Ajker Patrika

এপ্রিলে আসছে সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন, প্রস্তুত মডেল-লোগো

ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ৩৬
এপ্রিলে আসছে সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন, প্রস্তুত মডেল-লোগো

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে। কমিটির সদস্যরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, সেটির নাম প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো তৈরির কাজও প্রায় শেষ।

বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিলের মধ্যে সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা করা হবে। এখন অপেক্ষা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের আনুষ্ঠানিক অধিভুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শেষ করা। একই সঙ্গে ঢাবি সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনও দেবে। ঢাবির অনুমোদনের বাইরে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের যে কার্যক্রম, তার প্রায় সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কার্যক্রম চালু হওয়ার আগপর্যন্ত এই প্রশাসনের কার্যকারিতা সচল থাকবে। এই প্রশাসনকে তত্ত্বাবধান করবে ইউজিসি।

সদস্যরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে এই প্রশাসনের অধীনে। অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা হলে ঢাবির অধীনে স্থগিত হওয়া সাত কলেজের ভর্তির আবেদন আবার শুরু হবে। বিগত বছরগুলোর মতোই হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। নবীন এসব শিক্ষার্থী সাত কলেজের বিগত বছরগুলোর সিলেবাসে তাঁদের পাঠ শুরু করবেন। এই প্রশাসনের সঙ্গে ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দেবে বুয়েট। তবে এখানে ঢাবির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও থাকবেন। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো। এই মডেল ও লোগো চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন। ঈদ-পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, মডেল ও লোগোসহ সব কাজ সমানতালে এগিয়ে চলেছে।

সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। চলতি এপ্রিলের মধ্যে এ কমিটির কাজ শেষ করার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য জানান, তাঁদেরকে চার মাসের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে, শুরুতে তার মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঝামেলা ছিল না। কমিটির কাজের মাঝপথে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিলে এ প্রশাসন গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন যেহেতু ইউজিসির নিজস্ব সক্ষমতার বাইরে, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনে কিছুটা সময় লাগছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সম্প্রতি ব্যাপক আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা

ঢাবিতে আটকে আছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থাসংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাবিতে পাঠানো ইউজিসির সুপারিশপত্রে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থাই চালু রাখবে। আর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের সব শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে চলবে। এই প্রশাসনের কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে হবে। এ ক্ষেত্রে এই প্রশাসনের পরিচালক হিসেবে যে কলেজের অধ্যক্ষ কাজ করবেন, সেই কলেজে এই কাঠামোর কার্যালয় হবে। কাঠামোর অধীন সব হিসাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সাত কলেজের সবগুলো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সাত কলেজের সবগুলো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছেন বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা।

জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃহস্পতিবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথক্‌করণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কলেজগুলোর জন্য এখন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। এটা একটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সঙ্গে সমন্বয় করে এ কাজ করা হচ্ছে। ঈদের আগে প্রশাসন গঠনের কিছু কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ কমিটি একটা ড্রাফট তৈরি করেছে। এ ড্রাফট নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এখন আমরা এটা ডিনস কমিটিতে তুলব। এরপর এটা পর্যায়ক্রমে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন হবে।’

সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনায় এ কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে একজনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যিনি প্রশাসক নির্বাচিত হবেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান হবে সাত কলেজের হেডকোয়ার্টার্স। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে সাতটি কলেজে কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক তৈরি করা হবে, সেই ডেস্কের কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে থাকবেন হেডকোয়ার্টার্সের কলেজের অধ্যক্ষ।’

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রহমান।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. আব্দুর রহমান।

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ

ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে সাত কলেজের ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সব কটি কলেজের অধ্যক্ষদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়োগে অধ্যক্ষদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসন পরিচালনার দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষদের এসব গুণ বিবেচনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনায় ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষকে কমিশনের কাছে যোগ্য বলে মনে হয়েছে।

এদিকে, সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে অধ্যাপক ইলিয়াসকে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক’ হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশনের সদস্যরা এটাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ঘোষণা অনুযায়ী, যেই কলেজ থেকে প্রশাসক নিয়োগ হবে, সেই কলেজই হবে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডকোয়ার্টার্স বা সদর দপ্তর। সে হিসেবে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির হেডকোয়ার্টার্স।

২০১৭ সালে রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্তির পর থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সে আন্দোলন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নেয়। সাতটি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রী সাবরিনা সুলতানা।
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রী সাবরিনা সুলতানা।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি

সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ) নামে প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। গত ১৬ মার্চ ইউজিসির কনফারেন্স কক্ষে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভা শেষে এ নাম প্রস্তাব করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। সভায় ইউজিসি ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসির প্রস্তাবিত নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মডেল ও লোগোর কাজ চূড়ান্ত হলে সেগুলোও পাঠানো হবে। এরপর এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। পরে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করা হবে।

কেমন হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল

কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে কলেজগুলোর ঐতিহ্য ধারণ করেই। সাত কলেজের যে পাঁচটিতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ছিল, সেটি তেমনই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু কলেজের সময় ও জায়গা শেয়ার করবে। এতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবস্থান একই থাকবে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি হবে নতুন মডেলের বিশ্ববিদ্যালয়। যে মডেল তৈরিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাধিক শিক্ষক কাজ করছেন। মডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলে এ মডেল নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত করা হবে।

সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে এক শিক্ষার্থী।
সাত কলেজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে এক শিক্ষার্থী।

যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মতো হবে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’। এর নীতিবাক্য হলো, Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন। এখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। এভাবে অন্যান্য কলেজে হতে পারে বিভিন্ন অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস।

প্রাথমিকভাবে ৪টি স্কুল নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। পরে সক্ষমতা অনুযায়ী এই স্কুলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসব স্কুলের অধীনে আরও একাধিক ডিসিপ্লিন থাকবে। চারটি স্কুল হলো: স্কুল অব সায়েন্সেস, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, স্কুল অব বিজনেস এবং ল স্কুল। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে থাকবে স্কুল অব সায়েন্সেস। সরকারি তিতুমীর কলেজে স্কুল অব বিজনেস, বাঙলা কলেজে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে থাকবে ল স্কুল।

লোগো কেমন হচ্ছে

ইউজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাত কলেজের জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নাম প্রস্তাবনার পর লোগো তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক লোগোর ডেমো নেওয়া হয়েছে। এখন এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। লোগো তৈরিতে সমান গুরুত্ব পাচ্ছে সাতটি কলেজের প্রতিটি কলেজের নাম ও প্রতিকৃতি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিপ্লব, ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবাক্যসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ লোগোতে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর বুটেক্সে প্রথম সমাবর্তন

শেফাক মাহমুদ, বুটেক্স
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"

হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধ্য জানুয়ারির আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ বই পৌঁছাবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।

আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।

এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’

নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’

বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।

বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সমুদ্রের বাতাসে স্বাস্থ্যের বার্তা

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৫
সমুদ্রের বাতাসে স্বাস্থ্যের বার্তা

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।

ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।

ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’

ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী অংশ নেন।

উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খান, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিশেষ সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক এবং বিশেষ সহকারী মো. মাজেদ-উল-হক এবং প্রভাষক ও বিশেষ সহকারী এস এম আবদুল্লাহ শাফি।

অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত ও প্রতিযোগিতামূলক গেমিং অঙ্গনে। পাবজি মোবাইল প্রতিযোগিতার অনলাইন কোয়ালিফায়ার পর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ৩২টি দল সেমিফাইনালে এবং পরবর্তী সময়ে ১৬টি দল ক্যাম্পাস ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত দিনে অনুষ্ঠিত চারটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ভ্যালোরান্ট বিভাগে অনলাইন লোয়ার-ব্র্যাকেট পর্ব ও ক্যাম্পাসে ল্যান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। লোয়ার-ব্র্যাকেট থেকে উঠে এসে অলস্টারস দল গ্র্যান্ড ফাইনালে ন্যাক্সআর ই-স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়। তিন ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ পর্যন্ত অলস্টারস চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে।

এ ছাড়া উৎসবে মোবাইল লেজেন্ডস: ব্যাঙ ব্যাঙ (এমএলবিবি), এফসি ২৫ এবং ই-ফুটবল প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এমএলবিবি বিভাগে ভাইপার স্ট্রাইকার্স, এফসি ২৫ বিভাগে নিও, ই-ফুটবল একক বিভাগে শাওন শান্ত এবং দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। বক্তারা আয়োজনের ব্যাপ্তি, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তিনজন সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, এআইইউবি ই-স্পোর্টস ক্লাব ও এআইইউবি পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত