
ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেখার কিছু আছে? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অবলম্বনে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এ লেখাটিতে।
দক্ষিণ ফিলিপাইনের মানোবো আদিবাসীদের একজন দলনেত্রী মারিতেস বাবানতোর মনের পর্দায় এখনো উজ্জ্বল ২০১২ সালে তাঁদের গ্রামে আঘাত হানা টাইফুনের স্মৃতি।
নদী, হ্রদ আর জলা নিয়ে গঠিত আগুসান মার্শল্যান্ডে বাবানতো এবং তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস। ওই সময় প্রবল বৃষ্টিতে জলাভূমির পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট)। অর্থাৎ একটি তিনতলা দালানের সমান। তবে গ্রামবাসীর বাড়িগুলো এই পরিস্থিতিতেও জলের ওপর ভেসে থাকে। প্রাচীন পন্থাই তাদের বাঁচিয়ে দিল ডুবে যাওয়া থেকে।
‘আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা কখনো এমন ঝড় দেখিনি। বাতাসের গর্জন ছিল প্রচণ্ড। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশি নিরাপত্তার আশায় সবাইকে ভাসমান হলের মধ্যে জড়ো করেছিলাম আমরা।’ বলেন মারিতেস বাবানতো।
টাইফুন বোফা কিংবা টাইফুন পাবলো নামে পরিচিত প্রবল ওই ঝড়ে দুই হাজারের মানুষের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোসহ বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয় ফিলিপাইন। কিন্তু বাবানতো এবং তাঁর প্রতিবেশীরা ঝড়ের পরে আবিষ্কার করেন তাঁদের ঘরগুলো অক্ষত আছে। স্বাভাবিক ঝড়-বন্যা মোকাবিলায় ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা মাচার ওপর তৈরি করা হয় এগুলো। তাঁদের কৌশল এমনকি প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের বিরুদ্ধেও কাজে লেগে যায়।
মানোবোদের ভাসমান বাড়িসহ অন্য উদ্ভাবন এবং অনুশীলন তাদের ডাঙা ও জলের রাজ্যের মিশ্রণে গড়ে ওঠা আশ্চর্য এক অঞ্চলে বাস করতে সহায়তা করে। গবেষকদের এর প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। অন্য সম্প্রদায়ের জন্যও বৈরী আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
আগুসান মার্শল্যান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজারের মতো মানোবোর বাস। জলাভূমি আর জলকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তাদের জীবন। এখানে কোনো রাস্তা নেই। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি কিংবা জায়গার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করছে নদী আর হ্রদ।
বাবানতোর দিন শুরু হয় বারোতো নামে পরিচিত তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্যানু বা নৌকা নিয়ে যাত্রার মাধ্যমে। একটার পর একটা বাড়ি, আদিবাসীদের একত্রিত হওয়ার হল, স্কুল, উপাসনালয়, পশুর খোঁয়াড়কে পাশ কাটিয়ে নৌকা চালান তিনি। আর তার পেরিয়ে আসা প্রতিটি কাঠামোই ভাসমান। নৌকাতে চেপেই নিজের হাঁস, মুরগি ও শূকরের ছোট খোঁয়াড়গুলোয় যান খাবার দিতে। ভাগনে ও ভাগনিদের তাঁদের ছোট ছোট বারাতোতে চাপিয়ে পাঠান স্কুলে।
এ ধরনের জলা জায়গায় বসবাস করা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বন্যা একটি অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টির মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পানির উচ্চতা যায় বেড়ে। এদিকে শুকনো মৌসুমে পানির উচ্চতা কমে যায়। পানির এই ওঠানামার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো ভেলার মতো প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চের ওপর নিজেদের একতলা বা দোতলা ঘরগুলো তৈরি করে মানোবোরা। এই মঞ্চগুলো ভেসে থাকে, সেই সূত্রে ভেসে থাকে ঘরগুলিও।
প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চগুলো ভারী দড়ি ও লতা ব্যবহার করে বাংকাল নামের একধরনের গাছের চারপাশে নোঙর করা হয়। জলাভূমির এ ধরনের গাছগুলো বন্যা উপদ্রুত এসব হ্রদ ও জলার মাঝখানে জন্মে।
বাবানতো জানান, নিয়মিত বন্যার চেয়ে বরং ক্রমেই বাড়তে থাকা বাতাসের গতি নিয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন। বন্যার একটি উপকারও তাঁর চোখে পড়ে, ‘পানি যত বেশি থাকে, তত বেশি মাছ আমরা ধরতে পারি।’
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝড় ও বন্যাকে আরও তীব্র, শক্তিশালী এবং নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে। সে ক্ষেত্রে ভাসমান বাড়ির সম্ভাব্য সুবিধাগুলো এগুলোর উদ্ভাবক সম্প্রদায়টির বাইরে অন্যদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এমন ভাসমান বাড়ি বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্বীপদেশগুলোতে হুমকির মুখে থাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিপাইনের স্থপতি ও নগর নকশা গবেষক ফ্রান্সিসকা মেজিয়া চাকরি করেন নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে। তাঁর মতে, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করতে মানোবোর মতো আদিবাসীদের সংস্কৃতির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, ভাসমান বাড়িগুলোর মতো আদিবাসী উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে তাদের প্রকৃতি এবং জমির সংরক্ষণের বিষয়টি জড়িত। কাজেই গোটা বিষয়টি উপলব্ধি করাটাই এ ক্ষেত্রে জরুরি।
ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের কেন্দ্রে জলাভূমি, পিটল্যান্ড ও ৫৯টি হ্রদের সমন্বয়ে ১৪ হাজার ৮০০ হেক্টরের আগুসান মার্শল্যান্ড বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। আর এখানে বাস ভাসমান এই বসতির।
মানোবো এবং জলাভূমির অন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে মাছ ধরা হলো জীবিকার প্রধান উৎস। এখানকার বাস্তুতন্ত্র এবং এতে তাদের নিজস্ব জায়গাকে সম্মান জানানো আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনও এর সঙ্গে জড়িত। তারা গান ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের চারপাশের জলাভূমির প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
‘আমাদের পূর্বপুরুষ, আত্মা ও দেবতাদের মতোই লোনা পানির কুমির, মিঠা পানির মাছ এবং পরিযায়ী পাখিরা জলাভূমির আদি বাসিন্দা। তারা এই জলের ওপর নির্ভর করে।’ বলেন বেনোনি হ্রদের গভীরে অবস্থিত বসতির মানোবো গোত্র প্রধান দাতু দুরাঙ্গো।
তাদের বাড়িঘর ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধ করলেও মানোবোরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিস্তৃত পরিণতির বাইরে নয়। গবেষকেরা দীর্ঘায়িত খরার মতো হুমকির কথা বলেছেন। যেমন পাম তেলের চাহিদার কারণে পিটল্যান্ডগুলো (গাছপালা পচে মাটির সঙ্গে মিশে যে গাঢ় বাদামি জমি তৈরি হয়) বাগানে পরিণত হয়েছে। কাঠ চোরাচালান বিপন্ন এবং স্থানীয় গাছকে হুমকির সম্মুখীন করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানোবোরা, যাদের গোটা অস্তিত্ব পানির ওপর নির্ভরশীল, আরেকটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেটি বছরের কখনো কখনো পানির স্বল্পতা।
উচ্চ তাপের কারণে সৃষ্ট খরায় আশপাশের ভাসমান আবাসস্থল এবং মূলভূমির বিভিন্ন বাজার, খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলপথে চলাচলে সমস্যায় পড়ছে।
আগুসান জলাভূমির পানলাবুহাস হ্রদের মানাবো বসতির ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে গোত্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন দাতু বয়েস রেয়েজ। তিনি মানোবো ছাড়া অন্যদেরও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার এবং এটি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা উপলব্ধির চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্যরা যে ঘরগুলো তৈরি করে তা এখনো একই মাটি, গাছ ও জল থেকে আসে। ‘যদি আমরা পানিকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করি, তাহলে এটিও আমাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে নেবে। এটিই এর প্রকৃতি।’ বলেন তিনি, ‘কারণ জলাভূমিটির নামের অর্থ এটাই, আগুসান মানে যেখানে জল প্রবাহিত হয়।’

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেখার কিছু আছে? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অবলম্বনে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এ লেখাটিতে।
দক্ষিণ ফিলিপাইনের মানোবো আদিবাসীদের একজন দলনেত্রী মারিতেস বাবানতোর মনের পর্দায় এখনো উজ্জ্বল ২০১২ সালে তাঁদের গ্রামে আঘাত হানা টাইফুনের স্মৃতি।
নদী, হ্রদ আর জলা নিয়ে গঠিত আগুসান মার্শল্যান্ডে বাবানতো এবং তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস। ওই সময় প্রবল বৃষ্টিতে জলাভূমির পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট)। অর্থাৎ একটি তিনতলা দালানের সমান। তবে গ্রামবাসীর বাড়িগুলো এই পরিস্থিতিতেও জলের ওপর ভেসে থাকে। প্রাচীন পন্থাই তাদের বাঁচিয়ে দিল ডুবে যাওয়া থেকে।
‘আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা কখনো এমন ঝড় দেখিনি। বাতাসের গর্জন ছিল প্রচণ্ড। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশি নিরাপত্তার আশায় সবাইকে ভাসমান হলের মধ্যে জড়ো করেছিলাম আমরা।’ বলেন মারিতেস বাবানতো।
টাইফুন বোফা কিংবা টাইফুন পাবলো নামে পরিচিত প্রবল ওই ঝড়ে দুই হাজারের মানুষের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোসহ বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয় ফিলিপাইন। কিন্তু বাবানতো এবং তাঁর প্রতিবেশীরা ঝড়ের পরে আবিষ্কার করেন তাঁদের ঘরগুলো অক্ষত আছে। স্বাভাবিক ঝড়-বন্যা মোকাবিলায় ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা মাচার ওপর তৈরি করা হয় এগুলো। তাঁদের কৌশল এমনকি প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের বিরুদ্ধেও কাজে লেগে যায়।
মানোবোদের ভাসমান বাড়িসহ অন্য উদ্ভাবন এবং অনুশীলন তাদের ডাঙা ও জলের রাজ্যের মিশ্রণে গড়ে ওঠা আশ্চর্য এক অঞ্চলে বাস করতে সহায়তা করে। গবেষকদের এর প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। অন্য সম্প্রদায়ের জন্যও বৈরী আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
আগুসান মার্শল্যান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজারের মতো মানোবোর বাস। জলাভূমি আর জলকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তাদের জীবন। এখানে কোনো রাস্তা নেই। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি কিংবা জায়গার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করছে নদী আর হ্রদ।
বাবানতোর দিন শুরু হয় বারোতো নামে পরিচিত তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্যানু বা নৌকা নিয়ে যাত্রার মাধ্যমে। একটার পর একটা বাড়ি, আদিবাসীদের একত্রিত হওয়ার হল, স্কুল, উপাসনালয়, পশুর খোঁয়াড়কে পাশ কাটিয়ে নৌকা চালান তিনি। আর তার পেরিয়ে আসা প্রতিটি কাঠামোই ভাসমান। নৌকাতে চেপেই নিজের হাঁস, মুরগি ও শূকরের ছোট খোঁয়াড়গুলোয় যান খাবার দিতে। ভাগনে ও ভাগনিদের তাঁদের ছোট ছোট বারাতোতে চাপিয়ে পাঠান স্কুলে।
এ ধরনের জলা জায়গায় বসবাস করা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বন্যা একটি অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টির মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পানির উচ্চতা যায় বেড়ে। এদিকে শুকনো মৌসুমে পানির উচ্চতা কমে যায়। পানির এই ওঠানামার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো ভেলার মতো প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চের ওপর নিজেদের একতলা বা দোতলা ঘরগুলো তৈরি করে মানোবোরা। এই মঞ্চগুলো ভেসে থাকে, সেই সূত্রে ভেসে থাকে ঘরগুলিও।
প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চগুলো ভারী দড়ি ও লতা ব্যবহার করে বাংকাল নামের একধরনের গাছের চারপাশে নোঙর করা হয়। জলাভূমির এ ধরনের গাছগুলো বন্যা উপদ্রুত এসব হ্রদ ও জলার মাঝখানে জন্মে।
বাবানতো জানান, নিয়মিত বন্যার চেয়ে বরং ক্রমেই বাড়তে থাকা বাতাসের গতি নিয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন। বন্যার একটি উপকারও তাঁর চোখে পড়ে, ‘পানি যত বেশি থাকে, তত বেশি মাছ আমরা ধরতে পারি।’
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝড় ও বন্যাকে আরও তীব্র, শক্তিশালী এবং নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে। সে ক্ষেত্রে ভাসমান বাড়ির সম্ভাব্য সুবিধাগুলো এগুলোর উদ্ভাবক সম্প্রদায়টির বাইরে অন্যদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এমন ভাসমান বাড়ি বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্বীপদেশগুলোতে হুমকির মুখে থাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিপাইনের স্থপতি ও নগর নকশা গবেষক ফ্রান্সিসকা মেজিয়া চাকরি করেন নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে। তাঁর মতে, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করতে মানোবোর মতো আদিবাসীদের সংস্কৃতির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, ভাসমান বাড়িগুলোর মতো আদিবাসী উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে তাদের প্রকৃতি এবং জমির সংরক্ষণের বিষয়টি জড়িত। কাজেই গোটা বিষয়টি উপলব্ধি করাটাই এ ক্ষেত্রে জরুরি।
ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের কেন্দ্রে জলাভূমি, পিটল্যান্ড ও ৫৯টি হ্রদের সমন্বয়ে ১৪ হাজার ৮০০ হেক্টরের আগুসান মার্শল্যান্ড বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। আর এখানে বাস ভাসমান এই বসতির।
মানোবো এবং জলাভূমির অন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে মাছ ধরা হলো জীবিকার প্রধান উৎস। এখানকার বাস্তুতন্ত্র এবং এতে তাদের নিজস্ব জায়গাকে সম্মান জানানো আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনও এর সঙ্গে জড়িত। তারা গান ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের চারপাশের জলাভূমির প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
‘আমাদের পূর্বপুরুষ, আত্মা ও দেবতাদের মতোই লোনা পানির কুমির, মিঠা পানির মাছ এবং পরিযায়ী পাখিরা জলাভূমির আদি বাসিন্দা। তারা এই জলের ওপর নির্ভর করে।’ বলেন বেনোনি হ্রদের গভীরে অবস্থিত বসতির মানোবো গোত্র প্রধান দাতু দুরাঙ্গো।
তাদের বাড়িঘর ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধ করলেও মানোবোরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিস্তৃত পরিণতির বাইরে নয়। গবেষকেরা দীর্ঘায়িত খরার মতো হুমকির কথা বলেছেন। যেমন পাম তেলের চাহিদার কারণে পিটল্যান্ডগুলো (গাছপালা পচে মাটির সঙ্গে মিশে যে গাঢ় বাদামি জমি তৈরি হয়) বাগানে পরিণত হয়েছে। কাঠ চোরাচালান বিপন্ন এবং স্থানীয় গাছকে হুমকির সম্মুখীন করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানোবোরা, যাদের গোটা অস্তিত্ব পানির ওপর নির্ভরশীল, আরেকটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেটি বছরের কখনো কখনো পানির স্বল্পতা।
উচ্চ তাপের কারণে সৃষ্ট খরায় আশপাশের ভাসমান আবাসস্থল এবং মূলভূমির বিভিন্ন বাজার, খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলপথে চলাচলে সমস্যায় পড়ছে।
আগুসান জলাভূমির পানলাবুহাস হ্রদের মানাবো বসতির ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে গোত্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন দাতু বয়েস রেয়েজ। তিনি মানোবো ছাড়া অন্যদেরও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার এবং এটি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা উপলব্ধির চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্যরা যে ঘরগুলো তৈরি করে তা এখনো একই মাটি, গাছ ও জল থেকে আসে। ‘যদি আমরা পানিকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করি, তাহলে এটিও আমাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে নেবে। এটিই এর প্রকৃতি।’ বলেন তিনি, ‘কারণ জলাভূমিটির নামের অর্থ এটাই, আগুসান মানে যেখানে জল প্রবাহিত হয়।’

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেখার কিছু আছে? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অবলম্বনে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এ লেখাটিতে।
দক্ষিণ ফিলিপাইনের মানোবো আদিবাসীদের একজন দলনেত্রী মারিতেস বাবানতোর মনের পর্দায় এখনো উজ্জ্বল ২০১২ সালে তাঁদের গ্রামে আঘাত হানা টাইফুনের স্মৃতি।
নদী, হ্রদ আর জলা নিয়ে গঠিত আগুসান মার্শল্যান্ডে বাবানতো এবং তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস। ওই সময় প্রবল বৃষ্টিতে জলাভূমির পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট)। অর্থাৎ একটি তিনতলা দালানের সমান। তবে গ্রামবাসীর বাড়িগুলো এই পরিস্থিতিতেও জলের ওপর ভেসে থাকে। প্রাচীন পন্থাই তাদের বাঁচিয়ে দিল ডুবে যাওয়া থেকে।
‘আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা কখনো এমন ঝড় দেখিনি। বাতাসের গর্জন ছিল প্রচণ্ড। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশি নিরাপত্তার আশায় সবাইকে ভাসমান হলের মধ্যে জড়ো করেছিলাম আমরা।’ বলেন মারিতেস বাবানতো।
টাইফুন বোফা কিংবা টাইফুন পাবলো নামে পরিচিত প্রবল ওই ঝড়ে দুই হাজারের মানুষের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোসহ বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয় ফিলিপাইন। কিন্তু বাবানতো এবং তাঁর প্রতিবেশীরা ঝড়ের পরে আবিষ্কার করেন তাঁদের ঘরগুলো অক্ষত আছে। স্বাভাবিক ঝড়-বন্যা মোকাবিলায় ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা মাচার ওপর তৈরি করা হয় এগুলো। তাঁদের কৌশল এমনকি প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের বিরুদ্ধেও কাজে লেগে যায়।
মানোবোদের ভাসমান বাড়িসহ অন্য উদ্ভাবন এবং অনুশীলন তাদের ডাঙা ও জলের রাজ্যের মিশ্রণে গড়ে ওঠা আশ্চর্য এক অঞ্চলে বাস করতে সহায়তা করে। গবেষকদের এর প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। অন্য সম্প্রদায়ের জন্যও বৈরী আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
আগুসান মার্শল্যান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজারের মতো মানোবোর বাস। জলাভূমি আর জলকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তাদের জীবন। এখানে কোনো রাস্তা নেই। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি কিংবা জায়গার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করছে নদী আর হ্রদ।
বাবানতোর দিন শুরু হয় বারোতো নামে পরিচিত তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্যানু বা নৌকা নিয়ে যাত্রার মাধ্যমে। একটার পর একটা বাড়ি, আদিবাসীদের একত্রিত হওয়ার হল, স্কুল, উপাসনালয়, পশুর খোঁয়াড়কে পাশ কাটিয়ে নৌকা চালান তিনি। আর তার পেরিয়ে আসা প্রতিটি কাঠামোই ভাসমান। নৌকাতে চেপেই নিজের হাঁস, মুরগি ও শূকরের ছোট খোঁয়াড়গুলোয় যান খাবার দিতে। ভাগনে ও ভাগনিদের তাঁদের ছোট ছোট বারাতোতে চাপিয়ে পাঠান স্কুলে।
এ ধরনের জলা জায়গায় বসবাস করা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বন্যা একটি অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টির মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পানির উচ্চতা যায় বেড়ে। এদিকে শুকনো মৌসুমে পানির উচ্চতা কমে যায়। পানির এই ওঠানামার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো ভেলার মতো প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চের ওপর নিজেদের একতলা বা দোতলা ঘরগুলো তৈরি করে মানোবোরা। এই মঞ্চগুলো ভেসে থাকে, সেই সূত্রে ভেসে থাকে ঘরগুলিও।
প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চগুলো ভারী দড়ি ও লতা ব্যবহার করে বাংকাল নামের একধরনের গাছের চারপাশে নোঙর করা হয়। জলাভূমির এ ধরনের গাছগুলো বন্যা উপদ্রুত এসব হ্রদ ও জলার মাঝখানে জন্মে।
বাবানতো জানান, নিয়মিত বন্যার চেয়ে বরং ক্রমেই বাড়তে থাকা বাতাসের গতি নিয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন। বন্যার একটি উপকারও তাঁর চোখে পড়ে, ‘পানি যত বেশি থাকে, তত বেশি মাছ আমরা ধরতে পারি।’
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝড় ও বন্যাকে আরও তীব্র, শক্তিশালী এবং নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে। সে ক্ষেত্রে ভাসমান বাড়ির সম্ভাব্য সুবিধাগুলো এগুলোর উদ্ভাবক সম্প্রদায়টির বাইরে অন্যদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এমন ভাসমান বাড়ি বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্বীপদেশগুলোতে হুমকির মুখে থাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিপাইনের স্থপতি ও নগর নকশা গবেষক ফ্রান্সিসকা মেজিয়া চাকরি করেন নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে। তাঁর মতে, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করতে মানোবোর মতো আদিবাসীদের সংস্কৃতির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, ভাসমান বাড়িগুলোর মতো আদিবাসী উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে তাদের প্রকৃতি এবং জমির সংরক্ষণের বিষয়টি জড়িত। কাজেই গোটা বিষয়টি উপলব্ধি করাটাই এ ক্ষেত্রে জরুরি।
ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের কেন্দ্রে জলাভূমি, পিটল্যান্ড ও ৫৯টি হ্রদের সমন্বয়ে ১৪ হাজার ৮০০ হেক্টরের আগুসান মার্শল্যান্ড বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। আর এখানে বাস ভাসমান এই বসতির।
মানোবো এবং জলাভূমির অন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে মাছ ধরা হলো জীবিকার প্রধান উৎস। এখানকার বাস্তুতন্ত্র এবং এতে তাদের নিজস্ব জায়গাকে সম্মান জানানো আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনও এর সঙ্গে জড়িত। তারা গান ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের চারপাশের জলাভূমির প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
‘আমাদের পূর্বপুরুষ, আত্মা ও দেবতাদের মতোই লোনা পানির কুমির, মিঠা পানির মাছ এবং পরিযায়ী পাখিরা জলাভূমির আদি বাসিন্দা। তারা এই জলের ওপর নির্ভর করে।’ বলেন বেনোনি হ্রদের গভীরে অবস্থিত বসতির মানোবো গোত্র প্রধান দাতু দুরাঙ্গো।
তাদের বাড়িঘর ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধ করলেও মানোবোরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিস্তৃত পরিণতির বাইরে নয়। গবেষকেরা দীর্ঘায়িত খরার মতো হুমকির কথা বলেছেন। যেমন পাম তেলের চাহিদার কারণে পিটল্যান্ডগুলো (গাছপালা পচে মাটির সঙ্গে মিশে যে গাঢ় বাদামি জমি তৈরি হয়) বাগানে পরিণত হয়েছে। কাঠ চোরাচালান বিপন্ন এবং স্থানীয় গাছকে হুমকির সম্মুখীন করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানোবোরা, যাদের গোটা অস্তিত্ব পানির ওপর নির্ভরশীল, আরেকটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেটি বছরের কখনো কখনো পানির স্বল্পতা।
উচ্চ তাপের কারণে সৃষ্ট খরায় আশপাশের ভাসমান আবাসস্থল এবং মূলভূমির বিভিন্ন বাজার, খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলপথে চলাচলে সমস্যায় পড়ছে।
আগুসান জলাভূমির পানলাবুহাস হ্রদের মানাবো বসতির ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে গোত্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন দাতু বয়েস রেয়েজ। তিনি মানোবো ছাড়া অন্যদেরও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার এবং এটি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা উপলব্ধির চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্যরা যে ঘরগুলো তৈরি করে তা এখনো একই মাটি, গাছ ও জল থেকে আসে। ‘যদি আমরা পানিকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করি, তাহলে এটিও আমাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে নেবে। এটিই এর প্রকৃতি।’ বলেন তিনি, ‘কারণ জলাভূমিটির নামের অর্থ এটাই, আগুসান মানে যেখানে জল প্রবাহিত হয়।’

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেখার কিছু আছে? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অবলম্বনে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে এ লেখাটিতে।
দক্ষিণ ফিলিপাইনের মানোবো আদিবাসীদের একজন দলনেত্রী মারিতেস বাবানতোর মনের পর্দায় এখনো উজ্জ্বল ২০১২ সালে তাঁদের গ্রামে আঘাত হানা টাইফুনের স্মৃতি।
নদী, হ্রদ আর জলা নিয়ে গঠিত আগুসান মার্শল্যান্ডে বাবানতো এবং তাঁর সম্প্রদায়ের লোকেদের বাস। ওই সময় প্রবল বৃষ্টিতে জলাভূমির পানির উচ্চতা বেড়ে যায় ১০ মিটার (৩৩ ফুট)। অর্থাৎ একটি তিনতলা দালানের সমান। তবে গ্রামবাসীর বাড়িগুলো এই পরিস্থিতিতেও জলের ওপর ভেসে থাকে। প্রাচীন পন্থাই তাদের বাঁচিয়ে দিল ডুবে যাওয়া থেকে।
‘আমাদের সম্প্রদায়ের লোকেরা কখনো এমন ঝড় দেখিনি। বাতাসের গর্জন ছিল প্রচণ্ড। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশি নিরাপত্তার আশায় সবাইকে ভাসমান হলের মধ্যে জড়ো করেছিলাম আমরা।’ বলেন মারিতেস বাবানতো।
টাইফুন বোফা কিংবা টাইফুন পাবলো নামে পরিচিত প্রবল ওই ঝড়ে দুই হাজারের মানুষের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি অবকাঠামোসহ বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয় ফিলিপাইন। কিন্তু বাবানতো এবং তাঁর প্রতিবেশীরা ঝড়ের পরে আবিষ্কার করেন তাঁদের ঘরগুলো অক্ষত আছে। স্বাভাবিক ঝড়-বন্যা মোকাবিলায় ভাসমান প্ল্যাটফর্ম বা মাচার ওপর তৈরি করা হয় এগুলো। তাঁদের কৌশল এমনকি প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের বিরুদ্ধেও কাজে লেগে যায়।
মানোবোদের ভাসমান বাড়িসহ অন্য উদ্ভাবন এবং অনুশীলন তাদের ডাঙা ও জলের রাজ্যের মিশ্রণে গড়ে ওঠা আশ্চর্য এক অঞ্চলে বাস করতে সহায়তা করে। গবেষকদের এর প্রতি আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। অন্য সম্প্রদায়ের জন্যও বৈরী আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে এটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন তাঁরা।
আগুসান মার্শল্যান্ডে ২ লাখ ৯০ হাজারের মতো মানোবোর বাস। জলাভূমি আর জলকে ঘিরেই আবর্তিত হয় তাদের জীবন। এখানে কোনো রাস্তা নেই। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি কিংবা জায়গার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করছে নদী আর হ্রদ।
বাবানতোর দিন শুরু হয় বারোতো নামে পরিচিত তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্যানু বা নৌকা নিয়ে যাত্রার মাধ্যমে। একটার পর একটা বাড়ি, আদিবাসীদের একত্রিত হওয়ার হল, স্কুল, উপাসনালয়, পশুর খোঁয়াড়কে পাশ কাটিয়ে নৌকা চালান তিনি। আর তার পেরিয়ে আসা প্রতিটি কাঠামোই ভাসমান। নৌকাতে চেপেই নিজের হাঁস, মুরগি ও শূকরের ছোট খোঁয়াড়গুলোয় যান খাবার দিতে। ভাগনে ও ভাগনিদের তাঁদের ছোট ছোট বারাতোতে চাপিয়ে পাঠান স্কুলে।
এ ধরনের জলা জায়গায় বসবাস করা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বন্যা একটি অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টির মৌসুমে ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পানির উচ্চতা যায় বেড়ে। এদিকে শুকনো মৌসুমে পানির উচ্চতা কমে যায়। পানির এই ওঠানামার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বানানো ভেলার মতো প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চের ওপর নিজেদের একতলা বা দোতলা ঘরগুলো তৈরি করে মানোবোরা। এই মঞ্চগুলো ভেসে থাকে, সেই সূত্রে ভেসে থাকে ঘরগুলিও।
প্ল্যাটফর্ম বা মঞ্চগুলো ভারী দড়ি ও লতা ব্যবহার করে বাংকাল নামের একধরনের গাছের চারপাশে নোঙর করা হয়। জলাভূমির এ ধরনের গাছগুলো বন্যা উপদ্রুত এসব হ্রদ ও জলার মাঝখানে জন্মে।
বাবানতো জানান, নিয়মিত বন্যার চেয়ে বরং ক্রমেই বাড়তে থাকা বাতাসের গতি নিয়ে বেশি আতঙ্কে থাকেন। বন্যার একটি উপকারও তাঁর চোখে পড়ে, ‘পানি যত বেশি থাকে, তত বেশি মাছ আমরা ধরতে পারি।’
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝড় ও বন্যাকে আরও তীব্র, শক্তিশালী এবং নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে। সে ক্ষেত্রে ভাসমান বাড়ির সম্ভাব্য সুবিধাগুলো এগুলোর উদ্ভাবক সম্প্রদায়টির বাইরে অন্যদেরও মনোযোগ আকর্ষণ করছে। এমন ভাসমান বাড়ি বন্যা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্বীপদেশগুলোতে হুমকির মুখে থাকা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ফিলিপাইনের স্থপতি ও নগর নকশা গবেষক ফ্রান্সিসকা মেজিয়া চাকরি করেন নেদারল্যান্ডসের ডেলফট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে। তাঁর মতে, বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করতে মানোবোর মতো আদিবাসীদের সংস্কৃতির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। তবে তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, ভাসমান বাড়িগুলোর মতো আদিবাসী উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে তাদের প্রকৃতি এবং জমির সংরক্ষণের বিষয়টি জড়িত। কাজেই গোটা বিষয়টি উপলব্ধি করাটাই এ ক্ষেত্রে জরুরি।
ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ের কেন্দ্রে জলাভূমি, পিটল্যান্ড ও ৫৯টি হ্রদের সমন্বয়ে ১৪ হাজার ৮০০ হেক্টরের আগুসান মার্শল্যান্ড বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের অবস্থান। আর এখানে বাস ভাসমান এই বসতির।
মানোবো এবং জলাভূমির অন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে মাছ ধরা হলো জীবিকার প্রধান উৎস। এখানকার বাস্তুতন্ত্র এবং এতে তাদের নিজস্ব জায়গাকে সম্মান জানানো আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনও এর সঙ্গে জড়িত। তারা গান ও প্রার্থনার মাধ্যমে তাদের চারপাশের জলাভূমির প্রাণীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
‘আমাদের পূর্বপুরুষ, আত্মা ও দেবতাদের মতোই লোনা পানির কুমির, মিঠা পানির মাছ এবং পরিযায়ী পাখিরা জলাভূমির আদি বাসিন্দা। তারা এই জলের ওপর নির্ভর করে।’ বলেন বেনোনি হ্রদের গভীরে অবস্থিত বসতির মানোবো গোত্র প্রধান দাতু দুরাঙ্গো।
তাদের বাড়িঘর ঝড় ও বন্যা প্রতিরোধ করলেও মানোবোরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিস্তৃত পরিণতির বাইরে নয়। গবেষকেরা দীর্ঘায়িত খরার মতো হুমকির কথা বলেছেন। যেমন পাম তেলের চাহিদার কারণে পিটল্যান্ডগুলো (গাছপালা পচে মাটির সঙ্গে মিশে যে গাঢ় বাদামি জমি তৈরি হয়) বাগানে পরিণত হয়েছে। কাঠ চোরাচালান বিপন্ন এবং স্থানীয় গাছকে হুমকির সম্মুখীন করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মানোবোরা, যাদের গোটা অস্তিত্ব পানির ওপর নির্ভরশীল, আরেকটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেটি বছরের কখনো কখনো পানির স্বল্পতা।
উচ্চ তাপের কারণে সৃষ্ট খরায় আশপাশের ভাসমান আবাসস্থল এবং মূলভূমির বিভিন্ন বাজার, খামার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলপথে চলাচলে সমস্যায় পড়ছে।
আগুসান জলাভূমির পানলাবুহাস হ্রদের মানাবো বসতির ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে গোত্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন দাতু বয়েস রেয়েজ। তিনি মানোবো ছাড়া অন্যদেরও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার এবং এটি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা উপলব্ধির চেষ্টা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি মনে করিয়ে দেন, অন্যরা যে ঘরগুলো তৈরি করে তা এখনো একই মাটি, গাছ ও জল থেকে আসে। ‘যদি আমরা পানিকে রক্ষা করার উপায় খুঁজে বের করি, তাহলে এটিও আমাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে নেবে। এটিই এর প্রকৃতি।’ বলেন তিনি, ‘কারণ জলাভূমিটির নামের অর্থ এটাই, আগুসান মানে যেখানে জল প্রবাহিত হয়।’

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৭ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেোর কিছু আছে?
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেোর কিছু আছে?
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৭ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেোর কিছু আছে?
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৭ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

ফিলিপাইনের জলাভূমি অঞ্চলে বাস মানোবো আদিবাসীদের। প্রতিবছর কয়েক ডজন ঝড়-বন্যার মুখোমুখি হয় তারা। কিন্তু দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো সামলেও নেয়। কিন্তু কী কৌশল ব্যবহার করে সফল হচ্ছে মানোবোরা? এখান থেকে কী অন্যদেরও শেোর কিছু আছে?
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৭ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে