প্রতিরক্ষা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর আদলে গ্রিস ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি বহুমুখী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এর মাধ্যমে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ঠেকানো সম্ভব হবে।
চলতি মাসেই গ্রিসের পার্লামেন্ট ইসরায়েলের এলবিট সিস্টেমস থেকে ৩৬টি ‘পালস’ রকেট আর্টিলারি সিস্টেম কেনার অনুমোদন দিয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া গ্রিস তাদের পুরোনো রুশ নির্মিত এস-৩০০ ও টর-এম১ মিসাইল সিস্টেম বদলে ইসরায়েলি প্রযুক্তিতে সজ্জিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তবে ইসরায়েলের সঙ্গে এই গভীর সামরিক সখ্যতা নিয়ে সাইপ্রাসের প্রধান বিরোধী দল (কমিউনিস্ট একেইএল) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, ফিলিস্তিন ইস্যু ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সাইপ্রাসের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।
অনেকেই মনে করছেন, এই জোট শুধু সামরিক নয়, বরং ভূমধ্যসাগরের বিশাল গ্যাসক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার এক ভূরাজনৈতিক কৌশল। তুরস্ক এই জোটকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে সতর্ক করেছে, যার ফলে ভবিষ্যতের দিনগুলোতে এই অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৬ সাল থেকে এই তিন দেশ আরও নিবিড় প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় লিপ্ত হবে। এ বিষয়টিকে লোহিতসাগর ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক বলয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে সাইপ্রাসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিন দেশের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা ২০২৬ সালের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক সহযোগিতা কর্মসূচি স্বাক্ষর করেন। এরপর জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস এবং সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডোলিডেসের শীর্ষ বৈঠকে এই জোটের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
জোটে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দিনে ইসরায়েল পরিচালিত ‘নোবেল দিনা’ (Noble Dina) নামক নৌ মহড়ায় বড় আকারে যোগ দেবে গ্রিস ও সাইপ্রাস। এসব মহড়ায় ইসরায়েল তাদের আধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ও যুদ্ধকৌশল গ্রিস ও সাইপ্রাসের কাছে তুলে ধরবে। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা ও ড্রোন মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময় করা হবে।
এমনও গুঞ্জন রয়েছে, এই তিন দেশ মিলে প্রায় ২ হাজার ৫০০ সদস্যের একটি যৌথ ‘র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স’ গঠনের পরিকল্পনা করছে, যা ভূমধ্যসাগরের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও অবকাঠামো রক্ষা করবে।
এদিকে গ্রিস তুরস্কের সঙ্গে আকাশপথ ও সমুদ্রসীমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের প্রেক্ষাপটে বিশাল এক প্রতিরক্ষা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর আদলে গ্রিস ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একটি বহুমুখী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এর মাধ্যমে ড্রোন ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ঠেকানো সম্ভব হবে।
চলতি মাসেই গ্রিসের পার্লামেন্ট ইসরায়েলের এলবিট সিস্টেমস থেকে ৩৬টি ‘পালস’ রকেট আর্টিলারি সিস্টেম কেনার অনুমোদন দিয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া গ্রিস তাদের পুরোনো রুশ নির্মিত এস-৩০০ ও টর-এম১ মিসাইল সিস্টেম বদলে ইসরায়েলি প্রযুক্তিতে সজ্জিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
তবে ইসরায়েলের সঙ্গে এই গভীর সামরিক সখ্যতা নিয়ে সাইপ্রাসের প্রধান বিরোধী দল (কমিউনিস্ট একেইএল) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের মতে, ফিলিস্তিন ইস্যু ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সাইপ্রাসের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।
অনেকেই মনে করছেন, এই জোট শুধু সামরিক নয়, বরং ভূমধ্যসাগরের বিশাল গ্যাসক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার এক ভূরাজনৈতিক কৌশল। তুরস্ক এই জোটকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে সতর্ক করেছে, যার ফলে ভবিষ্যতের দিনগুলোতে এই অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সিরিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিরিয়ার অভ্যন্তর এবং দেশটির ওপর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনাগুলোতে বারবারই নতুন একটি শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ উঠে এসেছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
১৮ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩৭ মিনিট আগে
বিশ্বজুড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত কভার করা বিবিসির সাংবাদিক জন সিম্পসন বলেছেন, তাঁর দীর্ঘ পেশাগত জীবনে ২০২৫ সালের মতো উদ্বেগজনক বছর তিনি আর দেখেননি। ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে স্নায়ুযুদ্ধের চূড়ান্ত সময় ও এর পতন—সবই তিনি দেখেছেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত কভার করা বিবিসির সাংবাদিক জন সিম্পসন বলেছেন, তাঁর দীর্ঘ পেশাগত জীবনে ২০২৫ সালের মতো উদ্বেগজনক বছর তিনি আর দেখেননি। ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে স্নায়ুযুদ্ধের চূড়ান্ত সময় ও এর পতন—সবই তিনি দেখেছেন। কিন্তু তাঁর মতে, চলতি বছরটি শুধু একাধিক বড় যুদ্ধের কারণে নয়, বরং এর ভূরাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ইতিহাসে আলাদা হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে, সে বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রায় ৬০ বছর ধরে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা থেকে সিম্পসনও মনে করেন, এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আশঙ্কা করছে, পশ্চিমা বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখা সমুদ্রতলের কেব্লগুলো কেটে দিতে পারে রাশিয়া। একই সঙ্গে ন্যাটো দেশগুলোর প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর রুশ ড্রোন নজরদারি ও সাইবার হামলার অভিযোগও উঠেছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিদেশে আশ্রয় নেওয়া ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যাচেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের সলসবেরিতে সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপালের ওপর বিষপ্রয়োগের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই হামলার অনুমোদন রাশিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই এই হত্যাচেষ্টার অনুমোদন দিয়েছিলেন।
২০২৫ সালে বিশ্ব তিনটি বড় যুদ্ধে বিপর্যস্ত। এর মধ্যে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, শুধু ইউক্রেনে প্রায় ১৪ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। আর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, সুদানে দুই সামরিক গোষ্ঠীর গৃহযুদ্ধে গত দুই বছরে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করলেও সিম্পসনের মতে, এই যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি। তবে তিনি মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের গুরুত্ব অন্য সব সংঘাতের চেয়ে আলাদা। কারণ, এটি সরাসরি বৈশ্বিক শান্তি ও শক্তির ভারসাম্যকে চ্যালেঞ্জ করছে।
সিম্পসনের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ কমে যাওয়া এবং ‘একঘরে’ নীতির দিকে ঝুঁকে পড়ার সুযোগ নিচ্ছে রাশিয়া। ২০২৬ সালে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। একই সঙ্গে চীন-তাইওয়ান প্রশ্নেও উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সব মিলিয়ে জন সিম্পসনের মতে, ভবিষ্যতের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে হয়তো সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্রের সংঘর্ষ হবে না; বরং কূটনৈতিক চাপ, সামরিক চালচিত্র ও ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে, যার পরিণতি হবে আরও ভয়াবহ।

বিশ্বজুড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত কভার করা বিবিসির সাংবাদিক জন সিম্পসন বলেছেন, তাঁর দীর্ঘ পেশাগত জীবনে ২০২৫ সালের মতো উদ্বেগজনক বছর তিনি আর দেখেননি। ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে স্নায়ুযুদ্ধের চূড়ান্ত সময় ও এর পতন—সবই তিনি দেখেছেন। কিন্তু তাঁর মতে, চলতি বছরটি শুধু একাধিক বড় যুদ্ধের কারণে নয়, বরং এর ভূরাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ইতিহাসে আলাদা হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে, সে বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রায় ৬০ বছর ধরে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা থেকে সিম্পসনও মনে করেন, এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আশঙ্কা করছে, পশ্চিমা বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখা সমুদ্রতলের কেব্লগুলো কেটে দিতে পারে রাশিয়া। একই সঙ্গে ন্যাটো দেশগুলোর প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর রুশ ড্রোন নজরদারি ও সাইবার হামলার অভিযোগও উঠেছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিদেশে আশ্রয় নেওয়া ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যাচেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের সলসবেরিতে সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপালের ওপর বিষপ্রয়োগের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই হামলার অনুমোদন রাশিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই এই হত্যাচেষ্টার অনুমোদন দিয়েছিলেন।
২০২৫ সালে বিশ্ব তিনটি বড় যুদ্ধে বিপর্যস্ত। এর মধ্যে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, শুধু ইউক্রেনে প্রায় ১৪ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। আর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, সুদানে দুই সামরিক গোষ্ঠীর গৃহযুদ্ধে গত দুই বছরে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করলেও সিম্পসনের মতে, এই যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি। তবে তিনি মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের গুরুত্ব অন্য সব সংঘাতের চেয়ে আলাদা। কারণ, এটি সরাসরি বৈশ্বিক শান্তি ও শক্তির ভারসাম্যকে চ্যালেঞ্জ করছে।
সিম্পসনের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ কমে যাওয়া এবং ‘একঘরে’ নীতির দিকে ঝুঁকে পড়ার সুযোগ নিচ্ছে রাশিয়া। ২০২৬ সালে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। একই সঙ্গে চীন-তাইওয়ান প্রশ্নেও উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সব মিলিয়ে জন সিম্পসনের মতে, ভবিষ্যতের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে হয়তো সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্রের সংঘর্ষ হবে না; বরং কূটনৈতিক চাপ, সামরিক চালচিত্র ও ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে, যার পরিণতি হবে আরও ভয়াবহ।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সিরিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিরিয়ার অভ্যন্তর এবং দেশটির ওপর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনাগুলোতে বারবারই নতুন একটি শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ উঠে এসেছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
১৮ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের জন্য ‘শক্তিশালী’ নিরাপত্তা গ্যারান্টি দিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ২ ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
৩৭ মিনিট আগে
পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের সামরিক ও কৌশলগত অবস্থান আরও সুসংহত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ বিমান ও নৌ মহড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিস ও সাইপ্রাস। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) গ্রিসের সামরিক কর্মকর্তা ও নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো
১ ঘণ্টা আগে