রাহুল শর্মা, ঢাকা

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছরে বছরে বাড়ছে। তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। এ ছাড়া বিদেশে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তি ও খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগসহ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করছে।
দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েক মেয়াদে বেশির ভাগ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে দেশে ৫৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইউজিসির তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন প্রায় ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই চান উন্নত জীবন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা এখনো তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে তরুণেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এর বাইরে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে একধরনের অনিশ্চয়তা, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া দেশ ছাড়তে চাওয়ার অন্যতম কারণ।
ইউনেসকোর ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য গেছেন ৫৫টি দেশে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ এবং ২০২১ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৮।
আর ২০১৩ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন ২৪ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করেন এ-সংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ফরিদুল হক বলেন, ‘বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। আমার ধারণা, গত বছর (২০২৩ সাল) এই সংখ্যা ছিল ১ লাখের বেশি।’
ইউনেসকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি, ৮ হাজার ৫২৪ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য (৬ হাজার ৫৮৬ জন), আর তৃতীয় কানাডা (৫ হাজার ৮৩৫ জন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ মাহমুদুল হাসান নকীব স্নাতক ডিগ্রি শেষ করে বিদেশে যেতে চান। তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরে এ দেশে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট চাকরির ব্যবস্থা। দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিকের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে একই চাকরির দিকে ছুটছেন। এখানে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নিজের জীবনে হতাশা আনতে চাই না।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী মুবাশ্বিরা তাসনিম বলেন, ‘দেশে সবাই ভালো চাকরি বলতে বোঝেন সরকারি চাকরি। কিন্তু এর বাইরেও চাকরি আছে, সেটা সমাজ মানতে চায় না। তাই বিদেশে ক্যারিয়ার গড়তে চান।’
ব্যাংকের মাধ্যমেই আড়াই হাজার কোটি
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থী বৃদ্ধির চিত্র পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের ব্যালান্স অব পেমেন্টস উপবিভাগের প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ১৫ কোটি ৪ লাখ ডলার। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় কোনো র্যাঙ্কিং নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অবশ্য সম্প্রতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় র্যাঙ্কিং করার সুপারিশ করেছে। আর আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে।
২০২৩ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। র্যাঙ্কিংয়ের ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। অন্যদিকে, ১০০১ থেকে ১,২০০তম অবস্থানের মধ্যে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া, র্যাঙ্কিংয়ে ১২০১ থেকে ১৫০০-এর মধ্যে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগের বছরের র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে অবস্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির। ১৩টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান মনে করেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। সহজে চাকরিতে ঢোকার সুযোগ এবং উন্নত জীবনব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, উন্নত দেশে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম উচ্চশিক্ষা। অনেকেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশ যাচ্ছেন। এর সঙ্গে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা, নগরায়ণ, উন্নত ভবিষ্যৎ, কর্মসংস্থান জড়িত। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার কারণ শুধু মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নয়।
ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন মনে করেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া বাড়ার কারণ প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা। তিনি বলেন, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা তরুণদের আকর্ষণ করতে পারছে না। এর ফল হিসেবে তাঁরা বিদেশে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চাইছেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য তরুণেরা বিদেশ যাবেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাঁরা যেন ফিরে আসেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যদি সেই ব্যবস্থা করতে না পারি তাহলে সে দায় পুরো সমাজের।’

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছরে বছরে বাড়ছে। তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। এ ছাড়া বিদেশে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তি ও খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগসহ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করছে।
দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েক মেয়াদে বেশির ভাগ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে দেশে ৫৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইউজিসির তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন প্রায় ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই চান উন্নত জীবন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা এখনো তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারছি না। এতে তরুণেরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এর বাইরে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিও এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে একধরনের অনিশ্চয়তা, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া দেশ ছাড়তে চাওয়ার অন্যতম কারণ।
ইউনেসকোর ‘গ্লোবাল ফ্লো অব টারশিয়ারি লেভেল স্টুডেন্টস’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ৫২ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য গেছেন ৫৫টি দেশে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ১৫১ এবং ২০২১ সালে ছিল ৪৪ হাজার ৩৩৮।
আর ২০১৩ সালে বিদেশে গিয়েছিলেন ২৪ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে এ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করেন এ-সংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অ্যাডমিশন অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ফরিদুল হক বলেন, ‘বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। আমার ধারণা, গত বছর (২০২৩ সাল) এই সংখ্যা ছিল ১ লাখের বেশি।’
ইউনেসকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি, ৮ হাজার ৫২৪ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য (৬ হাজার ৫৮৬ জন), আর তৃতীয় কানাডা (৫ হাজার ৮৩৫ জন)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ মাহমুদুল হাসান নকীব স্নাতক ডিগ্রি শেষ করে বিদেশে যেতে চান। তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরে এ দেশে নেই কোনো সুনির্দিষ্ট চাকরির ব্যবস্থা। দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিকের শিক্ষার্থীরা একই কাতারে একই চাকরির দিকে ছুটছেন। এখানে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নিজের জীবনে হতাশা আনতে চাই না।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী মুবাশ্বিরা তাসনিম বলেন, ‘দেশে সবাই ভালো চাকরি বলতে বোঝেন সরকারি চাকরি। কিন্তু এর বাইরেও চাকরি আছে, সেটা সমাজ মানতে চায় না। তাই বিদেশে ক্যারিয়ার গড়তে চান।’
ব্যাংকের মাধ্যমেই আড়াই হাজার কোটি
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থী বৃদ্ধির চিত্র পাওয়া যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের ব্যালান্স অব পেমেন্টস উপবিভাগের প্রতিবেদনেও। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বিদেশে উচ্চশিক্ষা বাবদ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ১৫ কোটি ৪ লাখ ডলার। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় কোনো র্যাঙ্কিং নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অবশ্য সম্প্রতি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জাতীয় র্যাঙ্কিং করার সুপারিশ করেছে। আর আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে।
২০২৩ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। তবে প্রথম ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। র্যাঙ্কিংয়ের ৮০১ থেকে ১০০০-এর মধ্যে আছে বাংলাদেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। অন্যদিকে, ১০০১ থেকে ১,২০০তম অবস্থানের মধ্যে আছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া, র্যাঙ্কিংয়ে ১২০১ থেকে ১৫০০-এর মধ্যে রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগের বছরের র্যাঙ্কিংয়ে অবশ্য ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে অবস্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির। ১৩টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৭৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এই র্যাঙ্কিং করা হয়।
অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান মনে করেন, দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। সহজে চাকরিতে ঢোকার সুযোগ এবং উন্নত জীবনব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, উন্নত দেশে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম উচ্চশিক্ষা। অনেকেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশ যাচ্ছেন। এর সঙ্গে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা, নগরায়ণ, উন্নত ভবিষ্যৎ, কর্মসংস্থান জড়িত। দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার কারণ শুধু মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নয়।
ফিরে আসার ব্যবস্থা করতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন মনে করেন, উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া বাড়ার কারণ প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা। তিনি বলেন, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা তরুণদের আকর্ষণ করতে পারছে না। এর ফল হিসেবে তাঁরা বিদেশে নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চাইছেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য তরুণেরা বিদেশ যাবেন, এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তাঁরা যেন ফিরে আসেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যদি সেই ব্যবস্থা করতে না পারি তাহলে সে দায় পুরো সমাজের।’

বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
১৪ মিনিট আগে
How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই। I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা
৩২ মিনিট আগে
জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসেছে দারুণ এক সুযোগ। জাপানের স্বনামধন্য চুও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও ডক্টরাল প্রোগ্রামে পড়াশোনার জন্য চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট বৃত্তির আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দুটি গ্রুপে—বাণিজ্য এবং অ-বাণিজ্য অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্য গ্রুপে বাংলা থেকে ৮, ইংরেজি থেকে ২০, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে ২০, হিসাববিজ্ঞান থেকে ২০ এবং ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা অথবা উৎপাদন ও বিপণন থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেমাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা (যশোর)

বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন উর্মি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের কৃষক বাবলুর রহমান ও গৃহিণী ঝরনা খাতুন দম্পতির মেয়ে উর্মি।
ছোটবেলা থেকে উর্মি ছিলেন মেধাবী। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে নির্বাসখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং ২০২৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন তিনি। স্কুল-কলেজ জীবনজুড়ে সব শ্রেণিতে প্রথম হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন উর্মি।
উর্মির বাবা বাবলুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন, তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে অন্তত একজন চিকিৎসক হোক। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই ২০১৬ সালে হঠাৎ মারা যান তিনি। বাবার অবর্তমানে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের কাঁধে। মায়ের সংগ্রাম আর বাবার অপূর্ণ স্বপ্নই উর্মির মনে চিকিৎসক হওয়ার দৃঢ়প্রত্যয় গড়ে তোলে।
উর্মির মা ঝরনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের কৃষক পরিবার হলেও মেয়েদের নিয়ে তাদের বাবা স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, অন্তত একটি মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। আমার বড় মেয়ে অনার্সে প্রাণিবিদ্যায় চতুর্থ বর্ষে পড়ে, ছোট মেয়েটি এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে। আর মেজ মেয়ে সুচরিতা আক্তার উর্মি যশোর মেডিকেল কলেজে পড়ছে।

বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন উর্মি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের কৃষক বাবলুর রহমান ও গৃহিণী ঝরনা খাতুন দম্পতির মেয়ে উর্মি।
ছোটবেলা থেকে উর্মি ছিলেন মেধাবী। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে নির্বাসখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং ২০২৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন তিনি। স্কুল-কলেজ জীবনজুড়ে সব শ্রেণিতে প্রথম হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন উর্মি।
উর্মির বাবা বাবলুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন, তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে অন্তত একজন চিকিৎসক হোক। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই ২০১৬ সালে হঠাৎ মারা যান তিনি। বাবার অবর্তমানে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের কাঁধে। মায়ের সংগ্রাম আর বাবার অপূর্ণ স্বপ্নই উর্মির মনে চিকিৎসক হওয়ার দৃঢ়প্রত্যয় গড়ে তোলে।
উর্মির মা ঝরনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের কৃষক পরিবার হলেও মেয়েদের নিয়ে তাদের বাবা স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, অন্তত একটি মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। আমার বড় মেয়ে অনার্সে প্রাণিবিদ্যায় চতুর্থ বর্ষে পড়ে, ছোট মেয়েটি এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে। আর মেজ মেয়ে সুচরিতা আক্তার উর্মি যশোর মেডিকেল কলেজে পড়ছে।

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। তবে তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই। I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা
৩২ মিনিট আগে
জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসেছে দারুণ এক সুযোগ। জাপানের স্বনামধন্য চুও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও ডক্টরাল প্রোগ্রামে পড়াশোনার জন্য চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট বৃত্তির আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দুটি গ্রুপে—বাণিজ্য এবং অ-বাণিজ্য অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্য গ্রুপে বাংলা থেকে ৮, ইংরেজি থেকে ২০, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে ২০, হিসাববিজ্ঞান থেকে ২০ এবং ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা অথবা উৎপাদন ও বিপণন থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

আজ থাকছে আরও ৮টি প্রয়োজনীয় ইংরেজি বাক্য—
আরও পড়ুন:

আজ থাকছে আরও ৮টি প্রয়োজনীয় ইংরেজি বাক্য—
আরও পড়ুন:

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। তবে তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
১৪ মিনিট আগে
জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসেছে দারুণ এক সুযোগ। জাপানের স্বনামধন্য চুও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও ডক্টরাল প্রোগ্রামে পড়াশোনার জন্য চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট বৃত্তির আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দুটি গ্রুপে—বাণিজ্য এবং অ-বাণিজ্য অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্য গ্রুপে বাংলা থেকে ৮, ইংরেজি থেকে ২০, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে ২০, হিসাববিজ্ঞান থেকে ২০ এবং ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা অথবা উৎপাদন ও বিপণন থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসেছে দারুণ এক সুযোগ। জাপানের স্বনামধন্য চুও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও ডক্টরাল প্রোগ্রামে পড়াশোনার জন্য চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট বৃত্তির আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পরিচালিত এ সম্মানজনক বৃত্তির আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ অর্থায়নে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত চুও ইউনিভার্সিটি দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার সুযোগের জন্য দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিত। আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি চুও ইউনিভার্সিটি বাস্তবমুখী জ্ঞান ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে গুরুত্ব দেয়।
সুযোগ-সুবিধা: চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট স্কলারশিপ জাপানে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়িত বৃত্তি। এই স্কলারশিপের আওতায় চুও ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ নির্বাহের জন্য ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে ১ লাখ ৪৩ হাজার ইয়েন। এ ছাড়া নিজ দেশ থেকে জাপানে যাতায়াতের জন্য আন্তর্জাতিক রাউন্ড-ট্রিপ বিমান টিকিটও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আবেদনের শর্তাবলি: বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহী প্রার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সেপ্টেম্বর ২০২৬ থেকে চুও ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন শুরু করতে হবে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের নন-ডিগ্রি শিক্ষার্থী (কেনক্যুসেই বা সেনকাসেই) হিসেবে ভর্তি হতে হবে। পরবর্তী সময়ে তাঁরা চুও ইউনিভার্সিটির মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন। আবেদনকারীদের একাডেমিক ফলাফলেও রয়েছে নির্দিষ্ট মানদণ্ড। মেক্সট গ্রেডিং সিস্টেম অনুযায়ী ন্যূনতম সিজিপিএ-৩-এর মধ্যে ২.৩০ থাকতে হবে।
বয়সের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৯১ বা তার পর হতে হবে। শুধু নন-ডিগ্রি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য এই বৃত্তিতে আবেদন করা যাবে না। এ ছাড়া, আবেদনকারীর পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত গবেষণা বা অধ্যয়ন বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। একই সঙ্গে প্রার্থীদের জাপানি অথবা ইংরেজি ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য: এই বৃত্তিতে আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে মেক্সট অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম, চুও ইউনিভার্সিটির আবেদন ফর্ম, পাসপোর্টের কপি, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমাপ্তির সনদ, স্টাডি প্ল্যান বা রিসার্চ প্রপোজাল, একটি সুপারিশপত্র, ইংরেজি বা জাপানি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র এবং হালনাগাদ সিভি বা রেজুমে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো: আইন, বিজনেস ও কমার্স, সোশ্যাল সায়েন্স, হিউম্যানিটিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স ও তথ্যপ্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন স্টাডিজ। এসব অনুষদের অধীনে অন্তত ৫-৭টি বিভাগে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবদেন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২ জানুয়ারি, ২০২৬।

জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসেছে দারুণ এক সুযোগ। জাপানের স্বনামধন্য চুও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও ডক্টরাল প্রোগ্রামে পড়াশোনার জন্য চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট বৃত্তির আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পরিচালিত এ সম্মানজনক বৃত্তির আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ অর্থায়নে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত চুও ইউনিভার্সিটি দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার সুযোগের জন্য দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিত। আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি চুও ইউনিভার্সিটি বাস্তবমুখী জ্ঞান ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে গুরুত্ব দেয়।
সুযোগ-সুবিধা: চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট স্কলারশিপ জাপানে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়িত বৃত্তি। এই স্কলারশিপের আওতায় চুও ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ নির্বাহের জন্য ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে ১ লাখ ৪৩ হাজার ইয়েন। এ ছাড়া নিজ দেশ থেকে জাপানে যাতায়াতের জন্য আন্তর্জাতিক রাউন্ড-ট্রিপ বিমান টিকিটও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আবেদনের শর্তাবলি: বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহী প্রার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সেপ্টেম্বর ২০২৬ থেকে চুও ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন শুরু করতে হবে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের নন-ডিগ্রি শিক্ষার্থী (কেনক্যুসেই বা সেনকাসেই) হিসেবে ভর্তি হতে হবে। পরবর্তী সময়ে তাঁরা চুও ইউনিভার্সিটির মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন। আবেদনকারীদের একাডেমিক ফলাফলেও রয়েছে নির্দিষ্ট মানদণ্ড। মেক্সট গ্রেডিং সিস্টেম অনুযায়ী ন্যূনতম সিজিপিএ-৩-এর মধ্যে ২.৩০ থাকতে হবে।
বয়সের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৯১ বা তার পর হতে হবে। শুধু নন-ডিগ্রি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য এই বৃত্তিতে আবেদন করা যাবে না। এ ছাড়া, আবেদনকারীর পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত গবেষণা বা অধ্যয়ন বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। একই সঙ্গে প্রার্থীদের জাপানি অথবা ইংরেজি ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য: এই বৃত্তিতে আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে মেক্সট অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম, চুও ইউনিভার্সিটির আবেদন ফর্ম, পাসপোর্টের কপি, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমাপ্তির সনদ, স্টাডি প্ল্যান বা রিসার্চ প্রপোজাল, একটি সুপারিশপত্র, ইংরেজি বা জাপানি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র এবং হালনাগাদ সিভি বা রেজুমে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো: আইন, বিজনেস ও কমার্স, সোশ্যাল সায়েন্স, হিউম্যানিটিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স ও তথ্যপ্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন স্টাডিজ। এসব অনুষদের অধীনে অন্তত ৫-৭টি বিভাগে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবদেন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২ জানুয়ারি, ২০২৬।

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। তবে তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
১৪ মিনিট আগে
How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই। I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা
৩২ মিনিট আগে
আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দুটি গ্রুপে—বাণিজ্য এবং অ-বাণিজ্য অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্য গ্রুপে বাংলা থেকে ৮, ইংরেজি থেকে ২০, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে ২০, হিসাববিজ্ঞান থেকে ২০ এবং ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা অথবা উৎপাদন ও বিপণন থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেপ্রসেনজিৎ সেন

আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দুটি গ্রুপে—বাণিজ্য এবং অ-বাণিজ্য অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্য গ্রুপে বাংলা থেকে ৮, ইংরেজি থেকে ২০, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে ২০, হিসাববিজ্ঞান থেকে ২০ এবং ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা অথবা উৎপাদন ও বিপণন থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়।
অ-বাণিজ্য গ্রুপে বাংলা থেকে ৮, ইংরেজি থেকে ২০, সাধারণ জ্ঞান থেকে ৪০ এবং আইসিটি থেকে ১২ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। সাধারণ জ্ঞান অংশে সাধারণ গণিত, অর্থনীতি, অ্যাপটিচুড টেস্ট, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
উভয় গ্রুপেই মোট ৮০টি প্রশ্নে ১০০ নম্বর নির্ধারিত থাকে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আইবিএতে ভর্তির জন্য বাণিজ্য ও অ-বাণিজ্য উভয় গ্রুপের পরীক্ষার্থীদেরই ইংরেজিতে ২৫ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ১০ অর্জন করতে হয়।
এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের জন্য হিসাববিজ্ঞান, ইংরেজি এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা—এই তিনটি বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এখানে প্রতিটি বিষয় থেকেই ২০ নম্বর করে বরাদ্দ রয়েছে। ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা কিংবা উৎপাদন ও বিপণনের মধ্যে যে বিষয়ে দক্ষতা বেশি, সেটি বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
অ-বাণিজ্য গ্রুপের ক্ষেত্রে সাধারণ জ্ঞান অংশে সবচেয়ে বেশি নম্বর থাকায় এই অংশে ভালো প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। সাধারণ গণিতে দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা গাণিতিক সমস্যার অনুশীলন করতে হবে। এটা প্রস্তুতি কার্যকর ভূমিকা রাখে। আইসিটির জন্য বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি—এই দুটি বিষয় উভয় গ্রুপের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাংলায় গদ্য, পদ্য, নাটক ও উপন্যাস থেকে কয়েকটি প্রশ্ন আসে। সেই সঙ্গে ব্যাকরণ থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রশ্ন থাকে। ইংরেজিতে মূলত বেসিক গ্রামার ও ভোকাবুলারির ওপর জোর দেওয়া হয়। তাই বেসিক ধারণা স্পষ্ট রাখা জরুরি।
একটা কথা হলো, ভালো প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। তবে শুধু হার্ডওয়ার্ক নয়, স্মার্টওয়ার্কের সঙ্গেও ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। পরীক্ষার দিন প্রবেশপত্র ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সঙ্গে রাখা, নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রে পৌঁছানো এবং পরীক্ষার হলে ঠান্ডা মাথায় প্রশ্ন বুঝে উত্তর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময় ব্যবস্থাপনার দিকে খেয়াল রেখে যেসব প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত, সেগুলোই দাগানো উচিত। কারণ ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক রয়েছে।
অনেকে ভর্তি পরীক্ষার এ যাত্রায় প্রায়ই হতাশ হয়ে পড়েন। যেটা পরীক্ষার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে আমি বলব, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত অধ্যয়ন, সঠিক কৌশল এবং আত্মবিশ্বাস—এই তিনটির সমন্বয়ই রাবি ভর্তি পরীক্ষায় সফলতার মূল চাবিকাঠি। সব পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল আন্তরিক শুভকামনা।
লেখক: শিক্ষার্থী, আইবিএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দুটি গ্রুপে—বাণিজ্য এবং অ-বাণিজ্য অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্য গ্রুপে বাংলা থেকে ৮, ইংরেজি থেকে ২০, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা থেকে ২০, হিসাববিজ্ঞান থেকে ২০ এবং ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা অথবা উৎপাদন ও বিপণন থেকে ১৫ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়।
অ-বাণিজ্য গ্রুপে বাংলা থেকে ৮, ইংরেজি থেকে ২০, সাধারণ জ্ঞান থেকে ৪০ এবং আইসিটি থেকে ১২ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। সাধারণ জ্ঞান অংশে সাধারণ গণিত, অর্থনীতি, অ্যাপটিচুড টেস্ট, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
উভয় গ্রুপেই মোট ৮০টি প্রশ্নে ১০০ নম্বর নির্ধারিত থাকে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আইবিএতে ভর্তির জন্য বাণিজ্য ও অ-বাণিজ্য উভয় গ্রুপের পরীক্ষার্থীদেরই ইংরেজিতে ২৫ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ১০ অর্জন করতে হয়।
এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য গ্রুপের পরীক্ষার্থীদের জন্য হিসাববিজ্ঞান, ইংরেজি এবং ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা—এই তিনটি বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এখানে প্রতিটি বিষয় থেকেই ২০ নম্বর করে বরাদ্দ রয়েছে। ফাইন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা কিংবা উৎপাদন ও বিপণনের মধ্যে যে বিষয়ে দক্ষতা বেশি, সেটি বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
অ-বাণিজ্য গ্রুপের ক্ষেত্রে সাধারণ জ্ঞান অংশে সবচেয়ে বেশি নম্বর থাকায় এই অংশে ভালো প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। সাধারণ গণিতে দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা গাণিতিক সমস্যার অনুশীলন করতে হবে। এটা প্রস্তুতি কার্যকর ভূমিকা রাখে। আইসিটির জন্য বোর্ড বইয়ের পাশাপাশি বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি—এই দুটি বিষয় উভয় গ্রুপের জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাংলায় গদ্য, পদ্য, নাটক ও উপন্যাস থেকে কয়েকটি প্রশ্ন আসে। সেই সঙ্গে ব্যাকরণ থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রশ্ন থাকে। ইংরেজিতে মূলত বেসিক গ্রামার ও ভোকাবুলারির ওপর জোর দেওয়া হয়। তাই বেসিক ধারণা স্পষ্ট রাখা জরুরি।
একটা কথা হলো, ভালো প্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। তবে শুধু হার্ডওয়ার্ক নয়, স্মার্টওয়ার্কের সঙ্গেও ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। পরীক্ষার দিন প্রবেশপত্র ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সঙ্গে রাখা, নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রে পৌঁছানো এবং পরীক্ষার হলে ঠান্ডা মাথায় প্রশ্ন বুঝে উত্তর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময় ব্যবস্থাপনার দিকে খেয়াল রেখে যেসব প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত, সেগুলোই দাগানো উচিত। কারণ ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক রয়েছে।
অনেকে ভর্তি পরীক্ষার এ যাত্রায় প্রায়ই হতাশ হয়ে পড়েন। যেটা পরীক্ষার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে আমি বলব, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নিয়মিত অধ্যয়ন, সঠিক কৌশল এবং আত্মবিশ্বাস—এই তিনটির সমন্বয়ই রাবি ভর্তি পরীক্ষায় সফলতার মূল চাবিকাঠি। সব পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল আন্তরিক শুভকামনা।
লেখক: শিক্ষার্থী, আইবিএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। তবে তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।
১৪ মিনিট আগে
How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি? I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই। I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা
৩২ মিনিট আগে
জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসেছে দারুণ এক সুযোগ। জাপানের স্বনামধন্য চুও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও ডক্টরাল প্রোগ্রামে পড়াশোনার জন্য চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট বৃত্তির আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে