Ajker Patrika

পাস করার সহজ কৌশল

আপডেট : ২২ জুলাই ২০২২, ১২: ৫১
পাস করার সহজ কৌশল

অনেকের ধারণা, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অনেক কঠিন হয়। প্রিলিতে কোনো রকম পাস করা গেলেও লিখিত পরীক্ষায় তা সহজ নয়! আমি এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করি। আমার মতে, প্রিলিতে পাস করাটা তুলনামূলক কিছুটা কঠিন লিখিত পরীক্ষার চেয়ে। আর লিখিত পরীক্ষায় পাস করাটা তুলনামূলক সহজ প্রিলির চেয়ে। কারণ, পিএসসি প্রিলিতে পাস করায় কম, কিন্তু লিখিততে ফেল করায় কম। অর্থাৎ, প্রিলির তুলনায় লিখিততে অনেক গুণ বেশি পাস করে। বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পাস করার সহজ উপায় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ৩৫তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডার প্রাপ্ত গাজী মিজানুর রহমান

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় সহজে পাস করতে যা যা পড়তে হবে, তা নিচে তুলে ধরা হলো–

  • লিখিত পরীক্ষার জন্য আগে বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালো করে পড়ুন, বিশেষ করে ৩৫তম-৪১তম পর্যন্ত (৪২তম বিসিএসে লিখিত ছিল না)। কারণ, এগুলো নতুন সিলেবাসের আলোকে নতুন প্যাটার্নের প্রশ্ন।
  • অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২-এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ুন রেফারেন্স দেওয়ার জন্য, দৈনিক পত্রিকা পড়ুন বিশেষত সম্পাদকীয়। এতে আপনার বেশি মার্কস পেতে সহায়তা করবে।
  • অনেকে সংবিধানের অনুচ্ছেদ পড়ার কথা শুনলেই ভয় পান। ভয়ের কিছু নেই। সংবিধানের অনুচ্ছেদ হুবহু লিখতে হয় না। কেবল মূল বিষয়টি অনুচ্ছেদ নম্বর ঠিক রেখে নিজের মতো করে লিখলেই হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের সব অনুচ্ছেদ পড়ে মাথা নষ্ট না করে গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো পড়ুন। এ ক্ষেত্রে সংবিধানসংক্রান্ত বিগত সালের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখে নিন। কারণ, বিগত সালের প্রশ্ন বেশি রিপিট হয়। সংবিধানের জন্য আরিফ খানের সহজ ভাষায় সংবিধান বইটি পড়তে পারেন।
  • বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রস্তুতির জন্য আপনার প্রিলির প্রস্তুতি অনেক সাহায্য করবে। বিগত সালের প্রশ্ন দেখে স্পষ্ট ধারণা নিন। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুসংশ্লিষ্ট প্রশ্নের ওপর বেশি জোর দিন। বাংলাদেশ বিষয়াবলির জন্য প্রফেসর মোজাম্মেল হকের একাদশ শ্রেণির পৌরনীতি বইগুলো (বিশেষত দ্বিতীয় পত্র) ব্যাপক কাজে দেবে। সঙ্গে ড. আবু মো. দেলোয়ার স্যারের ‘বাংলাদেশের ইতিহাস’ বইটি রাখতে পারেন (যা ভাইভাতেও কাজে দেবে)।
  • আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য বিগত সালের প্রশ্ন ধরে ধরে পড়ার পাশাপাশি একই ধাঁচের কাছাকাছি প্রশ্ন থেকে বেশ কমন পাওয়া যায়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর ওপর জোর দিন। পাশাপাশি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী সম্পর্কের কারণগুলো জেনে নিন। ইসরায়েল-আরবের নতুন সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির জন্য শাহ মো. আবদুল হাই-এর ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংগঠন ও পররাষ্ট্রনীতি’ বইটি সঙ্গে রাখতে পারেন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন ইতিমধ্যে ৪৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে। ৪৩তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগের সময়সূচি অনুযায়ী ২৪ জুলাই শুরু হবে, চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। সেই হিসেবে হাতে খুব একটা সময় নেই।

  • বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিগত সালের লিখিত পরীক্ষা থেকে রিপিট হয় অনেক বেশি। তাই বিগত সালের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশ্নের ওপর বেশি জোর দিন। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির জন্য ওরাকল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বইটি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। সঙ্গে প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির আইসিটি বইটি পড়লে তথ্য ও প্রযুক্তি অংশে ভালো সাপোর্ট পাবেন।
  • ইংরেজিতে ভালো করার জন্য রিডিং স্কিল ও ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ের ওপর জোর দিন। ইংরেজি ট্রান্সলেশনের জন্য ‘Saifur's Translation and Writing’ বইটি আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। সঙ্গে বেসিক বই হিসেবে PC Das-এর Applied English Grammar and Composition বই ভালো সাপোর্ট দেবে ইংরেজির ক্ষেত্রে। ইংরেজিতে বেসিক বেশি দুর্বল হলে আগে ‘BCS Preliminary Analysis’ বইয়ের grammar অংশে ভালোভাবে শেষ করে নিলে বেশি উপকৃত হবেন। আর কোনো শব্দ পড়ার সময় শব্দের বিভিন্ন রূপ তথা Parts of Speech বা Word formation জেনে নিন।
  • গণিত জন্য প্রফেসর'স লিখিত গণিত বই বা ওরাকল লিখিত গণিত বই এবং ৯ম-১০ম শ্রেণির গণিত বই থেকে প্র্যাকটিস করলে ভালো করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সূত্র জানা থাকলে সহজে ভালো করা যায়।
  • মানসিক দক্ষতার জন্য খুব বেশি পড়তে হয় না। কেবল বিগত সালের বিসিএস লিখিত ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করলেই হয়ে যায়।
  •  প্রিলির জন্য বাংলা যা পড়েছেন, তা বাংলা প্রথম পত্রে অনেক বেশি হেল্প করবে। দ্বিতীয় পত্রের জন্য বিগত সালের প্রশ্ন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন। গ্রন্থ সমালোচনা জন্য কেবল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি বই, ভাষা-আন্দোলনভিত্তিক একটি বই ও বঙ্গবন্ধুর একটি বইয়ের গ্রন্থ সমালোচনা জানলে হবে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি গ্রন্থ সমালোচনা পড়ে নিলেই হয়। বাংলার জন্য প্রফেসর'স লিখিত বাংলা বইটির পাশাপাশি ‘শীকর বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ বইটি বা ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ বইটি পড়ে দেখতে পারেন।
  • আরেকটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে বিসিএস লিখিত তথ্য-উপাত্ত প্রদানের ক্ষেত্রে যত বেশি গ্রাফ-চার্ট দেওয়া যায় তত বেশি নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং তথ্য-উপাত্ত প্রদানের ক্ষেত্রে সেই তথ্য-উপাত্তের সূত্র তথা সোর্স উল্লেখ করবেন।
  • আর যাঁদের হাতের লেখা খারাপ বলে চিন্তায় আছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, চাকরির পরীক্ষায় আপনাদের লেখা সুন্দর নাকি অসুন্দর সেটা মুখ্য বিষয় নয়; মুখ্য বিষয় হলো, আপনি কতটুকু কী লিখছেন সেটাই। আপনার যা খাতায় লিখেছেন তা পরীক্ষক সহজে বোঝাতে পারলেই হবে। 

একটি বিষয় মনে রাখবেন, 
আপনি যদি কোনোভাবে বিসিএস প্রিলিটা পাস করতে পারেন তাহলে লিখিত ও ভাইভাতে যদি ভালো নম্বর পান তাহলে ক্যাডার নিশ্চিত! আর যদি লিখিত ও ভাইভাতে Average নম্বরও পান তাহলে নন-ক্যাডারের মাধ্যমে সরকারি ফার্স্ট ক্লাস বা সেকেন্ড ক্লাস একটি ভালো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে কোনো প্রকার ঘুষ-তদবির ছাড়াই!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিনা মূল্যের বই: মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে ফের বদল, সব বই ছাপা শেষ হয়নি

  • বাদ শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু উপাধি, ৭ মার্চের ভাষণও নেই।
  • স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে আরও লেখা বইয়ে সংযোজন করা হয়েছে।
  • প্রাথমিকের সব বই সরবরাহ শেষ।
রাহুল শর্মা, ঢাকা
বিনা মূল্যের বই: মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে ফের বদল, সব বই ছাপা শেষ হয়নি

মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে থাকছে না শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই সরবরাহ হলেও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির সব বই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বই সরবরাহ করা হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোটখাটো কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে দেওয়া হয় গ্রাফিতি। ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয় পেছনের কভার থেকে শেখ হাসিনার বাণী। শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ পড়ে।

এনসিটিবির সূত্র বলছে, মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যবইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ দিয়ে নাম লেখা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান। অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়েও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের (সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) নাম যুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের পাশে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাসনির্ভর আরও কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির ওপর একটি লেখা যুক্ত করা হয়েছে।

মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই ছাপা হয়নি

এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও মাধ্যমিকের সব শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ছাপা হলেও সরবরাহ বাকি ৪২ শতাংশ পাঠ্যবই। অবশ্য প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই। এই স্তরে শতভাগ পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।

সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।

আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩০০টি এবং প্রাথমিক স্তরের (ইবতেদায়ি ছাড়া) জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৪টি বই।

এনসিটিবির কর্মকর্তা ও মুদ্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই ছাড়াই শিক্ষাবর্ষ শুরু করবে। এবার বেশি বেকায়দায় পড়বে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বই ছাপা ও সরবরাহের গতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী জানুয়ারির মধ্যেও সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো কঠিন হবে।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বই ছাপা ও বাঁধাই শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহ-পূর্ব পরিদর্শনসহ (পিডিআই) আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে মাধ্যমিকের মোট বইয়ের ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।

সূত্র বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ৯০ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৭১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তম শ্রেণির ৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অষ্টম শ্রেণির ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

অবশ্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। গত রোববার এনসিটিবি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। এর আগেই প্রায় শতভাগ বই পৌঁছে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ‎ছাত্রনেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দিল কমিশন

জবি প্রতিনিধি‎
আজ সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।   ‎

‎আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী। ‎

‎নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।

তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।

কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন। ‎

‎এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’ ‎

‎স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন: ৬টি মেশিনে ভোট গণনা, ফলাফল দেখা যাবে লাইভে

জবি প্রতিনিধি‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ১২
আজ সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কমিশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।

‎‎আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।

‎‎এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

‎মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন। ‎

‎নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ‎

‎ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি। ‎

‎নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‎

মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।

‎নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড। ‎

‎সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন। ‎

‎সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচন: ‎শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রুট প্ল্যান ঘোষণা

জবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

‎আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ‎

‎আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ‎

‎বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো। ‎

‎ (ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২। ‎

‎ (খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস। ‎

‎ (গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২ ‎

‎ (ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস। ‎

‎বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।

‎এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত