Ajker Patrika

কাপড় বিক্রি শুধু নয়, মানুষকে পুষ্টিকর খাবারের সন্ধানও দেন রীদা

মন্টি বৈষ্ণব
কাপড় বিক্রি শুধু নয়, মানুষকে পুষ্টিকর খাবারের সন্ধানও দেন রীদা

সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্যের। কিন্তুবাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছেই এই পুষ্টিকর খাদ্য এখনো অধরাই রয়ে গেছে। অথচ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সাধ ও সাধ্যের চিরায়ত সমীকরণের ফেরে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে, খাবারের পুষ্টিগুণ বিষয়ে ধারণা থাকলে কম মূল্যের খাবার দিয়েও শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণ করা যায়। কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরটিই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দিচ্ছেন পেশায় পুষ্টিবিদ রীদা নাজনীন। 

রীদা নাজনীন একজন পুষ্টিবিদ। এ ছাড়া ‘পিরিতি’ নামের অনলাইনভিত্তিক একটি কেনাকাটার প্ল্যাটফর্মের স্বত্বাধিকারী তিনি। সেখানে চলে কাপড়ের ব্যবসা। পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যের উপকারিতা নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কথা বলেন তিনি। 

রীদার জন্ম উত্তরবঙ্গের মফস্বল শহরে। গ্রামের পরিবেশে কেটেছে তাঁর শৈশবকাল। ছোটবেলা থেকে স্বাধীনভাবে নিজের কথা প্রকাশ করতে পছন্দ করতেন তিনি। নিজের মতো করে কাজ করার মধ্যেই খুঁজে পেতেন অফুরান প্রাণশক্তি। আর সেই প্রাণ সঞ্চারের ভাবনা থেকে অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ‘পিরিতি’র যাত্রা শুরু করেন। বেড়ে ওঠা মফস্বল শহরে হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে চলে আসেন ঢাকায়। তখন থেকে ঢাকায় পড়ালেখার পাশাপাশি অন্যান্য কাজ শুরু করেন। রীদার বাবা সরকারি চাকরিজীবী। আর ভাইবোনেরাও নিজেদের মতো কাজ করতে পছন্দ করেন। 

ক্যাপসিকাম ও আদাযোগে বাঁধাকপি ফার্মেন্টেশনরীদা কাজ করেন বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় দুটি বিষয়—খাদ্য ও পোশাক নিয়ে। এর শুরুর গল্পটা জানতে চাইলে বললেন, ‘পেশায় পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছি ২০১২ সাল থেকে। স্বাস্থ্য নিয়ে আমি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে এক বছর কাজ করেছি। আমার কাজ ছিল খাদ্যের বিষয়ে কাউন্সেলিং করা, সময় দিয়ে সবাইকে খাবারের উপকারিতার বিষয়ে বুঝিয়ে বলা। এভাবে কাজ করতে করতে একদিন চিন্তা করলাম ব্যবসায়িক কোনো প্রতিষ্ঠানে খাদ্যের দরকারি বিষয়ে কথা বলার সুযোগ খুব কম। সেই ভাবনা থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ইচ্ছা মাথায় আসে। এই ভাবনা থেকেই যৌথ উদ্যোগে একটা হেলথ কেয়ার সেন্টার দিয়েই আমার এই যাত্রার সূচনা।’ 

রীদা বলেন, ‘বর্তমানে আমি অনলাইনভিত্তিক কাউন্সেলিং করছি। সেখানে সবাইকে বলার চেষ্টা করছি, শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন কতটা জরুরি। এর চেয়ে আরও জরুরি বিষয় হলো আমাদের জীবনযাপনের পদ্ধতিকে একটু সহজ করে ভাবতে শেখা। রোগ ও ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিজের নেওয়া শেখাটা জরুরি।’ 

রীদা নাজনীন জানালেন, তিনি সব সময় খাবারের বিষয়ে এমন কিছু খাবারের তথ্য খোঁজেন, যা সার্বিকভাবে সবার জন্য সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী। যেমন, কাঠবাদামের বিকল্প হিসেবে রয়েছে একই গুণাগুণসম্পন্ন তিসি। কাঠবাদামের দাম বেশি বলে এটি অনেকে কিনতে পারেন না। বাদামের কেজিপ্রতি দাম ১ হাজার টাকা। অথচ তিসির বাজারমূল্য কেজিতে ২০০ টাকা। এ ছাড়া আমি ৫০ থেকে ২০০ টাকা মধ্যে ঘরে তৈরি বিভিন্ন সবজির ফার্মেন্টেশনও করা যায়, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

বীট ফার্মেন্টেশনকিন্তু শুধু পুষ্টি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তো আর চলা সম্ভব নয়। তাই রীদা উদ্যোক্তা হিসেবেও যাত্রা করেন। মাঝেমধ্যে কলকাতা যেতেন। সেখানে কাপড়ের দাম অনেক কম। আর এখান থেকেই মাথায় ব্যবসার চিন্তা মাথায় আসে। বললেন, কলকাতায় কাপড়ের দাম কম। বিষয়টি আমাকে বেশ নাড়া দেয়। এ ছাড়া দিল্লিতে গেছি একবার একটা প্রফেশনাল কোর্সে অংশ নিতে। সেখানেও দেখলাম পোশাকের দাম অনেক কম। এসব দেখে ২০১৩-১৪ সময়ে বুটিকস করার চিন্তা আসে। ২০১৯ সালে ড্রয়িং ও পেইন্টিং নিয়ে স্নাতক পড়া শুরু করি। ডিজাইন, কালার নিয়ে কাজ শুরু করলে কীভাবে শাড়িতে তা যুক্ত করা যায়, সেটা ভাবতে থাকি। এর পর শুরু হলো, কোথায় কী পাওয়া যায়, তার খোঁজ নেওয়া। ডোবি নকশার শাড়ি, টাঙ্গাইলে ভালো মানের কী আছে, ন্যাচারাল ডাইয়ের কাজ কোথায় হয়। আস্তে আস্তে সবই জানতে শুরু করি। এর পর শুরু করলাম অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম ‘পিরিতি’-এর যাত্রা।’ 

রীদা সাশ্রয়ী মূল্যের যে চিন্তা থেকে কাজটা শুরু করেছিলেন, মাঠে নেমে দেখলেন বিষয়টি অনেক কঠিনও বটে। কারণ, এই সময়টাতে সবকিছুই সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। এ ছাড়া অনলাইন কেন্দ্রিক এমন উদ্যোগ অনেক আছে, যেখানে প্রতিযোগিতাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কম দামে জিনিস বিক্রি করলে ক্রেতারা ভাবেন পণ্যের গুণগত মান নিয়ে। তবে সময় যত যাচ্ছে, পিরিতির পণ্যের ওপর ক্রেতাদের আস্থা তত বাড়ছে বলে জানালেন রীদা। বললেন, ক্রেতাদের ভালোবাসা পাচ্ছি। পিরিতির প্রতি তাদের ভরসার জায়গা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। 

শিবুরি ও মোম বাটিকের ফিউশান ওর্য়াকযারা উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে চান, তাঁদের উদ্দেশ্যে রীদা বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস রাখুন নিজের ওপর। আর আপনার কাজকে ভালোবাসুন। দেখবেন, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ছাড়িয়ে আপনি আপনার কাজ নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছেন। আপনি পারবেন, এই শব্দটা নিজেকে বলুন। এই আত্মবিশ্বাস খুব জরুরি। আমি বিশ্বাস করি, মন থেকে চাইলে মানুষ যেকোনো কাজ করতে পারবে। যেমন ধরেন, আমি কোনো দিন ছবি আঁকিনি। শুধু এটুকুই জানি, আমি আঁকতে পারব। আত্মবিশ্বাসের কথা হলো, আজ আমি ছবি আঁকতে পারি।’ 

রীদা ‘পিরিতি’-এর মাধ্যমে দেশি পণ্য নিয়ে কাজ করছেন। আর চেষ্টা করছেন কম বাজেটে মানসম্মত পণ্য সবার হাতে পৌঁছে দিতে। নিজের স্বপ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পিরিতি নিয়ে কাজ শুরুর পর একটা বিষয় বিশেষভাবে অনুভব করি, সেটা হলো ছোট্ট পরিসরে কাজ করেও অন্যের জন্য কিছু করা যায়। শাড়ি-সুতা তৈরির কারিগর, তাঁতি, ন্যাচারাল ডাই কারখানার কারিগর, উদ্যোক্তা—সবার সঙ্গেই পিরিতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। করোনাতে এই প্রতিটি পর্যায়ের মানুষ ভুক্তভোগী ছিল। করোনায় পরিচিত এক ডাই কারখানার দাদা, তাঁর পুঁজির সবই হারিয়েছেন। আমি তাঁকে আমার কাজের সঙ্গে যুক্ত করি। বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান আবার আশার আলো দেখছে। পিরিতির সার্বিক কাজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শ্রমিককে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। এমনকি করোনাকালে তাঁরা যেন আর্থিকভাবে ভালো থাকেন, সে ব্যবস্থাও করেছি। আমার ভাবতে ভালো লাগে, একটি শাড়ির সঙ্গে কতজনের কর্মসংস্থান জড়িত। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে পিরিতি। সবার ভালোবাসা নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই অনেক দূর।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে শুরু হয়েছে চার দিনের আবাসন মেলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।

চার দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় ২২০টি স্টল থাকছে। মেলায় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছে রিহ্যাব।

মেলায় আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্ল্যাট বা প্লট বিক্রির প্রস্তাবের সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক জীবনযাত্রার ধারণাও তুলে ধরছেন। এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ আবাসন খাতে ডিজিটাল রূপান্তর, যা ক্রেতাদের অভিজ্ঞতায় আনছে নতুন মাত্রা। থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে মেলা প্রাঙ্গণেই পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন ক্রেতারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে ফ্ল্যাট কেমন হবে, তা বুঝতে ক্রেতাদের ব্রশিউর ও নকশার ওপর নির্ভর করতে হতো। তবে এবার থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গণেই তাঁদের পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন। এতে ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ও বাস্তবসম্মত হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এবার নিজস্ব ডিজিটাল সেলস প্ল্যাটফর্মও চালু করেছে।   

এ ছাড়া মেলায় এমন বহু প্রকল্প প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে স্মার্ট লক, অটোমেটেড লাইটিং, স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্স ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এই প্রযুক্তির ফলে স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দেশ গঠনে ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তা ও নির্মাণকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আবাসন খাতে নানা পেশাজীবী সংগঠন যুক্ত থাকলেও বাস্তবে ভবন নির্মাণের মূল দায়িত্ব উদ্যোক্তা ও নির্মাতাদের। দীর্ঘদিন ধরে আবাসন খাত নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে কিছুটা মন্দা থাকলেও এটি স্থায়ী নয়, সুদিন অবশ্যই ফিরে আসবে।

ডেভেলপারদের বিষয়ে প্রচলিত ভুল ধারণার কথা তুলে ধরে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, ডেভেলপাররা শুধু নিজেদের ব্যবসার কথা ভাবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই ধারণা সঠিক নয়। হয়তো হাতে গোনা কয়েকজন ব্যতিক্রম থাকতে পারেন, তবে সবাই একটি সুন্দর, পরিকল্পিত ও নিয়মের মধ্যে গড়ে ওঠা শহরই চান।’

বিশেষ অতিথি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান। সদস্য ও ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে মানুষের ভালো জায়গায় সুন্দর একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকার আগ্রহ বাড়ছে। আমরা নাগরিকদের স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’

রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত্ আলী ভূঁইয়া আবাসন খাতের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন নাগরিকের পক্ষে হাউজিং লোন ছাড়া ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করা প্রায় অসম্ভব। ক্রেতারা যাতে খুব সহজে এই ঋণ পেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার জন্য জানান তিনি। পরিকল্পিত ও আধুনিক বাসস্থান তৈরিতে গৃহঋণের অবদান অনস্বীকার্য।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রিহ্যাবের পরিচালক ও মেলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান মিরাজ মোক্তাদিরসহ আরও অনেকে।

প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি, অপরটি মাল্টিপল। সিঙ্গেল টিকিটের প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় পাঁচবার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ দুস্থদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে। এ বছরের মেলায় প্রতিদিন র‍্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।

প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’

তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড়ল মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।

এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত