ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে। কমিটির সদস্যরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, সেটির নাম প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো তৈরির কাজও প্রায় শেষ।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিলের মধ্যে সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা করা হবে। এখন অপেক্ষা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের আনুষ্ঠানিক অধিভুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শেষ করা। একই সঙ্গে ঢাবি সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনও দেবে। ঢাবির অনুমোদনের বাইরে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের যে কার্যক্রম, তার প্রায় সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কার্যক্রম চালু হওয়ার আগপর্যন্ত এই প্রশাসনের কার্যকারিতা সচল থাকবে। এই প্রশাসনকে তত্ত্বাবধান করবে ইউজিসি।
সদস্যরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে এই প্রশাসনের অধীনে। অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা হলে ঢাবির অধীনে স্থগিত হওয়া সাত কলেজের ভর্তির আবেদন আবার শুরু হবে। বিগত বছরগুলোর মতোই হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। নবীন এসব শিক্ষার্থী সাত কলেজের বিগত বছরগুলোর সিলেবাসে তাঁদের পাঠ শুরু করবেন। এই প্রশাসনের সঙ্গে ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দেবে বুয়েট। তবে এখানে ঢাবির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও থাকবেন। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো। এই মডেল ও লোগো চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন। ঈদ-পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, মডেল ও লোগোসহ সব কাজ সমানতালে এগিয়ে চলেছে।
সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। চলতি এপ্রিলের মধ্যে এ কমিটির কাজ শেষ করার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য জানান, তাঁদেরকে চার মাসের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে, শুরুতে তার মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঝামেলা ছিল না। কমিটির কাজের মাঝপথে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিলে এ প্রশাসন গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন যেহেতু ইউজিসির নিজস্ব সক্ষমতার বাইরে, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনে কিছুটা সময় লাগছে।

ঢাবিতে আটকে আছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থাসংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাবিতে পাঠানো ইউজিসির সুপারিশপত্রে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থাই চালু রাখবে। আর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের সব শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে চলবে। এই প্রশাসনের কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে হবে। এ ক্ষেত্রে এই প্রশাসনের পরিচালক হিসেবে যে কলেজের অধ্যক্ষ কাজ করবেন, সেই কলেজে এই কাঠামোর কার্যালয় হবে। কাঠামোর অধীন সব হিসাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হবে।

জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃহস্পতিবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথক্করণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কলেজগুলোর জন্য এখন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। এটা একটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সঙ্গে সমন্বয় করে এ কাজ করা হচ্ছে। ঈদের আগে প্রশাসন গঠনের কিছু কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ কমিটি একটা ড্রাফট তৈরি করেছে। এ ড্রাফট নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এখন আমরা এটা ডিনস কমিটিতে তুলব। এরপর এটা পর্যায়ক্রমে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন হবে।’
সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনায় এ কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে একজনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যিনি প্রশাসক নির্বাচিত হবেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান হবে সাত কলেজের হেডকোয়ার্টার্স। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে সাতটি কলেজে কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক তৈরি করা হবে, সেই ডেস্কের কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে থাকবেন হেডকোয়ার্টার্সের কলেজের অধ্যক্ষ।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে সাত কলেজের ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সব কটি কলেজের অধ্যক্ষদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়োগে অধ্যক্ষদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসন পরিচালনার দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষদের এসব গুণ বিবেচনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনায় ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষকে কমিশনের কাছে যোগ্য বলে মনে হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে অধ্যাপক ইলিয়াসকে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক’ হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশনের সদস্যরা এটাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ঘোষণা অনুযায়ী, যেই কলেজ থেকে প্রশাসক নিয়োগ হবে, সেই কলেজই হবে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডকোয়ার্টার্স বা সদর দপ্তর। সে হিসেবে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির হেডকোয়ার্টার্স।
২০১৭ সালে রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্তির পর থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সে আন্দোলন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নেয়। সাতটি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি
সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ) নামে প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। গত ১৬ মার্চ ইউজিসির কনফারেন্স কক্ষে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভা শেষে এ নাম প্রস্তাব করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। সভায় ইউজিসি ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসির প্রস্তাবিত নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মডেল ও লোগোর কাজ চূড়ান্ত হলে সেগুলোও পাঠানো হবে। এরপর এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। পরে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
কেমন হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে কলেজগুলোর ঐতিহ্য ধারণ করেই। সাত কলেজের যে পাঁচটিতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ছিল, সেটি তেমনই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু কলেজের সময় ও জায়গা শেয়ার করবে। এতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবস্থান একই থাকবে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি হবে নতুন মডেলের বিশ্ববিদ্যালয়। যে মডেল তৈরিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাধিক শিক্ষক কাজ করছেন। মডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলে এ মডেল নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত করা হবে।

যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মতো হবে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’। এর নীতিবাক্য হলো, Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন। এখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। এভাবে অন্যান্য কলেজে হতে পারে বিভিন্ন অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস।
প্রাথমিকভাবে ৪টি স্কুল নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। পরে সক্ষমতা অনুযায়ী এই স্কুলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসব স্কুলের অধীনে আরও একাধিক ডিসিপ্লিন থাকবে। চারটি স্কুল হলো: স্কুল অব সায়েন্সেস, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, স্কুল অব বিজনেস এবং ল স্কুল। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে থাকবে স্কুল অব সায়েন্সেস। সরকারি তিতুমীর কলেজে স্কুল অব বিজনেস, বাঙলা কলেজে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে থাকবে ল স্কুল।
লোগো কেমন হচ্ছে
ইউজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাত কলেজের জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নাম প্রস্তাবনার পর লোগো তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক লোগোর ডেমো নেওয়া হয়েছে। এখন এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। লোগো তৈরিতে সমান গুরুত্ব পাচ্ছে সাতটি কলেজের প্রতিটি কলেজের নাম ও প্রতিকৃতি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিপ্লব, ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবাক্যসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ লোগোতে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে। কমিটির সদস্যরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, সেটির নাম প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো তৈরির কাজও প্রায় শেষ।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিলের মধ্যে সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা করা হবে। এখন অপেক্ষা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের আনুষ্ঠানিক অধিভুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শেষ করা। একই সঙ্গে ঢাবি সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনও দেবে। ঢাবির অনুমোদনের বাইরে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের যে কার্যক্রম, তার প্রায় সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কার্যক্রম চালু হওয়ার আগপর্যন্ত এই প্রশাসনের কার্যকারিতা সচল থাকবে। এই প্রশাসনকে তত্ত্বাবধান করবে ইউজিসি।
সদস্যরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে এই প্রশাসনের অধীনে। অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা হলে ঢাবির অধীনে স্থগিত হওয়া সাত কলেজের ভর্তির আবেদন আবার শুরু হবে। বিগত বছরগুলোর মতোই হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। নবীন এসব শিক্ষার্থী সাত কলেজের বিগত বছরগুলোর সিলেবাসে তাঁদের পাঠ শুরু করবেন। এই প্রশাসনের সঙ্গে ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দেবে বুয়েট। তবে এখানে ঢাবির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও থাকবেন। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো। এই মডেল ও লোগো চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন। ঈদ-পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, মডেল ও লোগোসহ সব কাজ সমানতালে এগিয়ে চলেছে।
সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। চলতি এপ্রিলের মধ্যে এ কমিটির কাজ শেষ করার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য জানান, তাঁদেরকে চার মাসের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে, শুরুতে তার মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঝামেলা ছিল না। কমিটির কাজের মাঝপথে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিলে এ প্রশাসন গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন যেহেতু ইউজিসির নিজস্ব সক্ষমতার বাইরে, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনে কিছুটা সময় লাগছে।

ঢাবিতে আটকে আছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থাসংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাবিতে পাঠানো ইউজিসির সুপারিশপত্রে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থাই চালু রাখবে। আর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের সব শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে চলবে। এই প্রশাসনের কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে হবে। এ ক্ষেত্রে এই প্রশাসনের পরিচালক হিসেবে যে কলেজের অধ্যক্ষ কাজ করবেন, সেই কলেজে এই কাঠামোর কার্যালয় হবে। কাঠামোর অধীন সব হিসাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হবে।

জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃহস্পতিবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথক্করণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কলেজগুলোর জন্য এখন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। এটা একটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সঙ্গে সমন্বয় করে এ কাজ করা হচ্ছে। ঈদের আগে প্রশাসন গঠনের কিছু কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ কমিটি একটা ড্রাফট তৈরি করেছে। এ ড্রাফট নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এখন আমরা এটা ডিনস কমিটিতে তুলব। এরপর এটা পর্যায়ক্রমে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন হবে।’
সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনায় এ কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে একজনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যিনি প্রশাসক নির্বাচিত হবেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান হবে সাত কলেজের হেডকোয়ার্টার্স। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে সাতটি কলেজে কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক তৈরি করা হবে, সেই ডেস্কের কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে থাকবেন হেডকোয়ার্টার্সের কলেজের অধ্যক্ষ।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে সাত কলেজের ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সব কটি কলেজের অধ্যক্ষদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়োগে অধ্যক্ষদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসন পরিচালনার দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষদের এসব গুণ বিবেচনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনায় ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষকে কমিশনের কাছে যোগ্য বলে মনে হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে অধ্যাপক ইলিয়াসকে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক’ হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশনের সদস্যরা এটাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ঘোষণা অনুযায়ী, যেই কলেজ থেকে প্রশাসক নিয়োগ হবে, সেই কলেজই হবে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডকোয়ার্টার্স বা সদর দপ্তর। সে হিসেবে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির হেডকোয়ার্টার্স।
২০১৭ সালে রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্তির পর থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সে আন্দোলন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নেয়। সাতটি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি
সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ) নামে প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। গত ১৬ মার্চ ইউজিসির কনফারেন্স কক্ষে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভা শেষে এ নাম প্রস্তাব করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। সভায় ইউজিসি ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসির প্রস্তাবিত নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মডেল ও লোগোর কাজ চূড়ান্ত হলে সেগুলোও পাঠানো হবে। এরপর এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। পরে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
কেমন হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে কলেজগুলোর ঐতিহ্য ধারণ করেই। সাত কলেজের যে পাঁচটিতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ছিল, সেটি তেমনই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু কলেজের সময় ও জায়গা শেয়ার করবে। এতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবস্থান একই থাকবে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি হবে নতুন মডেলের বিশ্ববিদ্যালয়। যে মডেল তৈরিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাধিক শিক্ষক কাজ করছেন। মডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলে এ মডেল নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত করা হবে।

যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মতো হবে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’। এর নীতিবাক্য হলো, Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন। এখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। এভাবে অন্যান্য কলেজে হতে পারে বিভিন্ন অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস।
প্রাথমিকভাবে ৪টি স্কুল নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। পরে সক্ষমতা অনুযায়ী এই স্কুলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসব স্কুলের অধীনে আরও একাধিক ডিসিপ্লিন থাকবে। চারটি স্কুল হলো: স্কুল অব সায়েন্সেস, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, স্কুল অব বিজনেস এবং ল স্কুল। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে থাকবে স্কুল অব সায়েন্সেস। সরকারি তিতুমীর কলেজে স্কুল অব বিজনেস, বাঙলা কলেজে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে থাকবে ল স্কুল।
লোগো কেমন হচ্ছে
ইউজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাত কলেজের জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নাম প্রস্তাবনার পর লোগো তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক লোগোর ডেমো নেওয়া হয়েছে। এখন এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। লোগো তৈরিতে সমান গুরুত্ব পাচ্ছে সাতটি কলেজের প্রতিটি কলেজের নাম ও প্রতিকৃতি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিপ্লব, ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবাক্যসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ লোগোতে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৫ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৫
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।
আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।
আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’
শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।
এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’
শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।
এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।
এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৫ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
২ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।
শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।
তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।
শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’
এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৫ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগে