
যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি নিজেকে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে সঁপে দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত এমন একাধিক সম্পত্তিতে বসবাস বা ভোগদখল করছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নগর ও দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীদের মানদণ্ড নির্ণয়বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে, ব্রিটিশ মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত নীতিমালা বা আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন কি না, তা টিউলিপ খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছেন লরি ম্যাগনাসকে।
টিউলিপ সিদ্দিক এমন এক সময়ে অনুরোধ করলেন, যখন তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর খালা ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্ত ব্রিটেনে অবস্থিত একাধিক সম্পত্তিতে বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা সম্প্রতি ব্যাপক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাগনাসের কাছে লেখা চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমি আমার আর্থিক বিষয় এবং বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সাথে আমার পরিবারের সম্পর্ক নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু হয়েছি, যার অধিকাংশই অসত্য। এ বিষয়ে আমার অবস্থান স্পষ্ট যে, আমি কিছু ভুল করিনি। তবে, সন্দেহ দূর করার জন্য আমি চাই আপনি স্বাধীনভাবে এই বিষয়গুলোর সত্যতা নির্ধারণ করুন।’
লেবার পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের এই সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী তথা চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের নেতৃত্বে ট্রেজারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চীনে ভ্রমণ করার কথা ছিল। কিন্তু তদন্তে সহায়তা করার জন্য তিনি চীন সফরে যাচ্ছেন না।
কিংস ক্রসের কাছে দুই বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট এবং হ্যাম্পস্টেডে একটি পৃথক বাড়ির ভোগদখল ও মালিকানা ইস্যুতে সম্প্রতি টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক ২০০৪ সালে কোনো অর্থ পরিশোধ না করেই কিংস ক্রস এলাকায় একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন। জমির রেজিস্ট্রেশন নথি অনুযায়ী, ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন আবদুল মুতালিফ নামে এক প্রোমোটর, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে জড়িত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটটি ২০০১ সালে ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড দিয়ে কিনেছিলেন আবদুল মুতালিফ। টিউলিপ ২০০৪ সালে কোনো মূল্য না দিয়ে সেই ফ্ল্যাটের মালিক হন।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, টিউলিপ আগে তাদের প্রতিবেদকদের জানিয়েছিলেন যে, ফ্ল্যাটটি তাঁর বাবা-মা কিনে তাঁকে উপহার দিয়েছেন। পরে অভিযোগ ওঠে, তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকাটিকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। দ্য সানডে টাইমস পরে জানায়, টিউলিপ হ্যাম্পস্টেডে একটি পৃথক সম্পত্তিতে বসবাস করেছেন। এই বাড়িটি কিনেছিলেন মইন গনি নামের এক আইনজীবী। এই আইনজীবী হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং সম্পত্তিটি টিউলিপের বোনের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।
টিউলিপ বর্তমানে পূর্ব ফিঞ্চলে এলাকায় ২১ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। এই বাড়ির মালিক আবদুল করিম। তিনি আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য।
শেখ হাসিনার পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে টিউলিপের সংযোগ অতীতেও তাঁর জন্য রাজনৈতিক সমস্যার কারণ হয়েছে। ২০১৭ সালে আহমদ বিন কাসেম নামে এক আইনজীবীর বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন টিউলিপ। ব্রিটেনে ব্যারিস্টারি পড়া আহমদ বিন কাসেম বাংলাদেশে কারাবন্দি ছিলেন।
তখন তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, তাঁর খালার সরকারের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘আমি হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবার পার্টির এমপি, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি। খুব সতর্ক থাকুন। আমি বাংলাদেশি নই এবং আপনি যার বিষয়ে কথা বলছেন, তাঁর মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
শেখ হাসিনা বিশ্বে দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা এক নারী সরকারপ্রধান। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন, ভুয়া নির্বাচন আয়োজনসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। গত বছরের জুলাইয়ে হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে তাঁর সরকার সেটি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দমনের চেষ্টা করে। এতে ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং আহত হয় আরও কয়েক হাজার। পরে ৫ আগস্ট রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী তাঁর সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়লে তিনি দেশ ছেড়ে যান।
এত কিছুর পরেও টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর সম্পত্তি এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে সংযোগ নিয়ে প্রকাশিত তথ্যের পরও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আস্থা ও সমর্থন পাচ্ছেন। স্টারমার গত সোমবার বলেন, ‘মন্ত্রীদের মানদণ্ড নির্ধারণবিষয়ক উপদেষ্টার হাতে নিজেকে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক সঠিক কাজটি করেছেন।’

যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি নিজেকে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে সঁপে দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত এমন একাধিক সম্পত্তিতে বসবাস বা ভোগদখল করছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নগর ও দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রীদের মানদণ্ড নির্ণয়বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাসের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ করেছেন। বিশেষ করে, ব্রিটিশ মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত নীতিমালা বা আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন কি না, তা টিউলিপ খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছেন লরি ম্যাগনাসকে।
টিউলিপ সিদ্দিক এমন এক সময়ে অনুরোধ করলেন, যখন তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর খালা ও বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্ত ব্রিটেনে অবস্থিত একাধিক সম্পত্তিতে বসবাস করার অভিযোগ উঠেছে। হাসিনা সম্প্রতি ব্যাপক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাগনাসের কাছে লেখা চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমি আমার আর্থিক বিষয় এবং বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সাথে আমার পরিবারের সম্পর্ক নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু হয়েছি, যার অধিকাংশই অসত্য। এ বিষয়ে আমার অবস্থান স্পষ্ট যে, আমি কিছু ভুল করিনি। তবে, সন্দেহ দূর করার জন্য আমি চাই আপনি স্বাধীনভাবে এই বিষয়গুলোর সত্যতা নির্ধারণ করুন।’
লেবার পার্টির নেতারা জানিয়েছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের এই সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী তথা চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার র্যাচেল রিভসের নেতৃত্বে ট্রেজারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চীনে ভ্রমণ করার কথা ছিল। কিন্তু তদন্তে সহায়তা করার জন্য তিনি চীন সফরে যাচ্ছেন না।
কিংস ক্রসের কাছে দুই বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট এবং হ্যাম্পস্টেডে একটি পৃথক বাড়ির ভোগদখল ও মালিকানা ইস্যুতে সম্প্রতি টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক ২০০৪ সালে কোনো অর্থ পরিশোধ না করেই কিংস ক্রস এলাকায় একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন। জমির রেজিস্ট্রেশন নথি অনুযায়ী, ফ্ল্যাটটি উপহার দিয়েছিলেন আবদুল মুতালিফ নামে এক প্রোমোটর, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে জড়িত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটটি ২০০১ সালে ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড দিয়ে কিনেছিলেন আবদুল মুতালিফ। টিউলিপ ২০০৪ সালে কোনো মূল্য না দিয়ে সেই ফ্ল্যাটের মালিক হন।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, টিউলিপ আগে তাদের প্রতিবেদকদের জানিয়েছিলেন যে, ফ্ল্যাটটি তাঁর বাবা-মা কিনে তাঁকে উপহার দিয়েছেন। পরে অভিযোগ ওঠে, তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকাটিকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। দ্য সানডে টাইমস পরে জানায়, টিউলিপ হ্যাম্পস্টেডে একটি পৃথক সম্পত্তিতে বসবাস করেছেন। এই বাড়িটি কিনেছিলেন মইন গনি নামের এক আইনজীবী। এই আইনজীবী হাসিনা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং সম্পত্তিটি টিউলিপের বোনের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।
টিউলিপ বর্তমানে পূর্ব ফিঞ্চলে এলাকায় ২১ লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। এই বাড়ির মালিক আবদুল করিম। তিনি আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য।
শেখ হাসিনার পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে টিউলিপের সংযোগ অতীতেও তাঁর জন্য রাজনৈতিক সমস্যার কারণ হয়েছে। ২০১৭ সালে আহমদ বিন কাসেম নামে এক আইনজীবীর বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন টিউলিপ। ব্রিটেনে ব্যারিস্টারি পড়া আহমদ বিন কাসেম বাংলাদেশে কারাবন্দি ছিলেন।
তখন তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, তাঁর খালার সরকারের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘আমি হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবার পার্টির এমপি, আমি একজন ব্রিটিশ এমপি। খুব সতর্ক থাকুন। আমি বাংলাদেশি নই এবং আপনি যার বিষয়ে কথা বলছেন, তাঁর মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
শেখ হাসিনা বিশ্বে দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা এক নারী সরকারপ্রধান। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন, ভুয়া নির্বাচন আয়োজনসহ নানা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। গত বছরের জুলাইয়ে হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে তাঁর সরকার সেটি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দমনের চেষ্টা করে। এতে ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয় এবং আহত হয় আরও কয়েক হাজার। পরে ৫ আগস্ট রাজধানীতে বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী তাঁর সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়লে তিনি দেশ ছেড়ে যান।
এত কিছুর পরেও টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর সম্পত্তি এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে সংযোগ নিয়ে প্রকাশিত তথ্যের পরও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের আস্থা ও সমর্থন পাচ্ছেন। স্টারমার গত সোমবার বলেন, ‘মন্ত্রীদের মানদণ্ড নির্ধারণবিষয়ক উপদেষ্টার হাতে নিজেকে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে টিউলিপ সিদ্দিক সঠিক কাজটি করেছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
১৬ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
২৮ মিনিট আগে
বিশ্বজুড়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান পররাষ্ট্রনীতিকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষ ইতিহাসবিদ সতর্ক করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ভবিষ্যতে ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতের বীজ বপন
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় বিশাল আকৃতির মূর্তিটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পাশের একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে এবং কয়েকটি অংশে ভেঙে যায়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবুও তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারারাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চ শব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও তাঁর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। সে এখানে থাকার মতো কেউ নয়। এটা ভীষণ অমানবিক।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবুও তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয়দের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারারাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চ শব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও তাঁর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। সে এখানে থাকার মতো কেউ নয়। এটা ভীষণ অমানবিক।’

যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি নিজেকে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে সঁপে দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত এমন একাধিক সম্পত্তিতে
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
২৮ মিনিট আগে
বিশ্বজুড়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান পররাষ্ট্রনীতিকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষ ইতিহাসবিদ সতর্ক করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ভবিষ্যতে ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতের বীজ বপন
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় বিশাল আকৃতির মূর্তিটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পাশের একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে এবং কয়েকটি অংশে ভেঙে যায়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ। তবে নামের কারণে শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সন্দেহ করেন—তাঁরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। অবশেষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের তেলেঙ্গানা পুলিশের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, হামলাকারী সাজিদ আকরাম ও তাঁর পুত্র নাভিদ আকরাম আসলে ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা!
হামলার সময় ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম। আর তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম গুরুতর আহত অবস্থায় এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তেলেঙ্গানার পুলিশ মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সাজিদ আকরাম হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। এর পর গত ২৭ বছর ধরে তিনি সেখানেই বসবাস করেছেন। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে তিনি ভারতে থাকা তাঁর পরিবারের সঙ্গে খুব কমই যোগাযোগ রাখতেন। পুলিশ দাবি করেছে, সাজিদের কথিত উগ্রবাদী হওয়ার সঙ্গে ভারতের কোনো আদর্শিক বা সাংগঠনিক সংযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ আরও জানায়, পারিবারিক বিরোধের জেরেই বহু বছর আগে হায়দরাবাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সাজিদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এমনকি ২০১৭ সালে তাঁর বাবার মৃত্যুর সময়ও তিনি জানাজায় অংশ নেননি। সর্বশেষ তিনি ২০২২ সালে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন।
সাজিদ আকরাম অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত ভেনেরা গ্রোসোকে বিয়ে করেন। পরিবারটি স্থায়ীভাবে সেখানেই বসবাস করছিল। তবে সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্টই বহাল রেখেছিলেন। আর তাঁর ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়ায় তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট বহন করেন।
বন্ডাই বিচে হামলার ঘটনাটিকে ‘ইসলামিক স্টেট অনুপ্রাণিত সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরা বয়স বা শারীরিক সক্ষমতার তোয়াক্কা না করে শুধু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী ছিলেন।’
এদিকে হামলার এক মাস আগে সাজিদ ও তাঁর ছেলে নাভিদ ফিলিপাইনের আইএস অধ্যুষিত একটি অঞ্চলে ভ্রমণ করেছিলেন বলে জানা গেছে। ফিলিপাইনের অভিবাসন দপ্তর জানিয়েছে, তাঁরা গত ১ নভেম্বর দেশটিতে প্রবেশ করে ২৮ নভেম্বর ফিরে যান। অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ এই সফরের উদ্দেশ্য ও গন্তব্য নিয়ে এখন তদন্ত চালাচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ। তবে নামের কারণে শুরুর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সন্দেহ করেন—তাঁরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। অবশেষে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ভারতের তেলেঙ্গানা পুলিশের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, হামলাকারী সাজিদ আকরাম ও তাঁর পুত্র নাভিদ আকরাম আসলে ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা!
হামলার সময় ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ৫০ বছর বয়সী সাজিদ আকরাম। আর তাঁর ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম গুরুতর আহত অবস্থায় এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তেলেঙ্গানার পুলিশ মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সাজিদ আকরাম হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। এর পর গত ২৭ বছর ধরে তিনি সেখানেই বসবাস করেছেন। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে তিনি ভারতে থাকা তাঁর পরিবারের সঙ্গে খুব কমই যোগাযোগ রাখতেন। পুলিশ দাবি করেছে, সাজিদের কথিত উগ্রবাদী হওয়ার সঙ্গে ভারতের কোনো আদর্শিক বা সাংগঠনিক সংযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ আরও জানায়, পারিবারিক বিরোধের জেরেই বহু বছর আগে হায়দরাবাদের আত্মীয়দের সঙ্গে সাজিদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। এমনকি ২০১৭ সালে তাঁর বাবার মৃত্যুর সময়ও তিনি জানাজায় অংশ নেননি। সর্বশেষ তিনি ২০২২ সালে হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন।
সাজিদ আকরাম অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত ভেনেরা গ্রোসোকে বিয়ে করেন। পরিবারটি স্থায়ীভাবে সেখানেই বসবাস করছিল। তবে সাজিদ ভারতীয় পাসপোর্টই বহাল রেখেছিলেন। আর তাঁর ছেলে-মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়ায় তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট বহন করেন।
বন্ডাই বিচে হামলার ঘটনাটিকে ‘ইসলামিক স্টেট অনুপ্রাণিত সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট। তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তরা বয়স বা শারীরিক সক্ষমতার তোয়াক্কা না করে শুধু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী ছিলেন।’
এদিকে হামলার এক মাস আগে সাজিদ ও তাঁর ছেলে নাভিদ ফিলিপাইনের আইএস অধ্যুষিত একটি অঞ্চলে ভ্রমণ করেছিলেন বলে জানা গেছে। ফিলিপাইনের অভিবাসন দপ্তর জানিয়েছে, তাঁরা গত ১ নভেম্বর দেশটিতে প্রবেশ করে ২৮ নভেম্বর ফিরে যান। অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ এই সফরের উদ্দেশ্য ও গন্তব্য নিয়ে এখন তদন্ত চালাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি নিজেকে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে সঁপে দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত এমন একাধিক সম্পত্তিতে
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
১৬ মিনিট আগে
বিশ্বজুড়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান পররাষ্ট্রনীতিকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষ ইতিহাসবিদ সতর্ক করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ভবিষ্যতে ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতের বীজ বপন
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় বিশাল আকৃতির মূর্তিটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পাশের একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে এবং কয়েকটি অংশে ভেঙে যায়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান পররাষ্ট্রনীতিকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষ ইতিহাসবিদ সতর্ক করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ভবিষ্যতে ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতের বীজ বপন করছে।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গ্রেগ গ্র্যান্ডিন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রাসী ও একতরফা পররাষ্ট্রনীতি বিশ্বব্যবস্থাকে বিপজ্জনক প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাঁর মতে, এই নীতি শুধু আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে দুর্বল করছে না, বরং বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনাও বাড়াচ্ছে।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউস প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে গ্র্যান্ডিন বলেন, এতে স্পষ্টভাবে একটি সামরিক ও আধিপত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আর এমন বৈশ্বিক দায়ভার বহন করবে না, যা সরাসরি তাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত নয়। একই সঙ্গে এই প্রতিবেদনে ‘মনরো ডকট্রিন’ আবারও জোরালোভাবে কার্যকর করার অঙ্গীকার করা হয়েছে, যার লক্ষ্য পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে অধ্যাপক গ্র্যান্ডিন লিখেছেন—উনিশ শতকে ইউরোপীয় শক্তিগুলোকে লাতিন আমেরিকা থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে ঘোষিত ‘মনরো ডকট্রিন’ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ারে পরিণত হয়। লাতিন আমেরিকার বহু দেশ একে সরাসরি মার্কিন হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখেছে।
গ্র্যান্ডিনের মতে, বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা যখন বিভিন্ন প্রভাব বলয়ে বিভক্ত হচ্ছে, তখন প্রতিটি আঞ্চলিক শক্তি নিজেদের প্রভাবক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে। উদাহরণস্বরূপ—সাবেক সোভিয়েত আমলের অঞ্চলসমূহকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে, চীন চাইছে দক্ষিণ চীন সাগরসহ আশপাশে, আর যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায়। গ্র্যান্ডিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমেরিকা ফার্স্ট মানে আগে নিজের গোলার্ধ।’
তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও হন্ডুরাসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া তারা কলম্বিয়া ও মেক্সিকোকে হুমকি দিচ্ছে, কিউবা ও নিকারাগুয়াকে চাপের মধ্যে রাখছে, পানামা খালে প্রভাব বাড়াচ্ছে এবং ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।
অধ্যাপক গ্র্যান্ডিন স্মরণ করিয়ে দেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র লিগ অব নেশনসে যোগ না দিয়ে লাতিন আমেরিকায় অবাধ হস্তক্ষেপের স্বাধীনতা ধরে রাখতে চেয়েছিল। এই ধারণা এতটাই প্রভাবশালী ছিল যে—জাপান, ব্রিটেন এমনকি নাৎসি জার্মানিও নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তারে একই ধরনের পথ বেছে নিয়েছিল।
গ্র্যান্ডিন সতর্ক করে বলেন—আজকের দিনে ট্রাম্প প্রশাসন অতীতের সেই একই বীজ বপন করছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বহুমুখী শক্তির দ্বন্দ্ব, ইউরোপে বিভাজন এবং লাতিন আমেরিকায় হুমকির রাজনীতি শেষ পর্যন্ত আরও সংঘাত, আরও উত্তেজনা এবং সম্ভবত নতুন এক বিশ্বযুদ্ধের দিকে বিশ্বকে ঠেলে দিতে পারে।

বিশ্বজুড়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান পররাষ্ট্রনীতিকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষ ইতিহাসবিদ সতর্ক করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ভবিষ্যতে ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতের বীজ বপন করছে।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গ্রেগ গ্র্যান্ডিন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রাসী ও একতরফা পররাষ্ট্রনীতি বিশ্বব্যবস্থাকে বিপজ্জনক প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাঁর মতে, এই নীতি শুধু আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে দুর্বল করছে না, বরং বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের সম্ভাবনাও বাড়াচ্ছে।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউস প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে গ্র্যান্ডিন বলেন, এতে স্পষ্টভাবে একটি সামরিক ও আধিপত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আর এমন বৈশ্বিক দায়ভার বহন করবে না, যা সরাসরি তাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত নয়। একই সঙ্গে এই প্রতিবেদনে ‘মনরো ডকট্রিন’ আবারও জোরালোভাবে কার্যকর করার অঙ্গীকার করা হয়েছে, যার লক্ষ্য পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে অধ্যাপক গ্র্যান্ডিন লিখেছেন—উনিশ শতকে ইউরোপীয় শক্তিগুলোকে লাতিন আমেরিকা থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে ঘোষিত ‘মনরো ডকট্রিন’ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ারে পরিণত হয়। লাতিন আমেরিকার বহু দেশ একে সরাসরি মার্কিন হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখেছে।
গ্র্যান্ডিনের মতে, বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা যখন বিভিন্ন প্রভাব বলয়ে বিভক্ত হচ্ছে, তখন প্রতিটি আঞ্চলিক শক্তি নিজেদের প্রভাবক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে। উদাহরণস্বরূপ—সাবেক সোভিয়েত আমলের অঞ্চলসমূহকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে, চীন চাইছে দক্ষিণ চীন সাগরসহ আশপাশে, আর যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায়। গ্র্যান্ডিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আমেরিকা ফার্স্ট মানে আগে নিজের গোলার্ধ।’
তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও হন্ডুরাসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া তারা কলম্বিয়া ও মেক্সিকোকে হুমকি দিচ্ছে, কিউবা ও নিকারাগুয়াকে চাপের মধ্যে রাখছে, পানামা খালে প্রভাব বাড়াচ্ছে এবং ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।
অধ্যাপক গ্র্যান্ডিন স্মরণ করিয়ে দেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র লিগ অব নেশনসে যোগ না দিয়ে লাতিন আমেরিকায় অবাধ হস্তক্ষেপের স্বাধীনতা ধরে রাখতে চেয়েছিল। এই ধারণা এতটাই প্রভাবশালী ছিল যে—জাপান, ব্রিটেন এমনকি নাৎসি জার্মানিও নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তারে একই ধরনের পথ বেছে নিয়েছিল।
গ্র্যান্ডিন সতর্ক করে বলেন—আজকের দিনে ট্রাম্প প্রশাসন অতীতের সেই একই বীজ বপন করছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বহুমুখী শক্তির দ্বন্দ্ব, ইউরোপে বিভাজন এবং লাতিন আমেরিকায় হুমকির রাজনীতি শেষ পর্যন্ত আরও সংঘাত, আরও উত্তেজনা এবং সম্ভবত নতুন এক বিশ্বযুদ্ধের দিকে বিশ্বকে ঠেলে দিতে পারে।

যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি নিজেকে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে সঁপে দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত এমন একাধিক সম্পত্তিতে
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
১৬ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
২৮ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় বিশাল আকৃতির মূর্তিটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পাশের একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে এবং কয়েকটি অংশে ভেঙে যায়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার আঘাতে ১১০ ফুট উচ্চতার ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টির’ একটি প্রতিরূপ ভেঙে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল তিনটার দিকে রিও গ্রান্দে দো সুল অঙ্গরাজ্যের গুয়াইবা শহরে ওই ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় বিশাল আকৃতির মূর্তিটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পাশের একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে এবং কয়েকটি অংশে ভেঙে যায়।
মূর্তিটি পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে আশপাশে থাকা গাড়িগুলো দ্রুত সরে যেতে দেখা যায়। সৌভাগ্যক্রমে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গুয়াইবা শহরের একটি বড় খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রের পার্কিং এলাকায় স্থাপিত ওই প্রতিরূপটির মোট উচ্চতা ছিল প্রায় ১১০ ফুট। তবে দোকান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত মূর্তির ওপরের অংশটি, যার উচ্চতা ছিল প্রায় ৭৮ ফুট। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত মূল স্ট্যাচু অব লিবার্টির উচ্চতা প্রায় ৩০৫ ফুট।
দুর্ঘটনার পরপরই নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ি পার্কিং এলাকা ঘিরে ফেলা হয় এবং ক্রেতা ও কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। দোকান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২০ সালে দোকানটি চালু হওয়ার সময় থেকেই এই প্রতিরূপটি সেখানে স্থাপিত ছিল এবং এটি প্রয়োজনীয় সব ধরনের অনুমোদন ও সনদপ্রাপ্ত ছিল। ধ্বংসাবশেষ অপসারণে বিশেষজ্ঞ দল কাজ শুরু করেছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে গুয়াইবার মেয়র মার্সেলো মারানাতা ঘটনাস্থলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, স্থানীয় জরুরি সেবা দল ও অঙ্গরাজ্যের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে কাজ করে পুরো এলাকা নিরাপদ করেছে, যাতে আশপাশে আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই ঘটনা এমন এক সময় ঘটল, যখন ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছিল। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই কর্তৃপক্ষ প্রবল বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছিল। অঙ্গরাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া, ঘরের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং গাছ উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির কারণে পাশের শহর লাজেয়াদোতে আকস্মিক বন্যার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে।

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার আঘাতে ১১০ ফুট উচ্চতার ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টির’ একটি প্রতিরূপ ভেঙে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল তিনটার দিকে রিও গ্রান্দে দো সুল অঙ্গরাজ্যের গুয়াইবা শহরে ওই ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ঝড়ের তীব্রতায় বিশাল আকৃতির মূর্তিটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে পড়তে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পাশের একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় আছড়ে পড়ে এবং কয়েকটি অংশে ভেঙে যায়।
মূর্তিটি পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে আশপাশে থাকা গাড়িগুলো দ্রুত সরে যেতে দেখা যায়। সৌভাগ্যক্রমে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গুয়াইবা শহরের একটি বড় খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রের পার্কিং এলাকায় স্থাপিত ওই প্রতিরূপটির মোট উচ্চতা ছিল প্রায় ১১০ ফুট। তবে দোকান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূলত মূর্তির ওপরের অংশটি, যার উচ্চতা ছিল প্রায় ৭৮ ফুট। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত মূল স্ট্যাচু অব লিবার্টির উচ্চতা প্রায় ৩০৫ ফুট।
দুর্ঘটনার পরপরই নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ি পার্কিং এলাকা ঘিরে ফেলা হয় এবং ক্রেতা ও কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। দোকান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২০ সালে দোকানটি চালু হওয়ার সময় থেকেই এই প্রতিরূপটি সেখানে স্থাপিত ছিল এবং এটি প্রয়োজনীয় সব ধরনের অনুমোদন ও সনদপ্রাপ্ত ছিল। ধ্বংসাবশেষ অপসারণে বিশেষজ্ঞ দল কাজ শুরু করেছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে গুয়াইবার মেয়র মার্সেলো মারানাতা ঘটনাস্থলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, স্থানীয় জরুরি সেবা দল ও অঙ্গরাজ্যের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে কাজ করে পুরো এলাকা নিরাপদ করেছে, যাতে আশপাশে আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই ঘটনা এমন এক সময় ঘটল, যখন ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছিল। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই কর্তৃপক্ষ প্রবল বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছিল। অঙ্গরাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া, ঘরের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং গাছ উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির কারণে পাশের শহর লাজেয়াদোতে আকস্মিক বন্যার পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি নিজেকে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতে সঁপে দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত এমন একাধিক সম্পত্তিতে
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
১৬ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি হানুক্কা উৎসব চলাকালে ভয়াবহ গুলিবর্ষণে এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পিতা-পুত্র কোন দেশ থেকে অভিবাসী হয়েছিলেন, তা এখনো গোপন রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
২৮ মিনিট আগে
বিশ্বজুড়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ও বর্তমান পররাষ্ট্রনীতিকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষ ইতিহাসবিদ সতর্ক করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি ভবিষ্যতে ভয়াবহ বৈশ্বিক সংঘাতের বীজ বপন
১ ঘণ্টা আগে