কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক খাতের আওতায় আনতেই ২০১০ সালে চালু হয় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার এনএফএ হিসাব। এখানে নেই ন্যূনতম ব্যালান্স রাখার ঝামেলা, নেই বাড়তি সার্ভিস চার্জ। বরং সাধারণ সঞ্চয় হিসাবের তুলনায় কিছুটা বেশি সুদ মেলে। ফলে চার্জমুক্ত সুবিধা, বাড়তি সুদ আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয় তদারকি—এই তিনের সমন্বয়ে নো-ফ্রিলস হিসাবগুলোয় জমা ও হিসাবসংখ্যা দুটিই এখন ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জুন শেষে এসব হিসাবে মোট জমা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। অথচ তিন মাস আগেও অর্থাৎ মার্চ শেষে এ হিসাবের আমানত ছিল ৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। অল্প সময়ে এতে ১৪৮ কোটি টাকা নতুন করে জমা পড়েছে।
শুধু টাকার অঙ্কই নয়, হিসাবের সংখ্যা বাড়ছেও চোখে পড়ার মতো। মার্চ শেষে যেখানে ২ কোটি ৮২ লাখের কিছু বেশি হিসাব ছিল, জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখের বেশি। মানে মাত্র তিন মাসে নতুন করে খোলা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হিসাব। এই প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করছে, প্রান্তিক কৃষক, অতি দরিদ্র মানুষ, পোশাকশ্রমিক কিংবা সামাজিক সুরক্ষা সুবিধাভোগীরা ধীরে ধীরে ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখছেন। অল্প টাকার হিসাব খুলেও তাঁরা নিয়মিত জমা রাখছেন।
দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আরিফ হোসেন খান মুখপাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এনএফএ হিসাবের আমানতে মিশ্র ধারা থাকলেও সার্বিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। কৃষকদের আমানত ৭১৮ কোটি থেকে ৭৭০ কোটিতে, অতি দরিদ্রদের ২৩১ কোটি থেকে ২৪৬ কোটিতে এবং সামাজিক সুরক্ষাভোগীদের ১,৭৩১ কোটি থেকে ১,৮২১ কোটিতে উঠেছে। তবে পোশাকশ্রমিকদের আমানত ৪৬৭ কোটি থেকে সামান্য কমে ৪৬৫ কোটিতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আমানত ১,০১৩ কোটি থেকে ৯৬১ কোটিতে নেমেছে। অর্থাৎ কিছু উপখাতে সাময়িক টান পড়লেও মোট চিত্রে আমানত বেড়েছে।
প্রবাসী আয়ের প্রবাহও খানিকটা জোর পেয়েছে। মার্চ শেষে এনএফএ হিসাব হয়ে আসা রেমিট্যান্স ছিল ৭৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা; জুনে তা বেড়ে ৮০০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা; প্রায় ২৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত।

অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক খাত একসময় খাদের কিনারায় গিয়েছিল; গত বছরের গণ-আন্দোলনের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়। আতঙ্ক পুরো কাটেনি, তবু আস্থা ফিরছে; ছোট আমানতকারীরাও আবার ব্যাংকে টাকা রাখছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো বিশেষ করে ক্ষুদ্র হিসাবের প্রতি সহায়তামূলক নীতিগুলো ভালো সাড়া দিয়েছে।’
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি আরফান আলীর মন্তব্য, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত এসব হিসাবের অর্ধেকের বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে। চার্জমুক্ত রাখা না হলে প্রান্তিক মানুষ আগ্রহী হতেন না। সাম্প্রতিক বৃদ্ধির হার নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বার্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকা'কে জানান, দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে হলেও সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক খাতের আওতায় আনতেই ২০১০ সালে চালু হয় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার এনএফএ হিসাব। এখানে নেই ন্যূনতম ব্যালান্স রাখার ঝামেলা, নেই বাড়তি সার্ভিস চার্জ। বরং সাধারণ সঞ্চয় হিসাবের তুলনায় কিছুটা বেশি সুদ মেলে। ফলে চার্জমুক্ত সুবিধা, বাড়তি সুদ আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয় তদারকি—এই তিনের সমন্বয়ে নো-ফ্রিলস হিসাবগুলোয় জমা ও হিসাবসংখ্যা দুটিই এখন ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জুন শেষে এসব হিসাবে মোট জমা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। অথচ তিন মাস আগেও অর্থাৎ মার্চ শেষে এ হিসাবের আমানত ছিল ৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। অল্প সময়ে এতে ১৪৮ কোটি টাকা নতুন করে জমা পড়েছে।
শুধু টাকার অঙ্কই নয়, হিসাবের সংখ্যা বাড়ছেও চোখে পড়ার মতো। মার্চ শেষে যেখানে ২ কোটি ৮২ লাখের কিছু বেশি হিসাব ছিল, জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখের বেশি। মানে মাত্র তিন মাসে নতুন করে খোলা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হিসাব। এই প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করছে, প্রান্তিক কৃষক, অতি দরিদ্র মানুষ, পোশাকশ্রমিক কিংবা সামাজিক সুরক্ষা সুবিধাভোগীরা ধীরে ধীরে ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখছেন। অল্প টাকার হিসাব খুলেও তাঁরা নিয়মিত জমা রাখছেন।
দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আরিফ হোসেন খান মুখপাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এনএফএ হিসাবের আমানতে মিশ্র ধারা থাকলেও সার্বিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। কৃষকদের আমানত ৭১৮ কোটি থেকে ৭৭০ কোটিতে, অতি দরিদ্রদের ২৩১ কোটি থেকে ২৪৬ কোটিতে এবং সামাজিক সুরক্ষাভোগীদের ১,৭৩১ কোটি থেকে ১,৮২১ কোটিতে উঠেছে। তবে পোশাকশ্রমিকদের আমানত ৪৬৭ কোটি থেকে সামান্য কমে ৪৬৫ কোটিতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আমানত ১,০১৩ কোটি থেকে ৯৬১ কোটিতে নেমেছে। অর্থাৎ কিছু উপখাতে সাময়িক টান পড়লেও মোট চিত্রে আমানত বেড়েছে।
প্রবাসী আয়ের প্রবাহও খানিকটা জোর পেয়েছে। মার্চ শেষে এনএফএ হিসাব হয়ে আসা রেমিট্যান্স ছিল ৭৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা; জুনে তা বেড়ে ৮০০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা; প্রায় ২৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত।

অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক খাত একসময় খাদের কিনারায় গিয়েছিল; গত বছরের গণ-আন্দোলনের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়। আতঙ্ক পুরো কাটেনি, তবু আস্থা ফিরছে; ছোট আমানতকারীরাও আবার ব্যাংকে টাকা রাখছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো বিশেষ করে ক্ষুদ্র হিসাবের প্রতি সহায়তামূলক নীতিগুলো ভালো সাড়া দিয়েছে।’
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি আরফান আলীর মন্তব্য, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত এসব হিসাবের অর্ধেকের বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে। চার্জমুক্ত রাখা না হলে প্রান্তিক মানুষ আগ্রহী হতেন না। সাম্প্রতিক বৃদ্ধির হার নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বার্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকা'কে জানান, দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে হলেও সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক খাতের আওতায় আনতেই ২০১০ সালে চালু হয় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার এনএফএ হিসাব। এখানে নেই ন্যূনতম ব্যালান্স রাখার ঝামেলা, নেই বাড়তি সার্ভিস চার্জ। বরং সাধারণ সঞ্চয় হিসাবের তুলনায় কিছুটা বেশি সুদ মেলে। ফলে চার্জমুক্ত সুবিধা, বাড়তি সুদ আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয় তদারকি—এই তিনের সমন্বয়ে নো-ফ্রিলস হিসাবগুলোয় জমা ও হিসাবসংখ্যা দুটিই এখন ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জুন শেষে এসব হিসাবে মোট জমা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। অথচ তিন মাস আগেও অর্থাৎ মার্চ শেষে এ হিসাবের আমানত ছিল ৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। অল্প সময়ে এতে ১৪৮ কোটি টাকা নতুন করে জমা পড়েছে।
শুধু টাকার অঙ্কই নয়, হিসাবের সংখ্যা বাড়ছেও চোখে পড়ার মতো। মার্চ শেষে যেখানে ২ কোটি ৮২ লাখের কিছু বেশি হিসাব ছিল, জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখের বেশি। মানে মাত্র তিন মাসে নতুন করে খোলা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হিসাব। এই প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করছে, প্রান্তিক কৃষক, অতি দরিদ্র মানুষ, পোশাকশ্রমিক কিংবা সামাজিক সুরক্ষা সুবিধাভোগীরা ধীরে ধীরে ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখছেন। অল্প টাকার হিসাব খুলেও তাঁরা নিয়মিত জমা রাখছেন।
দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আরিফ হোসেন খান মুখপাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এনএফএ হিসাবের আমানতে মিশ্র ধারা থাকলেও সার্বিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। কৃষকদের আমানত ৭১৮ কোটি থেকে ৭৭০ কোটিতে, অতি দরিদ্রদের ২৩১ কোটি থেকে ২৪৬ কোটিতে এবং সামাজিক সুরক্ষাভোগীদের ১,৭৩১ কোটি থেকে ১,৮২১ কোটিতে উঠেছে। তবে পোশাকশ্রমিকদের আমানত ৪৬৭ কোটি থেকে সামান্য কমে ৪৬৫ কোটিতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আমানত ১,০১৩ কোটি থেকে ৯৬১ কোটিতে নেমেছে। অর্থাৎ কিছু উপখাতে সাময়িক টান পড়লেও মোট চিত্রে আমানত বেড়েছে।
প্রবাসী আয়ের প্রবাহও খানিকটা জোর পেয়েছে। মার্চ শেষে এনএফএ হিসাব হয়ে আসা রেমিট্যান্স ছিল ৭৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা; জুনে তা বেড়ে ৮০০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা; প্রায় ২৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত।

অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক খাত একসময় খাদের কিনারায় গিয়েছিল; গত বছরের গণ-আন্দোলনের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়। আতঙ্ক পুরো কাটেনি, তবু আস্থা ফিরছে; ছোট আমানতকারীরাও আবার ব্যাংকে টাকা রাখছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো বিশেষ করে ক্ষুদ্র হিসাবের প্রতি সহায়তামূলক নীতিগুলো ভালো সাড়া দিয়েছে।’
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি আরফান আলীর মন্তব্য, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত এসব হিসাবের অর্ধেকের বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে। চার্জমুক্ত রাখা না হলে প্রান্তিক মানুষ আগ্রহী হতেন না। সাম্প্রতিক বৃদ্ধির হার নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বার্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকা'কে জানান, দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে হলেও সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক আর্থিক খাতের আওতায় আনতেই ২০১০ সালে চালু হয় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকার এনএফএ হিসাব। এখানে নেই ন্যূনতম ব্যালান্স রাখার ঝামেলা, নেই বাড়তি সার্ভিস চার্জ। বরং সাধারণ সঞ্চয় হিসাবের তুলনায় কিছুটা বেশি সুদ মেলে। ফলে চার্জমুক্ত সুবিধা, বাড়তি সুদ আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয় তদারকি—এই তিনের সমন্বয়ে নো-ফ্রিলস হিসাবগুলোয় জমা ও হিসাবসংখ্যা দুটিই এখন ঊর্ধ্বমুখী।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের জুন শেষে এসব হিসাবে মোট জমা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। অথচ তিন মাস আগেও অর্থাৎ মার্চ শেষে এ হিসাবের আমানত ছিল ৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। অল্প সময়ে এতে ১৪৮ কোটি টাকা নতুন করে জমা পড়েছে।
শুধু টাকার অঙ্কই নয়, হিসাবের সংখ্যা বাড়ছেও চোখে পড়ার মতো। মার্চ শেষে যেখানে ২ কোটি ৮২ লাখের কিছু বেশি হিসাব ছিল, জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখের বেশি। মানে মাত্র তিন মাসে নতুন করে খোলা হয়েছে ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি হিসাব। এই প্রবৃদ্ধিই প্রমাণ করছে, প্রান্তিক কৃষক, অতি দরিদ্র মানুষ, পোশাকশ্রমিক কিংবা সামাজিক সুরক্ষা সুবিধাভোগীরা ধীরে ধীরে ব্যাংকের ওপর আস্থা রাখছেন। অল্প টাকার হিসাব খুলেও তাঁরা নিয়মিত জমা রাখছেন।
দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। আরিফ হোসেন খান মুখপাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মার্চ থেকে জুনের মধ্যে এনএফএ হিসাবের আমানতে মিশ্র ধারা থাকলেও সার্বিক প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। কৃষকদের আমানত ৭১৮ কোটি থেকে ৭৭০ কোটিতে, অতি দরিদ্রদের ২৩১ কোটি থেকে ২৪৬ কোটিতে এবং সামাজিক সুরক্ষাভোগীদের ১,৭৩১ কোটি থেকে ১,৮২১ কোটিতে উঠেছে। তবে পোশাকশ্রমিকদের আমানত ৪৬৭ কোটি থেকে সামান্য কমে ৪৬৫ কোটিতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আমানত ১,০১৩ কোটি থেকে ৯৬১ কোটিতে নেমেছে। অর্থাৎ কিছু উপখাতে সাময়িক টান পড়লেও মোট চিত্রে আমানত বেড়েছে।
প্রবাসী আয়ের প্রবাহও খানিকটা জোর পেয়েছে। মার্চ শেষে এনএফএ হিসাব হয়ে আসা রেমিট্যান্স ছিল ৭৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা; জুনে তা বেড়ে ৮০০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা; প্রায় ২৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত।

অর্থনীতিবিদ ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো এম হেলাল আহমেদ জনি এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক খাত একসময় খাদের কিনারায় গিয়েছিল; গত বছরের গণ-আন্দোলনের পর পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়। আতঙ্ক পুরো কাটেনি, তবু আস্থা ফিরছে; ছোট আমানতকারীরাও আবার ব্যাংকে টাকা রাখছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো বিশেষ করে ক্ষুদ্র হিসাবের প্রতি সহায়তামূলক নীতিগুলো ভালো সাড়া দিয়েছে।’
ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি আরফান আলীর মন্তব্য, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত এসব হিসাবের অর্ধেকের বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে। চার্জমুক্ত রাখা না হলে প্রান্তিক মানুষ আগ্রহী হতেন না। সাম্প্রতিক বৃদ্ধির হার নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বার্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান আজকের পত্রিকা'কে জানান, দেশে পালাবদলের পর মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। খরচের চাপ খানিকটা নেমে যাওয়ায় অনেকে কষ্ট করে হলেও সঞ্চয় বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১৯ মিনিট আগে
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
১০ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন—পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুন কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতিন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দর নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাতের। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগতমানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন—পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুন কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতিন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দর নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাতের। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগতমানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
২৮ আগস্ট ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
১০ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
২৮ আগস্ট ২০২৫
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১৯ মিনিট আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১২ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
২৮ আগস্ট ২০২৫
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১৯ মিনিট আগে
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
১০ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

প্রান্তিক আয়ের মানুষের সহজ শর্তের ব্যাংক হিসাব (এনএফএ) এখন আর শুধু কাগজে-কলমের উদ্যোগ নয়, বরং হয়ে উঠছে সঞ্চয়ের নিরাপদ ভরসাস্থল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যই বলছে, এই বিশেষ হিসাবগুলোয় আমানত বাড়ছে দ্রুতগতিতে।
২৮ আগস্ট ২০২৫
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১৯ মিনিট আগে
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
১০ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
১২ ঘণ্টা আগে