রাহুল শর্মা, ঢাকা

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছরে বছরে বাড়ছে। তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। এ ছাড়া বিদেশে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তি ও খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগসহ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করছে।
দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েক মেয়াদে বেশির ভাগ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে দেশে ৫৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইউজিসির তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন প্রায় ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই চান উন্নত জীবন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা এখনো তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে তরুণেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এর বাইরে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে একধরনের অনিশ্চয়তা, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া দেশ ছাড়তে চাওয়ার অন্যতম কারণ।
ইউনেসকোর ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য গেছেন ৫৫টি দেশে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ এবং ২০২১ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৮।
আর ২০১৩ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন ২৪ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করেন এ-সংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ফরিদুল হক বলেন, ‘বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। আমার ধারণা, গত বছর (২০২৩ সাল) এই সংখ্যা ছিল ১ লাখের বেশি।’
ইউনেসকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি, ৮ হাজার ৫২৪ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য (৬ হাজার ৫৮৬ জন), আর তৃতীয় কানাডা (৫ হাজার ৮৩৫ জন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ মাহমুদুল হাসান নকীব স্নাতক ডিগ্রি শেষ করে বিদেশে যেতে চান। তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরে এ দেশে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট চাকরির ব্যবস্থা। দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিকের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে একই চাকরির দিকে ছুটছেন। এখানে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নিজের জীবনে হতাশা আনতে চাই না।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী মুবাশ্বিরা তাসনিম বলেন, ‘দেশে সবাই ভালো চাকরি বলতে বোঝেন সরকারি চাকরি। কিন্তু এর বাইরেও চাকরি আছে, সেটা সমাজ মানতে চায় না। তাই বিদেশে ক্যারিয়ার গড়তে চান।’
ব্যাংকের মাধ্যমেই আড়াই হাজার কোটি
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থী বৃদ্ধির চিত্র পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের ব্যালান্স অব পেমেন্টস উপবিভাগের প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ১৫ কোটি ৪ লাখ ডলার। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় কোনো র্যাঙ্কিং নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অবশ্য সম্প্রতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় র্যাঙ্কিং করার সুপারিশ করেছে। আর আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে।
২০২৩ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। র্যাঙ্কিংয়ের ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। অন্যদিকে, ১০০১ থেকে ১,২০০তম অবস্থানের মধ্যে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া, র্যাঙ্কিংয়ে ১২০১ থেকে ১৫০০-এর মধ্যে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগের বছরের র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে অবস্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির। ১৩টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান মনে করেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। সহজে চাকরিতে ঢোকার সুযোগ এবং উন্নত জীবনব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, উন্নত দেশে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম উচ্চশিক্ষা। অনেকেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশ যাচ্ছেন। এর সঙ্গে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা, নগরায়ণ, উন্নত ভবিষ্যৎ, কর্মসংস্থান জড়িত। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার কারণ শুধু মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নয়।
ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন মনে করেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া বাড়ার কারণ প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা। তিনি বলেন, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা তরুণদের আকর্ষণ করতে পারছে না। এর ফল হিসেবে তাঁরা বিদেশে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চাইছেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য তরুণেরা বিদেশ যাবেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাঁরা যেন ফিরে আসেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যদি সেই ব্যবস্থা করতে না পারি তাহলে সে দায় পুরো সমাজের।’

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছরে বছরে বাড়ছে। তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। এ ছাড়া বিদেশে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তি ও খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগসহ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করছে।
দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েক মেয়াদে বেশির ভাগ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে দেশে ৫৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইউজিসির তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন প্রায় ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই চান উন্নত জীবন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা এখনো তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে তরুণেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এর বাইরে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে একধরনের অনিশ্চয়তা, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া দেশ ছাড়তে চাওয়ার অন্যতম কারণ।
ইউনেসকোর ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য গেছেন ৫৫টি দেশে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ এবং ২০২১ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৮।
আর ২০১৩ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন ২৪ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করেন এ-সংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ফরিদুল হক বলেন, ‘বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। আমার ধারণা, গত বছর (২০২৩ সাল) এই সংখ্যা ছিল ১ লাখের বেশি।’
ইউনেসকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি, ৮ হাজার ৫২৪ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য (৬ হাজার ৫৮৬ জন), আর তৃতীয় কানাডা (৫ হাজার ৮৩৫ জন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ মাহমুদুল হাসান নকীব স্নাতক ডিগ্রি শেষ করে বিদেশে যেতে চান। তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরে এ দেশে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট চাকরির ব্যবস্থা। দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিকের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে একই চাকরির দিকে ছুটছেন। এখানে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নিজের জীবনে হতাশা আনতে চাই না।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী মুবাশ্বিরা তাসনিম বলেন, ‘দেশে সবাই ভালো চাকরি বলতে বোঝেন সরকারি চাকরি। কিন্তু এর বাইরেও চাকরি আছে, সেটা সমাজ মানতে চায় না। তাই বিদেশে ক্যারিয়ার গড়তে চান।’
ব্যাংকের মাধ্যমেই আড়াই হাজার কোটি
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থী বৃদ্ধির চিত্র পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের ব্যালান্স অব পেমেন্টস উপবিভাগের প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ১৫ কোটি ৪ লাখ ডলার। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় কোনো র্যাঙ্কিং নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অবশ্য সম্প্রতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় র্যাঙ্কিং করার সুপারিশ করেছে। আর আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে।
২০২৩ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। র্যাঙ্কিংয়ের ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। অন্যদিকে, ১০০১ থেকে ১,২০০তম অবস্থানের মধ্যে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া, র্যাঙ্কিংয়ে ১২০১ থেকে ১৫০০-এর মধ্যে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগের বছরের র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে অবস্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির। ১৩টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান মনে করেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। সহজে চাকরিতে ঢোকার সুযোগ এবং উন্নত জীবনব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, উন্নত দেশে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম উচ্চশিক্ষা। অনেকেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশ যাচ্ছেন। এর সঙ্গে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা, নগরায়ণ, উন্নত ভবিষ্যৎ, কর্মসংস্থান জড়িত। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার কারণ শুধু মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নয়।
ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন মনে করেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া বাড়ার কারণ প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা। তিনি বলেন, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা তরুণদের আকর্ষণ করতে পারছে না। এর ফল হিসেবে তাঁরা বিদেশে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চাইছেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য তরুণেরা বিদেশ যাবেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাঁরা যেন ফিরে আসেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যদি সেই ব্যবস্থা করতে না পারি তাহলে সে দায় পুরো সমাজের।’
রাহুল শর্মা, ঢাকা

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছরে বছরে বাড়ছে। তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। এ ছাড়া বিদেশে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তি ও খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগসহ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করছে।
দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েক মেয়াদে বেশির ভাগ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে দেশে ৫৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইউজিসির তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন প্রায় ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই চান উন্নত জীবন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা এখনো তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে তরুণেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এর বাইরে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে একধরনের অনিশ্চয়তা, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া দেশ ছাড়তে চাওয়ার অন্যতম কারণ।
ইউনেসকোর ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য গেছেন ৫৫টি দেশে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ এবং ২০২১ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৮।
আর ২০১৩ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন ২৪ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করেন এ-সংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ফরিদুল হক বলেন, ‘বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। আমার ধারণা, গত বছর (২০২৩ সাল) এই সংখ্যা ছিল ১ লাখের বেশি।’
ইউনেসকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি, ৮ হাজার ৫২৪ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য (৬ হাজার ৫৮৬ জন), আর তৃতীয় কানাডা (৫ হাজার ৮৩৫ জন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ মাহমুদুল হাসান নকীব স্নাতক ডিগ্রি শেষ করে বিদেশে যেতে চান। তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরে এ দেশে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট চাকরির ব্যবস্থা। দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিকের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে একই চাকরির দিকে ছুটছেন। এখানে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নিজের জীবনে হতাশা আনতে চাই না।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী মুবাশ্বিরা তাসনিম বলেন, ‘দেশে সবাই ভালো চাকরি বলতে বোঝেন সরকারি চাকরি। কিন্তু এর বাইরেও চাকরি আছে, সেটা সমাজ মানতে চায় না। তাই বিদেশে ক্যারিয়ার গড়তে চান।’
ব্যাংকের মাধ্যমেই আড়াই হাজার কোটি
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থী বৃদ্ধির চিত্র পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের ব্যালান্স অব পেমেন্টস উপবিভাগের প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ১৫ কোটি ৪ লাখ ডলার। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় কোনো র্যাঙ্কিং নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অবশ্য সম্প্রতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় র্যাঙ্কিং করার সুপারিশ করেছে। আর আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে।
২০২৩ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। র্যাঙ্কিংয়ের ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। অন্যদিকে, ১০০১ থেকে ১,২০০তম অবস্থানের মধ্যে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া, র্যাঙ্কিংয়ে ১২০১ থেকে ১৫০০-এর মধ্যে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগের বছরের র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে অবস্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির। ১৩টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান মনে করেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। সহজে চাকরিতে ঢোকার সুযোগ এবং উন্নত জীবনব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, উন্নত দেশে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম উচ্চশিক্ষা। অনেকেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশ যাচ্ছেন। এর সঙ্গে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা, নগরায়ণ, উন্নত ভবিষ্যৎ, কর্মসংস্থান জড়িত। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার কারণ শুধু মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নয়।
ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন মনে করেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া বাড়ার কারণ প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা। তিনি বলেন, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা তরুণদের আকর্ষণ করতে পারছে না। এর ফল হিসেবে তাঁরা বিদেশে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চাইছেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য তরুণেরা বিদেশ যাবেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাঁরা যেন ফিরে আসেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যদি সেই ব্যবস্থা করতে না পারি তাহলে সে দায় পুরো সমাজের।’

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছরে বছরে বাড়ছে। তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। এ ছাড়া বিদেশে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তি ও খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগসহ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করছে।
দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েক মেয়াদে বেশির ভাগ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে দেশে ৫৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইউজিসির তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন প্রায় ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই চান উন্নত জীবন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা এখনো তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে তরুণেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এর বাইরে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে একধরনের অনিশ্চয়তা, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া দেশ ছাড়তে চাওয়ার অন্যতম কারণ।
ইউনেসকোর ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য গেছেন ৫৫টি দেশে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ এবং ২০২১ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৮।
আর ২০১৩ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন ২৪ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করেন এ-সংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ফরিদুল হক বলেন, ‘বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। আমার ধারণা, গত বছর (২০২৩ সাল) এই সংখ্যা ছিল ১ লাখের বেশি।’
ইউনেসকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি, ৮ হাজার ৫২৪ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য (৬ হাজার ৫৮৬ জন), আর তৃতীয় কানাডা (৫ হাজার ৮৩৫ জন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ মাহমুদুল হাসান নকীব স্নাতক ডিগ্রি শেষ করে বিদেশে যেতে চান। তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরে এ দেশে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট চাকরির ব্যবস্থা। দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিকের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে একই চাকরির দিকে ছুটছেন। এখানে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নিজের জীবনে হতাশা আনতে চাই না।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী মুবাশ্বিরা তাসনিম বলেন, ‘দেশে সবাই ভালো চাকরি বলতে বোঝেন সরকারি চাকরি। কিন্তু এর বাইরেও চাকরি আছে, সেটা সমাজ মানতে চায় না। তাই বিদেশে ক্যারিয়ার গড়তে চান।’
ব্যাংকের মাধ্যমেই আড়াই হাজার কোটি
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থী বৃদ্ধির চিত্র পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের ব্যালান্স অব পেমেন্টস উপবিভাগের প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ১৫ কোটি ৪ লাখ ডলার। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় কোনো র্যাঙ্কিং নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অবশ্য সম্প্রতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় র্যাঙ্কিং করার সুপারিশ করেছে। আর আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে।
২০২৩ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। র্যাঙ্কিংয়ের ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। অন্যদিকে, ১০০১ থেকে ১,২০০তম অবস্থানের মধ্যে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া, র্যাঙ্কিংয়ে ১২০১ থেকে ১৫০০-এর মধ্যে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগের বছরের র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে অবস্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির। ১৩টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান মনে করেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। সহজে চাকরিতে ঢোকার সুযোগ এবং উন্নত জীবনব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, উন্নত দেশে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম উচ্চশিক্ষা। অনেকেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশ যাচ্ছেন। এর সঙ্গে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা, নগরায়ণ, উন্নত ভবিষ্যৎ, কর্মসংস্থান জড়িত। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার কারণ শুধু মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নয়।
ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন মনে করেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া বাড়ার কারণ প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা। তিনি বলেন, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা তরুণদের আকর্ষণ করতে পারছে না। এর ফল হিসেবে তাঁরা বিদেশে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চাইছেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য তরুণেরা বিদেশ যাবেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাঁরা যেন ফিরে আসেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যদি সেই ব্যবস্থা করতে না পারি তাহলে সে দায় পুরো সমাজের।’

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১১ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেশেফাক মাহমুদ, বুটেক্স

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। তবে তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১১ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কার্যালয়ে আজ রোববার আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে আপলোডকরণ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন বা পিডিএফ কপি প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। তার আগেই অলমোস্ট হান্ড্রেড পার্সেন্ট (প্রায় শতভাগ) বই পৌঁছে যাবে।
আগামী বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের সবাই সব বিষয়ের নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে না বলে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়।
এর সমালোচনা করে সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) হয়েছে, যথার্থ রিপোর্ট হয়েছে। আবার কিছু কিছু রিপোর্ট আমি বলব, সেগুলো খুব যে একটা সৎ উদ্দেশ্যে হয়েছিল, সেটা না।’
নতুন বই নিয়ে অভিযোগের জবাব শিক্ষা প্রশাসন কাজের মাধ্যমে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
বই ছাপানোর সময় বেশি লাগার কারণও অনুষ্ঠানে ব্যাখ্যা করেন সি আর আবরার।
বিভিন্ন প্রেসে অভিযান চালিয়ে ‘মানহীন’ বই ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রক্রিয়ার মধ্যে যেন কোনো ভুল না থাকে, এ জন্য রিটেন্ডার করতে হয়েছে। বিভিন্ন রকমের চিন্তাভাবনা ছিল, সেগুলো আমাদের নিরসন করতে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তারা।

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। তবে তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
২ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১১ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
ভোর ৬টায় উখিয়ার সোনারপাড়া বিচ পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে দৌড়টি শেষ হয় সকাল ৭টায় তারকা মানের হোটেল অর্কিড ব্লুতে। পুরুষ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন মোহাম্মদ সায়েদ (০১৫৯), প্রথম রানারআপ তারেক (০৪৫৬) এবং দ্বিতীয় রানারআপ আশিক (০১৬০)। নারীদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন বিদেশি প্রতিযোগী জোহানা (০২৩৯), প্রথম রানারআপ আভা (০০৬৫) এবং দ্বিতীয় রানারআপ কুজো (০০৮৭)।
ম্যারাথন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিঘর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপদেষ্টা এ এইচ সেলিম উল্লাহ, প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার, উখিয়া শাখার সভাপতি পিএম মোবারক, ইনস্টিটিউশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের সিডিসিও শাইফুল ইসলাম শিহাব, উবায়েদ উল্লাহ শুভ, শাকিবুল ইসলাম, সাইয়েদ মোবারক, মেহেদী হাসান, শাহরিয়ার তানভীর রিফাত, আর জে রাফি, আবুল কাশেমসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার বলেন, ‘বিপুল সাড়া পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য তরুণদের মাদক থেকে দূরে রাখা এবং স্বাস্থ্যসচেতন হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।’
ম্যারাথনের সমাপ্তির পর অংশগ্রহণকারীরা আরও এরূপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আয়োজকেরা জানান, আগামী বছরও তাঁরা একটি নতুন ম্যারাথন আয়োজনের চেষ্টা করবেন।

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। তবে তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৪ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খান, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিশেষ সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক এবং বিশেষ সহকারী মো. মাজেদ-উল-হক এবং প্রভাষক ও বিশেষ সহকারী এস এম আবদুল্লাহ শাফি।
অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত ও প্রতিযোগিতামূলক গেমিং অঙ্গনে। পাবজি মোবাইল প্রতিযোগিতার অনলাইন কোয়ালিফায়ার পর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ৩২টি দল সেমিফাইনালে এবং পরবর্তী সময়ে ১৬টি দল ক্যাম্পাস ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত দিনে অনুষ্ঠিত চারটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ভ্যালোরান্ট বিভাগে অনলাইন লোয়ার-ব্র্যাকেট পর্ব ও ক্যাম্পাসে ল্যান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। লোয়ার-ব্র্যাকেট থেকে উঠে এসে অলস্টারস দল গ্র্যান্ড ফাইনালে ন্যাক্সআর ই-স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়। তিন ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ পর্যন্ত অলস্টারস চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে।
এ ছাড়া উৎসবে মোবাইল লেজেন্ডস: ব্যাঙ ব্যাঙ (এমএলবিবি), এফসি ২৫ এবং ই-ফুটবল প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এমএলবিবি বিভাগে ভাইপার স্ট্রাইকার্স, এফসি ২৫ বিভাগে নিও, ই-ফুটবল একক বিভাগে শাওন শান্ত এবং দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। বক্তারা আয়োজনের ব্যাপ্তি, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তিনজন সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, এআইইউবি ই-স্পোর্টস ক্লাব ও এআইইউবি পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাবের (এসিসি) আয়োজনে এবং অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী অংশ নেন।
উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খান, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের বিশেষ সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ ভৌমিক, সহকারী অধ্যাপক এবং বিশেষ সহকারী মো. মাজেদ-উল-হক এবং প্রভাষক ও বিশেষ সহকারী এস এম আবদুল্লাহ শাফি।
অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতার সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত ও প্রতিযোগিতামূলক গেমিং অঙ্গনে। পাবজি মোবাইল প্রতিযোগিতার অনলাইন কোয়ালিফায়ার পর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ৩২টি দল সেমিফাইনালে এবং পরবর্তী সময়ে ১৬টি দল ক্যাম্পাস ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। চূড়ান্ত দিনে অনুষ্ঠিত চারটি উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ শেষে ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ভ্যালোরান্ট বিভাগে অনলাইন লোয়ার-ব্র্যাকেট পর্ব ও ক্যাম্পাসে ল্যান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। লোয়ার-ব্র্যাকেট থেকে উঠে এসে অলস্টারস দল গ্র্যান্ড ফাইনালে ন্যাক্সআর ই-স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়। তিন ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শেষ পর্যন্ত অলস্টারস চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে।
এ ছাড়া উৎসবে মোবাইল লেজেন্ডস: ব্যাঙ ব্যাঙ (এমএলবিবি), এফসি ২৫ এবং ই-ফুটবল প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। এমএলবিবি বিভাগে ভাইপার স্ট্রাইকার্স, এফসি ২৫ বিভাগে নিও, ই-ফুটবল একক বিভাগে শাওন শান্ত এবং দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান। বক্তারা আয়োজনের ব্যাপ্তি, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তিনজন সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর এবং এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, এআইইউবি ই-স্পোর্টস ক্লাব ও এআইইউবি পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। তবে তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন রকমের স্বার্থগোষ্ঠী এখানে কাজ করেছে এবং আমরা এখানে সেগুলো সয়েছি। এগুলো আমরা কোশ্চেন করিনি, কনটেস্ট করিনি। আমরা মনে করেছি, শেষ বিচারে আমরা কতটুকু নির্ভুল ও মানসম্পন্ন বই দিতে পারব, দ্যাট উইল বি আলটিমেট টেস্ট।’
৪ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজারের সোনারপাড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিদেশ থেকে মোট ৫০০ জন দৌড়বিদ এই আয়োজনে অংশ নেন।
১১ ঘণ্টা আগে