জাহীদ রেজা নূর

ঢাকা: সত্যজিৎ রায়ের তথ্যচিত্র বেশির ভাগ সময়ই আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে। মূলত তাঁর তৈরি করা ফিচার ফিল্মগুলোর দিকেই চোখ থাকে মানুষের।
বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাস জানে, বিভিন্ন দেশের সেরা মনীষীদের নিয়ে অনেক তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। সেই মানুষদের জীবনের পথ অথবা তাঁদের শৈল্পিক পদচারণা বিবৃত হয়েছে তাতে। এসব তথ্যচিত্র নির্মাতাদের কেউ কেউ নির্মাণে রাখতে পেরেছেন তাঁর স্বকীয়তার স্বাক্ষর, বলেছেন নতুন কথা। আবার কেউ কেউ পেশাদারি ভঙ্গিতে স্রেফ তুলে ধরেছেন জীবনালেখ্য।
সত্যজিৎ রায়ও বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। তবে সেগুলোর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন নিয়ে করা তথ্যচিত্রটির কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হয়। রবীন্দ্রনাথের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে।
একটু আগে থেকেই শুরু করি। ১৯৫৯ সালে অনেকে বুঝতে পারলেন, বাংলা ভাষার সেরা কবির জন্মশতবার্ষিকী দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে, এখন কিছু একটা করা দরকার। তখন একটি শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি গঠন করা হলো। সেই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেয়, এ উপলক্ষে রবীন্দ্র–জীবনভিত্তিক একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হবে। কে করবেন ছবি নির্মাণ? কে লিখবেন চিত্রনাট্য? সত্যজিৎ রায় তো ছিলেনই। তবে তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিলেন আরও কেউ কেউ। সত্যজিৎকে যারা সমর্থন করলেন, তাঁরা বললেন, সত্যজিতের মধ্যে রাবীন্দ্রিকতা আছে। রবীন্দ্রনাথকে বোঝেন সত্যজিৎ। ১৯৬১ সালেই সত্যজিতের তিন কন্যা মুক্তি পায় (পোস্টমাস্টার, মনিহারা আর সমাপ্তি)। এর পর সত্যজিৎ রবীন্দ্রনাথের কাহিনি নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘নষ্টনীড়’ আর ‘ঘরে বাইরে’। আমরা অবশ্য তথ্যচিত্রটির দিকেই দৃষ্টি রাখব।
যারা সত্যজিতের মতো শিল্পীর হাতে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের কথা হলো—জন্মশতবার্ষিকীতে যদি ছবি করতেই হয়, তাহলে তার ভার দেওয়া উচিত কোনো ইতিহাসবিদকে। কারণ, ইতিহাসবিদই রবীন্দ্রনাথকে সাল অনুযায়ী তুলে ধরতে পারবেন। এটা ইতিহাসবিদেরই কাজ।
এই বিতর্ককে বাড়তে দেননি পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ছিলেন উদ্যাপন কমিটির একজন সদস্য। এ কথা নতুন করে বলার দরকার পড়ে না যে, রাজনীতিবিদের বাইরেও একজন ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে জওহরলাল নেহরুর সুনাম ছিল। নেহরু দৃঢ়ভাবে বললেন, তথ্যচিত্র নির্মাণ করা কোনো ইতিহাসবিদের কাজ নয়; এটা নির্মাণ করতে পারেন কোনো শিল্পী। কমিটির বেশির ভাগ সদস্য নেহরুর প্রস্তাবে সায় দিলেন। সত্যজিৎ রায় পেলেন ছবিটি তৈরি করার ভার। সত্যজিৎ রায়ের এই দায়িত্বভার পাওয়াটা আকস্মিক ব্যাপার ছিল না। যৌবনকাল থেকেই রবীন্দ্রনাথের গুণগ্রাহী ছিলেন সত্যজিৎ। সত্যজিৎ অবশ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি, তাঁর কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেননি, শুধু একবার তিনি রবীন্দ্রনাথকে দেখেছিলেন ও তাঁর বক্তব্য শুনেছিলেন শান্তিনিকেতনে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের নান্দনিক দর্শন, সামাজিক মূল্যবোধ বিপুলভাবে প্রভাব ফেলেছিল সত্যজিৎ রায়ের ওপর। সত্যজিৎ রায় রবীন্দ্রনাথের প্রভাববলয়ের ভেতরের মানুষ—এ কথা বলা হলে তা বাড়িয়ে বলা হবে না বোধ হয়। তাই তথ্যচিত্রের জন্য সেই রবীন্দ্রনাথকেই তুলে আনলেন সত্যজিৎ, যে রবীন্দ্রনাথ তাঁর পরিচিত।
এখন অনেকেই জেনে ফেলেছে, তথ্যচিত্রটি দুভাবে তৈরি হয়েছিল। একটি ছিল বড়, তাতে ছিল ছয়টি অংশ। এই তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছিল ইংরেজি ভাষায়। এখানে স্বয়ং সত্যজিৎ রায় কণ্ঠ দিয়েছিলেন। এই ছবি দেখানো হয়েছিল বাংলায়, আর বাইরের দেশগুলোয়। অন্যটিতে ছিল দুটি অংশ। ভারতের অন্যান্য প্রদেশে দেখানোর জন্য। অনেকগুলো ভাষায় তা নির্মিত হয়েছিল। যে প্রদেশে দেখানো হচ্ছিল, সে প্রদেশের ভাষায় তাতে কণ্ঠ দেওয়া হয়েছিল। আলোচিত হয়েছে বড় তথ্যচিত্রটিই।
তথ্যচিত্রটি শুরু হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু ও শেষকৃত্য দিয়ে। সেখানে নিরাসক্ত ভঙ্গিতে সত্যজিৎ ইংরেজিতে যা বলছেন, তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট কলকাতায় মারা গেছেন একজন মানুষ। তাঁর দেহ পোড়ানো হলো আগুনে। কিন্তু তিনি যে সম্পদ রেখে গেছেন, কোনো আগুনেরই ক্ষমতা নেই, তা পুড়িয়ে দেবে।’ শ্মশানের লেলিহান শিখার জায়গায় এর পর দেখা যায় ভোরের সূর্য, সেটাই প্রতিনিধিত্ব করে রবীন্দ্রনাথের। যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল উদ্যাপন কমিটিতে—কে বানাবেন ছবি, সে বিতর্কের গায়ে যেন কালি লেপে দিলেন সত্যজিৎ। ইতিহাসের পথ ধরে না এগিয়ে সূর্যের ছবি তুলে তিনি বলে দিলেন, ‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’। বাঙালি জীবনের সুকঠিন বাস্তবতায় ঠাকুর পরিবারের লড়াইকে টেনে আনলেন। রবীন্দ্রনাথের গল্প বলতে গিয়ে কবির শৈশব থেকে শুরু করেন না সত্যজিৎ, বরং চলে যান তাঁর পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুরের কাছে। দ্বারকানাথ ঠাকুরের গল্প বলে তিনি দর্শক–শ্রোতাকে প্রস্তুত করেন পরের দুই প্রজন্মের গল্প শোনার জন্য। পরের প্রজন্মের জীবনে দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রভাব একটি বড় বিষয়। যদিও একেবারে বিপরীতমুখী ভাবনার অধিকারী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মস্ত প্রভাব ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর, কিন্তু পুরো পরিবারের সংগ্রামী জীবনটা উঠে এসেছে দ্বারকানাথ ঠাকুরের মাধ্যমেই, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না।
ছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রীয় সমস্যায় পড়েছিলেন সত্যজিৎ। তথ্যচিত্র তৈরি করতে গেলে অনেক নির্মাতাই এ ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। ছবিটিকে প্রাণবন্ত ও সত্য করে তোলার জন্য, চলচ্চিত্রের ভাষা তৈরি করার জন্য এমন কিছু চলচ্চিত্রীয় উপাদান তিনি গ্রহণ করেন, যা ছবিটিকে বিশ্বাসযোগ্য ও উপভোগ্য করে তোলে। ছবির শুরুর দিকের অনেক কিছুই তাই পুনর্নির্মাণ করতে হয়। সেখানে নতুনভাবে অভিনয় করিয়ে ঘটনা তুলে আনতে হয়, তাতে রবীন্দ্রনাথের পরিবার উঠে আসে অনবদ্যভাবে। আর সেই পুনর্নির্মিত সেলুলয়েডের অন্তর ভেদ করে বাজতে থাকে সত্যজিতের প্রায় নিরাসক্ত বর্ণনার সুর। ছবিটি দেখলে যে কেউ এই অসাধারণ ব্যাপারটি লক্ষ্য করবেন। কিন্তু সবাই এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাবে না। ছবিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য কখনো কখনো যা করা হয়েছে, তাতে খাদ রয়েছে। যেমন, দ্বারকানাথ ঠাকুর লন্ডনের হাইডপার্কে যাচ্ছেন গাড়িতে চড়ে, সেটা দেখাচ্ছেন সত্যজিৎ, কিন্তু দর্শক দেখতে পাচ্ছে নাটকের পোশাকে গাড়িতে করে একজন চলেছেন পথে, পেছনে প্রজেক্টরে ভেসে উঠছে হাইডপার্ক। এই পুনর্নির্মাণের চিন্তা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র তথ্যের মাধ্যমে বিষয়টা তুলে ধরলে কাজটি সহজ হতো। কিন্তু সত্যজিৎ তো শুধু কাহিনি বর্ণনা করতে চাননি। তিনি তো মূর্ত করে তুলতে চেয়েছেন ঠাকুর পরিবারের যাত্রাপথ। সাধারণ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের পথ ধরে সত্যজিতের এই ছবির বিচার হয় না। তথ্যচিত্রের অভ্যাসের বাইরের একটা ব্যাপারই ঘটিয়েছেন তিনি। ধারাবাহিকভাবে জীবন বর্ণনার পথ বেছে না নিয়ে তিনি ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সঙ্গে রবীন্দ্র–জীবন যুক্ত করে তার আবেগীয় বর্ণনা দিয়ে দর্শককে আকৃষ্ট করেছেন।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন রবীন্দ্রনাথকে জমিদারী রক্ষার জন্য গ্রামবাংলায় পাঠান, তখনকার কোনো ছবিই তো পাওয়া যাচ্ছে না মহাফেজখানায়। সত্যজিৎ এখানেও করলেন পুনর্নির্মাণ। অবাক কাণ্ড হলো, এত বছর পরও সে এলাকার কৃষকের জীবনযাত্রা খুব কম বদলেছে। মনে হতে পারে, রবীন্দ্রনাথের জমিদারিতে তাঁরই উপস্থিতিতে বুঝি ছবি তোলা হলো।
ছবিতে রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষপর্ব যেখানে বর্ণনা করা হচ্ছে, সেখানে মূর্ত হয়ে উঠেছে তৎকালীন সংকট। ফ্যাসিজম, আর নাৎসিজমের অন্ধকারে পৃথিবী তখন নিমজ্জিত। সে সময়ই রবীন্দ্রনাথ তাঁর আশি বছরের জন্মদিন উপলক্ষে লিখলেন ‘সভ্যতার সংকট’। চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মতোই সত্যজিৎ রায় তা বর্ণনা করলেন। সাইরেনের শব্দ, মাদ্রিদে ভয়ার্ত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা, গুলিতে অবসিত মানুষের মৃত্যু—এ রকম অসংখ্য নৃশংস দৃশ্য একটার সঙ্গে একটা শুধু বদল হতে থাকে, আর তার সঙ্গে চলদে থাকে সভ্যতার সংকট নিয়ে রবীন্দ্রনাথের লেখা থেকে সত্যজিতের পাঠ। মানুষের প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তার পরাজয়ে তখন তিনি শোকার্ত। কিন্তু পর মুহূর্তেই ভেসে আসে কবির উচ্চারণ, ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব। আশা করব, মহাপ্রলয়ের পরে বৈরাগ্যের মেঘমুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আত্মপ্রকাশ হয়তো আরম্ভ হবে এই পূর্বাচলের সূর্যোদয়ের দিগন্ত থেকে।'
এবং তারপর?
এবং তারপর পর্দাজুড়ে ভোরের আকাশ, ধীরে ধীরে সূর্যোদয় হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ মূর্ত হয়ে ওঠেন। তথ্যচিত্রটিকে পরিণত করেন নান্দনিক এক শিল্পে।
এই তথ্যচিত্রের পেছনে বিস্তর সময় দিয়েছিলেন সত্যজিৎ। যেকোনো চলচ্চিত্র নির্মাণের চেয়েও বেশি সময় দিয়েছেন। ফিচার ফিল্ম আর তথ্যচিত্র এক নয়, সেটা হয়তো ছবি প্রলম্বিত হওয়ার একটা কারণ, কিন্তু সবচেয়ে বড় কারণ ছিল নির্মাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। নির্মাতা ছবিটিকে তৈরি করেছেন `আপন মনের মাধুরি মিশায়ে'।
কতটা সফল হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়? সত্যিই কি এই তথ্যচিত্রে শিল্পের শক্তি ছিল?
অন্য কিছু বলব না। শুধু একটি তথ্য দিয়েই আজকের লেখা শেষ করব।
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ছবিটি প্রদর্শিত হয় ১৯৬১ সালের ৪ মার্চ। সেদিন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মন ছিল খুব খারাপ। কাছের এক বন্ধু মারা গেছেন। তাই মন ছিল বিধ্বস্ত। বিধ্বস্ত মন নিয়েই তিনি দেখতে বসেছিলেন ছবিটি। ছবি শেষ হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের মানবিক আত্মবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে। বিধ্বস্ত নেহরু যেন তা থেকে প্রাণ খুঁজে পেলেন। এক ঘণ্টা আগের মুমূর্ষু অবস্থা কাটিয়ে উঠলেন তিনি। ফিরে পেলেন আত্মবিশ্বাস।
এর দু মাস পর যখন সত্যজিৎ রায়ের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছিলেন নেহরু, তখন তিনি সত্যজিৎ রায়ের এই অসামান্য সৃষ্টির কথা স্মরণ করেছিলেন শ্রদ্ধাভরে।

ঢাকা: সত্যজিৎ রায়ের তথ্যচিত্র বেশির ভাগ সময়ই আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে। মূলত তাঁর তৈরি করা ফিচার ফিল্মগুলোর দিকেই চোখ থাকে মানুষের।
বিশ্ব চলচ্চিত্র ইতিহাস জানে, বিভিন্ন দেশের সেরা মনীষীদের নিয়ে অনেক তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। সেই মানুষদের জীবনের পথ অথবা তাঁদের শৈল্পিক পদচারণা বিবৃত হয়েছে তাতে। এসব তথ্যচিত্র নির্মাতাদের কেউ কেউ নির্মাণে রাখতে পেরেছেন তাঁর স্বকীয়তার স্বাক্ষর, বলেছেন নতুন কথা। আবার কেউ কেউ পেশাদারি ভঙ্গিতে স্রেফ তুলে ধরেছেন জীবনালেখ্য।
সত্যজিৎ রায়ও বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। তবে সেগুলোর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন নিয়ে করা তথ্যচিত্রটির কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হয়। রবীন্দ্রনাথের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে নির্মিত ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে।
একটু আগে থেকেই শুরু করি। ১৯৫৯ সালে অনেকে বুঝতে পারলেন, বাংলা ভাষার সেরা কবির জন্মশতবার্ষিকী দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে, এখন কিছু একটা করা দরকার। তখন একটি শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি গঠন করা হলো। সেই কমিটিই সিদ্ধান্ত নেয়, এ উপলক্ষে রবীন্দ্র–জীবনভিত্তিক একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হবে। কে করবেন ছবি নির্মাণ? কে লিখবেন চিত্রনাট্য? সত্যজিৎ রায় তো ছিলেনই। তবে তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিলেন আরও কেউ কেউ। সত্যজিৎকে যারা সমর্থন করলেন, তাঁরা বললেন, সত্যজিতের মধ্যে রাবীন্দ্রিকতা আছে। রবীন্দ্রনাথকে বোঝেন সত্যজিৎ। ১৯৬১ সালেই সত্যজিতের তিন কন্যা মুক্তি পায় (পোস্টমাস্টার, মনিহারা আর সমাপ্তি)। এর পর সত্যজিৎ রবীন্দ্রনাথের কাহিনি নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘নষ্টনীড়’ আর ‘ঘরে বাইরে’। আমরা অবশ্য তথ্যচিত্রটির দিকেই দৃষ্টি রাখব।
যারা সত্যজিতের মতো শিল্পীর হাতে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের কথা হলো—জন্মশতবার্ষিকীতে যদি ছবি করতেই হয়, তাহলে তার ভার দেওয়া উচিত কোনো ইতিহাসবিদকে। কারণ, ইতিহাসবিদই রবীন্দ্রনাথকে সাল অনুযায়ী তুলে ধরতে পারবেন। এটা ইতিহাসবিদেরই কাজ।
এই বিতর্ককে বাড়তে দেননি পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ছিলেন উদ্যাপন কমিটির একজন সদস্য। এ কথা নতুন করে বলার দরকার পড়ে না যে, রাজনীতিবিদের বাইরেও একজন ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে জওহরলাল নেহরুর সুনাম ছিল। নেহরু দৃঢ়ভাবে বললেন, তথ্যচিত্র নির্মাণ করা কোনো ইতিহাসবিদের কাজ নয়; এটা নির্মাণ করতে পারেন কোনো শিল্পী। কমিটির বেশির ভাগ সদস্য নেহরুর প্রস্তাবে সায় দিলেন। সত্যজিৎ রায় পেলেন ছবিটি তৈরি করার ভার। সত্যজিৎ রায়ের এই দায়িত্বভার পাওয়াটা আকস্মিক ব্যাপার ছিল না। যৌবনকাল থেকেই রবীন্দ্রনাথের গুণগ্রাহী ছিলেন সত্যজিৎ। সত্যজিৎ অবশ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি, তাঁর কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেননি, শুধু একবার তিনি রবীন্দ্রনাথকে দেখেছিলেন ও তাঁর বক্তব্য শুনেছিলেন শান্তিনিকেতনে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের নান্দনিক দর্শন, সামাজিক মূল্যবোধ বিপুলভাবে প্রভাব ফেলেছিল সত্যজিৎ রায়ের ওপর। সত্যজিৎ রায় রবীন্দ্রনাথের প্রভাববলয়ের ভেতরের মানুষ—এ কথা বলা হলে তা বাড়িয়ে বলা হবে না বোধ হয়। তাই তথ্যচিত্রের জন্য সেই রবীন্দ্রনাথকেই তুলে আনলেন সত্যজিৎ, যে রবীন্দ্রনাথ তাঁর পরিচিত।
এখন অনেকেই জেনে ফেলেছে, তথ্যচিত্রটি দুভাবে তৈরি হয়েছিল। একটি ছিল বড়, তাতে ছিল ছয়টি অংশ। এই তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছিল ইংরেজি ভাষায়। এখানে স্বয়ং সত্যজিৎ রায় কণ্ঠ দিয়েছিলেন। এই ছবি দেখানো হয়েছিল বাংলায়, আর বাইরের দেশগুলোয়। অন্যটিতে ছিল দুটি অংশ। ভারতের অন্যান্য প্রদেশে দেখানোর জন্য। অনেকগুলো ভাষায় তা নির্মিত হয়েছিল। যে প্রদেশে দেখানো হচ্ছিল, সে প্রদেশের ভাষায় তাতে কণ্ঠ দেওয়া হয়েছিল। আলোচিত হয়েছে বড় তথ্যচিত্রটিই।
তথ্যচিত্রটি শুরু হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু ও শেষকৃত্য দিয়ে। সেখানে নিরাসক্ত ভঙ্গিতে সত্যজিৎ ইংরেজিতে যা বলছেন, তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট কলকাতায় মারা গেছেন একজন মানুষ। তাঁর দেহ পোড়ানো হলো আগুনে। কিন্তু তিনি যে সম্পদ রেখে গেছেন, কোনো আগুনেরই ক্ষমতা নেই, তা পুড়িয়ে দেবে।’ শ্মশানের লেলিহান শিখার জায়গায় এর পর দেখা যায় ভোরের সূর্য, সেটাই প্রতিনিধিত্ব করে রবীন্দ্রনাথের। যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল উদ্যাপন কমিটিতে—কে বানাবেন ছবি, সে বিতর্কের গায়ে যেন কালি লেপে দিলেন সত্যজিৎ। ইতিহাসের পথ ধরে না এগিয়ে সূর্যের ছবি তুলে তিনি বলে দিলেন, ‘তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ’। বাঙালি জীবনের সুকঠিন বাস্তবতায় ঠাকুর পরিবারের লড়াইকে টেনে আনলেন। রবীন্দ্রনাথের গল্প বলতে গিয়ে কবির শৈশব থেকে শুরু করেন না সত্যজিৎ, বরং চলে যান তাঁর পিতামহ দ্বারকানাথ ঠাকুরের কাছে। দ্বারকানাথ ঠাকুরের গল্প বলে তিনি দর্শক–শ্রোতাকে প্রস্তুত করেন পরের দুই প্রজন্মের গল্প শোনার জন্য। পরের প্রজন্মের জীবনে দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রভাব একটি বড় বিষয়। যদিও একেবারে বিপরীতমুখী ভাবনার অধিকারী দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মস্ত প্রভাব ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর, কিন্তু পুরো পরিবারের সংগ্রামী জীবনটা উঠে এসেছে দ্বারকানাথ ঠাকুরের মাধ্যমেই, সে কথা ভুলে গেলে চলবে না।
ছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রীয় সমস্যায় পড়েছিলেন সত্যজিৎ। তথ্যচিত্র তৈরি করতে গেলে অনেক নির্মাতাই এ ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন। ছবিটিকে প্রাণবন্ত ও সত্য করে তোলার জন্য, চলচ্চিত্রের ভাষা তৈরি করার জন্য এমন কিছু চলচ্চিত্রীয় উপাদান তিনি গ্রহণ করেন, যা ছবিটিকে বিশ্বাসযোগ্য ও উপভোগ্য করে তোলে। ছবির শুরুর দিকের অনেক কিছুই তাই পুনর্নির্মাণ করতে হয়। সেখানে নতুনভাবে অভিনয় করিয়ে ঘটনা তুলে আনতে হয়, তাতে রবীন্দ্রনাথের পরিবার উঠে আসে অনবদ্যভাবে। আর সেই পুনর্নির্মিত সেলুলয়েডের অন্তর ভেদ করে বাজতে থাকে সত্যজিতের প্রায় নিরাসক্ত বর্ণনার সুর। ছবিটি দেখলে যে কেউ এই অসাধারণ ব্যাপারটি লক্ষ্য করবেন। কিন্তু সবাই এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাবে না। ছবিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য কখনো কখনো যা করা হয়েছে, তাতে খাদ রয়েছে। যেমন, দ্বারকানাথ ঠাকুর লন্ডনের হাইডপার্কে যাচ্ছেন গাড়িতে চড়ে, সেটা দেখাচ্ছেন সত্যজিৎ, কিন্তু দর্শক দেখতে পাচ্ছে নাটকের পোশাকে গাড়িতে করে একজন চলেছেন পথে, পেছনে প্রজেক্টরে ভেসে উঠছে হাইডপার্ক। এই পুনর্নির্মাণের চিন্তা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র তথ্যের মাধ্যমে বিষয়টা তুলে ধরলে কাজটি সহজ হতো। কিন্তু সত্যজিৎ তো শুধু কাহিনি বর্ণনা করতে চাননি। তিনি তো মূর্ত করে তুলতে চেয়েছেন ঠাকুর পরিবারের যাত্রাপথ। সাধারণ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের পথ ধরে সত্যজিতের এই ছবির বিচার হয় না। তথ্যচিত্রের অভ্যাসের বাইরের একটা ব্যাপারই ঘটিয়েছেন তিনি। ধারাবাহিকভাবে জীবন বর্ণনার পথ বেছে না নিয়ে তিনি ঐতিহাসিক ঘটনাবলির সঙ্গে রবীন্দ্র–জীবন যুক্ত করে তার আবেগীয় বর্ণনা দিয়ে দর্শককে আকৃষ্ট করেছেন।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন রবীন্দ্রনাথকে জমিদারী রক্ষার জন্য গ্রামবাংলায় পাঠান, তখনকার কোনো ছবিই তো পাওয়া যাচ্ছে না মহাফেজখানায়। সত্যজিৎ এখানেও করলেন পুনর্নির্মাণ। অবাক কাণ্ড হলো, এত বছর পরও সে এলাকার কৃষকের জীবনযাত্রা খুব কম বদলেছে। মনে হতে পারে, রবীন্দ্রনাথের জমিদারিতে তাঁরই উপস্থিতিতে বুঝি ছবি তোলা হলো।
ছবিতে রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষপর্ব যেখানে বর্ণনা করা হচ্ছে, সেখানে মূর্ত হয়ে উঠেছে তৎকালীন সংকট। ফ্যাসিজম, আর নাৎসিজমের অন্ধকারে পৃথিবী তখন নিমজ্জিত। সে সময়ই রবীন্দ্রনাথ তাঁর আশি বছরের জন্মদিন উপলক্ষে লিখলেন ‘সভ্যতার সংকট’। চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মতোই সত্যজিৎ রায় তা বর্ণনা করলেন। সাইরেনের শব্দ, মাদ্রিদে ভয়ার্ত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা, গুলিতে অবসিত মানুষের মৃত্যু—এ রকম অসংখ্য নৃশংস দৃশ্য একটার সঙ্গে একটা শুধু বদল হতে থাকে, আর তার সঙ্গে চলদে থাকে সভ্যতার সংকট নিয়ে রবীন্দ্রনাথের লেখা থেকে সত্যজিতের পাঠ। মানুষের প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, তার পরাজয়ে তখন তিনি শোকার্ত। কিন্তু পর মুহূর্তেই ভেসে আসে কবির উচ্চারণ, ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব। আশা করব, মহাপ্রলয়ের পরে বৈরাগ্যের মেঘমুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আত্মপ্রকাশ হয়তো আরম্ভ হবে এই পূর্বাচলের সূর্যোদয়ের দিগন্ত থেকে।'
এবং তারপর?
এবং তারপর পর্দাজুড়ে ভোরের আকাশ, ধীরে ধীরে সূর্যোদয় হচ্ছে। আর এর মধ্য দিয়েই চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ মূর্ত হয়ে ওঠেন। তথ্যচিত্রটিকে পরিণত করেন নান্দনিক এক শিল্পে।
এই তথ্যচিত্রের পেছনে বিস্তর সময় দিয়েছিলেন সত্যজিৎ। যেকোনো চলচ্চিত্র নির্মাণের চেয়েও বেশি সময় দিয়েছেন। ফিচার ফিল্ম আর তথ্যচিত্র এক নয়, সেটা হয়তো ছবি প্রলম্বিত হওয়ার একটা কারণ, কিন্তু সবচেয়ে বড় কারণ ছিল নির্মাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। নির্মাতা ছবিটিকে তৈরি করেছেন `আপন মনের মাধুরি মিশায়ে'।
কতটা সফল হয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়? সত্যিই কি এই তথ্যচিত্রে শিল্পের শক্তি ছিল?
অন্য কিছু বলব না। শুধু একটি তথ্য দিয়েই আজকের লেখা শেষ করব।
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ছবিটি প্রদর্শিত হয় ১৯৬১ সালের ৪ মার্চ। সেদিন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মন ছিল খুব খারাপ। কাছের এক বন্ধু মারা গেছেন। তাই মন ছিল বিধ্বস্ত। বিধ্বস্ত মন নিয়েই তিনি দেখতে বসেছিলেন ছবিটি। ছবি শেষ হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের মানবিক আত্মবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে। বিধ্বস্ত নেহরু যেন তা থেকে প্রাণ খুঁজে পেলেন। এক ঘণ্টা আগের মুমূর্ষু অবস্থা কাটিয়ে উঠলেন তিনি। ফিরে পেলেন আত্মবিশ্বাস।
এর দু মাস পর যখন সত্যজিৎ রায়ের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছিলেন নেহরু, তখন তিনি সত্যজিৎ রায়ের এই অসামান্য সৃষ্টির কথা স্মরণ করেছিলেন শ্রদ্ধাভরে।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
৯ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১০ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

সত্যজিৎ রায়ের তথ্যচিত্র বেশির ভাগ সময়ই আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে। মূলত তাঁর তৈরি করা ফিচার ফিল্মগুলোর দিকেই চোখ থাকে মানুষের
০২ মে ২০২১
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১০ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

সত্যজিৎ রায়ের তথ্যচিত্র বেশির ভাগ সময়ই আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে। মূলত তাঁর তৈরি করা ফিচার ফিল্মগুলোর দিকেই চোখ থাকে মানুষের
০২ মে ২০২১
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
৯ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



সত্যজিৎ রায়ের তথ্যচিত্র বেশির ভাগ সময়ই আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে। মূলত তাঁর তৈরি করা ফিচার ফিল্মগুলোর দিকেই চোখ থাকে মানুষের
০২ মে ২০২১
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
৯ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১০ ঘণ্টা আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
শাম্মী ইসলাম নীলা
২০২৩ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর শিরোপা জিতেছিলেন শাম্মী ইসলাম নীলা। এ বছর প্রথমবার নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। হাসিব হোসাইন রাখির ‘ফার্স্ট লাভ’ নাটকে তৌসিফ মাহবুবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথম নাটকেই অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছেন নীলা।

পারশা মাহজাবীন
২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের সময় প্রতিবাদী গান দিয়ে আলোচনায় ছিলেন পারশা মাহজাবীন। এ বছর পারশা আলো ছড়িয়েছেন পর্দায়। ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পায় পারশা অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এতে ঊষা চরিত্রে প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়।
সাদমিনা ও নাওভি
গত অক্টোবরে ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া মাহমুদা সুলতানার ‘লিটল মিস ক্যাওস’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে পরিচিতি পান তরুণ দুই অভিনয়শিল্পী সাদমিনা বিনতে নোমান ও সাদ নাওভি।

তাবাসসুম ছোঁয়া
ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে অভিনয় শুরু তাবাসসুম ছোঁয়ার। এ বছর ইউটিউবে প্রচারিত ‘দেনা পাওনা’ নাটক দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। নিপা চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। একক নাটকেও অভিনয় করছেন ছোঁয়া।

মিষ্টি ঘোষ
২০২৩ সালে সাগর জাহানের ‘ভালোবাসার অলিগলি’ নাটকে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মিষ্টি ঘোষ। তবে আলোচনায় আসেন এ বছর অনুষ্ঠিত দীপ্ত টিভির অভিনয়বিষয়ক রিয়েলিটি শো স্টার হান্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এরপর নাম লেখান দীপ্ত টিভির মেগা ধারাবাহিক ‘খুশবু’তে। সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত এই নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।

সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
শাম্মী ইসলাম নীলা
২০২৩ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর শিরোপা জিতেছিলেন শাম্মী ইসলাম নীলা। এ বছর প্রথমবার নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। হাসিব হোসাইন রাখির ‘ফার্স্ট লাভ’ নাটকে তৌসিফ মাহবুবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথম নাটকেই অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছেন নীলা।

পারশা মাহজাবীন
২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের সময় প্রতিবাদী গান দিয়ে আলোচনায় ছিলেন পারশা মাহজাবীন। এ বছর পারশা আলো ছড়িয়েছেন পর্দায়। ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পায় পারশা অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এতে ঊষা চরিত্রে প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়।
সাদমিনা ও নাওভি
গত অক্টোবরে ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া মাহমুদা সুলতানার ‘লিটল মিস ক্যাওস’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে পরিচিতি পান তরুণ দুই অভিনয়শিল্পী সাদমিনা বিনতে নোমান ও সাদ নাওভি।

তাবাসসুম ছোঁয়া
ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে অভিনয় শুরু তাবাসসুম ছোঁয়ার। এ বছর ইউটিউবে প্রচারিত ‘দেনা পাওনা’ নাটক দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। নিপা চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। একক নাটকেও অভিনয় করছেন ছোঁয়া।

মিষ্টি ঘোষ
২০২৩ সালে সাগর জাহানের ‘ভালোবাসার অলিগলি’ নাটকে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মিষ্টি ঘোষ। তবে আলোচনায় আসেন এ বছর অনুষ্ঠিত দীপ্ত টিভির অভিনয়বিষয়ক রিয়েলিটি শো স্টার হান্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এরপর নাম লেখান দীপ্ত টিভির মেগা ধারাবাহিক ‘খুশবু’তে। সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত এই নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।

সত্যজিৎ রায়ের তথ্যচিত্র বেশির ভাগ সময়ই আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে। মূলত তাঁর তৈরি করা ফিচার ফিল্মগুলোর দিকেই চোখ থাকে মানুষের
০২ মে ২০২১
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
৯ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১০ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১০ ঘণ্টা আগে