Ajker Patrika

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ
কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, গবেষণা ও উন্নয়নের ২০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৬ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবির নামে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালের ৩ জুন প্রথম ক্লাস শুরুর দিনটিকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় পথচলার মাইলফলক উদ্‌যাপনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ

মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জনি, বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক. ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জনি, বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক. ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

আমার প্রত্যাশা, আমার স্বপ্ন

একসময় এখানে ছাত্র হিসেবে স্বপ্ন বুনেছিলাম, আজ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছি। এই পথচলা দিয়েছে গর্ব, দিয়েছে দায়িত্ব; সঙ্গে অসংখ্য স্মৃতিগাথা। স্মরণে আসে শুরুর সেই দিনগুলো; ছোট পরিসরের ক্যাম্পাস, সীমিত সুযোগ-সুবিধা; তবু আমাদের স্বপ্ন ছিল আকাশছোঁয়া। আজকের বিস্তৃত পরিসর, উন্নত কাঠামো এবং উদ্যমী প্রজন্ম দেখে গর্বে বুক ভরে ওঠে। আমার স্বপ্ন—এই বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার দীপ্ত কেন্দ্র। গড়ে উঠুক আধুনিক গবেষণাগার, সমৃদ্ধ পাঠাগার ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষকসমাজ। এখানে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠুক এক নিরাপদ, মানবিক ও মুক্ত পরিবেশে; যেখানে কোনো ভয় কিংবা অন্যায় তাদের স্বপ্নভুবনকে স্পর্শ করতে পারবে না।

মো. সজীব মিয়া, শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত
মো. সজীব মিয়া, শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান

এই বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান, সংস্কৃতি ও চিন্তার জগতে স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তুলেছে। এই ২০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি আগামীর পথচলায় রয়েছে অনেক সুযোগ

ও সম্ভাবনা। আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা, আন্তর্জাতিক মানের পাঠক্রম এবং শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রশাসন ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রয়াসে এটি হয়ে উঠবে অনন্য বিদ্যাপীঠ, যেখানে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়; বরং মানবিকতা, সৃজনশীলতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের শিক্ষা দেওয়া হবে। নজরুল-চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেন সব বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যায়, প্রতিষ্ঠিত হয় একটি জ্ঞানভিত্তিক, প্রগতিশীল এবং ন্যায়ের সমাজ গঠনে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে—এটাই আমার আন্তরিক প্রত্যাশা।

আফরোজা ইসলাম লিপি, সহকারী অধ্যাপক, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত
আফরোজা ইসলাম লিপি, সহকারী অধ্যাপক, স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

প্রাপ্তির ঠিকানা, প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়

স্কুল-কলেজ পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে পা রাখার যে উত্তেজনা, তার ঠিকানা হয়ে উঠেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগে ভর্তি হওয়ার সেই দিন আজও স্মৃতির অ্যালবামে ঝলমল করে। ছোটবেলা থেকে শিক্ষক বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও গড়েছি শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের পূর্ণতা এসেছে এখানেই, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে আজ আমি নিজ বিভাগে শিক্ষকতা করছি। এই অর্জনের চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে। এখানেই জ্ঞান অর্জন করেছি, এখানেই জ্ঞান বিতরণের সুযোগ পেয়েছি। স্বপ্ন দেখি, এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও গবেষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হয়ে উঠবে অনন্য, গর্বের প্রতীক।

তকিব হাসান, শিক্ষার্থী, ফোকলোর বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত
তকিব হাসান, শিক্ষার্থী, ফোকলোর বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

নজরুলের বিদ্রোহী চেতনায় উজ্জীবিত হোক

আমাদের প্রত্যাশা, এই বিশ্ববিদ্যালয় হোক আন্তর্জাতিক জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে উঠুক শ্রদ্ধাবোধ আর সহযোগিতার সম্পর্ক। প্রশাসন হোক স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল। অবকাঠামো উন্নয়ন হোক পরিকল্পিত। আমরা চাই একটা সবুজ, পরিপাটি ও নিরাপদ ক্যাম্পাস। লাইব্রেরি, হল, চিকিৎসা, খাবার, নিরাপত্তা—সব খাতেই থাকুক সহজ আর ভালো মানের নিশ্চয়তা। গবেষণায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে নজরুল ইনস্টিটিউটের পাশাপাশি আরও উদ্যোগ নেওয়া হোক। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজ নিয়ে নতুন ভাবনা তৈরি হোক এই জায়গা থেকে। সবচেয়ে বড় কথা, নজরুলের বিদ্রোহী চেতনা আর মানবিকতা যেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হয়ে থাকে। ২০ বছরে দাঁড়িয়ে আমাদের স্বপ্ন—এই বিশ্ববিদ্যালয় হোক আগামী দিনের আলোকিত ঠিকানা।

তানজিল আহমেদ, সাবেক শিক্ষার্থী ও সহকারী অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত
তানজিল আহমেদ, সাবেক শিক্ষার্থী ও সহকারী অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

নজরুলিয়ানদের জয়জয়কার

অল্প সময়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের নানান প্রান্তে নজরুলিয়ানদের জয়জয়কার এ কথাই মনে করিয়ে দেয় ‘ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া,/ খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া/ উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!’ এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার প্রত্যাশা অসীম। আমি স্বপ্ন দেখি, এই বিশ্ববিদ্যালয় ‘শিক্ষা-গবেষণায়’ বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেবে। শিক্ষার্থীদের জন্য শতভাগ উন্নত আবাসনব্যবস্থা হবে, মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা থাকবে, হলগুলো পড়াশোনামুখী হবে। ‘ইনোভেটিভ এবং গবেষণালব্ধ’ আলোচনায় ক্লাসরুমগুলো মুখর হবে। শিক্ষার্থীরা বাস্তবধর্মী জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পর্শে বেড়ে ওঠা হাজারো তরুণ-তরুণী নিজের লালিত স্বপ্নকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরবে।

তাসনিয়া হাসান ইভা, শিক্ষার্থী, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত
তাসনিয়া হাসান ইভা, শিক্ষার্থী, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞানচর্চা, শান্তি ও সৃজনশীলতার জায়গা

নিজের ভেতরে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে সদ্য কলেজ ডিঙানো ছাত্রছাত্রীরা পা রাখে এই ক্যাম্পাস আঙিনায়। চারপাশের অচেনা মুখগুলো ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে আপন মানুষ। ক্লাস, ক্যাফে, লাইব্রেরি, সংস্কৃতিসন্ধ্যা, অ্যাসাইনমেন্ট জমা, হাসি-কান্না—সব মিলিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় সবার জীবনের গল্পের অন্যতম অধ্যায় হয়ে রয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমাদের প্রত্যাশা খুব বেশি কিছু নয়; শুধু একটা এমন পরিবেশ, যেখানে ভয় বা হতাশা নয়, বরং বিশ্বাস জন্মায়। যেখানে শিক্ষক হবেন অনুপ্রেরণা, আর পাঠ্যবইয়ের বাইরের জ্ঞানও সমান গুরুত্ব পাবে। আমরা চাই এখানে যেন ছাত্ররাজনীতির নামে কোনো দলাদলি, ভয়ের পরিবেশ বা দখলদারত্ব না থাকে। শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে স্বপ্ন দেখতে পারবে, নেতৃত্বে আসবে মেধা ও নীতির মাধ্যমে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত