মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন তদারকির দায়িত্ব পালন করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), যার মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং অর্থছাড়ের পরিমাণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, তদারকের দায়িত্ব পালনকারী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি না হওয়ায় কিছু প্রকল্প বাতিলও করতে হয়েছে। হতাশাজনক এই চিত্র উঠে এসেছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যালোচনায়।
সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে একটি সভায় পরিকল্পনা বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশনের ১২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, এসব প্রকল্পের একটিরও শতভাগ শেষ হয়নি এবং কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোর কাজ নির্ধারিত সময় শেষে ১ শতাংশও সম্পন্ন হয়নি। তাই মন্ত্রণালয় বাধ্য হয়ে এসব প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। সভায় কিছু প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং বাকিগুলোর কাজ সময়মতো সম্পন্ন করার জন্য নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ১২টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ রয়েছে ৩২২ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে চলতি বছরের এডিপিতে ৬৪ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হলেও ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৭ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোতে অনেক বেশি অগ্রগতি দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগের অগ্রগতি ৩০, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অগ্রগতি ৫৬ এবং মহিলা ও শিশু বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পগুলোতে অগ্রগতি ৩০ শতাংশের বেশি।
ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব গভর্নমেন্ট অফিশিয়ালস ইন পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট নামের একটি প্রকল্প ৩০ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে এবং ২০২৭ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। তবে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির ব্যয় ছিল মাত্র ৯৭ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। চলতি এডিপিতে প্রকল্পটির জন্য ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, কিন্তু ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত কোনো অর্থই ব্যয় করা হয়নি। পরিকল্পনা বিভাগের একজন উপসচিব জানান, প্রকল্পটির কাজ অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এখন প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।
এ ছাড়া ‘উন্নয়ন প্রকল্পের ডিজিটাল প্রক্রিয়াকরণে সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল, যার মোট বরাদ্দ ছিল ৫৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি থেকে এ প্রকল্পের জন্য ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত এই বরাদ্দের মধ্যে ১ কোটি ৯১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক জানান, বর্তমানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে এবং এরই মধ্যে ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১৪ হাজার ৬৭ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর স্থাপনাগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মপরিবেশ উন্নতকরণ প্রকল্প’টি ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল। এর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, কিন্তু গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা ২৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি টাকা, কিন্তু বরাদ্দের কোনো টাকাই খরচ হয়নি।
২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ‘সাপোর্ট টু ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান ২১০০’ প্রকল্পটি ৬৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় তিনবার সংশোধিত হয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৭৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। প্রকল্পটি আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। এডিপিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। কিন্তু খরচ হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা; যা শতাংশ হিসাবে ২২ দশমিক ২৭।
এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মাস্টার্স কার্যক্রম প্রকল্প’ ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল, যার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬৫ লাখ টাকা। এই বরাদ্দের মধ্যে ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে; যা বরাদ্দের ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
‘উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা পরিকাঠামোর সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় এবং বর্তমানে এর কাজ মাত্র ২৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে মধ্যমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন’ প্রকল্পটির সংশোধিত ব্যয় ১৩ কোটি টাকা এবং এটি চলতি বছরের জুনে শেষ হবে। তবে এডিপি বরাদ্দের ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে গত ছয় মাসে এক টাকাও খরচ হয়নি। ফলে প্রকল্পটির কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি এবং নির্ধারিত সময়সীমায় কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমালোচনা চলছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেছেন, সব প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য উপযুক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘ, সেগুলোর কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন তদারকির দায়িত্ব পালন করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), যার মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং অর্থছাড়ের পরিমাণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, তদারকের দায়িত্ব পালনকারী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি না হওয়ায় কিছু প্রকল্প বাতিলও করতে হয়েছে। হতাশাজনক এই চিত্র উঠে এসেছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যালোচনায়।
সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে একটি সভায় পরিকল্পনা বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশনের ১২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, এসব প্রকল্পের একটিরও শতভাগ শেষ হয়নি এবং কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোর কাজ নির্ধারিত সময় শেষে ১ শতাংশও সম্পন্ন হয়নি। তাই মন্ত্রণালয় বাধ্য হয়ে এসব প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। সভায় কিছু প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং বাকিগুলোর কাজ সময়মতো সম্পন্ন করার জন্য নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ১২টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ রয়েছে ৩২২ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে চলতি বছরের এডিপিতে ৬৪ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হলেও ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৭ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোতে অনেক বেশি অগ্রগতি দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগের অগ্রগতি ৩০, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অগ্রগতি ৫৬ এবং মহিলা ও শিশু বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পগুলোতে অগ্রগতি ৩০ শতাংশের বেশি।
ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব গভর্নমেন্ট অফিশিয়ালস ইন পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট নামের একটি প্রকল্প ৩০ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে এবং ২০২৭ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। তবে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির ব্যয় ছিল মাত্র ৯৭ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। চলতি এডিপিতে প্রকল্পটির জন্য ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, কিন্তু ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত কোনো অর্থই ব্যয় করা হয়নি। পরিকল্পনা বিভাগের একজন উপসচিব জানান, প্রকল্পটির কাজ অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এখন প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।
এ ছাড়া ‘উন্নয়ন প্রকল্পের ডিজিটাল প্রক্রিয়াকরণে সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল, যার মোট বরাদ্দ ছিল ৫৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি থেকে এ প্রকল্পের জন্য ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত এই বরাদ্দের মধ্যে ১ কোটি ৯১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক জানান, বর্তমানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে এবং এরই মধ্যে ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১৪ হাজার ৬৭ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর স্থাপনাগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মপরিবেশ উন্নতকরণ প্রকল্প’টি ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল। এর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, কিন্তু গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা ২৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি টাকা, কিন্তু বরাদ্দের কোনো টাকাই খরচ হয়নি।
২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ‘সাপোর্ট টু ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান ২১০০’ প্রকল্পটি ৬৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় তিনবার সংশোধিত হয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৭৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। প্রকল্পটি আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। এডিপিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। কিন্তু খরচ হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা; যা শতাংশ হিসাবে ২২ দশমিক ২৭।
এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মাস্টার্স কার্যক্রম প্রকল্প’ ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল, যার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬৫ লাখ টাকা। এই বরাদ্দের মধ্যে ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে; যা বরাদ্দের ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
‘উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা পরিকাঠামোর সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় এবং বর্তমানে এর কাজ মাত্র ২৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে মধ্যমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন’ প্রকল্পটির সংশোধিত ব্যয় ১৩ কোটি টাকা এবং এটি চলতি বছরের জুনে শেষ হবে। তবে এডিপি বরাদ্দের ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে গত ছয় মাসে এক টাকাও খরচ হয়নি। ফলে প্রকল্পটির কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি এবং নির্ধারিত সময়সীমায় কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমালোচনা চলছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেছেন, সব প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য উপযুক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘ, সেগুলোর কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে সম্পন্ন করতে হবে।
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন তদারকির দায়িত্ব পালন করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), যার মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং অর্থছাড়ের পরিমাণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, তদারকের দায়িত্ব পালনকারী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি না হওয়ায় কিছু প্রকল্প বাতিলও করতে হয়েছে। হতাশাজনক এই চিত্র উঠে এসেছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যালোচনায়।
সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে একটি সভায় পরিকল্পনা বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশনের ১২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, এসব প্রকল্পের একটিরও শতভাগ শেষ হয়নি এবং কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোর কাজ নির্ধারিত সময় শেষে ১ শতাংশও সম্পন্ন হয়নি। তাই মন্ত্রণালয় বাধ্য হয়ে এসব প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। সভায় কিছু প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং বাকিগুলোর কাজ সময়মতো সম্পন্ন করার জন্য নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ১২টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ রয়েছে ৩২২ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে চলতি বছরের এডিপিতে ৬৪ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হলেও ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৭ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোতে অনেক বেশি অগ্রগতি দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগের অগ্রগতি ৩০, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অগ্রগতি ৫৬ এবং মহিলা ও শিশু বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পগুলোতে অগ্রগতি ৩০ শতাংশের বেশি।
ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব গভর্নমেন্ট অফিশিয়ালস ইন পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট নামের একটি প্রকল্প ৩০ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে এবং ২০২৭ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। তবে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির ব্যয় ছিল মাত্র ৯৭ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। চলতি এডিপিতে প্রকল্পটির জন্য ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, কিন্তু ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত কোনো অর্থই ব্যয় করা হয়নি। পরিকল্পনা বিভাগের একজন উপসচিব জানান, প্রকল্পটির কাজ অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এখন প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।
এ ছাড়া ‘উন্নয়ন প্রকল্পের ডিজিটাল প্রক্রিয়াকরণে সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল, যার মোট বরাদ্দ ছিল ৫৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি থেকে এ প্রকল্পের জন্য ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত এই বরাদ্দের মধ্যে ১ কোটি ৯১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক জানান, বর্তমানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে এবং এরই মধ্যে ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১৪ হাজার ৬৭ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর স্থাপনাগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মপরিবেশ উন্নতকরণ প্রকল্প’টি ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল। এর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, কিন্তু গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা ২৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি টাকা, কিন্তু বরাদ্দের কোনো টাকাই খরচ হয়নি।
২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ‘সাপোর্ট টু ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান ২১০০’ প্রকল্পটি ৬৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় তিনবার সংশোধিত হয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৭৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। প্রকল্পটি আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। এডিপিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। কিন্তু খরচ হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা; যা শতাংশ হিসাবে ২২ দশমিক ২৭।
এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মাস্টার্স কার্যক্রম প্রকল্প’ ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল, যার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬৫ লাখ টাকা। এই বরাদ্দের মধ্যে ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে; যা বরাদ্দের ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
‘উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা পরিকাঠামোর সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় এবং বর্তমানে এর কাজ মাত্র ২৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে মধ্যমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন’ প্রকল্পটির সংশোধিত ব্যয় ১৩ কোটি টাকা এবং এটি চলতি বছরের জুনে শেষ হবে। তবে এডিপি বরাদ্দের ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে গত ছয় মাসে এক টাকাও খরচ হয়নি। ফলে প্রকল্পটির কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি এবং নির্ধারিত সময়সীমায় কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমালোচনা চলছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেছেন, সব প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য উপযুক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘ, সেগুলোর কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন তদারকির দায়িত্ব পালন করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), যার মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং অর্থছাড়ের পরিমাণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, তদারকের দায়িত্ব পালনকারী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি না হওয়ায় কিছু প্রকল্প বাতিলও করতে হয়েছে। হতাশাজনক এই চিত্র উঠে এসেছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যালোচনায়।
সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে একটি সভায় পরিকল্পনা বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশনের ১২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, এসব প্রকল্পের একটিরও শতভাগ শেষ হয়নি এবং কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোর কাজ নির্ধারিত সময় শেষে ১ শতাংশও সম্পন্ন হয়নি। তাই মন্ত্রণালয় বাধ্য হয়ে এসব প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। সভায় কিছু প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ে শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং বাকিগুলোর কাজ সময়মতো সম্পন্ন করার জন্য নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ১২টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ রয়েছে ৩২২ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে চলতি বছরের এডিপিতে ৬৪ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হলেও ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৭ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোতে অনেক বেশি অগ্রগতি দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ, বিদ্যুৎ বিভাগের অগ্রগতি ৩০, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অগ্রগতি ৫৬ এবং মহিলা ও শিশু বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পগুলোতে অগ্রগতি ৩০ শতাংশের বেশি।
ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব গভর্নমেন্ট অফিশিয়ালস ইন পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট নামের একটি প্রকল্প ৩০ কোটি ৯৭ লাখ টাকায় শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে এবং ২০২৭ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। তবে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির ব্যয় ছিল মাত্র ৯৭ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। চলতি এডিপিতে প্রকল্পটির জন্য ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, কিন্তু ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত কোনো অর্থই ব্যয় করা হয়নি। পরিকল্পনা বিভাগের একজন উপসচিব জানান, প্রকল্পটির কাজ অসমাপ্ত রেখেই সমাপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এখন প্রকল্পের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে।
এ ছাড়া ‘উন্নয়ন প্রকল্পের ডিজিটাল প্রক্রিয়াকরণে সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল, যার মোট বরাদ্দ ছিল ৫৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি থেকে এ প্রকল্পের জন্য ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত এই বরাদ্দের মধ্যে ১ কোটি ৯১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক জানান, বর্তমানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে এবং এরই মধ্যে ৫৮টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ১৪ হাজার ৬৭ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর স্থাপনাগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মপরিবেশ উন্নতকরণ প্রকল্প’টি ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল। এর জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, কিন্তু গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা ২৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি টাকা, কিন্তু বরাদ্দের কোনো টাকাই খরচ হয়নি।
২০১৮ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ‘সাপোর্ট টু ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান ২১০০’ প্রকল্পটি ৬৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় তিনবার সংশোধিত হয়েছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৭৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। প্রকল্পটি আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবে। এডিপিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। কিন্তু খরচ হয়েছে মাত্র ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা; যা শতাংশ হিসাবে ২২ দশমিক ২৭।
এ ছাড়া ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মাস্টার্স কার্যক্রম প্রকল্প’ ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল, যার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৬৫ লাখ টাকা। এই বরাদ্দের মধ্যে ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে; যা বরাদ্দের ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
‘উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা পরিকাঠামোর সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় এবং বর্তমানে এর কাজ মাত্র ২৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে মধ্যমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন’ প্রকল্পটির সংশোধিত ব্যয় ১৩ কোটি টাকা এবং এটি চলতি বছরের জুনে শেষ হবে। তবে এডিপি বরাদ্দের ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার মধ্যে গত ছয় মাসে এক টাকাও খরচ হয়নি। ফলে প্রকল্পটির কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি এবং নির্ধারিত সময়সীমায় কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমালোচনা চলছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেছেন, সব প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য উপযুক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘ, সেগুলোর কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী যথাসময়ে সম্পন্ন করতে হবে।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন তদারকির দায়িত্ব পালন করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), যার মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং অর্থছাড়ের পরিমাণ সম
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন তদারকির দায়িত্ব পালন করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), যার মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং অর্থছাড়ের পরিমাণ সম
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন তদারকির দায়িত্ব পালন করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), যার মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং অর্থছাড়ের পরিমাণ সম
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন তদারকির দায়িত্ব পালন করে পরিকল্পনা কমিশন। প্রতিটি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), যার মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন এবং অর্থছাড়ের পরিমাণ সম
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৭ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে