Ajker Patrika

চীন ছেড়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বাড়াচ্ছে ওয়ালমার্ট

আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৫: ৫১
চীন ছেড়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বাড়াচ্ছে ওয়ালমার্ট

চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানি বাড়িয়েছে ওয়ালমার্ট। ব্যয় সংকোচন এবং সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্র্য আনতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ডেটা ফার্ম ইয়েতির তথ্যানুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের এক-চতুর্থাংশই ভারত থেকে পাঠিয়েছে ওয়ালমার্ট। ২০১৮ সালে এই পণ্য আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ২ শতাংশ। সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের ৮০ শতাংশই এসেছিল চীন থেকে। আর চলতি বছর এই পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশ। উল্লেখ্য, ওয়ালমার্ট এখনো সবচেয়ে বেশি পণ্য চীন থেকেই আমদানি করে।

চীন থেকে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়া এবং ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের মধ্যকার কূটনৈতিক টানাপোড়েনকেই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ওয়ালমার্টের এই উদ্যোগের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কোম্পানি তাই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের দিকেও তাকাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার এবং খাদ্যপণ্যের দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের সঞ্চয় কমে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। সেখানে চীন থেকে উচ্চমূল্যের আমদানি ব্যয় দিয়ে পণ্য আনলে সেটা ক্রেতাদের পক্ষে কেনা সম্ভব যে না-ও হতে পারে—সেদিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে বলে জানায় ওয়ালমার্ট।

প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া অলব্রাইট এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা সর্বোত্তম দামটাই নিশ্চিত করতে চাই। সে জন্য সাপ্লাই চেইনে বৈচিত্র্য আনা দরকার। পণ্যের জন্য কোনো একটি নির্দিষ্ট সরবরাহকারীর ওপর নির্ভর করতে পারি না আমরা। কারণ, হারিকেন-ভূমিকম্পের মতো ঘটনা থেকে শুরু করে কাঁচামালের ঘাটতি পর্যন্ত অনেক কিছুই আমাদের সামলাতে হয়।’

এক উৎস থেকেই বেশি পণ্য আমদানির চিত্র ধরা পড়েছে। নির্দিষ্ট উৎসের প্রতি এই নির্ভরতা মোটেও প্রয়োজনীয় নয় বলে ওয়ালমার্ট তা কমাতে চাইছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা। উৎপাদন উৎস বাড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে। আন্দ্রেয়া অলব্রাইট বলেন, ভারত সেই উৎস হিসেবে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে এসেছে।

২০১৮ সাল থেকেই ভারতে ব্যবসা বৃদ্ধি করছে ওয়ালমার্ট। সে বছর ভারতীয় ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল প্রতিষ্ঠানটি। দুই বছর পর ওয়ালমার্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় যে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারত থেকে প্রতিবছর ১ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করবে তারা।

সেই লক্ষ্যেই ওয়ালমার্ট কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান অলব্রাইট। খুচরা পণ্যের ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ভারত থেকে প্রতিবছর প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করছে।

খেলনা থেকে শুরু করে বাইসাইকেল কিংবা ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যও ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করে ওয়ালমার্ট। ইদানীং ভারত থেকে যাওয়া প্যাকেটজাত খাবার, শুকনো শস্য এবং পাস্তাও জনপ্রিয় হচ্ছে বলে জানান অলব্রাইট।

ভারতের স্টক মার্কেট চলতি বছর রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। কম খরচে বৃহৎ উৎপাদনের দিক দিয়ে ভারত চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করছে ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল কর্মশক্তি এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। অন্যদিকে, শেষ ছয় দশকের মধ্যে গত বছরই প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা হ্রাসের কথা জানিয়েছে চীন। আর এসবই ওয়ালমার্টের নজরে ছিল বলে জানান অলব্রাইট।

২০০২ সালে বেঙ্গালুরুতে কার্যক্রম শুরু করে ওয়ালমার্ট। বর্তমানে ওয়ালমার্ট গ্লোবাল টেক ইন্ডিয়া ইউনিট, ফ্লিপকার্ট গ্রুপ, ফোনপে এবং সোর্সিং অপারেশনগুলোর অধীনে সমগ্র ভারতের বিভিন্ন অফিসে ছড়িয়ে থাকা তাদের কর্মীর সংখ্যা ১ লাখেরও বেশি।

ওয়ালমার্টের প্রধান নির্বাহী ডগ ম্যাকমিলন এ বছরের মে মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। বৈঠকটিকে ‘ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করেছিলেন মোদি। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে নরেন্দ্র মোদি তখন বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে ভারতের আবির্ভাব দেখে আমি আনন্দিত।’

ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সুযোগ তৈরিতে ওয়ালমার্টের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতির কথা তখন বলেছিলেন ম্যাকমিলন। অন্যদিকে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত থেকে ২০০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার ঘোষণা এ মাসেই দিয়েছে ওয়ালমার্টের প্রতিদ্বন্দ্বী আমাজন।

ফ্রিউইল স্পোর্টস নামে ফুটবল সরবরাহকারী ভারতীয় ছোট একটি কোম্পানিও ওয়ালমার্টের দ্বারা লাভবান হয়েছে বলে জানিয়েছেন এর প্রধান নির্বাহী রাজেশ খারাবান্দা। তিনি বলেন, ভারতীয় উৎপাদন শিল্পে এবং কারখানার অবকাঠামোর প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে নতুন আস্থার জায়গা তিরি হয়েছে।

মার্কিন আমদানি তথ্য অনুসারে, গত বছর ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বন্দর গুজরাটের মুন্দ্রা থেকে ফ্রিউইলের কমপক্ষে আটটি চালান ওয়ালমার্টের গুদামে উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।

সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন থেকে পণ্য পরিবহনের খরচ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় সুবিধা পাচ্ছে ভারত। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের সাপ্লাই চেইন বিশ্লেষণ গ্রুপ ‘পাঞ্জিভা’র গবেষণা বিশ্লেষক ক্রিস রজার্স বলেন, অন্যান্য উৎপাদন কেন্দ্রের তুলনায় শ্রমের ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে চীনের বাজার কম প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।

চীনের ন্যূনতম মজুরি কেবল প্রদেশ থেকে প্রদেশ নয়, এক শহর থেকে আরেক শহরেও পরিবর্তিত হয়। এই মজুরি ১ হাজার ৪২০ থেকে ২ হাজার ৬৯০ ইউয়ান পর্যন্ত ওঠানামা করে। যা ১৯৮.৫২ ডলার থেকে ৩৭৬.০৮ ডলার সমমূল্যের।

অন্যদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব অনুসারে, ভারতে অদক্ষ এবং আধা দক্ষ কর্মীদের গড় মজুরি প্রতি মাসে প্রায় ৯ হাজার থেকে ১৫ হাজার ভারতীয় রুপি হয়ে থাকে। গড় মজুরির এই সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মান ১০৮.০৪ থেকে ১৮০.০৬ ডলারের সমান।

কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রকাশ পেয়েছে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের কিছু দুর্বলতা। যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা যে অল্পসংখ্যক বাজারের ওপর অত্যধিক নির্ভর করে থাকে, সেটাও দেখা যায় তখন।

ওয়ালমার্টের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া অলব্রাইট বলেন, ‘ভূরাজনৈতিক কোনো উপলক্ষ ঘিরে পরিকল্পনা করা অনেকটা হারিকেনের জন্য পরিকল্পনার মতো। আমার পণ্য কোথা থেকে আসছে—সেটাই কেবল আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কিন্তু আমার সাপ্লাই চেইনে কিছু ঘটে গেলে তখনো ঠিকঠাকভাবে বড়দিন উদ্‌যাপিত হবে কি না—তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারব না।’

গৃহস্থালি পণ্য ও তৈরি পোশাকের সরবরাহকারী হিসেবে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশও ওয়ালমার্টের কৌশল থেকে উপকৃত হয়েছে বলে জানান অলব্রাইট।

চলতি অর্থবছরে ভারতের অর্থনীতি ৬.৫ শতাংশ প্রসারিত হবে বলে অনুমান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চীনের অর্থনীতি এ বছর প্রায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেখর গুপ্তের পারিবারিক ব্যবসা ‘দেবগিরি’ প্রায় এক দশক ধরে ওয়ালমার্টের কাছে মেঝের পাটি বিক্রি করছে। শেখর বলেন, ওয়ালমার্ট তাদের প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে ভারতকে কীভাবে চায়্স— সম্পর্কে সত্যিকারের একটি কৌশল প্রণয়নের পর গত ১২ থেকে ১৮ মাসে অবশ্যই একটি বড় প্রভাব পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিল নগদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে নগদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সারা দেশের সাত হাজার ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সের মধ্য থেকে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ৭০ জনকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন সেবা নগদ।

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘নগদ ফিল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫’ নামের এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠান চলাকালে ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ৭০ জনের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যায় এই অর্থ।

দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়া, খাওয়া, হোটেলে অবস্থানসহ অন্য সব খরচ নগদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।

সেরা পারফর্মারদের অভিনন্দন জানিয়ে নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জের মাঝেও বাজারে নগদ একটা ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের আরও প্রসার ঘটাতে নগদ ভূমিকা রাখবে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রত্যাশা রয়েছে। সুতরাং, যত অপপ্রচারই নগদকে নিয়ে হোক না কেন, সেসবে কান না দিয়ে নগদের সাফল্যের জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

নগদের সেবার প্রসার ঘটাতে এ সময় মোতাছিম বিল্লাহ ডিস্ট্রিবিউটর ফিল্ড ফোর্সদের কাছ থেকে নগদ বিষয়ে পরামর্শ ও সুপারিশ জানতে চান। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নগদ প্রশাসক বলেন, অল্প সময়ের ভেতরই সেবার কলেবর আরও বাড়বে নগদে। ফলে লেনদেনের অঙ্ক যেমন অনেক গুণ বাড়বে, একই সঙ্গে গ্রাহকেরাও অনেক বেশি উপকৃত হবেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, ডাক বিভাগনিযুক্ত নগদের জ্যেষ্ঠ সহযোগী প্রশাসক মো. আবু তালেব, নগদের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মোহাম্মদ শাহীন সারওয়ার ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, আগামী বছরে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স, বাংলা কিউআর, সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের জন্য আন্তসংযোগ গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করবে নগদ। ফলে ২০২৬ সাল নগদের সেরা সাফল্যের বছর হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করল ডিএসই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে ডিএসই। ছবি: সংগৃহীত
ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করেছে ডিএসই। ছবি: সংগৃহীত

তথ্যসেবা আরও সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান এই ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. আসিফুর রহমান, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, ইনফরমেশন হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট তথ্য প্রদান আরও সহজ হবে এবং বিনিয়োগকারী ও অন্য অংশীজনদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার দ্রুত ও কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ফলে ডিএসইর সেবার মান আরও গ্রাহকবান্ধব ও স্বচ্ছ হবে।

ডিএসইর এমডি আশা প্রকাশ করেন, এই হেল্প ডেস্ক ডিএসইর বাজার অংশগ্রহণকারীদের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

পুঁজিবাজারসংক্রান্ত সব ধরনের তথ্যের জন্য +৮৮-০২-৪১০৪০১৮৯, ০৯৬৬৬৭০২০৭০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

দেশের অন্যতম ভ্রমণ ও পর্যটনবিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি অ্যাওয়ার্ড (BTTHA) ২০২৫’-এর লিড স্পনসর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশের ভ্রমণশিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি গ্রুপ।

একই সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা এই আয়োজনের হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

দেশের ভ্রমণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে একমাত্র স্বীকৃত এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

গতকাল বুধবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশ মনিটরের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম। গ্যালাক্সি গ্রুপের পক্ষে লিড স্পনসর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ। অন্যদিকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার পক্ষে হসপিটালিটি পার্টনার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হোটেলটির জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, গ্যালাক্সি ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার সম্পৃক্ততায় অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের মর্যাদা ও পরিসর আরও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে দেশের ভ্রমণ ও আতিথেয়তা শিল্পে উৎকর্ষতা অর্জন এবং উত্তম চর্চা উৎসাহিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, পর্যটন ও আতিথেয়তা খাতে উদ্ভাবন, সেবার মান এবং টেকসই উন্নয়নকে স্বীকৃতি প্রদানকারী একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে তারা গর্বিত।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার ডেভিড ও’ হ্যানলন বিশ্বমানের আতিথেয়তা প্রদানের পাশাপাশি অসাধারণ অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে এমন একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

চলতি বছর ২৫টি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। শুধু আবেদনকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্বকারী অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিচারক প্যানেল বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন এবং পাবলিক ভোটিংয়ের ভিত্তিতে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করবেন।

এবার নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে দুটি বিশেষ ক্যাটাগরি—সর্বাধিক পর্যটনবান্ধব বিদেশি গন্তব্য, বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় পর্যটন স্পট। এই দুটি ক্যাটাগরির বিজয়ী সরাসরি পাবলিক ভোটিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।

বাংলাদেশের পর্যটন ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা জানানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ মনিটর ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে।

প্রথম আসরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ বছর আরও বৃহৎ পরিসরে এই আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে অংশগ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃশ্যমানতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল নজরদারি করবে এনবিআর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল আরও স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ নামে নতুন একটি সাব-মডিউল চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মাধ্যমে প্রতিটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ, অবস্থানকাল এবং খালি ট্রাকের ফেরত-সংক্রান্ত তথ্য ইলেকট্রনিকভাবে সংরক্ষণ করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় এনবিআর।

এনবিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসে ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই সাব-মডিউলের পাইলট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রাক প্রবেশ ও বহির্গমনের তথ্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হতো, যা সময়সাপেক্ষ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

নতুন মডিউল চালুর ফলে ভারতীয় প্রতিটি ট্রাকের আগমন ও বহির্গমনের প্রকৃত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এতে ট্রাকের অবস্থানকাল নির্ধারণ, সীমান্ত এলাকায় ট্রাক চলাচল কার্যকরভাবে মনিটরিং এবং রিয়েল-টাইম রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়বে, রাজস্বহানি রোধে সহায়ক হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় এই ডিজিটাল উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ট্রাক চলাচলের নির্ভুল তথ্য থাকায় শুল্ক ও কর ব্যবস্থাপনায় নজরদারি জোরদার হবে, একই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষাও বাড়বে।

খুব শিগগির দেশের সব স্থলবন্দরে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ‘ট্রাক মুভমেন্ট’ সাব-মডিউলটি লাইভ অপারেশনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। এতে স্থলবন্দরভিত্তিক আমদানি কার্যক্রম আরও গতিশীল ও আধুনিক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত