Ajker Patrika

জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা

ফ্যাক্টচেক  ডেস্ক
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২: ০২
জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা

জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে সারা দেশে কিশোরীদের বিনামূল্যে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও এক ডোজ করে হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে ঢাকা বাদে সাতটি বিভাগে স্কুল ও স্কুলের বাইরে এ টিকা কার্যক্রম চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) পরিচালিত এ কার্যক্রম চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত।

এ টিকা কার্যক্রম ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা প্রচারণা। ফেসবুকের বিভিন্ন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে নারীদেরএই টিকা নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলা হচ্ছে, ‘এই টিকা নেওয়ার ফলে নারীদের বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হবে। ফলে বেশির ভাগ বাচ্চা গর্ভপাত হবে এবং নারী গর্ভধারণে অক্ষম হবে।’ আরেকটি পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, ‘এই টিকা কমবয়সীদের দেওয়া হয়। কারণ তাদের ভেতরে শারীরিক বৃদ্ধি দ্রুত হয়। যার ফলে টিকাটি দ্রুত বিস্তার করে বন্ধ্যাত্ব বা জরায়ুতেসমস্যা সৃষ্টিকে জোরালো করার সুযোগ পায়।’

f2

এমন প্রচারণার ফলে জনমনে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক, নানা জিজ্ঞাসা। যেমন, ‘ডু সামথিং এক্সসেপশনাল (ডিএসই)’ নামের একটি প্রাইভেট ফেসবুক গ্রুপে এক নারী জানতে চেয়েছেন, তাঁর ভাগনি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তার স্কুলে জরায়ুমুখ ক্যানসারের টিকা দেবে। ‘ছোট মানুষ হিসেবে তার কি কোনো সমস্যা হবে?’

জরায়ুমুখ ক্যানসার কী?

জরায়ুমুখ ক্যানসার হয় প্যাপিলোমা ভাইরাস নামে এক ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণে। সাধারণত ভাইরাসটি ছড়ায় এটি বহন করছে (সুপ্ত অথবা সংক্রামিত) এমন কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে। তবে ভাইরাস শরীরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার হয় না। ক্যানসার হতে বেশ কয়েক বছর লাগতে পারে। ইউনিসেফ বাংলাদেশের দেওয়া তথ্য মতে, জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দেশে বছরে প্রায় ৫ হাজার নারী মারা যান। এর প্রতিকার হিসেবে কিশোরীদের এক ডোজ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়া হয়, এই টিকা দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তাদের জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এইচপিভি টিকা সম্পর্কে দাবিগুলো কতটুকু সত্য?

এইচপিভি টিকা নারীদের বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করে এমন দাবিকে প্রচলিত ভুল ধারণা হিসেবে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এইচপিভি টিকা গ্রহণের পর ইঞ্জেকশনের নেওয়ার স্থানে ব্যথা, ফোলা ভাব, লাল ভাব এবং সেই সঙ্গে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি এবং বমি বমি ভাব হতে পারে। এই টিকার সবচেয়ে সাধারণ গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো, মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। তবে এমন কোনো প্রমাণ নেই যে, এইচপিভি টিকার ফলে নারী বন্ধ্যাত্বের দিকে ধাবিত হয়।

f4

মানুষের মধ্যে এই ভুল ধারণা সৃষ্টির জন্য ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ভুল তথ্যকে দায়ী করে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউটিহেলথ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক কল্যাণী সোনাওয়ানের বরাত দিয়ে ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এইচপিভি টিকা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ভুল ও নেতিবাচক তথ্যের প্রসার ঘটেছে। আর যেসব অভিভাবক এসব ভুল তথ্য বিশ্বাস করছেন, তাঁরা সন্তানদের টিকাটি দিতে অনাগ্রহী হয়ে উঠছেন। তবে এই সমস্যারও পরিবর্তন ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্রে অনেক অভিভাবকই ভুল ভেঙে সন্তানদের টিকাটি দিতে আগ্রহী হচ্ছেন।

টিকাটির সঙ্গে বন্ধ্যাত্বের সম্পর্ক নিয়ে ইউনিসেফের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যখনই কোনো নতুন টিকা আসে, তা মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ, আতঙ্ক তৈরি করে, বিশেষ করে টিকাটি স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলে তা নিয়ে। সত্য হলো, এইচপিভি টিকা খুবই নিরাপদ এবং এর সঙ্গে বন্ধ্যাত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং টিকাটি ক্যানসারসহ স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে নারীর প্রজনন ক্ষমতা রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

সংস্থাটি এইচপিভি টিকাকে খুবই নিরাপদ উল্লেখ করে জানায়, অন্যান্য ভ্যাকসিনের বা ওষুধের মতোই এটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। টিকা গ্রহণকারীদের অধিকাংশই এটি বুঝতে পারে না বা কেউ পুরোপুরি বোঝে না।

ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট ২০২১ সালে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রে এইচপিভি টিকার নিরাপত্তার বিষয়ে করা একটি গবেষণার বরাত দিয়ে জানায়, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এইচপিভি টিকা নেওয়ার পর গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেছে এমন ঘটনা খুবই বিরল। দেশটিতে প্রতি ১ লাখ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ১ দশমিক ৮ জন টিকা নেওয়ার পর গুরুতর সমস্যায় ভুগেছেন। তবে এই সমস্যা যে টিকা গ্রহণের জন্যই ঘটেছে, এটি নিঃসন্দেহে বলার সুযোগ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এইচপিভি টিকা কেবল বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেই নয়, ইউরোপের ৫৩টি দেশের মধ্যে ৩৮টি দেশেই চালু রয়েছে। এসব দেশের মধ্যে ৯৪ শতাংশ উচ্চ আয়ের, ২৯ শতাংশ মধ্যম আয়ের এবং ৫৭ শতাংশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। কোনো দেশে ছেলেদেরও এই টিকা দেওয়া হয়।

তবে এইচপিভি টিকা গ্রহণ নিয়ে এসব দেশের নাগরিকদের মধ্যেও দ্বিধা রয়েছে। এসব দ্বিধার কারণ, টিকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, বিশেষ করে টিকাটি বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে এমন আশঙ্কা। এমনকি স্কুলশিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও এই উদ্বেগ দেখা যায়। তবে এইচপিভি টিকার সঙ্গে বন্ধ্যাত্ব বা নারীর বয়স ৪০ পূরণের আগেই প্রজনন ক্ষমতা হারানোর (প্রাইমারি ওভারিয়ান ইনসাফিসিয়েন্সি) কোনো তথ্য নেই।

২০১৮ সালে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রেরএইচপিভিসহ কৈশোরে বিভিন্ন টিকা নেওয়া প্রায় ২ লাখ নারীর ওপর করা এক গবেষণায়দেখা যায়, এইচপিভি টিকার সঙ্গে নারীর বয়স ৪০ পূরণের আগেই প্রজনন ক্ষমতা হারানোর কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। ডেনমার্কের ৯৫ হাজার নারী ও কিশোরীর ওপর করা গবেষণাতেও এইচপিভি বা অকাল বন্ধ্যাত্বের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ এইচপিভি টিকা নারীদের বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করে এমন দাবির পক্ষে গবেষণালব্ধ কোনো প্রমাণ নেই।

আবার এই টিকা অল্প বয়সীদের দেওয়া নিয়েও যে দাবি করা হচ্ছে, সে সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব গাইনোকোলজিক্যাল জার্নালে ২০২২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচপিভি টিকাদানের বয়স ৯ থেকে ১২ বছর। এই বয়স নিয়ে আলোচনার সময় প্রায়ই এই প্রশ্নটি ওঠে যে, কেন অল্প শুধু কিশোরীদের এই টিকা দেওয়া হয়?

বাস্তবতা হলো, ১৫ বছরের নিচে টিকাপ্রাপ্ত কিশোরীদের মধ্যে অনেক বেশি এইচপিভি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। কারণ এই বয়সে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকে। এই তথ্য এবং ট্রায়াল পর্যায়ে কম বয়সে দুই ডোজের পর ক্রমাগত উচ্চ অ্যান্টিবডি তৈরির ফলাফল দেখে ১৫ বছরের নিচে কিশোরীদের জন্য দুই ডোজ এইচপিভির সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে এক ডোজের কার্যকারিতাও মূল্যায়ন করা হচ্ছে। সব বিবেচনায় একজন মানুষের যৌবনপ্রাপ্তির আগেই টিকাদান সবচেয়ে কার্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। কিশোর–কিশোরীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, বিশেষ করে ৯ বছর বয়স থেকেই টিকাদান শুরু করলে ভালো।

ইউনিসেফ এইচপিভি টিকা গ্রহণের বয়স সম্পর্কে পরামর্শ দেয় যে, এইচপিভি ভ্যাকসিন ২৬ বছরের মধ্যে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্তও এ টিকা নেওয়া যায়। তবে বেশির ভাগ দেশেই ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের এই টিকা নেওয়ার পরমার্শ দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের পত্রিকার নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটি ভুয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ২১
আজকের পত্রিকার নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটি ভুয়া

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।

আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মধ্যরাতে মাঝরাস্তায় বাঘকে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে মাতাল—ভাইরাল ভিডিওটি ফেক

ফ্যাক্টচেক  ডেস্ক
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৪
মধ্যরাতে মাঝরাস্তায় বাঘকে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে মাতাল—ভাইরাল ভিডিওটি ফেক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

বাঘকে বোতল থেকে মদ খাওয়ার দাবি করা ভিডিওর ক্যাপশন, যেখান থেকেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত
বাঘকে বোতল থেকে মদ খাওয়ার দাবি করা ভিডিওর ক্যাপশন, যেখান থেকেই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।

বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’

ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি

বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।

বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ

এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এআই টুল দিয়ে ভিডিওটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি হওয়ার প্রমাণ পরীক্ষার ফলাফল। ছবি: সংগৃহীত
এআই টুল দিয়ে ভিডিওটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি হওয়ার প্রমাণ পরীক্ষার ফলাফল। ছবি: সংগৃহীত

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।

এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।

একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানি জেনারেলকে ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলযুক্ত বাংলাদেশের পতাকা উপহারে’র দাবি নিয়ে যা বলল সিএ ফ্যাক্ট চেক

ফ্যাক্টচেক  ডেস্ক
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৩
ছবি : সিএ ফ্যাক্ট চেকিং
ছবি : সিএ ফ্যাক্ট চেকিং

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।

ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।

‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।

গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।

প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

ফ্যাক্টচেক  ডেস্ক
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৮
ভাইরাল ভিডিওটির দৃশ্য। ছবি: স্ক্রিনশট
ভাইরাল ভিডিওটির দৃশ্য। ছবি: স্ক্রিনশট

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র‍্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।

ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।

ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে

ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।

ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই

ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র‍্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র‍্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

এক্স-এ ছড়িয়ে পড়া ভিডিও। ছবি: স্ক্রিনশট
এক্স-এ ছড়িয়ে পড়া ভিডিও। ছবি: স্ক্রিনশট

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত

ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।

সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল

এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র‍্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।

কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়

বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।

কথিত জেসিকা র‍্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত