বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

পুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বড় ফাঁক। আর মূল লক্ষ্যমাত্রা ধরে হিসাব করলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা।
এটি নিছক একটি সংখ্যাগত ব্যর্থতা নয়, বরং রাজস্ব ব্যবস্থায় জমে থাকা দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতা, প্রশাসনিক স্থবিরতা এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার অসামঞ্জস্যের প্রতিফলন। রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থার ইতিহাসে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় সতর্কসংকেত, যার রেশ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে গভীরভাবে অনুভূত হতে শুরু করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘাটতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, মূল্যস্ফীতির চাপে ভোক্তার ব্যয় সংকোচন, আমদানি হ্রাসের ছায়া এবং রাজস্ব প্রশাসনের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সংস্কারের জট। এসব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ের গতি যেমন রুদ্ধ হয়েছে, তেমনি কাঠামোগত দুর্বলতার দীর্ঘ ছায়াও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে; যা শুধু সাময়িক রাজস্ব ঘাটতির বিষয় নয়, বরং অর্থনীতির রাজস্ব সক্ষমতার এক গভীর সংকটের নাম।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। অথচ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি এবং মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিশাল এক ফাঁক এখানে স্পষ্ট।
এই ঘাটতির বিষয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হবে, এটা নিশ্চিত। তবে আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, সেভাবে হয়নি। আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে বাধা এসেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, ব্যাংক ও দপ্তর খোলা থাকায় শেষ দিনে রাজস্বের প্রবাহ কিছুটা বাড়বে এবং জুলাইয়ে আরও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টিতে এটি শুধু সময়কালীন হোঁচট নয়, বরং বহু বছরের গড়িমসি ও কাঠামোগত দুর্বলতার ফল। এই বাস্তবতায় রাজস্ব আয় কাঙ্ক্ষিত হারে না বাড়ায় সরকারের অর্থ ব্যবস্থাপনায় গভীর চাপ তৈরি হবে। বর্ধিত বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারকে ঘন ঘন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করতে হতে পারে, যা ভবিষ্যতে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়াবে।
বেসরকারি আর্থিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক। তবে এই ঘাটতির মধ্যে প্রবৃদ্ধির গল্প থাকলেও কর-জিডিপির অনুপাত কমে যাচ্ছে। আয় না বাড়লে জনগণের প্রয়োজন মেটানো অসম্ভব। সরকার যদি এই প্রবণতা না বদলায়, তাহলে বাধ্যতামূলক ঋণের মুখোমুখি হবে দেশ। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যেখানে দেশের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে, সেখানে কর সংগ্রহে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। না হলে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পথেই আমরা দমবন্ধ পরিস্থিতিতে পড়ব।’
এনবিআরের ব্যর্থতা সম্পর্কে সিপিডির এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ বাস্তবভিত্তিক ছিল না। মূল্যস্ফীতি ও আমদানি হ্রাসের বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। করছাড়, সংস্কার বিলম্ব ও কর ফাঁকি রোধে দুর্বলতা এই ঘাটতির মূল উৎস। আর পরামর্শক কমিটির প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে সংস্কারপ্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। করনীতি ও প্রশাসনের অস্থিরতা পুরো ব্যবস্থাকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, এই বড় ব্যবধানের ঘাটতি পরিস্থিতি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো কর-জিডিপির অনুপাত। এটি শুধু নিম্ন নয়, বরং বৈশ্বিক তুলনায় প্রায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এই অনুপাত না বাড়ালে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নতির জন্য রাজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।’

পুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বড় ফাঁক। আর মূল লক্ষ্যমাত্রা ধরে হিসাব করলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা।
এটি নিছক একটি সংখ্যাগত ব্যর্থতা নয়, বরং রাজস্ব ব্যবস্থায় জমে থাকা দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতা, প্রশাসনিক স্থবিরতা এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার অসামঞ্জস্যের প্রতিফলন। রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থার ইতিহাসে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় সতর্কসংকেত, যার রেশ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে গভীরভাবে অনুভূত হতে শুরু করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘাটতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, মূল্যস্ফীতির চাপে ভোক্তার ব্যয় সংকোচন, আমদানি হ্রাসের ছায়া এবং রাজস্ব প্রশাসনের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সংস্কারের জট। এসব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ের গতি যেমন রুদ্ধ হয়েছে, তেমনি কাঠামোগত দুর্বলতার দীর্ঘ ছায়াও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে; যা শুধু সাময়িক রাজস্ব ঘাটতির বিষয় নয়, বরং অর্থনীতির রাজস্ব সক্ষমতার এক গভীর সংকটের নাম।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। অথচ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি এবং মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিশাল এক ফাঁক এখানে স্পষ্ট।
এই ঘাটতির বিষয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হবে, এটা নিশ্চিত। তবে আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, সেভাবে হয়নি। আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে বাধা এসেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, ব্যাংক ও দপ্তর খোলা থাকায় শেষ দিনে রাজস্বের প্রবাহ কিছুটা বাড়বে এবং জুলাইয়ে আরও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টিতে এটি শুধু সময়কালীন হোঁচট নয়, বরং বহু বছরের গড়িমসি ও কাঠামোগত দুর্বলতার ফল। এই বাস্তবতায় রাজস্ব আয় কাঙ্ক্ষিত হারে না বাড়ায় সরকারের অর্থ ব্যবস্থাপনায় গভীর চাপ তৈরি হবে। বর্ধিত বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারকে ঘন ঘন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করতে হতে পারে, যা ভবিষ্যতে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়াবে।
বেসরকারি আর্থিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক। তবে এই ঘাটতির মধ্যে প্রবৃদ্ধির গল্প থাকলেও কর-জিডিপির অনুপাত কমে যাচ্ছে। আয় না বাড়লে জনগণের প্রয়োজন মেটানো অসম্ভব। সরকার যদি এই প্রবণতা না বদলায়, তাহলে বাধ্যতামূলক ঋণের মুখোমুখি হবে দেশ। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যেখানে দেশের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে, সেখানে কর সংগ্রহে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। না হলে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পথেই আমরা দমবন্ধ পরিস্থিতিতে পড়ব।’
এনবিআরের ব্যর্থতা সম্পর্কে সিপিডির এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ বাস্তবভিত্তিক ছিল না। মূল্যস্ফীতি ও আমদানি হ্রাসের বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। করছাড়, সংস্কার বিলম্ব ও কর ফাঁকি রোধে দুর্বলতা এই ঘাটতির মূল উৎস। আর পরামর্শক কমিটির প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে সংস্কারপ্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। করনীতি ও প্রশাসনের অস্থিরতা পুরো ব্যবস্থাকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, এই বড় ব্যবধানের ঘাটতি পরিস্থিতি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো কর-জিডিপির অনুপাত। এটি শুধু নিম্ন নয়, বরং বৈশ্বিক তুলনায় প্রায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এই অনুপাত না বাড়ালে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নতির জন্য রাজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।’
বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

পুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বড় ফাঁক। আর মূল লক্ষ্যমাত্রা ধরে হিসাব করলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা।
এটি নিছক একটি সংখ্যাগত ব্যর্থতা নয়, বরং রাজস্ব ব্যবস্থায় জমে থাকা দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতা, প্রশাসনিক স্থবিরতা এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার অসামঞ্জস্যের প্রতিফলন। রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থার ইতিহাসে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় সতর্কসংকেত, যার রেশ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে গভীরভাবে অনুভূত হতে শুরু করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘাটতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, মূল্যস্ফীতির চাপে ভোক্তার ব্যয় সংকোচন, আমদানি হ্রাসের ছায়া এবং রাজস্ব প্রশাসনের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সংস্কারের জট। এসব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ের গতি যেমন রুদ্ধ হয়েছে, তেমনি কাঠামোগত দুর্বলতার দীর্ঘ ছায়াও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে; যা শুধু সাময়িক রাজস্ব ঘাটতির বিষয় নয়, বরং অর্থনীতির রাজস্ব সক্ষমতার এক গভীর সংকটের নাম।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। অথচ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি এবং মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিশাল এক ফাঁক এখানে স্পষ্ট।
এই ঘাটতির বিষয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হবে, এটা নিশ্চিত। তবে আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, সেভাবে হয়নি। আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে বাধা এসেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, ব্যাংক ও দপ্তর খোলা থাকায় শেষ দিনে রাজস্বের প্রবাহ কিছুটা বাড়বে এবং জুলাইয়ে আরও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টিতে এটি শুধু সময়কালীন হোঁচট নয়, বরং বহু বছরের গড়িমসি ও কাঠামোগত দুর্বলতার ফল। এই বাস্তবতায় রাজস্ব আয় কাঙ্ক্ষিত হারে না বাড়ায় সরকারের অর্থ ব্যবস্থাপনায় গভীর চাপ তৈরি হবে। বর্ধিত বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারকে ঘন ঘন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করতে হতে পারে, যা ভবিষ্যতে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়াবে।
বেসরকারি আর্থিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক। তবে এই ঘাটতির মধ্যে প্রবৃদ্ধির গল্প থাকলেও কর-জিডিপির অনুপাত কমে যাচ্ছে। আয় না বাড়লে জনগণের প্রয়োজন মেটানো অসম্ভব। সরকার যদি এই প্রবণতা না বদলায়, তাহলে বাধ্যতামূলক ঋণের মুখোমুখি হবে দেশ। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যেখানে দেশের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে, সেখানে কর সংগ্রহে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। না হলে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পথেই আমরা দমবন্ধ পরিস্থিতিতে পড়ব।’
এনবিআরের ব্যর্থতা সম্পর্কে সিপিডির এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ বাস্তবভিত্তিক ছিল না। মূল্যস্ফীতি ও আমদানি হ্রাসের বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। করছাড়, সংস্কার বিলম্ব ও কর ফাঁকি রোধে দুর্বলতা এই ঘাটতির মূল উৎস। আর পরামর্শক কমিটির প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে সংস্কারপ্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। করনীতি ও প্রশাসনের অস্থিরতা পুরো ব্যবস্থাকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, এই বড় ব্যবধানের ঘাটতি পরিস্থিতি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো কর-জিডিপির অনুপাত। এটি শুধু নিম্ন নয়, বরং বৈশ্বিক তুলনায় প্রায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এই অনুপাত না বাড়ালে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নতির জন্য রাজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।’

পুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বড় ফাঁক। আর মূল লক্ষ্যমাত্রা ধরে হিসাব করলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা।
এটি নিছক একটি সংখ্যাগত ব্যর্থতা নয়, বরং রাজস্ব ব্যবস্থায় জমে থাকা দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতা, প্রশাসনিক স্থবিরতা এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার অসামঞ্জস্যের প্রতিফলন। রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থার ইতিহাসে এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় সতর্কসংকেত, যার রেশ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে গভীরভাবে অনুভূত হতে শুরু করেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই ঘাটতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, মূল্যস্ফীতির চাপে ভোক্তার ব্যয় সংকোচন, আমদানি হ্রাসের ছায়া এবং রাজস্ব প্রশাসনের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সংস্কারের জট। এসব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ের গতি যেমন রুদ্ধ হয়েছে, তেমনি কাঠামোগত দুর্বলতার দীর্ঘ ছায়াও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে; যা শুধু সাময়িক রাজস্ব ঘাটতির বিষয় নয়, বরং অর্থনীতির রাজস্ব সক্ষমতার এক গভীর সংকটের নাম।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। অথচ সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার কোটি এবং মূল লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিশাল এক ফাঁক এখানে স্পষ্ট।
এই ঘাটতির বিষয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হবে, এটা নিশ্চিত। তবে আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, সেভাবে হয়নি। আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে বাধা এসেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, ব্যাংক ও দপ্তর খোলা থাকায় শেষ দিনে রাজস্বের প্রবাহ কিছুটা বাড়বে এবং জুলাইয়ে আরও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টিতে এটি শুধু সময়কালীন হোঁচট নয়, বরং বহু বছরের গড়িমসি ও কাঠামোগত দুর্বলতার ফল। এই বাস্তবতায় রাজস্ব আয় কাঙ্ক্ষিত হারে না বাড়ায় সরকারের অর্থ ব্যবস্থাপনায় গভীর চাপ তৈরি হবে। বর্ধিত বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারকে ঘন ঘন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করতে হতে পারে, যা ভবিষ্যতে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়াবে।
বেসরকারি আর্থিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক। তবে এই ঘাটতির মধ্যে প্রবৃদ্ধির গল্প থাকলেও কর-জিডিপির অনুপাত কমে যাচ্ছে। আয় না বাড়লে জনগণের প্রয়োজন মেটানো অসম্ভব। সরকার যদি এই প্রবণতা না বদলায়, তাহলে বাধ্যতামূলক ঋণের মুখোমুখি হবে দেশ। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যেখানে দেশের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে, সেখানে কর সংগ্রহে কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। না হলে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পথেই আমরা দমবন্ধ পরিস্থিতিতে পড়ব।’
এনবিআরের ব্যর্থতা সম্পর্কে সিপিডির এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ বাস্তবভিত্তিক ছিল না। মূল্যস্ফীতি ও আমদানি হ্রাসের বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। করছাড়, সংস্কার বিলম্ব ও কর ফাঁকি রোধে দুর্বলতা এই ঘাটতির মূল উৎস। আর পরামর্শক কমিটির প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে সংস্কারপ্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। করনীতি ও প্রশাসনের অস্থিরতা পুরো ব্যবস্থাকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়েছে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, এই বড় ব্যবধানের ঘাটতি পরিস্থিতি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো কর-জিডিপির অনুপাত। এটি শুধু নিম্ন নয়, বরং বৈশ্বিক তুলনায় প্রায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে। এই অনুপাত না বাড়ালে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নতির জন্য রাজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১১ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেখালেদা জিয়ার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

পুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা,
০১ জুলাই ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

পুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা,
০১ জুলাই ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১১ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

পুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা,
০১ জুলাই ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১১ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

পুরো অর্থবছরে অর্থনীতির টানাপোড়েন যেন স্পষ্ট হয়ে উঠল ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে। বিপুল রাজস্ব ঘাটতির ভার নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পৌঁছেছে এক অস্বস্তিকর বাস্তবতার মুখে, যা নতুন অর্থবছরের শুরুতে রাখল এক গভীর সংকটের ছায়া। বিদায়ী অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতির অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা,
০১ জুলাই ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১১ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে