Ajker Patrika

ইত্যাদি এবার মৌলভীবাজারে, আয়োজনে যা যা থাকছে

আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ৩৬
ইত্যাদি এবার মৌলভীবাজারে, আয়োজনে যা যা থাকছে

আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিকড়ের সন্ধানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত অপূর্ব সুন্দর জেলা মৌলভীবাজারে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত কুরমা চা-বাগান আবৃত মাঠে। ঘন সবুজ অরণ্য, পাহাড়ের বুকে মুগ্ধতা ছড়ানো চায়ের বাগান, লেক আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে চা-গাছ দিয়ে মোড়ানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। অধিকাংশ সময়ই রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও এই স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে এবার দিনের আলোর পড়ন্ত আভায় ইত্যাদির ধারণ শুরু হয়।

অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয় ১৫ ডিসেম্বর। ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পুরো মৌলভীবাজার জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় চা-বাগানের মাঝখানে একখণ্ড জনসমুদ্র। কমলগঞ্জে ধারণ হলেও দর্শক আসেন ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিভিন্ন উপজেলা থেকেও। 

স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় বেলা ৩টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অনেক দর্শক আশপাশের টিলা, রাস্তা ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ইত্যাদির ধারণ উপভোগ করেন। ধারণ চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এই দীর্ঘ সময়ে অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেছেন তাদের প্রিয় অনুষ্ঠানের ধারণ।

এবারের আয়জনে থাকছে মৌলভীবাজারেরই স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনা। ছবি: ফাগুন অডিও ভিশনএবারের অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজারের সন্তান কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সিলেটের সন্তান তসিবা আঞ্চলিক ভাষায় একটি ভিন্নরকম প্রেমের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির কথা লিখেছেন রামাচরণ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ। উল্লেখ্য, তসিবার প্রথম টেলিভিশন যাত্রা শুরু হয়েছিল এই ইত্যাদির মাধ্যমেই। এ ছাড়া মৌলভীবাজারকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে এবং মেহেদির সংগীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন মৌলভীবাজারেরই স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন খাজা সালাউদ্দিন ঝন্টু, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম স্মরণ।

দর্শক পর্বের নিয়ম অনুযায়ী ধারণস্থান মৌলভীবাজারকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে চারজন দর্শক নির্বাচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাঙালি ও মণিপুরি সম্প্রদায়ের কয়েকজন নৃত্য ও বাদ্যযন্ত্রশিল্পী।

মঞ্চে থাকছে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। ছবি: ফাগুন অডিও ভিশনশেকড়সন্ধানী ইত্যাদি সব সময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচারবিমুখ, জনকল্যাণে নিবেদিত মানুষদের তুলে ধরার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে আসছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয়ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে মৌলভীবাজারের ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। ব্যতিক্রমী পলিথিনের হাটের ওপর রয়েছে আরেকটি জনসচেতনতামূলক প্রতিবেদন। সবশেষে রয়েছে একজন আদর্শ মায়ের হৃদয়ছোঁয়া স্বপ্নের গল্প। এবারের বিদেশি প্রতিবেদন পর্বে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত ‘এন সিউল টাওয়ার’-এর ওপর একটি প্রতিবেদন।

এ ছাড়া মৌলভীবাজারের মঞ্চে যথারীতি সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। চিঠিপত্র বিভাগে মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র ও স্মারক সংগ্রাহক হিসেবে পরিচিত শ্রীমঙ্গলের বিকুল চক্রবর্তীর কার্যক্রম তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন দেখানো হয়। নিয়মিত অন্যান্য পর্বসহ রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ। খাঁটি মাটির মানুষ, নিত্যপণ্যের মূল্যে নিম্নবিত্তের নাভিশ্বাস, দুয়ারে খাবার-দুশ্চিন্তায় অভিভাবক, তারকা বাজার, মূল্যহীনকে মূল্যবান বানানোর পরিণতি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের করুণ হাল, ঘরোয়া অশান্তি, অযথা কথা, ওপরে ওঠার শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ।

কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও তসিবা। ছবি: ফাগুন অডিও ভিশনএবারের ইত্যাদিতে উল্লেখযোগ্য শিল্পীরা হলেন সোলায়মান খোকা, জিয়াউল হাসান কিসলু, আবদুল্লাহ রানা, সুভাশীষ ভৌমিক, মাসুম বাশার, শফিক খান দিলু, মুকিত জাকারিয়া, জিল্লুর রহমান, শবনম পারভীন, মোমেনা চৌধুরী, জাহিদ শিকদার, নিপু, কামাল বায়েজিদ, আমিন আজাদ, বিলু বড়ুয়া, ইকবাল হোসেন, শাহেদ আলী, তারিক স্বপন, জামিল হোসেন, সুজাত শিমুল, মতিউর রহমান, মন্জুর আলম, সাদিয়া তানজিন, সুবর্ণা মজুমদার, বেলাল আহমেদ মুরাদ, নজরুল ইসলাম, সাবরিনা নিসা, আনোয়ারুল আলম সজল, দেবাশীষ মিঠুসহ আরও অনেকে। বরাবরের মতো এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্পনির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসেবে ছিলেন যথারীতি রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন।

গণমানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির এই পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পনসর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের নাটকে মৌ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিজয় দিবসের নাটকে মৌ
‘ডাক্তার বাড়ি’ নাটকে মৌ। ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে নাটকটি।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে নাটক নির্মাণ করছেন অরুণ চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নির্মাণ করেছেন নাটক ডাক্তার বাড়ি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা একটি বাড়ি থেকে কীভাবে সহায়তা পেয়েছিলেন, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক ডাক্তারের মেয়ে মল্লিকা তার বাবাকে না জানিয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দেয়। একসময় দুষ্কৃতকারীরা ডাক্তারকে হুমকি দেয় বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বের করে দিতে হবে। ভয় পেয়ে যায় সে। কিন্তু মল্লিকা তার বাবাকে বোঝায় একটা দিন অপেক্ষা করার জন্য। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জে হয়েছে নাটকটির শুটিং।

ডাক্তার বাড়ি নাটকে মল্লিকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌ। তাঁর বাবার চরিত্রে আছেন নরেশ ভুঁইয়া। মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে আহসান হাবিব নাসিমকে। নতুন এই নাটক নিয়ে মৌ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কাজ অনেক কম করা হয়েছে আমার। খুব ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি গল্পে অভিনয় করতে পেরে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ধারণ করতে।’

নির্মাতা অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একটি বাড়ির গল্প। গল্প অনুযায়ী পর্দায় সেই সময়ের আবহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুটিং করেছি নবাবগঞ্জের একটি পুরোনো বাড়িতে। দর্শকের ভালো লাগলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।’

এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে মৌ অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘আর্তনাদ’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন আকা রেজা গালিব। প্রাথমিকভাবে নাম রাখা হয়েছে ‘গহীন অতল’। এই ওয়েব ফিল্মে মৌ অভিনয় করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। পুরো গল্প গড়ে উঠেছে তাঁকে ঘিরে। ফিল্মটির গল্পে দেখা যাবে, ঘটনাক্রমে এক রাতে মৌ অভিনীত চরিত্রটি খুন করে ফেলে তার মেয়ের গোপন প্রেমিককে। এই ঘটনা গোপন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুরস্কার পেল ‘সুলতানার স্বপ্ন’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আইইউবি থিয়েটার ক্লাবের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
আইইউবি থিয়েটার ক্লাবের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাম্ফিথিয়েটারে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নাটকের জন্য এই আয়োজনের শিরোপা জিতেছে আইইউবি থিয়েটার ক্লাব।

বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প ‘সুলতানাস ড্রিম’-এর বাংলা নাট্যরূপ ‘সুলতানার স্বপ্ন’। বেগম রোকেয়া এতে লেডিল্যান্ড নামে এক কল্পিত সমাজের মাধ্যমে নারী-সমতার ভাবনা তুলে ধরেছেন। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বপ্লীল সোহেল।

আইইউবি থিয়েটার ছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নাট্যদল। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (প্রথম রানার্সআপ), সরকারি তিতুমীর কলেজ (দ্বিতীয় রানার্সআপ), স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। এ প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব ছিলেন অভিনেতা ও নির্দেশক তারিক আনাম খান, কথাসাহিত্যিক মোজাফফর হোসেন এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ নিয়াজ মজুমদার।

গত ১৯ নভেম্বর আইইউবি অডিটরিয়ামে সুলতানার স্বপ্ন নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে। ৯ ডিসেম্বর এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তায় মঞ্চস্থ হয় তৃতীয় প্রদর্শনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০ হাজার কোটিতে আধুনিক শহর বানাচ্ছেন সালমান

বিনোদন ডেস্ক
সালমান খান। ছবি: সংগৃহীত
সালমান খান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের উদ্যোগ শুরু করতে চলেছেন সালমান খান। সে রাজ্যের সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মেগা টাউনশিপ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সালমান খান ভেঞ্চার্স। যেখানে লাইফস্টাইল, বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা, আবাসন, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রকে এক জায়গায় এনে তৈরি করা হবে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর।

প্রস্তাবিত এই টাউনশিপ শুধু আবাসিক এলাকা নয়, এটি হবে এমন এক গ্লোবাল এন্টারটেইনমেন্ট সিটি, যেখানে সবাই উপভোগ করতে পারবে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা। প্রকল্পের লক্ষ্য অনুযায়ী, এখানে ৫০০ একর জায়গাজুড়ে থাকবে অত্যাধুনিক ফিল্ম সিটি ও সিনেমা স্টুডিও, থিমভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যটন জোন, ওয়েলনেস ভিলেজ ও ন্যাচারাল হিলিং স্পেস, বিলাসবহুল হোটেল, রিসোর্ট, শপিং কমপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, লাইভ ইভেন্ট এরেনা, বিনোদনকেন্দ্র, উন্নত আবাসিক এলাকা, শিক্ষাকেন্দ্র ও স্মার্ট-সিটি সুবিধা।

এই টাউনশিপই হতে পারে ভারতের প্রথম এমন এক প্রকল্প, যেখানে সিনেমা, পর্যটন ও লাইফস্টাইল একসঙ্গে মিলিত হয়ে গড়ে তুলবে পূর্ণাঙ্গ বিনোদন-নগরী। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি কয়েক সপ্তাহ আগে মুম্বাইয়ে সালমান খানের সঙ্গে দেখা করে প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ইতিমধ্যেই জমি, নীতিছাড়, বিনিয়োগ কাঠামো ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্প রাজ্যের পর্যটনশিল্পকে বিপুলভাবে বাড়াবে এবং হাজার হাজার মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তেলেঙ্গানা দক্ষিণ ভারতের বিনোদন রাজধানী হিসেবে উঠে আসতে পারে। দক্ষিণ ভারতের সিনেমাশিল্প ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সেখানে বলিউড সুপারস্টারের উদ্যোগে এমন এক আন্তর্জাতিক মানের টাউনশিপ গড়ে উঠলে ভারতের চলচ্চিত্রশিল্প আরও বৃহৎ বাজার তৈরি করবে। তেলেঙ্গানা সরকারও মনে করছে, এই প্রকল্প আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের ওটিটি

‘ম্যান ভার্সেস বেবি’সহ মুক্তি পেল যেসব সিনেমা-সিরিজ

প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।

বিনোদন ডেস্ক
‘ম্যান ভার্সেস বেবি’ সিরিজের দৃশ্য
‘ম্যান ভার্সেস বেবি’ সিরিজের দৃশ্য

নূর (বাংলা সিনেমা)

  • মুক্তি: বায়স্কোপ প্লাস (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: আরিফিন শুভ, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী
  • গল্পসংক্ষেপ: মফস্বল এলাকার বোকাসোকা ছেলে নূর প্রেমে পড়ে শিউলীর। মিষ্টি প্রেমের সম্পর্ক হঠাৎই বাঁক নেয় করুণ দীর্ঘশ্বাসে। প্রেমিকা শিউলীকে হারিয়ে প্রায় পাগল হয়ে যায় নূর। সময় পেরিয়ে এরপর তাকে দেখা যায় বন্দী অবস্থায়। কেন নূরের জীবন অন্ধকার করে দিল শিউলী, তার রহস্য জানা যাবে গল্পে।

ডিমলাইট (বাংলা ওয়েব সিনেমা)

  • মুক্তি: চরকি (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: মোশাররফ করিম, তানজিকা আমিন, পারশা ইভানা
  • গল্পসংক্ষেপ: এতে শামসুজ্জামান নামের একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ। মধ্যবিত্ত পরিবারের এই মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় এক তরুণীর। তার প্রেমে পড়ে যায়। এই নতুন সম্পর্ক নিয়ে যখন পরিবারে অশান্তি শুরু হয়, তখন নিজের ভুল বুঝতে পারে শামসুজ্জামান।

কারমা কোর্মা (বাংলা সিরিজ)

  • মুক্তি: হইচই (১২ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, ঋতাভরী চক্রবর্তী
  • গল্পসংক্ষেপ: কর্মফল আর জীবনের দ্বন্দ্ব নিয়ে এই মার্ডার মিস্ট্রি। ভিন্ন সামাজিক শ্রেণির দুই নারীর রান্না ক্লাসে দেখা হওয়া এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রতিশোধের এক রহস্যময় আখ্যান। একটি খুনের তদন্ত করতে গিয়ে এই দুই নারীর সঙ্গে আলাপ হয় পুলিশ কর্মকর্তা ভুপেন ভাদুড়ির।

ম্যান ভার্সেস বেবি (ইংরেজি সিরিজ)

  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: রোয়ান অ্যাটকিনসন
  • গল্পসংক্ষেপ: এক স্কুলে কেয়ারটেকারের চাকরি নিয়েছে বিংলি। কয়েক দিন ধরে তার মন বেশ প্রফুল্ল। কারণ, স্কুলে ক্রিসমাসের ছুটি শুরু হচ্ছে। ক্লাসের শেষ দিন স্কুলের আশপাশে নাম-পরিচয়হীন দুই শিশুকে খুঁজে পায় বিংলি। কোনো অভিভাবক না পাওয়ায় তার ওপরই পড়ে শিশুদের দেখাশোনার ভার। তাদের সামলাতে গিয়ে একের পর এক ঝামেলায় পড়ে বিংলি।

সুপারম্যান (ইংরেজি সিনেমা)

  • মুক্তি: জিওহটস্টার (১১ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: ডেভিড কোরেন্সওয়েট, র‍্যাচেল ব্রসনাহান, নিকোলাস হল্ট
  • গল্পসংক্ষেপ: এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে বিতর্কিত হয়ে পড়ে সুপারম্যানের কর্মকাণ্ড। টেক বিলিয়নিয়ার লেক্স লুথর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক সংঘাত সৃষ্টি করে। চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় সুপারম্যান। সাহসী রিপোর্টার লোইস লেন এবং পোষা কুকুর ক্রিপ্টোর সাহায্য নিয়ে সুপারম্যান আবার জনসমর্থন ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত