আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী কল্পেশ প্যাটেল। এ বছরের দীপাবলি তাঁর জন্য যেন ‘দীপ নিভে যাওয়ার দিন’ নিয়ে আসছে। পুরোনো হীরা কাটাই ও পলিশের ছোট্ট একটি কারখানা আছে তাঁর। কল্পেশের এই কারখানায় নেমে আসছে অন্ধকার। আর এই অন্ধকারের কারণ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ।
৮ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা কল্পেশের এই কারখানায় এখন ৪০ জন কর্মী রয়েছে। অপরিশোধিত হীরা কেটে ও ঘষেমেজে ঝকঝকে করে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করেন তাঁরা। কল্পেশ ভাবছেন, বছরের পর বছর বহু বাধা অতিক্রম করে আসা তার এই কারখানায় ট্রাম্পের এই শুল্ক যেন ‘কফিনের শেষ পেরেকটি’ ঠুকে দেবে।
আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কল্পেশ বলতে থাকেন, ‘দীপাবলির কিছু অর্ডার বাকি আছে, সেগুলো শেষ করার চেষ্টা করব।’
আলোর উৎসব দীপাবলি ভারতের সবচেয়ে বড় উৎসবগুলোর একটি। প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ দিকে আয়োজিত হয় এই উৎসবটি। এ উৎসবকে ঘিরে দেশটির বাজারে পণ্যের বিক্রি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কল্পেশ বলছিলেন, ‘এ বছর হয়তো উৎসবের আগেই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শুল্কের কারণে রপ্তানিকারকেরা অর্ডার বাতিল করতে পারেন। এমনিতেই অর্ডার কমে আসায় কর্মীদের বেতন দেওয়া এবং অন্যান্য খরচ মেটানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।’
‘ভারতের হীরার শহর’ নামে পরিচিত সুরাটে কল্পেশসহ প্রায় ২০ হাজার ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী হীরা কাটাই ও পলিশের কাজ করেন। এখানের কারখানাগুলোতে বিশ্বের প্রতি ১৫টি প্রাকৃতিক হীরার মধ্যে ১৪টি কাটাই ও পলিশের কাজ হয়।
ভারতের ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের রত্ন ও গয়না রপ্তানি উন্নয়ন কাউন্সিলের (জিজেপিসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (যা মার্চে শেষ হয়েছে) দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮০ কোটি ডলারের কাটা ও পলিশ করা হীরা রপ্তানি করেছে। এই অঙ্ক ভারতের মোট কাটা ও পলিশ করা হীরা রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশের বেশি, যা একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৩২০ কোটি ডলার।
এরই মধ্যে অর্ডার বাতিল হতে শুরু করেছে বলে জানান কলকাতার হীরা রপ্তানিকারক ডিম্পল শাহ। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘উচ্চ শুল্কের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা পাঠানো পণ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। আমার দুই দশকের হীরা ব্যবসায় এটাই সবচেয়ে খারাপ সময়।’

গত ৭ আগস্ট থেকে ভারতের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়, যা ২ এপ্রিল ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন। এরই মধ্যে ৬ আগস্ট ট্রাম্প আরও ২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা দেন, ফলে মোট শুল্কহার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে। তিনি জানান, এই অতিরিক্ত শুল্ক ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। ভারত রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে তাই এটি ভারতের ওপর একধরনের শাস্তি।
আর রত্নশিল্পের ওপর আগে থেকেই ২ দশমিক ১ শতাংশ শুল্ক ছিল, এখন কার্যকর শুল্কহার দাঁড়াল ৫২ দশমিক ১ শতাংশে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে বাণিজ্য গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল রিসার্চ ট্রেড ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব ‘দ্বিচারিতা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে এবং রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা চীন কোনো ধরনের শাস্তিমূলক শুল্কের মুখে পড়েনি।
অজয় বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করতে অস্বীকার করায় ট্রাম্প হতাশা থেকে ভারতকে টার্গেট করছেন।’
এর মাধ্যমে তিনি চলমান বৃহত্তর বাণিজ্য আলোচনার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় অর্থনৈতিক খাতগুলোতে আরও প্রবেশাধিকার চাইছে।
তবে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পেছনে যে কারণই থাকুক না কেন, তা ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত হীরা শিল্পকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
গুজরাটের সুরাট, আহমেদাবাদ ও রাজকোট শহরের হীরা কাটাই ও পলিশ শিল্পে ২০ লাখের বেশি মানুষ কাজ করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অনেকেরই বেতন কমে গেছে। প্রথমে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবং পরে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের কারণে।
গুজরাট ডায়মন্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি রমেশ জিলরিয়া আল জাজিরাকে বলেন, ‘মহামারি আন্তর্জাতিক বাজারে, বিশেষত হংকং ও চীনে, অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি করেছিল। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর হীরা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং জি৭–এর রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞাও আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়া ছিল অপরিশোধিত হীরার বড় উৎস।
আর্থিক সংকটে গত দুই বছরে অন্তত ৮০ জন হীরা শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন ডায়মন্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি শ্রমিকদের মজুরি অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য করেছে, যা এখন গড়ে মাসপ্রতি ১৫ হাজার থেকে ১৭ হাজার রুপি (প্রায় ১৯৪ ডলার)। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে এ আয় দিয়ে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন।’
ট্রাম্পের শুল্ক সম্পূর্ণ কার্যকর হলে গুজরাটে প্রায় দুই লাখ মানুষ জীবিকা হারাতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন রমেশ।
ইতিমধ্যেই হীরাশিল্পের সাবেক ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি কর্মী সরকারি ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। চলতি বছরের মে মাসে গুজরাট রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দেয়, শিল্পের অস্থিরতায় চাকরি হারানোদের পরিবারকে সহায়তা দিতে প্রতি সন্তানকে ১৩ হাজার ৫০০ রুপি (প্রায় ১৫৪ ডলার) ভাতা দেওয়া হবে।
তবে সংকটের জন্য শুধু ট্রাম্পের শুল্ক, মহামারি বা যুদ্ধ দায়ী নয়, এর পাশাপাশি কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত (ল্যাব–গ্রোন) হীরা ও প্রাকৃতিক হীরার বাজারকে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে।

সুরাট জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সলিম দাগিনাওয়ালা বলেন, ‘প্রাকৃতিক হীরার মতো ল্যাব–গ্রোন হীরা খনি থেকে উত্তোলন করা হয় না, বরং বিশেষ ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়, আর এর দাম প্রাকৃতিক হীরার মাত্র ১০ শতাংশ। খালি চোখে এমনকি অভিজ্ঞ জুয়েলারদের পক্ষেও প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম হীরার পার্থক্য ধরা কঠিন। ক্রেতাদের রুচি এখন কৃত্রিম হীরার দিকে ঝুঁকছে, কারণ এগুলো সস্তা।’
জিজেপিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত ১০.৮ বিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত হীরা আমদানি করেছে, যা ২০২৩-২৪ সালের ১৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি থেকে ২৪.২৭ শতাংশ কম।
একইভাবে কাটা ও পলিশ করা প্রাকৃতিক হীরার রপ্তানিও ১৬.৭৫ শতাংশ কমে ২০২৪-২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ১৩.২ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের ১৬ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস।
জিজেপিসির চেয়ারম্যান কীরিত বানসালি বলেন, ‘এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে, যা গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ চেইনকে ব্যাহত করতে পারে, রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষের জীবিকা বিপন্ন করতে পারে। আমরা আশা করি শুল্কে স্বাভাবিককরণের ব্যবস্থা হবে, না হলে টিকে থাকা কঠিন হবে।’
শুল্কের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গয়না বিক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে সতর্ক করেন অল ইন্ডিয়া জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের (জিজিসি) চেয়ারম্যান রাজেশ রোকডে। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭০ হাজার গয়না ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা গয়নার দাম বাড়লে সংকটে পড়বেন।’
এ পরিস্থিতিতে বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ হীরা চাহিদা বাড়ানো এবং নতুন বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে বৈচিত্র্য আনা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
উত্তর প্রদেশের বারাণসীর নারায়ণ দাস সরাফ জুয়েলার্সের পরিচালক রাধা কৃষ্ণ আগারওয়াল বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজার শক্তিশালী হলে শুধু স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে না, পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের জন্য কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করবে।’
নারায়ণ দাস আরও জানান, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ যদি ভারতের রত্নশিল্পের ‘বহির্বিশ্বনির্ভরতা’ কমিয়ে আনে, তাহলে তা ‘অপ্রত্যাশিত এক আশীর্বাদ’ হতে পারে।
জিজেপিসির চেয়ারম্যান কীরিত বানসালি বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ গয়না বাজার দ্রুত বাড়ছে এবং আগামী দুই বছরে তা বর্তমানে থাকা ৮৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, শিল্প নতুন বাজারের খোঁজে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্য।
সুরাট জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত কোরাত বলেন, স্বর্ণ ইতিমধ্যে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা রপ্তানির ওপর আসা আঘাত সামলাতে সাহায্য করেছে।
তবে আপাতত ভারতের হীরা শিল্পের কোনো এমন অবস্থা নেই। এই শিল্পকে জরুরি ভিত্তিতে রক্ষা করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন সুরাটের হীরা কাটাই ও পলিশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে থাকা ব্যবসায়ী রমেশ প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘সহায়তা না পেলে, এই ব্যবসা চিরতরে তার ঝলক হারিয়ে ফেলবে।’

ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী কল্পেশ প্যাটেল। এ বছরের দীপাবলি তাঁর জন্য যেন ‘দীপ নিভে যাওয়ার দিন’ নিয়ে আসছে। পুরোনো হীরা কাটাই ও পলিশের ছোট্ট একটি কারখানা আছে তাঁর। কল্পেশের এই কারখানায় নেমে আসছে অন্ধকার। আর এই অন্ধকারের কারণ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ।
৮ বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তোলা কল্পেশের এই কারখানায় এখন ৪০ জন কর্মী রয়েছে। অপরিশোধিত হীরা কেটে ও ঘষেমেজে ঝকঝকে করে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করেন তাঁরা। কল্পেশ ভাবছেন, বছরের পর বছর বহু বাধা অতিক্রম করে আসা তার এই কারখানায় ট্রাম্পের এই শুল্ক যেন ‘কফিনের শেষ পেরেকটি’ ঠুকে দেবে।
আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কল্পেশ বলতে থাকেন, ‘দীপাবলির কিছু অর্ডার বাকি আছে, সেগুলো শেষ করার চেষ্টা করব।’
আলোর উৎসব দীপাবলি ভারতের সবচেয়ে বড় উৎসবগুলোর একটি। প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ দিকে আয়োজিত হয় এই উৎসবটি। এ উৎসবকে ঘিরে দেশটির বাজারে পণ্যের বিক্রি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কল্পেশ বলছিলেন, ‘এ বছর হয়তো উৎসবের আগেই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শুল্কের কারণে রপ্তানিকারকেরা অর্ডার বাতিল করতে পারেন। এমনিতেই অর্ডার কমে আসায় কর্মীদের বেতন দেওয়া এবং অন্যান্য খরচ মেটানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।’
‘ভারতের হীরার শহর’ নামে পরিচিত সুরাটে কল্পেশসহ প্রায় ২০ হাজার ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী হীরা কাটাই ও পলিশের কাজ করেন। এখানের কারখানাগুলোতে বিশ্বের প্রতি ১৫টি প্রাকৃতিক হীরার মধ্যে ১৪টি কাটাই ও পলিশের কাজ হয়।
ভারতের ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের রত্ন ও গয়না রপ্তানি উন্নয়ন কাউন্সিলের (জিজেপিসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (যা মার্চে শেষ হয়েছে) দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে ৪৮০ কোটি ডলারের কাটা ও পলিশ করা হীরা রপ্তানি করেছে। এই অঙ্ক ভারতের মোট কাটা ও পলিশ করা হীরা রপ্তানির এক-তৃতীয়াংশের বেশি, যা একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৩২০ কোটি ডলার।
এরই মধ্যে অর্ডার বাতিল হতে শুরু করেছে বলে জানান কলকাতার হীরা রপ্তানিকারক ডিম্পল শাহ। আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘উচ্চ শুল্কের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা পাঠানো পণ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। আমার দুই দশকের হীরা ব্যবসায় এটাই সবচেয়ে খারাপ সময়।’

গত ৭ আগস্ট থেকে ভারতের সব ধরনের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়, যা ২ এপ্রিল ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন। এরই মধ্যে ৬ আগস্ট ট্রাম্প আরও ২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা দেন, ফলে মোট শুল্কহার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে। তিনি জানান, এই অতিরিক্ত শুল্ক ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। ভারত রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে তাই এটি ভারতের ওপর একধরনের শাস্তি।
আর রত্নশিল্পের ওপর আগে থেকেই ২ দশমিক ১ শতাংশ শুল্ক ছিল, এখন কার্যকর শুল্কহার দাঁড়াল ৫২ দশমিক ১ শতাংশে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে বাণিজ্য গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল রিসার্চ ট্রেড ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব ‘দ্বিচারিতা’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করছে এবং রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল ক্রেতা চীন কোনো ধরনের শাস্তিমূলক শুল্কের মুখে পড়েনি।
অজয় বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং কৃষি ও দুগ্ধ খাত উন্মুক্ত করতে অস্বীকার করায় ট্রাম্প হতাশা থেকে ভারতকে টার্গেট করছেন।’
এর মাধ্যমে তিনি চলমান বৃহত্তর বাণিজ্য আলোচনার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় অর্থনৈতিক খাতগুলোতে আরও প্রবেশাধিকার চাইছে।
তবে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পেছনে যে কারণই থাকুক না কেন, তা ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত হীরা শিল্পকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
গুজরাটের সুরাট, আহমেদাবাদ ও রাজকোট শহরের হীরা কাটাই ও পলিশ শিল্পে ২০ লাখের বেশি মানুষ কাজ করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের অনেকেরই বেতন কমে গেছে। প্রথমে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এবং পরে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের কারণে।
গুজরাট ডায়মন্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি রমেশ জিলরিয়া আল জাজিরাকে বলেন, ‘মহামারি আন্তর্জাতিক বাজারে, বিশেষত হংকং ও চীনে, অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি করেছিল। আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর হীরা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং জি৭–এর রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞাও আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়া ছিল অপরিশোধিত হীরার বড় উৎস।
আর্থিক সংকটে গত দুই বছরে অন্তত ৮০ জন হীরা শ্রমিক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন ডায়মন্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি শ্রমিকদের মজুরি অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য করেছে, যা এখন গড়ে মাসপ্রতি ১৫ হাজার থেকে ১৭ হাজার রুপি (প্রায় ১৯৪ ডলার)। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে এ আয় দিয়ে টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন।’
ট্রাম্পের শুল্ক সম্পূর্ণ কার্যকর হলে গুজরাটে প্রায় দুই লাখ মানুষ জীবিকা হারাতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন রমেশ।
ইতিমধ্যেই হীরাশিল্পের সাবেক ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি কর্মী সরকারি ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। চলতি বছরের মে মাসে গুজরাট রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দেয়, শিল্পের অস্থিরতায় চাকরি হারানোদের পরিবারকে সহায়তা দিতে প্রতি সন্তানকে ১৩ হাজার ৫০০ রুপি (প্রায় ১৫৪ ডলার) ভাতা দেওয়া হবে।
তবে সংকটের জন্য শুধু ট্রাম্পের শুল্ক, মহামারি বা যুদ্ধ দায়ী নয়, এর পাশাপাশি কৃত্রিমভাবে উৎপাদিত (ল্যাব–গ্রোন) হীরা ও প্রাকৃতিক হীরার বাজারকে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে।

সুরাট জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সলিম দাগিনাওয়ালা বলেন, ‘প্রাকৃতিক হীরার মতো ল্যাব–গ্রোন হীরা খনি থেকে উত্তোলন করা হয় না, বরং বিশেষ ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়, আর এর দাম প্রাকৃতিক হীরার মাত্র ১০ শতাংশ। খালি চোখে এমনকি অভিজ্ঞ জুয়েলারদের পক্ষেও প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম হীরার পার্থক্য ধরা কঠিন। ক্রেতাদের রুচি এখন কৃত্রিম হীরার দিকে ঝুঁকছে, কারণ এগুলো সস্তা।’
জিজেপিসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত ১০.৮ বিলিয়ন ডলারের অপরিশোধিত হীরা আমদানি করেছে, যা ২০২৩-২৪ সালের ১৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি থেকে ২৪.২৭ শতাংশ কম।
একইভাবে কাটা ও পলিশ করা প্রাকৃতিক হীরার রপ্তানিও ১৬.৭৫ শতাংশ কমে ২০২৪-২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ১৩.২ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের ১৬ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস।
জিজেপিসির চেয়ারম্যান কীরিত বানসালি বলেন, ‘এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে, যা গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ চেইনকে ব্যাহত করতে পারে, রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষের জীবিকা বিপন্ন করতে পারে। আমরা আশা করি শুল্কে স্বাভাবিককরণের ব্যবস্থা হবে, না হলে টিকে থাকা কঠিন হবে।’
শুল্কের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গয়না বিক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে সতর্ক করেন অল ইন্ডিয়া জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের (জিজিসি) চেয়ারম্যান রাজেশ রোকডে। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭০ হাজার গয়না ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা গয়নার দাম বাড়লে সংকটে পড়বেন।’
এ পরিস্থিতিতে বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ হীরা চাহিদা বাড়ানো এবং নতুন বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে বৈচিত্র্য আনা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
উত্তর প্রদেশের বারাণসীর নারায়ণ দাস সরাফ জুয়েলার্সের পরিচালক রাধা কৃষ্ণ আগারওয়াল বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজার শক্তিশালী হলে শুধু স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখবে না, পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের জন্য কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করবে।’
নারায়ণ দাস আরও জানান, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ যদি ভারতের রত্নশিল্পের ‘বহির্বিশ্বনির্ভরতা’ কমিয়ে আনে, তাহলে তা ‘অপ্রত্যাশিত এক আশীর্বাদ’ হতে পারে।
জিজেপিসির চেয়ারম্যান কীরিত বানসালি বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ গয়না বাজার দ্রুত বাড়ছে এবং আগামী দুই বছরে তা বর্তমানে থাকা ৮৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, শিল্প নতুন বাজারের খোঁজে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্য।
সুরাট জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত কোরাত বলেন, স্বর্ণ ইতিমধ্যে শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা রপ্তানির ওপর আসা আঘাত সামলাতে সাহায্য করেছে।
তবে আপাতত ভারতের হীরা শিল্পের কোনো এমন অবস্থা নেই। এই শিল্পকে জরুরি ভিত্তিতে রক্ষা করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন সুরাটের হীরা কাটাই ও পলিশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে থাকা ব্যবসায়ী রমেশ প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘সহায়তা না পেলে, এই ব্যবসা চিরতরে তার ঝলক হারিয়ে ফেলবে।’

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী কল্পেশ প্যাটেল। এ বছরের দীপাবলি তাঁর জন্য যেন ‘দীপ নিভে যাওয়ার দিন’ নিয়ে আসছে। পুরোনো হীরা কাটাই ও পলিশের ছোট্ট একটি কারখানা আছে তাঁর। কল্পেশের এই কারখানায় নেমে আসছে অন্ধকার। আর এই অন্ধকারের কারণ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মার্কিন
১৩ আগস্ট ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী কল্পেশ প্যাটেল। এ বছরের দীপাবলি তাঁর জন্য যেন ‘দীপ নিভে যাওয়ার দিন’ নিয়ে আসছে। পুরোনো হীরা কাটাই ও পলিশের ছোট্ট একটি কারখানা আছে তাঁর। কল্পেশের এই কারখানায় নেমে আসছে অন্ধকার। আর এই অন্ধকারের কারণ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মার্কিন
১৩ আগস্ট ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী কল্পেশ প্যাটেল। এ বছরের দীপাবলি তাঁর জন্য যেন ‘দীপ নিভে যাওয়ার দিন’ নিয়ে আসছে। পুরোনো হীরা কাটাই ও পলিশের ছোট্ট একটি কারখানা আছে তাঁর। কল্পেশের এই কারখানায় নেমে আসছে অন্ধকার। আর এই অন্ধকারের কারণ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মার্কিন
১৩ আগস্ট ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরাট শহরের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী কল্পেশ প্যাটেল। এ বছরের দীপাবলি তাঁর জন্য যেন ‘দীপ নিভে যাওয়ার দিন’ নিয়ে আসছে। পুরোনো হীরা কাটাই ও পলিশের ছোট্ট একটি কারখানা আছে তাঁর। কল্পেশের এই কারখানায় নেমে আসছে অন্ধকার। আর এই অন্ধকারের কারণ ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর মার্কিন
১৩ আগস্ট ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৬ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৭ ঘণ্টা আগে