নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকা শহরে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিপুল যানবাহন চলাচল এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণার যে ঘনত্ব এবং এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা দৈনিক প্রায় দুইটি সিগারেট পানের সমতুল্য। এমনকি সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর বিভাগ সিলেটেও সূক্ষ্ম বস্তুকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর বায়ুমান নিয়ে আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেনের সভাপতিত্ব এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
উচ্চ স্তরের বায়ু দূষণের কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ, সেই সঙ্গে বিষণ্নতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস, হৃদ্যন্ত্র বা শ্বাসকষ্টের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
ঢাকা ও সিলেটের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব মূল্যায়ন করে ‘ব্রিদিং হেভি: নিউ এভিডেন্স অন এয়ার পলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব কমানোর জন্য প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সাড়াদান প্রক্রিয়া উন্নত করা, বায়ু দূষণের ডেটা মনিটরিং সিস্টেমের উন্নতি, প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ এবং আরও গবেষণায় দ্রুত পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের বড় বড় ভবন নির্মাণ এবং নিয়মিত যানজটের এলাকাগুলোতে বায়ু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই এলাকাগুলোতে সূক্ষ্ম কণা (পিএম ২.৫), যা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বায়ু মান নির্দেশিকা (একিউজি) থেকে গড়ে ১৫০ শতাংশ বেশি। এটি প্রতিদিন প্রায় ১ দশমিক ৭টি সিগারেট পানের সমতুল্য।
পিএম ২.৫ মাত্রার কণা বস্তুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘনত্ব পাওয়া গেছে বৃহত্তর ঢাকার ইটভাটার কাছাকাছি এলাকাগুলোতে। এটি ডব্লিউএইচওর একিউজির ১৩৬ শতাংশ বেশি, যা প্রতিদিন ১ দশমিক ৬টি সিগারেট পানের সমান।
ইটভাটাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় নির্মাণ এবং যানজটের কাছাকাছি বসবাসকারী শিশুদের মধ্যে নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সিলেট বিভাগ, যেখানে দেশের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ু রয়েছে, সেখানে এখনো কণা বস্তুর ঘনত্বের মাত্রা ডব্লিউএইচওর নির্দেশিত মাত্রার ৮০ শতাংশ বেশি। এটি প্রতিদিন ১ দশমিক ২টি সিগারেট পানের সমান।
বায়ু দূষণ শিশু থেকে বয়স্ক সবাইকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মৃত্যু এবং অক্ষমতার দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ছিল বায়ু দূষণ। এর ক্ষতি দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৯ থেকে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেন এ তথ্য জানান।
বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ৭৮ হাজার ১৪৫ থেকে ৮৮ হাজার ২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশের অভ্যন্তরে বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। তবে এরপরও সব অঞ্চলে কণা বস্তুর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ু মান নির্দেশিকার সুপারিশকৃত মানের বেশ ওপরে।
সবচেয়ে দূষিত বিভাগ ঢাকা এবং সবচেয়ে কম দূষিত সিলেট। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে।
আবার পশ্চিমাঞ্চল (খুলনা ও রাজশাহী) পূর্বাঞ্চলের (সিলেট ও চট্টগ্রাম) চেয়ে বেশি দূষিত। ঢাকা বিভাগে স্থানীয় দূষণ উৎস ছাড়াও কণা বস্তুর ঘনত্বের এক-পঞ্চমাংশ পর্যন্ত আসে আন্তসীমান্ত উৎস থেকে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে আমাদের পালমোনারি ডিজিজ সামলানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা। এটাও কিন্তু ফুসফুসে প্রভাব ফেলে। এর চিকিৎসা প্রাথমিক পর্যায়ে করতে হয়, হাসপাতালে যেতে হয়। ফলে ব্যয় অনেক বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো কোনো জায়গায় খুবই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন। অনেক জায়গায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকেন। তাঁদের ক্ষেত্রে কিছু করা যায় না।’
প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে জ্বালানি ব্যবহার করি সেটি থেকে দূষণ পাওয়া যাচ্ছে, সেটি আমরা সরকারকে জানিয়েছি। বাংলাদেশে আমাদের যে রিফাইনিং সক্ষমতা আছে এটার মাধ্যমে তেল পরিশোধন করতে পারি। আমাদের যদি যদি দূষণের মাত্রা কমাতে হয়, তাহলে ওই মানের তেল আমদানি করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার নেবে বলে জানিয়েছে।’

রাজধানী ঢাকা শহরে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিপুল যানবাহন চলাচল এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণার যে ঘনত্ব এবং এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা দৈনিক প্রায় দুইটি সিগারেট পানের সমতুল্য। এমনকি সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর বিভাগ সিলেটেও সূক্ষ্ম বস্তুকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর বায়ুমান নিয়ে আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেনের সভাপতিত্ব এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
উচ্চ স্তরের বায়ু দূষণের কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ, সেই সঙ্গে বিষণ্নতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস, হৃদ্যন্ত্র বা শ্বাসকষ্টের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
ঢাকা ও সিলেটের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব মূল্যায়ন করে ‘ব্রিদিং হেভি: নিউ এভিডেন্স অন এয়ার পলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব কমানোর জন্য প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সাড়াদান প্রক্রিয়া উন্নত করা, বায়ু দূষণের ডেটা মনিটরিং সিস্টেমের উন্নতি, প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ এবং আরও গবেষণায় দ্রুত পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের বড় বড় ভবন নির্মাণ এবং নিয়মিত যানজটের এলাকাগুলোতে বায়ু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই এলাকাগুলোতে সূক্ষ্ম কণা (পিএম ২.৫), যা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বায়ু মান নির্দেশিকা (একিউজি) থেকে গড়ে ১৫০ শতাংশ বেশি। এটি প্রতিদিন প্রায় ১ দশমিক ৭টি সিগারেট পানের সমতুল্য।
পিএম ২.৫ মাত্রার কণা বস্তুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘনত্ব পাওয়া গেছে বৃহত্তর ঢাকার ইটভাটার কাছাকাছি এলাকাগুলোতে। এটি ডব্লিউএইচওর একিউজির ১৩৬ শতাংশ বেশি, যা প্রতিদিন ১ দশমিক ৬টি সিগারেট পানের সমান।
ইটভাটাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় নির্মাণ এবং যানজটের কাছাকাছি বসবাসকারী শিশুদের মধ্যে নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সিলেট বিভাগ, যেখানে দেশের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ু রয়েছে, সেখানে এখনো কণা বস্তুর ঘনত্বের মাত্রা ডব্লিউএইচওর নির্দেশিত মাত্রার ৮০ শতাংশ বেশি। এটি প্রতিদিন ১ দশমিক ২টি সিগারেট পানের সমান।
বায়ু দূষণ শিশু থেকে বয়স্ক সবাইকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মৃত্যু এবং অক্ষমতার দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ছিল বায়ু দূষণ। এর ক্ষতি দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৯ থেকে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেন এ তথ্য জানান।
বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ৭৮ হাজার ১৪৫ থেকে ৮৮ হাজার ২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশের অভ্যন্তরে বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। তবে এরপরও সব অঞ্চলে কণা বস্তুর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ু মান নির্দেশিকার সুপারিশকৃত মানের বেশ ওপরে।
সবচেয়ে দূষিত বিভাগ ঢাকা এবং সবচেয়ে কম দূষিত সিলেট। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে।
আবার পশ্চিমাঞ্চল (খুলনা ও রাজশাহী) পূর্বাঞ্চলের (সিলেট ও চট্টগ্রাম) চেয়ে বেশি দূষিত। ঢাকা বিভাগে স্থানীয় দূষণ উৎস ছাড়াও কণা বস্তুর ঘনত্বের এক-পঞ্চমাংশ পর্যন্ত আসে আন্তসীমান্ত উৎস থেকে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে আমাদের পালমোনারি ডিজিজ সামলানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা। এটাও কিন্তু ফুসফুসে প্রভাব ফেলে। এর চিকিৎসা প্রাথমিক পর্যায়ে করতে হয়, হাসপাতালে যেতে হয়। ফলে ব্যয় অনেক বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো কোনো জায়গায় খুবই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন। অনেক জায়গায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকেন। তাঁদের ক্ষেত্রে কিছু করা যায় না।’
প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে জ্বালানি ব্যবহার করি সেটি থেকে দূষণ পাওয়া যাচ্ছে, সেটি আমরা সরকারকে জানিয়েছি। বাংলাদেশে আমাদের যে রিফাইনিং সক্ষমতা আছে এটার মাধ্যমে তেল পরিশোধন করতে পারি। আমাদের যদি যদি দূষণের মাত্রা কমাতে হয়, তাহলে ওই মানের তেল আমদানি করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার নেবে বলে জানিয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকা শহরে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিপুল যানবাহন চলাচল এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণার যে ঘনত্ব এবং এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা দৈনিক প্রায় দুইটি সিগারেট পানের সমতুল্য। এমনকি সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর বিভাগ সিলেটেও সূক্ষ্ম বস্তুকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর বায়ুমান নিয়ে আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেনের সভাপতিত্ব এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
উচ্চ স্তরের বায়ু দূষণের কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ, সেই সঙ্গে বিষণ্নতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস, হৃদ্যন্ত্র বা শ্বাসকষ্টের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
ঢাকা ও সিলেটের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব মূল্যায়ন করে ‘ব্রিদিং হেভি: নিউ এভিডেন্স অন এয়ার পলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব কমানোর জন্য প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সাড়াদান প্রক্রিয়া উন্নত করা, বায়ু দূষণের ডেটা মনিটরিং সিস্টেমের উন্নতি, প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ এবং আরও গবেষণায় দ্রুত পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের বড় বড় ভবন নির্মাণ এবং নিয়মিত যানজটের এলাকাগুলোতে বায়ু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই এলাকাগুলোতে সূক্ষ্ম কণা (পিএম ২.৫), যা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বায়ু মান নির্দেশিকা (একিউজি) থেকে গড়ে ১৫০ শতাংশ বেশি। এটি প্রতিদিন প্রায় ১ দশমিক ৭টি সিগারেট পানের সমতুল্য।
পিএম ২.৫ মাত্রার কণা বস্তুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘনত্ব পাওয়া গেছে বৃহত্তর ঢাকার ইটভাটার কাছাকাছি এলাকাগুলোতে। এটি ডব্লিউএইচওর একিউজির ১৩৬ শতাংশ বেশি, যা প্রতিদিন ১ দশমিক ৬টি সিগারেট পানের সমান।
ইটভাটাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় নির্মাণ এবং যানজটের কাছাকাছি বসবাসকারী শিশুদের মধ্যে নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সিলেট বিভাগ, যেখানে দেশের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ু রয়েছে, সেখানে এখনো কণা বস্তুর ঘনত্বের মাত্রা ডব্লিউএইচওর নির্দেশিত মাত্রার ৮০ শতাংশ বেশি। এটি প্রতিদিন ১ দশমিক ২টি সিগারেট পানের সমান।
বায়ু দূষণ শিশু থেকে বয়স্ক সবাইকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মৃত্যু এবং অক্ষমতার দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ছিল বায়ু দূষণ। এর ক্ষতি দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৯ থেকে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেন এ তথ্য জানান।
বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ৭৮ হাজার ১৪৫ থেকে ৮৮ হাজার ২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশের অভ্যন্তরে বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। তবে এরপরও সব অঞ্চলে কণা বস্তুর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ু মান নির্দেশিকার সুপারিশকৃত মানের বেশ ওপরে।
সবচেয়ে দূষিত বিভাগ ঢাকা এবং সবচেয়ে কম দূষিত সিলেট। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে।
আবার পশ্চিমাঞ্চল (খুলনা ও রাজশাহী) পূর্বাঞ্চলের (সিলেট ও চট্টগ্রাম) চেয়ে বেশি দূষিত। ঢাকা বিভাগে স্থানীয় দূষণ উৎস ছাড়াও কণা বস্তুর ঘনত্বের এক-পঞ্চমাংশ পর্যন্ত আসে আন্তসীমান্ত উৎস থেকে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে আমাদের পালমোনারি ডিজিজ সামলানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা। এটাও কিন্তু ফুসফুসে প্রভাব ফেলে। এর চিকিৎসা প্রাথমিক পর্যায়ে করতে হয়, হাসপাতালে যেতে হয়। ফলে ব্যয় অনেক বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো কোনো জায়গায় খুবই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন। অনেক জায়গায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকেন। তাঁদের ক্ষেত্রে কিছু করা যায় না।’
প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে জ্বালানি ব্যবহার করি সেটি থেকে দূষণ পাওয়া যাচ্ছে, সেটি আমরা সরকারকে জানিয়েছি। বাংলাদেশে আমাদের যে রিফাইনিং সক্ষমতা আছে এটার মাধ্যমে তেল পরিশোধন করতে পারি। আমাদের যদি যদি দূষণের মাত্রা কমাতে হয়, তাহলে ওই মানের তেল আমদানি করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার নেবে বলে জানিয়েছে।’

রাজধানী ঢাকা শহরে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিপুল যানবাহন চলাচল এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণার যে ঘনত্ব এবং এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা দৈনিক প্রায় দুইটি সিগারেট পানের সমতুল্য। এমনকি সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর বিভাগ সিলেটেও সূক্ষ্ম বস্তুকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত মাত্রার চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর বায়ুমান নিয়ে আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেনের সভাপতিত্ব এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
উচ্চ স্তরের বায়ু দূষণের কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ, সেই সঙ্গে বিষণ্নতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস, হৃদ্যন্ত্র বা শ্বাসকষ্টের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
ঢাকা ও সিলেটের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব মূল্যায়ন করে ‘ব্রিদিং হেভি: নিউ এভিডেন্স অন এয়ার পলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব কমানোর জন্য প্রতিবেদনে জনস্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সাড়াদান প্রক্রিয়া উন্নত করা, বায়ু দূষণের ডেটা মনিটরিং সিস্টেমের উন্নতি, প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ এবং আরও গবেষণায় দ্রুত পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরের বড় বড় ভবন নির্মাণ এবং নিয়মিত যানজটের এলাকাগুলোতে বায়ু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এই এলাকাগুলোতে সূক্ষ্ম কণা (পিএম ২.৫), যা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়, এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বায়ু মান নির্দেশিকা (একিউজি) থেকে গড়ে ১৫০ শতাংশ বেশি। এটি প্রতিদিন প্রায় ১ দশমিক ৭টি সিগারেট পানের সমতুল্য।
পিএম ২.৫ মাত্রার কণা বস্তুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘনত্ব পাওয়া গেছে বৃহত্তর ঢাকার ইটভাটার কাছাকাছি এলাকাগুলোতে। এটি ডব্লিউএইচওর একিউজির ১৩৬ শতাংশ বেশি, যা প্রতিদিন ১ দশমিক ৬টি সিগারেট পানের সমান।
ইটভাটাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় নির্মাণ এবং যানজটের কাছাকাছি বসবাসকারী শিশুদের মধ্যে নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সিলেট বিভাগ, যেখানে দেশের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ু রয়েছে, সেখানে এখনো কণা বস্তুর ঘনত্বের মাত্রা ডব্লিউএইচওর নির্দেশিত মাত্রার ৮০ শতাংশ বেশি। এটি প্রতিদিন ১ দশমিক ২টি সিগারেট পানের সমান।
বায়ু দূষণ শিশু থেকে বয়স্ক সবাইকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মৃত্যু এবং অক্ষমতার দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ ছিল বায়ু দূষণ। এর ক্ষতি দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৯ থেকে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান্ডান চেন এ তথ্য জানান।
বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ৭৮ হাজার ১৪৫ থেকে ৮৮ হাজার ২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও দেশের অভ্যন্তরে বায়ু দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। তবে এরপরও সব অঞ্চলে কণা বস্তুর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ু মান নির্দেশিকার সুপারিশকৃত মানের বেশ ওপরে।
সবচেয়ে দূষিত বিভাগ ঢাকা এবং সবচেয়ে কম দূষিত সিলেট। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর হিসেবে স্থান পেয়েছে।
আবার পশ্চিমাঞ্চল (খুলনা ও রাজশাহী) পূর্বাঞ্চলের (সিলেট ও চট্টগ্রাম) চেয়ে বেশি দূষিত। ঢাকা বিভাগে স্থানীয় দূষণ উৎস ছাড়াও কণা বস্তুর ঘনত্বের এক-পঞ্চমাংশ পর্যন্ত আসে আন্তসীমান্ত উৎস থেকে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে আমাদের পালমোনারি ডিজিজ সামলানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা। এটাও কিন্তু ফুসফুসে প্রভাব ফেলে। এর চিকিৎসা প্রাথমিক পর্যায়ে করতে হয়, হাসপাতালে যেতে হয়। ফলে ব্যয় অনেক বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো কোনো জায়গায় খুবই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন। অনেক জায়গায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকেন। তাঁদের ক্ষেত্রে কিছু করা যায় না।’
প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে জ্বালানি ব্যবহার করি সেটি থেকে দূষণ পাওয়া যাচ্ছে, সেটি আমরা সরকারকে জানিয়েছি। বাংলাদেশে আমাদের যে রিফাইনিং সক্ষমতা আছে এটার মাধ্যমে তেল পরিশোধন করতে পারি। আমাদের যদি যদি দূষণের মাত্রা কমাতে হয়, তাহলে ওই মানের তেল আমদানি করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার নেবে বলে জানিয়েছে।’

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকা শহরে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিপুল যানবাহন চলাচল এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণার যে ঘনত্ব এবং এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা দৈনিক প্রায় দুইটি সিগারেট পানের সমতুল্য। এমনকি সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর বিভাগ সিলেটেও সূক্ষ্ম বস্তুকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য
০৪ ডিসেম্বর ২০২২
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

রাজধানী ঢাকা শহরে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিপুল যানবাহন চলাচল এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণার যে ঘনত্ব এবং এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা দৈনিক প্রায় দুইটি সিগারেট পানের সমতুল্য। এমনকি সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর বিভাগ সিলেটেও সূক্ষ্ম বস্তুকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য
০৪ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

রাজধানী ঢাকা শহরে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিপুল যানবাহন চলাচল এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণার যে ঘনত্ব এবং এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা দৈনিক প্রায় দুইটি সিগারেট পানের সমতুল্য। এমনকি সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর বিভাগ সিলেটেও সূক্ষ্ম বস্তুকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য
০৪ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকা শহরে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিপুল যানবাহন চলাচল এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। ঢাকার বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণার যে ঘনত্ব এবং এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির মাত্রা দৈনিক প্রায় দুইটি সিগারেট পানের সমতুল্য। এমনকি সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ুর বিভাগ সিলেটেও সূক্ষ্ম বস্তুকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য
০৪ ডিসেম্বর ২০২২
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে