
মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে। এ সংঘাতে চীন ও ভারতের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোর স্বার্থও জড়িয়ে পড়েছে।
এই সংঘাতের ফলে বিরল মৃত্তিকার সরবরাহব্যবস্থায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে, যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। চীনের বাজারে এ খনিজগুলোর মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কাচিন রাজ্যে বিরল মৃত্তিকা খনন এবং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেআইএ এবং চীনের মধ্যে আলোচনা চলছে। একই সময়ে ভারতও এই অঞ্চলের খনিজ সম্পদে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং কাচিন রাজ্যে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবরে উত্তর মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চল সশস্ত্র বিদ্রোহীরা দখল করে নেয়। এটি দেশটির বিপর্যস্ত সামরিক জান্তার জন্য ছিল ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) বিদ্রোহীরা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ভারী বিরল মৃত্তিকা উৎপাদনকারী স্থানগুলো দখল করে নিয়েছে। ফলে বায়ু টারবাইন এবং বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত খনিজগুলোর সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানের দাম এখন আকাশছোঁয়া।
বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, কেআইএ প্রতিবেশী চীনের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। চীন জান্তাকে সমর্থন করে এবং মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে বিরল মৃত্তিকা খননে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
আগে প্রকাশিত হয়নি এমন চীনা কাস্টমস ডেটা অনুসারে, মিয়ানমার থেকে চীনের বিরল মৃত্তিকা অক্সাইড এবং যৌগ আমদানি ফেব্রুয়ারিতে ৩১১ টনে নেমে এসেছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৯ শতাংশ কম। চীনের আমদানিতে সবচেয়ে বড় পতন ঘটেছে অক্টোবরের পর।
মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকাশিল্প এবং এর চার বছরের গৃহযুদ্ধ সম্পর্কে রয়টার্স ৯ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, খনি অঞ্চলে অস্থিরতা চলছে।
তাঁদের মধ্যে একজনের মতে, কেআইএর পদক্ষেপ জান্তা এবং চীনের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা।
কাচিন সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে অধ্যয়নকারী অলাভজনক সংস্থা কাচিনল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড্যান সেং লন বলেছেন, কেআইএ চীনের সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় বিরল মৃত্তিকা মজুতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তি ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ২০২৪ সালের শেষের দিকে ভারতের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিরল মৃত্তিকা খনন ও পরিশোধন সংস্থার কর্মকর্তারা কাচিনে গিয়েছিলেন।
কেআইএ মিয়ানমারের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম জাতিগত মিলিশিয়াগুলোর মধ্যে একটি। এটি খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী কাচিন সংখ্যালঘুদের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ করে আসছে।

কাচিন রাজ্যের পানওয়া এবং চিপওয়ে শহরের আশপাশে কর্মরত বেশির ভাগ চীনা পরিচালিত বিরল মৃত্তিকা খনি থেকে কেআইএ মোটা অঙ্কের কর আরোপ করেছে বলে কাচিনল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ড্যান সেং লন এবং একজন চীনা খনি বিশ্লেষক জানিয়েছেন।
২০২১ সালে একটি বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চীন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অন্যতম দৃঢ় আন্তর্জাতিক সমর্থক। বেইজিং এখনো জান্তাকে তাদের সীমান্তের স্থিতিশীলতার রক্ষক হিসেবে দেখে। যদিও ২০২৩ সালে একটি বড় বিদ্রোহী অভিযানের পর সামরিক বাহিনী বেশির ভাগ সীমান্ত অঞ্চল থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা খনি অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে অবগত নয়। তবে তাঁরা উত্তর মিয়ানমারের শান্তি প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করে এবং সম্ভাব্য সব সমর্থন ও সহায়তা দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেআইএ এবং জান্তার একজন মুখপাত্র রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। মার্কিন সরকার আগে এই অঞ্চলের খনিগুলোর অপারেটর হিসেবে চিহ্নিত করা বাওন মিয়াং কোং লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মূল্যবৃদ্ধি
সাংহাই মেটালস মার্কেটের তথ্য অনুসারে, কাচিনে উৎপাদিত সেই বিরল মৃত্তিকা টার্বিয়াম অক্সাইডের চীনা বাজারমূল্য সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ২১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজিতে ৬ হাজার ৫৫০ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে।
গত ৬ মাসে ডিসপ্রোসিয়াম অক্সাইডের চাহিদা কম ছিল। এ সময়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ১ হাজার ৬৬৫ ইউয়ানে নেমে এসেছে।
কাচিন থেকে আসা বেশির ভাগ বিরল মৃত্তিকা চীনে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তাই দীর্ঘ মেয়াদে সরবরাহ ব্যাহত হলে বৈশ্বিক প্রভাব হবে তীব্র।
গবেষণা সংস্থা অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্স ফেব্রুয়ারির একটি নোটে বলেছে, দীর্ঘ মেয়াদে সরবরাহ ব্যাহত হলে চীনে এ বিরল মৃত্তিকার মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে।

রপ্তানিতে ধস
বেইজিং অভ্যন্তরীণ খনিগুলোর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পর একুশ শতকের প্রথম দশকে চীনা খনিশ্রমিকেরা কাচিনে বড় ধরনের কার্যক্রম শুরু করেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল উইটনেসের মতে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর জান্তার নীরব সম্মতিতে কাচিনের অনিয়ন্ত্রিত খনিগুলো ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে।
কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি একটি বড় মূল্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এবং স্যাটেলাইট চিত্র অনুসারে, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং কাচিনের পাহাড়গুলো লিচিং পুলে ভরে গেছে।
দখলের পর কেআইএ বিদ্রোহীরা ২০ শতাংশ কর আরোপ করায় স্থানীয় অপারেটররা লাভের মুখ দেখছেন না। ড্যান সেং লন বলেন, কেআইএ চায়, চীন যেন জান্তার কাছে অস্ত্র জমা দিতে তাঁদের ওপর চাপ দেওয়া বন্ধ করে এবং বিদ্রোহীদের সীমান্ত অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দলগুলোর মধ্যে অন্তত দুবার বৈঠক হয়েছে।
কেআইএ দখল করা অঞ্চলগুলোর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারের বাকি সীমান্ত অঞ্চলের বেশির ভাগ অংশ শাসন করে।
ড্যান সেং লন বলেন, বেইজিং কেআইএর দাবিগুলো মেনে নিতে অনিচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। তবে চীন এ ক্ষেত্রে বাস্তব অবস্থান না নিলে মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা সংগ্রহ ও মজুতে দেশটির একচেটিয়া আধিপত্য ঝুঁকির মুখে পড়বে।
কেআইএ বিদ্রোহীরা খনিজ খাতকে নিজেদের আওতায় পুনরায় চালু করলে এটি তাঁদের সবচেয়ে বড় আর্থিক খাত হবে। গ্লোবাল উইটনেসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে মিয়ানমারের ভারী বিরল মৃত্তিকার বাণিজ্য প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
রয়টার্স গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, কেআইএ কাচিনের খনিশ্রমিকদের চীনে বিদ্যমান বিরল মৃত্তিকার মজুত পাঠানোর অনুমতি দেবে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিরল মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ থমাস ক্রুমের বলেন, পূর্ণ সক্ষমতায় খনির কার্যক্রম আবার শুরু করতে চীনের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে কেআইএকে। কেননা এখানে হাজারো দক্ষ চীনা কর্মী রয়েছেন। তাঁদের ছাড়া এটা কোনোভাবেই কাজ করবে না।
ভারতের বিকল্প?
চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে ভারত কাচিনে প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা করেছে। ড্যান সেং লন এবং ভারতীয় কর্মকর্তাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে পরিচিত দুজন ব্যক্তি এমনটিই জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ভারতীয় সূত্র অনুসারে, ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খনি ও পরিশোধন সংস্থা আইআরইএল ডিসেম্বরে কাচিনের খনিজ সম্পদ অধ্যয়নের জন্য সেখানে একটি দল পাঠিয়েছে।
ভারতীয় সূত্রটি জানিয়েছে, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অরাষ্ট্রীয় অঞ্চলে কাজ করার বিষয়ে আপত্তি রয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের। তবে কাচিনের চীনবিমুখতা ও নয়াদিল্লির সম্পদের প্রয়োজনে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করেছে।
এ বিষয়ে আইআরইএল রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ড্যান সেং লন বলেন, আইআরইএলসহ একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল ডিসেম্বরে কাচিনদের সঙ্গে বিরল মৃত্তিকা খাত আবার চালু করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ নিয়ে একটি অনলাইন বৈঠকও করেছে। তারা (ভারত) চীনের চেয়ে বেশি দাম দিতে ইচ্ছুক ছিল।
তবে ক্রুমের এবং ড্যান সেং লন বলেন, ভারতের যেকোনো চুক্তিতে একাধিক বাধা রয়েছে। পাহাড়ি এবং জনবসতিহীন কাচিন-ভারত সীমান্তে অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এ কারণে মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন করা কঠিন। সেই রাজ্যগুলো ভারতের দক্ষিণ ও পশ্চিমের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে অনেক দূরে অবস্থিত।
ক্রুমের এবং ভারতীয় সূত্র অনুসারে, ভারতের ভারী বিরল মৃত্তিকা বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করার এবং শিল্পে ব্যবহৃত চুম্বকে রূপান্তর করার ক্ষমতাও নেই।
বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল মৃত্তিকার চুম্বক চীনে উৎপাদিত হয়। এ খাতকে কঠোর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অধীনে নিয়ে এসেছে সি প্রশাসন। এ খাতে চীনের পরই রয়েছে জাপান।
ড্যান সেং লন বলেন, তবু বেইজিং ‘ক্ষমতার তাল’ ধরতে না পারলে কেআইএ ‘বিকল্প পথ’ খুলতে বাধ্য হবে।

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে। এ সংঘাতে চীন ও ভারতের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোর স্বার্থও জড়িয়ে পড়েছে।
এই সংঘাতের ফলে বিরল মৃত্তিকার সরবরাহব্যবস্থায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেছে, যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বব্যাপী। চীনের বাজারে এ খনিজগুলোর মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কাচিন রাজ্যে বিরল মৃত্তিকা খনন এবং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেআইএ এবং চীনের মধ্যে আলোচনা চলছে। একই সময়ে ভারতও এই অঞ্চলের খনিজ সম্পদে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং কাচিন রাজ্যে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবরে উত্তর মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চল সশস্ত্র বিদ্রোহীরা দখল করে নেয়। এটি দেশটির বিপর্যস্ত সামরিক জান্তার জন্য ছিল ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) বিদ্রোহীরা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ভারী বিরল মৃত্তিকা উৎপাদনকারী স্থানগুলো দখল করে নিয়েছে। ফলে বায়ু টারবাইন এবং বৈদ্যুতিক গাড়িতে ব্যবহৃত খনিজগুলোর সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানের দাম এখন আকাশছোঁয়া।
বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, কেআইএ প্রতিবেশী চীনের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। চীন জান্তাকে সমর্থন করে এবং মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে বিরল মৃত্তিকা খননে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
আগে প্রকাশিত হয়নি এমন চীনা কাস্টমস ডেটা অনুসারে, মিয়ানমার থেকে চীনের বিরল মৃত্তিকা অক্সাইড এবং যৌগ আমদানি ফেব্রুয়ারিতে ৩১১ টনে নেমে এসেছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৯ শতাংশ কম। চীনের আমদানিতে সবচেয়ে বড় পতন ঘটেছে অক্টোবরের পর।
মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকাশিল্প এবং এর চার বছরের গৃহযুদ্ধ সম্পর্কে রয়টার্স ৯ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, খনি অঞ্চলে অস্থিরতা চলছে।
তাঁদের মধ্যে একজনের মতে, কেআইএর পদক্ষেপ জান্তা এবং চীনের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা।
কাচিন সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে অধ্যয়নকারী অলাভজনক সংস্থা কাচিনল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড্যান সেং লন বলেছেন, কেআইএ চীনের সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় বিরল মৃত্তিকা মজুতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তি ভারতের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ২০২৪ সালের শেষের দিকে ভারতের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিরল মৃত্তিকা খনন ও পরিশোধন সংস্থার কর্মকর্তারা কাচিনে গিয়েছিলেন।
কেআইএ মিয়ানমারের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম জাতিগত মিলিশিয়াগুলোর মধ্যে একটি। এটি খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী কাচিন সংখ্যালঘুদের স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ করে আসছে।

কাচিন রাজ্যের পানওয়া এবং চিপওয়ে শহরের আশপাশে কর্মরত বেশির ভাগ চীনা পরিচালিত বিরল মৃত্তিকা খনি থেকে কেআইএ মোটা অঙ্কের কর আরোপ করেছে বলে কাচিনল্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ড্যান সেং লন এবং একজন চীনা খনি বিশ্লেষক জানিয়েছেন।
২০২১ সালে একটি বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে চীন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অন্যতম দৃঢ় আন্তর্জাতিক সমর্থক। বেইজিং এখনো জান্তাকে তাদের সীমান্তের স্থিতিশীলতার রক্ষক হিসেবে দেখে। যদিও ২০২৩ সালে একটি বড় বিদ্রোহী অভিযানের পর সামরিক বাহিনী বেশির ভাগ সীমান্ত অঞ্চল থেকে বিতাড়িত হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাঁরা খনি অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে অবগত নয়। তবে তাঁরা উত্তর মিয়ানমারের শান্তি প্রক্রিয়াকে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করে এবং সম্ভাব্য সব সমর্থন ও সহায়তা দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেআইএ এবং জান্তার একজন মুখপাত্র রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। মার্কিন সরকার আগে এই অঞ্চলের খনিগুলোর অপারেটর হিসেবে চিহ্নিত করা বাওন মিয়াং কোং লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
মূল্যবৃদ্ধি
সাংহাই মেটালস মার্কেটের তথ্য অনুসারে, কাচিনে উৎপাদিত সেই বিরল মৃত্তিকা টার্বিয়াম অক্সাইডের চীনা বাজারমূল্য সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ২১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজিতে ৬ হাজার ৫৫০ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে।
গত ৬ মাসে ডিসপ্রোসিয়াম অক্সাইডের চাহিদা কম ছিল। এ সময়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ১ হাজার ৬৬৫ ইউয়ানে নেমে এসেছে।
কাচিন থেকে আসা বেশির ভাগ বিরল মৃত্তিকা চীনে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তাই দীর্ঘ মেয়াদে সরবরাহ ব্যাহত হলে বৈশ্বিক প্রভাব হবে তীব্র।
গবেষণা সংস্থা অ্যাডামাস ইন্টেলিজেন্স ফেব্রুয়ারির একটি নোটে বলেছে, দীর্ঘ মেয়াদে সরবরাহ ব্যাহত হলে চীনে এ বিরল মৃত্তিকার মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে।

রপ্তানিতে ধস
বেইজিং অভ্যন্তরীণ খনিগুলোর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পর একুশ শতকের প্রথম দশকে চীনা খনিশ্রমিকেরা কাচিনে বড় ধরনের কার্যক্রম শুরু করেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল উইটনেসের মতে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর জান্তার নীরব সম্মতিতে কাচিনের অনিয়ন্ত্রিত খনিগুলো ক্রমাগত প্রসারিত হয়েছে।
কিন্তু এই প্রবৃদ্ধি একটি বড় মূল্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এবং স্যাটেলাইট চিত্র অনুসারে, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং কাচিনের পাহাড়গুলো লিচিং পুলে ভরে গেছে।
দখলের পর কেআইএ বিদ্রোহীরা ২০ শতাংশ কর আরোপ করায় স্থানীয় অপারেটররা লাভের মুখ দেখছেন না। ড্যান সেং লন বলেন, কেআইএ চায়, চীন যেন জান্তার কাছে অস্ত্র জমা দিতে তাঁদের ওপর চাপ দেওয়া বন্ধ করে এবং বিদ্রোহীদের সীমান্ত অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দলগুলোর মধ্যে অন্তত দুবার বৈঠক হয়েছে।
কেআইএ দখল করা অঞ্চলগুলোর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলো মিয়ানমারের বাকি সীমান্ত অঞ্চলের বেশির ভাগ অংশ শাসন করে।
ড্যান সেং লন বলেন, বেইজিং কেআইএর দাবিগুলো মেনে নিতে অনিচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। তবে চীন এ ক্ষেত্রে বাস্তব অবস্থান না নিলে মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা সংগ্রহ ও মজুতে দেশটির একচেটিয়া আধিপত্য ঝুঁকির মুখে পড়বে।
কেআইএ বিদ্রোহীরা খনিজ খাতকে নিজেদের আওতায় পুনরায় চালু করলে এটি তাঁদের সবচেয়ে বড় আর্থিক খাত হবে। গ্লোবাল উইটনেসের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে মিয়ানমারের ভারী বিরল মৃত্তিকার বাণিজ্য প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ছিল।
রয়টার্স গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, কেআইএ কাচিনের খনিশ্রমিকদের চীনে বিদ্যমান বিরল মৃত্তিকার মজুত পাঠানোর অনুমতি দেবে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিরল মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞ থমাস ক্রুমের বলেন, পূর্ণ সক্ষমতায় খনির কার্যক্রম আবার শুরু করতে চীনের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে কেআইএকে। কেননা এখানে হাজারো দক্ষ চীনা কর্মী রয়েছেন। তাঁদের ছাড়া এটা কোনোভাবেই কাজ করবে না।
ভারতের বিকল্প?
চলমান টানাপোড়েনের মধ্যে ভারত কাচিনে প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা করেছে। ড্যান সেং লন এবং ভারতীয় কর্মকর্তাদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে পরিচিত দুজন ব্যক্তি এমনটিই জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ভারতীয় সূত্র অনুসারে, ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন খনি ও পরিশোধন সংস্থা আইআরইএল ডিসেম্বরে কাচিনের খনিজ সম্পদ অধ্যয়নের জন্য সেখানে একটি দল পাঠিয়েছে।
ভারতীয় সূত্রটি জানিয়েছে, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অরাষ্ট্রীয় অঞ্চলে কাজ করার বিষয়ে আপত্তি রয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের। তবে কাচিনের চীনবিমুখতা ও নয়াদিল্লির সম্পদের প্রয়োজনে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করেছে।
এ বিষয়ে আইআরইএল রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এই আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ড্যান সেং লন বলেন, আইআরইএলসহ একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল ডিসেম্বরে কাচিনদের সঙ্গে বিরল মৃত্তিকা খাত আবার চালু করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ নিয়ে একটি অনলাইন বৈঠকও করেছে। তারা (ভারত) চীনের চেয়ে বেশি দাম দিতে ইচ্ছুক ছিল।
তবে ক্রুমের এবং ড্যান সেং লন বলেন, ভারতের যেকোনো চুক্তিতে একাধিক বাধা রয়েছে। পাহাড়ি এবং জনবসতিহীন কাচিন-ভারত সীমান্তে অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। এ কারণে মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন করা কঠিন। সেই রাজ্যগুলো ভারতের দক্ষিণ ও পশ্চিমের উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে অনেক দূরে অবস্থিত।
ক্রুমের এবং ভারতীয় সূত্র অনুসারে, ভারতের ভারী বিরল মৃত্তিকা বাণিজ্যিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করার এবং শিল্পে ব্যবহৃত চুম্বকে রূপান্তর করার ক্ষমতাও নেই।
বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল মৃত্তিকার চুম্বক চীনে উৎপাদিত হয়। এ খাতকে কঠোর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অধীনে নিয়ে এসেছে সি প্রশাসন। এ খাতে চীনের পরই রয়েছে জাপান।
ড্যান সেং লন বলেন, তবু বেইজিং ‘ক্ষমতার তাল’ ধরতে না পারলে কেআইএ ‘বিকল্প পথ’ খুলতে বাধ্য হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৯ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে।
২৮ মার্চ ২০২৫
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৯ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে।
২৮ মার্চ ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৯ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে।
২৮ মার্চ ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৮ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের বিরল মৃত্তিকা খনি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে এক জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) এবং মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মধ্যে সংঘাত চলছে।
২৮ মার্চ ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৯ ঘণ্টা আগে