ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

নুডলস, চিপস, ফাস্টফুডসহ চাইনিজ খাবারে বহুল ব্যবহৃত একটি উপকরণ। টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত উপাদানটির রাসায়নিক নাম মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, সংক্ষেপে এমএসজি। খাবার সুস্বাদু করতে উপাদানটির বহুল ব্যবহার রয়েছে। তবে এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও আছে বিতর্ক। সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ লোক মুখে ছড়িয়েছে এ বিতর্ক।
রেস্টুরেন্টের খাবার, চিপস, নুডলস, বিস্কুটসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার ও বিভিন্ন বেকারি আইটেমে ব্যবহার করা হয় টেস্টিং সল্ট। দাবি করা হয়, টেস্টিং সল্টের কারণে মাথাব্যথা, বুক জ্বালা, গ্যাস্ট্রাইটিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কোলন ক্যানসার, রেক্টাল ক্যানসার ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের জনপ্রিয় কিছু নুডলস কোম্পানি ভোক্তাদের আকৃষ্ট করতে এমন বিজ্ঞাপনও চালায় যে, তাদের নুডলসে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়নি।
খাবারে টেস্টিং সল্ট ব্যবহারে আসলেই কি কোনো ক্ষতি আছে? টেস্টিং সল্ট নিয়ে বহুল প্রচলিত দাবিটির সত্যতা খুঁজে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) বা টেস্টিং সল্ট কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অথোরিটি (এফডিএ) মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) বা টেস্টিং সল্ট সম্পর্কে জানায়, এমএসজি হচ্ছে গ্লুটামিক অ্যাসিড নামে নন–অ্যাসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিডের (খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করা ছাড়াও আমাদের দেহ যে অ্যামিনো অ্যাসিড উৎপাদন করতে পারে) সোডিয়াম লবণ। বিভিন্ন খাবার যেমন: সামুদ্রিক শৈবাল, সয়া সস, পারমেসান পনির (ইতালীয় শক্ত দানাদার পনির), টমেটো এবং মাতৃদুগ্ধে প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চমাত্রায় মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট থাকে।
মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটযুক্ত খাবারে যে স্বাদ পাওয়া যায় সেটিকে বলে উমামি। টক, মিষ্টি, তেতো ও নোনা স্বাদের পর বর্তমানে এটিকে পঞ্চম স্বাদ হিসেবে ধরা হয়। তবে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটের নিজস্ব কোনো স্বাদ নেই। উপকরণটিকে যখন কোনো খাবারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়, তখনই জিহ্বার স্বাদগ্রন্থি এই স্বাদের অনুভূতি দেয়।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইনে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) বা টেস্টিং সল্ট যুক্ত খাবার সম্পর্কে জানা যায়। সেগুলোর মধ্যে আছে:
ফাস্ট ফুড: টেস্টিং সল্টের বড় একটি উৎস টেস্টিং ফুড। রেস্টুরেন্টগুলোতেও ফ্রাইড রাইসসহ অনেক জনপ্রিয় খাবারে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়।
চিপস এবং স্ন্যাকসজাতীয় খাবার: অনেক খাদ্যপ্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চিপসের স্বাদ বাড়াতে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করে। চিপস ছাড়াও অনেক স্ন্যাকসজাতীয় খাবারে স্বাদ বাড়াতে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়।
হিমায়িত খাবার: হিমায়িত খাবার উৎপাদনকারীরা খাবারের স্বাদ বাড়াতে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করে। এর মধ্যে আছে হিমায়িত পিৎজা, পনির এবং হিমায়িত অন্যান্য সকালের নাশতা।
এ ছাড়া কৌটাজাত স্যুপ ও স্যুপ মিশ্রণ, শুষ্ক স্যুপ মিশ্রণ, প্রক্রিয়াজাত মাংস, বিভিন্ন মসলা, ইনস্ট্যান্ট নুডলসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করতে দেখা যায়।

কীভাবে এলো টেস্টিং সল্ট
এফডিএর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির জন্মের ইতিহাস অনেক পুরোনো। উদাহরণস্বরূপ, এশিয়ার কোনো কোনো অঞ্চলে একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার গ্লুটামেট সমৃদ্ধ সামুদ্রিক শৈবালের ব্রোথ। ১৯০৮ সালে কিকুনা ইকেদা নামে একজন জাপানি অধ্যাপক এই ব্রোথ থেকে গ্লুটামেট নিষ্কাশন করতে সক্ষম হন এবং প্রমাণ করেন, গ্লুটামেট স্যুপের স্বাদ বাড়ায়।
অধ্যাপক ইকেদা তখন টেস্টিং সল্ট উৎপাদনের জন্য একটি পেটেন্ট দাখিল করেন। পরের বছর এটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। তবে বর্তমানে সামুদ্রিক শৈবালের ব্রোথ থেকে টেস্টিং সল্ট উৎপাদনের পরিবর্তে স্টার্চ, সুগার বিট, আখ বা গুড়ের গাঁজনের মাধ্যমে টেস্টিং সল্ট তৈরি করা হয়। এই গাঁজন প্রক্রিয়াটি দই, ভিনেগার এবং ওয়াইন তৈরির প্রক্রিয়ার মতোই।
টেস্টিং সল্ট কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
এ প্রশ্নের জবাবে ইন্টারন্যাশনাল গ্লুটামেট ইনফরমেশন সার্ভিস জানায়, শতাব্দীর বেশি সময় ধরে টেস্টিং সল্ট খাবারে নিরাপদে ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খাদ্য উপকরণ হিসেবে গ্লুটামেটের ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাপী শত শত গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, খাদ্যে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার নিরাপদ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে টেস্টিং সল্টের ব্যবহার সরকারিভাবে অনুমোদিত।
দ্য ইউরোপিয়ান ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিলও টেস্টিং সল্টের ব্যবহার নিয়ে একই মত দিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, শত শত গবেষণা এবং অসংখ্য বৈজ্ঞানিক মূল্যায়নে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে, টেস্টিং সল্ট স্বাস্থ্যর জন্য নিরাপদ।
টেস্টিং সল্টকে ‘জেনারেলি রিকোগনাইজড অ্যাজ সেফ’ বা সাধারণভাবে স্বীকৃত নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অথোরিটি। যদিও অনেকে নিজেদের টেস্টিং সল্টের প্রতি সংবেদনশীল মনে করেন, তবে বিজ্ঞানীরা এর কোনো প্রমাণ পাননি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন খাবারে প্রোটিন থেকে প্রায় ১৩ গ্রাম গ্লুটামেট গ্রহণ করে, যেখানে খাবারে ফুড অ্যাডেটিভ হিসেবে যোগ করা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট খাওয়ার পরিমাণ প্রতিদিন মাত্র প্রায় দশমিক ৫৫ গ্রাম।

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে টেস্টিং সল্টের ওপর গবেষণা হচ্ছে। এসব গবেষণায় টেস্টিং সল্টের সঙ্গে হাঁপানি বা ‘চায়নিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোমের’ কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
২০০৩ সালে ফুড স্ট্যান্ডার্ড অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ড (এফএসএএনজেড) টেস্টিং সল্টের নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণায় চালায়। গবেষণায় টেস্টিং সল্টের সঙ্গে অসুস্থতা বা মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে এফএসএএনজেডের অনুমতি ছাড়া কোনো ফুড অ্যাডেটিভ ব্যবহার করা যায় না। যদিও কিছু মানুষ বিভিন্ন খাদ্যের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখায়, বিশেষ করে হাঁপানির প্রতি। তারা সম্ভবত অন্যান্য গ্লুটামেটের প্রতি সংবেদনশীল।
টেস্টিং সল্ট কতটুকু নিরাপদ এ প্রসঙ্গে কানাডার সরকারি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, অধিকাংশ মানুষই নিরাপদে উচ্চমাত্রার গ্লুটামেট গ্রহণ করতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, বুকব্যথা, বমি বমি ভাব, দুর্বল বোধ, ঘাড়ের পেছনে অসারতা যা হাত এবং পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে, ঘাড়, বাহু এবং বুকের পেছনে জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এসব উপসর্গ সাময়িক এবং স্বাস্থ্যে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলে না। এসব উপসর্গ দেখা যাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই ব্যক্তিরা খালি পেটে সরাসরি ৩ থেকে ৫ গ্রাম টেস্টিং সল্ট খেয়েছিল। সর্বোপরি, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর টেস্টিং সল্টের কোনো প্রভাব নেই।
টেস্টিং সল্টের সঙ্গে ক্যানসারের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে সিঙ্গাপুরের গ্লেনেয়াগ্লেস হসপিটাল জানায়, মাথাব্যথা থেকে ক্যানসারসহ নানা রোগের জন্য টেস্টিং সল্টকে দায়ী করা হয়। যদিও গবেষণায় এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায় টেস্টিং সল্ট এসবের জন্য দায়ী।
এমএসজির নামে বদনামের সূচনা যেভাবে
বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের এসব সূত্রে এটি প্রমাণিত যে, টেস্টিং সল্টকে যেসব অপবাদ দেওয়া হয়, সেগুলো ভিত্তিহীন, বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ নেই। তাহলে রাসায়নিকটির বিরুদ্ধে এ বদনাম ছড়াল কীভাবে?
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন দ্য আটলান্টিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৮ সালের ২ এপ্রিল ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল সোসাইটির সাপ্তাহিক মেডিকেল জার্নাল নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর রবার্ট হো ম্যান কউক ‘চায়নিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোম’ নামে একটি খোলাচিঠি লেখেন। চিঠিতে কউক চীনা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা জানান।
তিনি দাবি করেন, টেস্টিং সল্টের কারণে এটি হতে পারে। এরপরই বিভিন্ন জন দাবিটি প্রমাণ করার জন্য গবেষণা করতে উঠেপড়ে লাগেন। এসব গবেষণায় দাবিটিকে সঠিক বলেও প্রমাণ করা হয়। যেমন, ১৯৬৯ সালে বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৩ জনকে শিরায় প্রয়োগের মাধ্যমে এবং ৫৬ জনকে টেস্টিং সল্ট খাওয়ানোর মাধ্যমে প্রমাণ করা গেছে, ‘চায়নিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোম’ সত্য।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইটিং অ্যান্ড রেটোরিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেনিফার লে মেশিউরে এক গবেষণায় জানান, এসব গবেষণা পদ্ধতিগতভাবে সঠিক ছিল না।

নুডলস, চিপস, ফাস্টফুডসহ চাইনিজ খাবারে বহুল ব্যবহৃত একটি উপকরণ। টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত উপাদানটির রাসায়নিক নাম মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, সংক্ষেপে এমএসজি। খাবার সুস্বাদু করতে উপাদানটির বহুল ব্যবহার রয়েছে। তবে এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও আছে বিতর্ক। সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ লোক মুখে ছড়িয়েছে এ বিতর্ক।
রেস্টুরেন্টের খাবার, চিপস, নুডলস, বিস্কুটসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার ও বিভিন্ন বেকারি আইটেমে ব্যবহার করা হয় টেস্টিং সল্ট। দাবি করা হয়, টেস্টিং সল্টের কারণে মাথাব্যথা, বুক জ্বালা, গ্যাস্ট্রাইটিস, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কোলন ক্যানসার, রেক্টাল ক্যানসার ইত্যাদি রোগ হয়ে থাকে। এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের জনপ্রিয় কিছু নুডলস কোম্পানি ভোক্তাদের আকৃষ্ট করতে এমন বিজ্ঞাপনও চালায় যে, তাদের নুডলসে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়নি।
খাবারে টেস্টিং সল্ট ব্যবহারে আসলেই কি কোনো ক্ষতি আছে? টেস্টিং সল্ট নিয়ে বহুল প্রচলিত দাবিটির সত্যতা খুঁজে দেখেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) বা টেস্টিং সল্ট কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অথোরিটি (এফডিএ) মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) বা টেস্টিং সল্ট সম্পর্কে জানায়, এমএসজি হচ্ছে গ্লুটামিক অ্যাসিড নামে নন–অ্যাসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিডের (খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করা ছাড়াও আমাদের দেহ যে অ্যামিনো অ্যাসিড উৎপাদন করতে পারে) সোডিয়াম লবণ। বিভিন্ন খাবার যেমন: সামুদ্রিক শৈবাল, সয়া সস, পারমেসান পনির (ইতালীয় শক্ত দানাদার পনির), টমেটো এবং মাতৃদুগ্ধে প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চমাত্রায় মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট থাকে।
মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটযুক্ত খাবারে যে স্বাদ পাওয়া যায় সেটিকে বলে উমামি। টক, মিষ্টি, তেতো ও নোনা স্বাদের পর বর্তমানে এটিকে পঞ্চম স্বাদ হিসেবে ধরা হয়। তবে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটের নিজস্ব কোনো স্বাদ নেই। উপকরণটিকে যখন কোনো খাবারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়, তখনই জিহ্বার স্বাদগ্রন্থি এই স্বাদের অনুভূতি দেয়।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইনে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (এমএসজি) বা টেস্টিং সল্ট যুক্ত খাবার সম্পর্কে জানা যায়। সেগুলোর মধ্যে আছে:
ফাস্ট ফুড: টেস্টিং সল্টের বড় একটি উৎস টেস্টিং ফুড। রেস্টুরেন্টগুলোতেও ফ্রাইড রাইসসহ অনেক জনপ্রিয় খাবারে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়।
চিপস এবং স্ন্যাকসজাতীয় খাবার: অনেক খাদ্যপ্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান চিপসের স্বাদ বাড়াতে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করে। চিপস ছাড়াও অনেক স্ন্যাকসজাতীয় খাবারে স্বাদ বাড়াতে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়।
হিমায়িত খাবার: হিমায়িত খাবার উৎপাদনকারীরা খাবারের স্বাদ বাড়াতে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করে। এর মধ্যে আছে হিমায়িত পিৎজা, পনির এবং হিমায়িত অন্যান্য সকালের নাশতা।
এ ছাড়া কৌটাজাত স্যুপ ও স্যুপ মিশ্রণ, শুষ্ক স্যুপ মিশ্রণ, প্রক্রিয়াজাত মাংস, বিভিন্ন মসলা, ইনস্ট্যান্ট নুডলসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করতে দেখা যায়।

কীভাবে এলো টেস্টিং সল্ট
এফডিএর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা এমএসজির জন্মের ইতিহাস অনেক পুরোনো। উদাহরণস্বরূপ, এশিয়ার কোনো কোনো অঞ্চলে একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার গ্লুটামেট সমৃদ্ধ সামুদ্রিক শৈবালের ব্রোথ। ১৯০৮ সালে কিকুনা ইকেদা নামে একজন জাপানি অধ্যাপক এই ব্রোথ থেকে গ্লুটামেট নিষ্কাশন করতে সক্ষম হন এবং প্রমাণ করেন, গ্লুটামেট স্যুপের স্বাদ বাড়ায়।
অধ্যাপক ইকেদা তখন টেস্টিং সল্ট উৎপাদনের জন্য একটি পেটেন্ট দাখিল করেন। পরের বছর এটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। তবে বর্তমানে সামুদ্রিক শৈবালের ব্রোথ থেকে টেস্টিং সল্ট উৎপাদনের পরিবর্তে স্টার্চ, সুগার বিট, আখ বা গুড়ের গাঁজনের মাধ্যমে টেস্টিং সল্ট তৈরি করা হয়। এই গাঁজন প্রক্রিয়াটি দই, ভিনেগার এবং ওয়াইন তৈরির প্রক্রিয়ার মতোই।
টেস্টিং সল্ট কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
এ প্রশ্নের জবাবে ইন্টারন্যাশনাল গ্লুটামেট ইনফরমেশন সার্ভিস জানায়, শতাব্দীর বেশি সময় ধরে টেস্টিং সল্ট খাবারে নিরাপদে ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খাদ্য উপকরণ হিসেবে গ্লুটামেটের ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাপী শত শত গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, খাদ্যে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার নিরাপদ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে টেস্টিং সল্টের ব্যবহার সরকারিভাবে অনুমোদিত।
দ্য ইউরোপিয়ান ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিলও টেস্টিং সল্টের ব্যবহার নিয়ে একই মত দিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, শত শত গবেষণা এবং অসংখ্য বৈজ্ঞানিক মূল্যায়নে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে, টেস্টিং সল্ট স্বাস্থ্যর জন্য নিরাপদ।
টেস্টিং সল্টকে ‘জেনারেলি রিকোগনাইজড অ্যাজ সেফ’ বা সাধারণভাবে স্বীকৃত নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অথোরিটি। যদিও অনেকে নিজেদের টেস্টিং সল্টের প্রতি সংবেদনশীল মনে করেন, তবে বিজ্ঞানীরা এর কোনো প্রমাণ পাননি। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন খাবারে প্রোটিন থেকে প্রায় ১৩ গ্রাম গ্লুটামেট গ্রহণ করে, যেখানে খাবারে ফুড অ্যাডেটিভ হিসেবে যোগ করা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট খাওয়ার পরিমাণ প্রতিদিন মাত্র প্রায় দশমিক ৫৫ গ্রাম।

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের খাদ্য কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে টেস্টিং সল্টের ওপর গবেষণা হচ্ছে। এসব গবেষণায় টেস্টিং সল্টের সঙ্গে হাঁপানি বা ‘চায়নিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোমের’ কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
২০০৩ সালে ফুড স্ট্যান্ডার্ড অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ড (এফএসএএনজেড) টেস্টিং সল্টের নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণায় চালায়। গবেষণায় টেস্টিং সল্টের সঙ্গে অসুস্থতা বা মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে এফএসএএনজেডের অনুমতি ছাড়া কোনো ফুড অ্যাডেটিভ ব্যবহার করা যায় না। যদিও কিছু মানুষ বিভিন্ন খাদ্যের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখায়, বিশেষ করে হাঁপানির প্রতি। তারা সম্ভবত অন্যান্য গ্লুটামেটের প্রতি সংবেদনশীল।
টেস্টিং সল্ট কতটুকু নিরাপদ এ প্রসঙ্গে কানাডার সরকারি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, অধিকাংশ মানুষই নিরাপদে উচ্চমাত্রার গ্লুটামেট গ্রহণ করতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, বুকব্যথা, বমি বমি ভাব, দুর্বল বোধ, ঘাড়ের পেছনে অসারতা যা হাত এবং পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে, ঘাড়, বাহু এবং বুকের পেছনে জ্বালাপোড়াসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এসব উপসর্গ সাময়িক এবং স্বাস্থ্যে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলে না। এসব উপসর্গ দেখা যাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এই ব্যক্তিরা খালি পেটে সরাসরি ৩ থেকে ৫ গ্রাম টেস্টিং সল্ট খেয়েছিল। সর্বোপরি, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর টেস্টিং সল্টের কোনো প্রভাব নেই।
টেস্টিং সল্টের সঙ্গে ক্যানসারের কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে সিঙ্গাপুরের গ্লেনেয়াগ্লেস হসপিটাল জানায়, মাথাব্যথা থেকে ক্যানসারসহ নানা রোগের জন্য টেস্টিং সল্টকে দায়ী করা হয়। যদিও গবেষণায় এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, যার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায় টেস্টিং সল্ট এসবের জন্য দায়ী।
এমএসজির নামে বদনামের সূচনা যেভাবে
বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের এসব সূত্রে এটি প্রমাণিত যে, টেস্টিং সল্টকে যেসব অপবাদ দেওয়া হয়, সেগুলো ভিত্তিহীন, বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ নেই। তাহলে রাসায়নিকটির বিরুদ্ধে এ বদনাম ছড়াল কীভাবে?
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন দ্য আটলান্টিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৮ সালের ২ এপ্রিল ম্যাসাচুসেটস মেডিকেল সোসাইটির সাপ্তাহিক মেডিকেল জার্নাল নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর রবার্ট হো ম্যান কউক ‘চায়নিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোম’ নামে একটি খোলাচিঠি লেখেন। চিঠিতে কউক চীনা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার কথা জানান।
তিনি দাবি করেন, টেস্টিং সল্টের কারণে এটি হতে পারে। এরপরই বিভিন্ন জন দাবিটি প্রমাণ করার জন্য গবেষণা করতে উঠেপড়ে লাগেন। এসব গবেষণায় দাবিটিকে সঠিক বলেও প্রমাণ করা হয়। যেমন, ১৯৬৯ সালে বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৩ জনকে শিরায় প্রয়োগের মাধ্যমে এবং ৫৬ জনকে টেস্টিং সল্ট খাওয়ানোর মাধ্যমে প্রমাণ করা গেছে, ‘চায়নিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোম’ সত্য।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাইটিং অ্যান্ড রেটোরিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জেনিফার লে মেশিউরে এক গবেষণায় জানান, এসব গবেষণা পদ্ধতিগতভাবে সঠিক ছিল না।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

নুডলস, চিপস, ফাস্টফুডসহ চাইনিজ খাবারে বহুল ব্যবহৃত একটি উপকরণ। টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত উপাদানটির রাসায়নিক নাম মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, সংক্ষেপে এমএসজি। খাবার সুস্বাদু করতে উপাদানটির বহুল ব্যবহার রয়েছে। তবে এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও আছে বিতর্ক। সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ লোক মুখে ছড়িয়েছে এ বিত
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

নুডলস, চিপস, ফাস্টফুডসহ চাইনিজ খাবারে বহুল ব্যবহৃত একটি উপকরণ। টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত উপাদানটির রাসায়নিক নাম মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, সংক্ষেপে এমএসজি। খাবার সুস্বাদু করতে উপাদানটির বহুল ব্যবহার রয়েছে। তবে এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও আছে বিতর্ক। সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ লোক মুখে ছড়িয়েছে এ বিত
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

নুডলস, চিপস, ফাস্টফুডসহ চাইনিজ খাবারে বহুল ব্যবহৃত একটি উপকরণ। টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত উপাদানটির রাসায়নিক নাম মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, সংক্ষেপে এমএসজি। খাবার সুস্বাদু করতে উপাদানটির বহুল ব্যবহার রয়েছে। তবে এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও আছে বিতর্ক। সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ লোক মুখে ছড়িয়েছে এ বিত
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

নুডলস, চিপস, ফাস্টফুডসহ চাইনিজ খাবারে বহুল ব্যবহৃত একটি উপকরণ। টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত উপাদানটির রাসায়নিক নাম মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, সংক্ষেপে এমএসজি। খাবার সুস্বাদু করতে উপাদানটির বহুল ব্যবহার রয়েছে। তবে এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও আছে বিতর্ক। সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ লোক মুখে ছড়িয়েছে এ বিত
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫