নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে একক কোনো সংগঠনের দখলদারত্ব নেই। নেই গেস্ট রুম সংস্কৃতি, জোর করে মিছিলে নেওয়ার দৃশ্য। এমন মুক্ত পরিবেশে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ডাকসু ও হল সংসদের এই নির্বাচন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এখন উৎসবের আমেজ।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার কার্যক্রম। নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিনেই পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে ঢাবি ক্যাম্পাস। হল থেকে একাডেমিক ভবন, টিএসসি থেকে লাইব্রেরি—লিফলেট হাতে সবখানেই চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। থেমে থেমে কানে ভেসে আসছে স্লোগানের আওয়াজ, নির্বাচনী স্লোগান।
প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থকেরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন, আবার শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন প্রশ্নে তাঁদের ঘিরে ধরছেন। কেউ বলছেন শিক্ষার্থীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার কথা। আবার কেউ দিচ্ছেন আবাসনের সংকট নিরসন ও গণপরিবহনের সুবিধা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু, এজিএস প্রার্থী মো. জাবির আহমেদ জুবেলসহ অন্য প্রার্থীরা। শহীদ মিনার থেকে তাঁরা কার্জন হল এলাকায় জনসংযোগ করেন।
এদিকে গতকাল দুপুরে জগন্নাথ হলের বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম শুরু করে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা, জিএস প্রার্থী আল সাদী ভূঁইয়াসহ অন্য প্রার্থীরা।
এ ছাড়া দুপুরের দিকে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাকসু নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন। আর বিকেলে একাত্তরের শহীদদের স্মৃতিফলক ‘স্মৃতি চিরন্তনে’ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে নির্বাচনের প্রচার শুরু করে ছাত্রদল। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু করে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার বড় সুযোগ তৈরি করবে। এতে কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হবে। দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে একধরনের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এই আমেজকে উপভোগ করতে আজ বেশি সময় ক্যাম্পাসে কাটিয়েছি।’
বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব রায় বলেন, ‘গণতান্ত্রিক চর্চার বড় সুযোগ ডাকসু নির্বাচন। আশা করি, এ নির্বাচনে যারা জয়ী হবে, তারা কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করবে।’
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ প্রার্থী। গতকাল ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ভিপি পদে, ৪৫ জন। এ ছাড়া জিএস পদে ১৯ জন ও এজিএস পদে ২৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রের পাশাপাশি ১৮টি হলেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে হল সংসদ নির্বাচন।
ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, স্বতন্ত্রসহ ১০টির মতো প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কিন্তু কোনো ছাত্রসংগঠনই সব হল সংসদের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পারেনি। তবে প্যানেল ঘোষণা না করলেও বিভিন্ন হল সংসদে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে শিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। আর ছাত্রদল সর্বোচ্চ ১৪টিতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পেরেছে।
চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘অদক্ষতা’ এবং ‘ভোটার উপস্থিতি কম রাখে এমন পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মেঘমল্লার বসু। গতকাল মধুর ক্যানটিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বুঝতে পারি, আসলে পুরো ভোটের ব্যাপারটি একটা স্ক্যামে পরিণত করা হচ্ছে এবং এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ন্যূনতম মেরুদণ্ড নাই, তাহলে এমনও হতে পারে, শেষ পর্যন্ত আমরা এই নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারি।’
এদিকে প্রার্থীদের ছবি বিকৃত করার জন্য ‘কালচারাল ফ্যাসিস্টদের’ দায়ী করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী চারুকলায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের নির্বাচনী উপকরণ ভাঙচুর করেছে এবং প্রার্থীদের ছবি বিকৃত করেছে। যারা কালচারাল ফ্যাসিস্ট, তারাই এ ধরনের কাজ করেছে বলে অভিযোগ তাঁর।
ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছে তিন বাম সংগঠনের প্যানেল ‘অপরাজেয়-৭১ ও অদম্য-২৪ ’। এ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী এনামুল হাসান অনয় বলেন, একাত্তরের ও চব্বিশের পরাজিত শক্তি ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের প্রার্থিতা বাতিল করা হোক। তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া মানে এ দেশের মা, মাটি ও মানুষের সঙ্গে একটা সাংঘর্ষিক অবস্থান তৈরি করা।
ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে, হবে সেনা মোতায়েন ডাকসু নির্বাচনে বুথ ছাড়া পুরো কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গতকাল নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় সিসি ক্যামেরার সামনে ভোট গণনা, সাইবার বুলিং ও গুজব দমনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান অধ্যাপক জসীম উদ্দিন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গতকাল থেকেই ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখ ও ভেতরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। তিন ধাপে কাজ করছে পুলিশ। এ ছাড়া সাইবার বুলিং বা অনলাইনে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থিত আইবিএ হোস্টেল, লেদার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল, কবি সুফিয়া কামাল হলসহ প্রশাসনিক ও আবাসিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। নির্বাচনের দিন শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের জন্য নিউ মার্কেটের লেন উন্মুক্ত রাখা হবে। ভোটের দিন ২৫০ জন বিএনসিসি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন এবং সহকারী প্রক্টরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনের আট ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রথম স্তরে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি সদস্য ও প্রক্টরিয়াল টিম। দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আর তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে অবস্থান করবে। ডাকসু নির্বাচনের ভিপি, জিএস ও এজিএস পদপ্রার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।
জুলিয়াস সিজারের নাম প্রত্যাহার
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জুলিয়াস সিজার তালুকদারের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলে সেটি ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে তদন্ত করে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এ অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। জুলিয়াস সিজারের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলে সেটি ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে তদন্ত করে। তদন্তে জুলিয়াস সিজারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সুপারিশ করে। যেহেতু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা নিতে পারেন না, তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সিন্ডিকেটে উপস্থাপনের জন্য বিষয়টি প্রেরণ করে। বিচারাধীন থাকায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে জুলিয়াস সিজারের নামটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল সিন্ডিকেট তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে একক কোনো সংগঠনের দখলদারত্ব নেই। নেই গেস্ট রুম সংস্কৃতি, জোর করে মিছিলে নেওয়ার দৃশ্য। এমন মুক্ত পরিবেশে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ডাকসু ও হল সংসদের এই নির্বাচন ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এখন উৎসবের আমেজ।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার কার্যক্রম। নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিনেই পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে ঢাবি ক্যাম্পাস। হল থেকে একাডেমিক ভবন, টিএসসি থেকে লাইব্রেরি—লিফলেট হাতে সবখানেই চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। থেমে থেমে কানে ভেসে আসছে স্লোগানের আওয়াজ, নির্বাচনী স্লোগান।
প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থকেরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন, আবার শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন প্রশ্নে তাঁদের ঘিরে ধরছেন। কেউ বলছেন শিক্ষার্থীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার কথা। আবার কেউ দিচ্ছেন আবাসনের সংকট নিরসন ও গণপরিবহনের সুবিধা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু, এজিএস প্রার্থী মো. জাবির আহমেদ জুবেলসহ অন্য প্রার্থীরা। শহীদ মিনার থেকে তাঁরা কার্জন হল এলাকায় জনসংযোগ করেন।
এদিকে গতকাল দুপুরে জগন্নাথ হলের বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম শুরু করে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা, জিএস প্রার্থী আল সাদী ভূঁইয়াসহ অন্য প্রার্থীরা।
এ ছাড়া দুপুরের দিকে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাকসু নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন। আর বিকেলে একাত্তরের শহীদদের স্মৃতিফলক ‘স্মৃতি চিরন্তনে’ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে নির্বাচনের প্রচার শুরু করে ছাত্রদল। ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু করে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার বড় সুযোগ তৈরি করবে। এতে কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনা সম্ভব হবে। দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে একধরনের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এই আমেজকে উপভোগ করতে আজ বেশি সময় ক্যাম্পাসে কাটিয়েছি।’
বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব রায় বলেন, ‘গণতান্ত্রিক চর্চার বড় সুযোগ ডাকসু নির্বাচন। আশা করি, এ নির্বাচনে যারা জয়ী হবে, তারা কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করবে।’
ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ প্রার্থী। গতকাল ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ভিপি পদে, ৪৫ জন। এ ছাড়া জিএস পদে ১৯ জন ও এজিএস পদে ২৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রের পাশাপাশি ১৮টি হলেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে হল সংসদ নির্বাচন।
ডাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, স্বতন্ত্রসহ ১০টির মতো প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কিন্তু কোনো ছাত্রসংগঠনই সব হল সংসদের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পারেনি। তবে প্যানেল ঘোষণা না করলেও বিভিন্ন হল সংসদে অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে শিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। আর ছাত্রদল সর্বোচ্চ ১৪টিতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পেরেছে।
চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘অদক্ষতা’ এবং ‘ভোটার উপস্থিতি কম রাখে এমন পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মেঘমল্লার বসু। গতকাল মধুর ক্যানটিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বুঝতে পারি, আসলে পুরো ভোটের ব্যাপারটি একটা স্ক্যামে পরিণত করা হচ্ছে এবং এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ন্যূনতম মেরুদণ্ড নাই, তাহলে এমনও হতে পারে, শেষ পর্যন্ত আমরা এই নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারি।’
এদিকে প্রার্থীদের ছবি বিকৃত করার জন্য ‘কালচারাল ফ্যাসিস্টদের’ দায়ী করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী চারুকলায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের নির্বাচনী উপকরণ ভাঙচুর করেছে এবং প্রার্থীদের ছবি বিকৃত করেছে। যারা কালচারাল ফ্যাসিস্ট, তারাই এ ধরনের কাজ করেছে বলে অভিযোগ তাঁর।
ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছে তিন বাম সংগঠনের প্যানেল ‘অপরাজেয়-৭১ ও অদম্য-২৪ ’। এ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী এনামুল হাসান অনয় বলেন, একাত্তরের ও চব্বিশের পরাজিত শক্তি ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের প্রার্থিতা বাতিল করা হোক। তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া মানে এ দেশের মা, মাটি ও মানুষের সঙ্গে একটা সাংঘর্ষিক অবস্থান তৈরি করা।
ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে, হবে সেনা মোতায়েন ডাকসু নির্বাচনে বুথ ছাড়া পুরো কেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গতকাল নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় সিসি ক্যামেরার সামনে ভোট গণনা, সাইবার বুলিং ও গুজব দমনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান অধ্যাপক জসীম উদ্দিন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গতকাল থেকেই ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখ ও ভেতরে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। তিন ধাপে কাজ করছে পুলিশ। এ ছাড়া সাইবার বুলিং বা অনলাইনে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থিত আইবিএ হোস্টেল, লেদার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল, কবি সুফিয়া কামাল হলসহ প্রশাসনিক ও আবাসিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। নির্বাচনের দিন শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের জন্য নিউ মার্কেটের লেন উন্মুক্ত রাখা হবে। ভোটের দিন ২৫০ জন বিএনসিসি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন এবং সহকারী প্রক্টরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনের আট ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রথম স্তরে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি সদস্য ও প্রক্টরিয়াল টিম। দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আর তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে অবস্থান করবে। ডাকসু নির্বাচনের ভিপি, জিএস ও এজিএস পদপ্রার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর।
জুলিয়াস সিজারের নাম প্রত্যাহার
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জুলিয়াস সিজার তালুকদারের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলে সেটি ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে তদন্ত করে। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এ অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। জুলিয়াস সিজারের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলে সেটি ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে তদন্ত করে। তদন্তে জুলিয়াস সিজারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সুপারিশ করে। যেহেতু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা নিতে পারেন না, তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সিন্ডিকেটে উপস্থাপনের জন্য বিষয়টি প্রেরণ করে। বিচারাধীন থাকায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে জুলিয়াস সিজারের নামটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল সিন্ডিকেট তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৪ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৪ ঘণ্টা আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে থাকছে না শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই সরবরাহ হলেও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির সব বই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বই সরবরাহ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোটখাটো কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে দেওয়া হয় গ্রাফিতি। ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয় পেছনের কভার থেকে শেখ হাসিনার বাণী। শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ পড়ে।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যবইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ দিয়ে নাম লেখা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান। অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়েও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের (সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) নাম যুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের পাশে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাসনির্ভর আরও কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির ওপর একটি লেখা যুক্ত করা হয়েছে।
মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই ছাপা হয়নি
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও মাধ্যমিকের সব শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ছাপা হলেও সরবরাহ বাকি ৪২ শতাংশ পাঠ্যবই। অবশ্য প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই। এই স্তরে শতভাগ পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩০০টি এবং প্রাথমিক স্তরের (ইবতেদায়ি ছাড়া) জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৪টি বই।
এনসিটিবির কর্মকর্তা ও মুদ্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই ছাড়াই শিক্ষাবর্ষ শুরু করবে। এবার বেশি বেকায়দায় পড়বে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বই ছাপা ও সরবরাহের গতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী জানুয়ারির মধ্যেও সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো কঠিন হবে।
এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বই ছাপা ও বাঁধাই শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহ-পূর্ব পরিদর্শনসহ (পিডিআই) আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে মাধ্যমিকের মোট বইয়ের ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
সূত্র বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ৯০ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৭১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তম শ্রেণির ৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অষ্টম শ্রেণির ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
অবশ্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। গত রোববার এনসিটিবি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। এর আগেই প্রায় শতভাগ বই পৌঁছে যাবে।

মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে থাকছে না শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই সরবরাহ হলেও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির সব বই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বই সরবরাহ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোটখাটো কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে দেওয়া হয় গ্রাফিতি। ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয় পেছনের কভার থেকে শেখ হাসিনার বাণী। শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ পড়ে।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যবইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ দিয়ে নাম লেখা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান। অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়েও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের (সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) নাম যুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের পাশে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাসনির্ভর আরও কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির ওপর একটি লেখা যুক্ত করা হয়েছে।
মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই ছাপা হয়নি
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও মাধ্যমিকের সব শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ছাপা হলেও সরবরাহ বাকি ৪২ শতাংশ পাঠ্যবই। অবশ্য প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই। এই স্তরে শতভাগ পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩০০টি এবং প্রাথমিক স্তরের (ইবতেদায়ি ছাড়া) জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৪টি বই।
এনসিটিবির কর্মকর্তা ও মুদ্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই ছাড়াই শিক্ষাবর্ষ শুরু করবে। এবার বেশি বেকায়দায় পড়বে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বই ছাপা ও সরবরাহের গতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী জানুয়ারির মধ্যেও সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো কঠিন হবে।
এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বই ছাপা ও বাঁধাই শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহ-পূর্ব পরিদর্শনসহ (পিডিআই) আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে মাধ্যমিকের মোট বইয়ের ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
সূত্র বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ৯০ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৭১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তম শ্রেণির ৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অষ্টম শ্রেণির ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
অবশ্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। গত রোববার এনসিটিবি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। এর আগেই প্রায় শতভাগ বই পৌঁছে যাবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে একক কোনো সংগঠনের দখলদারত্ব নেই। নেই গেস্ট রুম সংস্কৃতি, জোর করে মিছিলে নেওয়ার দৃশ্য। এমন মুক্ত পরিবেশে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন।
২৭ আগস্ট ২০২৫
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৪ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।
তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’
স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’

আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।
তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’
স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে একক কোনো সংগঠনের দখলদারত্ব নেই। নেই গেস্ট রুম সংস্কৃতি, জোর করে মিছিলে নেওয়ার দৃশ্য। এমন মুক্ত পরিবেশে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন।
২৭ আগস্ট ২০২৫
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৪ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৪ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে একক কোনো সংগঠনের দখলদারত্ব নেই। নেই গেস্ট রুম সংস্কৃতি, জোর করে মিছিলে নেওয়ার দৃশ্য। এমন মুক্ত পরিবেশে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন।
২৭ আগস্ট ২০২৫
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৪ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৪ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো।
(ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২।
(খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস।
(গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২
(ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।
এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো।
(ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২।
(খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস।
(গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২
(ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।
এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে ক্যাম্পাসে একক কোনো সংগঠনের দখলদারত্ব নেই। নেই গেস্ট রুম সংস্কৃতি, জোর করে মিছিলে নেওয়ার দৃশ্য। এমন মুক্ত পরিবেশে পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন।
২৭ আগস্ট ২০২৫
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৪ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৭ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
৭ ঘণ্টা আগে