বিজ্ঞপ্তি
বিবিসির ২০২৪ সালের ১০০ প্রভাবশালী এবং অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর তালিকায় স্থান পাওয়া অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের অ্যালামনাই রিকতা আখতার বানুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও একাডেমিক অ্যাডভাইজার এবং খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. সিরাজুল হক চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যসচিব মো. কামরুজ্জামান লিটু ও ডিপার্টমেন্টের অ্যাডভাইজার প্রফেসর মাসুমা আক্তার। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান আরিফ-উজ-জামান খান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রিকতা আখতার বানু জীবনের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য ও জীবনী শেয়ার করেন। তিনি একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। তিনি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করেন। যেখানে অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুকে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয়। তিনি বলেন, তাঁর একটি প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে যখন কোনো স্কুলে ভর্তি নিচ্ছিল না, তখন নিজেই উদ্যোগী হয়ে তাঁর নিজের ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের ৬০ বাচ্চা নিয়ে একটি স্কুল (যেটি রিকতা আখতার বানু প্রতিবন্ধী স্কুল নামে পরিচিত) প্রতিষ্ঠা করেন।
ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে তিন শতাধিক প্রতিবন্ধী শিশু পড়াশোনা করে। এখানে পড়াশোনা ছাড়াও তাদের জীবনমুখী শিক্ষা দেওয়া হয়। এসব শিশুর মধ্যে অনেকে এসএসসি, এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল কমপ্লিট করেছেন। এমনকি রিকতার প্রতিবন্ধী মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং গত অক্টোবর মাসে একটি মেয়ে-সন্তানের মা হয়েছেন। তিনি তরুণদের বিশেষ করে যাঁরা স্বাস্থ্য খাতে রয়েছেন, তাঁদের এ ধরনের কাজে উদ্যোগী হতে উৎসাহ দেন।
রিকতা আখতার বলেন, স্কুলটিতে আবাসিক ব্যবস্থা করা হলে অনেক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। স্কুলটি প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এই স্কুল প্রাথমিকভাবে অটিস্টিক বা শেখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন স্কুলটি বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু-শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকে।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মো. সিরাজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঘরে ঘরে রিকতা আখতার বানুর মতো প্রতিভা ছড়িয়ে আছে। কিন্তু কারও কথা আমরা জানি, আবার কারও কথা জানি না। এগুলো আমাদের জানতে হবে, মানুষকে জানাতে হবে।’ তিনি রিকতা আখতার বানুর স্কুলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি আরও জানান, রিকতা আখতার বানুর প্রতিবন্ধী স্কুলের কোনো শিক্ষার্থী যদি বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে পড়ার উপযুক্ত হয়, তাহলে তিনি অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ১০০ পারসেন্ট স্কলারশিপে পড়ার ব্যবস্থা করে দেবেন।
বিশেষ অতিথি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যসচিব মো. কামরুজ্জামান লিটু বক্তব্যের সময় রিকতা আখতার বানুকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর কাজের প্রশংসা করেন। ডিপার্টমেন্টের অ্যাডভাইজার প্রফেসর মাসুমা আক্তার রিকতা আখতার বানুর ও তাঁর স্বামীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তাঁরা অটিস্টিক বাচ্চার জন্য নিজেদের জীবন ও সম্পদ উজাড় করেছেন। তাঁরা শুধু অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কুড়িগ্রামের গর্ব নন, বরং তাঁরা সারা বাংলাদেশের গর্ব।
সভাপতি প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টকে ধন্যবাদ জানান। রিকতা আখতার বানুর ধৈর্য সহকারে জীবনের কঠিন সময় অতিক্রম করার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, ভালো কাজ করার জন্য অর্থ কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। যাঁরা প্রকৃত সমাজসেবক তাঁরা কোনো পুরস্কারপ্রাপ্তির জন্য কাজ করেন না। বাংলাদেশে এ ধরনের অসংখ্য রিকতা আখতার বানুর জন্ম হোক, তিনি সেই প্রত্যাশা করেন।
বিবিসির ২০২৪ সালের ১০০ প্রভাবশালী এবং অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর তালিকায় স্থান পাওয়া অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের অ্যালামনাই রিকতা আখতার বানুকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও একাডেমিক অ্যাডভাইজার এবং খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. সিরাজুল হক চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যসচিব মো. কামরুজ্জামান লিটু ও ডিপার্টমেন্টের অ্যাডভাইজার প্রফেসর মাসুমা আক্তার। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান আরিফ-উজ-জামান খান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রিকতা আখতার বানু জীবনের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য ও জীবনী শেয়ার করেন। তিনি একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। তিনি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করেন। যেখানে অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুকে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয়। তিনি বলেন, তাঁর একটি প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে যখন কোনো স্কুলে ভর্তি নিচ্ছিল না, তখন নিজেই উদ্যোগী হয়ে তাঁর নিজের ও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের ৬০ বাচ্চা নিয়ে একটি স্কুল (যেটি রিকতা আখতার বানু প্রতিবন্ধী স্কুল নামে পরিচিত) প্রতিষ্ঠা করেন।
ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে তিন শতাধিক প্রতিবন্ধী শিশু পড়াশোনা করে। এখানে পড়াশোনা ছাড়াও তাদের জীবনমুখী শিক্ষা দেওয়া হয়। এসব শিশুর মধ্যে অনেকে এসএসসি, এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল কমপ্লিট করেছেন। এমনকি রিকতার প্রতিবন্ধী মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং গত অক্টোবর মাসে একটি মেয়ে-সন্তানের মা হয়েছেন। তিনি তরুণদের বিশেষ করে যাঁরা স্বাস্থ্য খাতে রয়েছেন, তাঁদের এ ধরনের কাজে উদ্যোগী হতে উৎসাহ দেন।
রিকতা আখতার বলেন, স্কুলটিতে আবাসিক ব্যবস্থা করা হলে অনেক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। স্কুলটি প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এই স্কুল প্রাথমিকভাবে অটিস্টিক বা শেখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন স্কুলটি বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু-শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে থাকে।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মো. সিরাজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঘরে ঘরে রিকতা আখতার বানুর মতো প্রতিভা ছড়িয়ে আছে। কিন্তু কারও কথা আমরা জানি, আবার কারও কথা জানি না। এগুলো আমাদের জানতে হবে, মানুষকে জানাতে হবে।’ তিনি রিকতা আখতার বানুর স্কুলের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি আরও জানান, রিকতা আখতার বানুর প্রতিবন্ধী স্কুলের কোনো শিক্ষার্থী যদি বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে পড়ার উপযুক্ত হয়, তাহলে তিনি অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে ১০০ পারসেন্ট স্কলারশিপে পড়ার ব্যবস্থা করে দেবেন।
বিশেষ অতিথি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যসচিব মো. কামরুজ্জামান লিটু বক্তব্যের সময় রিকতা আখতার বানুকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর কাজের প্রশংসা করেন। ডিপার্টমেন্টের অ্যাডভাইজার প্রফেসর মাসুমা আক্তার রিকতা আখতার বানুর ও তাঁর স্বামীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তাঁরা অটিস্টিক বাচ্চার জন্য নিজেদের জীবন ও সম্পদ উজাড় করেছেন। তাঁরা শুধু অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কুড়িগ্রামের গর্ব নন, বরং তাঁরা সারা বাংলাদেশের গর্ব।
সভাপতি প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টকে ধন্যবাদ জানান। রিকতা আখতার বানুর ধৈর্য সহকারে জীবনের কঠিন সময় অতিক্রম করার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। তিনি বলেন, ভালো কাজ করার জন্য অর্থ কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। যাঁরা প্রকৃত সমাজসেবক তাঁরা কোনো পুরস্কারপ্রাপ্তির জন্য কাজ করেন না। বাংলাদেশে এ ধরনের অসংখ্য রিকতা আখতার বানুর জন্ম হোক, তিনি সেই প্রত্যাশা করেন।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, যা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান—চারটি দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র স্থলবন্দর; বর্তমানে সংকটে রয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৯১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও এখন আমদানি অর্ধেক কমে গেছে, যার কারণ ভুটান থেকে পাথর আমদানি বন্ধ হওয়া।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে সোনার দাম। এরই ধারাবাহিকতায় স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম প্রতি ইউনিটে ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা আগে ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। একই সঙ্গে স্মারক রৌপ্যমুদ্রার দাম ১ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করা হয়েছে। নতুন এ মূল্য
৩ ঘণ্টা আগেসয়াবিন তেলের সংকট ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মিলমালিকদের বিরুদ্ধে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে প্রমাণ মিলেছে যে, তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ক্রেতাদের অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে মিলমালিকরা আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী ১০ দিনের
৫ ঘণ্টা আগেঅসচ্ছল গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন যত্ন এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সরকারের মাতৃত্বকালীন ভাতা এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে (জিটুপি) সরাসরি উপকারভোগীদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে। ঘরে বসেই সহজে, দ্রুত ও নিরাপদে সরকারি ভাতা গ্রহণ এবং তা ব্যবহারের সুযোগ থাকায় বেশির ভাগ মায়েরাই আস্থা রাখছেন তাঁদের
৭ ঘণ্টা আগে