
একজন নারীর জীবনসংগ্রামের গল্প নিয়ে লিসা গাজী বানিয়েছেন ‘বাড়ির নাম শাহানা’। গুপী বাঘা প্রোডাকশনস ও কমলা কালেকটিভ প্রযোজিত সিনেমাটি ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। সিনেমার গল্প, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দেশের উৎসবে প্রদর্শনের পর কেমন ছিল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া—এমন নানা বিষয়ে কথা বলেছেন সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেত্রী আনান সিদ্দিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা
এম এস রানা, ঢাকা

সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন আপনি ও নির্মাতা লিসা গাজী। বলছেন বাস্তব ঘটনার প্রতিচ্ছবি। কোন ধরনের বাস্তবতার কথা বলছেন?
সিনেমার গল্প এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্র আমাদের দেখা বহু মানুষের নানা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, যেমন তার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা আমাদের পরিচিত একজনের জীবন থেকে নেওয়া। জীবনসংগ্রামে আমার মা-খালাদের যেমন দেখেছি, তার খণ্ডচিত্র এসে মিশেছে চরিত্রটিতে। চরিত্রগুলোর অনেকর সংলাপ আমাদের চেনা মানুষের কাছ থেকে নেওয়া। সব মিলিয়ে বলতে পারেন, এ দেশের চেনাজানা গল্প দর্শকেরা খুঁজে পাবেন এখানে। অনেকের জীবনের সঙ্গেও মিলে যাবে।
কী কারণে মনে হলো, এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আপনার অভিনয় করা উচিত?
লিসা ও আমি অনেক বছর একসঙ্গে কাজ করছি। থিয়েটার করছি, নাচ করছি, নানা ধরনের অ্যাকটিভিটিস করছি। ও আমাকে খুব ভালো বোঝে, চেনে। যখন চিত্রনাট্যটি প্রায় গুছিয়ে এনেছি, তখন লিসা বলল, দীপা চরিত্রটায় আমি তোকে দেখতে পাই। তুই করলে ভালো হবে। এরপর নানা আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে দীপা চরিত্রে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
চরিত্রটি ধারণ করতে কষ্ট হয়েছে? আপনি এই চরিত্রের সঙ্গে কতটা পরিচিত?
খুব একটা কষ্ট হয়নি। তবে সিনেমার টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে। আমার মা-খালারা আট বোন, আমাদের নানাবাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। নানাবাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল। মা-খালা আর নানাবাড়ির আশপাশের মানুষেরা এই চরিত্রের মডেল। তাদের জীবনসংগ্রাম, চলন-বলন এমনকি সংলাপে যে আঞ্চলিকতা, সেটাও আমার নানাবাড়ির অঞ্চলের। সব মিলিয়ে দীপা চরিত্রটি আমি জীবন থেকে ধারণ করেছি।
সহশিল্পীদের সম্পর্কে বলুন।
এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, লুৎফর রহমান জর্জ, ইরেশ যাকের, কাজী রুমা, কামরুন্নাহার মুন্নীসহ অনেকে। প্রত্যেকের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি। শুটিং চলাকালে টেকনিক্যাল অনেক কিছু তাঁরা আমাকে শিখিয়েছেন।
এটা কি আপনার প্রথম ফিচার ফিল্ম?
হ্যাঁ। এর আগে আমি একটা সিনেমায় কাজ করেছি। আবরার আতহার পরিচালিত সিনেমাটির নাম ‘লাইফ ইন আদার ওয়ার্ডস’। সেটি ছিল শর্টফিল্ম।
এখন তো চারদিকে অ্যাকশন, থ্রিলার সিনেমার চাহিদা দেখা যাচ্ছে। এমন সময় বাড়ির নাম শাহানার মতো নন-অ্যাকশন সিনেমা কতটা দর্শক টানতে পারবে বলে মনে করছেন?
ঠিকই বলেছেন। এখন চারদিকে অ্যাকশনের বেশ ডিমান্ড। কিন্তু এত অ্যাকশনের মধ্যেও মানুষ একটু রিলিফ চায়। অনেকে একটু ভিন্ন গল্প দেখতে চায়। এই সিনেমা সেই চাহিদা পূরণ করবে। খেয়াল করলে দেখবেন, এত অ্যাকশনের মধ্যেও জাহিদ হাসান অভিনীত ‘উৎসব’ সিনেমাটি কত দর্শক টেনেছে। এই সময়ের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা হয়ে উঠেছে। তাই আমাদের সিনেমাটি নিয়েও আমরা শতভাগ আশাবাদী।
সিনেমাটি বিশ্বের বেশ কিছু উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে, পুরস্কৃত হয়েছে। সেখানকার দর্শক বা সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
বিদেশিরা বাংলা সংলাপের অনেক কিছু সঠিকভাবে বুঝতে পারবে না। তবু পুরো সিনেমা দেখে তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। প্রশংসা করেছে। মুম্বাই উৎসবে সিনেমাটি জেন্ডার সেনসিটিভিটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে, লন্ডনে বিএফআই ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে বেস্ট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। আরও বেশ কিছু পরুস্কার জিতেছে সিনেমাটি। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।
সিনেমার গান আগে থেকে মুক্তি দিলে এবং সেটা যদি শ্রোতাদের ভালো লাগে, তবে সিনেমার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। কিন্তু এই সিনেমার গান রিলিজ হলো সিনেমা মুক্তির কয়েক দিন আগে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন গান নিয়ে?
আসলে তা-ই। গানগুলো আরও আগে রিলিজ দিতে পারলে ভালো হতো। আমরা তো নতুন। অনেক কিছু শিখছি। পরেরবার ভুলগুলো শুধরে নেব। গানগুলো সবে মুক্তি পেল, এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পাচ্ছি।
নতুন কোনো সিনেমার পরিকল্পনা করছেন?
আমি ও লিসা পরবর্তী ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য প্রায় গুছিয়ে এনেছি। আগামী জানুয়ারিতে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু করব। এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ড্রামা ফিল্ম। নাম রেখেছি ‘শাস্তি’।
থিয়েটার করেন বলছিলেন। কোন থিয়েটার?
আমি মূলত লন্ডনে থিয়েটার করেছি। ওখানকার কমলা কালেকটিভ এবং কালচারাল পট গ্লোবাল নামের দুটি দলের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া, লন্ডনের কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে থিয়েটার করছি না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলে অডিশন দিয়ে কাজ করি। পাশাপাশি আমি একজন নৃত্যশিল্পী। ‘লক্ষ্মীট্যারা’ নামে একটি গানের দলও আছে আমাদের। ওই দলের সোহিনী আলম এই সিনেমার মিউজিক করেছেন। সোহিনীর আরেকটা ব্যান্ড ছিল ‘ক্ষ’ নামে। হয়তো নাম শুনে থাকবেন।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা জানতে চাই? লন্ডনে কেন গিয়েছিলেন?
আমি পেশায় একজন আইনজীবী। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছি। বর্তমানে একজন ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি লয়ার। এ বিষয়ে পিএইচডি করতে লন্ডনে গিয়েছিলাম। এখন দেশে ফিরেছি। এখানে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছি।
সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন আপনি ও নির্মাতা লিসা গাজী। বলছেন বাস্তব ঘটনার প্রতিচ্ছবি। কোন ধরনের বাস্তবতার কথা বলছেন?
সিনেমার গল্প এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্র আমাদের দেখা বহু মানুষের নানা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, যেমন তার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা আমাদের পরিচিত একজনের জীবন থেকে নেওয়া। জীবনসংগ্রামে আমার মা-খালাদের যেমন দেখেছি, তার খণ্ডচিত্র এসে মিশেছে চরিত্রটিতে। চরিত্রগুলোর অনেকর সংলাপ আমাদের চেনা মানুষের কাছ থেকে নেওয়া। সব মিলিয়ে বলতে পারেন, এ দেশের চেনাজানা গল্প দর্শকেরা খুঁজে পাবেন এখানে। অনেকের জীবনের সঙ্গেও মিলে যাবে।
কী কারণে মনে হলো, এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আপনার অভিনয় করা উচিত?
লিসা ও আমি অনেক বছর একসঙ্গে কাজ করছি। থিয়েটার করছি, নাচ করছি, নানা ধরনের অ্যাকটিভিটিস করছি। ও আমাকে খুব ভালো বোঝে, চেনে। যখন চিত্রনাট্যটি প্রায় গুছিয়ে এনেছি, তখন লিসা বলল, দীপা চরিত্রটায় আমি তোকে দেখতে পাই। তুই করলে ভালো হবে। এরপর নানা আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে দীপা চরিত্রে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
চরিত্রটি ধারণ করতে কষ্ট হয়েছে? আপনি এই চরিত্রের সঙ্গে কতটা পরিচিত?
খুব একটা কষ্ট হয়নি। তবে সিনেমার টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে। আমার মা-খালারা আট বোন, আমাদের নানাবাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। নানাবাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল। মা-খালা আর নানাবাড়ির আশপাশের মানুষেরা এই চরিত্রের মডেল। তাদের জীবনসংগ্রাম, চলন-বলন এমনকি সংলাপে যে আঞ্চলিকতা, সেটাও আমার নানাবাড়ির অঞ্চলের। সব মিলিয়ে দীপা চরিত্রটি আমি জীবন থেকে ধারণ করেছি।
সহশিল্পীদের সম্পর্কে বলুন।
এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, লুৎফর রহমান জর্জ, ইরেশ যাকের, কাজী রুমা, কামরুন্নাহার মুন্নীসহ অনেকে। প্রত্যেকের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি। শুটিং চলাকালে টেকনিক্যাল অনেক কিছু তাঁরা আমাকে শিখিয়েছেন।
এটা কি আপনার প্রথম ফিচার ফিল্ম?
হ্যাঁ। এর আগে আমি একটা সিনেমায় কাজ করেছি। আবরার আতহার পরিচালিত সিনেমাটির নাম ‘লাইফ ইন আদার ওয়ার্ডস’। সেটি ছিল শর্টফিল্ম।
এখন তো চারদিকে অ্যাকশন, থ্রিলার সিনেমার চাহিদা দেখা যাচ্ছে। এমন সময় বাড়ির নাম শাহানার মতো নন-অ্যাকশন সিনেমা কতটা দর্শক টানতে পারবে বলে মনে করছেন?
ঠিকই বলেছেন। এখন চারদিকে অ্যাকশনের বেশ ডিমান্ড। কিন্তু এত অ্যাকশনের মধ্যেও মানুষ একটু রিলিফ চায়। অনেকে একটু ভিন্ন গল্প দেখতে চায়। এই সিনেমা সেই চাহিদা পূরণ করবে। খেয়াল করলে দেখবেন, এত অ্যাকশনের মধ্যেও জাহিদ হাসান অভিনীত ‘উৎসব’ সিনেমাটি কত দর্শক টেনেছে। এই সময়ের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা হয়ে উঠেছে। তাই আমাদের সিনেমাটি নিয়েও আমরা শতভাগ আশাবাদী।
সিনেমাটি বিশ্বের বেশ কিছু উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে, পুরস্কৃত হয়েছে। সেখানকার দর্শক বা সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
বিদেশিরা বাংলা সংলাপের অনেক কিছু সঠিকভাবে বুঝতে পারবে না। তবু পুরো সিনেমা দেখে তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। প্রশংসা করেছে। মুম্বাই উৎসবে সিনেমাটি জেন্ডার সেনসিটিভিটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে, লন্ডনে বিএফআই ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে বেস্ট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। আরও বেশ কিছু পরুস্কার জিতেছে সিনেমাটি। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।
সিনেমার গান আগে থেকে মুক্তি দিলে এবং সেটা যদি শ্রোতাদের ভালো লাগে, তবে সিনেমার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। কিন্তু এই সিনেমার গান রিলিজ হলো সিনেমা মুক্তির কয়েক দিন আগে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন গান নিয়ে?
আসলে তা-ই। গানগুলো আরও আগে রিলিজ দিতে পারলে ভালো হতো। আমরা তো নতুন। অনেক কিছু শিখছি। পরেরবার ভুলগুলো শুধরে নেব। গানগুলো সবে মুক্তি পেল, এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পাচ্ছি।
নতুন কোনো সিনেমার পরিকল্পনা করছেন?
আমি ও লিসা পরবর্তী ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য প্রায় গুছিয়ে এনেছি। আগামী জানুয়ারিতে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু করব। এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ড্রামা ফিল্ম। নাম রেখেছি ‘শাস্তি’।
থিয়েটার করেন বলছিলেন। কোন থিয়েটার?
আমি মূলত লন্ডনে থিয়েটার করেছি। ওখানকার কমলা কালেকটিভ এবং কালচারাল পট গ্লোবাল নামের দুটি দলের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া, লন্ডনের কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে থিয়েটার করছি না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলে অডিশন দিয়ে কাজ করি। পাশাপাশি আমি একজন নৃত্যশিল্পী। ‘লক্ষ্মীট্যারা’ নামে একটি গানের দলও আছে আমাদের। ওই দলের সোহিনী আলম এই সিনেমার মিউজিক করেছেন। সোহিনীর আরেকটা ব্যান্ড ছিল ‘ক্ষ’ নামে। হয়তো নাম শুনে থাকবেন।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা জানতে চাই? লন্ডনে কেন গিয়েছিলেন?
আমি পেশায় একজন আইনজীবী। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছি। বর্তমানে একজন ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি লয়ার। এ বিষয়ে পিএইচডি করতে লন্ডনে গিয়েছিলাম। এখন দেশে ফিরেছি। এখানে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছি।

একজন নারীর জীবনসংগ্রামের গল্প নিয়ে লিসা গাজী বানিয়েছেন ‘বাড়ির নাম শাহানা’। গুপী বাঘা প্রোডাকশনস ও কমলা কালেকটিভ প্রযোজিত সিনেমাটি ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। সিনেমার গল্প, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দেশের উৎসবে প্রদর্শনের পর কেমন ছিল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া—এমন নানা বিষয়ে কথা বলেছেন সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেত্রী আনান সিদ্দিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা
এম এস রানা, ঢাকা

সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন আপনি ও নির্মাতা লিসা গাজী। বলছেন বাস্তব ঘটনার প্রতিচ্ছবি। কোন ধরনের বাস্তবতার কথা বলছেন?
সিনেমার গল্প এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্র আমাদের দেখা বহু মানুষের নানা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, যেমন তার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা আমাদের পরিচিত একজনের জীবন থেকে নেওয়া। জীবনসংগ্রামে আমার মা-খালাদের যেমন দেখেছি, তার খণ্ডচিত্র এসে মিশেছে চরিত্রটিতে। চরিত্রগুলোর অনেকর সংলাপ আমাদের চেনা মানুষের কাছ থেকে নেওয়া। সব মিলিয়ে বলতে পারেন, এ দেশের চেনাজানা গল্প দর্শকেরা খুঁজে পাবেন এখানে। অনেকের জীবনের সঙ্গেও মিলে যাবে।
কী কারণে মনে হলো, এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আপনার অভিনয় করা উচিত?
লিসা ও আমি অনেক বছর একসঙ্গে কাজ করছি। থিয়েটার করছি, নাচ করছি, নানা ধরনের অ্যাকটিভিটিস করছি। ও আমাকে খুব ভালো বোঝে, চেনে। যখন চিত্রনাট্যটি প্রায় গুছিয়ে এনেছি, তখন লিসা বলল, দীপা চরিত্রটায় আমি তোকে দেখতে পাই। তুই করলে ভালো হবে। এরপর নানা আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে দীপা চরিত্রে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
চরিত্রটি ধারণ করতে কষ্ট হয়েছে? আপনি এই চরিত্রের সঙ্গে কতটা পরিচিত?
খুব একটা কষ্ট হয়নি। তবে সিনেমার টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে। আমার মা-খালারা আট বোন, আমাদের নানাবাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। নানাবাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল। মা-খালা আর নানাবাড়ির আশপাশের মানুষেরা এই চরিত্রের মডেল। তাদের জীবনসংগ্রাম, চলন-বলন এমনকি সংলাপে যে আঞ্চলিকতা, সেটাও আমার নানাবাড়ির অঞ্চলের। সব মিলিয়ে দীপা চরিত্রটি আমি জীবন থেকে ধারণ করেছি।
সহশিল্পীদের সম্পর্কে বলুন।
এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, লুৎফর রহমান জর্জ, ইরেশ যাকের, কাজী রুমা, কামরুন্নাহার মুন্নীসহ অনেকে। প্রত্যেকের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি। শুটিং চলাকালে টেকনিক্যাল অনেক কিছু তাঁরা আমাকে শিখিয়েছেন।
এটা কি আপনার প্রথম ফিচার ফিল্ম?
হ্যাঁ। এর আগে আমি একটা সিনেমায় কাজ করেছি। আবরার আতহার পরিচালিত সিনেমাটির নাম ‘লাইফ ইন আদার ওয়ার্ডস’। সেটি ছিল শর্টফিল্ম।
এখন তো চারদিকে অ্যাকশন, থ্রিলার সিনেমার চাহিদা দেখা যাচ্ছে। এমন সময় বাড়ির নাম শাহানার মতো নন-অ্যাকশন সিনেমা কতটা দর্শক টানতে পারবে বলে মনে করছেন?
ঠিকই বলেছেন। এখন চারদিকে অ্যাকশনের বেশ ডিমান্ড। কিন্তু এত অ্যাকশনের মধ্যেও মানুষ একটু রিলিফ চায়। অনেকে একটু ভিন্ন গল্প দেখতে চায়। এই সিনেমা সেই চাহিদা পূরণ করবে। খেয়াল করলে দেখবেন, এত অ্যাকশনের মধ্যেও জাহিদ হাসান অভিনীত ‘উৎসব’ সিনেমাটি কত দর্শক টেনেছে। এই সময়ের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা হয়ে উঠেছে। তাই আমাদের সিনেমাটি নিয়েও আমরা শতভাগ আশাবাদী।
সিনেমাটি বিশ্বের বেশ কিছু উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে, পুরস্কৃত হয়েছে। সেখানকার দর্শক বা সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
বিদেশিরা বাংলা সংলাপের অনেক কিছু সঠিকভাবে বুঝতে পারবে না। তবু পুরো সিনেমা দেখে তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। প্রশংসা করেছে। মুম্বাই উৎসবে সিনেমাটি জেন্ডার সেনসিটিভিটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে, লন্ডনে বিএফআই ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে বেস্ট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। আরও বেশ কিছু পরুস্কার জিতেছে সিনেমাটি। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।
সিনেমার গান আগে থেকে মুক্তি দিলে এবং সেটা যদি শ্রোতাদের ভালো লাগে, তবে সিনেমার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। কিন্তু এই সিনেমার গান রিলিজ হলো সিনেমা মুক্তির কয়েক দিন আগে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন গান নিয়ে?
আসলে তা-ই। গানগুলো আরও আগে রিলিজ দিতে পারলে ভালো হতো। আমরা তো নতুন। অনেক কিছু শিখছি। পরেরবার ভুলগুলো শুধরে নেব। গানগুলো সবে মুক্তি পেল, এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পাচ্ছি।
নতুন কোনো সিনেমার পরিকল্পনা করছেন?
আমি ও লিসা পরবর্তী ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য প্রায় গুছিয়ে এনেছি। আগামী জানুয়ারিতে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু করব। এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ড্রামা ফিল্ম। নাম রেখেছি ‘শাস্তি’।
থিয়েটার করেন বলছিলেন। কোন থিয়েটার?
আমি মূলত লন্ডনে থিয়েটার করেছি। ওখানকার কমলা কালেকটিভ এবং কালচারাল পট গ্লোবাল নামের দুটি দলের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া, লন্ডনের কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে থিয়েটার করছি না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলে অডিশন দিয়ে কাজ করি। পাশাপাশি আমি একজন নৃত্যশিল্পী। ‘লক্ষ্মীট্যারা’ নামে একটি গানের দলও আছে আমাদের। ওই দলের সোহিনী আলম এই সিনেমার মিউজিক করেছেন। সোহিনীর আরেকটা ব্যান্ড ছিল ‘ক্ষ’ নামে। হয়তো নাম শুনে থাকবেন।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা জানতে চাই? লন্ডনে কেন গিয়েছিলেন?
আমি পেশায় একজন আইনজীবী। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছি। বর্তমানে একজন ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি লয়ার। এ বিষয়ে পিএইচডি করতে লন্ডনে গিয়েছিলাম। এখন দেশে ফিরেছি। এখানে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছি।
সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন আপনি ও নির্মাতা লিসা গাজী। বলছেন বাস্তব ঘটনার প্রতিচ্ছবি। কোন ধরনের বাস্তবতার কথা বলছেন?
সিনেমার গল্প এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্র আমাদের দেখা বহু মানুষের নানা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি, যেমন তার বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা আমাদের পরিচিত একজনের জীবন থেকে নেওয়া। জীবনসংগ্রামে আমার মা-খালাদের যেমন দেখেছি, তার খণ্ডচিত্র এসে মিশেছে চরিত্রটিতে। চরিত্রগুলোর অনেকর সংলাপ আমাদের চেনা মানুষের কাছ থেকে নেওয়া। সব মিলিয়ে বলতে পারেন, এ দেশের চেনাজানা গল্প দর্শকেরা খুঁজে পাবেন এখানে। অনেকের জীবনের সঙ্গেও মিলে যাবে।
কী কারণে মনে হলো, এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আপনার অভিনয় করা উচিত?
লিসা ও আমি অনেক বছর একসঙ্গে কাজ করছি। থিয়েটার করছি, নাচ করছি, নানা ধরনের অ্যাকটিভিটিস করছি। ও আমাকে খুব ভালো বোঝে, চেনে। যখন চিত্রনাট্যটি প্রায় গুছিয়ে এনেছি, তখন লিসা বলল, দীপা চরিত্রটায় আমি তোকে দেখতে পাই। তুই করলে ভালো হবে। এরপর নানা আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে দীপা চরিত্রে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
চরিত্রটি ধারণ করতে কষ্ট হয়েছে? আপনি এই চরিত্রের সঙ্গে কতটা পরিচিত?
খুব একটা কষ্ট হয়নি। তবে সিনেমার টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে। আমার মা-খালারা আট বোন, আমাদের নানাবাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। নানাবাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল। মা-খালা আর নানাবাড়ির আশপাশের মানুষেরা এই চরিত্রের মডেল। তাদের জীবনসংগ্রাম, চলন-বলন এমনকি সংলাপে যে আঞ্চলিকতা, সেটাও আমার নানাবাড়ির অঞ্চলের। সব মিলিয়ে দীপা চরিত্রটি আমি জীবন থেকে ধারণ করেছি।
সহশিল্পীদের সম্পর্কে বলুন।
এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, লুৎফর রহমান জর্জ, ইরেশ যাকের, কাজী রুমা, কামরুন্নাহার মুন্নীসহ অনেকে। প্রত্যেকের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি। শুটিং চলাকালে টেকনিক্যাল অনেক কিছু তাঁরা আমাকে শিখিয়েছেন।
এটা কি আপনার প্রথম ফিচার ফিল্ম?
হ্যাঁ। এর আগে আমি একটা সিনেমায় কাজ করেছি। আবরার আতহার পরিচালিত সিনেমাটির নাম ‘লাইফ ইন আদার ওয়ার্ডস’। সেটি ছিল শর্টফিল্ম।
এখন তো চারদিকে অ্যাকশন, থ্রিলার সিনেমার চাহিদা দেখা যাচ্ছে। এমন সময় বাড়ির নাম শাহানার মতো নন-অ্যাকশন সিনেমা কতটা দর্শক টানতে পারবে বলে মনে করছেন?
ঠিকই বলেছেন। এখন চারদিকে অ্যাকশনের বেশ ডিমান্ড। কিন্তু এত অ্যাকশনের মধ্যেও মানুষ একটু রিলিফ চায়। অনেকে একটু ভিন্ন গল্প দেখতে চায়। এই সিনেমা সেই চাহিদা পূরণ করবে। খেয়াল করলে দেখবেন, এত অ্যাকশনের মধ্যেও জাহিদ হাসান অভিনীত ‘উৎসব’ সিনেমাটি কত দর্শক টেনেছে। এই সময়ের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা হয়ে উঠেছে। তাই আমাদের সিনেমাটি নিয়েও আমরা শতভাগ আশাবাদী।
সিনেমাটি বিশ্বের বেশ কিছু উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে, পুরস্কৃত হয়েছে। সেখানকার দর্শক বা সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
বিদেশিরা বাংলা সংলাপের অনেক কিছু সঠিকভাবে বুঝতে পারবে না। তবু পুরো সিনেমা দেখে তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। প্রশংসা করেছে। মুম্বাই উৎসবে সিনেমাটি জেন্ডার সেনসিটিভিটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে, লন্ডনে বিএফআই ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে বেস্ট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। আরও বেশ কিছু পরুস্কার জিতেছে সিনেমাটি। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।
সিনেমার গান আগে থেকে মুক্তি দিলে এবং সেটা যদি শ্রোতাদের ভালো লাগে, তবে সিনেমার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। কিন্তু এই সিনেমার গান রিলিজ হলো সিনেমা মুক্তির কয়েক দিন আগে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন গান নিয়ে?
আসলে তা-ই। গানগুলো আরও আগে রিলিজ দিতে পারলে ভালো হতো। আমরা তো নতুন। অনেক কিছু শিখছি। পরেরবার ভুলগুলো শুধরে নেব। গানগুলো সবে মুক্তি পেল, এখন পর্যন্ত ভালো সাড়া পাচ্ছি।
নতুন কোনো সিনেমার পরিকল্পনা করছেন?
আমি ও লিসা পরবর্তী ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য প্রায় গুছিয়ে এনেছি। আগামী জানুয়ারিতে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু করব। এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ড্রামা ফিল্ম। নাম রেখেছি ‘শাস্তি’।
থিয়েটার করেন বলছিলেন। কোন থিয়েটার?
আমি মূলত লন্ডনে থিয়েটার করেছি। ওখানকার কমলা কালেকটিভ এবং কালচারাল পট গ্লোবাল নামের দুটি দলের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া, লন্ডনের কোনো নির্দিষ্ট দলের হয়ে থিয়েটার করছি না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলে অডিশন দিয়ে কাজ করি। পাশাপাশি আমি একজন নৃত্যশিল্পী। ‘লক্ষ্মীট্যারা’ নামে একটি গানের দলও আছে আমাদের। ওই দলের সোহিনী আলম এই সিনেমার মিউজিক করেছেন। সোহিনীর আরেকটা ব্যান্ড ছিল ‘ক্ষ’ নামে। হয়তো নাম শুনে থাকবেন।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা জানতে চাই? লন্ডনে কেন গিয়েছিলেন?
আমি পেশায় একজন আইনজীবী। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছি। বর্তমানে একজন ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি লয়ার। এ বিষয়ে পিএইচডি করতে লন্ডনে গিয়েছিলাম। এখন দেশে ফিরেছি। এখানে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছি।

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
২১ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১ দিন আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১ দিন আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

একজন নারীর জীবনসংগ্রামের গল্প নিয়ে লিসা গাজী বানিয়েছেন ‘বাড়ির নাম শাহানা’। গুপী বাঘা প্রোডাকশনস ও কমলা কালেকটিভ প্রযোজিত সিনেমাটি ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। সিনেমার গল্প, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দেশের উৎসবে প্রদর্শনের পর কেমন ছিল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া...
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১ দিন আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১ দিন আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

একজন নারীর জীবনসংগ্রামের গল্প নিয়ে লিসা গাজী বানিয়েছেন ‘বাড়ির নাম শাহানা’। গুপী বাঘা প্রোডাকশনস ও কমলা কালেকটিভ প্রযোজিত সিনেমাটি ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। সিনেমার গল্প, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দেশের উৎসবে প্রদর্শনের পর কেমন ছিল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া...
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
২১ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১ দিন আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক



একজন নারীর জীবনসংগ্রামের গল্প নিয়ে লিসা গাজী বানিয়েছেন ‘বাড়ির নাম শাহানা’। গুপী বাঘা প্রোডাকশনস ও কমলা কালেকটিভ প্রযোজিত সিনেমাটি ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। সিনেমার গল্প, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দেশের উৎসবে প্রদর্শনের পর কেমন ছিল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া...
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
২১ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১ দিন আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

একজন নারীর জীবনসংগ্রামের গল্প নিয়ে লিসা গাজী বানিয়েছেন ‘বাড়ির নাম শাহানা’। গুপী বাঘা প্রোডাকশনস ও কমলা কালেকটিভ প্রযোজিত সিনেমাটি ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। সিনেমার গল্প, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন দেশের উৎসবে প্রদর্শনের পর কেমন ছিল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া...
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
২১ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১ দিন আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১ দিন আগে