Ajker Patrika

কানাডায় উচ্চশিক্ষায় নতুন স্কলারশিপ অফার

ফারিয়া ইসলাম দীপ্তি
কানাডায় উচ্চশিক্ষায় নতুন স্কলারশিপ অফার

কানাডার ইউনিভার্সিটি ডি মন্ট্রিল আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত টিউশন ফি থেকে অব্যাহতির জন্য একটি নতুন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অফার করছে। প্রোগ্রামটির উদ্দেশ্য বিশ্বজুড়ে নতুন আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত  করা। এই স্কলারশিপ হলো ইউডিএম এক্সেম্পশন স্কলারশিপ ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস। 

UdeM ছাড় বৃত্তি প্রোগ্রামটি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নে আন্তর্জাতিক প্রার্থীদের সমর্থন করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। প্রোগ্রামটি স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সের জন্য। এতে একাডেমিক পারফরম্যান্স  অনুযায়ী ফি ছাড় দেওয়া হবে।

বৃত্তির সুবিধা
এই স্কলারশিপকে তিন লেভেলে ভাগ করা হয়েছে।

  • লেভেল A: প্রতিবছর $12,465.60 (2 সেশন, 30 ক্রেডিটের সমতুল্য) বা $6,232.80 প্রতি সেশন (15 ক্রেডিট) বা $415.52 প্রতি ক্রেডিট
  • লেভেল B: প্রতিবছর $5,940.90 (2 সেশন, 30 ক্রেডিটের সমতুল্য) বা $2,970.45 প্রতি সেশন (15 ক্রেডিট) বা $198.03 প্রতি ক্রেডিট
  • লেভেল C: প্রতিবছর $2,078.10 (2 সেশন, 30 ক্রেডিটের সমতুল্য) বা $1,039.05 প্রতি সেশন (15 ক্রেডিট) বা $69.27 প্রতি ক্রেডিট
    এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য একটি প্রশংসাপত্র, বড়, ছোট, সংক্ষিপ্ত প্রোগ্রাম এবং প্রস্তুতিমূলক বছরের প্রোগ্রামে নথিভুক্ত শিক্ষার্থীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্তর C পুরস্কার পেয়ে থাকে। এই পরিমাণগুলো প্রতিবছর $24,607.80 টিউশন ফিতে প্রয়োগ করা হয় (30 ক্রেডিট)।

যোগ্যতা

  • একাডেমিক রেকর্ডের শ্রেষ্ঠত্ব বৃত্তির মান নির্ধারণের একমাত্র মূল্যায়নের মাপকাঠি। ভর্তির আবেদনের সময় প্রদত্ত ট্রান্সক্রিপ্টের ওপর ভিত্তি করে এই মূল্যায়ন করা হয়।
  • যাঁরা স্টাডি পারমিট ধারণ করেন এবং যাঁরা স্থায়ী বাসিন্দা বা কানাডার নাগরিক নন।
  • যাঁরা তাঁদের অধ্যয়নজুড়ে একটি স্টাডি প্রোগ্রামে পূর্ণ সময় নথিভুক্ত হবেন।
  • যাঁরা অন্য নীতি বা পরিমাপের মাধ্যমে টিউশন ফি ছাড়ের অন্য ফরম থেকে উপকৃত হবেন না। উদাহরণস্বরূপ, ফরাসি এবং বেলজিয়ান শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই এ ধরনের ছাড় থেকে উপকৃত হয়েছেন।

যেসব ফ্যাকাল্টিতে পড়া যাবে

  • আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স
  • ডেন্টিস্ট্রি
  • এডুকেশন
  • এনভায়রনমেন্টাল
  • ইঞ্জিনিয়ারিং
  • মেডিসিন

আবেদন পদ্ধতি

  • ভর্তির জন্য আবেদন করুন    আবেদন ও ভর্তির প্রক্রিয়াটি ভালোভাবে শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আবেদনপত্র পূরণ করার আগে, নিশ্চিত করতে হবে যে আপনি আবেদনের সময়সীমাকে সম্মান করছেন এবং আপনার আগ্রহের অধ্যয়ন প্রোগ্রামের জন্য ভর্তির প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করে দেখুন।
  • ফাইলে ফলোআপ করুন এবং ভর্তির প্রস্তাব পানভর্তির আবেদন জমা দেওয়ার কয়েক দিন পরে অ্যাকসেস কোডগুলো পাওয়া যাবে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি আপনার আবেদন নিরীক্ষণ করতে পারেন এবং আপনার অফার অব অ্যাকসেপ্ট্যান্সি লেটার পেতে পারেন।
  • মূল্যায়ন শুরু করতে ভর্তির প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে    UdeM ছাড় বৃত্তির জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে না। নতুন প্রার্থীদের ফাইলগুলো তাঁদের যোগ্যতা এবং তাঁদের ছাড় বৃত্তির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য মূল্যায়ন করা হবে।

আবেদনের শেষ সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

অনুবাদ: ফারিয়া ইসলাম দীপ্তি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুবিতে জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ৮৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছেন। ‘এ’ ইউনিটে ৮৬০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭২ হাজার ৪৭৪ জন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ চারটি অনুষদের ভবনে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে ১২টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকার বাইরে কুমিল্লা, খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষায় ভূমিকা রয়েছে বিএসএমের

শিক্ষা ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ ও বিএসএমের যৌথ উদ্যোগে গত ২১–২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অণুজীববিজ্ঞান গবেষণায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ, শিল্পখাতের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল অণুজীববিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সাম্প্রতিক গবেষণা ও অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করা। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০-এর অধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Microbiomes for a Sustainable Future” সময়োপযোগী ছিল এবং মানব উন্নয়ন ও কল্যাণে অণুজীববিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরতে সহায়ক হয়। সর্বমোট ২৮৮টি সারসংক্ষেপ (Abstract) গৃহীত হওয়ার পর সম্মেলনের ১২টি টেকনিক্যাল সেশনে ২টি প্লেনারি বক্তৃতা, ৮টি কীনোট বক্তৃতা, ৬টি আমন্ত্রিত বক্তৃতা, ৪টি ইয়াং সায়েন্টিস্ট টক, ৫৮টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং প্রায় ২২৬টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এস. এম. এ. ফয়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ডা. মামুন আহমেদ। স্বাগতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাকিলা নার্গিস খান।

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সম্মেলন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের (সিএআরএস) চিফ সায়েন্টিস্ট ডা. লতিফুল বারী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন জামাল ভূঁইয়া

জবি প্রতিনিধি 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। ‎

আজ ‎বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এ সময় শহীদ সাজিদ ভবন, প্রক্টর অফিস ঘুরে প্রোগোজ স্কুলের মাঠে সাংবাদিক ও ফ্যানদের সঙ্গে কথা বলেন এই ফুটবলার। ‎

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। এটি অনেক পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন। আপনাদের সবার প্রতি শুভকামনা। আমি আবার আসব ইনশা আল্লাহ।’ ‎

‎এ সময় জাতীয় ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমরা স্পোর্টস কার্নিভালের সময় জামাল ভাইকে আমাদের ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন শিডিউল না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি। এই প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার জামাল ভূঁইয়া। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নতুন ধারা উন্মোচিত হয়েছে।’ ‎

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় এই সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী ফেরদৌস হাসান সোহান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সিনহা ইসলাম অর্না এবং ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হাছান নাফিজসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় প্রার্থীরা

সোহানুর রহমান, জবি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।

ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’

ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’

ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত