মারুফ ইসলাম

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও। যে বছর বিদায় নিচ্ছে, সে বছরের বেশ কিছু মৃত্যু কাঁদিয়েছে বিশ্ববাসীকে। এই মৃত্যুগুলো সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি করে গেছে।
রানি এলিজাবেথ
কিংবদন্তি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু বিশ্বকে শোকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের বালমোরালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। রানি এলিজাবেথ ছিলেন ব্রিটিশরাজের সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে থাকা একমাত্র রানি। প্রায় সাত দশক ধরে তিনি সিংহাসনে আসীন ছিলেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর। সেটা ছিল ১৯৫২ সাল। ষষ্ঠ জর্জ মারা যান ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। আর মাত্র ২৫ বছর বয়সে ওই বছরেরই জুনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেন।
মৃত্যুর পর ১০ দিন ধরে নানা আনুষ্ঠানিকতার পর ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্য লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তাঁর রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন সারা বিশ্বের নেতারা।
শিনজো আবে
জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ২০০৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবেই ছিলেন জাপানের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান শিনজো আবে। তবে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ওপর যথেষ্ট প্রভাব ছিল তাঁর।
শিনজো আবে জাপানের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি। তাঁর বাবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আবে তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক নীতির জন্য সুপরিচিত। পাশাপাশি তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন।
গত ৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরে রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় গুলিবিদ্ধ হন শিনজো আবে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মিখাইল গর্বাচেভ
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সূচনা করে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা মিখাইল গর্বাচেভ এ বছরের ৩০ আগস্ট মস্কোর স্থানীয় সময় দিবাগত রাতে ৯১ বছর বয়সে মারা যান। চিকিৎসকেরা বলেছেন, বার্ধক্যজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গর্ভাচেভের মৃত্যুর পর বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো বলেছে, গর্বাচেভ সম্পর্কে যত প্রশংসা ও নিন্দা করা হয়েছে বিশ্বজুড়ে, তা হয়তো গত শতাব্দীর শেষ ও এখন পর্যন্ত এই শতাব্দীতে আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে করা হয়নি। সাম্যবাদের পূজারিরা মনে করেন, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছিলেন। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, গর্বাচেভ ছিলেন ভেদাভেদ ভুলে শান্তির অগ্রযাত্রার আইকন।
গর্বাচেভের সঙ্গে বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্ক ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। কারণ, গর্বাচেভ এমন সব নীতি গ্রহণ করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নকে পতনের দিকে নিয়ে গেছে। বিপরীতে পুতিন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের অখণ্ডতায় বিশ্বাসী ছিলেন।
ইভানা ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক স্ত্রী ছিলেন ইভানা ট্রাম্প। তবে এটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় ছিল না। তিনি ছিলেন ট্রাম্পের সব ব্যবসার অন্যতম সহযোগী। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে ইভানার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু অভিনেত্রী মারিয়া মাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের গুঞ্জন শুরু হলে বিয়ে ভেঙে যায় ট্রাম্প ও ইভানার। পরে ট্রাম্প মারিয়াকে বিয়ে করেন।
তবে মারিয়াকে বিয়ে করলেও ইভানাকে ভোলেননি ট্রাম্প। তাঁর মৃত্যুর পর নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক সিটিতে নিজের বাসভবনে মারা গেছেন ইভানা ট্রাম্প। অনেক মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন। তাঁদের আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে এই খবর দিচ্ছি। তিনি ছিলেন সুন্দর ও অসাধারণ নারী। তিনি এমন জীবনযাপন করেছেন, যা অন্যদের উদ্বুদ্ধ করবে। তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিককে নিয়ে তিনি গর্বিত ছিলেন। আমরাও তাঁকে নিয়ে একই রকম গর্বিত ছিলাম। রেস্ট ইন পিস, ইভানা।’
গত ১৪ জুলাই ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ইভানা ট্রাম্পের। নিউ ইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র সে সময় বলেছিলেন, ‘বাসার সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন ইভানা। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না।’
আয়মান আল জাওয়াহিরি
ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান সংগঠক ও কৌশলবিদ হয়েছিলেন আয়মান আল জাওয়াহিরি। তিনি মূলত ওসামা বিন লাদেনেরই স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তিনি ওসামার মতো ক্যারিশম্যাটিক নেতা ছিলেন না বলে ইসলামিক স্টেট পশ্চিমে উল্লেখযোগ্য আক্রমণে উৎসাহিত হননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৩১ জুলাই তাঁর নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আল-কায়েদার এই শীর্ষ নেতা আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন।
একজন ইসলামি জঙ্গি হিসেবে জাওয়াহিরির উত্থান কয়েক দশক আগে। বিশ্ববাসী প্রথম তাঁর নাম শুনেছিল ১৯৮১ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে হত্যার পর, যখন তিনি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন। পরে আদালত জাওয়াহিরিকে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন এবং মূল অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।
জাওয়াহিরি ছিলেন একজন প্রশিক্ষিত সার্জন। তিন বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে তিনি মিসর থেকে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে তিনি সোভিয়েত (তৎকালীন) বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আফগানিস্তানে আহত ইসলামি মুজাহিদিন গেরিলাদের চিকিৎসার জন্য রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন।
ওই সময়ই বিন লাদেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সৌদি ধনকুবের ও আল-কয়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন তখন আফগানিস্তানে যুদ্ধ করছিলেন।
লতা মঙ্গেশকর
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব হারিয়েছে উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে। লতা কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ ও নিউমোনিয়ায় ভুগে ৯২ বছর বয়সে ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। লতার মৃত্যুর পর দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার।
ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরুতে তাঁর নাম ছিল হেমা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে। বাবা ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা। তাঁর মিউজিক্যাল প্লেগুলোতে লতা প্রথম অভিনয় শুরু করেন। ক্যারিয়ার অবশ্য শুরু হয়েছিল মারাঠি গান গেয়ে। সেটা ১৯৪২ সালে। আর ১৯৪৬ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমায় গান করেন লতা। সিনেমার নাম ‘আপ কি সেবা মে’। গানের শিরোনাম ‘পা লাগু কার জোরি’। এর দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দারের ‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিন মেরা তোড়া’ গান করেন লতা। এরপর শুধু এগিয়েই গেছেন।
লতা বিয়ে করেননি। সমগ্র জীবনটাই তুলে দিয়েছেন সংগীতের বেদিমূলে। পৃথিবীর ৩৬টি ভাষায় গেয়েছেন গান।
পেলে
ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সাও পাওলোয় আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো লিখেছেন, ‘আমাদের সবকিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমরা তোমাকে অসীমের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। বিদায়।’ গত নভেম্বর মাস থেকেই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বকালের সেরা এই ফুটবলার। দীর্ঘদিন কিডনি ও প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনি। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ২১ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৩৬৩টি ম্যাচ খেলে ১২৮১ গোলের বিরল রেকর্ড রয়েছে পেলের।
পেলের পুরো নাম করেন ‘এডসন অ্যারান্টিস দো নাসিমেন্ত’। ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের এক বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দরিদ্র কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের প্রথম সন্তান হিসেবে পরিবারের অভাব-অনটন মেটানোর জন্য ছেলেবেলাতেই পেলেকে চায়ের দোকানে কাজ করতে হয়েছিল। এ ছাড়া রেলস্টেশন ঝাড়ু দেওয়ার পাশাপাশি কিছুদিন জুতা পরিষ্কারের কাজও করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। ১৬ বছর বয়সে পেলের সান্তোসের মূল দলে অভিষেক হয়। সেবার ব্রাজিলের পেশাদার ফুটবল লীগে স্যান্তোসের হয়ে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনি। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারকে।
পেলে ইতিহাসে অমর অক্ষয় হয়ে থাকবেন ফুটবলের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এবং সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্রাজিলিয়ানদের ফুটবলার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, এনডিটিভি, ডয়চে ভেলে

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও। যে বছর বিদায় নিচ্ছে, সে বছরের বেশ কিছু মৃত্যু কাঁদিয়েছে বিশ্ববাসীকে। এই মৃত্যুগুলো সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি করে গেছে।
রানি এলিজাবেথ
কিংবদন্তি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু বিশ্বকে শোকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের বালমোরালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। রানি এলিজাবেথ ছিলেন ব্রিটিশরাজের সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে থাকা একমাত্র রানি। প্রায় সাত দশক ধরে তিনি সিংহাসনে আসীন ছিলেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর। সেটা ছিল ১৯৫২ সাল। ষষ্ঠ জর্জ মারা যান ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। আর মাত্র ২৫ বছর বয়সে ওই বছরেরই জুনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেন।
মৃত্যুর পর ১০ দিন ধরে নানা আনুষ্ঠানিকতার পর ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্য লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তাঁর রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন সারা বিশ্বের নেতারা।
শিনজো আবে
জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ২০০৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবেই ছিলেন জাপানের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান শিনজো আবে। তবে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ওপর যথেষ্ট প্রভাব ছিল তাঁর।
শিনজো আবে জাপানের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি। তাঁর বাবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আবে তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক নীতির জন্য সুপরিচিত। পাশাপাশি তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন।
গত ৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরে রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় গুলিবিদ্ধ হন শিনজো আবে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মিখাইল গর্বাচেভ
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সূচনা করে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা মিখাইল গর্বাচেভ এ বছরের ৩০ আগস্ট মস্কোর স্থানীয় সময় দিবাগত রাতে ৯১ বছর বয়সে মারা যান। চিকিৎসকেরা বলেছেন, বার্ধক্যজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গর্ভাচেভের মৃত্যুর পর বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো বলেছে, গর্বাচেভ সম্পর্কে যত প্রশংসা ও নিন্দা করা হয়েছে বিশ্বজুড়ে, তা হয়তো গত শতাব্দীর শেষ ও এখন পর্যন্ত এই শতাব্দীতে আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে করা হয়নি। সাম্যবাদের পূজারিরা মনে করেন, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছিলেন। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, গর্বাচেভ ছিলেন ভেদাভেদ ভুলে শান্তির অগ্রযাত্রার আইকন।
গর্বাচেভের সঙ্গে বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্ক ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। কারণ, গর্বাচেভ এমন সব নীতি গ্রহণ করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নকে পতনের দিকে নিয়ে গেছে। বিপরীতে পুতিন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের অখণ্ডতায় বিশ্বাসী ছিলেন।
ইভানা ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক স্ত্রী ছিলেন ইভানা ট্রাম্প। তবে এটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় ছিল না। তিনি ছিলেন ট্রাম্পের সব ব্যবসার অন্যতম সহযোগী। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে ইভানার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু অভিনেত্রী মারিয়া মাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের গুঞ্জন শুরু হলে বিয়ে ভেঙে যায় ট্রাম্প ও ইভানার। পরে ট্রাম্প মারিয়াকে বিয়ে করেন।
তবে মারিয়াকে বিয়ে করলেও ইভানাকে ভোলেননি ট্রাম্প। তাঁর মৃত্যুর পর নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক সিটিতে নিজের বাসভবনে মারা গেছেন ইভানা ট্রাম্প। অনেক মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন। তাঁদের আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে এই খবর দিচ্ছি। তিনি ছিলেন সুন্দর ও অসাধারণ নারী। তিনি এমন জীবনযাপন করেছেন, যা অন্যদের উদ্বুদ্ধ করবে। তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিককে নিয়ে তিনি গর্বিত ছিলেন। আমরাও তাঁকে নিয়ে একই রকম গর্বিত ছিলাম। রেস্ট ইন পিস, ইভানা।’
গত ১৪ জুলাই ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ইভানা ট্রাম্পের। নিউ ইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র সে সময় বলেছিলেন, ‘বাসার সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন ইভানা। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না।’
আয়মান আল জাওয়াহিরি
ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান সংগঠক ও কৌশলবিদ হয়েছিলেন আয়মান আল জাওয়াহিরি। তিনি মূলত ওসামা বিন লাদেনেরই স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তিনি ওসামার মতো ক্যারিশম্যাটিক নেতা ছিলেন না বলে ইসলামিক স্টেট পশ্চিমে উল্লেখযোগ্য আক্রমণে উৎসাহিত হননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৩১ জুলাই তাঁর নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আল-কায়েদার এই শীর্ষ নেতা আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন।
একজন ইসলামি জঙ্গি হিসেবে জাওয়াহিরির উত্থান কয়েক দশক আগে। বিশ্ববাসী প্রথম তাঁর নাম শুনেছিল ১৯৮১ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে হত্যার পর, যখন তিনি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন। পরে আদালত জাওয়াহিরিকে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন এবং মূল অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।
জাওয়াহিরি ছিলেন একজন প্রশিক্ষিত সার্জন। তিন বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে তিনি মিসর থেকে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে তিনি সোভিয়েত (তৎকালীন) বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আফগানিস্তানে আহত ইসলামি মুজাহিদিন গেরিলাদের চিকিৎসার জন্য রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন।
ওই সময়ই বিন লাদেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সৌদি ধনকুবের ও আল-কয়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন তখন আফগানিস্তানে যুদ্ধ করছিলেন।
লতা মঙ্গেশকর
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব হারিয়েছে উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে। লতা কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ ও নিউমোনিয়ায় ভুগে ৯২ বছর বয়সে ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। লতার মৃত্যুর পর দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার।
ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরুতে তাঁর নাম ছিল হেমা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে। বাবা ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা। তাঁর মিউজিক্যাল প্লেগুলোতে লতা প্রথম অভিনয় শুরু করেন। ক্যারিয়ার অবশ্য শুরু হয়েছিল মারাঠি গান গেয়ে। সেটা ১৯৪২ সালে। আর ১৯৪৬ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমায় গান করেন লতা। সিনেমার নাম ‘আপ কি সেবা মে’। গানের শিরোনাম ‘পা লাগু কার জোরি’। এর দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দারের ‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিন মেরা তোড়া’ গান করেন লতা। এরপর শুধু এগিয়েই গেছেন।
লতা বিয়ে করেননি। সমগ্র জীবনটাই তুলে দিয়েছেন সংগীতের বেদিমূলে। পৃথিবীর ৩৬টি ভাষায় গেয়েছেন গান।
পেলে
ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সাও পাওলোয় আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো লিখেছেন, ‘আমাদের সবকিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমরা তোমাকে অসীমের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। বিদায়।’ গত নভেম্বর মাস থেকেই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বকালের সেরা এই ফুটবলার। দীর্ঘদিন কিডনি ও প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনি। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ২১ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৩৬৩টি ম্যাচ খেলে ১২৮১ গোলের বিরল রেকর্ড রয়েছে পেলের।
পেলের পুরো নাম করেন ‘এডসন অ্যারান্টিস দো নাসিমেন্ত’। ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের এক বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দরিদ্র কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের প্রথম সন্তান হিসেবে পরিবারের অভাব-অনটন মেটানোর জন্য ছেলেবেলাতেই পেলেকে চায়ের দোকানে কাজ করতে হয়েছিল। এ ছাড়া রেলস্টেশন ঝাড়ু দেওয়ার পাশাপাশি কিছুদিন জুতা পরিষ্কারের কাজও করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। ১৬ বছর বয়সে পেলের সান্তোসের মূল দলে অভিষেক হয়। সেবার ব্রাজিলের পেশাদার ফুটবল লীগে স্যান্তোসের হয়ে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনি। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারকে।
পেলে ইতিহাসে অমর অক্ষয় হয়ে থাকবেন ফুটবলের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এবং সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্রাজিলিয়ানদের ফুটবলার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, এনডিটিভি, ডয়চে ভেলে

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৩২ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও।
৩০ ডিসেম্বর ২০২২
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও।
৩০ ডিসেম্বর ২০২২
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৩২ মিনিট আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৪ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও।
৩০ ডিসেম্বর ২০২২
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৩২ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও।
৩০ ডিসেম্বর ২০২২
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৩২ মিনিট আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৪ ঘণ্টা আগে