আজকের পত্রিকা ডেস্ক

তেলেঙ্গানায় নববিবাহিত এক যুবকের খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিয়ের এক মাস পর তেজেস্বর নামের ওই যুবকের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য ও প্রেমিক তিরুমল রাও ‘মেঘালয়ের রাজা রঘুবংশী মধুচন্দ্রিমা হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তাঁরা তেজেস্বরকে হত্যা করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য ওই হত্যাকাণ্ডের মতো পরিকল্পনা করার কথাও ভেবেছিলেন।
তেলেঙ্গানা রাজ্যের গাদোওয়াল পুলিশের প্রধান টি শ্রীনিবাস রাও জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঐশ্বর্য ও তিরুমল রাও পুলিশকে বলেছেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে রাজা রঘুবংশীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই তেজেস্বরকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিকল্পনাটি ছিল সহজ—ঐশ্বর্য তেজেস্বরকে বাইকে করে বাইরে নিয়ে যেতে রাজি করাবেন। পথে ভাড়াটে খুনিরা তাঁদের ওপর হামলা করবে এবং তেজেস্বরকে হত্যা করা হবে। এরপর ঐশ্বর্য তিরুমল রাওয়ের সঙ্গে পালিয়ে যাবেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, এতে পুলিশ বিভ্রান্ত হবে এবং হত্যা ও অপহরণের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে।
রাজা রঘুবংশী হত্যার ঘটনাটিও ঠিক এভাবেই ঘটেছিল। রাজার মরদেহ পাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী সোনম কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। পরে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে তাঁর সম্পৃক্ততা উদ্ঘাটন করে। তবে ঐশ্বর্য ও তিরুমল রাও জানিয়েছেন, তাঁরা এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করলেও পরে তা বাতিল করে অন্য বিকল্পগুলো বিবেচনা করেছিলেন।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ২৩ বছর বয়সী ঐশ্বর্য তাঁর স্বামীর বাইকে একটি জিপিএস ডিভাইস লাগিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁর গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারেন। তাঁরা তেজেস্বরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে খবর দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী মোহন নামের এক ব্যক্তিকেও ভাড়া করেছিলেন।
এই হামলার ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—ঐশ্বর্য, তিরুমল রাও, তাঁর মা সুজাতা (যিনি তেজেস্বরকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে), তিরুমলের বাবা (একজন সাবেক কনস্টেবল, যিনি তাঁর ছেলেকে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে), তিন ভাড়াটে হত্যাকারী নাগেশ, পরশুরাম ও রাজেশ এবং প্রতিবেশী মোহন, যিনি তেজেস্বরের পিছু নিয়েছিলেন।
তেলেঙ্গানার গাদোওয়াল থেকে তেজেস্বরের নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ২১ জুন অন্ধ্রপ্রদেশের নন্দীয়াল জেলার পানিয়ামের একটি মাঠে তেজেস্বরের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাহুতে তেলুগু ভাষায় লেখা ‘আম্মা’ ট্যাটু থেকে তাঁকে শনাক্ত করা হয়।

তেজেস্বরের পরিবার তাঁর নববিবাহিত স্ত্রী ঐশ্বর্যের এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। তেজেস্বরের বড় ভাই তেজাভার্দন বলেন, ‘ঐশ্বর্য একজন ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। আমরা ঐশ্বর্যকে বিয়ে না করার জন্য তেজেস্বরকে সতর্ক করেছিলাম, কিন্তু সে তেজেস্বরকে বোঝায় যে, সে তাঁকে ভালোবাসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন সে নিখোঁজ হয়, আমি ঐশ্বর্যকে লক্ষ করছিলাম, সে এক ফোঁটা অশ্রুও ফেলেনি, কোনো দুঃখ ছিল না, তাই আমি পুলিশকে আমার সন্দেহের কথা জানাই এবং তারা তদন্ত শুরু করে।’
দুই প্রতিবেশী রাজ্যের পুলিশ একসঙ্গে কাজ শুরু করলে তদন্তে এমন এক ভয়াবহ অপরাধের চিত্র উন্মোচিত হয়। তদন্তের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তেজেস্বরের জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য পাঁচবার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং সবকটি থেকেই তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ঐশ্বর্যের মা সুজাতা একটি ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানিতে পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন। সেখানেই তিনি তিরুমল রাও নামের একজন অফিসারের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ২০১৬ সাল থেকে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয়। পরে সুজাতা ছুটিতে গেলে ঐশ্বর্য তাঁর জায়গায় কাজ শুরু করেন। সে সময় তিনিও তিরুমল রাওয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। ২০১৯ সালে তিরুমল রাও বিয়ে করেন। পুলিশ জানতে পারে, তিনি তাঁর স্ত্রীকেও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।
এদিকে সুজাতা যখন জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে তিরুমল রাওয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত, তখন তিনি তাঁকে এই সম্পর্ক শেষ করে তেজেস্বরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তিনি তেজেস্বরকে আগে থেকেই চিনতেন। ঐশ্বর্য প্রথমে এই বিয়েতে রাজি হননি। তবে সুজাতা তাঁকে রাজি করান এবং তেজেস্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু যখন বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়, তখন হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান ঐশ্বর্য। পরে ফিরে এসে তেজেস্বরকে জানান, তাঁর মায়ের যৌতুক দেওয়ার টাকা নেই বলে তিনি লুকিয়ে ছিলেন। তিনি তাঁকে বিয়ে করতে চান। এ সময় তেজেস্বরের পরিবার এই বিয়েতে অমত দিলেও তিনি গত ১৮ মে ঐশ্বর্যকেই বিয়ে করেন।
তেজেস্বরের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ঐশ্বর্য বিয়ের সময়ও তিরুমল রাওয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। তাঁর কলরেকর্ড থেকে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে তাঁরা ২০০০টিরও বেশি ফোনকল করেছেন। জেলা পুলিশের প্রধান টি শ্রীনিবাস রাও এনডিটিভিকে বলেছেন, তেজেস্বর অফিসে থাকাকালীন এবং বিয়ের পরেও তাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিওকলে কথা বলতেন। এমনকি ঐশ্বর্যের বিয়ের দিনেও তাঁরা ভিডিওকলে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তেজেস্বরকে হত্যার জন্য তিরুমল ভাড়াটে খুনিদের খুঁজে বের করেন। তিনজন ব্যক্তি তাঁর কাছে ঋণের জন্য এসেছিলেন। তিরুমল তাঁদের বলেছিলেন, তাঁরা যদি হত্যাকাণ্ডটি সফলভাবে শেষ করেন, তবে তাঁরা ঋণ পাবেন, সেই সঙ্গে আরও কিছু টাকা পাবেন।
তদন্তকারী একজন পুলিশ কর্মকর্তা কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পান। সেখানে একটি ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি তেজেস্বরকে নিয়ে একটি গাড়িতে উঠছেন। তেজেস্বর একজন ভূমি জরিপকারী ও নৃত্য শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। গাদোওয়াল পুলিশের প্রধান টি শ্রীনিবাস রাও বলেন, ‘খুনিরা ভূমি জরিপের অজুহাতে তাঁকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। ড্রাইভারের পাশের সিটে থাকা অবস্থায় তারা তাঁর মাথায় আঘাত করে, গলা কেটে দেয় এবং পরে পেটে ছুরিকাঘাত করে।’ তারা মরদেহটি গাড়ির সামনে থেকে পেছনে টেনে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের পোশাক রক্তে ভিজে গেলে তিরুমল রাও তাদের জন্য নতুন পোশাক কিনে দেন।
পুলিশের মতে, খুনিরা ভিডিওকলে তিরুমল রাওকে তেজেস্বরের মরদেহ দেখায় এবং তারপর তাঁর নির্দেশেই লাশ খালে ফেলে দেয়। জেলা পুলিশের প্রধান বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল কুরনুলে যে জমি জরিপ করতে গিয়েছিল, সেখানেই মরদেহ কবর দেবে, কিন্তু সেখানে কিছু লোক দেখতে পেয়ে তারা একটি খালে ফেলে দেয়। তবে খালে পর্যাপ্ত পানি ছিল না। আমরা মোবাইল ফোনের সিগন্যাল ব্যবহার করে তেজেস্বরের অবস্থান ট্র্যাক করি। যখন আমরা মরদেহ খুঁজে পাই, তখন সেটি পচে গিয়েছিল। তাঁর হাতে তেলেগু ভাষায় ‘‘আম্মা’’ লেখা একটি ট্যাটু আমাদের মরদেহ শনাক্ত করতে সাহায্য করে।’
তিরুমল রাও ও ঐশ্বর্য ভেবেছিলেন, তেজেস্বরের মরদেহ পাওয়া যাবে না। তাঁকে নিখোঁজ বলে চালিয়ে দেওয়া হবে। এই ভেবে তাঁরা পালানোর পরিকল্পনাও করেন। পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ঘটনার আগে তিরুমল রাও ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এবং নিজে ও ঐশ্বর্যের জন্য লাদাখে যাওয়ার টিকিট বুক করেছিলেন। আন্দামানও তাঁদের বিবেচনাধীন একটি গন্তব্য ছিল।
আর সন্দেহ এড়াতে তেজেস্বরকে খুন করেও শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন ঐশ্বর্য। তবে তাঁর এই কৌশল কাজ করেনি। তেজেস্বর নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পরিবার পুলিশের কাছে যায় এবং ঐশ্বর্য ও তিরুমল রাও সম্পর্কে তাদের সন্দেহের কথা জানায়।
গাদোওয়াল পুলিশ যখন তেজেস্বরকে খুঁজে বের করতে মরিয়া, তখন প্রতিবেশী অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল থেকে ফোন আসে। সেখানকার গ্রামবাসীরা জানান, কৃষিজমিতে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। তেলেঙ্গানা পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং নিশ্চিত করে, এটি তেজেস্বরের। এরপরই বেরিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

তেলেঙ্গানায় নববিবাহিত এক যুবকের খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিয়ের এক মাস পর তেজেস্বর নামের ওই যুবকের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য ও প্রেমিক তিরুমল রাও ‘মেঘালয়ের রাজা রঘুবংশী মধুচন্দ্রিমা হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তাঁরা তেজেস্বরকে হত্যা করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য ওই হত্যাকাণ্ডের মতো পরিকল্পনা করার কথাও ভেবেছিলেন।
তেলেঙ্গানা রাজ্যের গাদোওয়াল পুলিশের প্রধান টি শ্রীনিবাস রাও জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ঐশ্বর্য ও তিরুমল রাও পুলিশকে বলেছেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে রাজা রঘুবংশীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই তেজেস্বরকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিকল্পনাটি ছিল সহজ—ঐশ্বর্য তেজেস্বরকে বাইকে করে বাইরে নিয়ে যেতে রাজি করাবেন। পথে ভাড়াটে খুনিরা তাঁদের ওপর হামলা করবে এবং তেজেস্বরকে হত্যা করা হবে। এরপর ঐশ্বর্য তিরুমল রাওয়ের সঙ্গে পালিয়ে যাবেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, এতে পুলিশ বিভ্রান্ত হবে এবং হত্যা ও অপহরণের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে।
রাজা রঘুবংশী হত্যার ঘটনাটিও ঠিক এভাবেই ঘটেছিল। রাজার মরদেহ পাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী সোনম কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। পরে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে তাঁর সম্পৃক্ততা উদ্ঘাটন করে। তবে ঐশ্বর্য ও তিরুমল রাও জানিয়েছেন, তাঁরা এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করলেও পরে তা বাতিল করে অন্য বিকল্পগুলো বিবেচনা করেছিলেন।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ২৩ বছর বয়সী ঐশ্বর্য তাঁর স্বামীর বাইকে একটি জিপিএস ডিভাইস লাগিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁর গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারেন। তাঁরা তেজেস্বরের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে খবর দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী মোহন নামের এক ব্যক্তিকেও ভাড়া করেছিলেন।
এই হামলার ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—ঐশ্বর্য, তিরুমল রাও, তাঁর মা সুজাতা (যিনি তেজেস্বরকে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে), তিরুমলের বাবা (একজন সাবেক কনস্টেবল, যিনি তাঁর ছেলেকে সাহায্য করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে), তিন ভাড়াটে হত্যাকারী নাগেশ, পরশুরাম ও রাজেশ এবং প্রতিবেশী মোহন, যিনি তেজেস্বরের পিছু নিয়েছিলেন।
তেলেঙ্গানার গাদোওয়াল থেকে তেজেস্বরের নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ২১ জুন অন্ধ্রপ্রদেশের নন্দীয়াল জেলার পানিয়ামের একটি মাঠে তেজেস্বরের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাহুতে তেলুগু ভাষায় লেখা ‘আম্মা’ ট্যাটু থেকে তাঁকে শনাক্ত করা হয়।

তেজেস্বরের পরিবার তাঁর নববিবাহিত স্ত্রী ঐশ্বর্যের এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। তেজেস্বরের বড় ভাই তেজাভার্দন বলেন, ‘ঐশ্বর্য একজন ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল। আমরা ঐশ্বর্যকে বিয়ে না করার জন্য তেজেস্বরকে সতর্ক করেছিলাম, কিন্তু সে তেজেস্বরকে বোঝায় যে, সে তাঁকে ভালোবাসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন সে নিখোঁজ হয়, আমি ঐশ্বর্যকে লক্ষ করছিলাম, সে এক ফোঁটা অশ্রুও ফেলেনি, কোনো দুঃখ ছিল না, তাই আমি পুলিশকে আমার সন্দেহের কথা জানাই এবং তারা তদন্ত শুরু করে।’
দুই প্রতিবেশী রাজ্যের পুলিশ একসঙ্গে কাজ শুরু করলে তদন্তে এমন এক ভয়াবহ অপরাধের চিত্র উন্মোচিত হয়। তদন্তের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তেজেস্বরের জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য পাঁচবার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং সবকটি থেকেই তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ঐশ্বর্যের মা সুজাতা একটি ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানিতে পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন। সেখানেই তিনি তিরুমল রাও নামের একজন অফিসারের সঙ্গে পরিচিত হন এবং ২০১৬ সাল থেকে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয়। পরে সুজাতা ছুটিতে গেলে ঐশ্বর্য তাঁর জায়গায় কাজ শুরু করেন। সে সময় তিনিও তিরুমল রাওয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। ২০১৯ সালে তিরুমল রাও বিয়ে করেন। পুলিশ জানতে পারে, তিনি তাঁর স্ত্রীকেও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।
এদিকে সুজাতা যখন জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে তিরুমল রাওয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত, তখন তিনি তাঁকে এই সম্পর্ক শেষ করে তেজেস্বরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তিনি তেজেস্বরকে আগে থেকেই চিনতেন। ঐশ্বর্য প্রথমে এই বিয়েতে রাজি হননি। তবে সুজাতা তাঁকে রাজি করান এবং তেজেস্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু যখন বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়, তখন হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান ঐশ্বর্য। পরে ফিরে এসে তেজেস্বরকে জানান, তাঁর মায়ের যৌতুক দেওয়ার টাকা নেই বলে তিনি লুকিয়ে ছিলেন। তিনি তাঁকে বিয়ে করতে চান। এ সময় তেজেস্বরের পরিবার এই বিয়েতে অমত দিলেও তিনি গত ১৮ মে ঐশ্বর্যকেই বিয়ে করেন।
তেজেস্বরের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ঐশ্বর্য বিয়ের সময়ও তিরুমল রাওয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। তাঁর কলরেকর্ড থেকে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে তাঁরা ২০০০টিরও বেশি ফোনকল করেছেন। জেলা পুলিশের প্রধান টি শ্রীনিবাস রাও এনডিটিভিকে বলেছেন, তেজেস্বর অফিসে থাকাকালীন এবং বিয়ের পরেও তাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিওকলে কথা বলতেন। এমনকি ঐশ্বর্যের বিয়ের দিনেও তাঁরা ভিডিওকলে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তেজেস্বরকে হত্যার জন্য তিরুমল ভাড়াটে খুনিদের খুঁজে বের করেন। তিনজন ব্যক্তি তাঁর কাছে ঋণের জন্য এসেছিলেন। তিরুমল তাঁদের বলেছিলেন, তাঁরা যদি হত্যাকাণ্ডটি সফলভাবে শেষ করেন, তবে তাঁরা ঋণ পাবেন, সেই সঙ্গে আরও কিছু টাকা পাবেন।
তদন্তকারী একজন পুলিশ কর্মকর্তা কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পান। সেখানে একটি ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি তেজেস্বরকে নিয়ে একটি গাড়িতে উঠছেন। তেজেস্বর একজন ভূমি জরিপকারী ও নৃত্য শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। গাদোওয়াল পুলিশের প্রধান টি শ্রীনিবাস রাও বলেন, ‘খুনিরা ভূমি জরিপের অজুহাতে তাঁকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। ড্রাইভারের পাশের সিটে থাকা অবস্থায় তারা তাঁর মাথায় আঘাত করে, গলা কেটে দেয় এবং পরে পেটে ছুরিকাঘাত করে।’ তারা মরদেহটি গাড়ির সামনে থেকে পেছনে টেনে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের পোশাক রক্তে ভিজে গেলে তিরুমল রাও তাদের জন্য নতুন পোশাক কিনে দেন।
পুলিশের মতে, খুনিরা ভিডিওকলে তিরুমল রাওকে তেজেস্বরের মরদেহ দেখায় এবং তারপর তাঁর নির্দেশেই লাশ খালে ফেলে দেয়। জেলা পুলিশের প্রধান বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল কুরনুলে যে জমি জরিপ করতে গিয়েছিল, সেখানেই মরদেহ কবর দেবে, কিন্তু সেখানে কিছু লোক দেখতে পেয়ে তারা একটি খালে ফেলে দেয়। তবে খালে পর্যাপ্ত পানি ছিল না। আমরা মোবাইল ফোনের সিগন্যাল ব্যবহার করে তেজেস্বরের অবস্থান ট্র্যাক করি। যখন আমরা মরদেহ খুঁজে পাই, তখন সেটি পচে গিয়েছিল। তাঁর হাতে তেলেগু ভাষায় ‘‘আম্মা’’ লেখা একটি ট্যাটু আমাদের মরদেহ শনাক্ত করতে সাহায্য করে।’
তিরুমল রাও ও ঐশ্বর্য ভেবেছিলেন, তেজেস্বরের মরদেহ পাওয়া যাবে না। তাঁকে নিখোঁজ বলে চালিয়ে দেওয়া হবে। এই ভেবে তাঁরা পালানোর পরিকল্পনাও করেন। পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ঘটনার আগে তিরুমল রাও ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এবং নিজে ও ঐশ্বর্যের জন্য লাদাখে যাওয়ার টিকিট বুক করেছিলেন। আন্দামানও তাঁদের বিবেচনাধীন একটি গন্তব্য ছিল।
আর সন্দেহ এড়াতে তেজেস্বরকে খুন করেও শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন ঐশ্বর্য। তবে তাঁর এই কৌশল কাজ করেনি। তেজেস্বর নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পরিবার পুলিশের কাছে যায় এবং ঐশ্বর্য ও তিরুমল রাও সম্পর্কে তাদের সন্দেহের কথা জানায়।
গাদোওয়াল পুলিশ যখন তেজেস্বরকে খুঁজে বের করতে মরিয়া, তখন প্রতিবেশী অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল থেকে ফোন আসে। সেখানকার গ্রামবাসীরা জানান, কৃষিজমিতে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। তেলেঙ্গানা পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং নিশ্চিত করে, এটি তেজেস্বরের। এরপরই বেরিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

তেলেঙ্গানায় নববিবাহিত এক যুবকের খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিয়ের এক মাস পর তেজেস্বর নামের ওই যুবকের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য ও প্রেমিক তিরুমল রাও ‘মেঘালয়ের রাজা রঘুবংশী মধুচন্দ্রিমা হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে আলোচনা করেছিল
২৬ জুন ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

তেলেঙ্গানায় নববিবাহিত এক যুবকের খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিয়ের এক মাস পর তেজেস্বর নামের ওই যুবকের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য ও প্রেমিক তিরুমল রাও ‘মেঘালয়ের রাজা রঘুবংশী মধুচন্দ্রিমা হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে আলোচনা করেছিল
২৬ জুন ২০২৫
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

তেলেঙ্গানায় নববিবাহিত এক যুবকের খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিয়ের এক মাস পর তেজেস্বর নামের ওই যুবকের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য ও প্রেমিক তিরুমল রাও ‘মেঘালয়ের রাজা রঘুবংশী মধুচন্দ্রিমা হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে আলোচনা করেছিল
২৬ জুন ২০২৫
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

তেলেঙ্গানায় নববিবাহিত এক যুবকের খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিয়ের এক মাস পর তেজেস্বর নামের ওই যুবকের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য ও প্রেমিক তিরুমল রাও ‘মেঘালয়ের রাজা রঘুবংশী মধুচন্দ্রিমা হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে আলোচনা করেছিল
২৬ জুন ২০২৫
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
১৭ ঘণ্টা আগে