Ajker Patrika

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: হংকংয়ে পড়ার স্বপ্ন যাঁদের

রিয়াসাদ হক 
আপডেট : ১১ জুন ২০২৩, ০৯: ৪৫
বিদেশে উচ্চশিক্ষা: হংকংয়ে পড়ার স্বপ্ন যাঁদের

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা একটু কম খরচে উন্নতমানের উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চান, তাঁদের কাছে হংকং একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। কারণ, এখানে উচ্চ র‍্যাংকিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি আছে স্কলারশিপের ব্যবস্থা। আর পড়াশোনা শেষে ভালো বেতনের হাতছানি তো রয়েছেই। হংকংয়ের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় কিউএস র‍্যাংকিংয়ে সেরা ৫০০-এর মধ্যে জায়গা করে নেয়। এর মধ্যে ২১তম ছিল দ্য ইউনিভার্সিটি অব হংকং। হংকংয়ে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আরও রয়েছে সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকং, হংকং ব্যাপটিস্ট ইউনিভার্সিটি, লিংনান ইউনিভার্সিটি এবং দ্য হংকং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

কেন পড়বেন

  • ভাষা: এখানে কোনো ভাষাগত সমস্যা নেই। চায়নিজের পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও আপনি পড়াশোনা করতে পারবেন। এমনকি এখানকার দোকানপাটগুলোতেও ইংরেজি প্রচলিত আছে। তাই যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা কোনো সমস্যা না।
  • ইমিগ্রেশন: অন্যান্য দেশের মতো এখানকার ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা খুব একটা কঠিন নয়। আপনি খুব সহজেই স্টুডেন্ট ভিসায় এসে পড়াশোনা করতে পারবেন। তা ছাড়া এখানে পড়াশোনার খরচ খুবই কম। প্রায় সব শিক্ষার্থীই স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করেন।
  • এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম: আপনি এক বছর বা এক সেমিস্টারের জন্য হংকং বা বাইরের দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবেন। তা-ও আবার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে। সঙ্গে আনুষঙ্গিক ভাতাও আপনাকে দেওয়া হবে। এতে আপনি অন্য সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হতে পারবেন।
  • শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ: এখানকার পরিবেশ শিক্ষার্থীদের অনুকূলে থাকে। শিক্ষকেরা বন্ধুসুলভ আচরণ করেন। কিছু কিছু কোর্সে কখনো কোনো পরীক্ষা হয় না। বরং অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়। কারণ, পরীক্ষা নিলে শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়া বুঝে বা না-বুঝে মুখস্থ করার প্রবণতা চলে আসে। তাই অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা নিজেরা গবেষণা করে এগুলো করেন। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আছে থেরাপি সেন্টারের ব্যবস্থা।
  • চাকরি: হংকংয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো আপনি পড়াশোনা শেষেই মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরি পেয়ে যাবেন। এমনকি এখানকার ইন্টার্নশিপগুলোতেও বেশ ভালো পরিমাণের বেতন দেওয়া হয়। যাঁরা সায়েন্সের বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করছেন, তাঁদের জন্য রয়েছে সরকারি ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা। এখানে ব্যবসায় অনুষদের বিষয়গুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি, বিশেষ করে ফাইন্যান্সের। তাই ফাইন্যান্স নিয়ে যাঁরা পড়াশোনা করতে চান, তাঁরা হংকংকে নিজেদের পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং, ফিনটেক, আইটি, ব্যাংকিং—এগুলোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
  • গবেষণা: আপনার যদি গবেষণার প্রতি আগ্রহ থাকে, তাহলে হংকং আপনার জন্য এক আদর্শ জায়গা। সেকেন্ড ইয়ার থেকেই আপনি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও হংকং সরকার থেকেই গবেষণার খরচ দেওয়া হয়। 

টিউশন ফি
বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে টিউশন ফির তারতম্য রয়েছে। সাধারণত বছরে গড়ে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার হংকং ডলার হয়ে থাকে। তবে মজার ব্যাপার হলো, এখানে প্রায় সব শিক্ষার্থীই স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করেন। তাই খরচটাও কমে আসে। মূলত একাডেমিক ফলাফল, নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে এসব স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।

আপনার যদি গবেষণার প্রতি আগ্রহ থাকে, তাহলে হংকং আপনার জন্য এক আদর্শ জায়গা। সেকেন্ড ইয়ার থেকেই আপনি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ শুরু করতে পারবেন। 

আবেদন প্রক্রিয়া
হংকংয়ে ভর্তির সুযোগ থাকে বছরে দুবার—জানুয়ারির মাঝামাঝি ও সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে। এখানে দুভাবে আবেদন করা যায়— অনলাইনে অথবা ডাকযোগে। দ্রুত ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ডাকযোগের চেয়ে অনলাইনে আবেদন করাই শ্রেয়। তবে মনে রাখবেন, সেশন শুরু হওয়ার অন্তত দুই থেকে তিন মাস আগেই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ও আবেদনের কাজটি সেরে ফেলতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাঠানোর পরের ধাপেই ভিসা আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হয় হংকং কনস্যুলেট অথবা চীনা দূতাবাসে। ভিসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ছয় সপ্তাহ লাগে। আবেদন করতে প্রথমেই হংকংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি লিস্ট তৈরি করে ফেলুন। এরপর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখুন, কোনটা আপনার কাছে ভালো মনে হয়। হাই র‍্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয়েই যে আবেদন করতে হবে, তা নয়। একটু নিচের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো গবেষণার সুযোগ তুলনামূলক বেশি। প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

আপনি যদি ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার আইইএলটিএস দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু এ লেভেলের সার্টিফিকেট ও মার্কশিট দিলেই হবে। বাংলা মাধ্যমের হলে এসএসসি-এইচএসসি সার্টিফিকেটের পাশাপাশি আইইএলটিএস স্কোরও প্রয়োজন।

আবেদনের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। তবে স্নাতক লেভেলে সবাইকেই সাক্ষাৎকার দিতে হবে। এ ছাড়া আপনি যদি স্কলারশিপ পেতে চান, সে ক্ষেত্রে ‘এ’ লেভেলে ‘এ স্টার’ এবং এইচএসসিতে আপনাকে ৯০-৯৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • পাসপোর্ট
  • ভিসা
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • অফার লেটার
  • স্টেটমেন্ট অব পারপাস
  • রিকমেন্ডেশন লেটার
  • মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের সার্টিফিকেট ও মার্কশিট
  • ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্টের কাগজপত্র
  • হেলথ ইনস্যুরেন্স

রিয়াসাদ হক, শিক্ষার্থী, কম্পিউটার সায়েন্স, হংকং ব্যাপটিস্ট ইউনিভার্সিটি

অনুলিখন: মুসাররাত আবির

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত