Ajker Patrika

বাংলাদেশের গর্ভবতী নারীদের এক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকিতে ফেলছে লবণাক্ততা: গবেষণা

আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ২১
বাংলাদেশের গর্ভবতী নারীদের এক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকিতে ফেলছে লবণাক্ততা: গবেষণা

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছোট্ট জনাকীর্ণ এক ওয়ার্ডে শুয়ে আছেন প্রসূতি মা ও অন্য গর্ভবতী নারীরা। মাথার ওপর সশব্দে ঘুরছে বহু পুরোনো ফ্যান। এক ঘরেই ২০ জনের বেশি নারী রয়েছেন গাদাগাদি করে। মাঝে নেই কোনো পর্দা। খুলনার দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ম্যাটারনিটি ওয়ার্ডে গেলেই এমন চিত্র চোখে পড়বে।

ওয়ার্ডের এক শয্যায় আছেন ২৩ বছর বয়সী সুপ্রিয়া রায়। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম গর্ভাবস্থায় বেশ জটিলতা ছিল। সময়ের দুই মাস আগেই সন্তান প্রসব করতে হয়েছিল। তাই আমি এবারের সন্তান নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আমার উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়েছে, ডাক্তার প্রস্রাবে প্রোটিন পেয়েছেন। তাই এবার আমাকে বেশ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমার কৃত্রিমভাবে প্রসব বেদনা শুরু করার ব্যবস্থা করতে হতে পারে বা সিজার করতে হতে পারে।’

সুপ্রিয়ার প্রি-এক্লাম্পসিয়া বা গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতা রয়েছে। সাধারণত গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ থেকে বা সন্তান জন্ম দেওয়ার পরপরই কিছু নারীর মধ্যে এ ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়া পর্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সাধারণত গর্ভাবস্থার ৩৭ বা ৩৮ সপ্তাহ থেকেই এই পর্যবেক্ষণ শুরু হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও আগে থেকেও শুরু হতে পারে।

তবে সুপ্রিয়া একা নন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা দাকোপে আশঙ্কাজনক হারে গর্ভবতী নারীদের প্রি-এক্লাম্পসিয়া, এক্লাম্পসিয়া ও উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, খাওয়ার পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার কারণে এ ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

পরিবেশগত মহামারিবিদ্যার গবেষক আনির খান বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ। এটি গর্ভবতী নারীদের বিশেষ করে প্রি-এক্লাম্পসিয়ার ঝুঁকিতে ফেলে। এতে নারীর গুরুতর মাথাব্যথা, অঙ্গহানি এবং এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।’

২০০৮ সালে গর্ভবতী নারীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ এবং খাবার পানির উৎস থেকে লবণ গ্রহণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে প্রথম গবেষণা করেন আনির খান।

২০১১ সালে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজ ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের সঙ্গে দ্বিতীয় গবেষণা পরিচালনা করেন খান। এ গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, দাকোপের নারীদের মধ্যে লবণ গ্রহণের পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নিরাপদ মানের চেয়ে অনেক বেশি। প্রতিবেদনটি লবণ গ্রহণ এবং প্রি-এক্লাম্পসিয়া ও উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টির ঝুঁকির মধ্যে বেশ দৃঢ় সম্পর্ক নিশ্চিত করেছে।

দাকোপ দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু সংকটের প্রভাবের সামনের সারিতে রয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠী রান্না, খাওয়ার পানি এবং গোসলের জন্য নদী, পুকুর এবং ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে লবণাক্ত পানি প্রবেশের কারণে এই প্রাকৃতিক উৎসগুলো বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততায় দূষিত হচ্ছে।

হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ড. সন্তোষ কুমার বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন ঘূর্ণিঝড় আইলা আঘাত হানে তখন ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়, বাঁধ ভেঙে যায় ও পুরো এলাকা লবণাক্ত পানিতে তলিয়ে যায়। বেশির ভাগ মিঠাপানির অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলগুলো খাওয়ার পানির তীব্র সংকটে পড়েছে। তবে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাবের মাত্রা এখন মাত্র ধরা পড়া শুরু করেছে।’

আনির খানের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা দাকোপের পানিতে লবণাক্ততা কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে বিপরীত অভিস্রবণ (রিভার্স অসমোসিস), বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ভূগর্ভে পানি সংরক্ষণ। অ্যাকুইফার রিচার্জ বা ভূগর্ভে পানি সংরক্ষণ এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের পানি ভূগর্ভে পাঠিয়ে অ্যাকুইফারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা, যা পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য উত্তোলন করা হয়। এটি প্রাকৃতিকভাবেও ঘটে। আবার দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় কৃত্রিম উপায়ে করা হয়।

এই নতুন পদক্ষেপগুলো কার্যকর কি না তা দেখতে ২০১৯ সালে আবার দাকোপে ফিরে যান আনির খান। গবেষণার জন্য প্রায় ৭৪০ নারীর সাক্ষাৎকার নেন খান। স্থানীয়দের মধ্যে এখনো উচ্চ রক্তচাপ আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখেন তিনি। তবে কোভিডের স্বাস্থ্যবিধির কারণে সমীক্ষা সম্পন্ন করতে পারেননি তিনি। খান এখন ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের সঙ্গে একটি নতুন গবেষণার পরিকল্পনা করছেন। এতে পদক্ষেপগুলো বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কি না তা মূল্যায়ন করা হবে।

এদিকে দাকোপে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করছেন ড. সন্তোষ কুমার। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ভবিষ্যতে এখানে লবণাক্ততার সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। এ অঞ্চলের সব নারী ও মেয়ে শিশুরা হুমকির মুখে আছে। নিরাপদ খাবার পানির অভাবে তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে।’ 

প্রায় ২০ বছর ধরে স্বাস্থ্যকর্মীর কাজ করছেন নির্মলা সরকার (৫৬)। প্রতিদিন তিনি দাকোপের বিভিন্ন গ্রামে সুপেয় পানি পান করার গুরুত্ব বোঝাতে দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়ান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসংক্রান্ত উচ্চ উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও, এখানকার বেশির ভাগ মানুষ ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততা এবং এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নয়।

দাকোপে প্রায় পাঁচ হাজার গর্ভবতী নারীকে দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ ও সেবা দিয়েছেন নির্মলা সরকার। তিনি তাঁদের নিয়মিত চেকআপ করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত সেশন করে থাকেন। এ সেশনে নারীরা স্বাস্থ্যগত যেকোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

নির্মলা বলেন, ‘মূল সমস্যা হচ্ছে, সচেতনতার অভাব। গর্ভকালীন সঠিক যত্ন এবং নিরাপদ খাওয়ার পানি পানের অভ্যাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ালে স্বাস্থ্যগত উন্নতি করা সম্ভব হবে, যা সরাসরি মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।’ সহজে গ্রামে বিতরণ করা যায় এমন তথ্য ও উপকরণ তৈরি করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনাগত শিশুর ওপরও প্রভাব ফেলে প্রি-এক্লাম্পসিয়া। আক্রান্ত মায়েদের গর্ভেই সন্তানের মৃত্যু ঘটার ঝুঁকি থাকে, সন্তান কম ওজনের হতে পারে বা ভ্রূণের বিকাশে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে আকারে স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হতে পারে। জন্মের আগেই অপুষ্টিতে ভুগলে শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তৈরি হয় এবং তাদের মধ্যে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দেয়।

দাকোপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে একটি ব্যস্ত বাজারে ছোট ভ্যানে করে খালি ব্যারেল ও কনটেইনার নিয়ে বসে লোকেরা। বেশ কয়েকটি দোকানে গ্যালনে করে পরিষ্কার ও ফিল্টার করা পানি বিক্রি করা হয়।

এখানে অনেক পরিবারই ফিল্টার করা পানি বা বড় পানির ট্যাংকি কেনার জন্য ঋণ নিয়ে থাকেন। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমিয়ে রাখা যায়, তবে এর জন্য বাসা বাড়িতে বড় ট্যাংকির প্রয়োজন। দাকোপে বেশির ভাগ পরিবারের জন্য এটি সম্ভব নয়। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে খড়ের চালা। বাংলাদেশ সরকার ওই অঞ্চলের স্কুল ও অন্যান্য ভবনের ছাদে ট্যাংকি স্থাপন করেছে। কিন্তু মানুষকে পানি সংগ্রহ করতে দূর-দূরান্তে যেতে হয় এবং লম্বা লাইন ধরে অপেক্ষা করতে হয়।

ড. সন্তোষ কুমার বলেন, ‘পরিষ্কার ও নিরাপদ সুপেয় পানি সবার মৌলিক অধিকার। কারওরই লবণাক্ত পানি পান করে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি নেওয়া উচিত না।’ এরপরও বাংলাদেশ জলবায়ু বিপর্যয়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতার শেষ সীমায় পৌঁছে যাওয়ায় দাকোপের পানি সংকট আরও বাড়তে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে পারব না। তাই আমাদের অবশ্যই বিকল্প হিসেবে আরও টেকসই উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জেঁকে বসেছে শীত, বছরের শেষ দিন পর্যন্ত কমতে পারে তাপমাত্রা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

মধ্য পৌষে এসে সারা দেশে শীত যেন জেঁকে বসেছে। গতকালের তুলনায় আজ রোববার তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এর সঙ্গে পড়বে ঘন কুয়াশা।

আজ বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নিকলীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ৩।

বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সকালে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, রংপুর, বরিশালে ১৩; ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৩, সিলেটে ১৪ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ১৬, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

সারা দেশে আজ রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়া আজ ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

২৯ ডিসেম্বরও পরিস্থিতির পরিবর্তন তেমন হবে না উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এদিন রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফের বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, ঢাকার বাতাস খুব অস্বাস্থ্যকর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ রোববার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২১৬, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪২৪, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো আফগানিস্তানের কাবুল (২৪৩), ভারতের কলকাতা (২১৪) ও পাকিস্তানের লাহোর (২০২)।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাপমাত্রা কমবে কি না জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫০
তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা
তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানী ঢাকায় আজ রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, যা গতকাল একই সময়ে ছিল ১৩ দশমিক ৫।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত দেশ কষ্টে খেটে খাওয়া মানুষ

  • গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে
  • শীতের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ
  • গরম কাপড় ব্যবহার ও কুসুম গরম পানি পানের পরামর্শ চিকিৎসকদের
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪০
কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাজের অপেক্ষায় বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী। ছবি: আজকের পত্রিকা

পৌষের প্রথম সপ্তাহে শীতের কামড় তেমন না থাকলেও মাঝামাঝি সময়ে এসে সারা দেশে ঘন কুয়াশার সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। তীব্র শীতে সারা দেশের জনজীবন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম, মধ্যাঞ্চল থেকে রাজধানীসহ সবখানেই শীতের দাপট। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবীসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

গতকাল শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। এ জেলার তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

চলতি সপ্তাহের শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের মধ্যে গত দুই দিন তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। ফলে শীত ও কুয়াশার এই পরিস্থিতি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।’

এর আগে গত শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও নীলফামারীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে।

তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালক, নির্মাণশ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের বেশির ভাগকেই খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হয়। যশোর শহরের বিভিন্ন শ্রমবাজারে প্রতিদিন যেখানে

৩০০-৪০০ মানুষ কাজের আশায় জড়ো হন, কাজকর্ম কম থাকায় সেখানে এখন সেই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। অনেকেই সকাল থেকে অপেক্ষা করে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

রিকশাচালক, নির্মাণশ্রমিক ও দিনমজুররা জানান, বেশি শীতের কারণে লোকজন ঘর থেকে কম বের হচ্ছে। নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ তেমন হাতে নেওয়া হচ্ছে না। এতে তাঁদের কাজ কমে গেছে। কিন্তু আয় কমলেও সংসারের ব্যয় তো কমছে না। এ চিত্র বগুড়া, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়।

বগুড়ায় গতকাল শনিবার মৌসুমের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসে লোকজনের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়।

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বগুড়ায় কয়েক দিন ধরেই শীতের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। শনিবার সকাল থেকেই জেলাজুড়ে ব্যাপক কুয়াশা এবং হিমেল বাতাস বয়ে গেছে। জেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়। এটিই এখন পর্যন্ত এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আগামী কয়েক দিন শীতের এমন তীব্রতা অব্যাহত থাকতে পারে।’

উত্তরের শেষ প্রান্ত, হিমালয়ের ঘেঁষা জেলা লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতা আরও বেশি। চরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় রুটিরুজি কমে গরিব মানুষ কষ্টে আছেন। সন্ধ্যার আগেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে পুরো এলাকা।

লালমনিরহাটের সীমান্তে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সুবল চন্দ্র বলেন, রাজারহাট ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী চার বা পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

লালমনিরহাটের প্রধান সড়কে ভারী কুয়াশায় যানবাহন চলাচল খুব কমে গেছে। ট্রাকচালক জামাল উদ্দিন বলেন, দিনে হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালালেও সন্ধ্যার পরে কিছুই দেখা যায় না। ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়াও জ্বালানি খরচ আর সময় অনেক বেশি লাগছে।

তিস্তার চরাঞ্চলের গোবর্ধন গ্রামের আবদুর রশিদ বলেন, ‘চরাঞ্চলে কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া অনেক বেশি। রাতে বিছানাও বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায়। এক-দুইটা পাতলা কম্বলে শরীর গরম হচ্ছে না। ফলে রাতেও ঘুমাতে পারছি না।’

মধ্য উত্তরের জেলা গাইবান্ধার আশপাশের এলাকাগুলোতে শীত ও কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড় বেড়েছে।

কুয়াশার প্রভাব আকাশ, নৌ ও সড়কপথে

ঘন কুয়াশার প্রভাব পড়েছে নৌ এবং আকাশপথেও। রাজধানী ঢাকায়ও কুয়াশার তীব্রতা বেড়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়াশার কারণে গতকাল সকালে আটটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণ করতে না পারায় তাদের বিকল্প বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে ঘন কুয়াশার কারণে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বাড়তি সতর্কতার জন্য সাড়ে ১৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখী হাজারো মানুষ। পরে গতকাল শনিবার সকালে ফের চালু করা হয় ফেরি। ঘন কুয়াশায় জামালপুরে যমুনা নদীতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা আটকে থাকার পর বর-কনেসহ ৪৭ যাত্রীকে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে।

বেড়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

শীতের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ। জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। চিকিৎসকেরা যথাযথ গরম কাপড় ব্যবহার ও কুসুম গরম পানি পান করা এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

বিভিন্ন জেলার প্রশাসন শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানালেও জানা গেছে, অনেক এলাকায় তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। বিশেষ করে শিশুদের গরম কাপড় ও কম্বলের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত