Ajker Patrika

পাস করার সহজ কৌশল

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, ১২: ৫১
পাস করার সহজ কৌশল

অনেকের ধারণা, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অনেক কঠিন হয়। প্রিলিতে কোনো রকম পাস করা গেলেও লিখিত পরীক্ষায় তা সহজ নয়! আমি এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করি। আমার মতে, প্রিলিতে পাস করাটা তুলনামূলক কিছুটা কঠিন লিখিত পরীক্ষার চেয়ে। আর লিখিত পরীক্ষায় পাস করাটা তুলনামূলক সহজ প্রিলির চেয়ে। কারণ, পিএসসি প্রিলিতে পাস করায় কম, কিন্তু লিখিততে ফেল করায় কম। অর্থাৎ, প্রিলির তুলনায় লিখিততে অনেক গুণ বেশি পাস করে। বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পাস করার সহজ উপায় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ৩৫তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডার প্রাপ্ত গাজী মিজানুর রহমান

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় সহজে পাস করতে যা যা পড়তে হবে, তা নিচে তুলে ধরা হলো–

  • লিখিত পরীক্ষার জন্য আগে বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়ুন, বিশেষ করে ৩৫তম-৪১তম পর্যন্ত (৪২তম বিসিএসে লিখিত ছিল না)। কারণ, এগুলো নতুন সিলেবাসের আলোকে নতুন প্যাটার্নের প্রশ্ন।
  • অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২-এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ুন রেফারেন্স দেওয়ার জন্য, দৈনিক পত্রিকা পড়ুন বিশেষত সম্পাদকীয়। এতে আপনার বেশি মার্কস পেতে সহায়তা করবে।
  • অনেকে সংবিধানের অনুচ্ছেদ পড়ার কথা শুনলেই ভয় পান। ভয়ের কিছু নেই। সংবিধানের অনুচ্ছেদ হুবহু লিখতে হয় না। কেবল মূল বিষয়টি অনুচ্ছেদ নম্বর ঠিক রেখে নিজের মতো করে লিখলেই হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের সব অনুচ্ছেদ পড়ে মাথা নষ্ট না করে গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো পড়ুন। এ ক্ষেত্রে সংবিধানসংক্রান্ত বিগত সালের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখে নিন। কারণ, বিগত সালের প্রশ্ন বেশি রিপিট হয়। সংবিধানের জন্য আরিফ খানের সহজ ভাষায় সংবিধান বইটি পড়তে পারেন।
  • বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রস্তুতির জন্য আপনার প্রিলির প্রস্তুতি অনেক সাহায্য করবে। বিগত সালের প্রশ্ন দেখে স্পষ্ট ধারণা নিন। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুসংশ্লিষ্ট প্রশ্নের ওপর বেশি জোর দিন। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য প্রফেসর মোজাম্মেল হকের একাদশ শ্রেণির পৌরনীতি বইগুলো (বিশেষত দ্বিতীয় পত্র) ব্যাপক কাজে দেবে। সঙ্গে ড. আবু মো. দেলোয়ার স্যারের ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’ বইটি রাখতে পারেন (যা ভাইভাতেও কাজে দেবে)।
  • আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য বিগত সালের প্রশ্ন ধরে ধরে পড়ার পাশাপাশি একই ধাঁচের কাছাকাছি প্রশ্ন থেকে বেশ কমন পাওয়া যায়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর ওপর জোর দিন। পাশাপাশি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী সম্পর্কের কারণগুলো জেনে নিন। ইসরায়েল-আরবের নতুন সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য শাহ মো. আবদুল হাই-এর ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি’ বইটি সঙ্গে রাখতে পারেন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন ইতিমধ্যে ৪৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ৪৩তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগের সময়সূচি অনুযায়ী ২৪ জুলাই শুরু হবে, চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। সেই হিসেবে হাতে খুব একটা সময় নেই।

  • বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিগত সালের লিখিত পরীক্ষা থেকে রিপিট হয় অনেক বেশি। তাই বিগত সালের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশ্নের ওপর বেশি জোর দিন। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির জন্য ওরাকল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বইটি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। সঙ্গে প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির আইসিটি বইটি পড়লে তথ্য ও প্রযুক্তি অংশে ভালো সাপোর্ট পাবেন।
  • ইংরেজিতে ভালো করার জন্য রিডিং স্কিল ও ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ের ওপর জোর দিন। ইংরেজি ট্রান্সলেশনের জন্য ‘Saifur's Translation and Writing’ বইটি আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। সঙ্গে বেসিক বই হিসেবে PC Das-এর Applied English Grammar and Composition বই ভালো সাপোর্ট দেবে ইংরেজির ক্ষেত্রে। ইংরেজিতে বেসিক বেশি দুর্বল হলে আগে ‘BCS Preliminary Analysis’ বইয়ের grammar অংশে ভালোভাবে শেষ করে নিলে বেশি উপকৃত হবেন। আর কোনো শব্দ পড়ার সময় শব্দের বিভিন্ন রূপ তথা Parts of Speech বা Word formation জেনে নিন।
  • গণিত জন্য প্রফেসর'স লিখিত গণিত বই বা ওরাকল লিখিত গণিত বই এবং ৯ম-১০ম শ্রেণির গণিত বই থেকে প্র্যাকটিস করলে ভালো করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সূত্র জানা থাকলে সহজে ভালো করা যায়।
  • মানসিক দক্ষতার জন্য খুব বেশি পড়তে হয় না। কেবল বিগত সালের বিসিএস লিখিত ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করলেই হয়ে যায়।
  •  প্রিলির জন্য বাংলা যা পড়েছেন, তা বাংলা প্রথম পত্রে অনেক বেশি হেল্প করবে। দ্বিতীয় পত্রের জন্য বিগত সালের প্রশ্ন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন। গ্রন্থ সমালোচনা জন্য কেবল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি বই, ভাষা-আন্দোলনভিত্তিক একটি বই ও বঙ্গবন্ধুর একটি বইয়ের গ্রন্থ সমালোচনা জানলে হবে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি গ্রন্থ সমালোচনা পড়ে নিলেই হয়। বাংলার জন্য প্রফেসর'স লিখিত বাংলা বইটির পাশাপাশি ‘শীকর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ বইটি বা ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বইটি পড়ে দেখতে পারেন।
  • আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে বিসিএস লিখিত তথ্য-উপাত্ত প্রদানের ক্ষেত্রে যত বেশি গ্রাফ-চার্ট দেওয়া যায় তত বেশি নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং তথ্য-উপাত্ত প্রদানের ক্ষেত্রে সেই তথ্য-উপাত্তের সূত্র তথা সোর্স উল্লেখ করবেন।
  • আর যাঁদের হাতের লেখা খারাপ বলে চিন্তায় আছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, চাকরির পরীক্ষায় আপনাদের লেখা সুন্দর নাকি অসুন্দর সেটা মুখ্য বিষয় নয়; মুখ্য বিষয় হলো, আপনি কতটুকু কী লিখছেন সেটাই। আপনার যা খাতায় লিখেছেন তা পরীক্ষক সহজে বোঝাতে পারলেই হবে। 

একটি বিষয় মনে রাখবেন, 
আপনি যদি কোনোভাবে বিসিএস প্রিলিটা পাস করতে পারেন তাহলে লিখিত ও ভাইভাতে যদি ভালো নম্বর পান তাহলে ক্যাডার নিশ্চিত! আর যদি লিখিত ও ভাইভাতে Average নম্বরও পান তাহলে নন-ক্যাডারের মাধ্যমে সরকারি ফার্স্ট ক্লাস বা সেকেন্ড ক্লাস একটি ভালো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে কোনো প্রকার ঘুষ-তদবির ছাড়াই!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্বামীর পর স্ত্রীও পেলেন আচার্য স্বর্ণপদক

ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৮
আচার্য স্বর্ণপদক জয়ী উম্মে জান্নাত তাপসী ও তাঁর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার
আচার্য স্বর্ণপদক জয়ী উম্মে জান্নাত তাপসী ও তাঁর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার

একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং একই সর্বোচ্চ সম্মান– স্বামী-স্ত্রী দুজনের হাতেই এখন আচার্য স্বর্ণপদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন কীর্তি এবারই প্রথম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৭তম সমাবর্তনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ পেয়ে আচার্য স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন উম্মে জান্নাত তাপসী। এর আগে ২০২৩ সালের ১৫তম সমাবর্তনে একই পদক পেয়েছিলেন তাঁর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার। বর্তমানে দুজনই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারে তাপসীর স্নাতকোত্তরের যাত্রা শুরু হয়। কোনো বিরতি না নিয়ে দুই বছরের কোর্স দেড় বছরের মধ্যেই শেষ করেন তিনি। প্রতিটি সেমিস্টারে তাঁর সিজিপিএ ছিল ৪-এর মধ্যে ৪। বেশির ভাগ কোর্সে ৯৫-এর ওপরে নম্বর তুলেছেন। পুরো স্নাতকোত্তর করেছেন শতভাগ বৃত্তি নিয়ে।

সময়ের আগে ডিগ্রি সম্পন্ন করতে প্রতি সেমিস্টারে তাঁকে বেশি কোর্স নিতে হয়েছে। প্রথম সেমিস্টার থেকে থিসিসের কাজ শুরু করেন। একসঙ্গে কোর্সওয়ার্ক, থিসিস এবং চাকরির চাপ সামলেছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়েছেন। নিজের স্নাতকোত্তরের ক্লাস করেছেন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা ও কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। সেই দিনগুলো পার করা মোটেও সহজ ছিল না। তবে সময় ব্যবস্থাপনাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি। সপ্তাহের প্রতিদিন ক্লাস, পড়াশোনা ও অফিসের কাজ– সবকিছুই ছিল তাঁর নির্দিষ্ট সময়সূচিতে বাঁধা।

তাপসী কখনো ক্লাস মিস করেননি। ক্লাসে শেখা বিষয়গুলো দ্রুত নিজের মতো করে পড়ে নিতেন। অফিসের ফাঁকে ফাঁকেও পড়াশোনা করতেন। অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করে বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে বুঝতেন। প্রতিদিনের সময় সর্বোচ্চ কাজে লাগানোই ছিল তাঁর মূল কৌশল।

তাপসীর ভাষায়, সিএসই বিভাগের শিক্ষকেরা অত্যন্ত সহায়ক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব। যেকোনো সমস্যায় তাঁরা তাৎক্ষণিক সাহায্য করেছেন। পরিবারও ছিল তাঁর শক্তির জায়গা। বিশেষ করে স্বামী তৌহিদ আনোয়ার ছিলেন সবচেয়ে বড় ভরসা। পরীক্ষার আগে তিনি যেন নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন, সেই পরিবেশ তৈরি করেছেন তিনি। মানসিকভাবেও সব সময় সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বাবা-মা ও ছোট বোনের সমর্থনও তাঁকে শক্তি জুগিয়েছে।

আচার্য স্বর্ণপদক পাওয়ার ই-মেইল পেয়ে তাপসী প্রথমে জানান তাঁর স্বামীকে। পরদিন ই-মেইলটি প্রিন্ট করে বাবা-মা ও ছোট বোনকে পড়ে শোনান। ছোট বোন তো আনন্দে কেঁদেই ফেলেন। তাপসী জানান, পরিবারকে আনন্দ দিতে পারাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।

তাপসী
তাপসী

তাপসীর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি একই বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ভালো ফলের কারণে ২০১৯ সালে ব্র্যাকে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালে স্নাতকোত্তর শুরু করে দুই বছরে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ২০২৩ সালে ১৫তম সমাবর্তনে পান আচার্য স্বর্ণপদক এবং ছিলেন ভ্যালেডিক্টোরিয়ানও (স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান বিদায়ী বক্তা)।

উম্মে জান্নাত তাপসীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। প্রতি বছর পরিবারসহ সেখানে বেড়াতে যান। দাদার বাড়ির প্রতি তাঁর রয়েছে আলাদা টান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। দুটোতেই পেয়েছেন জিপিএ–৫। বাবা মো. শফিকুল ইসলাম ব্যবসায়ী, মা তাইয়েবা বেগম গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়।

২০২০ সালের ব্র্যাকের সিএসই বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন। ২০২৩ সালের ফল সেমিস্টারে ৩.৯৬ সিজিপিএ নিয়ে সর্বোচ্চ সম্মানসহ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। তখনো পড়াশোনা করেছেন বৃত্তি নিয়ে। আকর্ষণীয় ফলাফলের কারণে তাপসী সিএসই বিভাগেই লেকচারার হওয়ার সুযোগ পান।

IMG_7326

ছোটবেলায় তাঁর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীববিজ্ঞানে আগ্রহ কমে যায়। অন্যদিকে গণিতে ভালো করা এবং প্রযুক্তির প্রতি কৌতূহল তাঁকে সিএসইতে টেনে নেয়। স্নাতকোত্তর শেষের পর তাঁর লক্ষ্য এখন পিএইচডি করা। গবেষণায় নিজের ভবিষ্যৎ দেখছেন তিনি।

তাপসীর মতে, দেশে সিএসই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সুযোগ অনেক। সফটওয়্যার খাতে অগ্রগতি চোখে পড়লেও হার্ডওয়্যার খাত এখনো পিছিয়ে। শিক্ষার্থীরা যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষ থেকেই নিজের আগ্রহের ক্ষেত্র ঠিক করে স্কিল ডেভেলপ করতে পারে, তাহলে চাকরির বাজারে তাঁরা এগিয়ে থাকবেন।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাপসী বলেন, শুরু থেকে প্রোগ্রামিংয়ের বুনিয়াদ শক্ত করতে হবে। নিয়মিত কোডিং অনুশীলন করতে হবে। সমসাময়িক প্রযুক্তির সঙ্গে আপডেট থাকতে হবে। আগ্রহের ক্ষেত্র ঠিক করে দুই-তিনটি নতুন টুলসে দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দিতে হবে। এরপর দক্ষতা প্রয়োগের কাজ করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৯
প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গে শাহনীরা আলম স্বজনী
প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গে শাহনীরা আলম স্বজনী

মধ্য ইউরোপের একটি দেশ অস্ট্রিয়া। পাহাড়, নদী, বন ও প্রকৃতির মিশ্রণের এ দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বমানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন, কালচার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন বাংলাদেশের মেয়ে শাহনীরা আলম স্বজনী।

দেশে শাহনীরা আলম স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরে প্রায় সাত বছর দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যম পেশায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে কাজের বেশ অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন আর ভ্রমণে আগ্রহের কারণেই তিনি অস্ট্রিয়াকে বেছে নেন।

পছন্দের বিষয়ের খোঁজখবর

বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো টিউশন ফি। শাহনীরারও তা ছিল। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খোঁজ নেওয়ার পর তিনি দেখেন, ফি অনেক সময় পড়াশোনার পথে বড় বাধা। তাই তিনি খোঁজখবর নেওয়ার একপর্যায়ে জানতে পারেন, অস্ট্রিয়ার প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি নেই। শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপের বাইরের কিছু দেশও এই সুবিধা পাচ্ছে। এরপর তিনি নিজের পছন্দের বিষয় খুঁজতে থাকেন এবং ভর্তি হন।

আবেদনপ্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র

অস্ট্রিয়ার আবেদনপ্রক্রিয়া কিছুটা আলাদা। সাধারণত বাংলাদেশে সার্টিফিকেট বা ট্রান্সক্রিপ্ট সত্যায়িত করলেই চলে। কিন্তু অস্ট্রিয়ার ক্ষেত্রে, স্নাতকের সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্টকে অস্ট্রিয়ার এম্বাসি থেকে সত্যায়িত করতে হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রিয়ার কনসুলেট অফিসে এই কাজ করা যায়। খরচ প্রায় ৭৫ হাজার টাকা এবং সময় লাগে আড়াই থেকে তিন মাস।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • পাসপোর্টের কপি
  • অস্ট্রিয়া থেকে সত্যায়িত সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট
  • ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ
  • মোটিভেশন লেটার
  • রিকমেন্ডেশন লেটার

অস্ট্রিয়ার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ইনটেক থাকে—সামার ও উইন্টার। স্নাতকোত্তরে পড়তে চাইলে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.৫ থাকা আবশ্যক। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ৭ পর্যন্ত স্কোর চায়। আবেদন সাধারণত অনলাইনে করা যায়, কিছু ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট কুরিয়ারে পাঠাতে হয়।

শাহনীরার বিষয়

দেশে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করায় তিনি এই বিষয়ে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গে যখন বিষয়টি দেখি এবং তাদের কারিকুলাম পর্যালোচনা করি, তখন থেকে আমার আগ্রহ তৈরি হয়। অস্ট্রিয়ায় মাস্টার্স সম্পন্ন করতে হলে ব্যাচেলরের বিষয় সম্পর্কিত থাকা জরুরি।’

ভাষা দক্ষতায় গুরুত্ব

অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রভাষা জার্মান। দীর্ঘ মেয়াদে এখানে অবস্থান করতে হলে জার্মান ভাষায় দক্ষ হওয়া অপরিহার্য। তবে ইংরেজি দক্ষতা থাকলেও দৈনন্দিন জীবন এবং চাকরির ক্ষেত্রে সেটি পর্যাপ্ত নয়।

বাসাভাড়া ও দৈনন্দিন খরচ

শাহনীরা জানালেন, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ নির্ভর করে আপনি কোন শহরে থাকেন, তার ওপর। সালজবুর্গে গড়ে বাসাভাড়া ২৫০ থেকে ৩৫০ ইউরো; ইনস্যুরেন্স ৮০ ইউরো; পরিবহন ২৫ থেকে ৩৫ ইউরো; খাবার খরচ ৫০ থেকে ১০০ ইউরো।

পার্টটাইম কাজের সুযোগ

শিক্ষার্থীদের এখানে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে জার্মান ভাষায় যদি আপনি দক্ষ হন, তাহলে কাজের সুযোগ আরও ভালো। রেস্টুরেন্ট বা অন্যান্য দক্ষতা থাকলেও কাজ পাওয়া সম্ভব।

পড়াশোনার পর কাজ ও স্থায়ী বসবাস

শাহনীরা আলম স্বজনী বলেন, অস্ট্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময় থাকার পর কিছু শর্ত পূরণ করে স্থায়ী বসবাস বা নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।

শাহনীরা আলমের পরামর্শ হলো, বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অস্ট্রিয়ায় স্নাতকোত্তর করা সম্ভব নয়। তাই প্রথমে দেখুন আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদন করার সুযোগ আছে কি না। যাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে কাজ কিংবা বসবাস করতে চান, তাঁদের জার্মান ভাষায় অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শান্তর লেন্সে প্রাণপ্রকৃতি

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান 
শান্তর লেন্সে প্রাণপ্রকৃতি

ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি তাঁকে মুগ্ধ করত। নদী, খাল, গাছগাছালি আর গ্রামের জীবন তাঁকে বারবার টেনে নিত। সেই টানই তাঁকে ফটোগ্রাফির পথে নিয়ে যায়। শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত বর্তমানে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি জামালপুর সদরে। একান্নবর্তী পরিবারে বসবাস। তবে পরিবারের কেউই ফটোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত নন।

ফেসবুকে ফটোগ্রাফারের ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হন শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত। প্রথমে ছবি তুলতেন নকিয়া বাটন ফোন দিয়ে। পরে হাতে আসে নকিয়া লুমিয়া। নিজের কাজ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেন।

কওমি মাদ্রাসায় পড়ার সময় ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। তাই ছবি তুলতে হতো গোপনে। পরিবারের কেউ ছবি তোলা পছন্দ করতেন না; কিন্তু শাহরিয়ার থেমে থাকেননি। ধৈর্য ধরে এগিয়ে গেছেন। এখন তাঁর ছবির প্রশংসা করা হয়। এক্সিবিশনে ডাক পান। প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও জেতেন।

রাঙামাটি, কক্সবাজার, সিলেট, পাবনাসহ দেশের অনেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে ছবি তুলেছেন তিনি। শাহরিয়ার গ্রাম, প্রকৃতি, নদী ও মানুষের জীবনকে বেশি তুলে ধরেন। তিনি এখন ছবি তোলেন পোকো এক্স থ্রি দিয়ে। এর আগে নকিয়া লুমিয়া, আইফোন৪, রেডমি নোট, ভিভো এস১ প্রো দিয়ে ছবি তুলেছেন। ক্যামেরা কেনার চেষ্টা করেছিলেন; যদিও অর্থের অভাবে তা পারেননি। মাঝেমধ্যে অন্য ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরা বা ড্রোন ব্যবহার করে ছবি তুলেছেন।

শান্ত মূলত নিজ অধ্যয়নেই ফটোগ্রাফি শিখেছেন। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিন দিনের একটি বেসিক কোর্সও সম্পন্ন করেছেন তিনি।

তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘ঘর যেমনই হোক শিক্ষার আলো ঘরকে আলোকিত করবেই’ (ফেব্রুয়ারি ২০২১)। এই ছবি তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন ও আনওয়াইন্ড মাইন্ড এক্সিবিশনে প্রথম পুরস্কার পান। ভাঙা ঘরে শিশু পড়ছে—মুহূর্তটি ধারণ করতে তিনি গাছে উঠেও ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেননি। ‘অন দ্য ওয়ে টু সেলিং ডার্কনেস’ (২৯ অক্টোবর ২০২১)। ছবিটি ২০২৪ সালে ইরানের কাফ ফটো কনটেস্টে ফাইনালিস্ট হয়। প্রচণ্ড রোদে উত্তপ্ত বালুচরে দাঁড়িয়ে তিনি নদীর পারের গ্রামের অনন্য দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন।

আবার-আসিবো-ফিরে-ধানসিঁড়িটির-তীরে-min

ফটোগ্রাফির পথে নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। মাদ্রাসায় সীমিত সময়ে ছবি তুলতে হতো। একবার পুলিশ তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করতে চাইলে তিনি পরিচয় দিয়ে রক্ষা পান। অনেক সময় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার হেঁটে কোনো ছবি না পেয়ে ফিরতে হয়েছে; কিন্তু এসব কষ্ট কখনো তাঁকে দমাতে পারেনি।

উঁকি-min

২০২০-২৫ পর্যন্ত তিনি ৭০টির বেশি পুরস্কার জিতেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অনারেবল ম্যানশন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিবিশন ২০২৫; ফাইনালিস্ট, কাফ ফটো কনটেস্ট, ইরান ২০২৪; উইনার, আনওয়াইন্ড মাইন্ড ফটোগ্রাফি অ্যান্ড আর্ট এক্সিবিশন ২০২৪; উইনার, সামার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০২৪, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; উইনার, ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফটো কনটেস্ট ২০২৩, ভারত।

হ্রদের-নিস্তব্ধতা,-শান্ত-শ্যামলের-শোভা!_বহমান-নৌকো,-বইছে-অনিন্দ্য-শৈশবে..

ছবি বিক্রির অর্থ দিয়ে তিনি বন্যাদুর্গত মানুষকেও সহায়তা করেছেন। গত বছর ফেনীর বন্যায় ফেসবুকে ছবি বিক্রি করে পুরো টাকাই দান করে দিয়েছেন।

বসন্তের-বিকেলে-min

শাহরিয়ারের লক্ষ্য, যে পেশাতেই যান, ফটোগ্রাফি যেন তাঁর সঙ্গী থাকে। এখনো পড়াশোনার চাপ থাকায় ভ্রমণ কম। ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি জেলা ঘুরে ছবি তোলার ইচ্ছা। সুযোগ হলে বিদেশেও যেতে চান। মানুষের সামনে প্রকৃতি, মানুষ ও জীবনের সৌন্দর্য তুলে ধরাই তাঁর স্বপ্ন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইইউবিএটিতে ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আইইউবিএটিতে ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল 
২০২৫

রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) গতকাল ৬ ডিসেম্বর আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ চাকরিমুখী আয়োজন ‘ঢাকা ব্যাংক প্রেজেন্টস আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’।

দিনব্যাপী এই উৎসব চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চাকরিপ্রত্যাশীরা দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তাঁদের স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন।

এ বছর প্রায় ১৩০টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো ১ হাজার ২০০-এর বেশি শূন্য পদে নিয়োগ দেবে। আইইউবিএটির শিক্ষার্থী ও স্নাতকেরা সরাসরি এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে সিভি জমা, প্রাথমিক বাছাই এবং সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এটি অনন্য এক সুযোগ। তাঁরা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যোগ্যতা এবং ক্যারিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনা পাবেন।

দিনব্যাপী আয়োজনে ১০টি ক্যারিয়ার সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো পরিচালনা করবেন অভিজ্ঞ এইচআর পেশাজীবীরা।

এ ছাড়া শীর্ষ করপোরেট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে একটি প্যানেল ডিসকাশনও অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে আইইউবিএটি প্লেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনাই অফিস। শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে নিরলসভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত