
ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেখার কিছু আছে? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অবলম্বনে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এ লেখাটিতে।
দক্ষিণ ফিলিপাইনের মানোবো আদিবাসীদের একজন দলনেত্রী মারিতেস বাবানতোর মনের পর্দায় এখনো উজ্জ্বল ২০১২ সালে তাঁদের গ্রামে আঘাত হানা টাইফুনের স্মৃতি।
নদী, হ্রদ আর জলা নিয়ে গঠিত আগুসান মার্শল্যান্ডে বাবানতো এবং তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস। ওই সময় প্রবল বৃষ্টিতে জলাভূমির পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট)। অর্থাৎ একটি তিনতলা দালানের সমান। তবে গ্রামবাসীর বাড়িগুলো এই পরিস্থিতিতেও জলের ওপর ভেসে থাকে। প্রাচীন পন্থাই তাদের বাঁচিয়ে দিল ডুবে যাওয়া থেকে।
‘আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা কখনো এমন ঝড় দেখিনি। বাতাসের গর্জন ছিল প্রচণ্ড। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশি নিরাপত্তার আশায় সবাইকে ভাসমান হলের মধ্যে জড়ো করেছিলাম আমরা।’ বলেন মারিতেস বাবানতো।
টাইফুন বোফা কিংবা টাইফুন পাবলো নামে পরিচিত প্রবল ওই ঝড়ে দুই হাজারের মানুষের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোসহ বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয় ফিলিপাইন। কিন্তু বাবানতো এবং তাঁর প্রতিবেশীরা ঝড়ের পরে আবিষ্কার করেন তাঁদের ঘরগুলো অক্ষত আছে। স্বাভাবিক ঝড়-বন্যা মোকাবিলায় ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা মাচার ওপর তৈরি করা হয় এগুলো। তাঁদের কৌশল এমনকি প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের বিরুদ্ধেও কাজে লেগে যায়।
মানোবোদের ভাসমান বাড়িসহ অন্য উদ্ভাবন এবং অনুশীলন তাদের ডাঙা ও জলের রাজ্যের মিশ্রণে গড়ে ওঠা আশ্চর্য এক অঞ্চলে বাস করতে সহায়তা করে। গবেষকদের এর প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। অন্য সম্প্রদায়ের জন্যও বৈরী আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
আগুসান মার্শল্যান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজারের মতো মানোবোর বাস। জলাভূমি আর জলকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তাদের জীবন। এখানে কোনো রাস্তা নেই। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি কিংবা জায়গার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করছে নদী আর হ্রদ।
বাবানতোর দিন শুরু হয় বারোতো নামে পরিচিত তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্যানু বা নৌকা নিয়ে যাত্রার মাধ্যমে। একটার পর একটা বাড়ি, আদিবাসীদের একত্রিত হওয়ার হল, স্কুল, উপাসনালয়, পশুর খোঁয়াড়কে পাশ কাটিয়ে নৌকা চালান তিনি। আর তার পেরিয়ে আসা প্রতিটি কাঠামোই ভাসমান। নৌকাতে চেপেই নিজের হাঁস, মুরগি ও শূকরের ছোট খোঁয়াড়গুলোয় যান খাবার দিতে। ভাগনে ও ভাগনিদের তাঁদের ছোট ছোট বারাতোতে চাপিয়ে পাঠান স্কুলে।
এ ধরনের জলা জায়গায় বসবাস করা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বন্যা একটি অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টির মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পানির উচ্চতা যায় বেড়ে। এদিকে শুকনো মৌসুমে পানির উচ্চতা কমে যায়। পানির এই ওঠানামার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো ভেলার মতো প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চের ওপর নিজেদের একতলা বা দোতলা ঘরগুলো তৈরি করে মানোবোরা। এই মঞ্চগুলো ভেসে থাকে, সেই সূত্রে ভেসে থাকে ঘরগুলিও।
প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চগুলো ভারী দড়ি ও লতা ব্যবহার করে বাংকাল নামের একধরনের গাছের চারপাশে নোঙর করা হয়। জলাভূমির এ ধরনের গাছগুলো বন্যা উপদ্রুত এসব হ্রদ ও জলার মাঝখানে জন্মে।
বাবানতো জানান, নিয়মিত বন্যার চেয়ে বরং ক্রমেই বাড়তে থাকা বাতাসের গতি নিয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন। বন্যার একটি উপকারও তাঁর চোখে পড়ে, ‘পানি যত বেশি থাকে, তত বেশি মাছ আমরা ধরতে পারি।’
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝড় ও বন্যাকে আরও তীব্র, শক্তিশালী এবং নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে। সে ক্ষেত্রে ভাসমান বাড়ির সম্ভাব্য সুবিধাগুলো এগুলোর উদ্ভাবক সম্প্রদায়টির বাইরে অন্যদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এমন ভাসমান বাড়ি বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্বীপদেশগুলোতে হুমকির মুখে থাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিপাইনের স্থপতি ও নগর নকশা গবেষক ফ্রান্সিসকা মেজিয়া চাকরি করেন নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে। তাঁর মতে, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করতে মানোবোর মতো আদিবাসীদের সংস্কৃতির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, ভাসমান বাড়িগুলোর মতো আদিবাসী উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে তাদের প্রকৃতি এবং জমির সংরক্ষণের বিষয়টি জড়িত। কাজেই গোটা বিষয়টি উপলব্ধি করাটাই এ ক্ষেত্রে জরুরি।
ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের কেন্দ্রে জলাভূমি, পিটল্যান্ড ও ৫৯টি হ্রদের সমন্বয়ে ১৪ হাজার ৮০০ হেক্টরের আগুসান মার্শল্যান্ড বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। আর এখানে বাস ভাসমান এই বসতির।
মানোবো এবং জলাভূমির অন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে মাছ ধরা হলো জীবিকার প্রধান উৎস। এখানকার বাস্তুতন্ত্র এবং এতে তাদের নিজস্ব জায়গাকে সম্মান জানানো আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনও এর সঙ্গে জড়িত। তারা গান ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের চারপাশের জলাভূমির প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
‘আমাদের পূর্বপুরুষ, আত্মা ও দেবতাদের মতোই লোনা পানির কুমির, মিঠা পানির মাছ এবং পরিযায়ী পাখিরা জলাভূমির আদি বাসিন্দা। তারা এই জলের ওপর নির্ভর করে।’ বলেন বেনোনি হ্রদের গভীরে অবস্থিত বসতির মানোবো গোত্র প্রধান দাতু দুরাঙ্গো।
তাদের বাড়িঘর ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধ করলেও মানোবোরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিস্তৃত পরিণতির বাইরে নয়। গবেষকেরা দীর্ঘায়িত খরার মতো হুমকির কথা বলেছেন। যেমন পাম তেলের চাহিদার কারণে পিটল্যান্ডগুলো (গাছপালা পচে মাটির সঙ্গে মিশে যে গাঢ় বাদামি জমি তৈরি হয়) বাগানে পরিণত হয়েছে। কাঠ চোরাচালান বিপন্ন এবং স্থানীয় গাছকে হুমকির সম্মুখীন করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানোবোরা, যাদের গোটা অস্তিত্ব পানির ওপর নির্ভরশীল, আরেকটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেটি বছরের কখনো কখনো পানির স্বল্পতা।
উচ্চ তাপের কারণে সৃষ্ট খরায় আশপাশের ভাসমান আবাসস্থল এবং মূলভূমির বিভিন্ন বাজার, খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলপথে চলাচলে সমস্যায় পড়ছে।
আগুসান জলাভূমির পানলাবুহাস হ্রদের মানাবো বসতির ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে গোত্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন দাতু বয়েস রেয়েজ। তিনি মানোবো ছাড়া অন্যদেরও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার এবং এটি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা উপলব্ধির চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্যরা যে ঘরগুলো তৈরি করে তা এখনো একই মাটি, গাছ ও জল থেকে আসে। ‘যদি আমরা পানিকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করি, তাহলে এটিও আমাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে নেবে। এটিই এর প্রকৃতি।’ বলেন তিনি, ‘কারণ জলাভূমিটির নামের অর্থ এটাই, আগুসান মানে যেখানে জল প্রবাহিত হয়।’

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেখার কিছু আছে? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অবলম্বনে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এ লেখাটিতে।
দক্ষিণ ফিলিপাইনের মানোবো আদিবাসীদের একজন দলনেত্রী মারিতেস বাবানতোর মনের পর্দায় এখনো উজ্জ্বল ২০১২ সালে তাঁদের গ্রামে আঘাত হানা টাইফুনের স্মৃতি।
নদী, হ্রদ আর জলা নিয়ে গঠিত আগুসান মার্শল্যান্ডে বাবানতো এবং তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস। ওই সময় প্রবল বৃষ্টিতে জলাভূমির পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট)। অর্থাৎ একটি তিনতলা দালানের সমান। তবে গ্রামবাসীর বাড়িগুলো এই পরিস্থিতিতেও জলের ওপর ভেসে থাকে। প্রাচীন পন্থাই তাদের বাঁচিয়ে দিল ডুবে যাওয়া থেকে।
‘আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা কখনো এমন ঝড় দেখিনি। বাতাসের গর্জন ছিল প্রচণ্ড। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশি নিরাপত্তার আশায় সবাইকে ভাসমান হলের মধ্যে জড়ো করেছিলাম আমরা।’ বলেন মারিতেস বাবানতো।
টাইফুন বোফা কিংবা টাইফুন পাবলো নামে পরিচিত প্রবল ওই ঝড়ে দুই হাজারের মানুষের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোসহ বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয় ফিলিপাইন। কিন্তু বাবানতো এবং তাঁর প্রতিবেশীরা ঝড়ের পরে আবিষ্কার করেন তাঁদের ঘরগুলো অক্ষত আছে। স্বাভাবিক ঝড়-বন্যা মোকাবিলায় ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা মাচার ওপর তৈরি করা হয় এগুলো। তাঁদের কৌশল এমনকি প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের বিরুদ্ধেও কাজে লেগে যায়।
মানোবোদের ভাসমান বাড়িসহ অন্য উদ্ভাবন এবং অনুশীলন তাদের ডাঙা ও জলের রাজ্যের মিশ্রণে গড়ে ওঠা আশ্চর্য এক অঞ্চলে বাস করতে সহায়তা করে। গবেষকদের এর প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। অন্য সম্প্রদায়ের জন্যও বৈরী আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
আগুসান মার্শল্যান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজারের মতো মানোবোর বাস। জলাভূমি আর জলকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তাদের জীবন। এখানে কোনো রাস্তা নেই। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি কিংবা জায়গার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করছে নদী আর হ্রদ।
বাবানতোর দিন শুরু হয় বারোতো নামে পরিচিত তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্যানু বা নৌকা নিয়ে যাত্রার মাধ্যমে। একটার পর একটা বাড়ি, আদিবাসীদের একত্রিত হওয়ার হল, স্কুল, উপাসনালয়, পশুর খোঁয়াড়কে পাশ কাটিয়ে নৌকা চালান তিনি। আর তার পেরিয়ে আসা প্রতিটি কাঠামোই ভাসমান। নৌকাতে চেপেই নিজের হাঁস, মুরগি ও শূকরের ছোট খোঁয়াড়গুলোয় যান খাবার দিতে। ভাগনে ও ভাগনিদের তাঁদের ছোট ছোট বারাতোতে চাপিয়ে পাঠান স্কুলে।
এ ধরনের জলা জায়গায় বসবাস করা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বন্যা একটি অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টির মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পানির উচ্চতা যায় বেড়ে। এদিকে শুকনো মৌসুমে পানির উচ্চতা কমে যায়। পানির এই ওঠানামার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো ভেলার মতো প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চের ওপর নিজেদের একতলা বা দোতলা ঘরগুলো তৈরি করে মানোবোরা। এই মঞ্চগুলো ভেসে থাকে, সেই সূত্রে ভেসে থাকে ঘরগুলিও।
প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চগুলো ভারী দড়ি ও লতা ব্যবহার করে বাংকাল নামের একধরনের গাছের চারপাশে নোঙর করা হয়। জলাভূমির এ ধরনের গাছগুলো বন্যা উপদ্রুত এসব হ্রদ ও জলার মাঝখানে জন্মে।
বাবানতো জানান, নিয়মিত বন্যার চেয়ে বরং ক্রমেই বাড়তে থাকা বাতাসের গতি নিয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন। বন্যার একটি উপকারও তাঁর চোখে পড়ে, ‘পানি যত বেশি থাকে, তত বেশি মাছ আমরা ধরতে পারি।’
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝড় ও বন্যাকে আরও তীব্র, শক্তিশালী এবং নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে। সে ক্ষেত্রে ভাসমান বাড়ির সম্ভাব্য সুবিধাগুলো এগুলোর উদ্ভাবক সম্প্রদায়টির বাইরে অন্যদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এমন ভাসমান বাড়ি বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্বীপদেশগুলোতে হুমকির মুখে থাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিপাইনের স্থপতি ও নগর নকশা গবেষক ফ্রান্সিসকা মেজিয়া চাকরি করেন নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে। তাঁর মতে, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করতে মানোবোর মতো আদিবাসীদের সংস্কৃতির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, ভাসমান বাড়িগুলোর মতো আদিবাসী উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে তাদের প্রকৃতি এবং জমির সংরক্ষণের বিষয়টি জড়িত। কাজেই গোটা বিষয়টি উপলব্ধি করাটাই এ ক্ষেত্রে জরুরি।
ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের কেন্দ্রে জলাভূমি, পিটল্যান্ড ও ৫৯টি হ্রদের সমন্বয়ে ১৪ হাজার ৮০০ হেক্টরের আগুসান মার্শল্যান্ড বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। আর এখানে বাস ভাসমান এই বসতির।
মানোবো এবং জলাভূমির অন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে মাছ ধরা হলো জীবিকার প্রধান উৎস। এখানকার বাস্তুতন্ত্র এবং এতে তাদের নিজস্ব জায়গাকে সম্মান জানানো আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনও এর সঙ্গে জড়িত। তারা গান ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের চারপাশের জলাভূমির প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
‘আমাদের পূর্বপুরুষ, আত্মা ও দেবতাদের মতোই লোনা পানির কুমির, মিঠা পানির মাছ এবং পরিযায়ী পাখিরা জলাভূমির আদি বাসিন্দা। তারা এই জলের ওপর নির্ভর করে।’ বলেন বেনোনি হ্রদের গভীরে অবস্থিত বসতির মানোবো গোত্র প্রধান দাতু দুরাঙ্গো।
তাদের বাড়িঘর ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধ করলেও মানোবোরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিস্তৃত পরিণতির বাইরে নয়। গবেষকেরা দীর্ঘায়িত খরার মতো হুমকির কথা বলেছেন। যেমন পাম তেলের চাহিদার কারণে পিটল্যান্ডগুলো (গাছপালা পচে মাটির সঙ্গে মিশে যে গাঢ় বাদামি জমি তৈরি হয়) বাগানে পরিণত হয়েছে। কাঠ চোরাচালান বিপন্ন এবং স্থানীয় গাছকে হুমকির সম্মুখীন করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানোবোরা, যাদের গোটা অস্তিত্ব পানির ওপর নির্ভরশীল, আরেকটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেটি বছরের কখনো কখনো পানির স্বল্পতা।
উচ্চ তাপের কারণে সৃষ্ট খরায় আশপাশের ভাসমান আবাসস্থল এবং মূলভূমির বিভিন্ন বাজার, খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলপথে চলাচলে সমস্যায় পড়ছে।
আগুসান জলাভূমির পানলাবুহাস হ্রদের মানাবো বসতির ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে গোত্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন দাতু বয়েস রেয়েজ। তিনি মানোবো ছাড়া অন্যদেরও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার এবং এটি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা উপলব্ধির চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্যরা যে ঘরগুলো তৈরি করে তা এখনো একই মাটি, গাছ ও জল থেকে আসে। ‘যদি আমরা পানিকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করি, তাহলে এটিও আমাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে নেবে। এটিই এর প্রকৃতি।’ বলেন তিনি, ‘কারণ জলাভূমিটির নামের অর্থ এটাই, আগুসান মানে যেখানে জল প্রবাহিত হয়।’

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেখার কিছু আছে? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অবলম্বনে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এ লেখাটিতে।
দক্ষিণ ফিলিপাইনের মানোবো আদিবাসীদের একজন দলনেত্রী মারিতেস বাবানতোর মনের পর্দায় এখনো উজ্জ্বল ২০১২ সালে তাঁদের গ্রামে আঘাত হানা টাইফুনের স্মৃতি।
নদী, হ্রদ আর জলা নিয়ে গঠিত আগুসান মার্শল্যান্ডে বাবানতো এবং তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস। ওই সময় প্রবল বৃষ্টিতে জলাভূমির পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট)। অর্থাৎ একটি তিনতলা দালানের সমান। তবে গ্রামবাসীর বাড়িগুলো এই পরিস্থিতিতেও জলের ওপর ভেসে থাকে। প্রাচীন পন্থাই তাদের বাঁচিয়ে দিল ডুবে যাওয়া থেকে।
‘আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা কখনো এমন ঝড় দেখিনি। বাতাসের গর্জন ছিল প্রচণ্ড। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশি নিরাপত্তার আশায় সবাইকে ভাসমান হলের মধ্যে জড়ো করেছিলাম আমরা।’ বলেন মারিতেস বাবানতো।
টাইফুন বোফা কিংবা টাইফুন পাবলো নামে পরিচিত প্রবল ওই ঝড়ে দুই হাজারের মানুষের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোসহ বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয় ফিলিপাইন। কিন্তু বাবানতো এবং তাঁর প্রতিবেশীরা ঝড়ের পরে আবিষ্কার করেন তাঁদের ঘরগুলো অক্ষত আছে। স্বাভাবিক ঝড়-বন্যা মোকাবিলায় ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা মাচার ওপর তৈরি করা হয় এগুলো। তাঁদের কৌশল এমনকি প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের বিরুদ্ধেও কাজে লেগে যায়।
মানোবোদের ভাসমান বাড়িসহ অন্য উদ্ভাবন এবং অনুশীলন তাদের ডাঙা ও জলের রাজ্যের মিশ্রণে গড়ে ওঠা আশ্চর্য এক অঞ্চলে বাস করতে সহায়তা করে। গবেষকদের এর প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। অন্য সম্প্রদায়ের জন্যও বৈরী আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
আগুসান মার্শল্যান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজারের মতো মানোবোর বাস। জলাভূমি আর জলকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তাদের জীবন। এখানে কোনো রাস্তা নেই। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি কিংবা জায়গার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করছে নদী আর হ্রদ।
বাবানতোর দিন শুরু হয় বারোতো নামে পরিচিত তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্যানু বা নৌকা নিয়ে যাত্রার মাধ্যমে। একটার পর একটা বাড়ি, আদিবাসীদের একত্রিত হওয়ার হল, স্কুল, উপাসনালয়, পশুর খোঁয়াড়কে পাশ কাটিয়ে নৌকা চালান তিনি। আর তার পেরিয়ে আসা প্রতিটি কাঠামোই ভাসমান। নৌকাতে চেপেই নিজের হাঁস, মুরগি ও শূকরের ছোট খোঁয়াড়গুলোয় যান খাবার দিতে। ভাগনে ও ভাগনিদের তাঁদের ছোট ছোট বারাতোতে চাপিয়ে পাঠান স্কুলে।
এ ধরনের জলা জায়গায় বসবাস করা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বন্যা একটি অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টির মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পানির উচ্চতা যায় বেড়ে। এদিকে শুকনো মৌসুমে পানির উচ্চতা কমে যায়। পানির এই ওঠানামার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো ভেলার মতো প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চের ওপর নিজেদের একতলা বা দোতলা ঘরগুলো তৈরি করে মানোবোরা। এই মঞ্চগুলো ভেসে থাকে, সেই সূত্রে ভেসে থাকে ঘরগুলিও।
প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চগুলো ভারী দড়ি ও লতা ব্যবহার করে বাংকাল নামের একধরনের গাছের চারপাশে নোঙর করা হয়। জলাভূমির এ ধরনের গাছগুলো বন্যা উপদ্রুত এসব হ্রদ ও জলার মাঝখানে জন্মে।
বাবানতো জানান, নিয়মিত বন্যার চেয়ে বরং ক্রমেই বাড়তে থাকা বাতাসের গতি নিয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন। বন্যার একটি উপকারও তাঁর চোখে পড়ে, ‘পানি যত বেশি থাকে, তত বেশি মাছ আমরা ধরতে পারি।’
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝড় ও বন্যাকে আরও তীব্র, শক্তিশালী এবং নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে। সে ক্ষেত্রে ভাসমান বাড়ির সম্ভাব্য সুবিধাগুলো এগুলোর উদ্ভাবক সম্প্রদায়টির বাইরে অন্যদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এমন ভাসমান বাড়ি বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্বীপদেশগুলোতে হুমকির মুখে থাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিপাইনের স্থপতি ও নগর নকশা গবেষক ফ্রান্সিসকা মেজিয়া চাকরি করেন নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে। তাঁর মতে, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করতে মানোবোর মতো আদিবাসীদের সংস্কৃতির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, ভাসমান বাড়িগুলোর মতো আদিবাসী উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে তাদের প্রকৃতি এবং জমির সংরক্ষণের বিষয়টি জড়িত। কাজেই গোটা বিষয়টি উপলব্ধি করাটাই এ ক্ষেত্রে জরুরি।
ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের কেন্দ্রে জলাভূমি, পিটল্যান্ড ও ৫৯টি হ্রদের সমন্বয়ে ১৪ হাজার ৮০০ হেক্টরের আগুসান মার্শল্যান্ড বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। আর এখানে বাস ভাসমান এই বসতির।
মানোবো এবং জলাভূমির অন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে মাছ ধরা হলো জীবিকার প্রধান উৎস। এখানকার বাস্তুতন্ত্র এবং এতে তাদের নিজস্ব জায়গাকে সম্মান জানানো আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনও এর সঙ্গে জড়িত। তারা গান ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের চারপাশের জলাভূমির প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
‘আমাদের পূর্বপুরুষ, আত্মা ও দেবতাদের মতোই লোনা পানির কুমির, মিঠা পানির মাছ এবং পরিযায়ী পাখিরা জলাভূমির আদি বাসিন্দা। তারা এই জলের ওপর নির্ভর করে।’ বলেন বেনোনি হ্রদের গভীরে অবস্থিত বসতির মানোবো গোত্র প্রধান দাতু দুরাঙ্গো।
তাদের বাড়িঘর ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধ করলেও মানোবোরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিস্তৃত পরিণতির বাইরে নয়। গবেষকেরা দীর্ঘায়িত খরার মতো হুমকির কথা বলেছেন। যেমন পাম তেলের চাহিদার কারণে পিটল্যান্ডগুলো (গাছপালা পচে মাটির সঙ্গে মিশে যে গাঢ় বাদামি জমি তৈরি হয়) বাগানে পরিণত হয়েছে। কাঠ চোরাচালান বিপন্ন এবং স্থানীয় গাছকে হুমকির সম্মুখীন করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানোবোরা, যাদের গোটা অস্তিত্ব পানির ওপর নির্ভরশীল, আরেকটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেটি বছরের কখনো কখনো পানির স্বল্পতা।
উচ্চ তাপের কারণে সৃষ্ট খরায় আশপাশের ভাসমান আবাসস্থল এবং মূলভূমির বিভিন্ন বাজার, খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলপথে চলাচলে সমস্যায় পড়ছে।
আগুসান জলাভূমির পানলাবুহাস হ্রদের মানাবো বসতির ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে গোত্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন দাতু বয়েস রেয়েজ। তিনি মানোবো ছাড়া অন্যদেরও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার এবং এটি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা উপলব্ধির চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্যরা যে ঘরগুলো তৈরি করে তা এখনো একই মাটি, গাছ ও জল থেকে আসে। ‘যদি আমরা পানিকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করি, তাহলে এটিও আমাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে নেবে। এটিই এর প্রকৃতি।’ বলেন তিনি, ‘কারণ জলাভূমিটির নামের অর্থ এটাই, আগুসান মানে যেখানে জল প্রবাহিত হয়।’

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেখার কিছু আছে? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অবলম্বনে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এ লেখাটিতে।
দক্ষিণ ফিলিপাইনের মানোবো আদিবাসীদের একজন দলনেত্রী মারিতেস বাবানতোর মনের পর্দায় এখনো উজ্জ্বল ২০১২ সালে তাঁদের গ্রামে আঘাত হানা টাইফুনের স্মৃতি।
নদী, হ্রদ আর জলা নিয়ে গঠিত আগুসান মার্শল্যান্ডে বাবানতো এবং তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস। ওই সময় প্রবল বৃষ্টিতে জলাভূমির পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট)। অর্থাৎ একটি তিনতলা দালানের সমান। তবে গ্রামবাসীর বাড়িগুলো এই পরিস্থিতিতেও জলের ওপর ভেসে থাকে। প্রাচীন পন্থাই তাদের বাঁচিয়ে দিল ডুবে যাওয়া থেকে।
‘আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা কখনো এমন ঝড় দেখিনি। বাতাসের গর্জন ছিল প্রচণ্ড। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশি নিরাপত্তার আশায় সবাইকে ভাসমান হলের মধ্যে জড়ো করেছিলাম আমরা।’ বলেন মারিতেস বাবানতো।
টাইফুন বোফা কিংবা টাইফুন পাবলো নামে পরিচিত প্রবল ওই ঝড়ে দুই হাজারের মানুষের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোসহ বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয় ফিলিপাইন। কিন্তু বাবানতো এবং তাঁর প্রতিবেশীরা ঝড়ের পরে আবিষ্কার করেন তাঁদের ঘরগুলো অক্ষত আছে। স্বাভাবিক ঝড়-বন্যা মোকাবিলায় ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা মাচার ওপর তৈরি করা হয় এগুলো। তাঁদের কৌশল এমনকি প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের বিরুদ্ধেও কাজে লেগে যায়।
মানোবোদের ভাসমান বাড়িসহ অন্য উদ্ভাবন এবং অনুশীলন তাদের ডাঙা ও জলের রাজ্যের মিশ্রণে গড়ে ওঠা আশ্চর্য এক অঞ্চলে বাস করতে সহায়তা করে। গবেষকদের এর প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। অন্য সম্প্রদায়ের জন্যও বৈরী আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
আগুসান মার্শল্যান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজারের মতো মানোবোর বাস। জলাভূমি আর জলকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তাদের জীবন। এখানে কোনো রাস্তা নেই। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি কিংবা জায়গার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করছে নদী আর হ্রদ।
বাবানতোর দিন শুরু হয় বারোতো নামে পরিচিত তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্যানু বা নৌকা নিয়ে যাত্রার মাধ্যমে। একটার পর একটা বাড়ি, আদিবাসীদের একত্রিত হওয়ার হল, স্কুল, উপাসনালয়, পশুর খোঁয়াড়কে পাশ কাটিয়ে নৌকা চালান তিনি। আর তার পেরিয়ে আসা প্রতিটি কাঠামোই ভাসমান। নৌকাতে চেপেই নিজের হাঁস, মুরগি ও শূকরের ছোট খোঁয়াড়গুলোয় যান খাবার দিতে। ভাগনে ও ভাগনিদের তাঁদের ছোট ছোট বারাতোতে চাপিয়ে পাঠান স্কুলে।
এ ধরনের জলা জায়গায় বসবাস করা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বন্যা একটি অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টির মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পানির উচ্চতা যায় বেড়ে। এদিকে শুকনো মৌসুমে পানির উচ্চতা কমে যায়। পানির এই ওঠানামার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো ভেলার মতো প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চের ওপর নিজেদের একতলা বা দোতলা ঘরগুলো তৈরি করে মানোবোরা। এই মঞ্চগুলো ভেসে থাকে, সেই সূত্রে ভেসে থাকে ঘরগুলিও।
প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চগুলো ভারী দড়ি ও লতা ব্যবহার করে বাংকাল নামের একধরনের গাছের চারপাশে নোঙর করা হয়। জলাভূমির এ ধরনের গাছগুলো বন্যা উপদ্রুত এসব হ্রদ ও জলার মাঝখানে জন্মে।
বাবানতো জানান, নিয়মিত বন্যার চেয়ে বরং ক্রমেই বাড়তে থাকা বাতাসের গতি নিয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন। বন্যার একটি উপকারও তাঁর চোখে পড়ে, ‘পানি যত বেশি থাকে, তত বেশি মাছ আমরা ধরতে পারি।’
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝড় ও বন্যাকে আরও তীব্র, শক্তিশালী এবং নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে। সে ক্ষেত্রে ভাসমান বাড়ির সম্ভাব্য সুবিধাগুলো এগুলোর উদ্ভাবক সম্প্রদায়টির বাইরে অন্যদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এমন ভাসমান বাড়ি বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্বীপদেশগুলোতে হুমকির মুখে থাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিপাইনের স্থপতি ও নগর নকশা গবেষক ফ্রান্সিসকা মেজিয়া চাকরি করেন নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে। তাঁর মতে, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করতে মানোবোর মতো আদিবাসীদের সংস্কৃতির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, ভাসমান বাড়িগুলোর মতো আদিবাসী উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে তাদের প্রকৃতি এবং জমির সংরক্ষণের বিষয়টি জড়িত। কাজেই গোটা বিষয়টি উপলব্ধি করাটাই এ ক্ষেত্রে জরুরি।
ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের কেন্দ্রে জলাভূমি, পিটল্যান্ড ও ৫৯টি হ্রদের সমন্বয়ে ১৪ হাজার ৮০০ হেক্টরের আগুসান মার্শল্যান্ড বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। আর এখানে বাস ভাসমান এই বসতির।
মানোবো এবং জলাভূমির অন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে মাছ ধরা হলো জীবিকার প্রধান উৎস। এখানকার বাস্তুতন্ত্র এবং এতে তাদের নিজস্ব জায়গাকে সম্মান জানানো আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনও এর সঙ্গে জড়িত। তারা গান ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের চারপাশের জলাভূমির প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
‘আমাদের পূর্বপুরুষ, আত্মা ও দেবতাদের মতোই লোনা পানির কুমির, মিঠা পানির মাছ এবং পরিযায়ী পাখিরা জলাভূমির আদি বাসিন্দা। তারা এই জলের ওপর নির্ভর করে।’ বলেন বেনোনি হ্রদের গভীরে অবস্থিত বসতির মানোবো গোত্র প্রধান দাতু দুরাঙ্গো।
তাদের বাড়িঘর ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধ করলেও মানোবোরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিস্তৃত পরিণতির বাইরে নয়। গবেষকেরা দীর্ঘায়িত খরার মতো হুমকির কথা বলেছেন। যেমন পাম তেলের চাহিদার কারণে পিটল্যান্ডগুলো (গাছপালা পচে মাটির সঙ্গে মিশে যে গাঢ় বাদামি জমি তৈরি হয়) বাগানে পরিণত হয়েছে। কাঠ চোরাচালান বিপন্ন এবং স্থানীয় গাছকে হুমকির সম্মুখীন করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানোবোরা, যাদের গোটা অস্তিত্ব পানির ওপর নির্ভরশীল, আরেকটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেটি বছরের কখনো কখনো পানির স্বল্পতা।
উচ্চ তাপের কারণে সৃষ্ট খরায় আশপাশের ভাসমান আবাসস্থল এবং মূলভূমির বিভিন্ন বাজার, খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলপথে চলাচলে সমস্যায় পড়ছে।
আগুসান জলাভূমির পানলাবুহাস হ্রদের মানাবো বসতির ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে গোত্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন দাতু বয়েস রেয়েজ। তিনি মানোবো ছাড়া অন্যদেরও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার এবং এটি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা উপলব্ধির চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্যরা যে ঘরগুলো তৈরি করে তা এখনো একই মাটি, গাছ ও জল থেকে আসে। ‘যদি আমরা পানিকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করি, তাহলে এটিও আমাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে নেবে। এটিই এর প্রকৃতি।’ বলেন তিনি, ‘কারণ জলাভূমিটির নামের অর্থ এটাই, আগুসান মানে যেখানে জল প্রবাহিত হয়।’

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেোর কিছু আছে?
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেোর কিছু আছে?
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেোর কিছু আছে?
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেোর কিছু আছে?
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে