
মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে। এ সংঘাতে চীন ও ভারতের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোর স্বার্থও জড়িয়ে পড়েছে।
এই সংঘাতের ফলে বিরল মৃত্তিকার সরবরাহব্যবস্থায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে, যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। চীনের বাজারে এ খনিজগুলোর মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কাচিন রাজ্যে বিরল মৃত্তিকা খনন এবং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেআইএ এবং চীনের মধ্যে আলোচনা চলছে। একই সময়ে ভারতও এই অঞ্চলের খনিজ সম্পদে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং কাচিন রাজ্যে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবরে উত্তর মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চল সশস্ত্র বিদ্রোহীরা দখল করে নেয়। এটি দেশটির বিপর্যস্ত সামরিক জান্তার জন্য ছিল ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) বিদ্রোহীরা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ভারী বিরল মৃত্তিকা উৎপাদনকারী স্থানগুলো দখল করে নিয়েছে। ফলে বায়ু টারবাইন এবং বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত খনিজগুলোর সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানের দাম এখন আকাশছোঁয়া।
বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, কেআইএ প্রতিবেশী চীনের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। চীন জান্তাকে সমর্থন করে এবং মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে বিরল মৃত্তিকা খননে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
আগে প্রকাশিত হয়নি এমন চীনা কাস্টমস ডেটা অনুসারে, মিয়ানমার থেকে চীনের বিরল মৃত্তিকা অক্সাইড এবং যৌগ আমদানি ফেব্রুয়ারিতে ৩১১ টনে নেমে এসেছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৯ শতাংশ কম। চীনের আমদানিতে সবচেয়ে বড় পতন ঘটেছে অক্টোবরের পর।
মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকাশিল্প এবং এর চার বছরের গৃহযুদ্ধ সম্পর্কে রয়টার্স ৯ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, খনি অঞ্চলে অস্থিরতা চলছে।
তাঁদের মধ্যে একজনের মতে, কেআইএর পদক্ষেপ জান্তা এবং চীনের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা।
কাচিন সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে অধ্যয়নকারী অলাভজনক সংস্থা কাচিনল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড্যান সেং লন বলেছেন, কেআইএ চীনের সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় বিরল মৃত্তিকা মজুতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তি ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ২০২৪ সালের শেষের দিকে ভারতের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিরল মৃত্তিকা খনন ও পরিশোধন সংস্থার কর্মকর্তারা কাচিনে গিয়েছিলেন।
কেআইএ মিয়ানমারের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম জাতিগত মিলিশিয়াগুলোর মধ্যে একটি। এটি খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী কাচিন সংখ্যালঘুদের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ করে আসছে।

কাচিন রাজ্যের পানওয়া এবং চিপওয়ে শহরের আশপাশে কর্মরত বেশির ভাগ চীনা পরিচালিত বিরল মৃত্তিকা খনি থেকে কেআইএ মোটা অঙ্কের কর আরোপ করেছে বলে কাচিনল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ড্যান সেং লন এবং একজন চীনা খনি বিশ্লেষক জানিয়েছেন।
২০২১ সালে একটি বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চীন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অন্যতম দৃঢ় আন্তর্জাতিক সমর্থক। বেইজিং এখনো জান্তাকে তাদের সীমান্তের স্থিতিশীলতার রক্ষক হিসেবে দেখে। যদিও ২০২৩ সালে একটি বড় বিদ্রোহী অভিযানের পর সামরিক বাহিনী বেশির ভাগ সীমান্ত অঞ্চল থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা খনি অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে অবগত নয়। তবে তাঁরা উত্তর মিয়ানমারের শান্তি প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করে এবং সম্ভাব্য সব সমর্থন ও সহায়তা দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেআইএ এবং জান্তার একজন মুখপাত্র রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। মার্কিন সরকার আগে এই অঞ্চলের খনিগুলোর অপারেটর হিসেবে চিহ্নিত করা বাওন মিয়াং কোং লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মূল্যবৃদ্ধি
সাংহাই মেটালস মার্কেটের তথ্য অনুসারে, কাচিনে উৎপাদিত সেই বিরল মৃত্তিকা টার্বিয়াম অক্সাইডের চীনা বাজারমূল্য সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ২১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজিতে ৬ হাজার ৫৫০ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে।
গত ৬ মাসে ডিসপ্রোসিয়াম অক্সাইডের চাহিদা কম ছিল। এ সময়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ১ হাজার ৬৬৫ ইউয়ানে নেমে এসেছে।
কাচিন থেকে আসা বেশির ভাগ বিরল মৃত্তিকা চীনে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তাই দীর্ঘ মেয়াদে সরবরাহ ব্যাহত হলে বৈশ্বিক প্রভাব হবে তীব্র।
গবেষণা সংস্থা অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্স ফেব্রুয়ারির একটি নোটে বলেছে, দীর্ঘ মেয়াদে সরবরাহ ব্যাহত হলে চীনে এ বিরল মৃত্তিকার মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে।

রপ্তানিতে ধস
বেইজিং অভ্যন্তরীণ খনিগুলোর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পর একুশ শতকের প্রথম দশকে চীনা খনিশ্রমিকেরা কাচিনে বড় ধরনের কার্যক্রম শুরু করেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল উইটনেসের মতে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর জান্তার নীরব সম্মতিতে কাচিনের অনিয়ন্ত্রিত খনিগুলো ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে।
কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি একটি বড় মূল্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এবং স্যাটেলাইট চিত্র অনুসারে, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং কাচিনের পাহাড়গুলো লিচিং পুলে ভরে গেছে।
দখলের পর কেআইএ বিদ্রোহীরা ২০ শতাংশ কর আরোপ করায় স্থানীয় অপারেটররা লাভের মুখ দেখছেন না। ড্যান সেং লন বলেন, কেআইএ চায়, চীন যেন জান্তার কাছে অস্ত্র জমা দিতে তাঁদের ওপর চাপ দেওয়া বন্ধ করে এবং বিদ্রোহীদের সীমান্ত অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দলগুলোর মধ্যে অন্তত দুবার বৈঠক হয়েছে।
কেআইএ দখল করা অঞ্চলগুলোর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারের বাকি সীমান্ত অঞ্চলের বেশির ভাগ অংশ শাসন করে।
ড্যান সেং লন বলেন, বেইজিং কেআইএর দাবিগুলো মেনে নিতে অনিচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। তবে চীন এ ক্ষেত্রে বাস্তব অবস্থান না নিলে মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা সংগ্রহ ও মজুতে দেশটির একচেটিয়া আধিপত্য ঝুঁকির মুখে পড়বে।
কেআইএ বিদ্রোহীরা খনিজ খাতকে নিজেদের আওতায় পুনরায় চালু করলে এটি তাঁদের সবচেয়ে বড় আর্থিক খাত হবে। গ্লোবাল উইটনেসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে মিয়ানমারের ভারী বিরল মৃত্তিকার বাণিজ্য প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
রয়টার্স গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, কেআইএ কাচিনের খনিশ্রমিকদের চীনে বিদ্যমান বিরল মৃত্তিকার মজুত পাঠানোর অনুমতি দেবে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিরল মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ থমাস ক্রুমের বলেন, পূর্ণ সক্ষমতায় খনির কার্যক্রম আবার শুরু করতে চীনের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে কেআইএকে। কেননা এখানে হাজারো দক্ষ চীনা কর্মী রয়েছেন। তাঁদের ছাড়া এটা কোনোভাবেই কাজ করবে না।
ভারতের বিকল্প?
চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে ভারত কাচিনে প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা করেছে। ড্যান সেং লন এবং ভারতীয় কর্মকর্তাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে পরিচিত দুজন ব্যক্তি এমনটিই জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ভারতীয় সূত্র অনুসারে, ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খনি ও পরিশোধন সংস্থা আইআরইএল ডিসেম্বরে কাচিনের খনিজ সম্পদ অধ্যয়নের জন্য সেখানে একটি দল পাঠিয়েছে।
ভারতীয় সূত্রটি জানিয়েছে, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অরাষ্ট্রীয় অঞ্চলে কাজ করার বিষয়ে আপত্তি রয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের। তবে কাচিনের চীনবিমুখতা ও নয়াদিল্লির সম্পদের প্রয়োজনে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করেছে।
এ বিষয়ে আইআরইএল রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ড্যান সেং লন বলেন, আইআরইএলসহ একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল ডিসেম্বরে কাচিনদের সঙ্গে বিরল মৃত্তিকা খাত আবার চালু করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ নিয়ে একটি অনলাইন বৈঠকও করেছে। তারা (ভারত) চীনের চেয়ে বেশি দাম দিতে ইচ্ছুক ছিল।
তবে ক্রুমের এবং ড্যান সেং লন বলেন, ভারতের যেকোনো চুক্তিতে একাধিক বাধা রয়েছে। পাহাড়ি এবং জনবসতিহীন কাচিন-ভারত সীমান্তে অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এ কারণে মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন করা কঠিন। সেই রাজ্যগুলো ভারতের দক্ষিণ ও পশ্চিমের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে অনেক দূরে অবস্থিত।
ক্রুমের এবং ভারতীয় সূত্র অনুসারে, ভারতের ভারী বিরল মৃত্তিকা বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করার এবং শিল্পে ব্যবহৃত চুম্বকে রূপান্তর করার ক্ষমতাও নেই।
বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল মৃত্তিকার চুম্বক চীনে উৎপাদিত হয়। এ খাতকে কঠোর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অধীনে নিয়ে এসেছে সি প্রশাসন। এ খাতে চীনের পরই রয়েছে জাপান।
ড্যান সেং লন বলেন, তবু বেইজিং ‘ক্ষমতার তাল’ ধরতে না পারলে কেআইএ ‘বিকল্প পথ’ খুলতে বাধ্য হবে।

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে। এ সংঘাতে চীন ও ভারতের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোর স্বার্থও জড়িয়ে পড়েছে।
এই সংঘাতের ফলে বিরল মৃত্তিকার সরবরাহব্যবস্থায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে, যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। চীনের বাজারে এ খনিজগুলোর মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কাচিন রাজ্যে বিরল মৃত্তিকা খনন এবং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেআইএ এবং চীনের মধ্যে আলোচনা চলছে। একই সময়ে ভারতও এই অঞ্চলের খনিজ সম্পদে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং কাচিন রাজ্যে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবরে উত্তর মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চল সশস্ত্র বিদ্রোহীরা দখল করে নেয়। এটি দেশটির বিপর্যস্ত সামরিক জান্তার জন্য ছিল ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) বিদ্রোহীরা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ভারী বিরল মৃত্তিকা উৎপাদনকারী স্থানগুলো দখল করে নিয়েছে। ফলে বায়ু টারবাইন এবং বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত খনিজগুলোর সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানের দাম এখন আকাশছোঁয়া।
বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, কেআইএ প্রতিবেশী চীনের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। চীন জান্তাকে সমর্থন করে এবং মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে বিরল মৃত্তিকা খননে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
আগে প্রকাশিত হয়নি এমন চীনা কাস্টমস ডেটা অনুসারে, মিয়ানমার থেকে চীনের বিরল মৃত্তিকা অক্সাইড এবং যৌগ আমদানি ফেব্রুয়ারিতে ৩১১ টনে নেমে এসেছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৯ শতাংশ কম। চীনের আমদানিতে সবচেয়ে বড় পতন ঘটেছে অক্টোবরের পর।
মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকাশিল্প এবং এর চার বছরের গৃহযুদ্ধ সম্পর্কে রয়টার্স ৯ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, খনি অঞ্চলে অস্থিরতা চলছে।
তাঁদের মধ্যে একজনের মতে, কেআইএর পদক্ষেপ জান্তা এবং চীনের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা।
কাচিন সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে অধ্যয়নকারী অলাভজনক সংস্থা কাচিনল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড্যান সেং লন বলেছেন, কেআইএ চীনের সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় বিরল মৃত্তিকা মজুতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তি ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ২০২৪ সালের শেষের দিকে ভারতের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিরল মৃত্তিকা খনন ও পরিশোধন সংস্থার কর্মকর্তারা কাচিনে গিয়েছিলেন।
কেআইএ মিয়ানমারের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম জাতিগত মিলিশিয়াগুলোর মধ্যে একটি। এটি খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী কাচিন সংখ্যালঘুদের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ করে আসছে।

কাচিন রাজ্যের পানওয়া এবং চিপওয়ে শহরের আশপাশে কর্মরত বেশির ভাগ চীনা পরিচালিত বিরল মৃত্তিকা খনি থেকে কেআইএ মোটা অঙ্কের কর আরোপ করেছে বলে কাচিনল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ড্যান সেং লন এবং একজন চীনা খনি বিশ্লেষক জানিয়েছেন।
২০২১ সালে একটি বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চীন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অন্যতম দৃঢ় আন্তর্জাতিক সমর্থক। বেইজিং এখনো জান্তাকে তাদের সীমান্তের স্থিতিশীলতার রক্ষক হিসেবে দেখে। যদিও ২০২৩ সালে একটি বড় বিদ্রোহী অভিযানের পর সামরিক বাহিনী বেশির ভাগ সীমান্ত অঞ্চল থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা খনি অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে অবগত নয়। তবে তাঁরা উত্তর মিয়ানমারের শান্তি প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করে এবং সম্ভাব্য সব সমর্থন ও সহায়তা দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেআইএ এবং জান্তার একজন মুখপাত্র রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। মার্কিন সরকার আগে এই অঞ্চলের খনিগুলোর অপারেটর হিসেবে চিহ্নিত করা বাওন মিয়াং কোং লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মূল্যবৃদ্ধি
সাংহাই মেটালস মার্কেটের তথ্য অনুসারে, কাচিনে উৎপাদিত সেই বিরল মৃত্তিকা টার্বিয়াম অক্সাইডের চীনা বাজারমূল্য সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ২১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজিতে ৬ হাজার ৫৫০ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে।
গত ৬ মাসে ডিসপ্রোসিয়াম অক্সাইডের চাহিদা কম ছিল। এ সময়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ১ হাজার ৬৬৫ ইউয়ানে নেমে এসেছে।
কাচিন থেকে আসা বেশির ভাগ বিরল মৃত্তিকা চীনে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তাই দীর্ঘ মেয়াদে সরবরাহ ব্যাহত হলে বৈশ্বিক প্রভাব হবে তীব্র।
গবেষণা সংস্থা অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্স ফেব্রুয়ারির একটি নোটে বলেছে, দীর্ঘ মেয়াদে সরবরাহ ব্যাহত হলে চীনে এ বিরল মৃত্তিকার মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে।

রপ্তানিতে ধস
বেইজিং অভ্যন্তরীণ খনিগুলোর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পর একুশ শতকের প্রথম দশকে চীনা খনিশ্রমিকেরা কাচিনে বড় ধরনের কার্যক্রম শুরু করেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল উইটনেসের মতে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর জান্তার নীরব সম্মতিতে কাচিনের অনিয়ন্ত্রিত খনিগুলো ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে।
কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি একটি বড় মূল্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এবং স্যাটেলাইট চিত্র অনুসারে, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং কাচিনের পাহাড়গুলো লিচিং পুলে ভরে গেছে।
দখলের পর কেআইএ বিদ্রোহীরা ২০ শতাংশ কর আরোপ করায় স্থানীয় অপারেটররা লাভের মুখ দেখছেন না। ড্যান সেং লন বলেন, কেআইএ চায়, চীন যেন জান্তার কাছে অস্ত্র জমা দিতে তাঁদের ওপর চাপ দেওয়া বন্ধ করে এবং বিদ্রোহীদের সীমান্ত অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দলগুলোর মধ্যে অন্তত দুবার বৈঠক হয়েছে।
কেআইএ দখল করা অঞ্চলগুলোর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারের বাকি সীমান্ত অঞ্চলের বেশির ভাগ অংশ শাসন করে।
ড্যান সেং লন বলেন, বেইজিং কেআইএর দাবিগুলো মেনে নিতে অনিচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। তবে চীন এ ক্ষেত্রে বাস্তব অবস্থান না নিলে মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা সংগ্রহ ও মজুতে দেশটির একচেটিয়া আধিপত্য ঝুঁকির মুখে পড়বে।
কেআইএ বিদ্রোহীরা খনিজ খাতকে নিজেদের আওতায় পুনরায় চালু করলে এটি তাঁদের সবচেয়ে বড় আর্থিক খাত হবে। গ্লোবাল উইটনেসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে মিয়ানমারের ভারী বিরল মৃত্তিকার বাণিজ্য প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
রয়টার্স গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, কেআইএ কাচিনের খনিশ্রমিকদের চীনে বিদ্যমান বিরল মৃত্তিকার মজুত পাঠানোর অনুমতি দেবে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিরল মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ থমাস ক্রুমের বলেন, পূর্ণ সক্ষমতায় খনির কার্যক্রম আবার শুরু করতে চীনের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে কেআইএকে। কেননা এখানে হাজারো দক্ষ চীনা কর্মী রয়েছেন। তাঁদের ছাড়া এটা কোনোভাবেই কাজ করবে না।
ভারতের বিকল্প?
চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে ভারত কাচিনে প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা করেছে। ড্যান সেং লন এবং ভারতীয় কর্মকর্তাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে পরিচিত দুজন ব্যক্তি এমনটিই জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ভারতীয় সূত্র অনুসারে, ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খনি ও পরিশোধন সংস্থা আইআরইএল ডিসেম্বরে কাচিনের খনিজ সম্পদ অধ্যয়নের জন্য সেখানে একটি দল পাঠিয়েছে।
ভারতীয় সূত্রটি জানিয়েছে, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অরাষ্ট্রীয় অঞ্চলে কাজ করার বিষয়ে আপত্তি রয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের। তবে কাচিনের চীনবিমুখতা ও নয়াদিল্লির সম্পদের প্রয়োজনে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করেছে।
এ বিষয়ে আইআরইএল রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ড্যান সেং লন বলেন, আইআরইএলসহ একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল ডিসেম্বরে কাচিনদের সঙ্গে বিরল মৃত্তিকা খাত আবার চালু করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ নিয়ে একটি অনলাইন বৈঠকও করেছে। তারা (ভারত) চীনের চেয়ে বেশি দাম দিতে ইচ্ছুক ছিল।
তবে ক্রুমের এবং ড্যান সেং লন বলেন, ভারতের যেকোনো চুক্তিতে একাধিক বাধা রয়েছে। পাহাড়ি এবং জনবসতিহীন কাচিন-ভারত সীমান্তে অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এ কারণে মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন করা কঠিন। সেই রাজ্যগুলো ভারতের দক্ষিণ ও পশ্চিমের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে অনেক দূরে অবস্থিত।
ক্রুমের এবং ভারতীয় সূত্র অনুসারে, ভারতের ভারী বিরল মৃত্তিকা বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করার এবং শিল্পে ব্যবহৃত চুম্বকে রূপান্তর করার ক্ষমতাও নেই।
বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল মৃত্তিকার চুম্বক চীনে উৎপাদিত হয়। এ খাতকে কঠোর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অধীনে নিয়ে এসেছে সি প্রশাসন। এ খাতে চীনের পরই রয়েছে জাপান।
ড্যান সেং লন বলেন, তবু বেইজিং ‘ক্ষমতার তাল’ ধরতে না পারলে কেআইএ ‘বিকল্প পথ’ খুলতে বাধ্য হবে।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে।
২৮ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে।
২৮ মার্চ ২০২৫
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে।
২৮ মার্চ ২০২৫
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে।
২৮ মার্চ ২০২৫
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে