Ajker Patrika

হল সংসদ নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিব। ছবি: আজকের পত্রিকা
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিব। ছবি: আজকের পত্রিকা

ডাকসু নির্বাচনের প্যানেলের পর এবার হল সংসদ নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। আজ বুধবার দুপুরে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়।

হল সংসদের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন—

১. মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল: সহসভাপতি (ভিপি) মো. জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) জোবায়ের হোসেন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) রিজভী আলম, সাহিত্য সম্পাদক রায়হান আহমেদ সিব্বির, সংস্কৃতি সম্পাদক হারুন অর রশিদ, পাঠকক্ষ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ইনডোর গেমস সম্পাদক রবিউল ইসলাম ইভান, আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক বিশ্বাস মো. ফাহাদ, সমাজসেবা সম্পাদক মো. মিফতাহুল ইসলাম। এছাড়া সদস্য পদে তৌফিকুল ইসলাম প্রতীক, ইফতেখার হাসান রাদ, শাহরিয়ার মোস্তাক দিদার ও আদনান শাহরিয়ার।

২. কবি জসীমউদ্দীন হল: সহসভাপতি মো. আব্দুল ওহেদ, সাধারণ সম্পাদক সিফাত ইবনে আমিন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোহতাসিম বিল্লাহ হিমেল, সাহিত্য সম্পাদক রাফি আহম্মেদ উৎস, সংস্কৃতি সম্পাদক মো. মুনতাসির, পাঠকক্ষ সম্পাদক সাফায়াত আহসান, ইনডোর গেমস সম্পাদক তানজিম সাকিব, আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক আদিল মাহমুদ, সমাজসেবা সম্পাদক আরিয়ান চৌধুরী এবং সদস্য পদে হৃদয় ভূঁইয়া, মোহাম্মদ হাসান, মো. তানজিউর রহমান (হিশাম) ও নাহিদুল আলম।

৩. মাস্টারদা সূর্যসেন হল: সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন প্রান্ত, সাধারণ সম্পাদক লিয়ন মোল্যা, সহকারী সাধারণ সম্পাদক সামিউল আমিন গালিব, সাহিত্য সম্পাদক সিদরাতুল মুনতাহা আলিফ, সংস্কৃতি সম্পাদক সাব্বির হাসান, পাঠকক্ষ সম্পাদক শাকিল আহাম্মেদ, ইনডোর গেমস সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক শাদমান সাকিব, সমাজসেবা সম্পাদক শিপন মিয়া এবং সদস্য পদে লিমন মেজর লিংকন, মো. সুমন হোসাইন, জাওয়াদ আহমেদ শিকদার ও যুহাম পাশা।

৪. বিজয় একাত্তর হল: সহসভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিব বিশ্বাস, সহকারী সাধারণ সম্পাদক সুলতান মো. সাদমান সিদ্দীক, সাহিত্য সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ, পাঠকক্ষ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ, ইনডোর গেমস সম্পাদক শাহরিয়ার ইসলাম হৃদয়, আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক ফাহিম আহমেদ, সমাজসেবা সম্পাদক ইমতিয়াজ রনি এবং সদস্য পদে আহনাফ আহমেদ রাফি, সাঈদ হাসান সাদ, সোলায়মান হোসেন রবি, ও মো. তাহমিদ মুবিন রাতুল।

৫. শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল: সহসভাপতি হাসিবুর রহমান আসিফ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব, সহকারী সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর, সাহিত্য সম্পাদক সিয়াম ইবনে সুলতান মিরাজ, সংস্কৃতি সম্পাদক মো. অন্তর সেখ, পাঠকক্ষ সম্পাদক আশিকুর রহমান, ইনডোর গেমস সম্পাদক সাঈফ আলী শিথিল, আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সমাজসেবা সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম সরকার এবং সদস্য পদে মো. সানিন সাইদ, নাজমুস সাকিব খান, হাসিবুল আলম তাহিন ও জাহিদ হাসান রাসেল।

এছাড়া অন্যান্য হলগুলোতে প্রার্থীরা হলেন—

৬. কবি জসীমউদ্দীন হল সংসদ:

১. সহসভাপতি মো. আব্দুল ওহেদ

২. সাধারণ সম্পাদক সিফাত ইবনে আমিন

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোহতাসিম বিল্লাহ হিমেল

৪. সাহিত্য সম্পাদক রাফি আহম্মেদ উৎস

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক মো. মুনতাসির

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক সাফায়াত আহসান

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক তানজিম সাকিব

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক আদিল মাহমুদ

৯. সমাজসেবা সম্পাদক আরিয়ান চৌধুরী

১০. সদস্য হৃদয় ভূঁইয়া

১১. সদস্য মোহাম্মদ হাসান

১২. সদস্য মো. তানজিউর রহমান (হিশাম)

১৩. সদস্য নাহিদুল আলম

৭. মাস্টারদা সূর্যসেন হল:

১. সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন প্রান্ত

২. সাধারণ সম্পাদক লিয়ন মোল্যা

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক সামিউল আমিন গালিব

৪. সাহিত্য সম্পাদক সিদরাতুল মুনতাহা আলিফ

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক সাব্বির হাসান

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক শাকিল আহাম্মেদ

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক নাজিম উদ্দিন

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক শাদমান সাকিব

৯. সমাজসেবা সম্পাদক শিপন মিয়া

১০. সদস্য লিমন মেজর লিংকন

১১. সদস্য মো. সুমন হোসাইন

১২. সদস্য জাওয়াদ আহমেদ শিকদার

১৩. সদস্য যুহাম পাশা

৮. বিজয় একাত্তর হল:

১. সহসভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন

২. সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিব বিশ্বাস

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক সুলতান মো. সাদমান সিদ্দীক

৪. সাহিত্য সম্পাদক মাহফুজুর রহমান

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক শাহরিয়ার ইসলাম হৃদয়

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক ফাহিম আহমেদ

৯. সমাজসেবা সম্পাদক ইমতিয়াজ রনি

১০. সদস্য আহনাফ আহমেদ রাফি

১১. সদস্য সাঈদ হাসান সাদ

১২. সদস্য সোলায়মান হোসেন রবি

১৩. সদস্য মো. তাহমিদ মুবিন রাতুল

৯. শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল:

১. সহসভাপতি হাসিবুর রহমান আসিফ

২. সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর

৪. সাহিত্য সম্পাদক সিয়াম ইবনে সুলতান মিরাজ

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক মো. অন্তর সেখ

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক আশিকুর রহমান

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক সাঈফ আলী শিথিল

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ

৯. সমাজসেবা সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম সরকার

১০. সদস্য মো. সানিন সাইদ

১১. সদস্য নাজমুস সাকিব খান

১২. সদস্য হাসিবুল আলম তাহিন

১৩. সদস্য জাহিদ হাসান রাসেল

১০. শেখ মুজিবুর রহমান হল:

১. সহসভাপতি সাইফ আল ইসলাম দীপ

২. সাধারণ সম্পাদক রিনভী মোশাররফ

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আজীম

৪. সাহিত্য সম্পাদক: মো. শাহিনুর ইসলাম শাহিন

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক সাদমান সাকিব শাওন

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক নাফি বিন মামুন

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক আনোয়ারুল হোসাইন

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান

৯. সমাজসেবা সম্পাদক মো. তৌহিদুর রহমান তাহসিন

১০. সদস্য রেজোয়ান মাহমুদ ফারুকী

১১. সদস্য রিজভী আহমেদ

১২. সদস্য সাজ্জাদ হোসেন

১৩. সদস্য মো. ফয়সাল হোসেন

১১. হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল:

১. সহসভাপতি মো. আবুজার গিফারী ইফাত

২. সাধারণ সম্পাদক মহিবুল ইসলাম আকন্দ

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ জিয়াম

৪. সাহিত্য সম্পাদক ইফতেখার হাসনাত ইফতি

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক শাহজালাল বারী

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক মাসুম রানা

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক জাওয়াদ সাব্বির চৌধুরী মুগ্ধ

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক নাদিম মাহমুদ শিহাব

৯. সমাজসেবা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন রবিন

১০. সদস্য গাজী মো. ওমর ফারুক

১১. সদস্য মাহির ইবনে ওমর

১২. সদস্য আব্দুল্লাহ

১৩. সদস্য ইলহাম তাইয়েব খন্দকার জারিফ

১২. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল:

১. সহসভাপতি আশিকুর রহমান

২. সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম নাহিদ

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জুনায়েদ আবরার

৪. সাহিত্য সম্পাদক মো. হাদিউল ইসলাম

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক শাবাব আশফাক পরশ

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহান

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক নূর মোহাম্মদ।

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক সিফাত খান

৯. সমাজসেবা সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান

১০. সদস্য মো. আতিক মোসাদ্দিক জিহাদ

১১. সদস্য মো. তানজিল

১২. সদস্য আলী হোসেন

১৩. সদস্য মো. মইনুল হোসেন সামিম

১৩. স্যার এ এফ রহমান হল:

১. সহসভাপতি রাকিবুল হাসান

২. সাধারণ সম্পাদক কাওসার হামিদ

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক মো. মাহদীজ্জামান জ্যোতি

৪. সাহিত্য সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক মোহাম্মদ মুবিন

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক ফারহান শাহরিয়ার চৌধুরী

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক শাহরিয়ার তানজিল

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক আলামিন মিয়া

৯. সমাজসেবা সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ

১০. সদস্য মো. মেহেদী হাসান শিমুল

১১. সদস্য শাহারিয়া হোসেন জয়

১২. সদস্য মো. নাজমুল হাছান

১৩. সদস্য মুতাসিম বিল্লাহ রাখিন তকী

১৪. সলিমুল্লাহ মুসলিম হল:

১. সহসভাপতি মো. ইমন মিয়া

২. সাধারণ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম তাইমুন

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইয়ানাথ ইসলাম

৪. সাহিত্য সম্পাদক: মো. সৈকত হোসেন

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক রাকিবুল হাসান

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক মো. মাহফুজ আলী

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক মেহেদী হাসান রিফাত

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. সবুজ আহমেদ

৯. সমাজসেবা সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক

১০. সদস্য মো. মাহিন আকন্দ

১১. সদস্য সাইমুম খান রাদিল

১২. সদস্য মো. আহরাফ খান

১৩. সদস্য মুনতাসির মিছবা অহন

১৫. অমর একুশে হল:

১. সহসভাপতি মো. আসাদুল হক আসাদ

২. সাধারণ সম্পাদক শাহনোমান জিওন

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন তায়েব

৪. সাহিত্য সম্পাদক নাজমুল কাদের

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক নাহিদ হোসাইন

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক আতিকুর রহমান বিপ্লব

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক রাফি আহমেদ

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত

৯. সমাজসেবা সম্পাদক নাফিউল হাসান তালুকদার

১০. সদস্য কোরবান আলী

১১. সদস্য মোসাদ্দেক আলী

১২. সদস্য মবিন মিয়া

১৩. সদস্য মাহাদী হাসান সানিম

১৬. ফজলুল হক মুসলিম হল:

১. সহসভাপতি শেখ রমজান আলী রকি

২. সাধারণ সম্পাদক হারুন খান সোহেল

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজু চৌধুরী

৪. সাহিত্য সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক ফুয়াদ আল নাসের সিয়াম

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক সরফরাজ হোসেন ইউসুফ শিপন

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক জাবের আল হাসান পার্থ

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম

৯. সমাজসেবা সম্পাদক মো. সোহেল

১০. সদস্য তীব্র হোসেন আবু সাঈদ

১১. সদস্য তাহমিদ আল রহমান দিগন্ত

১২. সদস্য ফারদিন হাওলাদার

১৩. সদস্য হামিম তাসরিফ আবির

১৭. রোকেয়া হল:

১. সহসভাপতি মোছা. শ্রাবণী আক্তার

২. সাধারণ সম্পাদক আনিকা বিনতে আশরাফ

৩. সহকারী সাধারণ সম্পাদক শ্রাবন্তী হাসান বন্যা

৪. সাহিত্য সম্পাদক নিসর্গ সেবা

৫. সংস্কৃতি সম্পাদক নুসিংম্যা মারমা (সারা)

৬. পাঠকক্ষ সম্পাদক সাকিবা সুলতানা বন্যা

৭. ইনডোর গেমস সম্পাদক সাদিয়া আফরিন এ্যানি

৮. আউটডোর গেমস ও ক্রীড়া সম্পাদক অর্পিতা সাহা

৯. সমাজসেবা সম্পাদক আফিয়া আতিকা

১০. সদস্য মেহনাজ রহমান নিসফা

১১. সদস্য শরিফা ইসলাম সূচনা

১২. সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌসী জুঁই

১৩. সদস্য শেখ শাম্মী আক্তার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিনা মূল্যের বই: মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে ফের বদল, সব বই ছাপা শেষ হয়নি

  • বাদ শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু উপাধি, ৭ মার্চের ভাষণও নেই।
  • স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে আরও লেখা বইয়ে সংযোজন করা হয়েছে।
  • প্রাথমিকের সব বই সরবরাহ শেষ।
রাহুল শর্মা, ঢাকা
বিনা মূল্যের বই: মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে ফের বদল, সব বই ছাপা শেষ হয়নি

মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে থাকছে না শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই সরবরাহ হলেও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির সব বই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বই সরবরাহ করা হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোটখাটো কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে দেওয়া হয় গ্রাফিতি। ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয় পেছনের কভার থেকে শেখ হাসিনার বাণী। শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ পড়ে।

এনসিটিবির সূত্র বলছে, মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যবইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ দিয়ে নাম লেখা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান। অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়েও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের (সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) নাম যুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের পাশে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাসনির্ভর আরও কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির ওপর একটি লেখা যুক্ত করা হয়েছে।

মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই ছাপা হয়নি

এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও মাধ্যমিকের সব শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ছাপা হলেও সরবরাহ বাকি ৪২ শতাংশ পাঠ্যবই। অবশ্য প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই। এই স্তরে শতভাগ পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।

সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।

আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩০০টি এবং প্রাথমিক স্তরের (ইবতেদায়ি ছাড়া) জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৪টি বই।

এনসিটিবির কর্মকর্তা ও মুদ্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই ছাড়াই শিক্ষাবর্ষ শুরু করবে। এবার বেশি বেকায়দায় পড়বে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বই ছাপা ও সরবরাহের গতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী জানুয়ারির মধ্যেও সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো কঠিন হবে।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বই ছাপা ও বাঁধাই শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহ-পূর্ব পরিদর্শনসহ (পিডিআই) আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে মাধ্যমিকের মোট বইয়ের ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।

সূত্র বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ৯০ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৭১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তম শ্রেণির ৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অষ্টম শ্রেণির ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

অবশ্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। গত রোববার এনসিটিবি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। এর আগেই প্রায় শতভাগ বই পৌঁছে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ‎ছাত্রনেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দিল কমিশন

জবি প্রতিনিধি‎
আজ সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।   ‎

‎আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী। ‎

‎নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।

তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।

কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন। ‎

‎এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’ ‎

‎স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন: ৬টি মেশিনে ভোট গণনা, ফলাফল দেখা যাবে লাইভে

জবি প্রতিনিধি‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ১২
আজ সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।

‎‎আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।

‎‎এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

‎মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন। ‎

‎নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ‎

‎ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি। ‎

‎নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‎

মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।

‎নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড। ‎

‎সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন। ‎

‎সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন: ‎শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রুট প্ল্যান ঘোষণা

জবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

‎আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‎

‎আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ‎

‎বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো। ‎

‎ (ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২। ‎

‎ (খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস। ‎

‎ (গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২ ‎

‎ (ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস। ‎

‎বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।

‎এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত