ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে। কমিটির সদস্যরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, সেটির নাম প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো তৈরির কাজও প্রায় শেষ।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিলের মধ্যে সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা করা হবে। এখন অপেক্ষা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের আনুষ্ঠানিক অধিভুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শেষ করা। একই সঙ্গে ঢাবি সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনও দেবে। ঢাবির অনুমোদনের বাইরে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের যে কার্যক্রম, তার প্রায় সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কার্যক্রম চালু হওয়ার আগপর্যন্ত এই প্রশাসনের কার্যকারিতা সচল থাকবে। এই প্রশাসনকে তত্ত্বাবধান করবে ইউজিসি।
সদস্যরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে এই প্রশাসনের অধীনে। অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা হলে ঢাবির অধীনে স্থগিত হওয়া সাত কলেজের ভর্তির আবেদন আবার শুরু হবে। বিগত বছরগুলোর মতোই হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। নবীন এসব শিক্ষার্থী সাত কলেজের বিগত বছরগুলোর সিলেবাসে তাঁদের পাঠ শুরু করবেন। এই প্রশাসনের সঙ্গে ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দেবে বুয়েট। তবে এখানে ঢাবির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও থাকবেন। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো। এই মডেল ও লোগো চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন। ঈদ-পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, মডেল ও লোগোসহ সব কাজ সমানতালে এগিয়ে চলেছে।
সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। চলতি এপ্রিলের মধ্যে এ কমিটির কাজ শেষ করার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য জানান, তাঁদেরকে চার মাসের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে, শুরুতে তার মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঝামেলা ছিল না। কমিটির কাজের মাঝপথে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিলে এ প্রশাসন গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন যেহেতু ইউজিসির নিজস্ব সক্ষমতার বাইরে, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনে কিছুটা সময় লাগছে।

ঢাবিতে আটকে আছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থাসংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাবিতে পাঠানো ইউজিসির সুপারিশপত্রে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থাই চালু রাখবে। আর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের সব শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে চলবে। এই প্রশাসনের কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে হবে। এ ক্ষেত্রে এই প্রশাসনের পরিচালক হিসেবে যে কলেজের অধ্যক্ষ কাজ করবেন, সেই কলেজে এই কাঠামোর কার্যালয় হবে। কাঠামোর অধীন সব হিসাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হবে।

জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃহস্পতিবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথক্করণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কলেজগুলোর জন্য এখন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। এটা একটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সঙ্গে সমন্বয় করে এ কাজ করা হচ্ছে। ঈদের আগে প্রশাসন গঠনের কিছু কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ কমিটি একটা ড্রাফট তৈরি করেছে। এ ড্রাফট নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এখন আমরা এটা ডিনস কমিটিতে তুলব। এরপর এটা পর্যায়ক্রমে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন হবে।’
সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনায় এ কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে একজনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যিনি প্রশাসক নির্বাচিত হবেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান হবে সাত কলেজের হেডকোয়ার্টার্স। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে সাতটি কলেজে কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক তৈরি করা হবে, সেই ডেস্কের কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে থাকবেন হেডকোয়ার্টার্সের কলেজের অধ্যক্ষ।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে সাত কলেজের ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সব কটি কলেজের অধ্যক্ষদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়োগে অধ্যক্ষদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসন পরিচালনার দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষদের এসব গুণ বিবেচনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনায় ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষকে কমিশনের কাছে যোগ্য বলে মনে হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে অধ্যাপক ইলিয়াসকে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক’ হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশনের সদস্যরা এটাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ঘোষণা অনুযায়ী, যেই কলেজ থেকে প্রশাসক নিয়োগ হবে, সেই কলেজই হবে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডকোয়ার্টার্স বা সদর দপ্তর। সে হিসেবে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির হেডকোয়ার্টার্স।
২০১৭ সালে রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্তির পর থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সে আন্দোলন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নেয়। সাতটি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি
সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ) নামে প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। গত ১৬ মার্চ ইউজিসির কনফারেন্স কক্ষে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভা শেষে এ নাম প্রস্তাব করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। সভায় ইউজিসি ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসির প্রস্তাবিত নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মডেল ও লোগোর কাজ চূড়ান্ত হলে সেগুলোও পাঠানো হবে। এরপর এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। পরে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
কেমন হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে কলেজগুলোর ঐতিহ্য ধারণ করেই। সাত কলেজের যে পাঁচটিতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ছিল, সেটি তেমনই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু কলেজের সময় ও জায়গা শেয়ার করবে। এতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবস্থান একই থাকবে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি হবে নতুন মডেলের বিশ্ববিদ্যালয়। যে মডেল তৈরিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাধিক শিক্ষক কাজ করছেন। মডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলে এ মডেল নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত করা হবে।

যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মতো হবে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’। এর নীতিবাক্য হলো, Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন। এখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। এভাবে অন্যান্য কলেজে হতে পারে বিভিন্ন অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস।
প্রাথমিকভাবে ৪টি স্কুল নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। পরে সক্ষমতা অনুযায়ী এই স্কুলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসব স্কুলের অধীনে আরও একাধিক ডিসিপ্লিন থাকবে। চারটি স্কুল হলো: স্কুল অব সায়েন্সেস, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, স্কুল অব বিজনেস এবং ল স্কুল। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে থাকবে স্কুল অব সায়েন্সেস। সরকারি তিতুমীর কলেজে স্কুল অব বিজনেস, বাঙলা কলেজে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে থাকবে ল স্কুল।
লোগো কেমন হচ্ছে
ইউজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাত কলেজের জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নাম প্রস্তাবনার পর লোগো তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক লোগোর ডেমো নেওয়া হয়েছে। এখন এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। লোগো তৈরিতে সমান গুরুত্ব পাচ্ছে সাতটি কলেজের প্রতিটি কলেজের নাম ও প্রতিকৃতি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিপ্লব, ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবাক্যসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ লোগোতে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে। কমিটির সদস্যরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, সেটির নাম প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো তৈরির কাজও প্রায় শেষ।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিলের মধ্যে সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা করা হবে। এখন অপেক্ষা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের আনুষ্ঠানিক অধিভুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শেষ করা। একই সঙ্গে ঢাবি সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনও দেবে। ঢাবির অনুমোদনের বাইরে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের যে কার্যক্রম, তার প্রায় সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কার্যক্রম চালু হওয়ার আগপর্যন্ত এই প্রশাসনের কার্যকারিতা সচল থাকবে। এই প্রশাসনকে তত্ত্বাবধান করবে ইউজিসি।
সদস্যরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে এই প্রশাসনের অধীনে। অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা হলে ঢাবির অধীনে স্থগিত হওয়া সাত কলেজের ভর্তির আবেদন আবার শুরু হবে। বিগত বছরগুলোর মতোই হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। নবীন এসব শিক্ষার্থী সাত কলেজের বিগত বছরগুলোর সিলেবাসে তাঁদের পাঠ শুরু করবেন। এই প্রশাসনের সঙ্গে ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দেবে বুয়েট। তবে এখানে ঢাবির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও থাকবেন। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো। এই মডেল ও লোগো চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন। ঈদ-পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, মডেল ও লোগোসহ সব কাজ সমানতালে এগিয়ে চলেছে।
সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। চলতি এপ্রিলের মধ্যে এ কমিটির কাজ শেষ করার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য জানান, তাঁদেরকে চার মাসের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে, শুরুতে তার মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঝামেলা ছিল না। কমিটির কাজের মাঝপথে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিলে এ প্রশাসন গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন যেহেতু ইউজিসির নিজস্ব সক্ষমতার বাইরে, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনে কিছুটা সময় লাগছে।

ঢাবিতে আটকে আছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থাসংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাবিতে পাঠানো ইউজিসির সুপারিশপত্রে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থাই চালু রাখবে। আর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের সব শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে চলবে। এই প্রশাসনের কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে হবে। এ ক্ষেত্রে এই প্রশাসনের পরিচালক হিসেবে যে কলেজের অধ্যক্ষ কাজ করবেন, সেই কলেজে এই কাঠামোর কার্যালয় হবে। কাঠামোর অধীন সব হিসাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হবে।

জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃহস্পতিবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথক্করণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কলেজগুলোর জন্য এখন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। এটা একটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সঙ্গে সমন্বয় করে এ কাজ করা হচ্ছে। ঈদের আগে প্রশাসন গঠনের কিছু কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ কমিটি একটা ড্রাফট তৈরি করেছে। এ ড্রাফট নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এখন আমরা এটা ডিনস কমিটিতে তুলব। এরপর এটা পর্যায়ক্রমে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন হবে।’
সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনায় এ কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে একজনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যিনি প্রশাসক নির্বাচিত হবেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান হবে সাত কলেজের হেডকোয়ার্টার্স। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে সাতটি কলেজে কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক তৈরি করা হবে, সেই ডেস্কের কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে থাকবেন হেডকোয়ার্টার্সের কলেজের অধ্যক্ষ।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে সাত কলেজের ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সব কটি কলেজের অধ্যক্ষদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়োগে অধ্যক্ষদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসন পরিচালনার দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষদের এসব গুণ বিবেচনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনায় ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষকে কমিশনের কাছে যোগ্য বলে মনে হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে অধ্যাপক ইলিয়াসকে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক’ হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশনের সদস্যরা এটাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ঘোষণা অনুযায়ী, যেই কলেজ থেকে প্রশাসক নিয়োগ হবে, সেই কলেজই হবে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডকোয়ার্টার্স বা সদর দপ্তর। সে হিসেবে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির হেডকোয়ার্টার্স।
২০১৭ সালে রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্তির পর থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সে আন্দোলন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নেয়। সাতটি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি
সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ) নামে প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। গত ১৬ মার্চ ইউজিসির কনফারেন্স কক্ষে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভা শেষে এ নাম প্রস্তাব করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। সভায় ইউজিসি ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসির প্রস্তাবিত নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মডেল ও লোগোর কাজ চূড়ান্ত হলে সেগুলোও পাঠানো হবে। এরপর এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। পরে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
কেমন হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে কলেজগুলোর ঐতিহ্য ধারণ করেই। সাত কলেজের যে পাঁচটিতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ছিল, সেটি তেমনই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু কলেজের সময় ও জায়গা শেয়ার করবে। এতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবস্থান একই থাকবে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি হবে নতুন মডেলের বিশ্ববিদ্যালয়। যে মডেল তৈরিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাধিক শিক্ষক কাজ করছেন। মডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলে এ মডেল নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত করা হবে।

যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মতো হবে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’। এর নীতিবাক্য হলো, Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন। এখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। এভাবে অন্যান্য কলেজে হতে পারে বিভিন্ন অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস।
প্রাথমিকভাবে ৪টি স্কুল নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। পরে সক্ষমতা অনুযায়ী এই স্কুলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসব স্কুলের অধীনে আরও একাধিক ডিসিপ্লিন থাকবে। চারটি স্কুল হলো: স্কুল অব সায়েন্সেস, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, স্কুল অব বিজনেস এবং ল স্কুল। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে থাকবে স্কুল অব সায়েন্সেস। সরকারি তিতুমীর কলেজে স্কুল অব বিজনেস, বাঙলা কলেজে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে থাকবে ল স্কুল।
লোগো কেমন হচ্ছে
ইউজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাত কলেজের জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নাম প্রস্তাবনার পর লোগো তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক লোগোর ডেমো নেওয়া হয়েছে। এখন এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। লোগো তৈরিতে সমান গুরুত্ব পাচ্ছে সাতটি কলেজের প্রতিটি কলেজের নাম ও প্রতিকৃতি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিপ্লব, ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবাক্যসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ লোগোতে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।
ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে। কমিটির সদস্যরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, সেটির নাম প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো তৈরির কাজও প্রায় শেষ।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিলের মধ্যে সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা করা হবে। এখন অপেক্ষা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের আনুষ্ঠানিক অধিভুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শেষ করা। একই সঙ্গে ঢাবি সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনও দেবে। ঢাবির অনুমোদনের বাইরে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের যে কার্যক্রম, তার প্রায় সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কার্যক্রম চালু হওয়ার আগপর্যন্ত এই প্রশাসনের কার্যকারিতা সচল থাকবে। এই প্রশাসনকে তত্ত্বাবধান করবে ইউজিসি।
সদস্যরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে এই প্রশাসনের অধীনে। অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা হলে ঢাবির অধীনে স্থগিত হওয়া সাত কলেজের ভর্তির আবেদন আবার শুরু হবে। বিগত বছরগুলোর মতোই হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। নবীন এসব শিক্ষার্থী সাত কলেজের বিগত বছরগুলোর সিলেবাসে তাঁদের পাঠ শুরু করবেন। এই প্রশাসনের সঙ্গে ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দেবে বুয়েট। তবে এখানে ঢাবির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও থাকবেন। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো। এই মডেল ও লোগো চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন। ঈদ-পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, মডেল ও লোগোসহ সব কাজ সমানতালে এগিয়ে চলেছে।
সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। চলতি এপ্রিলের মধ্যে এ কমিটির কাজ শেষ করার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য জানান, তাঁদেরকে চার মাসের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে, শুরুতে তার মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঝামেলা ছিল না। কমিটির কাজের মাঝপথে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিলে এ প্রশাসন গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন যেহেতু ইউজিসির নিজস্ব সক্ষমতার বাইরে, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনে কিছুটা সময় লাগছে।

ঢাবিতে আটকে আছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থাসংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাবিতে পাঠানো ইউজিসির সুপারিশপত্রে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থাই চালু রাখবে। আর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের সব শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে চলবে। এই প্রশাসনের কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে হবে। এ ক্ষেত্রে এই প্রশাসনের পরিচালক হিসেবে যে কলেজের অধ্যক্ষ কাজ করবেন, সেই কলেজে এই কাঠামোর কার্যালয় হবে। কাঠামোর অধীন সব হিসাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হবে।

জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃহস্পতিবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথক্করণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কলেজগুলোর জন্য এখন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। এটা একটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সঙ্গে সমন্বয় করে এ কাজ করা হচ্ছে। ঈদের আগে প্রশাসন গঠনের কিছু কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ কমিটি একটা ড্রাফট তৈরি করেছে। এ ড্রাফট নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এখন আমরা এটা ডিনস কমিটিতে তুলব। এরপর এটা পর্যায়ক্রমে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন হবে।’
সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনায় এ কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে একজনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যিনি প্রশাসক নির্বাচিত হবেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান হবে সাত কলেজের হেডকোয়ার্টার্স। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে সাতটি কলেজে কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক তৈরি করা হবে, সেই ডেস্কের কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে থাকবেন হেডকোয়ার্টার্সের কলেজের অধ্যক্ষ।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে সাত কলেজের ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সব কটি কলেজের অধ্যক্ষদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়োগে অধ্যক্ষদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসন পরিচালনার দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষদের এসব গুণ বিবেচনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনায় ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষকে কমিশনের কাছে যোগ্য বলে মনে হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে অধ্যাপক ইলিয়াসকে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক’ হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশনের সদস্যরা এটাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ঘোষণা অনুযায়ী, যেই কলেজ থেকে প্রশাসক নিয়োগ হবে, সেই কলেজই হবে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডকোয়ার্টার্স বা সদর দপ্তর। সে হিসেবে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির হেডকোয়ার্টার্স।
২০১৭ সালে রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্তির পর থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সে আন্দোলন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নেয়। সাতটি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি
সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ) নামে প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। গত ১৬ মার্চ ইউজিসির কনফারেন্স কক্ষে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভা শেষে এ নাম প্রস্তাব করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। সভায় ইউজিসি ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসির প্রস্তাবিত নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মডেল ও লোগোর কাজ চূড়ান্ত হলে সেগুলোও পাঠানো হবে। এরপর এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। পরে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
কেমন হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে কলেজগুলোর ঐতিহ্য ধারণ করেই। সাত কলেজের যে পাঁচটিতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ছিল, সেটি তেমনই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু কলেজের সময় ও জায়গা শেয়ার করবে। এতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবস্থান একই থাকবে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি হবে নতুন মডেলের বিশ্ববিদ্যালয়। যে মডেল তৈরিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাধিক শিক্ষক কাজ করছেন। মডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলে এ মডেল নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত করা হবে।

যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মতো হবে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’। এর নীতিবাক্য হলো, Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন। এখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। এভাবে অন্যান্য কলেজে হতে পারে বিভিন্ন অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস।
প্রাথমিকভাবে ৪টি স্কুল নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। পরে সক্ষমতা অনুযায়ী এই স্কুলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসব স্কুলের অধীনে আরও একাধিক ডিসিপ্লিন থাকবে। চারটি স্কুল হলো: স্কুল অব সায়েন্সেস, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, স্কুল অব বিজনেস এবং ল স্কুল। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে থাকবে স্কুল অব সায়েন্সেস। সরকারি তিতুমীর কলেজে স্কুল অব বিজনেস, বাঙলা কলেজে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে থাকবে ল স্কুল।
লোগো কেমন হচ্ছে
ইউজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাত কলেজের জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নাম প্রস্তাবনার পর লোগো তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক লোগোর ডেমো নেওয়া হয়েছে। এখন এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। লোগো তৈরিতে সমান গুরুত্ব পাচ্ছে সাতটি কলেজের প্রতিটি কলেজের নাম ও প্রতিকৃতি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিপ্লব, ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবাক্যসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ লোগোতে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে। কমিটির সদস্যরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে সাত কলেজের সমন্বয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে, সেটির নাম প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো তৈরির কাজও প্রায় শেষ।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিলের মধ্যে সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা করা হবে। এখন অপেক্ষা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের আনুষ্ঠানিক অধিভুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া শেষ করা। একই সঙ্গে ঢাবি সাত কলেজ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনও দেবে। ঢাবির অনুমোদনের বাইরে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের যে কার্যক্রম, তার প্রায় সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কার্যক্রম চালু হওয়ার আগপর্যন্ত এই প্রশাসনের কার্যকারিতা সচল থাকবে। এই প্রশাসনকে তত্ত্বাবধান করবে ইউজিসি।
সদস্যরা জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষের (২০২৪-২৫) ভর্তি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে এই প্রশাসনের অধীনে। অন্তর্বর্তী প্রশাসন ঘোষণা হলে ঢাবির অধীনে স্থগিত হওয়া সাত কলেজের ভর্তির আবেদন আবার শুরু হবে। বিগত বছরগুলোর মতোই হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। নবীন এসব শিক্ষার্থী সাত কলেজের বিগত বছরগুলোর সিলেবাসে তাঁদের পাঠ শুরু করবেন। এই প্রশাসনের সঙ্গে ভর্তি কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা দেবে বুয়েট। তবে এখানে ঢাবির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারাও থাকবেন। অন্তর্বর্তী প্রশাসনের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঘোষণা করা হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল ও লোগো। এই মডেল ও লোগো চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন। ঈদ-পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, মডেল ও লোগোসহ সব কাজ সমানতালে এগিয়ে চলেছে।
সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। চলতি এপ্রিলের মধ্যে এ কমিটির কাজ শেষ করার একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য জানান, তাঁদেরকে চার মাসের যে টাইমফ্রেম দেওয়া হয়েছে, শুরুতে তার মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের ঝামেলা ছিল না। কমিটির কাজের মাঝপথে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিলে এ প্রশাসন গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আর অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন যেহেতু ইউজিসির নিজস্ব সক্ষমতার বাইরে, তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনে কিছুটা সময় লাগছে।

ঢাবিতে আটকে আছে অন্তর্বর্তী প্রশাসন
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘সাত কলেজ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় সাময়িক ব্যবস্থাসংক্রান্ত’ শিরোনামে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। এরপর গত ২ মার্চ ইউজিসির এ সুপারিশপত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানায় মন্ত্রণালয়। তবে অন্তর্বর্তী প্রশাসন এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাবিতে পাঠানো ইউজিসির সুপারিশপত্রে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীলতার সঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থাই চালু রাখবে। আর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের সব শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে চলবে। এই প্রশাসনের কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে হবে। এ ক্ষেত্রে এই প্রশাসনের পরিচালক হিসেবে যে কলেজের অধ্যক্ষ কাজ করবেন, সেই কলেজে এই কাঠামোর কার্যালয় হবে। কাঠামোর অধীন সব হিসাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা ব্যাংক হিসাবে পরিচালিত হবে।

জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বৃহস্পতিবার সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথক্করণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ কলেজগুলোর জন্য এখন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। এটা একটা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির সঙ্গে সমন্বয় করে এ কাজ করা হচ্ছে। ঈদের আগে প্রশাসন গঠনের কিছু কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ কমিটি একটা ড্রাফট তৈরি করেছে। এ ড্রাফট নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এখন আমরা এটা ডিনস কমিটিতে তুলব। এরপর এটা পর্যায়ক্রমে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে অনুমোদন হবে।’
সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি পরিচালনায় এ কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে একজনকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। যিনি প্রশাসক নির্বাচিত হবেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান হবে সাত কলেজের হেডকোয়ার্টার্স। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী প্রশাসনের অধীনে সাতটি কলেজে কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক তৈরি করা হবে, সেই ডেস্কের কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে থাকবেন হেডকোয়ার্টার্সের কলেজের অধ্যক্ষ।’

অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হচ্ছেন ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে সাত কলেজের ‘অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান’ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। সব কটি কলেজের অধ্যক্ষদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার মাধ্যমে তাঁকে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়োগে অধ্যক্ষদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসন পরিচালনার দক্ষতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষদের এসব গুণ বিবেচনায় অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনায় ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষকে কমিশনের কাছে যোগ্য বলে মনে হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে অধ্যাপক ইলিয়াসকে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক’ হিসেবে উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমিশনের সদস্যরা এটাকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ঘোষণা অনুযায়ী, যেই কলেজ থেকে প্রশাসক নিয়োগ হবে, সেই কলেজই হবে নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেডকোয়ার্টার্স বা সদর দপ্তর। সে হিসেবে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টির হেডকোয়ার্টার্স।
২০১৭ সালে রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। অধিভুক্তির পর থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায় এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সে আন্দোলন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রূপ নেয়। সাতটি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি
সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ) নামে প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। গত ১৬ মার্চ ইউজিসির কনফারেন্স কক্ষে সাত কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সভা শেষে এ নাম প্রস্তাব করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। সভায় ইউজিসি ও কমিটির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইউজিসির প্রস্তাবিত নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মডেল ও লোগোর কাজ চূড়ান্ত হলে সেগুলোও পাঠানো হবে। এরপর এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে পাস হবে। পরে রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
কেমন হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল
কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কার্যক্রমের পরিকল্পনা করা হচ্ছে কলেজগুলোর ঐতিহ্য ধারণ করেই। সাত কলেজের যে পাঁচটিতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ছিল, সেটি তেমনই থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়টি শুধু কলেজের সময় ও জায়গা শেয়ার করবে। এতে ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার্থী ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকদের অবস্থান একই থাকবে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি হবে নতুন মডেলের বিশ্ববিদ্যালয়। যে মডেল তৈরিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একাধিক শিক্ষক কাজ করছেন। মডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কাজ শেষ হলে এ মডেল নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরারের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত করা হবে।

যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের (এনইউএস) মতো হবে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় চলবে ‘হাইব্রিড মডেলে’। এর নীতিবাক্য হলো, Learning through interdisciplinary knowledge and teaching বা আন্তবিষয়ক জ্ঞান ও পাঠদানের মাধ্যমে শিখন। এখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস হবে অনলাইনে, আর ৬০ শতাংশ ক্লাস হবে সশরীরে। নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনকার মতো একেকটি কলেজে সব বিষয় পড়াশোনা হবে না। এক বা একাধিক কলেজে অনুষদভিত্তিক ক্লাস হবে। যেমন সরকারি তিতুমীর কলেজে হতে পারে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত বিষয়গুলোর ক্লাস। এভাবে অন্যান্য কলেজে হতে পারে বিভিন্ন অনুষদভুক্ত বিষয়ের ক্লাস।
প্রাথমিকভাবে ৪টি স্কুল নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। পরে সক্ষমতা অনুযায়ী এই স্কুলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসব স্কুলের অধীনে আরও একাধিক ডিসিপ্লিন থাকবে। চারটি স্কুল হলো: স্কুল অব সায়েন্সেস, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, স্কুল অব বিজনেস এবং ল স্কুল। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে থাকবে স্কুল অব সায়েন্সেস। সরকারি তিতুমীর কলেজে স্কুল অব বিজনেস, বাঙলা কলেজে স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ এবং কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে থাকবে ল স্কুল।
লোগো কেমন হচ্ছে
ইউজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাত কলেজের জন্য ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নাম প্রস্তাবনার পর লোগো তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক লোগোর ডেমো নেওয়া হয়েছে। এখন এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। লোগো তৈরিতে সমান গুরুত্ব পাচ্ছে সাতটি কলেজের প্রতিটি কলেজের নাম ও প্রতিকৃতি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিপ্লব, ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিবাক্যসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ লোগোতে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপ স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
৮ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি...
৮ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন কেউ কোনো অবস্থাতেই ভোটের দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটারদের অবশ্যই বৈধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা হারিয়ে গেছে, তারা ভোটার তালিকার পাশে দেওয়া QR Code স্ক্যান করে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন, যা ভোট গ্রহণের দিন পরিচয়পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ভোটারকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোটকক্ষে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী সঙ্গে থাকলে তা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা রেখে ভোট শেষে নিজ দায়িত্বে ফেরত নিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোট প্রদানের সময় প্রত্যেক ভোটারকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ও সিলকৃত তিনটি ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে। ব্যালট পেপার কোনোভাবেই ভাঁজ করা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে না। ভোট শেষে নির্দিষ্ট নম্বরের ব্যালট বক্সে নির্দিষ্ট ব্যালট পেপার জমা দিতে হবে।
ভোট প্রদানের আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে এবং হল শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালি প্রয়োগ করা হবে। ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের পাশের নির্ধারিত ঘরে সঠিকভাবে চিহ্ন দিতে হবে, অন্যথায় ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্দেশনায় নির্বাহী সদস্য পদের ক্ষেত্রে ভোট প্রদানে বিশেষ সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৭ জন এবং হল শিক্ষার্থী সংসদে ৪ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে। এর বেশি ভোট প্রদান করলে নির্বাহী সদস্য পদের সব ভোট বাতিল হবে।
ভোটকক্ষে ব্যালট পেপারের অংশ বা প্রার্থীর নামসংবলিত কোনো কাগজ রেখে আসা নিষিদ্ধ। বুথে সংরক্ষিত কলম ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে। ভোট প্রদান শেষে ভোটারদের দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর পর প্রথমাবের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম নেই এমন কেউ কোনো অবস্থাতেই ভোটের দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোটারদের অবশ্যই বৈধ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। যাদের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বা হারিয়ে গেছে, তারা ভোটার তালিকার পাশে দেওয়া QR Code স্ক্যান করে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন, যা ভোট গ্রহণের দিন পরিচয়পত্রের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় প্রত্যেক ভোটারকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোটকক্ষে কোনো ব্যাগ, মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক সামগ্রী বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব সামগ্রী সঙ্গে থাকলে তা রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা রেখে ভোট শেষে নিজ দায়িত্বে ফেরত নিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভোট প্রদানের সময় প্রত্যেক ভোটারকে রিটার্নিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ও সিলকৃত তিনটি ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে। ব্যালট পেপার কোনোভাবেই ভাঁজ করা, ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে না। ভোট শেষে নির্দিষ্ট নম্বরের ব্যালট বক্সে নির্দিষ্ট ব্যালট পেপার জমা দিতে হবে।
ভোট প্রদানের আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে এবং হল শিক্ষার্থী সংসদের ক্ষেত্রে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে অমোচনীয় কালি প্রয়োগ করা হবে। ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের পাশের নির্ধারিত ঘরে সঠিকভাবে চিহ্ন দিতে হবে, অন্যথায় ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
নির্দেশনায় নির্বাহী সদস্য পদের ক্ষেত্রে ভোট প্রদানে বিশেষ সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে মোট ৭ জন এবং হল শিক্ষার্থী সংসদে ৪ জন প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে। এর বেশি ভোট প্রদান করলে নির্বাহী সদস্য পদের সব ভোট বাতিল হবে।
ভোটকক্ষে ব্যালট পেপারের অংশ বা প্রার্থীর নামসংবলিত কোনো কাগজ রেখে আসা নিষিদ্ধ। বুথে সংরক্ষিত কলম ব্যবহার করেই ভোট দিতে হবে। ভোট প্রদান শেষে ভোটারদের দ্রুত ক্যাম্পাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তবে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর পর প্রথমাবের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে ভোটগ্রহণ।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
৮ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি...
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বহু মেধাবী শিক্ষার্থী। এই বাস্তবতার পেছনের কারণ, এর প্রভাব এবং উত্তরণের পথ নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের গবেষক ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ শুনে লিখেছেন মো. মনিরুল ইসলাম।
মো. মনিরুল ইসলাম

প্রস্তুতির অভাব ও অনীহা
আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। তবে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই ইংরেজি ভাষা চর্চার প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেন না। শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ব্যবহার সীমিত থাকা, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার প্রবণতা এবং দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির ব্যবহার না থাকার কারণে ভাষাগত দক্ষতা গড়ে ওঠে না। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার কথা শুনলেই অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয় ও অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন এবং কাঠামোবদ্ধ পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনেককে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করে।
সচেতনতার অভাব
আইইএলটিএস সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবও একটি বড় কারণ। অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কিংবা জাপানসহ বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একটি অপরিহার্য শর্ত। ফলে তাঁরা বিষয়টিকে ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত মনে করেন। বিদেশে পড়াশোনার পুরো প্রক্রিয়া—বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন, ভিসাপ্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকায় আইইএলটিএসের প্রয়োজনীয়তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় না।
আর্থিক সীমাবদ্ধতা
আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এবং প্রস্তুতিমূলক কোচিংয়ের খরচ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যয় আরও ভারী হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ফি ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় মনে করা হয়, যা শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে আরও দুর্বল করে দেয়।
উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের ঘাটতি
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেই দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দেয়। পরিবার ও সমাজের চাপেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেন। ফলে আইইএলটিএস প্রস্তুতিকে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হিসেবে না দেখে বাড়তি ঝামেলা বিবেচনা করেন।
ভাষাগত মানসিক বাধা
ইংরেজিকে ‘কঠিন বিষয়’ হিসেবে ভাবার একটি মানসিক দেয়াল বহু শিক্ষার্থীর মাঝেই কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা শুধু ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। এই ভ্রান্ত ধারণা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এবং শুরুতেই পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।
সুযোগ হারানোর বাস্তবতা
আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের সুযোগ হারান। এর ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবন দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও বহুজাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
উত্তরণের পথ
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইইএলটিএসের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের সক্রিয় দিকনির্দেশনা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল, ভর্তুকি বা প্রাতিষ্ঠানিক স্কলারশিপ চালু করা হলে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আইইএলটিএস কোনো অজেয় বাধা নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। এই বাধাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা গেলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রস্তুতির অভাব ও অনীহা
আইইএলটিএস একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা, যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মৌলিক শর্ত। তবে বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই ইংরেজি ভাষা চর্চার প্রতি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দেন না। শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ব্যবহার সীমিত থাকা, পরীক্ষাভিত্তিক পড়াশোনার প্রবণতা এবং দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজির ব্যবহার না থাকার কারণে ভাষাগত দক্ষতা গড়ে ওঠে না। এর ফলে আইইএলটিএস পরীক্ষার কথা শুনলেই অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয় ও অনীহা তৈরি হয়। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি, নিয়মিত অনুশীলন এবং কাঠামোবদ্ধ পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা অনেককে শুরুতেই নিরুৎসাহিত করে।
সচেতনতার অভাব
আইইএলটিএস সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণার অভাবও একটি বড় কারণ। অনেক শিক্ষার্থীই জানেন না যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ কিংবা জাপানসহ বহু দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস একটি অপরিহার্য শর্ত। ফলে তাঁরা বিষয়টিকে ঐচ্ছিক বা অতিরিক্ত মনে করেন। বিদেশে পড়াশোনার পুরো প্রক্রিয়া—বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, স্কলারশিপ আবেদন, ভিসাপ্রক্রিয়া—এসব বিষয়ে তথ্যের ঘাটতি থাকায় আইইএলটিএসের প্রয়োজনীয়তা তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয় না।
আর্থিক সীমাবদ্ধতা
আইইএলটিএস পরীক্ষার ফি এবং প্রস্তুতিমূলক কোচিংয়ের খরচ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রাম বা মফস্বল এলাকা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এই ব্যয় আরও ভারী হয়ে দাঁড়ায়। পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে ফি ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কা তাঁদের ঝুঁকি নিতে নিরুৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ব্যয়কে অপ্রয়োজনীয় মনে করা হয়, যা শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে আরও দুর্বল করে দেয়।
উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহের ঘাটতি
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেই দ্রুত চাকরিতে প্রবেশ করতে চান। বিশেষ করে সরকারি চাকরির প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দেয়। পরিবার ও সমাজের চাপেও অনেক সময় শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেন। ফলে আইইএলটিএস প্রস্তুতিকে তাঁরা ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ হিসেবে না দেখে বাড়তি ঝামেলা বিবেচনা করেন।
ভাষাগত মানসিক বাধা
ইংরেজিকে ‘কঠিন বিষয়’ হিসেবে ভাবার একটি মানসিক দেয়াল বহু শিক্ষার্থীর মাঝেই কাজ করে। তাঁরা মনে করেন, আইইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা শুধু ইংরেজি মাধ্যমে পড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষেই সম্ভব। এই ভ্রান্ত ধারণা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি করে এবং শুরুতেই পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠে।
সুযোগ হারানোর বাস্তবতা
আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও আন্তর্জাতিক স্কলারশিপের সুযোগ হারান। এর ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবন দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আন্তর্জাতিক গবেষণা, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও বহুজাতিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমে যায়, যা ব্যক্তিগত দক্ষতা ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি ডেকে আনে।
উত্তরণের পথ
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আইইএলটিএসের গুরুত্ব শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিক্ষকদের সক্রিয় দিকনির্দেশনা এবং অভিজ্ঞ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ তহবিল, ভর্তুকি বা প্রাতিষ্ঠানিক স্কলারশিপ চালু করা হলে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়বে।
সঠিক পরিকল্পনা, সচেতনতা ও মানসিক প্রস্তুতি থাকলে আইইএলটিএস কোনো অজেয় বাধা নয়। বরং এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দিতে পারে। এই বাধাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা গেলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
৮ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি...
৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে তুলে ধরা হলো:
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র কে ছিলেন?
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা, ধর্মযাজক ও মানবাধিকারকর্মী। তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
তাঁর জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কী জানা যায়?
লুথার কিং ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ধর্মতত্ত্বে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরে একজন ব্যাপটিস্ট ধর্মযাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কোন আন্দোলনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন?
তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ (Civil Rights Movement)-এর প্রধান নেতা ছিলেন। বিশেষ করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সমান নাগরিক সুযোগ এবং আইনি বৈষম্য দূর করার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।
মার্টিন লুথার কিং কোন ধরনের আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন?
তিনি অহিংস (Non-violence) ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সহিংসতার পরিবর্তে নৈতিক শক্তি ও গণ-অসহযোগকে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তিটি কী?
মার্টিন লুথার কিংয়ের সবচেয়ে কালজয়ী উক্তিটি হলো, ‘I have a dream that my four little children will one day live in a nation where they will not be judged by the color of their skin but by the content of their character.’ (আমার একটি স্বপ্ন আছে যে, আমার চার সন্তান একদিন এমন এক দেশে বাস করবে, যেখানে গায়ের রঙের পরিবর্তে তাদের চরিত্রের গুণাবলি দিয়ে তাদের বিচার করা হবে।)
‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ (I Have a Dream) ভাষণের গুরুত্ব কী?
১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সামনে দেওয়া এ ভাষণটি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত। এতে তিনি বর্ণ, ধর্ম ও গায়ের রঙভিত্তিক বৈষম্যহীন এক সমাজের স্বপ্ন তুলে ধরেন। এই ভাষণটি আমেরিকায় নাগরিক অধিকার আইন (Civil Rights Act of 1964) পাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করেছিল।
তিনি কেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?
শান্তিপূর্ণ ও অহিংস উপায়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং মানবাধিকারের পক্ষে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে পুরস্কারটি পেয়ে তিনি তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
তাঁর আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, বর্ণবাদী আইনের বিলোপ ঘটানো এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল?
১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিস শহরের লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামক একজন শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর বয়স তখন মাত্র ৩৯ বছর। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি তাঁর ভাষণে অহিংসার ডাক দিয়েছিলেন।
মার্টিন লুথার কিংয়ের অবদান কেন আজও প্রাসঙ্গিক?
সারা বিশ্বে আজও যেখানেই বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, সেখানেই তাঁর আদর্শ ও ‘অহিংস আন্দোলন’ অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি প্রমাণ করেছেন, অস্ত্রের চেয়ে নৈতিকতা ও ন্যায়ের শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী।

মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে তুলে ধরা হলো:
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র কে ছিলেন?
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা, ধর্মযাজক ও মানবাধিকারকর্মী। তিনি বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
তাঁর জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পর্কে কী জানা যায়?
লুথার কিং ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ধর্মতত্ত্বে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন এবং পরে একজন ব্যাপটিস্ট ধর্মযাজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কোন আন্দোলনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন?
তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান জনগোষ্ঠীর ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ (Civil Rights Movement)-এর প্রধান নেতা ছিলেন। বিশেষ করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, সমান নাগরিক সুযোগ এবং আইনি বৈষম্য দূর করার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।
মার্টিন লুথার কিং কোন ধরনের আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন?
তিনি অহিংস (Non-violence) ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করতেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংস দর্শন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সহিংসতার পরিবর্তে নৈতিক শক্তি ও গণ-অসহযোগকে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন।
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তিটি কী?
মার্টিন লুথার কিংয়ের সবচেয়ে কালজয়ী উক্তিটি হলো, ‘I have a dream that my four little children will one day live in a nation where they will not be judged by the color of their skin but by the content of their character.’ (আমার একটি স্বপ্ন আছে যে, আমার চার সন্তান একদিন এমন এক দেশে বাস করবে, যেখানে গায়ের রঙের পরিবর্তে তাদের চরিত্রের গুণাবলি দিয়ে তাদের বিচার করা হবে।)
‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ (I Have a Dream) ভাষণের গুরুত্ব কী?
১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সামনে দেওয়া এ ভাষণটি ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে বিবেচিত। এতে তিনি বর্ণ, ধর্ম ও গায়ের রঙভিত্তিক বৈষম্যহীন এক সমাজের স্বপ্ন তুলে ধরেন। এই ভাষণটি আমেরিকায় নাগরিক অধিকার আইন (Civil Rights Act of 1964) পাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করেছিল।
তিনি কেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন?
শান্তিপূর্ণ ও অহিংস উপায়ে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং মানবাধিকারের পক্ষে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে পুরস্কারটি পেয়ে তিনি তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
তাঁর আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
সব নাগরিকের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করা, বর্ণবাদী আইনের বিলোপ ঘটানো এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল?
১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেমফিস শহরের লরেইন হোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জেমস আর্ল রে নামক একজন শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থীর গুলিতে তিনি নিহত হন। তাঁর বয়স তখন মাত্র ৩৯ বছর। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি তাঁর ভাষণে অহিংসার ডাক দিয়েছিলেন।
মার্টিন লুথার কিংয়ের অবদান কেন আজও প্রাসঙ্গিক?
সারা বিশ্বে আজও যেখানেই বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, সেখানেই তাঁর আদর্শ ও ‘অহিংস আন্দোলন’ অনুপ্রেরণা জোগায়। তিনি প্রমাণ করেছেন, অস্ত্রের চেয়ে নৈতিকতা ও ন্যায়ের শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী।

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি...
৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। খলিফা ইউনিভার্সিটির এই মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ আগ্রহীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।
খলিফা ইউনিভার্সিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও গবেষণাভিত্তিক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত। বিশ্বমানের গবেষণা অবকাঠামো, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর জন্য খলিফা ইউনিভার্সিটি দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন ও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়েও প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে উল্লেখযোগ্য অবস্থান ধরে রাখছে। উদ্ভাবন, গবেষণা ও বাস্তবমুখী শিক্ষার সমন্বয়ে খলিফা ইউনিভার্সিটি খুব অল্প সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। শিক্ষা সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে মাসিক ভাতা। গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কলারশিপ নীতিমালা অনুযায়ী, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ৮ হাজার দিরহাম এবং পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ১০ হাজার দিরহাম। যা সময় ও নীতিমালার ভিত্তিতে পরিবর্তনযোগ্য। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ সহায়তা; যা তাঁদের একাডেমিক ও গবেষণামূলক দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য প্রার্থীর অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ভর্তি-সংক্রান্ত সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করাও বাধ্যতামূলক। আর ডক্টরেট (পিএইচডি) প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া ৫০০ থেকে ১ হাজার শব্দের একটি গবেষণা প্রস্তাবনা (রিসার্চ স্টেটমেন্ট) জমা দিতে হবে। এরপর ভর্তি সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রার্থীদের অনলাইনে নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদনকারীদের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির সনদ এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রির সনদ জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সব একাডেমিক পর্যায়ের অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, আপডেটেড ও বিস্তারিত জীবনবৃত্তান্ত (সিভি), সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং বৈধ পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া পার্সোনাল স্টেটমেন্ট, স্টেটমেন্ট অব পারপাস এবং দুটি সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) জমা দিতে হবে।
বৃত্তির মেয়াদ
খলিফা ইউনিভার্সিটির এই স্কলারশিপে ফুলটাইম ও পার্টটাইম—উভয় ধরনের পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শর্ত মানতে হবে। ফুলটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে ৩-৪টি কোর্সে (মোট ৯-১২ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকতে হবে। আর পার্টটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে ২টি কোর্সে (৬ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকা বাধ্যতামূলক। ডিগ্রি অনুযায়ী বৃত্তির মেয়াদ হবে মাস্টার্স ডিগ্রি (ফুলটাইম) দুই বছর; মাস্টার্স ডিগ্রি (পার্টটাইম) তিন বছর। আর পিএইচডির ক্ষেত্রে তিন-চার বছর।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টির এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা মূলত প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, নিরাপত্তা এবং শিল্প-কলাভিত্তিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন। এখানে রয়েছে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস। পাশাপাশি, ডক্টর অব ফিলোসফি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামেও শিক্ষার্থীরা পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তির মাধ্যমে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা লিঙ্কে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
আগামী ২ মার্চ, ২০২৬

সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খলিফা ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। খলিফা ইউনিভার্সিটির এই মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ আগ্রহীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।
খলিফা ইউনিভার্সিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও গবেষণাভিত্তিক উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত। বিশ্বমানের গবেষণা অবকাঠামো, আধুনিক ল্যাব সুবিধা ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর জন্য খলিফা ইউনিভার্সিটি দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন ও কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়েও প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে উল্লেখযোগ্য অবস্থান ধরে রাখছে। উদ্ভাবন, গবেষণা ও বাস্তবমুখী শিক্ষার সমন্বয়ে খলিফা ইউনিভার্সিটি খুব অল্প সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
সুযোগ-সুবিধা
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। শিক্ষা সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে মাসিক ভাতা। গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কলারশিপ নীতিমালা অনুযায়ী, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ৮ হাজার দিরহাম এবং পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন মাসে ১০ হাজার দিরহাম। যা সময় ও নীতিমালার ভিত্তিতে পরিবর্তনযোগ্য। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ সহায়তা; যা তাঁদের একাডেমিক ও গবেষণামূলক দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে হবে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য প্রার্থীর অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। এ ছাড়া ভর্তি-সংক্রান্ত সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করাও বাধ্যতামূলক। আর ডক্টরেট (পিএইচডি) প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া ৫০০ থেকে ১ হাজার শব্দের একটি গবেষণা প্রস্তাবনা (রিসার্চ স্টেটমেন্ট) জমা দিতে হবে। এরপর ভর্তি সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রার্থীদের অনলাইনে নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদনকারীদের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রির সনদ এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রির সনদ জমা দিতে হবে। পাশাপাশি সব একাডেমিক পর্যায়ের অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, আপডেটেড ও বিস্তারিত জীবনবৃত্তান্ত (সিভি), সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং বৈধ পাসপোর্টের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া পার্সোনাল স্টেটমেন্ট, স্টেটমেন্ট অব পারপাস এবং দুটি সুপারিশপত্র (রিকমেন্ডেশন লেটার) জমা দিতে হবে।
বৃত্তির মেয়াদ
খলিফা ইউনিভার্সিটির এই স্কলারশিপে ফুলটাইম ও পার্টটাইম—উভয় ধরনের পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শর্ত মানতে হবে। ফুলটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে ৩-৪টি কোর্সে (মোট ৯-১২ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকতে হবে। আর পার্টটাইম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি সেমিস্টারে কমপক্ষে ২টি কোর্সে (৬ ক্রেডিট আওয়ার বা সমমান) ভর্তি থাকা বাধ্যতামূলক। ডিগ্রি অনুযায়ী বৃত্তির মেয়াদ হবে মাস্টার্স ডিগ্রি (ফুলটাইম) দুই বছর; মাস্টার্স ডিগ্রি (পার্টটাইম) তিন বছর। আর পিএইচডির ক্ষেত্রে তিন-চার বছর।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টির এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা মূলত প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, চিকিৎসা, নিরাপত্তা এবং শিল্প-কলাভিত্তিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন। এখানে রয়েছে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং, কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ সায়েন্সেস। পাশাপাশি, ডক্টর অব ফিলোসফি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামেও শিক্ষার্থীরা পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তির মাধ্যমে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা লিঙ্কে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
আগামী ২ মার্চ, ২০২৬

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নেতৃত্বাধীন উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ কমিটিকে চার মাসের যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সে সময়ের মধ্যেই মূল কাজ শেষ হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-কে সামনে রেখে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিতে ভোটারদের জন্য ১২ দফা নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ভোটারদের এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ এখনো আইইএলটিএস পরীক্ষাকে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে পারছেন না। পরীক্ষাটি নিয়ে অনীহা, ভয় ও পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করছে অদৃশ্য কিন্তু শক্ত এক দেয়াল। ফলে আন্তর্জাতিক মানের স্কলারশিপ ও বিশ্বমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বশান্তির দূত। বিসিএস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ভাইভায় তাঁর জীবন ও আদর্শ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর নিচে...
৮ ঘণ্টা আগে