Ajker Patrika

উচ্চশিক্ষা: চীনে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে

এন্ড্রু দাস শুভ্র
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮: ০৫
উচ্চশিক্ষা: চীনে স্নাতকোত্তর করতে চাইলে

আপনি যদি দেশের সরকারি বা বেসরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের চিন্তা করে থাকেন, তাহলে চীন আপনাকে দিচ্ছে দারুণ সুযোগ। চীনে উচ্চশিক্ষায় অন্যতম বৃত্তি হলো চীনা সরকারি বৃত্তি। আগে এই বৃত্তি পেতে একই সঙ্গে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হতো। এ বছর ২০২৪ / ২৫ সেশনে চীনা সরকারি বৃত্তি প্রোগ্রাম ‘সিএসসি টাইপ বি’-এর আওতায় একজন শিক্ষার্থী মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেই বৃত্তি অর্জন সম্ভব। এমন ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন এন্ড্রু দাস শুভ্র। 

কখন আবেদন করবেন
২০২৪ / ২৫ এর আবেদন গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত। কিন্তু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত সময়সীমা কম-বেশি হতে পারে। তবে সময়সীমা-সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আপনার পছন্দ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন। সেপ্টেম্বর ২০২৪ সেশনের ফলাফল প্রকাশিত হবে জুলাই ২০২৪-এ। 

আবেদন করতে করণীয়
প্রথমে একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করুন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের ই-মেইলের মাধ্যমে Acceptance Letter সংগ্রহ করতে হবে। এতে করে আপনার মনোনীত হওয়ার সুযোগ অনেকটা বেড়ে যাবে। এটা না থাকলেও আপনি আবেদন করতে পারবেন স্নাতকোত্তরের জন্য। কিন্তু পিএইচডির জন্য এটা বাধ্যতামূলক। 

কোথায় আবেদন করবেন
আপনি সরাসরি এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী এই লিংকে আবেদনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সাইটেও আবেদন করতে হয়। 

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
l Highest Certificate (Notorize copy) 
l Highest Transcript (Notorize copy) 
l Photo (passport size) 
l Passport Homepage
l Two Recommendations       Later
l Study Plan
l Non Criminal Records
l Acceptance letter (if available) 
l Foreign Physical Examination Report
l Other documents
l English Proficiency Certificate/Medium of Instruction

কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণস্বরূপ IELTS বা TOFEL জরুরি। কিন্তু আপনি চীনের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় Medium of instructions (MOI) দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। 

চায়নিজ গভর্নমেন্ট বৃত্তি জেতার সম্ভাবনা কী কী
যদি আপনার পূর্ববর্তী ফলাফলের গড় বেশি হয় এবং আপনার কাছে একটি স্পষ্ট এবং অভিনব গবেষণা প্রস্তাব বা অধ্যয়নের পরিকল্পনা থাকে, তবে আপনার চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭৩টি চীনা বিশ্ববিদ্যালয় চীনা স্কলারশিপ কাউন্সিলের সিএসসি কর্তৃক স্বীকৃত। চায়নিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা আমরা দেখেছি উচ্চ গ্রেডের শিক্ষার্থীরা প্রায়শই প্রত্যাখ্যাত হয়। কারণ, তারা একটি গবেষণা প্রস্তাব বা অধ্যয়নের পরিকল্পনা ভালোভাবে লিখতে পারে না। অতএব, আপনার নিজস্ব শব্দ দিয়ে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে গবেষণা প্রস্তাব। আমরা এটাও দেখেছি, গড় শিক্ষার্থীরা তাদের সুন্দরভাবে লেখা অধ্যয়ন পরিকল্পনা বা স্পষ্ট চিন্তাভাবনাসহ গবেষণা প্রস্তাবের কারণে সফলভাবে সম্পূর্ণ অর্থায়নে চীনা বৃত্তি জিতেছে। 

বৃত্তির-সুবিধা

  • বিনা খরচে পড়াশোনা
  • বিনা খরচে আবাসন ব্যবস্থা
  • চিকিৎসা ভাতা
  • মাসিক ভাতা (স্নাতকোত্তরে ৫০,০০০ টাকা (প্রায়) এবং পিএইচডি ৫৯,৫০০ টাকা (প্রায়) 

লেখক: এন্ড্রু দাস শুভ্র, স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, নবায়নযোগ্য শক্তি নর্থ চীনা ইলেকট্রিক পাওয়ার ইউনিভার্সিটি, বেইজিং, চীন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিশেষ নির্দেশনা

জবি প্রতিনিধি‎
‎সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে জকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে বিশেষ নির্দেশনা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।

গতকাল ‎শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।

‎‎নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন কেউ কোনো অবস্থাতেই ভোটের দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটারদের অবশ্যই বৈধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা হারিয়ে গেছে, তারা ভোটার তালিকার পাশে দেওয়া QR Code স্ক্যান করে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন, যা ভোট গ্রহণের দিন পরিচয়পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ভোটারকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোটকক্ষে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী সঙ্গে থাকলে তা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা রেখে ভোট শেষে নিজ দায়িত্বে ফেরত নিতে হবে।

‎নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোট প্রদানের সময় প্রত্যেক ভোটারকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ও সিলকৃত তিনটি ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে। ব্যালট পেপার কোনোভাবেই ভাঁজ করা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে না। ভোট শেষে নির্দিষ্ট নম্বরের ব্যালট বক্সে নির্দিষ্ট ব্যালট পেপার জমা দিতে হবে।

ভোট প্রদানের আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে এবং হল শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালি প্রয়োগ করা হবে। ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের পাশের নির্ধারিত ঘরে সঠিকভাবে চিহ্ন দিতে হবে, অন্যথায় ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।

‎নির্দেশনায় ‎নির্বাহী সদস্য পদের ক্ষেত্রে ভোট প্রদানে বিশেষ সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৭ জন এবং হল শিক্ষার্থী সংসদে ৪ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে। এর বেশি ভোট প্রদান করলে নির্বাহী সদস্য পদের সব ভোট বাতিল হবে।

‎ভোটকক্ষে ব্যালট পেপারের অংশ বা প্রার্থীর নামসংবলিত কোনো কাগজ রেখে আসা নিষিদ্ধ। বুথে সংরক্ষিত কলম ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে। ভোট প্রদান শেষে ভোটারদের দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।

‎উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর পর প্রথমাবের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইইএলটিএস পরীক্ষায় কেন পিছিয়ে শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মেধাবী শিক্ষার্থী। এই বাস্তবতার পেছনের কারণ, এর প্রভাব এবং উত্তরণের পথ নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ শুনে লিখেছেন মো. মনিরুল ইসলাম

মো. মনিরুল ইসলাম
আইইএলটিএস পরীক্ষায় কেন পিছিয়ে শিক্ষার্থীরা

প্রস্তুতির অভাব ও অনীহা

আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। তবে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই ইংরেজি ভাষা চর্চার প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেন না। শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ব্যবহার সীমিত থাকা, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার প্রবণতা এবং দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির ব্যবহার না থাকার কারণে ভাষাগত দক্ষতা গড়ে ওঠে না। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার কথা শুনলেই অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয় ও অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন এবং কাঠামোবদ্ধ পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনেককে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করে।

সচেতনতার অভাব

আইইএলটিএস সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবও একটি বড় কারণ। অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কিংবা জাপানসহ বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একটি অপরিহার্য শর্ত। ফলে তাঁরা বিষয়টিকে ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত মনে করেন। বিদেশে পড়াশোনার পুরো প্রক্রিয়া—বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন, ভিসাপ্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকায় আইইএলটিএসের প্রয়োজনীয়তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় না।

আর্থিক সীমাবদ্ধতা

আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এবং প্রস্তুতিমূলক কোচিংয়ের খরচ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যয় আরও ভারী হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ফি ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় মনে করা হয়, যা শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে আরও দুর্বল করে দেয়।

উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের ঘাটতি

বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেই দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দেয়। পরিবার ও সমাজের চাপেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেন। ফলে আইইএলটিএস প্রস্তুতিকে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হিসেবে না দেখে বাড়তি ঝামেলা বিবেচনা করেন।

ভাষাগত মানসিক বাধা

ইংরেজিকে ‘কঠিন বিষয়’ হিসেবে ভাবার একটি মানসিক দেয়াল বহু শিক্ষার্থীর মাঝেই কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা শুধু ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। এই ভ্রান্ত ধারণা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এবং শুরুতেই পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।

সুযোগ হারানোর বাস্তবতা

আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের সুযোগ হারান। এর ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবন দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও বহুজাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।

উত্তরণের পথ

এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইইএলটিএসের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের সক্রিয় দিকনির্দেশনা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল, ভর্তুকি বা প্রাতিষ্ঠানিক স্কলারশিপ চালু করা হলে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়বে।

সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আইইএলটিএস কোনো অজেয় বাধা নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। এই বাধাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা গেলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মার্টিন লুথার কিং সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্নোত্তর

শিক্ষা ডেস্ক
মার্টিন লুথার কিং
মার্টিন লুথার কিং

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে তুলে ধরা হলো:

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র কে ছিলেন?

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা, ধর্মযাজক ও মানবাধিকারকর্মী। তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

তাঁর জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কী জানা যায়?

লুথার কিং ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ধর্মতত্ত্বে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরে একজন ব্যাপটিস্ট ধর্মযাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি কোন আন্দোলনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন?

তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ (Civil Rights Movement)-এর প্রধান নেতা ছিলেন। বিশেষ করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সমান নাগরিক সুযোগ এবং আইনি বৈষম্য দূর করার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।

মার্টিন লুথার কিং কোন ধরনের আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন?

তিনি অহিংস (Non-violence) ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সহিংসতার পরিবর্তে নৈতিক শক্তি ও গণ-অসহযোগকে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।

তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তিটি কী?

মার্টিন লুথার কিংয়ের সবচেয়ে কালজয়ী উক্তিটি হলো, ‘I have a dream that my four little children will one day live in a nation where they will not be judged by the color of their skin but by the content of their character.’ (আমার একটি স্বপ্ন আছে যে, আমার চার সন্তান একদিন এমন এক দেশে বাস করবে, যেখানে গায়ের রঙের পরিবর্তে তাদের চরিত্রের গুণাবলি দিয়ে তাদের বিচার করা হবে।)

‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ (I Have a Dream) ভাষণের গুরুত্ব কী?

১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সামনে দেওয়া এ ভাষণটি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত। এতে তিনি বর্ণ, ধর্ম ও গায়ের রঙভিত্তিক বৈষম্যহীন এক সমাজের স্বপ্ন তুলে ধরেন। এই ভাষণটি আমেরিকায় নাগরিক অধিকার আইন (Civil Rights Act of 1964) পাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করেছিল।

তিনি কেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?

শান্তিপূর্ণ ও অহিংস উপায়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং মানবাধিকারের পক্ষে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে পুরস্কারটি পেয়ে তিনি তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

তাঁর আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?

সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, বর্ণবাদী আইনের বিলোপ ঘটানো এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল?

১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিস শহরের লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামক একজন শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর বয়স তখন মাত্র ৩৯ বছর। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি তাঁর ভাষণে অহিংসার ডাক দিয়েছিলেন।

মার্টিন লুথার কিংয়ের অবদান কেন আজও প্রাসঙ্গিক?

সারা বিশ্বে আজও যেখানেই বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, সেখানেই তাঁর আদর্শ ও ‘অহিংস আন্দোলন’ অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি প্রমাণ করেছেন, অস্ত্রের চেয়ে নৈতিকতা ও ন্যায়ের শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আমিরাতে খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
খলিফা ইউনিভার্সিটি, সংযুক্ত আরব আমিরাত
খলিফা ইউনিভার্সিটি, সংযুক্ত আরব আমিরাত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। খলিফা ইউনিভার্সিটির এই মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ আগ্রহীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।

খলিফা ইউনিভার্সিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও গবেষণাভিত্তিক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত। বিশ্বমানের গবেষণা অবকাঠামো, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর জন্য খলিফা ইউনিভার্সিটি দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন ও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়েও প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে উল্লেখযোগ্য অবস্থান ধরে রাখছে। উদ্ভাবন, গবেষণা ও বাস্তবমুখী শিক্ষার সমন্বয়ে খলিফা ইউনিভার্সিটি খুব অল্প সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।

সুযোগ-সুবিধা

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। শিক্ষা সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে মাসিক ভাতা। গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কলারশিপ নীতিমালা অনুযায়ী, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ৮ হাজার দিরহাম এবং পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ১০ হাজার দিরহাম। যা সময় ও নীতিমালার ভিত্তিতে পরিবর্তনযোগ্য। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ সহায়তা; যা তাঁদের একাডেমিক ও গবেষণামূলক দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আবেদনের যোগ্যতা

বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য প্রার্থীর অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ভর্তি-সংক্রান্ত সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করাও বাধ্যতামূলক। আর ডক্টরেট (পিএইচডি) প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া ৫০০ থেকে ১ হাজার শব্দের একটি গবেষণা প্রস্তাবনা (রিসার্চ স্টেটমেন্ট) জমা দিতে হবে। এরপর ভর্তি সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

প্রার্থীদের অনলাইনে নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদনকারীদের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির সনদ এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রির সনদ জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সব একাডেমিক পর্যায়ের অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, আপডেটেড ও বিস্তারিত জীবনবৃত্তান্ত (সিভি), সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং বৈধ পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া পার্সোনাল স্টেটমেন্ট, স্টেটমেন্ট অব পারপাস এবং দুটি সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) জমা দিতে হবে।

বৃত্তির মেয়াদ

খলিফা ইউনিভার্সিটির এই স্কলারশিপে ফুলটাইম ও পার্টটাইম—উভয় ধরনের পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শর্ত মানতে হবে। ফুলটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে ৩-৪টি কোর্সে (মোট ৯-১২ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকতে হবে। আর পার্টটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে ২টি কোর্সে (৬ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকা বাধ্যতামূলক। ডিগ্রি অনুযায়ী বৃত্তির মেয়াদ হবে মাস্টার্স ডিগ্রি (ফুলটাইম) দুই বছর; মাস্টার্স ডিগ্রি (পার্টটাইম) তিন বছর। আর পিএইচডির ক্ষেত্রে তিন-চার বছর।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

বিশ্ববিদ্যালয়টির এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা মূলত প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, নিরাপত্তা এবং শিল্প-কলাভিত্তিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন। এখানে রয়েছে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস। পাশাপাশি, ডক্টর অব ফিলোসফি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামেও শিক্ষার্থীরা পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তির মাধ্যমে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা লিঙ্কে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়

আগামী ২ মার্চ, ২০২৬

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত