Ajker Patrika

পরামর্শ: জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে

পরামর্শ: জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে

উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান, তাঁদের অনেকেরই পছন্দের দেশ জার্মানি। পড়ালেখা শেষে গবেষণা ও পূর্ণকালীন কাজ করার সুযোগ, জীবনযাত্রার উচ্চমানই মূলত আকৃষ্ট করে তাঁদের। জার্মানিতে পড়াশোনা ও চাকরির সুযোগ নিয়ে কথা বলেছেন লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও স্থপতি সাঈদ আহমেদ

জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ইউনি-অ্যাসিস্ট। এই ওয়েবসাইটে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন ফি নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কো-অর্ডিনেটরকে ই-মেইল করলে তারা জানিয়ে দেয়। তবে ইউনি-অ্যাসিস্ট হচ্ছে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। এ ছাড়া ডাড স্কলারশিপের মধ্যে দেওয়া থাকে কীভাবে আবেদন করতে হয়। অনেক সময় ই-মেইলে ভর্তি হওয়া যায়। ডাড স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে ভর্তি হওয়া যায়। জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডাড আর ইউনি-অ্যাসিস্ট সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। 

জার্মানিতে স্কলারশিপ 
জার্মানিতে ডাড হচ্ছে সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ প্ল্যাটফর্ম। এতে বেসিক সায়েন্স, যেমন ফিজিকস, ম্যাথ, কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ওপর স্কলারশিপ বেশি দেওয়া হয়। মেডিকেল বিষয়ে মোটামুটি কম। এ ছাড়া ইরাসমাস-মুন্ডাস স্কলারশিপ, আইনস্টাইন ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ, হামবোল্ট রিসার্চ ফেলোশিপ, হেনরিখ বোল স্কলারশিপ ইত্যাদি স্কলারশিপে পড়া যায়। স্কলারশিপে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ফ্রি থাকে। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি বেজড স্কলারশিপ রয়েছে। সেগুলো জার্মান সম্পর্কে জানা এবং জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল কতটুকু, তার ওপর নির্ভর করে। তবে ডাডই সবচেয়ে বড় স্কলারশিপ।

আবেদনের যোগ্যতা
জার্মানিতে আবেদনের জন্য পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্মসনদ, নাগরিক সনদ লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসার জন্যও কাগজপত্র লাগবে। আবেদনের ক্ষেত্রে অনার্সে আবেদন না করাই ভালো। কারণ, এতে তেমন স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। পাশাপাশি খরচও অনেক বেশি। স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য স্নাতকের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট, কাজের অভিজ্ঞতা, মোটিভেশনাল লেটার, ইউরোপাস ফরম্যাটের সিভি, রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ হতে হবে। কোনো ব্যান্ডে ৬-এর নিচে থাকা যাবে না। নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। এতে আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৬ এবং স্নাতকের ফল সিজিপিএ ৩ পয়েন্ট হলে ভালো হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী এর থেকে কম স্কোর ও পয়েন্টে হওয়া যায়।

কোন সময় আবেদন
জার্মানিতে উইন্টার সেশন অক্টোবরে এবং স্প্রিং সেশন শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে। জার্মানি উইন্টারে সবচেয়ে বেশি কোর্স অফার করে। ইউনি-অ্যাসিস্টে সব ডেডলাইন দেওয়া থাকে। তা ছাড়া তারা এ নিয়মই ফলো করে। বছরের দুই সেমিস্টারে আবেদন করা যায়। এতে ভিসা জটিলতা হলে অন্য সেমিস্টারে যাওয়ার সুযোগ থাকে। ইয়ার রাউন্ডে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সুযোগ দেয়। এতে আবেদনের জন্য সেমিস্টার শুরু হওয়ার দুই-তিন মাস আগে সার্কুলার জারি করা হয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়।

যেভাবে আবেদন
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই ইউনি-অ্যাসিস্টে একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষিত রাখতে হবে। ওয়েবসাইটে সাবজেক্ট চয়েস বারে ক্লিক করলে ইউনিভার্সিটি, স্কলারশিপে আবেদন—সব তথ্যই চলে আসবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথমবারের জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। তবে বেশি আবেদন করলে ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী ৩০০-৭০০ ইউরো খরচ গুনতে হবে। উচ্চমানের ইউনিভার্সিটিতে আবেদনে খরচটা একটু বেশি আসে। শহরের বাইরের ক্যাম্পাসগুলোতে আবেদনের খরচ কম। ওয়েবসাইট অনুযায়ী আবেদন করতে হবে। এতে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড লাগবে। টাকা ইউরোতে কনভার্ট করে আবেদন করা যাবে। প্রধানত অনলাইন বেজড আবেদন করতে হয়।

জার্মান ভাষা শিখব
জার্মান ভাষা শেখা ভালো। তাই বলে জার্মান ভাষা শেখা নেই এবং যাওয়ার আগে জার্মান ভাষা শিখতে হবে, এমন নয়। জার্মানিতে থাকতে জার্মান ভাষা শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে। জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ভাষার কোর্স করানো হয় এবং ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব রয়েছে। তা ছাড়া প্রাইভেটভাবে জার্মান ভাষা শেখা যায়। স্টুডেন্টদের জন্য মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইংরেজি বেজড হয়ে থাকে। যাঁরা জার্মানিতে যাবেন অনার্সের শেষ দিকে এসে জার্মান ভাষা শিখতে পারেন। ঢাকায় গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে জার্মান ভাষা শেখানো হয়। এ ছাড়া অনলাইনে জার্মান ভাষা শেখার জন্য ইউটিউবে ভিডিও আছে। জার্মান ভাষা শিখে গেলে ছাত্র অবস্থায় চাকরি পাওয়া, ডাক্তার দেখানো, শপিং করা—এ ধরনের জায়গায় সুবিধা পাওয়া যাবে। ভাষা শিখে গেলে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকা যাবে। তবে ভাষা না শিখলেও তেমন সমস্যা নেই।

পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ
জার্মানিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ থাকবে। বড় শহরগুলোতে কাজের সুযোগ বেশি। আর ছোট শহরে কাজের সুযোগ কম। গ্রীষ্মকালে তিন মাস বন্ধ থাকে, তখন চাইলে ফুলটাইম কাজ করা যাবে। অনেক সময় ইউনিভার্সিটিগুলোতে কাজের সুযোগ থাকে। প্রথমদিকে ক্যাফেটেরিয়া, ক্লিনিং, ওয়েটার এসব ছোটখাটো কাজ করতে হয়। এ ছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ, বারে কাজসহ ফুড ডেলিভারি হিসেবে কাজ করা যায়। তবে লেখাপড়ার ক্ষতি করে কাজ করা ঠিক নয়। দুই বছরের মাস্টার্স কোর্স পাঁচ বছরের মধ্যে করতে না পারলে জার্মানি ছাড়তে হবে। স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করছেন কি না, ভিসা ঠিক আছে কি না; তারা এসব তদারকি করে। বিদেশে নিজের সম্মান রাখার পাশাপাশি দেশের সম্মানও রাখবে। ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি কাজ পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে কাজ করেছি। আবার পড়াশোনার ক্ষতি হলে কাজ বাদ দিয়েছি। 

জার্মানিতে চাকরির সুযোগ
যে সাবজেক্টে উচ্চশিক্ষা নেবে জার্মানিতে সেই সাবজেক্টে চাকরি খুঁজতে হবে। সে জন্য পড়াশোনার পর প্রায় ১৮ মাস জার্মান সরকার সময় দিয়ে থাকে। এর মধ্যে জার্মান ভাষা বি-১ লেভেলে নিয়ে গেলে সেটা প্রমাণ করতে হবে। চাকরির সুবাদে জার্মানিতে সেটেল্ড হওয়া যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি সেখানে চাকরি করছেন। তবে চাকরি খুঁজে না পেলে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। অনেক সাবজেক্টে পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্টার্নশিপ করতে হয়। গ্র্যাজুয়েশনের পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এমনিতে চাকরি হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো তখন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। ভাষা সমস্যা ও শারীরিক অক্ষমতা না থাকলে ১৮ মাসের মধ্যে জার্মানিতে চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় নয়।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত