মারুফ ইসলাম

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও। যে বছর বিদায় নিচ্ছে, সে বছরের বেশ কিছু মৃত্যু কাঁদিয়েছে বিশ্ববাসীকে। এই মৃত্যুগুলো সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি করে গেছে।
রানি এলিজাবেথ
কিংবদন্তি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু বিশ্বকে শোকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের বালমোরালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। রানি এলিজাবেথ ছিলেন ব্রিটিশরাজের সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে থাকা একমাত্র রানি। প্রায় সাত দশক ধরে তিনি সিংহাসনে আসীন ছিলেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর। সেটা ছিল ১৯৫২ সাল। ষষ্ঠ জর্জ মারা যান ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। আর মাত্র ২৫ বছর বয়সে ওই বছরেরই জুনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেন।
মৃত্যুর পর ১০ দিন ধরে নানা আনুষ্ঠানিকতার পর ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্য লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তাঁর রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন সারা বিশ্বের নেতারা।
শিনজো আবে
জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ২০০৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবেই ছিলেন জাপানের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান শিনজো আবে। তবে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ওপর যথেষ্ট প্রভাব ছিল তাঁর।
শিনজো আবে জাপানের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি। তাঁর বাবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আবে তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক নীতির জন্য সুপরিচিত। পাশাপাশি তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন।
গত ৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরে রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় গুলিবিদ্ধ হন শিনজো আবে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মিখাইল গর্বাচেভ
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সূচনা করে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা মিখাইল গর্বাচেভ এ বছরের ৩০ আগস্ট মস্কোর স্থানীয় সময় দিবাগত রাতে ৯১ বছর বয়সে মারা যান। চিকিৎসকেরা বলেছেন, বার্ধক্যজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গর্ভাচেভের মৃত্যুর পর বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো বলেছে, গর্বাচেভ সম্পর্কে যত প্রশংসা ও নিন্দা করা হয়েছে বিশ্বজুড়ে, তা হয়তো গত শতাব্দীর শেষ ও এখন পর্যন্ত এই শতাব্দীতে আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে করা হয়নি। সাম্যবাদের পূজারিরা মনে করেন, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছিলেন। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, গর্বাচেভ ছিলেন ভেদাভেদ ভুলে শান্তির অগ্রযাত্রার আইকন।
গর্বাচেভের সঙ্গে বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্ক ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। কারণ, গর্বাচেভ এমন সব নীতি গ্রহণ করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নকে পতনের দিকে নিয়ে গেছে। বিপরীতে পুতিন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের অখণ্ডতায় বিশ্বাসী ছিলেন।
ইভানা ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক স্ত্রী ছিলেন ইভানা ট্রাম্প। তবে এটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় ছিল না। তিনি ছিলেন ট্রাম্পের সব ব্যবসার অন্যতম সহযোগী। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে ইভানার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু অভিনেত্রী মারিয়া মাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের গুঞ্জন শুরু হলে বিয়ে ভেঙে যায় ট্রাম্প ও ইভানার। পরে ট্রাম্প মারিয়াকে বিয়ে করেন।
তবে মারিয়াকে বিয়ে করলেও ইভানাকে ভোলেননি ট্রাম্প। তাঁর মৃত্যুর পর নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক সিটিতে নিজের বাসভবনে মারা গেছেন ইভানা ট্রাম্প। অনেক মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন। তাঁদের আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে এই খবর দিচ্ছি। তিনি ছিলেন সুন্দর ও অসাধারণ নারী। তিনি এমন জীবনযাপন করেছেন, যা অন্যদের উদ্বুদ্ধ করবে। তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিককে নিয়ে তিনি গর্বিত ছিলেন। আমরাও তাঁকে নিয়ে একই রকম গর্বিত ছিলাম। রেস্ট ইন পিস, ইভানা।’
গত ১৪ জুলাই ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ইভানা ট্রাম্পের। নিউ ইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র সে সময় বলেছিলেন, ‘বাসার সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন ইভানা। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না।’
আয়মান আল জাওয়াহিরি
ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান সংগঠক ও কৌশলবিদ হয়েছিলেন আয়মান আল জাওয়াহিরি। তিনি মূলত ওসামা বিন লাদেনেরই স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তিনি ওসামার মতো ক্যারিশম্যাটিক নেতা ছিলেন না বলে ইসলামিক স্টেট পশ্চিমে উল্লেখযোগ্য আক্রমণে উৎসাহিত হননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৩১ জুলাই তাঁর নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আল-কায়েদার এই শীর্ষ নেতা আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন।
একজন ইসলামি জঙ্গি হিসেবে জাওয়াহিরির উত্থান কয়েক দশক আগে। বিশ্ববাসী প্রথম তাঁর নাম শুনেছিল ১৯৮১ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে হত্যার পর, যখন তিনি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন। পরে আদালত জাওয়াহিরিকে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন এবং মূল অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।
জাওয়াহিরি ছিলেন একজন প্রশিক্ষিত সার্জন। তিন বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে তিনি মিসর থেকে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে তিনি সোভিয়েত (তৎকালীন) বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আফগানিস্তানে আহত ইসলামি মুজাহিদিন গেরিলাদের চিকিৎসার জন্য রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন।
ওই সময়ই বিন লাদেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সৌদি ধনকুবের ও আল-কয়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন তখন আফগানিস্তানে যুদ্ধ করছিলেন।
লতা মঙ্গেশকর
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব হারিয়েছে উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে। লতা কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ ও নিউমোনিয়ায় ভুগে ৯২ বছর বয়সে ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। লতার মৃত্যুর পর দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার।
ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরুতে তাঁর নাম ছিল হেমা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে। বাবা ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা। তাঁর মিউজিক্যাল প্লেগুলোতে লতা প্রথম অভিনয় শুরু করেন। ক্যারিয়ার অবশ্য শুরু হয়েছিল মারাঠি গান গেয়ে। সেটা ১৯৪২ সালে। আর ১৯৪৬ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমায় গান করেন লতা। সিনেমার নাম ‘আপ কি সেবা মে’। গানের শিরোনাম ‘পা লাগু কার জোরি’। এর দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দারের ‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিন মেরা তোড়া’ গান করেন লতা। এরপর শুধু এগিয়েই গেছেন।
লতা বিয়ে করেননি। সমগ্র জীবনটাই তুলে দিয়েছেন সংগীতের বেদিমূলে। পৃথিবীর ৩৬টি ভাষায় গেয়েছেন গান।
পেলে
ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সাও পাওলোয় আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো লিখেছেন, ‘আমাদের সবকিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমরা তোমাকে অসীমের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। বিদায়।’ গত নভেম্বর মাস থেকেই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বকালের সেরা এই ফুটবলার। দীর্ঘদিন কিডনি ও প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনি। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ২১ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৩৬৩টি ম্যাচ খেলে ১২৮১ গোলের বিরল রেকর্ড রয়েছে পেলের।
পেলের পুরো নাম করেন ‘এডসন অ্যারান্টিস দো নাসিমেন্ত’। ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের এক বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দরিদ্র কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের প্রথম সন্তান হিসেবে পরিবারের অভাব-অনটন মেটানোর জন্য ছেলেবেলাতেই পেলেকে চায়ের দোকানে কাজ করতে হয়েছিল। এ ছাড়া রেলস্টেশন ঝাড়ু দেওয়ার পাশাপাশি কিছুদিন জুতা পরিষ্কারের কাজও করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। ১৬ বছর বয়সে পেলের সান্তোসের মূল দলে অভিষেক হয়। সেবার ব্রাজিলের পেশাদার ফুটবল লীগে স্যান্তোসের হয়ে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনি। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারকে।
পেলে ইতিহাসে অমর অক্ষয় হয়ে থাকবেন ফুটবলের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এবং সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্রাজিলিয়ানদের ফুটবলার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, এনডিটিভি, ডয়চে ভেলে

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও। যে বছর বিদায় নিচ্ছে, সে বছরের বেশ কিছু মৃত্যু কাঁদিয়েছে বিশ্ববাসীকে। এই মৃত্যুগুলো সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি করে গেছে।
রানি এলিজাবেথ
কিংবদন্তি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু বিশ্বকে শোকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে স্কটল্যান্ডের বালমোরালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। রানি এলিজাবেথ ছিলেন ব্রিটিশরাজের সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে থাকা একমাত্র রানি। প্রায় সাত দশক ধরে তিনি সিংহাসনে আসীন ছিলেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন তাঁর বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর। সেটা ছিল ১৯৫২ সাল। ষষ্ঠ জর্জ মারা যান ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। আর মাত্র ২৫ বছর বয়সে ওই বছরেরই জুনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণ করেন।
মৃত্যুর পর ১০ দিন ধরে নানা আনুষ্ঠানিকতার পর ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্য লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তাঁর রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন সারা বিশ্বের নেতারা।
শিনজো আবে
জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ২০০৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবেই ছিলেন জাপানের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান শিনজো আবে। তবে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ওপর যথেষ্ট প্রভাব ছিল তাঁর।
শিনজো আবে জাপানের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি। তাঁর বাবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আবে তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক নীতির জন্য সুপরিচিত। পাশাপাশি তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন।
গত ৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরে রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় গুলিবিদ্ধ হন শিনজো আবে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মিখাইল গর্বাচেভ
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সূচনা করে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা মিখাইল গর্বাচেভ এ বছরের ৩০ আগস্ট মস্কোর স্থানীয় সময় দিবাগত রাতে ৯১ বছর বয়সে মারা যান। চিকিৎসকেরা বলেছেন, বার্ধক্যজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গর্ভাচেভের মৃত্যুর পর বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো বলেছে, গর্বাচেভ সম্পর্কে যত প্রশংসা ও নিন্দা করা হয়েছে বিশ্বজুড়ে, তা হয়তো গত শতাব্দীর শেষ ও এখন পর্যন্ত এই শতাব্দীতে আর কোনো রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে করা হয়নি। সাম্যবাদের পূজারিরা মনে করেন, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছিলেন। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, গর্বাচেভ ছিলেন ভেদাভেদ ভুলে শান্তির অগ্রযাত্রার আইকন।
গর্বাচেভের সঙ্গে বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্ক ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। কারণ, গর্বাচেভ এমন সব নীতি গ্রহণ করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নকে পতনের দিকে নিয়ে গেছে। বিপরীতে পুতিন সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের অখণ্ডতায় বিশ্বাসী ছিলেন।
ইভানা ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক স্ত্রী ছিলেন ইভানা ট্রাম্প। তবে এটিই তাঁর একমাত্র পরিচয় ছিল না। তিনি ছিলেন ট্রাম্পের সব ব্যবসার অন্যতম সহযোগী। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠার পেছনে ইভানার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু অভিনেত্রী মারিয়া মাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের গুঞ্জন শুরু হলে বিয়ে ভেঙে যায় ট্রাম্প ও ইভানার। পরে ট্রাম্প মারিয়াকে বিয়ে করেন।
তবে মারিয়াকে বিয়ে করলেও ইভানাকে ভোলেননি ট্রাম্প। তাঁর মৃত্যুর পর নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক সিটিতে নিজের বাসভবনে মারা গেছেন ইভানা ট্রাম্প। অনেক মানুষ তাঁকে ভালোবাসেন। তাঁদের আমি খুবই দুঃখের সঙ্গে এই খবর দিচ্ছি। তিনি ছিলেন সুন্দর ও অসাধারণ নারী। তিনি এমন জীবনযাপন করেছেন, যা অন্যদের উদ্বুদ্ধ করবে। তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিককে নিয়ে তিনি গর্বিত ছিলেন। আমরাও তাঁকে নিয়ে একই রকম গর্বিত ছিলাম। রেস্ট ইন পিস, ইভানা।’
গত ১৪ জুলাই ৭৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয় ইভানা ট্রাম্পের। নিউ ইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র সে সময় বলেছিলেন, ‘বাসার সিঁড়িতে মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন ইভানা। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না।’
আয়মান আল জাওয়াহিরি
ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান সংগঠক ও কৌশলবিদ হয়েছিলেন আয়মান আল জাওয়াহিরি। তিনি মূলত ওসামা বিন লাদেনেরই স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তিনি ওসামার মতো ক্যারিশম্যাটিক নেতা ছিলেন না বলে ইসলামিক স্টেট পশ্চিমে উল্লেখযোগ্য আক্রমণে উৎসাহিত হননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৩১ জুলাই তাঁর নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আল-কায়েদার এই শীর্ষ নেতা আফগানিস্তানের কাবুলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন।
একজন ইসলামি জঙ্গি হিসেবে জাওয়াহিরির উত্থান কয়েক দশক আগে। বিশ্ববাসী প্রথম তাঁর নাম শুনেছিল ১৯৮১ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে হত্যার পর, যখন তিনি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন। পরে আদালত জাওয়াহিরিকে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন এবং মূল অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।
জাওয়াহিরি ছিলেন একজন প্রশিক্ষিত সার্জন। তিন বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে তিনি মিসর থেকে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানে তিনি সোভিয়েত (তৎকালীন) বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আফগানিস্তানে আহত ইসলামি মুজাহিদিন গেরিলাদের চিকিৎসার জন্য রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন।
ওই সময়ই বিন লাদেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সৌদি ধনকুবের ও আল-কয়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন তখন আফগানিস্তানে যুদ্ধ করছিলেন।
লতা মঙ্গেশকর
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব হারিয়েছে উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে। লতা কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ ও নিউমোনিয়ায় ভুগে ৯২ বছর বয়সে ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। লতার মৃত্যুর পর দুই দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার।
ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শুরুতে তাঁর নাম ছিল হেমা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে। বাবা ছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও মঞ্চ অভিনেতা। তাঁর মিউজিক্যাল প্লেগুলোতে লতা প্রথম অভিনয় শুরু করেন। ক্যারিয়ার অবশ্য শুরু হয়েছিল মারাঠি গান গেয়ে। সেটা ১৯৪২ সালে। আর ১৯৪৬ সালে প্রথম হিন্দি সিনেমায় গান করেন লতা। সিনেমার নাম ‘আপ কি সেবা মে’। গানের শিরোনাম ‘পা লাগু কার জোরি’। এর দুই বছর পর সুরকার গুলাম হায়দারের ‘মজবুর’ ছবিতে ‘দিন মেরা তোড়া’ গান করেন লতা। এরপর শুধু এগিয়েই গেছেন।
লতা বিয়ে করেননি। সমগ্র জীবনটাই তুলে দিয়েছেন সংগীতের বেদিমূলে। পৃথিবীর ৩৬টি ভাষায় গেয়েছেন গান।
পেলে
ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে সাও পাওলোয় আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো লিখেছেন, ‘আমাদের সবকিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমরা তোমাকে অসীমের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। বিদায়।’ গত নভেম্বর মাস থেকেই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সর্বকালের সেরা এই ফুটবলার। দীর্ঘদিন কিডনি ও প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেছেন তিনি। ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ফুটবলের ২১ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৩৬৩টি ম্যাচ খেলে ১২৮১ গোলের বিরল রেকর্ড রয়েছে পেলের।
পেলের পুরো নাম করেন ‘এডসন অ্যারান্টিস দো নাসিমেন্ত’। ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের এক বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দরিদ্র কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের প্রথম সন্তান হিসেবে পরিবারের অভাব-অনটন মেটানোর জন্য ছেলেবেলাতেই পেলেকে চায়ের দোকানে কাজ করতে হয়েছিল। এ ছাড়া রেলস্টেশন ঝাড়ু দেওয়ার পাশাপাশি কিছুদিন জুতা পরিষ্কারের কাজও করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। ১৬ বছর বয়সে পেলের সান্তোসের মূল দলে অভিষেক হয়। সেবার ব্রাজিলের পেশাদার ফুটবল লীগে স্যান্তোসের হয়ে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনি। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সর্বকালের সেরা এই ফুটবলারকে।
পেলে ইতিহাসে অমর অক্ষয় হয়ে থাকবেন ফুটবলের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এবং সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্রাজিলিয়ানদের ফুটবলার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, নিউইয়র্ক টাইমস, এনডিটিভি, ডয়চে ভেলে

এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৩৩ মিনিট আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও।
৩০ ডিসেম্বর ২০২২
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও।
৩০ ডিসেম্বর ২০২২
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৩৩ মিনিট আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও।
৩০ ডিসেম্বর ২০২২
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৩৩ মিনিট আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

নানা ঘটন-অঘটনের বছর ছিল ২০২২। আর মাত্র এক দিন বাদেই অস্তমিত হবে এ বছরের শেষ সূর্য। বিদায়ী বছর আর স্বাগত বছরের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাচ্ছেন অনেকেই। দেখছেন, ফেলে আসা দিনগুলো কেমন ছিল। সবই যে মধুর স্মৃতি, তা তো নয়। আছে অনেক নোনাজলে মেশানো দুঃখের স্মৃতিও।
৩০ ডিসেম্বর ২০২২
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৩৩ মিনিট আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে