মন্টি বৈষ্ণব

‘কাজটা যখন শুরু করি তখন উদ্যোক্তা শব্দটার সঙ্গে অপরিচিত ছিলাম।’ এভাবেই নিজের উদ্যোক্তা জীবন শুরুর গল্পটা বললেন সোনিয়া মান্নান। অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম Monipuri Handicrafts-এর যাত্রা হয়েছিল ২০১২ সালে। সোনিয়া যখন দুরুদুরু বুকে এই যাত্রা করেন, তখনো তিনি আসলে নিজের কাজের অভিমুখটা বুঝতে পারেননি। শুধু বুঝেছিলেন নিজে কিছু একটা করতে চান।
নারী উদ্যোক্তা সোনিয়া। জীবনে একটা পর্যায়ে এসে তিনি নিজের একটা আলাদা পরিচয় তৈরি করতে চান। অনেক চিন্তার পর একপর্যায়ে অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘Monipuri Handicrafts’-এর যাত্রা শুরু করেন। সোনিয়া মূলত মণিপুরী হ্যান্ডলুম শাড়ি, মণিপুরী হ্যান্ডউইভেন লেডিস শাল, ওড়না নিয়েই কাজ করেন।
সোনিয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মৌলভীবাজারেই। এইচএসসি পাস করেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে। সিলেটের এমসি কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পড়ার পর হঠাৎ করেই তাঁর সুযোগ আসে নরওয়ে সরকারের পিসকোর হিসেবে কাজ করার। এর জন্য তিনি চলে যান ফিলিপাইনে। সেখানে তেলাপিয়া মাছের ওপর দুটি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। দেশে এসে আমেরিকান-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে যুক্ত হন। পর্যায়ক্রমে সেখানে প্রধান হিসাব কর্মকর্তা পদে উন্নীত হন। কিন্তু বিয়ের পর পারিবারিক কারণে চাকরিটা ছেড়ে দেন। এরপরই ফিরে আসে সেই নিজে কিছু করার স্বপ্নটি।
সোনিয়া মান্নান বলেন, ‘নিজে কিছু একটা করতে চাই—এমন একটা ভাবনা থেকেই আমার ব্যবসার যাত্রা শুরু। নিজের এলাকার একটি অনন্য পণ্য নিয়ে ব্যবসা করার চিন্তা থেকেই মণিপুরী পণ্যকে বেছে নেওয়া। এর রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও ইতিহাস। তা ছাড়া সে সময় মণিপুরী পণ্যের দেশজুড়ে চাহিদা থাকলেও তা সহজলভ্য ছিল না। তবে, কাজটা যখন শুরু করি, তখন উদ্যোক্তা শব্দটির সঙ্গে অপরিচিত ছিলাম। একপর্যায়ে শাড়ি বুনন প্রক্রিয়া শিখি। ডিজাইন করা, মোটিফ করাও শিখলাম। অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সও করেছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) পরিচালিত উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে (ইএসডিপি) প্রশিক্ষণ নিই।’
২০১২ সালের জুলাই মাসে একদিন সাহস করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ তৈরি করেন সোনিয়া মান্নান। সেই শুরু। বললেন, ‘সে সময় এমন একটা নাম খুঁজি, যা আমার কাজের প্রতিনিধিত্ব করবে। এ কথা, সে কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত নাম ঠিক করলাম ‘Monipuri Handicrafts’। প্রথমে নিজের মণিপুরী শাড়ির ছবি তুলে পেজে আপলোড দিতাম। সেখানে এক-দুটি লাইক আসতে থাকে। একপর্যায়ে ক্রেতারা মণিপুরী শাড়ির জন্য অর্ডার করেন। আমি পুরো মণিপুরী পাড়া ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কম্বিনেশনের শাড়ি কিনে ক্রেতাদের পাঠাতে থাকি। তখন আসলে আমার লাভ কিছুই থাকত না। কারণ, প্রোডাক্ট সোর্সিং করতেই বেশি খরচ পড়ত। কিন্তু একটা অর্ডারের কাজ শেষ করতে পারলে অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করত। এর পর আমি ভালো কোয়ালিটি, পছন্দসই ডিজাইনের শাড়ি খুঁজে খুঁজে প্রোডাক্ট স্টক করা শুরু করি।’
পণ্যের গুণগত মান, আর ক্রেতাদের পছন্দকেই বেশি অগ্রাধিকার দেন সোনিয়া। তিনি মাত্র দেড় হাজার টাকা পুঁজিতে কাজ শুরু করেন। মজার বিষয় হলো তাঁর বিক্রি করা প্রথম শাড়ির দামও ছিল দেড় হাজার টাকা। অর্থাৎ, মুনাফা শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখাটা অনেক কঠিন। সেই কঠিন কাজটিই করেছেন সোনিয়া। ফলও পেয়েছেন। বর্তমানে সোনিয়ার কাছে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যমানের কাপড়ের মজুত থাকে সব সময়। এখন প্রতি মাসে কমবেশি ১৫ হাজার টাকার মুনাফা আসে। তাঁর প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১৪ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
দেশের অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো করোনাকালে কঠিন পরিস্থিতি পার হতে হয়েছে সোনিয়াকেও। প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল ‘Monipuri Handicrafts’-এর কাজ। অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সোনিয়া বসে থাকেননি। শ্রমিকদের কথা চিন্তা করেই কুরিয়ার সার্ভিস চালুর সঙ্গে সঙ্গেই আবার সচল করেন প্রতিষ্ঠানকে। এই সময় তিনি পাইকারিভাবে পণ্য বিক্রি করেছেন।
এখন আবার কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। কিন্তু শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নানা বাধা-বিপত্তি তাঁর সঙ্গী হয়ে গেছে বলা যায়। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে চলার পথে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন। মণিপুরী তাঁতি, শাড়ির কম্বিনেশন, উৎপাদন, বাজারে চাহিদা, পণ্যের সহজলভ্যতা—প্রতিটি ক্ষেত্রেই নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। কাজ করতে গিয়ে যেমনটা ভেবেছিলেন, বাস্তব কাজের পরিস্থিতি তেমনটা পাননি। শুনতে হয়েছে অনেক কটু কথা। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল মণিপুরী সমাজ। তাদের ভাষা ভিন্ন। তাদের সঙ্গে সোনিয়া যেভাবে কাজ করতে চাইতেন, সেটা ঠিকঠাক পারতেন না। তা ছাড়া তাদের জীবনমান অনেক অনগ্রসর। এখনো বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। নেই তাদের পর্যাপ্ত কাঁচামালের সরবরাহ।
ছিল পারিবারিক নানা সংকটও। বিয়ের ১০ বছর পর বিচ্ছেদ হয় সোনিয়ার। অনেক ভেঙে পড়েন। ভাবেন, জীবনসংগ্রামের লড়াইয়ে হেরে যাবেন কিনা। কিন্তু আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন। এই কঠিন সময়ে পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন পেয়েছেন। বললেন, ‘যে মণিপুরী দাদা, বৌদিদের সঙ্গে কাজ করতাম, তাঁরাও আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে তিনি নিজের যোগ্যতা আর শ্রম দিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান।
হাল না ছাড়ার মানসিকতাকেই উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় গুণ বলে মনে করেন সোনিয়া। এ দেশের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তাঁর বক্তব্য—‘কখনোই হাল ছাড়ব না—এমন একটি গুণ একজন উদ্যোক্তার থাকতে হবে। সফল উদ্যোক্তারা লক্ষ্যে অর্জনকারী। ব্যবসায় ব্যর্থতার প্রধান কারণ হলো খুব তাড়াতাড়ি হাল ছেড়ে দেওয়া। যদি আপনি অধ্যবসায়ী না হন, অনুসন্ধান, গবেষণা না করেন, তাহলে আপনি ব্যবসায় সফল নাও হতে পারেন। তবে আপনি যদি অবিচল থাকেন। তাহলে আপনার সফল হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে, অধ্যবসায় এবং দৃঢ়তা, পণ্যের গুণগত মান ধরে রাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
নিজের পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে সোনিয়া বলেন, ‘অনলাইনে ব্যবসা করব—এই কথা পরিবারের কাউকে শুরুতে বোঝাতে পারিনি। কিন্তু এখন বাবা, মা, ভাই, বোনসহ আত্মীয়রা আমাকে সহযোগিতা করেন। আমরা দুই বোন, দুই ভাই। বর্তমানে আমি বাবা-মায়ের সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরেই থাকি। বাবা ব্যবসায়ী; কিন্তু বর্তমানে অবসরে আছেন। মা গৃহিণী। বোন ব্যাংককে জাতিসংঘে চাকরি করে। এর পরের ভাই একটা এনজিও তে আর ছোট ভাই একটা সফটওয়্যার ফার্মে আছে।’
যে স্বপ্নের পথে হাঁটছেন, স্বপ্নের সেই জায়গা থেকে পিছপা হতে চান না সোনিয়া। এখন তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য একটা কারখানা তৈরি করা, যেখানে তাঁর নিজের মতো করে নতুন কিছু তৈরি করার সুযোগ থাকবে। ভবিষ্যতে কী করতে চান জানতে চাইলে বললেন, ‘আমি ভালো ব্যবসায়ী হতে চাই। আমার একটা ব্র্যান্ড হবে। এই শিল্পের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, আমার সফল ব্যবসায়ী হওয়ার চেয়ে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পটা টিকিয়ে রাখা অনেক বেশি দরকারি। নিজের পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা যদি করতে পারি, আর যদি মণিপুরী পণ্যের ঐতিহ্যের একটা দীর্ঘমেয়াদি জায়গা তৈরি করতে পারি—সেটাই হবে আমার আসল সফলতার জায়গা। এর মাধ্যমে মণিপুরী পণ্যের ঐতিহ্য দেশব্যাপী এবং দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিতে চাই।’

‘কাজটা যখন শুরু করি তখন উদ্যোক্তা শব্দটার সঙ্গে অপরিচিত ছিলাম।’ এভাবেই নিজের উদ্যোক্তা জীবন শুরুর গল্পটা বললেন সোনিয়া মান্নান। অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম Monipuri Handicrafts-এর যাত্রা হয়েছিল ২০১২ সালে। সোনিয়া যখন দুরুদুরু বুকে এই যাত্রা করেন, তখনো তিনি আসলে নিজের কাজের অভিমুখটা বুঝতে পারেননি। শুধু বুঝেছিলেন নিজে কিছু একটা করতে চান।
নারী উদ্যোক্তা সোনিয়া। জীবনে একটা পর্যায়ে এসে তিনি নিজের একটা আলাদা পরিচয় তৈরি করতে চান। অনেক চিন্তার পর একপর্যায়ে অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম ‘Monipuri Handicrafts’-এর যাত্রা শুরু করেন। সোনিয়া মূলত মণিপুরী হ্যান্ডলুম শাড়ি, মণিপুরী হ্যান্ডউইভেন লেডিস শাল, ওড়না নিয়েই কাজ করেন।
সোনিয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা মৌলভীবাজারেই। এইচএসসি পাস করেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে। সিলেটের এমসি কলেজে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পড়ার পর হঠাৎ করেই তাঁর সুযোগ আসে নরওয়ে সরকারের পিসকোর হিসেবে কাজ করার। এর জন্য তিনি চলে যান ফিলিপাইনে। সেখানে তেলাপিয়া মাছের ওপর দুটি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। দেশে এসে আমেরিকান-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে যুক্ত হন। পর্যায়ক্রমে সেখানে প্রধান হিসাব কর্মকর্তা পদে উন্নীত হন। কিন্তু বিয়ের পর পারিবারিক কারণে চাকরিটা ছেড়ে দেন। এরপরই ফিরে আসে সেই নিজে কিছু করার স্বপ্নটি।
সোনিয়া মান্নান বলেন, ‘নিজে কিছু একটা করতে চাই—এমন একটা ভাবনা থেকেই আমার ব্যবসার যাত্রা শুরু। নিজের এলাকার একটি অনন্য পণ্য নিয়ে ব্যবসা করার চিন্তা থেকেই মণিপুরী পণ্যকে বেছে নেওয়া। এর রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও ইতিহাস। তা ছাড়া সে সময় মণিপুরী পণ্যের দেশজুড়ে চাহিদা থাকলেও তা সহজলভ্য ছিল না। তবে, কাজটা যখন শুরু করি, তখন উদ্যোক্তা শব্দটির সঙ্গে অপরিচিত ছিলাম। একপর্যায়ে শাড়ি বুনন প্রক্রিয়া শিখি। ডিজাইন করা, মোটিফ করাও শিখলাম। অনলাইনে বিভিন্ন কোর্সও করেছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) পরিচালিত উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে (ইএসডিপি) প্রশিক্ষণ নিই।’
২০১২ সালের জুলাই মাসে একদিন সাহস করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ তৈরি করেন সোনিয়া মান্নান। সেই শুরু। বললেন, ‘সে সময় এমন একটা নাম খুঁজি, যা আমার কাজের প্রতিনিধিত্ব করবে। এ কথা, সে কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত নাম ঠিক করলাম ‘Monipuri Handicrafts’। প্রথমে নিজের মণিপুরী শাড়ির ছবি তুলে পেজে আপলোড দিতাম। সেখানে এক-দুটি লাইক আসতে থাকে। একপর্যায়ে ক্রেতারা মণিপুরী শাড়ির জন্য অর্ডার করেন। আমি পুরো মণিপুরী পাড়া ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কম্বিনেশনের শাড়ি কিনে ক্রেতাদের পাঠাতে থাকি। তখন আসলে আমার লাভ কিছুই থাকত না। কারণ, প্রোডাক্ট সোর্সিং করতেই বেশি খরচ পড়ত। কিন্তু একটা অর্ডারের কাজ শেষ করতে পারলে অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করত। এর পর আমি ভালো কোয়ালিটি, পছন্দসই ডিজাইনের শাড়ি খুঁজে খুঁজে প্রোডাক্ট স্টক করা শুরু করি।’
পণ্যের গুণগত মান, আর ক্রেতাদের পছন্দকেই বেশি অগ্রাধিকার দেন সোনিয়া। তিনি মাত্র দেড় হাজার টাকা পুঁজিতে কাজ শুরু করেন। মজার বিষয় হলো তাঁর বিক্রি করা প্রথম শাড়ির দামও ছিল দেড় হাজার টাকা। অর্থাৎ, মুনাফা শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখাটা অনেক কঠিন। সেই কঠিন কাজটিই করেছেন সোনিয়া। ফলও পেয়েছেন। বর্তমানে সোনিয়ার কাছে প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যমানের কাপড়ের মজুত থাকে সব সময়। এখন প্রতি মাসে কমবেশি ১৫ হাজার টাকার মুনাফা আসে। তাঁর প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১৪ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
দেশের অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো করোনাকালে কঠিন পরিস্থিতি পার হতে হয়েছে সোনিয়াকেও। প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল ‘Monipuri Handicrafts’-এর কাজ। অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সোনিয়া বসে থাকেননি। শ্রমিকদের কথা চিন্তা করেই কুরিয়ার সার্ভিস চালুর সঙ্গে সঙ্গেই আবার সচল করেন প্রতিষ্ঠানকে। এই সময় তিনি পাইকারিভাবে পণ্য বিক্রি করেছেন।
এখন আবার কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। কিন্তু শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নানা বাধা-বিপত্তি তাঁর সঙ্গী হয়ে গেছে বলা যায়। নারী উদ্যোক্তা হিসেবে চলার পথে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন। মণিপুরী তাঁতি, শাড়ির কম্বিনেশন, উৎপাদন, বাজারে চাহিদা, পণ্যের সহজলভ্যতা—প্রতিটি ক্ষেত্রেই নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। কাজ করতে গিয়ে যেমনটা ভেবেছিলেন, বাস্তব কাজের পরিস্থিতি তেমনটা পাননি। শুনতে হয়েছে অনেক কটু কথা। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল মণিপুরী সমাজ। তাদের ভাষা ভিন্ন। তাদের সঙ্গে সোনিয়া যেভাবে কাজ করতে চাইতেন, সেটা ঠিকঠাক পারতেন না। তা ছাড়া তাদের জীবনমান অনেক অনগ্রসর। এখনো বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। নেই তাদের পর্যাপ্ত কাঁচামালের সরবরাহ।
ছিল পারিবারিক নানা সংকটও। বিয়ের ১০ বছর পর বিচ্ছেদ হয় সোনিয়ার। অনেক ভেঙে পড়েন। ভাবেন, জীবনসংগ্রামের লড়াইয়ে হেরে যাবেন কিনা। কিন্তু আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন। এই কঠিন সময়ে পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন পেয়েছেন। বললেন, ‘যে মণিপুরী দাদা, বৌদিদের সঙ্গে কাজ করতাম, তাঁরাও আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমানে তিনি নিজের যোগ্যতা আর শ্রম দিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান।
হাল না ছাড়ার মানসিকতাকেই উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় গুণ বলে মনে করেন সোনিয়া। এ দেশের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তাঁর বক্তব্য—‘কখনোই হাল ছাড়ব না—এমন একটি গুণ একজন উদ্যোক্তার থাকতে হবে। সফল উদ্যোক্তারা লক্ষ্যে অর্জনকারী। ব্যবসায় ব্যর্থতার প্রধান কারণ হলো খুব তাড়াতাড়ি হাল ছেড়ে দেওয়া। যদি আপনি অধ্যবসায়ী না হন, অনুসন্ধান, গবেষণা না করেন, তাহলে আপনি ব্যবসায় সফল নাও হতে পারেন। তবে আপনি যদি অবিচল থাকেন। তাহলে আপনার সফল হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে, অধ্যবসায় এবং দৃঢ়তা, পণ্যের গুণগত মান ধরে রাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
নিজের পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে সোনিয়া বলেন, ‘অনলাইনে ব্যবসা করব—এই কথা পরিবারের কাউকে শুরুতে বোঝাতে পারিনি। কিন্তু এখন বাবা, মা, ভাই, বোনসহ আত্মীয়রা আমাকে সহযোগিতা করেন। আমরা দুই বোন, দুই ভাই। বর্তমানে আমি বাবা-মায়ের সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরেই থাকি। বাবা ব্যবসায়ী; কিন্তু বর্তমানে অবসরে আছেন। মা গৃহিণী। বোন ব্যাংককে জাতিসংঘে চাকরি করে। এর পরের ভাই একটা এনজিও তে আর ছোট ভাই একটা সফটওয়্যার ফার্মে আছে।’
যে স্বপ্নের পথে হাঁটছেন, স্বপ্নের সেই জায়গা থেকে পিছপা হতে চান না সোনিয়া। এখন তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য একটা কারখানা তৈরি করা, যেখানে তাঁর নিজের মতো করে নতুন কিছু তৈরি করার সুযোগ থাকবে। ভবিষ্যতে কী করতে চান জানতে চাইলে বললেন, ‘আমি ভালো ব্যবসায়ী হতে চাই। আমার একটা ব্র্যান্ড হবে। এই শিল্পের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, আমার সফল ব্যবসায়ী হওয়ার চেয়ে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পটা টিকিয়ে রাখা অনেক বেশি দরকারি। নিজের পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা যদি করতে পারি, আর যদি মণিপুরী পণ্যের ঐতিহ্যের একটা দীর্ঘমেয়াদি জায়গা তৈরি করতে পারি—সেটাই হবে আমার আসল সফলতার জায়গা। এর মাধ্যমে মণিপুরী পণ্যের ঐতিহ্য দেশব্যাপী এবং দেশের বাইরেও ছড়িয়ে দিতে চাই।’

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

কাজটা যখন শুরু করি তখন উদ্যোক্তা শব্দটার সঙ্গে অপরিচিত ছিলাম।’ এভাবেই নিজের উদ্যোক্তা জীবন শুরুর গল্পটা বললেন সোনিয়া মান্নান। অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম Monipuri Handicrafts-এর যাত্রা হয়েছিল ২০১২ সালে। সোনিয়া যখন দুরুদুরু বুকে এই যাত্রা করেন, তখনো তিনি আসলে নিজের কাজের অভিমুখটা বুঝতে পারেননি। শু
০১ নভেম্বর ২০২১
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

কাজটা যখন শুরু করি তখন উদ্যোক্তা শব্দটার সঙ্গে অপরিচিত ছিলাম।’ এভাবেই নিজের উদ্যোক্তা জীবন শুরুর গল্পটা বললেন সোনিয়া মান্নান। অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম Monipuri Handicrafts-এর যাত্রা হয়েছিল ২০১২ সালে। সোনিয়া যখন দুরুদুরু বুকে এই যাত্রা করেন, তখনো তিনি আসলে নিজের কাজের অভিমুখটা বুঝতে পারেননি। শু
০১ নভেম্বর ২০২১
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

কাজটা যখন শুরু করি তখন উদ্যোক্তা শব্দটার সঙ্গে অপরিচিত ছিলাম।’ এভাবেই নিজের উদ্যোক্তা জীবন শুরুর গল্পটা বললেন সোনিয়া মান্নান। অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম Monipuri Handicrafts-এর যাত্রা হয়েছিল ২০১২ সালে। সোনিয়া যখন দুরুদুরু বুকে এই যাত্রা করেন, তখনো তিনি আসলে নিজের কাজের অভিমুখটা বুঝতে পারেননি। শু
০১ নভেম্বর ২০২১
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

কাজটা যখন শুরু করি তখন উদ্যোক্তা শব্দটার সঙ্গে অপরিচিত ছিলাম।’ এভাবেই নিজের উদ্যোক্তা জীবন শুরুর গল্পটা বললেন সোনিয়া মান্নান। অনলাইনভিত্তিক শপিং প্ল্যাটফর্ম Monipuri Handicrafts-এর যাত্রা হয়েছিল ২০১২ সালে। সোনিয়া যখন দুরুদুরু বুকে এই যাত্রা করেন, তখনো তিনি আসলে নিজের কাজের অভিমুখটা বুঝতে পারেননি। শু
০১ নভেম্বর ২০২১
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৪ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে